মৃন্ময়কে গল্প বলি।
ঐ যে নীল পাহাড় ঘিরে আছে আমাদের শহর, কাছে যেতে যেতে সেটা ক্রমশঃ সবুজ হতে থাকে। সেই পাহাড়ের ঢালে বসতি মৃন্ময়ের বয়সী এক শিশু মনা। মনার মা-বাবা-দাদা-দাদী সবাই মিলে চাষবাস করে, মনা ও কাজ করে-গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
পাহাড়ের ঐ ঢাল ভাগ হয়ে গেছে দুই দেশে। আলাদা কোন সীমান্ত নেই। দুইপাশের মানুষ নিজেদের সমঝোতায় একটা বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। মনা থাকে বেড়ার ঐপাড়ে, এই পাড়ে তার বন্ধুরা। এইপাড়ের গরু-ছাগল প্রায়শঃ চলে যায় ঐ পাড়ে। মনার কাজ লাঠি নিয়ে পাহারা দেয়া, এপাড়ের গরু ছাগল তাদের কষ্টের ফসল নষ্ট করতে না পারে সতর্ক চোখ রাখা । মনাকে ফাঁকি দিয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দুএকটা চলে গেলে তখনই বিপত্তি। বাবা-দাদারা ধরে নিয়ে আটকে রাখে। তখন মনার এপাড়ের বন্ধুদের বাবা-চাচারা ও বেড়া ডিঙ্গিয়ে ঐপাড়ে গিয়ে অনুরোধ করে, টাকা পয়সার বিনিময়ে ছুটিয়ে নিয়ে আসে তাদের গরু-ছাগল।
মনা'রা স্নান করে, মনা'রা পান করে এক আশ্চর্য্য রূপবতী ঝর্ণার জল।
দৃশ্যতঃ নয় তবু সীমান্ত নামের শক্ত দেয়াল সেই রূপবতীকে অধরা করে রাখে আমাদের জন্য। ঐপাড়ের মনা আর এপারের মনার বন্ধুরা এখনো নিজেদের মধ্যে সীমান্তের দেয়াল গড়ে তুলেনি। তাই আমরা ও এক অত্যাশ্চর্য্য সুযোগ পেয়ে যাই এই শিশুদের কল্যানে- সেই রূপবতীকে স্পর্শের।
মন্তব্য
লেখায়, ছবিতে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দিন দুয়েকের জন্য চলে আসেন মিয়া।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জায়গাটা স্বর্গীয় সুন্দর। ছবি ও লেখাও অনবদ্য হয়েছে, মোরশেদ ভাই।
'এ পাহাড় সুরমার ঘ্রাণ ...'
সুমন, পাহাড়ের কাছে গেলে শিলংকে খুব মনে পড়ে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমারও মোরশেদ ভাই। আপনি যখন পাহাড়ের ছবি দেখান, সেগুলো চুপচাপ দেখি। টের পাই, বুকের কোনো এক অজানা জায়গায় স্মৃতিগুলো আটকে আছে। কে যেনো ভেতরে স্বগতোক্তি করে ওঠে -
"শিলং! শিলং! আমার সে কবেকার আশ্চর্য জীবন!"
ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে রইলাম অনেক্ষণ..............
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মোরশেদ ভাই, অনবদ্য! ছবিগুলো এই দারুন খরতাপ দুপুরে শীতল সজীব বাতাস দিয়ে গেলো! ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ। আসেন, ঘুরে যান।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আসবো, আপনাকে খুঁজে বের করবো তারপর নজমুল আলবাব ভাইয়ের মটরবাইকে করে দে ছুট! আামার শৈশশবের একটা অংশ কেটেছে সিলেটে, শাহগলিবাজার বলে একটা জায়াগায়, সেখানের একটি পরিবারের সাথে আমাদের এখনও দারুন যোগাযোগ। চারমাস আগেও আবার ঘুরে এসেছি সারি নদীর জলে! আাপনাকে খুঁজবো কোথায়?
সব গুলা অসাধারণ
খুব যত্ন করে HDR করেছেন শেষের দিক থেকে চার নম্বার টাতে
আপনার পোস্টে ছবিতে মন্তব্য নতুন করে লাভ নাই আপনি হলে পুরান ঝুনা নারিকেল, সব কিছুতেই এক্সপার্ট। আপনার জায়গায় হলে আমি হাসের উপ্রের ছবিটাতে একটা লং সাটার ছবি নিতাম তাহলে পানি গুলা ব্লর হলে কেমন দেখাত সেটা নিয়ে নানান কারুকায করা জেত
যাই হউক ভালো লাগাটা জানিয়ে গেলাম
মাহমুদ
বি দ্রঃ মৃন্ময় কে গল্প বলি................ কিন্তু মৃন্ময় উত্তরে কি বলে সেইটা তো বললেন না
পুরান ঠিকাছি তবে ঝুনা নারে ভাই, অন্ততঃ ফটোগ্রাফিতে আমি একেবারেই নবিশ।
HDR আমি করিনা। বেশ সময় লাগে, ধৈর্য্যে কুলোয়না আর ফটোশপ ও পারিনা তবে এই ছবিতে একটা ফিল্টার আছে। আসলে এইসব জায়গায় আলো ঠিক থাকলে ছবি এমনিতেই সুন্দর হয়, ফটোগ্রাফারের তেমন কোন ক্রেডিট থাকেনা।
** মৃন্ময় হয়তো একদিন নিজেই তার উত্তরগুলো লিখবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দারুন ! যেতে ইচ্ছা করছে।
মাঝে মাঝে আফসোস হয় ভেবে যে আমার মা-বাবা কি দারুন জায়গাতেই না তাঁদের বাল্যকাল কাটিয়েছেন আর আমি সেটা কি নিদারুন মিস করেছি। অবশ্য আমাদের এলাকা ফেঞ্চুগঞ্জ, চুরখাই আর শহরের দিকে। ওদিকে এত সুন্দর পাহাড়-টিলা ছিল কিনা জানি না (৩০-৪০ দশকে)। তবে সুরমা আর হাকালুকি তো ছিলই !
কী আশ্চর্য সবুজ একটা লেখা। ছবিগুলো চমৎকার এসেছে। আপনার কাছ থেকে আরো ছবি পোস্ট চাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভালো লেগেছে বরাবরের মতোই। লেখা আরেকটু বিস্তারিত হলে আরেকটু মনে হয় ভালো হতো। অন্তত আমার মতো যারা কখোনোই সিলেট যাইনি, তাদের জন্যে। পাহাড়, নদী, মাঠ, ঝর্ণার সন্মিলন, প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুর্দান্ত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাসাই ভাই ছবিগুলো দেখে আমি পুরাই স্পিচলেস। জানিনা কবে এখানে যেতে পারবো। তবে সময় সুযোগ হলে ছাড়বোনা নিশ্চয়।
মোরশেদ ভাই আপনারে কেমনে খুউজা পামু হেইডা একটু কন, আর যাওয়ার রাস্তাটা একটু বাতলে দ্যান।
খুব শীঘ্র চলে আসতে পারি।
যারা যারা যাইতে চান আওয়াজ তোলেন।
আমার স্থায়ী ঠিকানা সচলায়তন। এখানেই খুঁজে পাবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পাহাড়ের গায়ে ব্রিজ দেখে মনে পড়লো, গেসিলাম একবার! জায়গা খুব ভালো লেগেছে। আর যাওয়ার পথটাও দারুণ!
পান্থ, এটা কিন্তু ডাউকী ব্রিজ না যা জাফলং থেকে দেখা যায়। এটি ভার্জিন প্লেস
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দারুন দারুন দারুন !!!
কিন্তু কি করে যেতে হয়, কোথায় থাকা যায় এসব জানতে ইচ্ছে করছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সিলেট শহরেই থাকবেন। শহর থেকে ঘন্টা দুয়েকের পথ। শহর থেকে সকালবেলা রওয়ানা দিলে এই জায়গা, জাফলং, লালাখাল একসাথে ঘুরে আসতে পারবেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুর্দান্ত কিছু শট নিলেন রে ভাই ! ব্রীজটা দেখে ডাউকির কথা মনে পড়ে যায় !
আর এটাও বুঝতে পারছি, এবার পয়েন্ট শটটাও ফেলে দিতে হবে আমার !! কিন্তু....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পাংথুমাই যেতে মন চায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ!
প্রথম ছবিটা দেখেই তব্দা খেয়ে থেকে গিয়েছিলাম...
বেশ অনেকক্ষণ পরে, এদিক সেদিক আরও কিছু পোস্ট ঘুরে এসে তারপর আবার মন্তব্যের বক্সে ফিরে এলাম ...
এইখানে যেতে না পারলে তো মরে যাবো মনে হচ্ছে ...
মৃন্ময় আর মৃত্তিককে আদর দিয়েন, ভাবিকে শুভেচ্ছা। আর ধুরু! এ বছর যে সিলেট যেতে পারি নাই এখনো সেই দুঃখটা উস্কে দেয়ায় আপনি নিজে বিশাল মাইনাস নেন একটা...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অস্থির তো!!!!
-বৃদ্ধ কিশোর
নতুন মন্তব্য করুন