'৭৫ এর আগষ্ট পনেরোর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সামরিক শাসনের যে দীর্ঘ ঘোরপাকে পড়েছিলো বাংলাদেশ, তা থেকে বের হয়ে আসার রক্তক্ষয়ী দীর্ঘ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন এই দুজন। '৮৬ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা কিছুটা সমালোচনার শিকার হলেও শেষপর্যন্ত তারা দুজনই স্বৈরশাসকের পতনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন।
তারপরের সতের বছর ধরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র একটি দুর্বল গনতান্ত্রিক কাঠামোর উপর ভর করে চলেছে। অতি দুর্বল, তীব্র সমালোচনাযোগ্য এই কাঠামোটি নিঃসন্দেহে কাংখিত গনতন্ত্রের সবথেকে খারাপ ধরন তবু এসময়ের মধ্যে তিনটি গ্রহনযোগ্য জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে এবং গনমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করেছে যা এর আগের পনের বছরের সামরিক শাসনের সময় সম্ভব ছিলোনা।
দুর্বল,ভঙ্গুর তবু চলমান গনতন্ত্রের সতের বছর টিকে থাকার পেছনে ও এই দুজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সমালোচনার ইতিবৃত্ত লিখতে গেলে মহাকাব্য লিখা সম্ভব কিন্তু আজ সমালোচনাটুকু বাদ যাক।
এক এগারোর সংকটকালে সামরিক-কর্পোরেট-সিভিল ত্রয়ী মিলে রাজনীতির সহজাত ধারা বদলে দেবার যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, দীর্ঘ টানাপোড়নের পর আপাতঃ তা অসফল হয়েছিলো মুলতঃ এই দুজনের অনমনীয়তা ও দৃঢ়তার কল্যানে। স্মরন করা যেতে পারে- শেখ হাসিনাকে আমেরিকা থেকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেয়া হবেনা, খালেদা জিয়াকে সৌদী আরবে নির্বাসনে পাঠানো হবে- এরকম অনেক নাটকীয়তা, প্রস্তাবনা, ভয় ভীতি। শেষপর্যন্ত দুজনই কারাবাস মেনে নিয়েছেন কিন্তু কোন বিকল্প পথ গ্রহন করেননি।
দুজনের একজন ও যদি সেদিন সামরিক-কর্পোরেট-সিভিল ত্রয়ীর দেয়া প্রস্তাবনায় রাজী হয়ে যেতেন তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গল্প অন্যরকম হয়ে যেতো।
বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মধ্যে যদি অন্ততঃ একটি শুভ বিষয়ে মিল থাকে সেটি হচ্ছে তাদের দুজনের কেউই পেছন পথে ক্ষমতায় আসেননি, সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার সাহসটুকু তাদের ছিলো কিংবা আছে।
২।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফ্রো-এশিয়ার দেশগুলোতে যেসকল নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র জন্ম নিয়েছে জাতীয়তাবাদের চেতনায় তাদের প্রায় সকলের গল্প একই রকম। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতা, স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং পৌরাণিক মিথের মতো বৃষস্কন্ধ এক একজন অবিসংবাদিত নেতার উত্থান। চিলির আলেন্দে থেকে মিশরের গামাল নাসের হয়ে বাংলাদেশের শেখ মুজিব, আরো প্রাচ্যের সুকর্ণ।
স্বাধীনতার নায়ক হিসেবে এরা যতোটা সফল হয়েছিলেন, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ঠিক ততোটা না হলেও এদের সময়ে এদেরকে সরল পথে পরাজিত করার মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও গড়ে উঠেনি। এরা প্রত্যেকে যে বিশ্বমোড়লদের বিরুদ্ধে সরাসরি বিপ্লব ঘোষনা করেছিলেন তাও নয়, তবু এরা বিশ্বমোড়লদের পছন্দের প্রথম তালিকায় ছিলেননা। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, নিজ নিজ জনগনের সাথে গভীর সম্পর্কের জোর এবং ব্যক্তিগত ক্যারিশমার কারনে এদের কেউই একেবারে বশংবদ হননি।
পরিনতির গল্পটা ও তাই একই রকম এদের। বৃষস্কন্ধ নায়কদের রক্তাক্ত উৎখাত এবং প্রতিটি দেশের ক্ষমতায় জেনারেলদের অভিষেক। এই তারকাস্কন্ধ জেনারেলদের কোন রাজনৈতিক দর্শন নেই, নেই জনগনের কাছে কোন দায়বদ্ধতা। তাই এদের কাছ থেকেই নিঃশর্ত আনুগত্য নিশ্চিত হওয়া সম্ভব বিশ্বমোড়লদের এবং দীর্ঘবছরগুলো জুড়ে জেনারেলরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে বিশ্বস্তভাবে বাংলাদেশে, চিলিতে, ইন্দোনেশিয়া, মিশরে।
কিন্তু শীতলযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিশ্বমোড়লগিরিতে ও যখন আর কোন প্রতিযোগীতা নেই তখন একমাত্র মোড়লটির শখ জাগলো হাতের রক্ত ধুয়ে ফেলতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তৃতীয় বিশ্বের নির্বাচিত সরকারগুলোর বিকল্প হিসেবে তাদের পছন্দ ছিলো সামরিক শক্তি কিন্তু দেশে দেশে এরশাদ, মার্কোস, পিনোচের মতো শাসকদের পতনের পর মডেল বদলানোর চিন্তা এলো তাদের। এবার জেনারেলদের বদলে র্যাম্পে এলেন সিভিল সোসাইটি। নুরী আল মালিকী, হামিদ কারজাই, এল বারিদী, ডঃ ইউনুস।
এরা সাবেকী জেনারেলদের মতো গোঁয়ার এবং রক্তপিপাসু নন বরং সুকৌশলী, বুদ্ধিমান, শিক্ষিত, মার্জিত। বড় কথা- মোড়লদের বশংবদ। জেনারেলদের মতোই এরাও মাঠপর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে আসা মানুষ নন, রাষ্ট্র সংকটে জনগনের পাশে থাকার রাজনীতিক নন, জনগনের প্রতি এদেরও ন্যুনতম কোন দায়বদ্ধতা নেই। মোড়লরা জানে তাদের পছন্দ ছাড়া এদের আর কোন শক্তি নেই দরকষাকষির আর এরাও জানে মোড়লদের পছন্দ ছাড়া আর কোন সামর্থ্য নাই ক্ষমতায় যাওয়ার। সুতরাং দুপক্ষের জন্যই 'উইন উইন সিচুয়েশন'
৩।
ডঃ ইউনুস বিষয়ক সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সহমর্মী ও সমর্থকরা তার সপক্ষে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন শান্তিতে প্রাপ্ত নোবেল পুরস্কারটিকে। অপরদিকে তার সমালোচকদের কেউ কেউ অপ্রাসঙ্গিক ভাবে আক্রমন করছেন একই নোবেলকে( এটর্নী জেনারেল)। অথচ চলমান পরিস্থিতিতে এটি মুল প্রসংগ নয়। নোবেল পেয়েছেন বলেই তিনি আইনের উর্ধ্বে নন, আবার তার নোবেল প্রাপ্তি যথার্থ হয়েছে কিনা সেই সমালোচনা ও আইনি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় নয়।
নোবেল পেলেই যদি সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে যাওয়া যায় তাহলে হেনরী কিসিঞ্জার, আইজ্যাক রবিন, শিমন পেরেজদের নিয়ে কথা বলা যাবেনা, সমালোচনা করা যাবেনা বারাক ওবামার যার সেনাবাহিনী এই মুহুর্তে ও দখলদারীত্ব বজায় রেখেছে পৃথিবীর দেশে দেশে।
এমন দাবী ও করা হয়েছে ডঃ ইউনুসের এই অসামান্য নোবেল প্রাপ্তিতে দেশে দেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের এতোদিনের অসম্মান ঘুচে গিয়ে সসম্মানের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, ফলে জাতি হিসেবে তার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা অসীম। সেই মাহেন্দ্রক্ষনে তৃণতুচ্ছ এই আমি ও প্রবাসী ছিলাম। স্বদেশের একজনের নোবেল প্রাপ্তিতে বিদেশের মাটিতে আমার সবুজ পাসপোর্ট আলাদা কোন গুরুত্ববহন করেনি( কারো করে থাকলে জানাবেন)। হ্যাঁ, সহকর্মীদের দুএকজন খবরটা জেনে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছে তখনো ক্রিকেটের খবর রাখা ইংলিশ বন্ধুরা একই রকম অভিনন্দন জানিয়েছে। এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত এতো কিছু ঘটছে, কোন চিপায় কোন ইউনুস কী কারনে কী পেয়েছেন সেটা মনে রেখে তার দেশের মানুষকে মাথায় তুলে নাচার মতো আদিখ্যেতা অন্য দেশের মানুষের নেই।
ডঃ ইউনুস সমর্থকদের দাবী বর্তমান পরিস্থিতিটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশোধপরায়নতা মাত্র।
এই দাবীটি সর্বাংশে সত্য। শেখ হাসিনা রাজনীতিবিদ, তিনি রাজনীতি করবেন অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাজনীতিতে প্রতিশোধ একটা ফ্যাক্টর, এটা ও অস্বীকার করা উপায় নেই।
ডঃ ইউনুস ও রাজনীতির মানুষ, অন্ততঃ রাজনীতির মানুষ হয়ে উঠার সুযোগ তিনি নিতে চাচ্ছিলেন। তার রাজনিতিবিদ হবার অভিপ্রায়টি শেখ হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়ার রাজনীতিবিদ হয়ে উঠার চেয়ে আলাদা ধরনের। শেষোক্ত দুজনের জন্যই পথটি প্রস্তুত ছিলোনা বরং ব্যক্তিগত শোক কাটিয়ে উঠে, বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে করতে তারা রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন অপরদিকে ডঃ ইউনুস রাষ্ট্র সংকটকালীন সময়ে অবৈধ ক্ষমতাদখলদারদের প্রশ্রয়ে এবং বিশ্বমোড়লদের আশীর্বাদ নিয়ে ক্ষমতারোহন করতে চেয়েছিলেন যেমন ইরাকের মালিকী, যেমন আফগানের কারজাই।
বাংলাদেশের পোড়খাওয়া মানুষ এই সুযোগ সন্ধানকে পাত্তা দেয়নি বলে, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনেই অনমনীয় ছিলেন বলে ঐ অশুভ ঘোরপাক থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পেরেছে আপাততঃ।
বেরিয়ে আসতে পেরেছে কিন্তু এর পরম্পরা যে ফুরিয়েছে যে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেই কেননা বিশ্ব মোড়লেরা এখন নির্বাচিত সরকারগুলোকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখছেনা অন্ততঃ যেখানে মনমতো মডেল প্রস্তুত আছে। ফখরুদ্দীন, মইনউদ্দীন দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু ইউনুস রয়ে গেছেন তার জোরালো কানেকশন, আন্তর্জাতিক ইমেজ আর ধুর্ত কৌশলের বদৌলতে।
রাজনীতির খায়েশ মিটে গেছে বলে ঘোষনা দিলেও তাকে বিশ্বাস করার কোন কারন নেই শেখ হাসিনার( এবং খালেদা জিয়ার)। যারা ১/১১ এর সুযোগে শেখ হাসিনা( এবং খালেদা জিয়া)কে পুঁতে ফেলতে চেয়েছিলেন, ডঃ ইউনুস তাদের অন্যতম। হাসিনা তার সুযোগমতো ইউনুসকে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করবেন, এটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত।
দুপক্ষের জন্যই এটি পাওয়ার প্লে। সংকটের সুযোগে সামরিক ছত্রছায়ায় ইউনুস তার শক্তি দেখিয়েছিলেন, হাসিনা তার শক্তি দেখাচ্ছেন জনগনের ম্যান্ডেটের সাহসে। পার্থক্য এখানেই।
আর বেগম জিয়া যতোই ইউনুসের সপক্ষে কথা বলুন, তিনি ও জানেন তার রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য শেখ হাসিনা নন বড় হুমকী স্বয়ং ইউনুস। শেখ হাসিনা যে রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করেন, ইউনুস তার বিকল্প নয় কিন্তু প্রতিপক্ষ রাজনীতির প্রতিনিধি হিসেবে ইউনুস দাঁড়িয়ে গেলে খালেদা জিয়ার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বৃষস্কন্ধ মহানায়কদের রাজনীতি অনেকে আগেই ফুরিয়েছে যারা স্বাধীন রাষ্ট্রসমুহের জন্ম দিয়েছিলেন, যাদের সম্পর্ক ছিলো সরাসরি জনগনের সাথে, মানবিক ভুলভ্রান্তির পর ও যারা আদৃত থেকেছেন দেশবাসীর কাছে।
তাদের পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদ- যাদের জনসম্পৃক্ততা তুলনামুলক ভাবে কম হলে ও একেবারে নিঃশেষ নয়, রাষ্ট্র সংকটে যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন এবং জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে যারা আস্থা হারাননি - তাদের রাজনীতি এখন হুমকীর মুখে যেমন শেখ হাসিনা, যেমন খালেদা জিয়া।
বিপরীতে মোড়লপছন্দ হিসেবে জনগনকে এড়িয়ে ক্ষমতারোহনের সুশীল মডেলটি ক্রমশঃ কার্যকর হয়ে উঠার আশংকা তৈরী হয়েছে, এরা জনগনের কাছে নয় বরং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা রাখেন তাদের আহত অভিমান- যেমন ডঃ মুহম্মদ ইউনুস।
মোসাহেব ও অমাত্যবর্গের তৈলাক্ততায় বিরক্তি উৎপাদন করলেও প্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে এ সংকটে আমার কাছে দ্যা লাষ্ট মোহিকান এর মতো লাগে, শত্রুপক্ষ অপ্রতিরোধ্য জেনেও যিনি লড়ছেন একটি রাজনৈতিক ধারাকে টিকিয়ে রাখতে, জনসম্পৃক্ততাকে।
মন্তব্য
।
-খালাদের বিবৃতি কিন্তু অন্য কথা বলে।
-যখন খুব ছোট ছিলাম আমার বড় বোনের সাথে মারামারি করে সুবিধা করতে না পারলে মাকে ডাকতে শুরু করতাম।
-তোফায়েল
খালেদা বলতে চেয়েছেন? বিবৃতি রাজনৈতিক। খালেদা জিয়া ও শেষপর্যন্ত ইউনুছকে ছাড় দেবেননা। দেবার কথা নয় অন্ততঃ
আপনি কি বেগম হিলারীকে ইউনুছ সাহেবের আম্মা- বলতে চান?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ইউনুসের বিপক্ষে হাসিনার সরকারের অবস্থান যেমন রাজনৈতিক তেমনি ইউনুসের পক্ষে বরবাদ-এমাজউদ্দিন-মাহবুবুল্লাহ বা নেত্রী খা লেদার মায়াকান্না বা অবস্থানও রাজনৈতিক ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বস কি স্পেসটা ইচ্ছে করেই মারলেন?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাল লেখেছেন। কিন্তু তাদের বৈধতা কারা দিয়েছে কিংবা তাদের এতো ওপরে তুলে আনার পেছনে কাদের হাত রয়েছে নাকি এটা নিতান্তই একটা মহৎ উদ্দ্যেশ্যে করা হয়েছে নাকি হিংসার বসবর্তী হয়ে করা হয়েছে তাই দেখা উচিৎ। নির্লজ্জ চাটুকারিতা মূলক আচরণকে কি আপনি সমর্থন করেন? মানুষ হওয়া কিছুটা সহজ বটে। কিন্তু মহা মানুষ হওয়া অনে............................ক কঠিন। ছোট ব্যাপারগুলোর দিকে এভাবে না এগিয়ে গোপনে এগুনো যেত।
মিডিয়াকে বিভিন্ন ব্যপারে আটকে রাখা হচ্ছে। এ ব্যপারেও গোপনীয়তা রক্ষা করা যেত। একজন ইউনূসকে নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যাথা নেই। তবে তার সাথে জড়িয়ে আছে দেশের সম্মান অসম্মানের ব্যপার।
আপনি রাজনীতিবিদদের মহামানুষ ভাবতে যাচ্ছেন কেনো?
কিভাবে? দেশের মান সম্মান আরো বড় বিষয়। একজন ইউনুসই কেবল বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন এমন হাইপ বাস্তব নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঈউনুস সাহেবের সাথে দেশের সম্মান জড়িত ঠিকই, কিন্তু এতোটা কি যে তাকে আইনের আওতায় এনে প্রশ্ন করা যাবে না? নোবেল পুরষ্কার কি আইনের থেকেও বড়???
--- থাবা বাবা!
মাছের পেট থেকে ইউনূস নবী কোন যাদুমন্ত্রবলে উদ্ধার পান তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
চমৎকার বিশ্লেষণ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লোখাটা ভালো লেগেছে। তবে আরেকটু বড় হলে আরোও ভালো লাগতো।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
খুবই সুন্দর ব্যাখ্যা ও লেখা। তবে আমার মনে হয় হাসিনা ও খালেদার পরবর্তী উত্তরসূরী হতে চলেছেন এই ইউনুসের মত কোনো বশংবদ ব্যক্তিই। এই যাত্রায় ইউনুস খুব কিছু করে উঠতে না পারলেও ক্ষমতারোহনের সুশীল মডেলটি ক্রমশ কার্যকর হয়েই উঠবে ও গণতান্ত্রিক উপায়েই ক্ষমতার শীর্ষে আসবেন। তৃতীয় বিশ্বে প্রধানমন্ত্রীর জনসম্পৃক্ততার দিন মনে হয় শেষের দিকে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই কথাটিই বলতে চাচ্ছিলাম। নির্বাচিত হয়ে আসবে হয়তো, কিন্তু জনসম্পৃক্ততা থাকবেনা। হাসিনা-খালেদা দুজনই '৯০ পর্যন্ত মফস্বল পর্যন্ত গিয়েছেন, তৃনমুল নেতাকর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিলো।
এই ধারাটি ফুরাবে। তারেকের ভবিষ্যত অস্পষ্ট। হাসিনাপুত্র জয় বড়হুজুরদের অনুমোদনে নির্বাচিত সরকার প্রধান ও হতে পারে কোনদিন কিন্তু তার মায়ের জনসম্পৃক্ততা- তার পক্ষে অসম্ভব। প্রয়োজন ও হবেনা এদের।
রাজনীতিতে ইউনুস লোজার হয়েই থাকবেন সম্ভবতঃ। বয়স তাকে খুব একটা সুযোগ দেবেনা। কোন তথ্য প্রমান নেই- তবু সন্দেহ করি তিনি অধৈর্য্য হয়ে উঠেছেন। না হলে হাসিনার নতুন ফ্রন্ট খোলার কথা নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার ধারণাও এরকমই।
সার্বিকভাবে একটি চমৎকার বিশ্লেষণ।
চমৎকার বিশ্লেষণ। তারেককে নিয়ে দরদামের কারণে খালেদা জিয়ার সৌদি যাওয়া হয়নি যে সময়ে হাসিনা আমেরিকা চলে গেছিলেন। আমার ব্যক্তিগত মতে খালেদাও যদি ওই সময়ে হাসিনার মতন বিদেশ চলে যেতেন তাহলে ঘটনাপ্রবাহ অন্যরকম হত।
গুজব ছিলো হাসিনা আমেরিকা থেকে ফিরবেননা। হিথ্রোতে বাধা দেয়ার পরও ফিরে এসেছিলেন। খালেদা জিয়া সৌদী যাচ্ছেন, শুনা যাচ্ছিল। যাননি।
দুটোর একটা ঘটলে ইতিহাস অন্যরকম হতো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার মূল বক্তব্যটা ছিল হাসিনা ঠিকই বিদেশ গেছিলেন, আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তিগত ইস্যুতে খালেদা যাননি এবং সে কারণেই বিচলিত হয়ে হাসিনা ফেরত আসেন। বিচলিত হবার যথেষ্ঠ কারণও ছিল। জলপাই সরকারকে সবসময়ই রাজনৈতিক সরকারের থেকে বৈধতা নিতে হয় - খালেদা সেই সমঝোতা করে ফেললে হাসিনার আরও কয়েকবছর রাজপথে থাকা লাগে
লেখাটা প্রয়োজন ছিলো। সবাই ভুলে গেছে ইয়াজুদ্দীনের হয়ে সদ্য-নোবলজয়ী ডঃ ইউনূসের হৈ-চৈ।
এই কথাটা কাউকেই বোঝাতে পারছি না। একজন নাগরিক হিসাবে ডঃ ইউনূসের প্রতি ছোট-বড় যেকোনো রাজনৈতিক অত্যাচারের প্রতিবাদ করা যায়, করা উচিত। কিন্তু স্রেফ নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার আদেখলাপনা থেকে কাউকে আইনী প্রক্রিয়ার ঊর্ধ্বে বলে দাবি করা নিয়েই আমার আপত্তি।
ডঃ ইউনূস রাজনীতিতে নেমেছিলেন, সুযোগ বুঝে "মাইনাস-টু"-র ঘাড়ে চড়তে চেয়েছিলেন। রাজনৈতিক শত্রুর লেজে পাড়া দিলে ছোবল তো খেতেই হবে। টিট ফর ট্যাট। এই সূত্রে অবশেষর ১/১১-র পেছনে থাকা সবাই ফ্লাশড-আউট হচ্ছে...
দারুণ বিশ্লেষণ।
এই কথাগুলো দারুণ লাগল। ১-১১ পরবর্তী সময়ে ইউনুস সাহেবের কার্যকলাপের কথা আমরা কেউই বিস্মৃত হইনি। সে হিসেব কষে তাই এই পরিস্থিতির কিছুটা আঁচ তাই পাওয়াই যায়। আর আরেকটি কথা না বললেই নয়, নোবেলের লেবু বারবার কচলে তথাকথিত সমালোচকরা আখেরে ইউনুসের উপকারই করছেন।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ড. ইউনুসের ব্যাপারটা যেভাবে গড়িয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে অক্ষম আমি। কারণ অনেক বড় বড় অভিযোগ থাকার পরেও ছোট একটা অপরাধে জড়ানো হলো ইউনুসকে। ইউনুসের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ কোনটা?
১. ইউনুস ১৯৯৮ সালে নোরাডের তহবিল নিয়ে অনিয়ম করেছেন। (যদিও নোরাড ও নরওয়ে সরকারের বক্তব্যে অভিযোগ খারিজ হয়ে যায় তবু এটাকে প্রথমে রাখলাম সঙ্গত কারনে)
২. ইউনুস দশ বছর অবৈধভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে চাকরী করেছেন (যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অর্থমন্ত্রনালয়ও এর দায় এড়াতে পারে না)
৩. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋনের মাধ্যমে দারিদ্র লালন করেছেন (ক্ষুদ্রঋন কি জোর করে প্রদান করা হয় কিনা জানা নেই)
৪. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চমাত্রার সুদ নির্ধারন করে দরিদ্রদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন (সুদের হার নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থমন্ত্রনালয়ের দায় আছে)
৫. ঋনখেলাপীরা যেদেশে রাষ্ট্রপ্রধানের উপদেষ্টা হয় সেদেশে ইউনুস জোর করে গরীব মানুষের ৯৯% ঋন আদায় করে নিয়েছেন (কত শতাংশ ঋন জোর করে আদায় হয়েছে, তেমন সংখ্যা জানা নেই)
৬. ক্ষুদ্রঋনের মতো মহাজনী ব্যবসাকে দেশে এবং বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। (যার প্রভাবে সরকারও পিকেএসএফ নামে একটা ক্ষুদ্রঋনের সংগঠন গড়েছে যার আওতায় এনজিও নামে ২৫৭টি মিনি গ্রামীণ ব্যাংক কাজ করে। যার গ্রাহক সংখ্যা আশিলাখের কাছাকাছি। যাদের ঋন আদায়ের সফলতা ৯৭%।)
৭. কোন রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়া সারা বিশ্বের হোমরাচোমরা ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিজের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন, কিন্তু দেশের কথা ভাবেননি।
৮. আমেরিকার মতো কুখ্যাত দেশের প্রেসিডেন্টের বন্ধু পরিচয়ে প্রভাব দেখিয়ে নোবেল পুরষ্কার বাগিয়েছেন। কিন্তু নোবেলের টাকা ট্যাক্স ফ্রী করতে তদবির করেছেন।
৯. ১/১১ এর সময় মাইনাস টু তত্ত্বকে সমর্থন করে নিজের রাজনৈতিক বাসনার বহিঃপ্রকাশ করেছেন। (যদিও তিন মাসের মধ্যে মাঠ ছেড়ে গুটিয়ে গেছেন)
১০. সর্বোপরি ইউনুস একজন সুদখোর ব্যাংকার (সুদবিহীন ব্যাংক আছে কিনা জানা নেই আমার)
অভিযোগের তালিকা শেষ হবার নয়, তবু আপাততঃ এই কটাই রাখলাম। কিন্তু এত অভিযোগের মধ্যে ধরা হলো ২ নম্বর অভিযোগে। বাকী অভিযোগের ব্যাপারে সরকার কি করবে? এই প্রেক্ষিতে আরো কয়েকটি সম্পুরক প্রশ্ন দাঁড়িয়ে গেছে মাথায়-
ক. সরকার কি এবার গ্রামীন ব্যাংকের ঋন আদায় পদ্ধতি এবং সুদের হারে পরিবর্তন আনবে?
খ. সরকার কি এখনো নোরাডের তহবিলের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে?
গ. সরকার কি গ্রামীন ব্যাংকের অধ্যাদেশে কোন পরিবর্তন আনবে?
ঘ. গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের কতোটা ক্ষতি করলো তার কি কোন হিসেব প্রকাশিত হবে?
ঙ. গ্রামীন ব্যাংক থেকে ড.ইউনুস ব্যক্তিগতভাবে কতো টাকা আয় করেছেন জানা যাবে?
চ. সারা বিশ্বের ব্যাংকগুলোতে ড.ইউনুস ও পরিবারের নামে কতো বিলিয়ন ডলার জমা আছে খবর নেয়া যাবে?
সব প্রশ্নের উত্তর মেলে না। নীচের তিনটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার অন্ত্যমিলের মধ্যে এই প্রশ্নগুলোর খানিক উত্তর বোধহয় লুকিয়ে আছে।
ঘটনা এক.
২০০১ সালের এক বিকেলে কোন কথাবার্তা ছাড়া জোট সরকারের হাত দুম করে একুশে নামের শিশুটির গলা টিপে দিল। শিশুটার জন্ম নাকি অবৈধ ছিল। অবৈধ সন্তানের বেচে থাকার উপায় নেই। বিএনপি সরকার আইনকে ভালোবেসে কাজটা করতে বাধ্য হয়েছিল।
ঘটনা দুই.
২০০৩ সালের জুলাই মাসে 'এটম বোমের মালিক' কিংবা 'বিন-লাদেনের দোস্ত' কোনটা প্রমানে সুবিধা করতে না পেরে, 'ইরাকের মুক্তি'র (Operation Iraqi Freedom) উদ্দেশ্যে বিমান ট্যাংক নিয়ে বাগদাদে ঢুকে পাচ বছর মেয়াদী ধ্বংসযজ্ঞ জারি করে আমেরিকা। আমেরিকা বিশ্বে গনতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
ঘটনা তিন.
২০১১ সালের মার্চে অবসরে যাবার বয়স পেরিয়ে যাবার পরেও চাকরী করার অপরাধে গ্রামীন ব্যাংকের এমডি পদ থেকে ইউনুস অপসারণ। আওয়ামীলীগ সরকার আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে ভালোবাসে।
তিনটা ঘটনারই উদ্দেশ্য এক। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। আসুন আমরাও আইনের প্রতি ঈমান আনার চেষ্টা করি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়দা,
বুশের অজুহাত দরকার ছিলো, সাদ্দামকে কাৎ করার। হাসিনার অজুহাত দরকার ছিলো ইউনুসকে ধরার। এখন আপনি যদি আপত্তি করেন- বড় অপরাধে না ধরে ছোট অপরাধের জন্য ধরলো কেনো, তাহলে আমি ও আপনার সাথে আছি :)।
ইউনুস গিলে ফেলতে চেয়েছিলো হাসিনাকে, পারে নাই। এখন রাজনীতির নিয়মেই হাসিনা চাইবে ইউনুসকে গিলতে, পারবে কি পারবেনা- সময় উত্তর দেবে।
আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবো কেনো সেটা আমার লেখাতেই বলেছি, আমি মনে তিনি একটি রাজনৈতিক ধারার পক্ষে লড়ছেন- আমি যে ধারাটিকে সমর্থন করি এবং ইউনুস যে ধারাটিকে খুন করে ফেলার সপক্ষে সোচ্চার ছিলেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
আশফাক আহমেদ
হাছিনা সাহস পাবে হাছান ভাই
মনে হয় সাহস বলতে চেয়েছিলেন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সাহস দিতে হবেনা আল্মগীর ভাই? ৫৮ রানে অলআউট হোক তবু তো নিজের দল
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমারটাও ভুল করতে ভূল করলেন:
হওয়া দরকার: আলম্গীর (ম-য়ে-গ-য়ে সংযুক্ত) কিংবা আলমগির
এটাই সমস্যা। ৫৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল আর আওয়ামীলীগ বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্ট করে বলে আমার মনে হয়না। করত হয়ত কোন এককালে (বঙ্গবন্ধুর সময়) তাই আপনার একথাটা এখানে খাঁটে না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মন্তব্যে আপনি একটু অতিরিক্ত জাজমেন্টাল।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভেরি ব্যাড মিক্স আপ মোরশেদ ভাই ! দল আর দেশ এক করে ফেললেন ? তার মানে আপনার দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় যেটা দেশের জন্য খারাপ তাহলেও আপনি দলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন ? এই জন্যই এই লেখাটা লিখেছেন !
স্পেডকে স্পেড বলাটা অনেক জরুরি! কারণ, আমরা যে সব সময় যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্তে আসি তা কিন্তু না -- অনেক
সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর যুক্তি সাজাই
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
রাজীব মোস্তফাঃ
মিক্সচারটা দল আর দেশ নয়। একটা রাজনৈতিক মডেল আর দেশের।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার এই মন্তব্যের কথা বলছিলাম আর কি
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমার বুঝানোর অক্ষমতা।
দল বলতে আওয়ামী লীগ/বিএনপি নয় বরং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি( খালেদা জিয়ার, জেনারেল জিয়ার নয়) যে ধারার রাজনীতি করছে সেটিকেই বুঝিয়েছি। নির্বাচিত গনতন্ত্রের বহু সমস্যা, এটি নয় অনেক হতাশা, অভিযোগ আছে- সব মেনে নিয়েই এটির পক্ষে পক্ষপাত থাকবে।
পেছন পথের জেনারেল/সুশীলরা ফেরেস্তা হলেও মানা যাবেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিকাছে । এক এগারোর আগে থেকেই এসব ফেরেস্তাদের রাজনীতিতে আসার সপক্ষে জনমত গড়ায় মাঠে নামেন ইউনূস গং ও সুশীল সমাজ । এসবের বিপক্ষে এ অধমও লিখেছিল সমকাল ও অন্তর্জালে । কিন্তু আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে -সামনের পথে আসা ফেরেশ্তা যদি পরে কাজকামে শয়্তান হন তবে ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সেই হিসাব ও নিরিখ হতে পারে প্রকাশ্যে- সংসদে, রাজপথে, নির্বাচনে।
কিন্তু কোনভাবেই কোন গোপনীয়তায়, ষড়যন্ত্রে নয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিকাছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অসাধারন বিশ্লেষণ !
এযাবৎ ফেসবুক, ব্লগ ও পত্রিকায় এবিষয়ে যত শত লেখা পড়লাম, আপনার লেখাটা শ্রেষ্ঠ। আমি নিজে মনে হচ্ছিল কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলামনা। মানে নিজের অবস্থানের ব্যাপারে নিশ্চিৎ হতে পারছিলাম না। এখন নিজেকে পুরপুরি খুঁজে পেয়েছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নোবেল নিয়ে আমাদের সীমাহীন ভক্তি নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম, তবে সচলে দেয়া হয়নি মেটাব্লগিঙের আশঙ্কায়।
সুন্দর বিশ্লেষন। আশা করেছিলাম এই সমীকরনে হাসিনার আস্তাবলের সবচাইতে বেগবান মার্কিন ঘোড়া গওহর রিজভীর কথা আসবে। আমেরিকার রাজনীতিতে হিলারী-ওবামা মুখে অনেককিছু বললেও তাদের করার ক্ষমতা সীমিত। ব্যক্তিগত বন্ধুর জন্য তারা বড়জোর টেলিফোন করতে পারে, কিন্ত ক্ষমতার পরিবর্তনের মত বড় কিছুর কলকাঠি হোয়াটহাউজে নয়, সেটা হল ক্যাপিটল হিলে। এবং রিপাবলিকান মেজরিটির এই মরসুমে ক্যাপিটল হাসিনার দখলে। পরের নির্বাচনে হাসিনার বিজয়ই বরং রিপাবলিকান লবি আমাদের দেশটিতে তাদের সমর্থিত গোষ্ঠির একচেটিয়া দখলে গার্মেন্টস, পাওয়ার প্লান্ট, এল এন জি/ফুয়েল ওয়েল ও শেয়ার বাজার রাখতে পারবে। তাহলে হাসিনার বিপরীত কোন শক্তি ক্যাপিটল হিলের সমর্থন পাবে কেন?
এটা ঠিক যে ১/১১ ইউনুসের রাজনীতিতে প্রবেশের সম্ভাবনা তৈরী করেছিল। সে খেলায় ইউনুস একজন খেলোয়াড় ছিল, নাকি খেলনা, সেটা জরুরী নয়। চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় ইউনুস কিভাবে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে সেটা দেখেছি। তার কথায় সাধারন মানুষের চোখে কিভাবে আশার আলো চিক চিক করে, সেটাও। সেগুলো ঠিক তর্জনী উতকর্ষিত বজ্রকন্ঠে 'আজকের সংগ্রাম' ডাক নয়, তার স্টাইল ভিন্ন। কারিশমা, ভোটার জোগাড় ও বড় কাঠামোর মাস-মোবিলাইজেশানের (বাংলা কি?) হ্যাডম ইউনুসের আছে। সুতরাং জলপাই ও মঙ্গলবার-সভা যদি তার পেছনে দাঁড়াতো, তাহলে আজকে হাসিনাকে আখ্তার বাবুলের ভার্জিনিয়াস্থ বাগানবাড়ীতে শুকনোমুখে বসে থাকতে দেখা যেত। কিন্তু সেটা ঘটেনি। ইউনুসকে হাসিনার পথে বাধা করা হয়নি। পাকা সময়ে যেটা ঘটেনি তা এখন ঘটার আশংকা লীগের সুচতুর প্রকৌশলীরা কেন করবেন?
হাসিনার ইউনুসবধ খেলাটিতে ইউনুস, বিরোধীদল অথবা আমেরিকা প্রতিপক্ষ নয়। এই খেলায় একমাত্র প্রতিপক্ষ দেশের জনগন। বিবেচনা করুন লীগ ইস্যুর রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবার পরে সংবিধান, যুদ্ধপরাধী, দ্রব্যমূল্যের মত ইসু মিডিয়ায় হেডলাইনে উঠে পড়বে। সেখানে হেডলাইনে ইউনুসের মত একটি বুড়ো ঘোড়াকে যতদিন রাখা যায়, ইমাম-গং এর পরিকল্পনা ঠিক ততটুকুই সফল।
এই সমীকরনে খালেদা আর এরশাদকে এখন আনায়াসে শূন্য দিয়ে গুন করা যায়। খালেদা মাঠের বাইরে থেকে আঁকশী দিয়ে ইউনুস ইস্যু ধরার চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা করে ইউনুস সমর্থকদের সহানুভূতি পাওয়া তার জন্য কঠিন। তবে যে এরশাদ গ্রামীন অধ্যাদেশের হোতা, তাকে আমরা এখনো মাঠে দেখিনি।
পুনশ্চ্ঃ মুহিতের সার্চ কমিটি যদি গওহরকে খুঁজে পায়, তাহলে অবাক হব না।
আপনার অবজার্ভেশন গুরুত্বপূর্ণ। হিলারী ফোন করেছেন অভিমান আহত বন্ধুকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে তারা বিচলিত এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কিন্তু স্পষ্ট জানিয়েছে - এটি রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীন বিষয়।
একমাত্র নোবেলজয়ী কি ইউরোপীয় বন্ধুদের ম্যানেজ করতে পারলেননা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চমৎকার, সুলিখিত বিশ্লেষন, ভাল লাগলো। ঠিকই বলেছেন, ইউনুসের পক্ষের অনেকেই বলছেন তিনি বাংলাদেশকে পুনঃজন্ম দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, ইউনুসের পক্ষের অধিকাংশ মানুষই নীতিগতভাবে আওয়ামী ঘরানার, নিদেনপক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতি কিছুটা হলেও অনুরক্ত বলে অনুমিত। তাঁদের কথা হলো- ঠিক আছে, ইউনুস না হয় কিছুটা বেআইনী কাজ করেছেনই, তাই বলে তাঁকে এভাবে হেনস্থা করতে হবে? আর বেআইনী কাজ তো আরো অনেকেই করেছেন, তাদেরকে না ধরে ইউনুসের মত মহাত্মনকে কেন নাজেহাল করা হচ্ছে? ইউনিসের জন্য কি আইন কিছুটা শিথিল হতে পারে? তিনি কি আইনের বাধ্যবাধকতার উর্দ্ধে থাকতে পারেন? ব্যাক্তিগত আলাপচারিতায় কেউ কেউ বলছেন, হ্যাঁ ইউনুস প্রচলিত আইনী বাধ্যবাধকতার উর্দ্ধে ইউনুস থাকতেই পারেন। এরকম ভাবনা নিশ্চয় যুক্তিসিদ্ধ নয়, আর কতটা সঠিক তা ভবিষ্যতই বলে দেবে।
আমার আশংকা অন্য যায়গায়, আইনী লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ইউনুসের আইনজীবিগন আকারে প্রকারে এমন একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করলেন যে আদালত অত্যন্ত ন্যায্য একটি বিষয়ের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। ইউনুস স্বয়ং বিবৃতি প্রদান করে দেশবাসীকে আহ্বান জানালেন, আইনী ফলাফল যাই হোক, সবাই যেন তাঁর পক্ষেই অবস্থান নেন। এর বাইরে খালেদা জিয়া, তার দলের নেতাকর্মীগন এবং অন্তর্জালে অসংখ্য মানুষ এমন মতামত প্রদান করছেন যে সর্বোচ্চ আদালত আইন পরিপন্থী রায় প্রদান করেছে। এতদিন পর্যন্ত এমন দাবী রাজনৈতিক দলগুলোই শুধু করতো, কারন সালিশে তালগাছটির অধিকার শুধুই তাঁদের। এখন তার সংগে দেশের সুশীল এবং চিন্তাশীল ব্যক্তিগনও যোগ দিলেন। আইনের শাসন কি এদেশে আর সম্ভব হবে?
দুটো তথ্যবিভ্রাট কি আছে লেখাটিতে?
১।
তিনটি? নাকি চারটি?
২।
গামাল আব্দুল নাসের বোধ হয় ব্যাতিক্রম, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছিল, যদিও তিনিও মার্কিন সরকারের চক্ষুশূল ছিলেন এবং তার পরিণতিও একই রকম হতে পাতো।
ইউনূসকে গ্রামীন ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে হাসিনা কিভাবে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন? এই ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করবেন?
"সুশীল সমাজ" আরও আছে দেশে, ইউনূস না থাকলে যারা আমেরিকার পছন্দ হতে পারেন। সাম্ভব্য সেইসব লোকদেরও কি কিছু করা উচিত হবে? কারণ তারা এখন খাপ না খুললেও পরে খুলতে পারেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হেলিকপ্টারে করে প্রিন্স জয় যখন তার বংশঅধিকারবলে দেশ শাসন করতে আসবে, তখন আপনার এনালাইসিস কি হবে, জানতে আগ্রহী। সেই হেলিকপ্টার আর ইউনুসীয় হেলিকপ্টারের তফাত = ০।
এই বাক্যটা পুরো লেখার মধ্যে আমার চরম পছন্দ হইছে। খালেদা জিয়া যদি তার পেয়ারের রাজাকার জামাতের পাঞ্জাবির কোণা ছাড়তে না চায়/পারে তাইলে তার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ হোক, কাল হোক প্রয়োজন এমনিতেই ফুরাবে।
আর শেখ হাসিনা? হা হা হা, "ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর"— বাংলাদেশের অবস্থা এখন এইটাই।
আমি একটা জিনিস কোনো ভাবেই বুঝতে পারি না, আমাদের আসলে কী হবে? বিম্পি, আওয়ামীলীগ আমাদের কোন দাবী/অধিকার পূরণ করতে পেরেছে? খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনা, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দর্শন করানো ছাড়া আমাদের আর কী উপহার দিয়েছেন বিগত এতোগুলো বছরে গণতন্ত্রের বটিকা খাইয়ে? ফখরু-মইনুদ্দীরাও থোড়বড়িখাড়া-খাড়াবড়িথোড়! ঘোড়ামুখো হু মু এরশাদ দেশের পাছা মেরে লাল করে দিয়েছে। ইউনূস ও সুশীল। জনগণের সাথে তাঁর কোনো সান্নিধ্য/অঙ্গীকার নেই। তাহলে আমাদের দেশে কাকে আমরা শাসক বানাবো? অপেক্ষা করবো কবে জান্নাতুল ফেরদৌস থেকে নতুন পয়গম্বর এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে এসে আমাদের বাংলাদেশকে অষ্টম জান্নাতে উন্নীত করে দিবে!
পয়গম্বর ছাড়া তো আর কোনো বিকল্প চোখে পড়ছে না আমার। সবাই তো কোনো না কোনো ভাবে দেশের পাছাটা মারার তালে থাকে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমেরিকার আনাচে কানাচে অনেক নোবেল লরিয়েট আছেন বলে নতুন করে কেউ পেলেও সেই দেশের ভাবমূর্তির কোন পরিবর্তন হয় না... কিন্তু বাংলাদেশ এর মত দুর্বল দূর্ণীতিগ্রস্থ দেশে যেখানে কারও জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়া কল্পনাতীত, সেখানে ড. ইউনুস এর অর্জন ছোট করে দেখার অবকাশ কম... আগে কোথাও নিজেকে বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিলে অধিকাংশ সময় সচেতন বিদেশীরা একটা তাচ্ছ্যিল্যের ভাব দিত, এখন কেউ কেউ অবাক হয়ে বলে 'ওহ, তুমি ইউনুস এর দেশের লোক, ওই যে গরিবের ব্যাংকার'... তাই বলে আমি দাবি করব না কেউ আইন বা সমালোচনার উর্দ্ধে... কিন্তু যেভাবে সরকার ব্যাবস্থা নিল, তাতে আমার মনে হয় অন্য দূরভিসন্ধি আছে... সারা দেশের মত গ্রামীন ব্যাংক টাও লুটে পুটে খেয়ে ধ্বংস করার একটা পায়্তারা... আর এখন যে আইনের বালাই দেয়া হচ্ছে সেটা এতদিন ধরে প্রয়োগ না করায় সরকার কেও এর দায়্ভার নিতে হবে...
আপনার নিজের এরকম কোন অভিজ্ঞতা আছে? নাকি কারো কাছে শুনে বলছেন?
দুর্ভাগ্য এরকম কোন 'সচেতন' বিদেশীর সাথে আমার দেখা হয়নি কখনো দীর্ঘ প্রবাসে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই, বন্ধু-বান্ধব থেকেও কদাচিত শুনি এরকম ঘটনা...
হাসান মোরশেদ ভাই, এইরকম অভিজ্ঞতা আমারও আছে। গত সপ্তাহেই আমার এক কোর্সের প্রফেসর আমাকে বলছিল আমি ইন্ডিয়ান নাকি। আমি খুব গর্বের সাথে আমি বাংলাদেশি বলতেই সে বললো, ও প্রফেসর ইউনুস? এরকম আরো কয়েকবার হয়েছে।
তাই বলে আমি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে বলছি না। গ্রামীণ ব্যাংক দিয়ে দারিদ্র্য দূর হবে এই দিবাস্বপ্ন আমি দেখি না। এটা নিতান্তই একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠাণ, আলাদা করে নোবেলের প্রলেপ দিয়ে একে মহৎ করে দেখার কিছু নেই।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
হাসান মোরশেদ ভাই, ব্যাপারটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন দেখে আশ্চর্য হলাম। আমার এমন অভিজ্ঞতা আছে। বেশ ক'বার। একবার আসলে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগেই। প্লেনে বস্টনের টাফটস ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপক আমার পাশে বসেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউতে একটা আর্টিকেল পড়ে উনি বাংলাদেশ, ড. ইউনুস, গ্রামীন ব্যাঙ্ক আর মাইক্রোক্রেডিটের কথা জেনেছিলেন, এবং আমাকে সে ব্যাপারে উনার কৌতুহল এবং মুগ্ধতা জানিয়েছিলেন। নোবেল পাওয়ার পরে বিদেশীদের মুগ্ধতা জানানোর এমন ঘটনা ঘটেছে আরও কয়েকবার।
এরকম অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে একাধিকবার। মাইক্রোক্রেডিট বিষয়ে অনেকেই বাংলাদেশের নাম জানেন, সমগ্র বাংলাদেশই অনেকটা মাইক্রোক্রেডিটের কেস স্টাডি। আর মাইক্রোক্রেডিট আসলে ইউনুস সাহেবতো আসবেন ই
মোরশেদ ভাই, আমার স্বল্প প্রবাসজীবনে এরকম ঘটনা কিন্তু অগণিতবার ঘটেছে এবং প্রতিনিয়ত ঘটছে। গ্রমীণ ব্যাংকের সাফল্য নিয়ে আমার প্রচুর সন্দেহ আছে যা আমি একাধিকবার সচলায়তনে বিভিন্ন লেখায় কমেন্ট করেছি। তবে সত্যি কথাটা বলতে হয়, আফ্রিকায় যেখানেই গেছি, বাংলাদেশী পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে তারা ইউনুসের কথা বলেছেন, এমনকি তার নোবেল পুরষ্কার পাওয়ারও অনেকদিন আগে। দক্ষিণ এশিয়াতেও এমনটা ঘটেছে, ইউরোপের গোটা দুয়েক দেশেও। আমেরিকায় অবশ্য কোনওদিন যাওয়া হয়নি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পুরা ইস্যুটা নিয়ে ব্লগে যতোগুলি পোস্ট পড়েছি এটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে ১/১১ সময়ে ইউনুস সাহেব আর্মির কাঁধে চড়ে ক্ষমতায় আসবার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তার সেই পরিকল্পনার মাসুলই তিনি এখন দিচ্ছেন।
লেখাটা পড়তে ভালো।
শিরোনামে ইউনূসের নামের বানানটা ভুল বানানে লেখাটা ঠিক স্যাটায়ার বলে মনে হলো না। ভেতরেও নামের বানানে ঊ-কারের বদলে উ-কার দেয়া। শিরোনামে কমার পরে স্পেস হবে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার বিশ্লেষণ মোরশেদ ভাই। খেলাটা যেহেতু রাজনীতির তাই কে জিতবে সেটা খেলা শেষেই বলা যাবে। ইউনূস তার ব্যাটিং পাওয়ার প্লে খেলে ফেলেছেন, এখন হাসিনা তার পাওয়ার প্লে খেলছেন।
আমার নিজের একটি অভিমত হলো এর মধ্য দিয়ে ইউনূস সাহেবের একটি ভালোই হবে। তিনি এক এগারো তে রাজনীতিতে নেমে আবার পিছিয়ে পড়েছিলেন। রাজনীতেতে নামার ইচ্ছে ছিল ষোল আনা কিন্তু সে জন্যে কষ্টকর পথে যাবার ইচ্ছে ছিল না। এখন হয়তো সেই কষ্টকর পথে নামার জেদটা হবে। আর এই ঘটনার ফলে নিজেকে একজন রাজনৈতিক শহীদ হিসেবে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সব দিক দিয়ে রাজনীতিতে নামার জন্য যতটুকু মালমশলা দরকার এখন সবই তার আছে। তাই খেলার শেষ অঙ্কটা চিত্রায়নের জন্য তিনি যদি এখন রাজনীতিতে চলেই আসেন আমি বিশেষ অবাক হবো না। খেলার শেষ বাঁশি যে জনগণের হাতেই।
ডাক্তার ইউনুসের সাথে দেশের প্রতিটা মানুষের মান-সম্মান জড়িত। সুতরাং দেশের ও প্রবাসের ১৭ কোটি বাংলাদেশী বাঁচাতে হলে ডাক্তার ইউনুসকে কোনো বেকায়দায় ফেলা যাবে না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলি। প্রথম যখন পরবাসে আসি, তখন বাংলাদেশ বললে সাধারণত কেউ চেনে না। বিশেষ করে সচেতন বিদেশিদেরকে এটা চেনানো খুব কঠিন। কঙ্গো নদী থেকে কোন দিকে কতো কিলোমিটার হেঁটে গেলে বাংলাদেশের দেখা পাওয়া যাবে, এটা বুঝাতেই তাদেরকে হিমশিম খেতে হতো। সচেতনদের কেউ কেউ শেষমেশ বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় সেটা আধাধি বুঝেছে বলে মনে হতো। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বুঝতো না। কতো এসিডিসির কামলা যে এই কারণে মিছ কর্ছি তা বলার মতো না।
এরপর ২০০৬ সালে ডাক্তার সাব নোবেল পাওয়ার পরে কেউ দেশের নাম জিগাইলে আর বাংলাদেশ বলি না, বলি ইউনুস। এটা দোয়া ইউনুসের চেয়ে বেশি কাজ দেয়। এক আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর কামলার ইন্টারভুতে ইউনুসের নাম বলার সাথে সাথে ইন। বলে, "তোমরা শান্তির দ্যাশের মানুষ। সেই শান্তি জলাঞ্জলি দিয়া আমাগোর কষ্ট দেইখা একটু হেল্পাইতে আইছো, আমরা অনেক ধন্য হইছি। আমাগো পেন্নাম লও।"
সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলতেছিলো। বিশেষ করে তত্ত্ব সরকারের আমলে খুব মজায় অডজব পাইতাম। সচেতন বিদেশিরা 'বাংলা'দেশ না চিনুক, 'ইউনুস' দেশের সব খবরই রাখে। কিন্তু এনআরকের ওই ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদ প্রচারিত হওয়ার পরে আবার বিপাকে পড়লাম। এখন আর এসিডিসির কামলা দেই না, সুশীল কামলা দেই; তার জন্য আবার এমএসের সার্টিফিকেটখানা লাগে। এনআরকের ঝামেলার সময়ে একবার হিউম্যান রিসোর্স চিঠি পাঠায়ে বলে, "তোমার সার্টিফিকেট কেন জাল না, সে বিষয়ে কারণ দর্শাইয়া ৩ দিনের মধ্যে নোটারী করা পেপার দাও, নাইলে চাকরি নট।" বুঝা গেলো তারা অতি সচেতন। আমি ইউনুস দ্যাশের মানুষ হওয়ায় তারা নিজেদের দেয়া সার্টিফিকেটও জাল সন্দেহ করে। ভাগ্য ভালো, চাকরি নটের আগেই ওই ঝামেলা মিটে যায়।
কিন্তু এই হাসিনা আবার নতুন করে যে ক্যাচাল শুরু করেছে, তাতে মনে আর শেষ রক্ষা হবে না। সচেতন বিদেশিরা কেউ আমারে আমার কাজ দিয়া চিনে না, ডাক্তার ইউনুসদ্বারাই দ্যাশের সবকিছুর ভাবমূর্তি রক্ষা হয়। জালিয়াত বাকশালী সরকার গুণীর কদর জানে না, দ্যাশের ভাবমূর্তিরে গদি থিকা নামাইয়া দিছে। তারা নিপাত যাক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইউনুসের নামে কামলা যোগাড় হয়? আগে বলবেন না?
ইউনুসের নামে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তির ব্যারোমিটার নড়াচড়া করে। তার নামের গুণেই বাংলাদেশী মরে ও বাঁচে- কামলা পেতেও ইউনুসই সম্বল, কামলার নিজের যোগ্যতা-পরিশ্রম তুচ্ছ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইউনুস ভালো; কারণ
১) হাসিনা-খালেদা খারাপ এবং
২) সে নোবেল পেয়েছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লেখাটি দলীয় সংকীর্নতা মুক্ত নয়।
"আইন সবার জন্য সমান"__এ দেশে এটা তর্কাতীতভাবে অশ্লীল অযুহাত।
ইউনূস/আকবর আলী/ফকরুদ্দীন/আবু সায়িদ/মোজাফফর ইত্যাদি...........অন্যদিকে খালেদা/হাসিনা/তারেক/জয়/হানিফ/নানক/সাকা/মেনন ইত্যাদি। .............."দায়বদ্ধতা" এর মানে খোজাঁর জন্য অভিধান আনতে গেলাম।
দুর্বল স্বাস্থ্য এবং তজ্জনিত ততধিক দুর্বল মনের অধিকারী আমরা হাতেগোনা কিছু সক্ষম, কর্মবীর এবং বলিষ্ঠদেরকে আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করি। ইউনূসরা হয়ে যায় নুরী আল মালিকী। আর আমাদের ভবিষ্যত কান্ডারী হয়ে উঠে তারেক/জয়/নানক/মমতাজ এবং তাজ। আপনি যে ধারার রাজনীতির অনুসারী তার জয়জয়কার চলুক আর ইউনূসরা ভেসে যাক।
---রাবন
কথাটা আসলে হবে লেখাটা দলীয় সংকীর্নতাযুক্ত, মুক্ততো নয়ই।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
চমৎকার বিশ্লেষণ। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে আওয়ামি লীগ এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দিতে ব্যার্থ হচ্ছে। সন্দেহ হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে দেশের সুশীল সমাজ আর সুশীল মিডিয়ার কল্যাণে সুশীল মধ্যবিত্ত সমাজের মাঝে ইউনুস সাহেবের যে জনপ্রিয়তা দেখছি তাতে এই ঘটনা ব্যাকফায়ার করে কিনা। ইউনুস সাহেব যে ভয়ে রাজনীতিতে নামেননি এখন সেই দুঃস্বপ্নের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। এখানে একবার অভিজ্ঞ হয়ে উঠলে সুশীল জনপ্রিয়তার পারদ দেখে তিনি মাঠ ছাড়বেন কিনা ঘটনার শেষ না দেখে বলা যাচ্ছে না।
আরেকটি বিষয় হল, আমি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের তৃণমূল থেকে উঠে আসা সমর্থন করি। কিন্তু দিগন্তদার মত আমারো সন্দেহ বিশ্ব মোড়লেরা সেদিকে আগ্রহী না। এটা বোধ করি আমাদের চেয়ে লীগ ভাল বুঝে। যে কারণে জয় সাহেবকে এখন দৌড়ঝাপ করতে দেখছি। ইউনুস খুব সম্ভবত ফেইল করবেন কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত নেতারা হয়ে উঠবেন জয়ের মত ব্যাক্তিরা যারা তাদের শৈশব থেকে পুরা জীবন কাটিয়েছেন আম্রিকায়। এদের সুশীল কথায় আমরা সুশীল মধ্যবিত্তরা হয়ত সিক্ত হতে পারি কিন্তু দেশের গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে থাকা বিশাল অশলীল সমাজের হৃদয়ে পৌছা সম্ভব না। এদিক দিয়ে মনে হতে পারে ইউনুস হয়ত বেটার অপশন। কিন্তু এন্ড রেজাল্ট দুই ক্ষেত্রেই এক। ভবিষ্যতে হয়ত অপেক্ষা করছে আরেকটা সামাজিক স্তরবিন্যাসের সংঘর্ষ।
অনন্ত
বেশ ইন্টারেস্টিং লেখা। কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই পুরনো জোকটা মনে পড়লো - যেই নরকে বাঙালিদের রাখা হবে, সেই নরকের দরজায় নাকি কোন প্রহরী রাখার দরকার হবে না । কারণ, বাঙালিদের মধ্যে কেউ নরক থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে অন্য বাঙালিরাই তাকে পেছন থেকে টেনে ধরবে। বাংলি বড়ই পরশ্রিকাতর জাতি। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির বাইরে কেউ নন। আমরা যারা প্রবাস জীবনে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি হিসেবে বিব্রত হয়েছি (দুর্নীতি শিরপাধারী এবং অন্যান্য অপবাদে) যে দেশে নোবেল বা তার সমতুল্য পুরস্কার কেউ পায়নি, তাদের কাছে ড. ইউনুস এর নোবেলপ্রাপ্তি একটা সম্মানের বিষয় বটে। লেখক মহাশয় নিজেই হয়তো নোবেল লারিয়েট হবার যোগ্য, তাই ওনার কাছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। (ওনার লেখার স্টাইল প্রশংসা করার মত - honestly)। তবে লেখক মহাশয় এবং এখানে অধিকাংশ মন্তব্যকারির কাছে আমার কিছু প্রশ্নঃ
১। এই মুহূর্তে ড. ইউনুসকে নাজেহাল করে শেখ হাসিনা সরকার এবং বাংলাদেশ কি বিশাল অর্জনটা করলো ?
২। মধ্যপ্রাচ্যে বাঙালিদের এই ঘোর সংকটকালে ড. ইউনুস এর পেছনে না লেগে ওনার যে আন্তর্জাতিক public relation সেটাকে কাজে লাগানো যেত না - নিরীহ বাঙালিকে সাহায্য করার জন্য ?
৩। রাষ্ট্র পরিচালনায় হাসিনা খালেদা দুইজনই চরমভাবে ব্যর্থ - নব্বই এর দশকের শুরুতে similar income 3rd world country গুলো কোথায় ছিল আর এখন কোথায় (malaysia, thailand, philipine, vietnam) এটা বিবেচনা করলেই সত্যটা উপলব্ধি করা যাবে - তার পরও কি আমরা শুধু এদের ভুল আদর্শের পেছনেই লেজুরবৃত্তি করে যাবো ?
৮৭/৯০ এর আগুনঝরা সময়টাতে স্কুল ছাত্র অবস্থায় কার্ফু ব্রেক করেছিলাম - তখন খুব ইচ্ছা করতো এমন এক দিন আসবে যেদিন শুওরমুখো এরশাদটাকে টিভি খুললে দেখতে হবে না। ৯০ এ অবিশ্বাস্য সেই ইচ্ছাপুরন হয়েছিল। এখন খুব ইচ্ছা করে টিভি খুললে দুই মহিলার একজনকেও দেখতে হবে না। কিন্তু এই অসম্ভব ইচ্ছা হয়তো কোনদিন্ পুরণ হবে না - কারণ বাঙালির নরকে প্রহরী লাগে না।
দ্বিতীয় প্রশ্নটা আমারও। ড. ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কিংবা গ্রামীণ ছাপ্পর মারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপকারে গত ২৮ বছরে কী কী করেছেন? আন্তর্জাতিক কেষ্টুবিষ্টুদের সাথে তো তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক, এই সম্পর্ক গ্রামীণ নামাঙ্কিত বাণিজ্যের বাইরে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক স্বার্থে কি ব্যবহৃত হয়েছে কখনো? যদি হয়ে থাকে, আমি একটু জানতে চাই। পত্রিকার লিঙ্ক পেলেই চলবে।
আপনার কথা অনুযায়ীই তিনি যথেষ্ঠ স্বার্থক। কারন "গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কিংবা গ্রামীণ ছাপ্পর মারা প্রতিষ্ঠানের" সাথে অন্তত ষাট লাখ লোক সরাসরি জড়িত।
আর কোন সরকারী পদবি বলে উনি কুটনৈতিক নেগোশিয়েসন করবেন বুঝলামনা...অথবা আপনারা তাকে কখনো "কূটনৈতিক স্বার্থে কি ব্যবহৃত" হবার সুযোগ করে দিয়েছেন কিনা 'আমি একটু জানতে চাই। পত্রিকার লিঙ্ক পেলেই চলবে।'
---রাবন
হোসেন আহমেদ ওরফে রাবন ভাই, এই "আপনারা" কারা? আপনি কি আমাকে বলছেন ইউনূসকে কূটনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হবার সুযোগ করে দিতে? আর ইউনূস নিজের স্বার্থের লেজে পাড়া পড়লে তো কোনো সরকারী পদবি বা সুযোগের অপেক্ষা করেন বলে মনে হয় না, রাত বিরাতে হিলারি তো তাকে ঠিকই ফোন করে পাশে থাকে, তাই না?
আর যদি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা দিয়েই সবকিছু মাপেন, তাহলে চলেন আলবদর কমাণ্ডার আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহেরের পশ্চাদ্দেশে গিয়ে তেল মাখাই। ইসলামি ব্যাঙ্ক তো আফটার অল বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক, তাই না? সরিষার তেলের বোতলটা বের করেন, আমি গ্লাভস নিয়ে আস্তেছি।
হিমু ভাই, নিচে নজরুল ভাইয়ের মন্তব্য থেকে কপি করে দিলাম --
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
একটু কষ্ট করতে হবে যে ভাইডি? রেফার করা যায় এমন একটা সোর্স দেন। নজরুল ইসলাম তো পয়গম্বর না যে সচলে ওনার মন্তব্য রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। পত্রিকার লিঙ্ক, বই ... এরকম কিছু লাগবে।
ইউনূসভক্তদের একটা কমন বৈশিষ্ট্য দেখলাম, এনারা কষ্ট করতে চায় না। অন্যের পরিশ্রমলব্ধ জিনিস দিয়ে কাজ চালিয়ে দিতে চায়। আপনি আশা করি ব্যতিক্রম হবেন। ধন্যবাদ।
Link
http://www.muhammadyunus.org/Yunus-Centre-Highlights/celebrating-heroes-in-our-midst/
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো লেখাটা। ইউনূসের যে জনসম্পৃক্ততা নেই, মোড়লদের উপরই সে ভরসা করে, এটা পরিষ্কার। হাসিনা খালেদা যে আমাদেরকে সেই জনসম্পৃক্ততাহীন মোসাহেবদের থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন, সেটা স্বীকার করতেই হবে।
আমি পুঁজির বিকাশে বিশ্বাস করি, এবং বাংলাদেশে সেটা ইতোমধ্যেই ভালো মত হচ্ছে। আমেরিকার অস্তিত্বের সাথে সেটা খুব দুর্বলভাবে সম্পর্কিত বলে আমার ধারণা। ফলে পুঁজিতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যে আমেরিকার সায়ের উপর নির্ভর করার কোন প্রয়োজন আমাদের নেই। আমাদের নিয়ে বিশ্বমোড়লের চিন্তাভাবনাও সবকিছু খুব সৎ বলে আমার বিশ্বাস নেই।
এখন, এখানে সমীকরণে কিন্তু আরেকটা জিনিস বাদ গেছে। সেটা হল ভারত। আমি ধারণা করছি, পুঁজিবাদী প্রতিযোগিতায় আমেরিকা ভারত ঠিক সহযোগী নয়। বাংলাদেশ বিশ্বমোড়লের প্রভাবমুক্ত হলে ভারতের তেমন ক্ষতি আছে বলে মনে হয় না। আর বিশ্বমোড়লের তাবেদার সরকার মাত্র ভারতের পুঁজিস্বার্থ রক্ষা করে চলবে, তেমনটাও মনে হয় না ভারত মনে করে। ফলে এখানে সমীকরণে হাসিনা বনাম ইউনূসকে জনসম্পৃক্ত নেতা বনাম বিশ্বমোড়লের তাবেদারের লড়াই দেখানো গেলেও, ভারতকে গণনায় নিলে জনসম্পৃক্ততার ওজন সমীকরণে আরও কমে আসে। এই লড়াইতে ভারতকে বিবেচনায় রাখতে হতে পারে।
আমি আওয়ামী লীগকে ভারতের স্বার্থ দেখা সরকার বলেই মনে করি। এবং তাদের জনসম্পৃক্ততা আছে বলে যে গণস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত তারা নেবে না, সেটাও মনে করি না। এর জন্যে বিরোধীদের প্রেসারই বড় ভরসা। যা হোক, ভারতের স্বার্থ মানেই আমাদের গণস্বার্থবিরোধী নয়, যেমনটা নয় বিশ্বমোড়লের স্বার্থ মাত্রই আমাদের স্বার্থবিরোধী। তবে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের জন্যে রাজনীতির উঠানে জনসম্পৃক্ত দল ও নেতার উপস্থিতি একান্ত অপরিহার্য।
জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসার সাহস আছে দেখেই একজন স্বৈরাচারী এরশাদ আর একজন রাজাকারের সাথে জোট বেধেছে, তাই না?
ইউনূস নোবেল পেয়েছে দেখেই যে আইনের উর্দ্ধে উঠে গিয়েছে সেটা ভাবার কোন কারণ নেই তবে এই আইনটি যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহার করা হয় তখনই আসলে সমস্যা। দেশের মানুষ এখন আর ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না যে সরকার যা বোঝাবে তারা তাই বুঝবে।
ইউনূস যদি রাজনীতিতে আসে আমিতো বলবো ভালো, আসুক। তাকেতো জনগনের ভোটেই নির্বাচিত হতে হবে, তাই না? তো সে যদি নির্বাচিত হয় তাহলে কার কী বলার থাকতে পারে।
আর ইউনূস আমার মতে কখনোই হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলনা, কিন্তু এখন হওয়ার একটি সুযোগ তাকে হয়ত হাসিনা নিজেই করে দিচ্ছে। ইউনূস যখন নোবেল পায়, সেটা নিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই তেমন উচ্ছ্বাস দেখায়নি কেননা ও আসলে নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিল কিনা সেটা নিয়ে সবার মনেই সন্দেহ ছিল হয়ত আর ওবামা নোবেল পেয়ে সে সন্দেহ পুরোপুরি দূর করে দিয়েছে। এখন এই সরকার যা করছে এতে কিন্তু ইউনূসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে বই কমছে না।
সর্বশেষে, হাসিনা-খালেদা কোন ধরণের রাজনীতি করছে এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। স্বাধীনতার ৪০ বছরে বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে এতে এই দুই মহিলার কী কোন ভূমিকা আছে? বরং এরা দেশটাকে আরো পিছিয়ে দিচ্ছে বলেই আমার মনে হয়। ৯০ এর পর থেকেই পালাক্রমে এই দুজন ক্ষমতায়। এই ২১ বছরে আমরা কী পেয়েছি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নশীপ ছাড়া?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মাফ করবেন, আপনার লেখাটা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হচ্ছে। হাসিনাকে লাস্ট মোহিকান টাইপ কিছু হিসেবে কোনভাবেই কল্পনা করতে পারলাম না। ‘জনসম্পৃক্ততা’ বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন বুঝলাম না। শব্দটার সংজ্ঞা কি recently বদলে গেল?
অনেক অযোগ্য লোক নোবেল পেয়ে গেলেও নোবেলপ্রাপ্তিটাকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। After all হাসিনা ইউনুসের আগে নোবেল পেয়ে গেলে তো আজ এতকিছ হয়না, নাকি?
ইউনুস আমেরিকার স্বার্থরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন এই কথা অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি, কিন্তু এ ব্যাপারে ভালো কোন অনুসন্ধানী রিপোর্ট কোথাও দেখিনি। ক্ষুদ্রঋণ যে দারিদ্র্য লালনের নামান্তর সেই অভিযোগও অনেকদিনের, এবং সেটা যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলা যাবে না।
বয়সসীমা পেরিয়া যাওয়ার পরও গ্রামীণ ব্যাংকের গদি না ছাড়াকে তার আইন অবমাননার নমুনা হিসেবে ধরা হচ্ছে। হাসান সাহেবের উপরোক্ত কথাটা এখানে দারুণ সত্যি-
এর অতিরিক্ত মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
- স্বপ্নসতী, ক্যানাডা থেকে
দেশের মানুষ আসলেই ঘাস খায় না আর, এই পোস্টের উত্তর অন্তত তার প্রমাণ। "ফেয়ার" হবার আড়ালে ঘোরতর আওয়ামী পন্থার পোস্ট।
কিছুটা সমালোচনা! হুইচ প্ল্যানেট ডু ইউ লীভ অন! ছিয়াশির নির্বাচনে শেখ হাসিনার পল্টি খাওয়াটাকে ওই আন্দোলনের পিঠে ছুড়ি মারা হিসাবেই দেখা হয়। পত্র-পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে লাভ নেই, কারণ তখন সেগুলো বলতে কিছু ছিলো না। তবে আন্দোলনে যারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন সে সময়, তারা সেটাই জানেন। দুর্জনেরা এটাও বলবে যে ওই পল্টি খাওয়ার কারণে এরশাদের পতন পিছিয়ে গিয়েছিলো কয়েক বছর। জনগন উনার এই পল্টি খাওয়ার উত্তরও দিয়েছিল নব্বই পরবর্তী নির্বাচনে। জানেন নিশ্চয়ই, সেটাকে উনি সূক্ষ্ণ কারচুপি নাম দিয়ে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন।
এই কথাটা আর দ্য লাস্ট মোহিকানের উল্লেখ আপনার লেখাটায় নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে আমার মনে হয়। সচলে শেখ হাসিনার এমন খোলামেলা প্রশংসা বোধহয় এবারই প্রথম শুনলাম।
এটার মানে কী দাঁড়ায়? গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলে যে কোন প্রকার প্রতিশোধপরায়নতা একটা গ্রহনযোগ্য আচরন? দেশের বা জনগনের যা জরুরী প্রয়োজন, সেটা প্রায়োরিটি লিস্টে গ্রহনযোগ্য প্রতিশোধপরায়নতার নীচে থাকে, নাকি উপরে?
২০ টাকা সের চাল খাওয়াবে বলে এসে ৫২ টাকা সের চাল খেতে হচ্ছে পাবলিককে। এখনতো কিছু একটা দিয়ে পাবলিককে ব্যস্ত রাখতে হবে, এটা হচ্ছে সে কৌশল।
দুদিন পরপর একটা করে ইস্যু তৈরি করছে আওয়ামীলীগ যাতে নিজেরা যা করছে সেটা নিয়ে পাবলিক কিছু না বলতে পারে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মানুষ আওয়ামীলীগকে কেন এখনো ভোট দেয় এটা কী হাসান ভাই বলতে পারেন?
দেয় কারণ হাসিনার বাপ, বঙ্গবন্ধু দেশটা স্বাধীনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বলেই। আর কোন কারণে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়ার যৌক্তিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না। ও আরেকটা কারণ হচ্ছে আর কোন যোগ্য প্রতিদ্বন্ধী নেই বলেও হয়ত দেয়। হাসিনা যদি বাপের নাম ভাঙায়ে এতদিন ধরে খেতে পারে তাহলে আর ইউনূসকে একা দোষ দিয়ে কী লাভ?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
[এক]
ধারণা ১
'৮৬র নির্বাচনে আওয়ামীলীগ অংশ না নিলে এরশাদের পতন হয়ে যেতো
ধারণা ২
'৮৬র নির্বাচনে সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে তখনই এরশাদের পতন হতো
প্রথম ধারণাটাই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত, এর আড়ালে দ্বিতীয় ধারণাটা বাজার পায় নাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দুটোই স্রেফ ধারণা। কোনোটাই সত্য না।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রশ্নে তখনকার দুই আন্দোলনরত জোট ১৫ দল ও ৭ দল সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলো। খালেদা জিয়া প্রথমদিকে নির্বানে অংশ নেওয়ার পক্ষেই ছিলেন। শেখ হাসিনাই বিপক্ষে ছিলেন। আর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে সবচেয়ে সরব ছিলো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
কোন দল কতোটা আসন নিয়ে লড়বে তাই নিয়ে আলোচনাটা ছিলো। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ ফরহাদ তখন প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া দুজনেই ১৫০ টি করে আসনে নির্বাচন করবেন। এভাবে ৩০০টি আসন দুজনে প্রথমে ভাগ করে নিয়ে এরশাদকে হটানো হবে, তারপর দেখা যাবে।
এই প্রস্তাবেই এরশাদ ভয় পেয়ে যায়। একদিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করে ঘোষণা দেয়: "কোনো ব্যক্তি ৭টির বেশি আসনে দাঁড়াতে পারবে না"
এর আগ পর্যন্ত কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারেই বেশি মত ছিলো।
আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৫ দল যখন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন শরীক ৫ দল বিরোধীতা করে, এবং তারা পল্টি দিয়ে খালেদা জিয়াকে চাপ দেয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য। খালেদা জিয়া এই সুযোগটা কাজে লাগায়। ফলে ১৫ দলীয় জোট খর্ব হয়ে ৮ দল হয়ে যায়।
আর বরাবরই লাগামছাড়া ভাষণের জন্য বিখ্যাত শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে "এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে, তারা 'জাতীয় বেঈমান' হিসাবে চিহ্নিত হবে" বলে নিজেই নির্বাচনে অংশ নিলে সারাদেশ একে পল্টি হিসেবেই দেখে।
কিন্তু আবারো প্রশ্ন, সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে কী হতো?
[দুই]
কেন এই ধারণা?
কারণ শুধু ৮ দলের নির্বাচনী জোট সারাদেশে একটির পর একটি আসন জিতে নেয়। একের পর এক বিজয় আসতে থাকে যা দেখে এরশাদ ও জেনারেলরা ভয় পেয়ে বেতার টিভিতে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ বন্ধ করে রাখে। ৭ দিন পর সরকার ঘোষণা করে, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জাতীয় পার্টি জিতে গেছে!
একা ৮ দলীয় জোটের কাছেই এরশাদ যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছিলো, সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে তাতে কি অন্য ফল হতো না?
অবশ্যই তখনও এরশাদ মিডিয়া ক্যু করে ফলাফল পাল্টে দিতো। কিন্তু তখন এই রেজাল্টের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন করা যেতো, যা ৮৬তে করা যায় না সর্বদলীয় ঐক্যের অভাবে।
[তিন]
'৮৬র নির্বাচনের পর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। বিশেষ করে '৮৭তে তা তীব্র আকার ধারণ করে। এমনকী '৮৮র শুরুর দিক পর্যন্ত আন্দোলন তীব্রই থাকে। ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে ৮ দলের সমাবেশে ইতিহাসের অন্যতম বর্বর সরকারী হামলায় মৃত্যু হয় ২২ জন আন্দোলনকারীর!
২৬ ফেব্রুয়ারি হাসিনা খালেদা ঐতিহাসিক যুক্ত বিবৃতি দেন এরশাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের। কিন্তু তারপরও আন্দোলন থেমে যায়। কেন?
প্রথমত জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ নামের একটা দল, গোলাম আযম বিতর্ক, সাঈদী আজাদের বিতর্কিত ভাষণ প্রভৃতি। এবং এই পুরো ব্যাপারটাতে বিএনপি কর্তৃক জামায়াত ও শিবিরকে নির্লজ্জ সমর্থন দান!
এতে আবারো বিরোধী আন্দোলনরত জোট ভাগ হয়ে যায়। শুধু ছাত্রদলের প্রত্যক্ষ বিরোধীতায় ২২টি সংগঠন মিলে গঠিত ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তম জোট সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিবিরের অব্যাহত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে না!
এর সঙ্গে যুক্ত হয় ৮৮র বন্যা, ভারতের মিরাট ও দিল্লীর হিন্দু মুসলমান দাঙ্গাকে ব্যাবহার করে এরশাদের সুচতুর কৌশল প্রভৃতি।
তবে পুরো আন্দোলনের 'পাকিস্তান' মেরে দেয় আসলে বিএনপি এবং ছাত্রদলই। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নীরু অভির নেতৃত্বে ১১ জন ছাত্রকে [যারা পরবর্তীকালে এরশাদের ডান হাত হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ডঃ মিলন হত্যাকাণ্ড ঘটায়!] ঢাবি থেকে বহিষ্কার করা হলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিএনপি ও ছাত্রদল। সারাদেশের সর্বাত্মক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলকে কলা দেখিয়ে তারা তাদের কতেক সন্ত্রাসীর জন্য জান লড়তে থাকে।
১১জন সন্ত্রাসী আর জামাত শিবিরকে বাঁচাতে বিএনপি যে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন পিছিয়ে শুধু না, একেবারে থামিয়ে দিয়েছিলো, সেসব কথা আজকাল আর কেউ বলে না! জ্বল জ্বল করে তাকিয়ে থাকে শুধু '৮৬র নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পল্টি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এত কথা বলার অর্থ কোনোভাবেই আওয়ামীলীগের পক্ষে সাফাই গাওয়া না...
আমার মতে কোনো একটা সময়কে মূল্যায়ন করতে হলে সার্বিক ভাবেই মূল্যায়ন করা উচিত। স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলন একটা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার। অনেক দল আর অগুনতি মানুষের ঐক্যবদ্ধতার ফসল। এখানে অনেক ভুল আছে ভ্রান্তি আছে, তারপরও স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই সবচেয়ে বড় গণ আন্দোলন, কোটি মানুষের আবারো স্বপ্ন আন্দোলন!
এর পুরো দায়টা যখন একটা মাত্র ঘটনার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তখন সেটা ভালো লাগে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, সবই বুঝলাম। কিন্তু এইসব কথা তো এখন অর্থহীন, তাই না? কারণ, সব আন্দোলন, সব আত্মত্যাগের 'পাকিস্তান' মেরে দিয়ে 'দ্যা লাস্ট মহিকান' ক্ষমতায় এখন এরশাদের ইয়ে চুষে। তার বিচার-আচার সব মাফ হয়ে যায়। আর বিচার হয় শুধু নুবেল ইউনূছের। কারণ, দেশে এখন সেই শুধু স্বৈরাচার আর তার অপরাধ হইলো নিজ প্রতিষ্ঠানে বেশি বছর ধরে থাকা। সেলুকাস...!
না, দ্বিমত পোষণ করলাম... এসব কথা মোটেই তো অর্থহীন না...
পৃথিবীর সব আন্দোলনের 'পাকিস্তান' মেরেই মোহিকানরা ক্ষমতায় আসে... এবং আসছে এবং আসবে। আপনার হিসাবে তো তাইলে পৃথিবীর সব আন্দোলনই অর্থহীন হবে।
এতো এতো মানুষের আত্মত্যাগকে কীভাবে অর্থহীন বলি?
এসবকে যদি আমরা অর্থহীন বলতে থাকি, তাহলে ভবিষ্যতের ইতিহাস হবে প্রাচীন রাজা বাদশাদের ইতিহাসের মতোই... সেখানে আমজনতার কথা থাকবে না। খালি মোহিকানদের কথাই থাকবে।
এজন্যই এসব কথা বার বার বলতে হবে... ইতিহাসের সত্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখায়ে দিতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কথায় আমার কোনো দ্বিমত নাই। আমি শুধু কইতে চাইছিলাম এইসব আন্দোলন, এত আত্মত্যাগের 'পাকিস্তান' মেরে দেয় যারা তাদের পা-চাটা লোকেরও অভাব নাই দেশে। তাদের অন্যায় কাজ, পেশি-শক্তি প্রদর্শনও নানা যুক্তির মোড়কে জায়েয করা হয়। এই আর কী।
হ... এগর পাকিস্তানটা মেরে দিতে পারলে আরাম হইতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ব্যক্তিগতভাবে আমি নব্বই পরবর্তী সরকারগুলির আচরণ ও কর্মকান্ডে হতাশ এবং নির্বাচিত বলেই সব আকাম জায়েয এমন তত্ত্বে আমার আস্থা নেই । তবু , আমি স্বৈরাচার লেজেহুমো এরশাদ বিরোধী গণ অভ্যুত্থানকে গুরুত্বহীন মনে করি না ।
হ , বিচিত্র এদেশ, সেলুকাস!
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অস্বীকার করিনা, লেখাটা অনেক কনভিন্সিং।
"'৮৬ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা কিছুটা সমালোচনার শিকার হলেও..".
তবে এই লাইনটা পড়ার পর লেখকের বিশ্লেষক পরিচয় আর চাপা থাকেনা,সেটা হয়ে দাড়ায় আওয়ামীধারা'র বিশ্লেষক।
"কিছুটা সমালোচনা! হুইচ প্ল্যানেট ডু ইউ লীভ অন! ছিয়াশির নির্বাচনে শেখ হাসিনার পল্টি খাওয়াটাকে ওই আন্দোলনের পিঠে ছুড়ি মারা হিসাবেই দেখা হয়। পত্র-পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে লাভ নেই, কারণ তখন সেগুলো বলতে কিছু ছিলো না। তবে আন্দোলনে যারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন সে সময়, তারা সেটাই জানেন। দুর্জনেরা এটাও বলবে যে ওই পল্টি খাওয়ার কারণে এরশাদের পতন পিছিয়ে গিয়েছিলো কয়েক বছর। জনগন উনার এই পল্টি খাওয়ার উত্তরও দিয়েছিল নব্বই পরবর্তী নির্বাচনে। জানেন নিশ্চয়ই, সেটাকে উনি সূক্ষ্ণ কারচুপি নাম দিয়ে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন"
আমার কথাটা যুধিষ্টির বলে দিয়েছেন।
আমি ইউনুস দর্শনে বিশ্বাসী না কিংবা "নোবেল পাওয়ায় তার টিকি ধরা যাবেনা"এইটাকে হাস্যকর মনে করি।কিন্তু হাসিনার"ইগো"র লড়াইকে যখন আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আম্রিকার উদাহরণ টেনে হালাল করা হয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের উদাহরণ টেনে তাকে বিরোধী হিসেবে জনসম্পৃক্ত নেতা বানানো'র চেষ্টা হয়, তখন তা পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
আচ্ছা, একটা সহজ কোয়েশ্চেন হাসিনার মন্ত্রীসভায় কয়জন মন্ত্রী আছেন, যারা আওয়ামীলীগের মাঠ-পর্যায় থেকে উঠে এসেছেন!
শেখ হাসিনা সরকার যদি ফুলবাড়ীকে ইজারা দেয়, সেটা জনসম্পৃক্ততার কোন পর্যায়ে পড়বে!
লেখকের কাছ থেকে এই ব্লগের অনেকগুলো মন্তব্যের জবাবের অপেক্ষায় আছি। যুধিষ্ঠিরের সাথে একমত, আমি এই পর্যায়ের হাসিনা বন্দনা সচলে দেখি নি। সেটা হাসান মোরশেদের মত প্রিয় ব্লগার কাছ থেকে আসাতে আহত হয়েছি।
ব্যস্ততার মাঝে আমি নিজেও একটা লেখা লিখেছি, মেটাব্লগিং হতে পারে বলে পোস্ট করিনি। এই ব্লগের মন্তব্যে আমার নিজের লেখাটার লিঙ্ক দিলাম।
আপনি ইউনূসকে "পুঁতে ফেলা" জাস্টিফাই করেছেন, কিন্তু "চাকরি নট" আর তিনটা মামলা দিয়ে কিভাবে ইউনূসকে পুঁতে ফেলা হচ্ছে সেটা ব্যাখ্যা করেন নি। ইউনূস নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস নেই। কিন্তু হাসিনার মত রাজনীতিবিদ নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাতেও একটু বাঁধে। হাসিনা জোট করেছিলেন ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সাথে (দলটার নাম মনে পড়ছে না), পরে সেখান থেকে ফিরেও এসেছেন। আপনি যেমন ইউনূস আবার রাজনীতিতে নামবে না- এই ভরসা রাখেন না, তেমনি আমিও হাসিনাও যে মৌলবাদীদের প্রয়োজনে কোলে তুলে নেবে না সেই ভরসা রাখতে পারি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আপনার মত আমিও অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
আর আপনি হাসিনা এখন কার সাথে জোট করেছে সেটা বললেন না। করেছে এক স্বৈরাচারীর সাথে, সেটা কী কোন অংশে মৌলবাদীর সাথে জোট বাঁধার চেয়ে কম?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
এরশাদের সাফাই গাইতে চাচ্ছি না, তবে জামাত আর এরশাদের তুলনা হয় না। এরশাদ বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে নিজের দেশের ৩০ লাখ মানুষ খুন করে নাই। খুবই আপত্তিকর লেগেছে আমার কাছে তুলনাটা। এরকম তুলনায় জামাতিদের অপরাধ হ্রাস করে দেখানোর সুযোগ আছে।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
হাসিনা-খালেদার জনসম্পৃক্ততার কথা শুনে শব্দটার জন্য ডিকশনারি ঘাটাঘাটি করা দরকার ছিল, কিন্তু হায় প্রবাসে বাংলা ডিকশনারি সহজলভ্য নয় । তবে হাসিনা-খালেদার জনসম্পৃক্ততা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই , কারন লেখকের ভাষায় মনে হলো জনসম্পৃক্ততা মানে কথায় কথায় হরতাল করতে পারার ক্ষমতা, নির্বাচন এলে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসীদেরকে দলীয় নমিনেশন বিক্রি করে জনপ্রতিনিধি বানানো, দেশের জনগনের প্রবল চাহিদার মুখে চমৎকার বিমানবন্দর বানিয়ে দেশকে সিংগাপুর বানিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেয়া বা জনগনের দাবীর মুখেই ৭১ এর ঘাতক দালালদের গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেয়া, বা বাড়ি হারিয়ে জনগনকে ঈদ উপহার হিসাবে হরতাল দেয়া।
এহেন জনসম্পৃক্ততা অবশ্যই ইউনুসের নেই। আর এমন জনসম্পৃক্ততা ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতি অচল। ইউনুস ও তার আমেরিকান বন্ধুরা এটা বুঝতে ভুল করেছেন বলেই খালেদা-হাসিনা জনসম্পৃক্ত নেত্রী আর ৮৩ লাখ গ্রাহকের গ্রামীন ব্যাংক জনবিচ্ছিন্ন।
চমৎকার লেখা , অন্তত জনসম্পৃক্ততার মানে বোঝার জন্য লেখাটার কোন বিকল্প নেই ।
হাসিনা-খালেদা নিজের স্বার্থ ছারা দেশের জন্য কি করেছে? প্রত্যেকটা জায়গায় শুধু দুর্নীতি। প্রত্যেকটা ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা মারামারি চাদাবাজি করছে, কোই আওয়ামীলীগকেতো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। খুনের আসামি জামিন পেয়ে সবাইকে শাসাছে, আওয়ামীলীগের স্থানীয় কমিটি তাদের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করছে। নকল ধরছে বলে ম্যাজিস্ট্রেটকে চাপকাচ্ছে। দেশের আর রসাতলে যাবার কি বাকিটা আছে শুনি?
বিএনপি আওয়ামীলীগ যেই লাউ সেই কদু? এদের হাত থেকে মুক্তির পথটা কই? এরা গেলেতো সেই জয়, নাইলে তারেক। জনসম্পৃক্ততা কাকে বলে? হাসিনা-খালেদা মাঠ পর্যায় ঘুরে দলীয় নেতা বাদে কোন সাধারণ মানুষটার সাথে মিটিং করেছে?
ইউনুসও যে নিজের স্বার্থেই ক্ষমতায় আসতে চেয়েছে এতে কারো কোন সন্দেহ নেই, সন্দেহ ছিলোও না। কিন্তু হাসিনা-খালেদাকে বাদ দিয়ে ইউনুস আসলে, নতুন করে দেশের অবস্থা আর কি খারাপ করার বাকি ছিলো?
এখনকার দিনে মাঠ পর্যায় থেকে নেত্রীত্বে আসতে হলে, শিক্ষিত কেউ কোনদিন নেত্রীত্বে আসতে পারবে বলে আমার মনে হয়না।
একজনের মন্তব্যে পড়লাম: "একজন মানুষ পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিতৃ করে না" আসলে কি তাই? হেনা মারা যাবার পর বিবিসির Top Ten Most read এ ছিল: "Bangladeshi Girl Leashed to death" তারপর "Bangladesh to exhume lashed girl" এসেছিল Top 10 এ
এগুলো কি আমদের গায়ে কালি লাগায় না? ফেলানী মারা যাবার পর আমরা বলিনি যে আমার বোনকে মেরেছে?
ইউনুস যা-ই হোন কেন, এই ঘটনাটা যে একটা চরম এবং অবিশ্বাস্য কদর্য প্রতিহিংসামূলক ঘটনা তা সন্দেহাতীতভাবেই দিবালোকের মত স্পষ্ট। তাও আবার অতি নিম্নমানের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা। বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর কোথাওই বোধহয় এমন শাক জন্মায় না যা দিয়ে এই প্রতিহিংসা-মাছের দুর্গন্ধটা আর ঢাকা যাবে! সম্রাটের অদৃশ্য পোশাকটার অস্তিত্বহীনতা বুদ্ধিমানের নিরবতা, বুদ্ধিজীবীর বাকবৈদগ্ধ্য, বা 'আইনের শাসন' নামক শিয়ালের কুমিরছানা-জাতীয় ম্যাজিশিয়ান্স ট্রিক দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না আর কিছুতেই।
এই প্রতিশোধপরায়নতা যেন রূপকথার গল্পের সেই হিংসুক 'সৎমা'-র মতো, যার খেদি-পেঁচিদের কেউ নাচে ডাকে না বলে বা হঠাৎ একদিন তার যাদুর আয়না তাকে সে যে রাজ্যের সবচেয়ে সুন্দরী নয় একথা জানালে তার রক্তে বলক দেয়। গোপন প্রতিহিংসার ছুরি ঝলসে উঠে। 'আইনের শাসনের' ছদ্মবেশে বিষাক্ত আপেল পৌঁছে যায় ঠিকানা মত।
জনসম্পৃক্ততার মিথের কথা শুনতে আর ভালো লাগে না আড়িয়াল বিল বিমানবন্দরের মত দানবিক প্রোজেক্টের পর থেকে। যে জনসম্পৃক্ততার 'জন', নেওয়ার সময় (এটাই আসলে 'রক্তচোষা') থাকে দেশের গ্রামে-গঞ্জে আর দেওয়ার সময় থাকে দেশের বাইরে (একাধিক অর্থে) বা বড়জোর গুলশান-বনানীর মত অতিক্ষুদ্র গজদন্ত-দ্বীপে, সেই "জনসম্পৃক্ততা" আর কাঠালের আমসত্বের মধ্যে কোন পার্থক্যই আমি এখন আর দেখি না।
আমলকির সাথে ছিলাম নির্দিষ্ট কিছু ইস্যু ও নীতির কারনে (সেকুলারিজম, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, বাঙালি সংস্কৃতি, কম দুর্নীতি, ইত্যাদি)। আর হয়তো খানিকটা তাদের শিক্ষিত সংস্কৃতিবান পুরনো নেতাদের কারনে (যাদের বেশির ভাগই এখন সাইডলাইনে)। কিন্তু এখন আর সেখানে শিক্ষা বা সভ্যতার কতটুকু বালাই আছে জানি না। খোদ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পাবলিক অফিস হোল্ডারের মুখে প্রকাশ্যে এমন কালারফুল বিশেষনসমৃদ্ধ ভাষার প্রয়োগ দেখি যা শুনে আমার গৃহকর্মিও জিহবা কাটে। আর ঐ যে নির্দিষ্ট ইস্যুগুলি - ওগুলির তো আর কোন খবরই দেখছি না। শুধু একটা খবরই দেখলাম সেদিন, সম্ভবত এরকম - আদালত তদন্তের অগ্রগতিতে অসন্তুষ্ট। বিশ্বকাপের মত বায়বীয় প্রোজেক্টের জন্য (আড়িয়াল বিল বাদ দিলাম!) মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার ভাঁড়ার সাফ করে হড়-হড় করে বেরিয়ে আসে, অথচ যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য - নিদেনপক্ষে তদন্ত ও প্রসিকিউশনের জন্য জম্বির বদলে ভালো আইনজীবী হায়ার করতে আঙুলের ফাক গলে কিছু বেরোয় না। বেরোয় না এবং খবর থাকে না যখন হাজার-হাজার বাংলাদেশি মরুভূমির বুকে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন। এই না হলে জনসম্পৃক্তি !!!!!!
মনে হচ্ছে আমলকি আমাদের আসলে 'জিম্মী' ও নিধিরাম সর্দার বলেই গন্য করেন। টেকেন ফর গ্র্যান্টেড - যাদের অন্য কোথাও যাওয়ার আর জায়গা নেই, যাদের সত্যিকারের আমলকির মতই বর্তমানের টক-টুকু সয়ে নিতে বলে মিথ্যা জেনেও ভবিষ্যতের মিষ্টিসুখের মূলা দেখিয়ে অনন্তকাল ঝুলিয়ে রাখা যায় নিরুপায়ের মত।
জীবনে 'গণতন্ত্র' না-দেখা মিশরী তরুনরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। টিভিতে দেখি আর প্রার্থনা করি, ওরা যেন আসল জিনিষটাই পায়। আমাদের মত ব্র্যাকেটের মধ্যে লুকানো (দু)র্জনসম্পৃক্ত গণ(হীণ)তন্ত্র যেন না পায়।
মনমাঝি
লেখকে সব বক্তব্যের সাথে একমত নই, তবে হাসিনা-খালেদা জুটি যে যেকোন বিচারেই জনসম্পৃক্ত, অন্তত ইউনুসের মত কারো থেকে, সে ব্যাপারে সন্দেহের কিছু দেখছিনা।
এটা ঠিক, হাসিনা খালেদা মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসেননি, তবে তাদের দুজনেই দীর্ঘ সময় একটা প্রতিকূল অবস্থায় দুটি রাজনৈতিক দলের হাল ধরে থেকেছেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, চট করে ক্ষমতায় চলে আসেননি। সেই তুলনায় ইউনুসের রাজনীতিতে নামার ঘোষণা আর সরে পড়ার ঘোষণা, তাও একটা বিশেষ সময়ে, এবং দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী "বন্ধু"দের ছায়ায় বসে, ক্ষমতার দিকে এক চোখ রেখে--- কোন তুলনাতেই আসেনা।
ইদানিং একটা কথা অনেকে বলেন "ভাল মানুষের রাজনীতিতে আসা দরকার"-----এই কথাটা আমার কাছে অসম্পূর্ণ মনে হয়। গণতন্ত্র তো এভাবে কাজ করার কথা না! গণতন্ত্রে এমন একজন নেতা থাকবেন, যিনি জনগণের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দেবেন, তাদের আকাঙ্ক্ষাকেই তিনি বাস্তব করে তুলবেন।
শেখ মুজিব যে বাঙালীদের জাতির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠেছিলেন, সেটা কিভাবে? তিনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন, এই জন্য? মনে হয় না। বরং তার মধ্যে, তার কথাবার্তার মধ্যে, তার আচরণে, তখনকার বাঙালীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা একটা চূড়ান্ত রুপ পেয়েছিল, সেইজন্যই নয় কি?
অস্বীকার করার কিছু নেই যে হাসিনা-খালেদার অনেক কাজই আমাদের প্রবল হতাশ করেছে, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অযোগ্যতা সব মিলিয়ে। কিন্তু এই দুজনের যে সামান্য হলেও যে জনসম্পৃক্ততা আছে, সেটাকে উপেক্ষা করে "একজন ভাল মানষ"কে ক্ষমতায় বসানোর মধ্যে শুধুই বিপদ দেখতে পাই; ইতিহাসের কোথাও এই ধরনের কাজে কোন শুভ ফলাফল দেখিনা।
স্বপ্ন দেখি, আমাদের মুক্তিদাতা আজ গোকূলেই বড় হচ্ছে, তৃণমূল থেকে লড়াই করতে করতে উঠে আসবে একদিন। কিন্তু, উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া কোন "ভাল মানুষ"? মনে হয় না।
বেশ সুলিখিত। তবে মন্তব্যগুলোও দারুন।
ইউনুসের নাম বঙ্গবন্ধুকে ছাপিয়ে যাওয়া নিয়েও কিছু কথা উঠেছিলো - সেটা নিয়ে কেউ কিছু বললোনা দেখে একটু অবাক হলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আরেকটা কথা...
নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতীষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইডিয়াটা আমার জানামতে গোলাম আজমের মস্তিষ্ক প্রসূত!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওক্কে। অনেকগুলো মন্তব্য জমা হয়েছে। প্রতিমন্তব্য জরুরী, কিন্তু সময়াভাব+বেহাল নেট। দেখি একবারে করা যায় কিনাঃ-
১। যুধিষ্ঠিরঃ
আই ইউসড টু লিভ অন দ্যা সেম প্ল্যানেট হুইচ আই বিলং টু । সেই সময়ের সকল কিশোর-তরুনের গন্তব্য যে পথে ছিলো, সে পথেই ছিলাম। কথিত 'পল্টি খাওয়া' বিষয়ে নজরুল যা বলেছেন সেটা ধারনা নয় ফ্যাক্ট। ঐ নির্বাচনে খালেদা জিয়া থাকলে এরশাদের পতন আরো আগেই ঘটতো। আর হাসিনা সত্যি পল্টি খেলে চট্রগ্রাম গনহত্যা ঘটতোনা। শেখ হাসিনার ঐ সময়ের প্রধান রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন ডঃ কামাল যিনি আবার ডঃ ইউনুসের ঘনিষ্ঠজন।
২। তাসনীম ভাইঃ
হাসিনা বন্দনা হিসেবে এর চেয়ে আদর্শ লেখা সচলায়তনে আছে, দুঃখজনকভাবে সেটি আমারই লেখা। লিংক দিচ্ছিঃ হাসিনাকে ঘিরে ব্যক্তিগত স্মৃতিময়তা
৩। প্রসঙ্গ জনসম্পৃক্ততাঃ- কেউ কেউ দেখলাম হাসিনা-খালেদার জনসম্পৃক্ততা বুঝার জন্য অভিধান ঘাঁটতে চেয়েছেন। অভিধান ঘেঁটে মিলিটারী-কর্পোরেট-সিভিকরা ও পায়নি। হাসিনা-খালেদার জনসম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা টের পেয়েছিলো ১/১১ এর সময় ফাকরুদ্দিন, মইনুদ্দিন, ইউনুস। এই প্যারামিটারের একটা উদাহরন দেই- হাসিনা খালেদা তাদের দুঃসময়ে নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর ভরসা করেন আর ইউনুস তার দুঃ সময়ে ভরসা করেন গডমাদার হিলারীর উপর।
একজন দেখলাম বলছেন ইউনুসের আন্তর্জাতিক চ্যানেল দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতো। হিমুর মতো আমি ও বলি এই ভদ্রলোক নিজের প্রয়োজন ছাড়া রাষ্ট্রের কোণ সংকটে ভূমিকা রেখেছেন? বিস্মৃত হবেন না ১/১১ এর সংকট কালে তার সুযোগ ছিলো অভিভাকত্বের, সেটি না করে তিনি ও ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছিলেন।
৪। এই পোষ্টে বন্দনা আছে, তবে শেখ হসিনার একা নয়, খালেদা জিয়ার ও বটে। তবে এটা ও স্পষ্ট করে বলা ছিলো বন্দনাটি এই ব্যক্তিদ্বয়ের সপক্ষে নয়, বরং তারা যে রাজনৈতিক মডেলের প্রতিনিধিত্ব করেন তার। দুজনেই রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক পরিচয়ে কিন্তু আগে ক্ষমতা পরে রাজনীতি তাদের ক্ষেত্রে ঘটেনি। রাজনীতি করে করে জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপর ক্ষমতায় এসেছেন। অপরদিকে ইউনুস যে রাজনৈতিক মডেলের সেটি হচ্ছে আগে ক্ষমতা, পরে রাজনীতি। বহুল ব্যবহৃত জলপাই মডেলের সাথে অধুনা সুশীল মডেলটির গুনগত কোন পার্থক্য নেই।
৫। কারো কারো উদ্দেশ্যেঃ- কারো কারো মন্তব্যে দেখলাম হাসিনার এরশাদের সাথে জোট বাঁধা কিংবা খালেদা জিয়ার জামাতের সাথে জোটবদ্ধতাকে কে টার্গেট করে দেখাতে চেয়েছেন ইউনুসের তুলনায় এই দুজন কতো খারাপ।
আবারো সবিনয়ে অনুরোধ থাকবে, দয়া করে পোষ্টের মেরিট বুঝবেন। একটা ঘটনাকে এক এক জন একেক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারেন। কেউ এটাকে হাসিনা-ইউনুসের ইগোর লড়াই হিসেবে দেখছেন। আমার আপত্তি নাই। আমি দেখছি দুটো রাজনৈতিক মডেলের লড়াই। একটি ক্ষয়িষ্ণু মডেলের টিকে থাকার লড়াই আর আরেকটি আগ্রাসী মডেলের অনিবার্য্য দখলদারিত্বের সুচনা।
এর পক্ষে বিপক্ষে কথা হতে পারে, আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে কিন্তু হাসিনা-খালেদার এরশাদ-জামাতের সাথে জোটবদ্ধতা নিয়ে আলোচনার কি কিছু আছে এই পোষ্টে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পোস্টের মেরিটটা আপনি নিজেই অনেকখানি নষ্ট করেছেন, অপ্রাসঙ্গিক ভাবে। সুতরাং আলোচনা অন্যদিকে যাওয়ার দায় কিছুটা আপনারও আছে। নিচে উদাহরণটা দিলাম।
ইউনূসের "চাকরি নট" করে তাকে মামলায় ফেলে শেষ মোহিকান হাসিনা রাজনৈতিকভাবে কিভাবে লাভবান হলেন এটা আপনি একবারও বলেন নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনে করেছিলাম, এমনিতেই বুঝতে পারছেন। পারছেননা যখন, চেষ্টা করি বুঝানোর
১। মুরব্বী পছন্দে ক্ষমতায় আসার জন্য যে সুশীল ফেরেশতা ইমেজ দরকার সেটি ভুল প্রমান করা। রেসের ঘোড়াকে খোঁড়া করে দেয়া রাজনৈতিক লাভ।
২। আরেকটা লাভ প্রতিশোধ নেয়া। প্রতিকুল সময়ে হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার কুটকৌশলের কারিগর না হোন, সমর্থক ছিলেন ইউনুস। সুযোগ পেলে হাসিনা এর শোধ নেবেনা, এমন প্রত্যাশা করাটা বোকামী। এটা রাজনীতির খেলা, প্রেম প্রেম নয়।
এবার আপনি বুঝিয়ে বলেন- এটি মুল পোষ্টের সাথে কি করে অপ্রাসঙ্গিক হলো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
চাকরি নট আর মামলা করে সুশীল ইমেজের ক্ষতি কমই হয়েছে। হয়রানি মূলক হয়েছে। এটাকে প্রতিশোধ নেওয়া আর পুঁতে ফেলা মনে করলে কিছু বলার নেই। এটা করে ইউনূসকে আরেকটু উপরে উঠিয়েছেন হাসিনা।
রাজনীতি প্রেম নয় কিন্তু এই ধরণের প্রতিশোধ জায়েজ ঘোষণা করলে ভবিষ্যতে আর কী ধরনের প্রতিশোধ আসতে পারে তাতে শঙ্কিত বোধ করছি।
আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য বুঝতে পারি। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে হাসিনার জন্য লাস্ট মোহিকান টাইপের বিশেষণ ব্যবহার করা। কয়েকদিন আগে এটর্নি জেনারেলের বক্তব্য এখন হজম হয় নি। প্রশ্নটা হচ্ছে ১/১১ উত্তরপাড়ার কারিগরদের উনি ছাড় দিলেন কেনো? ওইখানে প্রতিশোধ নয় কেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
১/১১ এর সুযোগে 'মাইনাস টু থিউরি' সমর্থন করা ইউনুসের জন্য জায়েজ ছিলো?
রাজনীতির প্রতিশোধ সামর্থ্য অনুযায়ী নেয়ার চেষ্টা করাটাই কি স্বাভাবিক নয়? পিলখানা হত্যা শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তাই ওটা ইচ্ছে থাকলে ও সম্ভব নয়। এ ছাড়া গামী দিনের রেসের ঘোড়া জলপাই নয় বরং সুশীল ফেরেশতা।
যেহেতু আমি মনে করছি লড়াইটা দুটো রাজনৈতিক ধারার এবং শেখ হাসিনা একটা ক্ষয়িষ্ণু ধারার পক্ষে লড়ছেন সেহেতু তার জন্য এই বিশেষন প্রয়োগ আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক নয়। অপ্রাসঙ্গিক প্রমান করতে হলে আগে প্রমান করতে হবে ধারার লড়াইয়ের যে ধারনাটি আমি করছি সেটি মিথ্যে।
কাউকে কিন্তু এই লাইনে কথা বলতে দেখলাম না।
এটর্নি জেনারেল সরকারের চাকরি করে। আমি করিনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ছিল না।
এখানে এপোলোজিস্টের সুর ফুটে উঠল। তিনভাগের দুইভাগ আসন নিয়েও উর্দির ভয়ে ভীত শেষ মোহিকান? আপনি না বললেন ওনার জনসম্পৃক্ততার কথা। তাহলে ভয় কোথায়? হিসাব তো মিলছে না ভাই।
আগামী দিনের রেসের ঘোড়া বধ করার আগে বিগত ১১/১ হোতাদের বধ করা উচিত ছিল। সেটা করলে সুশীল আর দুঃশীল সবাই সাইজ হয়ে যেত। আর সিন্দাবাদের বোঝার মত ঐ ভাঁড় স্বৈরাচারটাকেও ঘাড় থেকে নামানো উচিত ছিল।
আপনার যেই যুক্তি দিয়েছেন তাতে বিগত দিনের দেশদ্রোহী রাজকার আর আলবদরের বিচারটাও বন্ধ করে আগামী দিনের রাজাকার বধ করা উচিত। কি বলেন?
সুশীল তো আরো আছেন, চলেন ঐগুলোরে জবাই দিয়ে দেই। শুধু ইউনূস কেন?
জনসম্পৃক্ত নেত্রী উর্দি বিরুদ্ধে যান না, ইউনূস ছাড়া আর কোনো সুশীলকে পুঁতেন না...প্রয়োজনে স্বৈরাচারকে কোলে নেন, মসনদের স্বপ্নে বিভোর হয়ে মৌলবাদীদের সাথে কৌশলগত আঁতাত করেন। আপনার ধারনার কোন জায়গাটায় আমার আপত্তি এটা আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
কথা আর না বাড়াই। ভালো থাকবেন। আপনার লেখা মুগ্ধতা নিয়ে পড়তাম। যাদের লেখা ভালো লাগে তাদের লেখাতেই মন্তব্য দেই, আহত হলে কিছুটা হয়ত কটু কথাও বলি।
ভালো থাকবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার কনসার্নের আংশিক উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ছিয়াশিতে শেখ হাসিনার মারা ছুরি যাদের পিঠে গেঁথেছে, তাঁরা জানেন সেটি কি ছিলো তাঁদের জন্য। হ্যাঁ, এই তালিকায় ঐ আন্দোলনে হাতে গুলি খাওয়া, আজীবন পঙ্গু হয়ে যাওয়া লোকজন আছেন। আপনার সংজ্ঞায়িত জনসম্পৃক্ততার "জন"দের ভেতরে হয়তো উনারা নেই।
প্রিয় সচল মুস্তাফিজ ভাই সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে একবার একটা কথা বলেছিলেন, সেটা এখানে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে: "প্রেম উথলে উঠলে প্রিয় জনের টয়লেটেও বাজে গন্ধ পাওয়া যায় না।"
আপনার পোস্ট এবং মন্তব্যে মনে যেটুকু সন্দেহ ছিলো সেটা চলে গেলো। হাসিনা বন্দনা হয়তো খারাপ কিছু না, আপনি সেটা করতেই পারেন। শুধু নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী না করলেই হয়। আপনার, আমার প্রিয় একজন সচল লেখকের, রাজনৈতিক লেখাগুলো আমার পক্ষে আর নিরপেক্ষতার লেন্স দিয়ে পড়া সম্ভব হবে না। সেটি আমাকে হাসিনা-বান্ধব ফিল্টার দিয়েই পড়তে হবে। গুনমুগ্ধ পাঠক হিসেবে এটাই আমার দুঃখ, এবং ক্ষতি।
নিরপেক্ষতার দাবী কোথাও করেছি বলে তো মনে পড়ছেনা।
আমার তীব্র রাজনৈতিক পক্ষপাত আছে, আপনি খামোকা নিরপেক্ষ ভাবলে সেটা আপনার সমস্যা- আমার নয়।
আর মুস্তাফিজ ভাইকে উদ্ধৃত করে যে উদাহরনটি টেনেছেন, তা আপনার রুচিবোধের সমার্থক। অসুন্দর, অভব্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিক বোঝাতে পারিনি, আমার ভাব প্রকাশের দুর্বলতা। নিরপেক্ষতার দাবী আপনি করেন নি। সচেতন মানুষের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই পক্ষপাতিত্ব নিয়েই নির্মোহ বিশ্লেষণ করা যায়, "কিছুটা সমালোচনা"র বাইরে গিয়ে কঠিন সমালোচনা করা যায়। সেটি আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারবো না, সেই ক্রেডিবিলিটিটা আপনি হারিয়েছেন।
আর হ্যাঁ, সেটাতে সমস্যা-দুঃখ-ক্ষতি যা-ই বলেন, সেটা আমারই। সেটুকু কি আর আমি বুঝি না?
আরো একটা কথা...
বেশ কয়েক বছর আগে গার্মেন্টস সেক্টরে যখন কোটা সিস্টেম উঠে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক কথাবার্তা চলতেছিলো, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ না থাকলে গার্মেন্ট ব্যাবসা দেশ থেকে উঠে যাবে এসব কথাবার্তা চলছিলো [এগুলো আমি নিজে তেমন ভালো বুঝি না] তখন শুনছিলাম বিজিএমইএ পয়সা খরচ করে ইউনুসরে আমেরিকা পাঠাইছিলো লবিং করতে। এবং তিনি গেছিলেনও...
তারপর তাতে কী উপকার হইছে আমার জানা নাই, জেবতিক ভাই সম্ভবত ভালো বলতে পারবেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওই নির্বাচনে সিরিয়াস কারচুপি হয়েছে। আমার নিজের চোখে দেখা। এরশাদ ওটার ফল নিজের দিকে আনতই। কারচুপির নির্বাচনের পরেও হাসিনা সংসদে বসেছেন, এরশাদকে বৈধতা দিয়েছেন। আমি যতখানি রাজকার আর আল-বদরদের ঘৃণা করি, ঠিক ততটাই করি এরশাদকে। আমি ওই সময়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সামান্য হলেও যুক্ত। হাসিনা এই শুয়োরের বাচ্চাকে একবার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আরেকবার কোলে তুলেছে আর সেই বন্দনা দেখতে হচ্ছে সচলায়তনে। টু টেল ইউ দ্য ট্র্যুথ...কিছু আর বলার থাকে না।
যুগপৎ আন্দোলন করলে পতন নিশ্চিতভাবে হোত। ৯০ এর আন্দোলন সেটাই প্রমান করে।
আপনার প্রথম বন্দনার চেয়ে দ্বিতীয় বন্দনা অনেক বেশি পাওয়ারের তৃতীয়টা কি হবে সেটা ভেবে ভয়ে আছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার ব্যক্তিগত ব্লগের লেখাটা ভাল লেগেছে এখানে জানিয়ে গেলাম।
আমারও।
শেখ হাসিনা একটা অমর বাণী দিয়েছিলেন না ৮৬ এর নির্বাচনের পর? "আই এ্যাম নট কোয়াইট আনহ্যাপি"...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না। এটা ছিলো এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার মতে ছিয়াশির নির্বাচনের আগে উনার দেয়া জাতীয় বেঈমান বাণীটাই অমর হওয়ার দাবী রাখে বেশি।
হাসিনার লেভেল রাজনীতিবিদ থেকে পয়গম্বর লেভেলে আপগ্রেড করা হোক। পয়গম্বরদের কোন কাজে প্রশ্ন তোলা যায় না। নিষেধ আছে। তারপরেও মাঝেমাঝে চিপায় পড়ে গেলে ঐশ্বরিক বাণী তাঁদের উদ্ধার করে।
৮/১০ বার পড়েও যুৎসই একটা কনক্লুশান খুঁজে পেলাম না। মোটাদাগে বুঝলাম যে শেখ হাসিনাকে দ্য লাষ্ট মোহিকানের মতো লাগার মাধ্যমে মোসাহেব ও অমাত্যবর্গের পাশাপাশি আমার একজন অত্যন্ত প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় লেখক মোরশেদ ভাই তৈলমর্দনে কিঞ্চিৎ সামিল হয়েছেন (এটা একান্তই আমার অনুভূতি, ভূল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়)। আমি এতে দোষনীয় কিছু দেখিনা। প্রিয়জন-শ্রদ্ধেয়জনকে আমি নিজেও প্রতিনিয়ত তৈলমর্দন করে থাকি, এটা আমাকে সন্মানিত এবং আহ্লাদিত করে থাকে।
লেখাটা সময়োপযোগি এবং সাম্প্রতিক বাদানুবাদের ভিড়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ লেখা হতো যদি মোরশেদ ভাই শেষ প্যারাগ্রাফে লেখার মেরিট থেকে বেরিয়ে না যেতেন। হিউম্যান বিইং হিসেবে আমরা কেউই রাগ-অনুরাগ বা বিরাগের উর্ধে না তবে একজন বিশ্লেষণধর্মী লেখার লেখক নিজের লেখায় অন্তত ইমপার্শিয়াল থাকবেন এটাই কাম্য। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিই আস্থাশীল না এবং তাদের প্রতি আমার অনুরাগের কোনও কারণ নেই। আমি একটা 'ঠাপ' খাওয়া ফ্যামিলির ছেলে। আমার ফ্যামিলি সেই রাজাকার থেকে শুরু করে বাকশাল-নকশাল, এর্শাদ, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, কমবেশি সবারই 'ঠাপ' খেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনগন দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ঠাপের উপরই আছি। আজ বিএনপি তো কাল আওয়ামী লীগ। এমন একটা অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনূসের কি করলেন তাতে সাধারণ জনগন, বিশেষ করে যারা দিন এনে খায়, ব্লগ পড়ে না, এদের কিন্তু কিছুই আসবে যাবে না। কিন্তু যারা সচেতন গোষ্ঠী তাদের জন্যে আজ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য এবং মন্তব্যপরবর্তী সাম্প্রতিক সরকারী সিদ্ধান্ত এগুলো কিন্তু খুবই ইঙ্গিতবহ। এবং এটা কোনও শুভ ইঙ্গিত বহন করে না। আজ হাসিনার জায়গায় খালেদা হলেও একই ঘটনা ঘটতো বলেই আমার বিশ্বাস। ইউনূস নোবেল পেয়েছেন কিন্তু নবুওত পাননি। তার কৃতকর্মের জন্যে ব্যবচ্ছেদ অবশ্যকরণীয়। কিন্তু আমাদের রাজনীতির হীন ভিনডিকটিভ চরিত্রটাকেও একটু বেশি করে আলোয় আনা প্রয়োজন যেটা আপনাদের মতো বিশ্লেষক লেখকরাই পারেন। আপনাদের লেখায় আপনারা সমস্যার বৃহদায়তনে আলোচনা করুন ব্যাক্তিবিশেষকে দ্য লাষ্ট মোহিকানের মতো মনে না করে।
শেষ প্যারাগ্রাফটা না থাকলে আমার মনে হয় ৯০% সচলই এটাকে একবার পড়েই প্রিয় লেখায় যুক্ত করতেন।
আমি আপনাকে ব্যাক্তি আক্রমন করতে চাইনি। সেরকম কিছু মনে করলে ক্ষমাপ্রার্থী। একজন পাঠক হিসেবে আমার প্রত্যাশা এবং মতামতটা রাখলাম শুধু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
১০/১২ পড়ে মোটাদাগে বুঝে ফেলার কষ্টটুকু না করলেও পারতেন
আমি ও সবিনয়ে একটু কঠিন কথা বলি। আশা করি নিজগুনে ক্ষমা করবেন।
কার কাছে তৈল আর কাছে মসলা মনে হলো কিংবা কে প্রিয়তে টানলেন, কে অপ্রিয়তে ছুঁড়ে দিলেন এসব হিসেব করে তো ভাই লিখিনা। লিখি নিজের বিচার বিবেচনা যুক্তিবোধের ভরসায়। কারো ভালো লাগে ভাল্লাগে, ভালো না লাগলে ও সমস্যা নাই। কিন্তু ত্যানা প্যাঁচালে বিরক্ত হই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি একজন প্রিয় লেখক, তাই আপনি ক্ষমা চাইলে আমিই লজ্জিত হই। বরঞ্চ ত্যানা প্যাঁচানোর মাধ্যমে আপনার বিরক্তির উদ্রেক করার জন্যে আমিই ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও তেনা পেঁচানো বিষয়টা এখনও খুব ভালো করে বুঝে উঠতে পারিনি। যাইহোক, ভবিষ্যতে আপনার লেখায় মন্তব্য করার বিষয়ে বিশেষ সচেতন থাকবো। আশাকরি ক্ষমা করতে পারবেন এই অধমকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একটু ঝুঁকি নিয়ে বলেই ফেলি ড: ইউনূস রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত জানানোর পর আমার অনেক বন্ধুবান্ধবের সাথে আমি খুশী হয়েছিলাম । আমার মনে হয়েছিল আমাদের দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জনগণের যদি ভোট দেয়ার আরেকটা অপশন বাড়ে তাতে ক্ষতি কি ? যেদিন প্রথম উনি রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিলেন সেদিন রাতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের খবরে বিভিন্ন মানুষজনের সাক্ষাত্কার নেয়া হয়েছিল এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাঁদের মতামত জানতে-- এ মুহূর্তে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, আইনজীবী ড. এম জহির, অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, রাশেদ খান মেননের কথা মনে পড়ছে ! আমি অবাক এবং ক্ষুব্ধ হয়ে আবিষ্কার করলাম সবাই নানা যুক্তিতে ড. ইউনূসের রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন ! রাশেদ খান মেনন খুবই বাজে ভাষা ব্যবহার করেছিলেন এটাও মনে আছে ।আমি সে সময় শাবিপ্রবির কম্পু থেকে পাশ করে ঢাকায় চলে এসে চাকরি-বাকরি করলেও আমার প্রিয় শিক্ষক ড: মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে মোটামুটি যোগাযোগ ছিল । তো আমি সুশীল সমাজের এই বিরোধিতার ঘটনায় অবাক হয়ে এবং আহত বোধ করে জাফর স্যারকে একটা অনেক বড় মোবাইল ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম । স্যার সেসময় আমার সেই ম্যাসেজের কোনো রিপ্লাই দেননি ।
এর কিছুদিন পর অফিসের কাজে সিলেট গেলে স্যারের সাথে দেখা করতে ভার্সিটিতে যাই । সেসময় স্যারের সাথে এটা নিয়ে আলাপ হয়েছিল । এখানে একটু বলে রাখি-- স্যারের সাথে আমার এ ধরনের জিনিস নিয়ে আলাপ শুরু হয় যখন থেকে আমি স্যারদের "মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনা" নামের উদ্যোগটির সাথে যুক্ত হয়ে তাঁদের সাথে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে থাকি তখন থেকে ! তো স্যারের সাথে সেবার তাঁর অফিসে দেখা করার পর তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম -- স্যার, আপনি তো আমার ম্যাসেজ এর উত্তর দিলেন না ! স্যার বললেন, তুমি এত বড় ম্যাসেজ পাঠিয়েছ --এর কি উত্তর দিব ? তারপর আমরা আরও অনেক কিছু নিয়ে অনেক কথাবার্তা বললাম । স্যারও আসলে সে সময় নিশ্চিত ছিলেন না এটা ভালো হবে না খারাপ হবে সে ব্যাপারে । কিন্তু সে সময় তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন--- ১৯৯৪ সালে যখন জাফর স্যার আমেরিকা থেকে পাকাপাকিভাবে দেশে চলে আসেন তখন দেশের নানাকিছু নিয়ে অনেক হতাশ হয়ে ড: ইউনূসকে একটা চিঠি লিখেছিলেন । ড: ইউনূস তাঁর সে চিঠির এক বিশা্ল বড় উত্তর দিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি (ড: ইউনূস) বলেছিলেন--"জাফর, সবকিছু দেখে আমার প্রায়ই মনে হয় সবকিছু ছেড়েছুড়ে রাজনীতিতে নেমে যাই" ! জাফর স্যার তখন আমাকে বলেছিলেন সে চিঠিটি তখনও তাঁর কাছে ছিল-- উনি সেটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন ! এবং সেই চিঠির সূত্র ধরে স্যার বলেছিলেন যে, দেখ--তার মানে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারটা ড: ইউনূস অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলেন -- তা্ই কেউ যদি বলে যে এই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পরেই তাঁর মাথায় রাজনীতিতে নামার চিন্তা এসেছে -- তাহলে আসলে সেটা ঠিক বলা হয় না ।
ড: ইউনূসকে বিবেচনা করার জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হতে পারে মনে করে এটা এখানে যোগ করে দিলাম ! আর এই পোস্টের লিংকটাও জাফর স্যারকে ইমেইল করে দিলাম যাতে আমি যে কথাগুলো এখানে বলেছি উনি সেটা চেক করতে পারেন এবং ভিন্নমত থাকলে অথবা আমি কোনো কথা মিস-ইন্টারপ্রেট বা টুইস্ট করে থাকলে সে ব্যাপারে তাঁর মতামত এখানে বা আমাকে জানাতে পারেন যাতে আমি সেটি শুধরে নিতে পারি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এখানে ঝুঁকির কিছু নাই। আপনি নিশ্চিন্ত মনেই ইউনূসকে সমর্থন করতে পারেন। কেউ তো মারবে না আপনাকে।
ইউনূস বিতর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ইউনূসের পক্ষে মিডিয়া অ্যাপিল টু এমপ্যাথির অবস্থান নিয়েছে। ড. ইউনূসকে ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু এই সরকার সুশাসনের বহু ক্ষেত্রে দৃশ্যমানভাবে ব্যর্থ, তাই ইউনূসকে নিপীড়িত আর সরকারকে নিপীড়কের ভূমিকায় দেখে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। সরকার হাতি যেতে দেখে না, অথচ মশা দেখলে টিপে মেরে ফেলে, তাই কিছু ক্ষোভের মুখোমুখি সরকারকে হতেই হবে।
ড. ইউনূসও নোবেল জয় করে কোনো অপরাধ করেননি, নোবেলের কল্যাণে প্রথম বিশ্বের দুনিয়া-মূর্খ লোকজন বাংলাদেশের নাম কোনো একটি "ইতিবাচক" ঘটনার সাথে রিলেট করতে পারছে, সেটাও মন্দ কিছু নয়। বাংলাদেশেও বহু শিক্ষিত ছাগল জার্মানিকে এখনও হিটলারের দেশ হিসেবে চেনে, আর সে জায়গায় প্রথম বিশ্বের দুনিয়ামূর্খ লোকজন বাংলাদেশকে একজন অর্থনীতিবিদের সূত্রে চিনলে ক্ষতি কী?
কিন্তু মন্দ এবং নিন্দনীয় হচ্ছে, এই ইউনূসকেই বাঙালি জাতির এক এবং একমাত্র বর্তমান প্রতিনিধির জায়গায় বসিয়ে তাকে প্রচলিত আইনের আওতার বাইরে নিয়ে যাবার জন্যে সাধারণের কাছে এই অ্যাপিল টু এমপ্যাথির কুপ্রয়োগ। আমরা যদি একে সমর্থন করি, তাহলে কোন মুখে ভবিষ্যতে তারেক জিয়া বা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দুর্নীতির তদন্ত করতে বলবো? নোবেল পুরস্কারটিকে ওভাররেট করে নোবেলজয়ীকে বাংলাদেশের একমাত্র পরিচিত নাম হিসেবে জাহির করে তার "হয়রানি"র বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ করার কাজে নেমেছে সেই লোকগুলোই, যারা ইউনূসকে নোবেলজয়ের পর নাগরিক শক্তি নামে দল খুলে হাঁটুদের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করার জন্যে উসকেছিল। এরা এখন এমন ভাব করছে যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এক নোবেলের ঠ্যালায় বিরাট উঁচুতে ছিলো, সেটা পানিতে পড়ে খানখান হয়ে গেছে।
নোবেল পেলে একটা লোকের বগলতলা থেকে ডানা গজায় না। মেনাখেম বেগিনও শান্তির জন্যে নোবেল পেয়েছিলেন। সেই পদক পাওয়ার দুই বছরের মাথায় তিনি বর্তমান প্যালেস্টাইনের অশান্তির বীজ, গাজা আর পশ্চিম তীরে সেটলমেন্ট প্রকল্পেরও পত্তন করেছিলেন, আক্রমণ করেছিলেন ইরাকের ওসিরাক নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট, ১৯৮২র লেবানন যুদ্ধও বেগিনই শুরু করেছিলেন। যে মামুরা বেগিনকে শান্তিতে নোবেল দিয়েছিল, তারাই শাবরা আর শাতিলা হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে হতবাক হয়ে যায়, বেগিনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয়। নিজের দেশে আর বাইরের চাপে পড়ে বেগিন ১৯৮৩ সালে পদত্যাগ করেন। নোবেলদাতা মামুরা তো তাহলে সবচেয়ে বড় পাষণ্ড দেখতে পাচ্ছি। একজন নোবেল পাওয়া লোককে গদি থেকে নামিয়ে দিল! ইসরায়েলের লোক নোবেল পাওয়া ইটঝাক র্যাবিনকে খুন পর্যন্ত করে ফেলেছে, কই, মিডিয়ায় তো এ নিয়ে কোনো কাঁদুনি শোনা যায়নি তখন?
আমরা যারা নোবেল ঝলকিয়ে ইউনূসকে দেবতা বানাচ্ছি, তারা কি একটুও লজ্জিত হই না কখনও? ক্ষুদ্রঋণ মডেল নিয়ে কি আমরা গর্বিত, নাকি এই মডেলের কল্যাণে ইউনূস আর বাংলাদেশের নাম প্রথম বিশ্বের সাদা চামড়ার লোকেরা জেনে আমাদের দিকে তাক করা অবজ্ঞার দৃষ্টি সরিয়ে নেবে, সেই পেটি স্বার্থপরতার ভরসায় আমরা এত নোবেলকাতর? যদি ক্ষুদ্রঋণ এতই ওজস্বী মডেল হয়, তাহলে নোবেল নোবেল করে আমরা পাগল হই কেন? এই ক্ষুদ্রঋণ মডেলের ওপর পূর্ণাঙ্গ গবেষণাপত্র খুঁজি ইউনূসের অ্যাপলজিস্টদের কাছে, কেউ দিতে পারেন না। সবাই "কর্তায় কইছে শালার ভাই আনন্দের আর সীমা নাই" টাইপ যুক্তি দেখান। ক্ষুদ্রঋণ মডেলটির তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী সুফল আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না বলেই একে নোবেলের সিঁদুর কেটে দেবতা বানাতে হয়। এই নোবেলের প্রসাদ দিয়েই আমরা বাকি জীবন কাটাতে চাই। নোবেলকে কেবলা ধরে আমাদের উচ্ছ্বাস কেবল আরেক নোবেলঠাকুরের কথাতেই প্রকাশ করা সম্ভব, "ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি ঠেকবো নোবেল 'পরে আমি বাঁচবো নোবেল ধরে"। এটা কি লজ্জাস্কর নয়?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার খুব একটা দুর্লভ কিছু না। হাসিনা কিংবা খালেদা কোনো কিছুর বিনিময়ে এই পুরস্কার হাসিল করতে পারে। যদি এরা কখনও নোবেল পেয়ে বসে, আমাদের নোবেলপূজারীরা কী বলবেন তখন, আমার শোনার খুব ইচ্ছা। ফুলবাড়ি কয়লাক্ষেত্র নিয়ে নানা গুটি চালাচালি চলছে, আপনারা একটা জবাব মনে মনে ভেবে রাখুন। শান্তিতে নোবেলের দর কিন্তু ইউনূস-হাসিনা-খালেদা সবার জন্যই সমান, বাড়তি বাটখারা চাপাতে হবে না।
মিডিয়ার একটা বড় অংশকেই তো দেখি ইউনূসের পেছনে লেগে থাকতে !
কেউ এখানে লিভ টু এমপ্যাথির কুপ্রয়োগের আবেদন করছে না ! বরং এ ব্যাপারে যারা সোচ্চার হয়েছে তারা সরকারের (অনেকেই সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও) একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভুল এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে !
ক্ষুদ্রঋণ মডেল কাজ করে কি করে না এটা নিয়ে ড: ইউনূসকে নিশ্চয়ই কম প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় নি তাঁর সারা জীবনে ! তবে একটি উত্তর আমার খুব পছন্দ হয়েছিল--- যদি এ মডেল কাজ না করে তাহলে এর চেয়ে ভালো মডেল কেউ করে দেখাচ্ছে না কেন ?
ক্ষুদ্রঋণের তীব্র সমালোচকরা আরও একটা ভালো মডেল দুনিয়ার সামনে হাজির করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায় !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
বাড়ির দরজার সামনে হাগু করে রেখে তোপের মুখে পড়লে কেউ যদি বলে, এই হাগু খারাপ হলে কেউ এরচেয়ে ভালো হাগু করে দেখায় না কেন, আপনি কি যুক্তিটাকে গ্রহণ করবেন?
সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা অবশ্যই করা উচিত, কিন্তু সেটা ইউনূসকে ডিইফাই করে নয়। লোকটা ইউনূস বলেই যেমন তাকে হয়রানি করা ঠিক নয়, তেমনি লোকটা ইউনূস বলেই তাকে সবকিছুতে ছাড় দেয়া ঠিক নয়।
আনু মুহাম্মদের একটা প্রাসঙ্গিক লেখার লিঙ্ক দিলাম, পড়ে দেখতে পারেন।
এই কথাটাই সবার বোঝা দরকার।
এখানে গুরুত্মপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে কোনটা হাগু আর কোনটা মানুষের ভালোর জন্যে একটা সৎ চেষ্টা সেটা বুঝা। হাসিনা-খালেদার এবং তাদের চেলাচামুন্ডাদের হাগুর গন্ধে গতো দুই দশক ধরে ভুগছে বাংলাদেশ। আর সেখানে ইউনুস ক্ষুদ্র ঋন দিয়ে দেশের জন্যে একটা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন। এটা কাজ করছে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়, কিন্তু এটা যে হাগু না সেটা হাসিনা-খালেদার অন্ধ ভক্ত ছাড়া যে কারো বুঝার কথা।
নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেলে তার সাথে আপনি ম্যান্ডেলার তুলনা দিতে পারেন আবার বেগিন এর কিচ্ছা কাহিনীও শোনাতে পারেন, এটা নির্ভর করে আপনি কোনটাকে হাগু বলছেন আর কোনটাকে মানুষের সৎ আন্তরিক চেষ্টা বলছেন।
ইউনুস অবশ্যই আইনের উর্ধে নয়, যেমন নয় গতো দুই দশক থেকে হাসিনা, খালেদা এবং তাদের চেলা চামুন্ডা দের দ্বারা সঙ্ঘটিত হাজার হাজার হত্যাকান্ড আর গুন্ডামী।
আমি স্বীকার করি এটা আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা আমাদের রাজনীতি একদল দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিয়েছি, এবং আমরা কেউই রাজনীতিতে জড়াতে চাইনা, কিন্তু দূর থেকে খালি সমালোচনা করে যাই।
ইউনুস রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন একটা ভুল সময়ে। কিন্তু আমার পরিষ্কার মনে আছে তিনি মানুষের কাছে মতামত চেয়েছিলেন মানুষ কী চায়, কিভাবে তাঁকে দেখতে চায়। পরে তিনি যখন দেখলেন তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, তাঁকে সাহায্য করার যথেষ্ঠ লোকজন নাই তখন তিনি ভদ্রলোকের মতো সরে পড়েছেন। রাজনীতিতে আসতে চাওয়ার এবং এরপর সরে যাওয়ার এরচেয়ে সভ্য পন্থা কী হতে পারে আমার জানা নেই।
রাজীব মোস্তাফিজ ওনার পোস্টে বলেছেন অন্য সময়ে রাজনৈতিক দল করলে কী হয় সেটা আমরা ডক্টর কামাল, বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে দেখেছি। আমি বলছিনা এটা ইউনুস এর হাঁটু সরকারের সময় রাজনীতি করতে চাওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তি হতে পারে। কিন্তু ইউনুস অন্ততপক্ষে জেনারেল ইব্রাহীম, কোরেশীদের মতো নির্লজ্জের মতো লেগে থাকেন নাই মানুষের সমর্থন না পেয়ে।
ইউনুস এর কর্মকান্ডের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে আমার রুজভেল্ট এর একটা যুগান্তকারী উদ্ধৃতি মনে পড়েঃ
"It's not the critic who counts, not the man who points out how the strong man stumbled, or when the doer of deeds could have done better. The credit belongs to the man who is actually in the arena; whose face is marred by dust and sweat and blood; who strives valiantly; who errs and comes short again and again; who knows the great enthusiasms, the great devotions and spends himself in a worth cause; who at the best, knows in the end the triumph of high achievement; and who at the worst if he fails, at least fails while daring greatly, so that his place shall never be with those cold and timid souls who know neither victory nor defeat" - Theodore Roosevelt
ধন্যবাদ।
যথার্থ বলেছেন। ক্ষুদ্রঋণের মাহাত্ম্য সম্পর্কে এ কারণেই ইউনূসের ভক্তদের কাছ থেকে গবেষণাপত্র খুঁজি। ক্ষুদ্রঋণের সুফল বা কুফল নিয়ে কোনো স্টাডিই তারা হাজির করতে পারেন না, শুধু বলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সাথে লক্ষ লক্ষ লোক জড়িত, অথবা বলেন ইউনূসের নাম বৈদেশী টেক্সট বুকে আছে অতএব উনি একজন পয়গম্বর, অথবা বলেন হাসিনা খালেদার দুঃশাসনে সবাই অতিষ্ঠ কাজেই ইউনূস একটা ভালো লোক। ইউনূসের এই ভক্তকূল কিছুতেই ব্যাখ্যা করতে পারেন না, কেন এত গোষ্ঠী ফেলে মনসান্তো কিংবা ভিওলিয়ার মতো দুর্বৃত্ত কর্পোরেট এই সৎ ও খাঁটি নোবেলজয়ীর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে বাংলাদেশে ঢোকে। দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়নের মূলা দেখিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়ে কীভাবে টেলিনর গ্রামীণের ছাল গায়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে, সেটা আমরা দেখেছি। তাই দরিদ্র মানুষদের সামনে রেখে পেছনে নানা হাতসাফাইকে হাগু বলবো না সৎ চেষ্টা বলবো, সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে গেলে ভাবতে হয়।
সাকাচৌ ওআইসির মহাসচিব হওয়ার চেষ্টা করেছিলো কেন, আপনাদের দেখে বুঝতে পারি। একবার একটা আন্তর্জাতিক তকমা লাগিয়ে ফেললে বাপ ডাকার লোকের অভাব হয় না। নোবেল কমিটির কাছে আবেদন, বাংলাদেশে আর কাউকে যেন শান্তিতে নোবেল দেয়া না হয়। হাসিনা-খালেদা-সাকা-এরশাদ নোবেল পেয়ে গেলে খুবই গিয়ানজাম লেগে যাবে।
ঠিক আছে, ধরে নিলাম ক্ষুদ্র ঋন হচ্ছে হাগু। তো এটা কি গ্রামীন ফোন এবং অন্যান্য পুঁজিবাদী, সামন্তবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, গরীবের রক্তচোষা বিদেশী কম্পানীগুলো বাংলাদেশের আসার পর থেকে কিংবা ইউনুস এর নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর থেকে হাগুতে পরিণত হয়েছে নাকি সেই সত্তরের দশক থেকেই হাগু ছিলো? ইউনুস এর "হাত সাফাই" এর ব্যাপারটা কী সেটাও একটু বলেন প্লিজ।
ক্ষুদ্র ঋণ এর দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যররথতা থেকে গন্ধ বেশি বের হচ্ছে নাকি হাসিনা-খালেদার দুই দশকের গুন্ডামী আর দুর্বৃত্তপনা থেকে গন্ধ বের হচ্ছে বেশি।
ভালো কথা, হাসিনা তো ক্ষুদ্র ঋণ এর ব্যর্থতার জন্যে ইউনুস এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে হয় না। ১৯৯৭ সালে মাইক্রোক্রেডিট সম্মেলনে হাসিনা বলেছিলেনঃ
Sheikh Hasina says the campaign to expand the program will be "a critical next step in the effort to reduce and eradicate overall poverty from the face of the Earth."
লিঙ্ক: http://www.jobsletter.org.nz/jbl05510.htm
পয়গম্বর মোহিকান হাসিনার কোন কথাটা বিশ্বাস করবো বলে দিলে বাধিতো থাকবো।
আমি নিশ্চিত ইউনুস আজকে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে কালকে ইউনুস এর ক্ষুদ্র ঋণ পৃথিবীর সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার হয়ে যাবে হাসিনার কাছে।
এই ধরণের সভ্যতা বিবর্জিত মানুষ ইউনুসের মতো একজন মানুষকে হেনস্থা করছে আর কিছু মানুষ সেটার পক্ষে এরকম সাফাই গাইছে ভাবতেই অবাক লাগে।
হাসিনার হয়ে তো আ্মি সাফাই গাচ্ছি না ভাইটু। হাসিনাকে লাস্ট অব দ্য মোহিকানস বানিয়েছেন এই পোস্টের লেখক, হাসিনা সংক্রান্ত আলাপ আপনি তার সঙ্গে গিয়ে করবেন। আমি খালেদা হাসিনা ইউনূসকে ভিন্ন ভাবি না।
এরশাদকে যখন জোটে টানতে পেরেছে, তখন ইউনূসকেও হাসিনা জোটে টানতে পারবে, সেই আস্থা আমার আছে। কিন্তু হাসিনার চোখ দিয়ে আমি ইউনূসকে দেখি না।
আপনি ইউনূসের "হেনস্থা" দেখে বেয়াকুল কারণ আপনার মতো মানুষের রাজনৈতিক ভাবনার প্রতিনিধিদ্ব করার মতো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নাই, ইউনূসকেই আপনি আইন ডিঙিয়ে সত্তর বছর পর্যন্ত কাজ করতে দিতে চান, যদিও বাংলাদেশে বহু গুণী লোককে ৫৭ বছর বা ৬০ বছরেই অবসর নিতে হয়, তাদের নিয়ে আপনার কোনো মাথাব্যথা নাই। আজকে ইউনূসকে পেয়েছেন দেখে কেবলা মানছেন, ইউনূস না থাকলে সামরিক শাসনের জয়গান গাইতেন। জার্মানিতে উচ্চ-মধ্যবিত্তের একটা পার্টি আছে, এফডিপি। ইউনূসের উচিত রাজনৈতিক বাস্তবতাজ্ঞানবিবর্জিত সচ্ছল বাংলাদেশীদের জন্য এরকম একটা পার্টি খুলে অবিলম্বে তাদের রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিনিধিত্ব শুরু করা।
ইউনূসের হাত সাফাই নিয়ে তাহলে বিস্তারিতই লিখবো, অপেক্ষা করেন।
আরেকটা কথা, বাংলাদেশের সবচেয়ে মূর্খ লোকটাও নিজের নামের বানান "বিলাশ" লিখবেন না। শব্দটা "বিলাস"। ছাল গায়ে দিলে ছালটা ঠিকাছে কি না দেখে নিয়েন।
ব্যক্তি আক্রমণের কারণে মন্তব্যের এই জায়গাটায় আপত্তি জানিয়ে গেলাম ! একজন মানুষ তার নাম/নিক কিভাবে লিখবেন-- সেটা তারই বিবেচনা হওয়া উচিত !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
কেউ ছাল গায়ে দিছে কিনা সেটা দেখার জন্য গুগল ইউজ করা মনে হয় খারাপ কাজ না ... করলে দেখতেন এই নামে (সম্ভবত) এই লেখকের একটা ব্লগ আছে গত দুই বছর ধরে ...
বাংলাদেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষ "ধুসর" এর বদলে "ধূসর" লেখবে, আর "তিথীডোর" এর বদলে "তিথিডোর"; কিন্তু তাতে সচলের "ধুসর গোধূলি" বা "তিথীডোর" এর ব্লগিং করার সময় "মূর্খ" উপাধি পেতে হয় না ...
আপত্তিকর মন্তব্য ...
ঠিক ধরেছেন! বিলাশ ভাই শাবিপ্রবি'র কম্পিউটার সায়েন্সের সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্রদের একজন, প্রোগ্রামিং টিমের মেম্বার, জুনিয়রদের জন্য অসম্ভব অনুপ্রেরণাদায়ী, আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রথম ছাত্র হিসেবে মাইক্রোসফটে জয়েন করেছিলেন, পারিবারিক কারণে সেটা ছেড়ে দিয়ে এখন গোল্ডম্যান স্যাক্সে কাজ করছেন ! যে ব্লগের লিংক দিয়েছেন সেটা তাঁরই ব্লগ ! আপনার আপত্তিটুকু জানানোর জন্য ধন্যবাদ !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আপনার কাছ থেকে শিখলাম যে মাইক্রোসফট আর গোল্ডম্যান স্যাক্সের সিল মারা থাকলে গুণী মানুষেরা নামের ভুল বানান নিয়ে ঘুরতে পারেন। আপনারা হাসিনা-খালেদারে সরাইয়া দেশ উদ্ধার করে ফেলবেন ইউনূসরে দিয়ে, আর নামের ভুল বানান ধরায় দিলে চটে উঠবেন। দেশ বদলানোর আগে বিলাশ সাহেবকে নামের বানানটা বদলায় নিতে বইলেন। নাহলে সেটা এই পোস্টের শিরোনামের ইউনুছের মতোই দৃষ্টিকটু দেখায়।
হা হা হা
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
@রাজিব, এখানে বিলাশ ভাইয়ের ব্যাক্তিগত পরিচয় টেনে আনার কোন মানে দেখিনা। ওনার নামের বানান আর ব্লগের নিক কী হবে, সেটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, সেখানে অযাচিতভাবে নামের বানান বদলের পরামর্শ আর "বাংলাদেশের সবচেয়ে মূর্খ" বলাটা আপত্তিকর---ব্যাপারটা এইটুকুতেই থাক।
ঠিক আছে
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
হিমু ভাইয়ের এই মন্তব্য আপত্তিজনক। আমার বাপ মা আমার নাম বালিশ রাখতে যেয়ে বিলাশ রেখেছে না বিলাস রাখতে যেয়ে বিলাশ রেখেছে সেটা একান্তই আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমার নামের বানান আমি লিখি সাফি। কিন্তু অনেকেই লিখে 'শাফি' তখন চুড়ান্ত রকম বিরক্ত হই।
তোর নাম তোর নিজস্ব ব্যাপার এটা তোকে কে বললো? তোর নাম তুই একবার লিখে খালাস, সেটা হাজার জনে লক্ষবার পড়ে। বিলাশ কেন, তুই বিলাষ নাম রেখে ঘোর, সেই স্বাধীনতা তোর আছে, কিন্তু সেটার বানান ভুলই থাকে, সেটা বলার স্বাধীনতাও আমার আছে। বিলাশ নামটা দেখলেই আমার আঞ্জুমানে মফিদুলের কথা মনে পড়ছে। আমার কাছে এই নামের বানান আপত্তিকর।
এখানে আপনি ধরেই নিচ্ছেন যে মূল শব্দটা বিলাস রাখতে যেয়ে বিলাশ রাখা হয়েছে। এই এসাম্পশানের ভিত্তি কি?
এমপিরি।
ইউনূসপ্রেমীদের দেখছি সংশ্লিষ্ট ব্লগ/নোট/রচনায় ইউনূস বিরোধীদের হাসিনাভক্ত বা আওয়ামী হিসেবে চিহ্নিত করে আলাপে অংশ নিচ্ছেন ! কেনু ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অর্থনীতিতে উচ্চতর পড়াশোনা করা এক বড় ভাইয়ের কাছে গবেষণাপত্র চেয়েছিলাম, উনি নিচের লিংকগুলো দিলেন--
http://www.nyu.edu/projects/morduch/index.php?pg=home
http://www.nyu.edu/projects/morduch/documents/file_Roodman_Morduch_Bangladesh.pdf
নিচের বহুল প্রচলিত টেক্সট বইয়ের p 732 (713) তেও গ্রামীন ব্যাংক মডেল নিয়ে আলোচনা আছে--পড়ে দেখতে পারেন --
http://www.scribd.com/doc/24971692/Hal-Varian-Intermediate-Microeconomics-7th-Edition
আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
রাজিব মোস্তাফিজ, পোস্টের মূল কন্টেন্ট মনে হয় আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। ইউনূসের রাজনীতিতে নামা এবং হাঁটুসরকারের আমলে "ইউনূসের রাজনীতিতে নামা" দুইটা দুই জিনিস। গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনীতিতে সবার অংশগ্রহণই দরকার। ইউনূস যেটা করেছেন সেটা হলো হাঁটুসরকারের আমলে কাজটা করে একটা কম্পিটিটিভ এইজ নেবার চেষ্টা। এটা সর্বাংশে গর্হিত কাজ এবং এটা গণতান্ত্রিক অগ্রগতির রাস্তায় প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই পয়েন্টে সুশীল নাগরিকেরা বালিতে মুখ গোঁজা উট।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার এই লেখাটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে -- সরকারের যে পদক্ষেপের সমালোচনা করা উচিত ছিল, আপনি দলীয় আনুগত্যের চশমা পরে সেটার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমার ঔচিত্য বিষয়ে আপনি একটু বেশী সিদ্ধান্তমুলক হয়ে গেলেন না?
আমি তো সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করছি, খোলাখুলি ভাবেই। তাহলে সমালোচনা করবো কেনো? যারা সমর্থন করছেন না, তারা সমালোচনা করে লিখবেন।
আপনি ও চাইলে সমালোচনামুলক পোষ্ট দিতে পারেন। সমস্যা কী? সময় থাকলে ওখানে গিয়ে তর্ক করবো কিন্তু আপনাকে ঔচিত্য শেখাতে যাবোনা, নিশ্চিত।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সহমত ! দু:খিত ! ভালো থাকবেন !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
ইয়াজউদ্দিনকে সরানোর পর পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য ড: ইউনূসকেই প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিল হাঁটুবাহিনী-- কিন্তু উনি রাজনীতি করবেন বলে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেননি । নোবেল পাওয়ার পর আর দেশের তখনকার রাজনৈতিক অবস্থা মিলিয়ে তাঁর তখন হয়ত সেটাকেই উপযুক্ত সময় মনে হয়েছিল । আর তাঁকে তো হাসিনা/খালেদার মত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসতে হত-- নাকি ? তাই কম্পিটিটিভ এজের যুক্তিটা ঠিক মেনে নিতে পারলাম না । তিনি যদি তত্ত্ব সরকারের প্রধান হয়ে যেনতেন উপায়ে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করতেন ( জিয়া আর এরশাদ যেমন করেছিলেন-- কোনো উপায়ে ক্ষমতা নিয়ে তারপর সেটাকে আঁকড়ে রাখা ) তাহলে ভিন্ন কথা ছিল । আর হাসিনা/খালেদার রাজত্বকালে আলাদা করে রাজনৈতিক দল করলে কি হয় তার উদাহরণটুকু তো ড: কামাল হোসেন, বদরুদোজ্জা চৌধুরী আর অলি আহমদরা তৈরি করেই রেখেছেন তাই না ?
আমরা ড: ইউনূস রাজনীতিতে নামতে চেয়েছিল -- এইজন্য তাঁর সমালোচনা করি -- অথচ, হয়ত আমাদের করা উচিত ছিল উল্টোটা -- রাজনীতিতে নামতে চেয়েও কাপুরুষের মত পিছিয়ে যাওয়াটিকে !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
হাঁটু আর মামুদের ইচ্ছা ছিল একটা নতুন দল তৈরি করে সেটাকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করানো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নয়, ইউনূসের যে ভূমিকাটি পালন করার কথা ছিল, সেটি হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান, যে আমলকি-বিম্পিকে সরিয়ে দেশের জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। ইউনূসের নাগরিক শক্তি ছিলো প্রথম ক্যান্ডিডেট। তিনি পিছিয়ে যাবার পর কিছুদিন রাজনৈতিক ক্লাউন কোরেশীর পিডিপিকে আমরা মিডিয়ায় চিলুবিলু করতে দেখেছি। এরপর যখন দেখা গেলো হালে পানি পাওয়া যাচ্ছে না, তখন হাঁটু আর মামু দুই দলই পিছিয়ে এসে সেই আমলকি বিম্পিকেই সুযোগ করে দেয় আবার।
ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নিয়ে যা কিছু করেছেন, রাষ্ট্র আর সরকারের বিপুল পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েই করেছেন। নিজের জনভিত্তি নিয়ে ধারণা আছে বলেই তিনি তার হাস্যকর নাগরিক শক্তিকে শৈশবেই মোজেসের মতো নদীতে ভাসিয়ে নিজের কাজে ফিরে গেছেন।
সে সময় সচলে লিখেছিলাম-
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কম্পিটিটিভ এইজের কথা মাথায় না থাকলে এবং রাজনীতি বিষয়ে ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে কেন উনি পরবর্তীতে দল খুললেন না? উনি ভেবেছিলেন গ্যাড়াকলে পড়ে থাকা আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ডিঙিয়ে জাতীয় পার্টি টাইপ কিছু একটা বানাবেন। স্বপ্ন হয়নি সত্যি। আহারে ..
এই মন্তব্যে কী বোঝালেন? আপনি কী বলতে চাচ্ছেন হাসিনা আর খালেদার কারণে এই দলগুলো দাড়ায়নি? আমার তো ভিন্ন ধারনা। এদের নির্দিষ্ট কোন পলিটিক্যাল মতাদর্শিক বক্তব্য কখনোই ছিলো না। মতাদর্শিক বক্তব্য না থাকলে একটা পার্টি দাড়ায় কী করে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইসব লোকজনের সময় করে জানা উচিত পাকিস্তান আমলের সামরিক দুঃশাসনের ভিতরে থেকে কি করে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান ঘটেছিলো তারপর কামাল- বদরু-অলি-ইউনূসের রাজনীতির জন্য কান্নাকাটি করা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"বেরিয়ে আসতে পেরেছে কিন্তু এর পরম্পরা যে ফুরিয়েছে যে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেই কেননা বিশ্ব মোড়লেরা এখন নির্বাচিত সরকারগুলোকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখছেনা অন্ততঃ যেখানে মনমতো মডেল প্রস্তুত আছে। ফখরুদ্দীন, মইনউদ্দীন দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু ইউনুস রয়ে গেছেন তার জোরালো কানেকশন, আন্তর্জাতিক ইমেজ আর ধুর্ত কৌশলের বদৌলতে।"
ভাই এতো ষড়যন্ত্র দেখছেন চারদিকে আপনি? মনমতো মডেলটি কী একটু বলেন। ইউনুস এর ধূর্ত কৌশলটার কথাও বলেন। প্লাস, ইউনুস এর ধূর্ত কৌশলের বিপরীতে হাসিনা-খালেদার ফেরেশতাসুলভ কর্মকান্ডের কথাও একটু বলেন, শুনি। মানে তারেক-বাবর-হাওয়া ভবনের কুকীর্তির কথা না, কিংবা হাসিনার স্নেহভাজন হাজারী কিংবা ছাত্রলীগের গুন্ডামীর কথা না, ধূর্ত ইউনুস আর ফেরেশতা হাসিনা খালেদার কথা শুনতে চাচ্ছিলাম। ধন্যবাদ।
ভালো কথা, নোবেল পেলেই যেমন কেউ আইনের উর্ধে চলে যায়না, তেমনি নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হলেই কেউ ফেরেশতা হয়ে যায় না। জয়নাল হাজারী, সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী, নিজামী এরা সবাই নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি।
ধন্যবাদ।
এতো বলার, শুনানোর, বুঝানোর আবদার করলে তো চলবেনা ভায়া। এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষ নয় যে, হাতে ধরে বুঝিয়ে দিতে হবে।
যা বলার পোষ্টে এবং মন্তব্যে বলেছি। পাঠক হিসেবে আপনি আপনার মতামত দিতে পারেন, চাইলে অতিথি লেখক হিসেবে পোষ্ট ও দিতে পারেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই মন্তব্যটা পছন্দ হলোনা। পোস্টে উল্লিখিত 'ধূর্ত কৌশল' সম্পর্কে পাঠক জানতে চাইতেই পারে। লেখক হিসেবে আপনি লেখার সপক্ষে যুক্তি দেখাতে না পারলে/চাইলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার কিন্তু আপনার লেখক সত্ত্বার ব্যার্থতা এবং লেখার গুরুত্বহননকারী।
হাসিব, পোস্টের বক্তব্যটা মনে হয় অনেকেই বুঝেছে।আমার কাছে যেটা খটকা লেগেছে, সেটা হলো "ইউনুস" মডেলের সাথে "হাসিনা-খালেদা" মডেলকে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে দাড় করানোর চেষ্টা।
তাদের রাজনৈতিক আদর্শ কতটা বিপরীতমুখি কিংবা আদৌ কি বিপরীতমুখি!
আমার'তো মনে হয়না।হয়তোবা আমি অতিরিক্ত জাজমেন্টাল এখানে।
ইউনুসকে দিয়ে যে পারপাজ সার্ভ করানো সম্ভব তার কোনটা হাসিনা/খালেদা দিয়ে সম্ভব না!
ওয়েল, পার্থক্য অবশ্যই আছে।হাসান সাহেব যেমন বলেছেন ইউনুসের ক্ষেত্রে "আগে ক্ষমতা, পরে রাজনীতি" হাসিনা-খালেদার ক্ষেত্রে ছিলো- "আগে রাজনীতি, পরে ক্ষমতা"।কিন্তু হাসিনা-খালেদা যে সংগ্রামের মধ্যে ক্ষমতায় এসেছেন, সেটাতে তাদের এখন আদৌ "বিশ্বাস" কিংবা "আস্থা" আছে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
তাদের সাহচর্যে কিংবা সভাসদদের মধ্যে কয়জন আছে যারা "আগে রাজনীতি-পরে ক্ষমতা" এই মডেলের রাজনীতিক আর কতো জনা "আগে ক্ষমতা, পরে রাজনীতিক" এই মডেলের!
তৌফিক-এলাহি,এইচ টি ইমাম, মাহমুদুর রহমান, এমন উদাহরণ অনেক।
একটু হিসাব করে দেখুন "আগে ক্ষমতা-পরে রাজনীতি" এমনটাই বেশি পাবেন!
আর জনসম্পৃক্ততা'র সংজ্ঞায়ন ও দরকার।জোট সরকারের আমলে তারেক জিয়া প্রায় সপ্তাহান্তে বগুড়া আসতেন।মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মিদের সাথে আদাব-কুশল বিনিময়, একসংগে খানাপিনা কম করেন নাই।বগুড়ার তরুনদের মাঝে এতও দূর্ণীতির অভিযোগ(অভিযোগ না, প্রামান্য) সত্বেও সে জনপ্রিয়!
এখন কি তারেক-জয়'এর তুলনামুলক বিচারে তারেক'কে এগিয়ে রাখবো কারন তার জনসম্পৃক্ততা জয়ের চেয়ে বেশি!
ইউনুসকে অপসারণ ঠিক আছে।কিন্তু সেটা হাসিনা'র অনেক-ভেবে চিন্তে নেয়া "রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত" এবং সেই জন্য তাকে লাষ্ট মোহিকান বলা-আওয়ামী ভক্তিরই নিদর্শন।এজন্য হাসিনাকে কোন কৃতিত্ব দিতে আমি অন্ত:ত অপারগ।
আচ্ছা , ইউনুস যদি আ'লীগে জয়েন করতে চাইতেন তাহলে কি হতো!
আমার ধারণা হাসিনা সরকার তাকে বড়সড়ো মন্ত্রালয় দিয়েই পুরস্কৃত করতেন।যেমন শশি থারুরকে করেছিলেন ভারতীয় কংগ্রসে সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে।
শিমুল, প্রথম তিনটা লাইন বাদে বিশাল মন্তব্যের বাকিটা আমার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক না। কারণ আমি তারেক জয় হাসিনা খালেদা নিয়ে কোন তর্কে যাইনি। এগুলো যে এক গোয়ালের গরু এইটাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। কয়েকদিন আগে হাসিনা ঠিকঠাকমতো ফতোয়া দিলে ঠিকাছে বলে আসছেন। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ সরাতে পারেন নাই। সেইটা প্রকাশ নিয়ে আবার তুঘলকি কান্ড হচ্ছে। খালেদা পরিবারের কথা বলাইবাহুল্য।
ইউনুস মডেল নামে আলাদা একটা মডেল করা যায় অবশ্যই। উপরে হিমু যেরকম জার্মানির এফডিপির উদাহরণ দিলো সেরকম কিছু একটা হবে। উচ্চমধ্যবিত্ত, রাজনীতি বিমুখ নিও লিবারেল ইত্যাদির একটা ঘোট জাতীয় কিছু দাড়াবে হয়তো। এই শ্রেনীটা কোনভাবেই নিম্মবিত্ত প্রতিনিধিত্ব করে না। প্রকল্পের নামে যত্রতত্র উচ্ছেদ, পপুলিস্ট উন্নয়ন পদ্ধতির বিরুদ্ধে এদের কোনভাবেই কখনো দেখা যায়নি। এবং এই গ্রুপটা এসেছিলো সামরিক শাসকের ছত্রছায়ায়। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাহীন এইসব নিওলিবারেল সমর্থকদের কোন ধারণাই নেই কেন সামরিক শাসনের ছায়ায় গড়ে ওঠা ধারণাগুলো ক্ষতিকর।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মন্তব্য করবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না। প্রথমেই ডিসক্লেইমার দিয়ে নেই--হাসান মোরশেদ ভাইয়ের রাজনৈতিক লেখার সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার নেই। তাই মন্তব্য অফটপিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপরে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের সবার মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি। যেমনটা অনেকেই বলেছেন, হাসান মোরশেদ ভাইয়ের রাজনৈতিক লেখার বিশ্লেষণী ধরণটার জন্য অনেকেই তার লেখার ভক্ত। এসব নিয়ে তার পড়াশোনা আছে বলে ধারণা করি, নতুবা এভাবে লেখা সম্ভব নয়। সে কারণেই হয়তো পাঠক সেখানে নিরপেক্ষতা খোঁজেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি হাসান মোরশেদের বিশ্লেষণ চমৎকার হলেও উনি নিরপেক্ষ নন। কারো পক্ষে কি নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব? আমি নিজেই তো নিরপেক্ষ নই। কিন্তু কোন ঘটনা নিয়ে লিখতে গেলে আমাদের যেটা দরকার তা হলো নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করা; একটা বিবেকের দায়বদ্ধতা তৈরী করে নেয়া। সেদিক থেকে এই প্রবন্ধে লেখক একটা পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছেন-- আর সেখানেই অনেকের আপত্তি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আপত্তি করছিনা, কারণ আমি জানি হাসান মোরশেদ-এর সফট অনুভূতির কথা (উনি নিজেই তার লেখার লিংক দিয়েছেন)। কিন্তু একটা কথা এই প্রসঙ্গে বলতে চাই তা হলো সরকারের সমালোচনাও মাঝে মাঝে করা উচিত (অন্য লেখার মাধ্যমে, এই লেখার কথা বলছি না)। যদিও কোন একটা পক্ষের প্রতি কোমল অনুভূতি থাকলে সেই পক্ষের সমালোচনা করা কঠিন, আমার মতো পাঠক আপনার লেখনিতে সরকারের সমালোচনাও পড়তে চায়। পাঠক হিসেবে সেটা কি একটু বেশি চাওয়া?
আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন নানা সময়ে নানা ভাবে আমি বলতে চেয়েছি সচলায়তনে যারা ভালো লেখেন তারা যেন সরকারের ভুলগুলো তুলে ধরতে ভুলে না যান। একটা উদাহরণ দিতে চাই: বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে মোরশেদ ভাই পূর্ববর্তী সরকারে সময়ে যতটা উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, এখন ঠিক ততটাই নিষ্প্রভ। কিছুদিন আগে এ প্রসঙ্গে একটা লেখা উনি লিখেছেন, কিন্তু সেখানে কড়া সমালোচনার চেয়ে খানিকটা হতাশাই ফুটে উঠেছে। আমি মনে করি সেটাও লেখকের একটা দূর্বলতা।
যা বলতে চাইলাম সেটা বোঝাতে পারলাম না বোধহয়। মন্তব্যটি মনে হয় মোরশেদ ভাইয়ের সমালোচনায় পরিণত হলো (যা করার যোগ্যতা আমার নাই, তা আগেই বলেছি)। পাঠক হিসেবে আমার কিছু আকাংখার কথাই বলা হলো কেবল। দুয়ে দুয়ে চার কেবল বিজ্ঞানেই হয়।
ঠিকাছে
তবে ২০০৭/০৮ এ ধর্মজীবিদের সাথে হাসিনার গাঁটছড়ার নিন্দাজ্ঞাপন করে লিখেছিলাম, আর্কাইভ ঘাঁটলে পাওয়া যাবে। ঘাঁটাঘাটির ইচ্ছে করছেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হুম, মনে পড়ছে
হাসান ভাই যদি আপ্নার মতে, "নিরপেক্ষ" না হন এবং কারো পক্ষে "নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব" না হয় তবে, কেন/কিভাবে উনি "নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা" করবেন ?
আরেকটা প্রশ্ন নিরপেক্ষতা ব্যাপারটি আসলে কি এবং কেন এটা জরুরি ?
সরি, এসব প্রশ্ন করে আমি আসলে নিজে একটু বুঝতে চাইছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই, মন্তব্যটি কিন্তু স্ববিরোধী নয়। সবারই যেহেতু একটা পক্ষ আছে, তাই নিরপেক্ষতা একটা ভ্রান্ত ধারনা। তবে লেখার মধ্যে সেই পক্ষপাত না চলে আসাকেই নিরপেক্ষ থাকা বুঝিয়েছি। পক্ষে অবস্থান নিয়েও আমার মনে হয় লেখায় নিরপক্ষে থাকা যায়। আশা করি কিছুটা হলেও পরিস্কার করতে পেরেছি।
নিরপেক্ষতা কেন দরকার? আমরা যেহেতু কেউ নিরপেক্ষ নই, সেহেতু অন্যের লেখায় নিরপেক্ষতা খুঁজি (হা হা হা, মজা করলাম)
কিন্তু হাসান ভাই যদি তার পক্ষপাত তুলে ধরতেই এই পোষ্টটি লিখে থাকেন সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা তার পোষ্টের উদ্দেশ্যই তো বিঘ্ন ঘটায় । কই হাছা কইলাম না মিছা কইলাম ?
তবে, আপনার যা ভালু লাগেনি তা’ আমারও ভালু লাগেনি । অন্ধভক্তিতে আমারও বিরক্তি - তা’ হাসিনায় হোক বা ইউনূসে । কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কি বা করার আছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ইহা ইস্যুভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব । প্রকৃতিপ্রেমিক সেটা বুঝেন।
মন্তব্য নং ১৫৬ 'র শেষ প্যারাটাই আসল।
আমরা নিজেরা এভারেজ সব মানুষ, আশা করে বসে থাকি রাজনীতিবিদরা হবে মহামানব আর রাজনীতির দুপয়সার লেখকরা পাল্লা মেপে দাঁড়িয়ে থাকবে ধর্ম ও জিরাফের ঠিক মাঝখানে।
আর মানিক ভাই দেখেন তো এ যুগের ইউনুস ভক্তদের সাথে প্রস্তরযুগের ছাগুপোনাদের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে কিনা? আলোচনার মুল বিষয়কে আড়াল করতে পার্শ্ব থেকে ইস্যু টেনে এনে ক্রমাগত ত্যানা প্যাঁচানো
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ইহা যে "ইস্যুভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব" সেটা প্রকৃতিপ্রেমিক বুঝেন, এ অধম বুঝে নাই বলতে চাইলেন ? যে ইস্যু বা মডেলে আপনার পক্ষপাত সেটাতে আমিও নিরপেক্ষ নই , তাছাড়া ইউনূসের রাজনীতি ও বানিজ্যের বিপক্ষেই আমার অবস্থান ।
হ । ত্যানা প্যাঁচানো ছাগু চিহ্ন
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হাচাই কইছেন। হাসান ভাই যদি তা-ই করে থাকে তাহলে তো কিছুই করার নাই। মন্তব্যে পাঠক তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন, ব্যস, শেষ
একমত। এ বিষয়ে আমার অবস্থান হলো ইউনূস মিয়া অন্যায় করলে তার পক্ষে আমি নাই। কিন্তু মোটিভটা যদি অসৎ হয় তাহলে সেই অসৎ মোটিভের সমালোচনা আমি করি।
ঠিকাছে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
যতটুকু বুঝেছি...লেখাটি পড়ে পাঠককুল লেখক আম্লীগ না বিএম্পি সেইটা নিয়েই চিন্তিত বেশি। লেখক যে ধারাটির কথা বলতে চেয়েছেন তা নিয়ে আলাপ কম বা দায়সারা। গাফ্ফার চৌধুরী আম্লীগ সাপোর্টার বলে আমি ফেব্রুয়ারি গান না গেয়ে অন্য কোন বগল বাজাই না। নিশ্চই আপনারাও না।
আমার প্রথম কথা, দুনিয়ার তাবত বড়-বড় গোয়েন্দা সংস্থা(যাদি আম্রিকান হয় তাইলে তো...) কোন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অন্তত এক বছর এগিয়ে থাকে। সেই সুত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্রাইসিস এবং ইউনূস সাহেবের নোবেল প্রাপ্তির একটি টাইমলাইন খুব মিলে যায়।
প্রথম কথার সুত্র ধরে দ্বিতীয় কথা, বাংলাদেশী কোন ব্যাটস্ম্যানের ব্যাটে লেগে নাকি মাথায় লেগে চার রান স্কোরবোর্ডে যোগ হলো তা নিয়ে আমি চিন্তিত না, স্কোরবোর্ডটাই বড়...ইউনূসকে ফুলের মালা দিয়ে নাকি গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে বিদায় দেয়া হলো, বিদায় কে দিল তাতেও আমি চিন্তিত না...বিদায় হয়েছে বা হবে এটাই বড়।
- দিগন্ত বাহার।
সারকথা এটাই। মাঝখানে কোণ ধূসর এলাকা নাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন