থ্যাকারে সাহেব সেইসব ভাগ্যসন্ধানী ইংরেজদের একজন যারা মুলতঃ পয়সার লোভে সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে নয়া উপনিবেশ বঙ্গদেশে আসার ঝুঁকি নিয়েছিলো। সুযোগ বারবার আসেনা, থ্যাকারে ও সুযোগ হাতছাড়া করলেন না।কোম্পানীর জন্য রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি নিজেই শুরু করলেন চুনাপাথর সরবরাহের ব্যবসা। এর মধ্যে পেলেন সিলেট থেকে বিহারে ৬০ টি হাতী পাঠানোর টেন্ডার। হাতী যাবে বিহারের বেলগ্রামে। থ্যাকারে সিলেটের পাহাড় জঙ্গল থেকে ৬০ টি হাতী সংগ্রহ করে পাঠালেন প্রথমে পাটনা, পাটনায় তার ভাই বেরাদরের কাছ থেকে '৬০টি হাতি বুঝিয়া পাইলাম' রশিদ ও সংগ্রহ করলেন কিন্তু বেলগ্রামে গেলো মোটে ১৬টি!
নয়া উপনিবেশের রক্তমাংস খেতে ইয়াং ইংলিশদের নিজেদের মধ্যে ও তখন কামড়াকামড়ি। গেলো চাকরী থ্যাকারে সাহেবের কিন্তু থ্যাকারে ও কম না। ক্ষতিপুরন চেয়ে মামলা ঠুকলো কোম্পানীর বিরুদ্ধে। চাকরী ফেরত পাওয়া গেলোনা তবে ২৯,৪২৭ টাকার ডিক্রী পান।
১৭৭৭ সালে থ্যাকারে যখন বিলাত ফেরত যান বয়স তখন মাত্র সাতাশ, পকেটে নগদ দুইলক্ষ টাকা। এই থ্যাকারে সাহেবের নাতি গত শতকের বিখ্যাত ইংলিশ উপন্যাসিক উইলিয়াম মেকপিস থ্যাকারে।
এবার বলা যাক লিন্ডসে সাহেবের গল্প।
থ্যাকারে বিদায়ের পর কিছুদিন ছিলেন মিঃ হলাণ্ড। হলান্ড সাহেব এ জেলার রাজস্ব নির্ধারন করেছিলেন বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকা এবং দাপ্তরিক নোট দিয়েছিলেন ' এই জেলার লোকেরা সহজ না এবং রাজস্ব আদায় ও সহজ হইবে না'
রবার্ট লিন্ডসে ১৭৭৮ সালে সিলেটে আসেন। তার নিজের লেখায় সিলেটের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ঢাকা থেকে নৌকা করে টানা সাতদিন চলার পর তিনি এসে পৌঁছান ছাতকে। সম্ভবতঃ মেঘনা নদী বেয়ে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জের হাওর পাড়ি দিয়ে তারা ছাতক এসেছিলেন কারন তার নিজের বর্ণনাতেই পাওয়া যায়- হাওর এতো বিশাল যে তাকে সামুদ্রিক কম্পাস ব্যবহার করতে হয়েছিলো। সিলেটের আমলারা ছাতকে থেকে বিশাল সম্বর্ধনা দিয়ে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সিলেটে। সিলেট পৌঁছার পর প্রথা মেনে তাকে খালি পায়ে ঢুকতে হয়েছিলো হযরত শাহজালালের মাজারে, সিলেটের শাসকদের জন্য যা অবশ্য মান্য প্রথা হিসেবে চালু ছিলো তার ও চারশো বছর আগে থেকে।
সমুদ্রদূরবর্তী অঞ্চল হলে ও সিলেটের পাহাড়ে নৌকা ও জাহাজের নির্মানের উপযুক্ত কাঠ পাওয়া যেতো আর জাহাজের প্রতি ছিলো লিন্ডসের আগ্রহ। স্থানীয় সূত্রধরদের দিয়ে তিনি একে একে আটটি সমুদ্রগ্রামী জাহাজ বানান The Sylhet, The Augusta, The Beauty, The Highland Queen, The Tiger, The Buffalo and Rhinoceros। এদের মধ্যে The Augusta ছিলো সর্ববৃহৎ, চারশো টন মাল টানতে পারতো এবং কামান বসানো ছিলো আঠারোটি। মাদ্রাজে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে এই জাহাজে করে বরিশাল থেকে ১৫০০০ হাজার বস্তা চাল পাঠানো হয়েছিলো বঙ্গোপসাগর ধরে। জাহাজ বিক্রী করে ভালো পয়সা কামালে ও লিন্ডসে মা খুব খুশী ছিলেন না পুত্রের এই কর্মদক্ষতায়। পুত্রকে চিঠি লিখেন- 'বাবা রবার্ট শুনতে পেলাম তুমি একজন উঁচুদরের জাহাজ নির্মাতা হয়েছো। এ বিষয়ে তোমার কুশলতায় আমি সন্দিহান নই কিন্তু তুমি আর যাই করো নিজের হাতে গড়া জাহাজে কিন্তু বিলাতে আসার চেষ্টা করোনা'
সিলেটিদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে লিন্ডসে লিখেছেন- 'জাহাজ নির্মানে আমার সফলতা সিলেটিদের বুদ্ধিমত্তার ফলশ্রুতি'
লিন্ডসের বার্ষিক বেতন মাত্র ৫০০০ হাজার টাকা। এত দূর দেশে এসে এই টাকায় পোষায়না। তাই লিন্ডসে ও মন দিলেন পূর্বসূরীদের মতো চুন বানানোর ব্যবসায়। বুদ্ধিমান তরুন লিন্ডসে দেখলেন চুনশিল্পের মুল কাঁচামাল আসলে পাড়ুয়া সংলগ্ন সুউচ্চ পাহাড়ে লুকিয়ে আছে- ঐ পাহাড় তখনো কোম্পানীর দখলে না। লিন্ডসে সিদ্ধান্ত নিলেন ঐ পাহাড়ের আদিবাসী রাজাদের সাথে চুক্তি করতে হবে। ভোলাগঞ্জ আসলেন লিন্ডসে, তার নিজের বর্ননায় বলেন- প্রকৃতির এমন রুপমাধুরী আর কথাও নেই, এ যেন ভূ-স্বর্গ, পাহাড়ের গায়ে মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত, নদীর জল স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ কিন্তু অধিবাসীরা অদম্য। এই অদম্য খাসিয়াদের সাথেই 'বন্ধুত্ব' করে চুনাপাথর সরবরাহের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেললেন ধুর্ত লিন্ডসে।
ব্যবসা বানিজ্যে দারুন সফল হলে ও লিন্ডসের সিলেট শাসন খুব সহজ ছিলোনা। ১৭৮২ সালে মহররমের সময় সিলেটের মুসলমানরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক বিদ্রোহ করে। বর্তমানে শাহী ঈদগার কাছে টিলার ঢালে পীরজাদার নেতৃত্বে ৩০০ মুসলমান সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হন ইংরেজদের সাথে। পীরজাদা ও লিন্ডসের মধ্যে তলোয়ার যুদ্ধে লিন্ডসে তলোয়ার ভেঙ্গে গেলে, পীরজাদার বুকে গুলী চালান লিন্ডসে। পীরজাদা ও তার দুইভাই সৈয়দ হাদী ও সৈয়দ মাদী নিহত হন। তাঁদের কবর আছে অনতিদূরের মানিকপীরের টিলায়।
মুসলমানদের বিদ্রোহের পর লিন্ডস'কে মোকাবেলা করতে হয় নবাব রাধারাম এর। রাধারমা দক্ষিন-পূর্ব সিলেটের ত্রিপুরা সংলগ্ন পাহাড় জঙ্গল আবাদ করে নিজের জমিদারী পত্তন করেছিলেন- পাহাড়ের আদিবাসী কুকিদের তার সৈন্যদলে ভুক্ত করে রাধারাম শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন। ১৭৮৬ সালে তিনি কোম্পানীকে কর দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং নিজেকে স্বাধীন ঘোষনা করেন। লিন্ডসের হুকুমে লেফটেনেন্ট ডেভিডসনের নেতৃত্বে দুইশতাধিক বন্দুকধারী সৈনিক রাধারামকে দমনে অগ্রসর হয়। শনবিলের দুইপাড়ে যুদ্ধবাধে। রাধারামের কুকি সৈন্যদের আক্রমনে কোম্পানী সৈন্য পিছু হটে। লিন্ডসে আবারো বড় অভিযান চালান, কিন্তু আবারো ব্যর্থ।
বারবার ব্যর্থ হয়ে ইংরেজরা এবার তাদের আসল কৌশল অবলম্বন করলো। রাধারামের ঘনিষ্ঠবন্ধু কানুরাম চৌধুরীকে ঘুষ দিয়ে জেনে গেলো তার রাজধানী চরগোলা'য় স্থলপথে প্রবেশের গোপন পথ। ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এবার ইংরেজ বাহিনী অতর্কিতে আক্রমন করলো অপ্রস্তুত রাধারামের বাহিনীর উপর। কুকি'রা বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করলে ও এবার তাদের পরাজিত হতে হলো, রাধারাম ছদ্মবেশে পালালেন। পরে ধরা পড়লেন এক বারুনীর মেলায়। লোহার পিঞ্জিরায় বন্দী করে তাকে সিলেট শহরে পাঠানো হয় কিন্তু বিদ্রোহী রাধারাম শহরে পৌঁছানোর আগেই আত্মহত্যা করেন। রাধারামের রাজধানী ভূমিস্যাৎ করা হয়। গ্রাম্য গাঁথায় বেঁচে থাকেন রাধারামঃ
'কান্দেরে চরগোলার লোক দেশ দেশান্তর
জয়মঙ্গল আসিয়া যবে চরগোলা নগর
ডোম চাড়ালে মিলিয়ারে বানাইয়া দিমু ঘর'
জয়মঙ্গল, রাধারামের পুত্র। ধৃত হয়েছিলেন বাবার সাথেই। মানুষের আশাবাদ ছিলো জয়মঙ্গল ফিরে আসবেন। নিঃস্ব জয়মঙ্গলকে ডোম চাড়ালরা মিলে ঘর বানিয়ে দেবে।
জয়মঙ্গল ফিরে আসেন, কিন্তু ডোম চাড়ালের জয়মঙ্গল নয়- বৃটিশের চৌধুরী হয়ে, সে অন্য গল্প।
আজকের গল্প শেষ করা যাক লিন্ডসে সাহেবকে দিয়েই
এটা ১৮০২ সালের গল্প। লিন্ডসে সিলেট থেকে বিলাতে ফিরেছেন, একেবারে বিলাতের জমিদার হয়ে। একদিন প্রাতভ্রমনকালে এক কৃশকায় ভারতীয়কে দেখলেন তার বাড়ির কাছে ঘুরঘুর করতে। বাড়ী কোথায়-জিজ্ঞেস করতে জানালো- কলকাতা। লিন্ডসে তাকে চেপে ধরলেন- তুমি কলকাতার নও, তোমার বাচনভঙ্গী বলছে তুমি সিলেটি। সিলেটী লোকটি স্বিকার করলো এবং বিনীত ভাবে জানতে চাইলো এই এলাকায় লিণ্ডসে নামে কোন লোক আছে কিনা?
লিন্ডসে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে বললেন- আমিই লিন্ডসে। তুমি কে? সিলেটী লোকটি সরল, আশ্চর্য্য এবং রাগান্বিত কন্ঠে জানালো সূদুর সিলেট থেকে জাহাজ চেপে সে বিলাতে এসেছে লিন্ডসে কে খুন করতে। সে- সেই পীরজাদার সন্তান যাকে বিশবছর আগে হত্যা করেছিলেন লিন্ডসে স্বয়ং। নাম তার সৈয়দ উল্লাহ। ধূর্ত লিন্ডসে বোকা সিলেটীকে বোঝাতে সক্ষম হলেন- প্রান রক্ষার্থে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন, এ ছাড়া পীরজাদার সাথে তার কোন শত্রুতা ছিলোনা, তবু যেনো সৈয়দ উল্লাহ তার পিতৃহন্তারককে ক্ষমা করে দেয়।
সৈয়দ উল্লাহর ঝুলিতে ছিলো ভারতীয় মসলা আর লিন্ডসে সাহেব ও মিস করছিলেন ভারতীয় রান্না অতএব আমাদের সৈয়দ উল্লাহ বিবর্তিত হলেন লিন্ডসে সাহেবের ঘনিষ্ঠ পাচক রূপে।
( আগ্রহী পাঠক পড়ে নিতে পারেন- অচ্যুতচরন তত্বনিধির 'শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত' এবং সৈয়দমুর্তাজা আলীর 'হজরত শাহজালাল ও সিলেটের ইতিহাস' । এই ব্লগপোস্ট কোন ইতিহাস রচনা নয়, শুক্রবারের বিকেলের গল্পস্বল্প মাত্র। আরেকদিন সুযোগ হলে- ছাতকের চুনাপাথর ব্যবসায় এক ইংরেজ ব্যবসায়ীর তিনপুরুষের গল্প এবং অতি অবশ্যই স্বাধীন জৈন্তিয়াপুরি রাজ্যের গল্প হতে পারে )
মন্তব্য
সবাই বলছে, চলছে সচলের ঈদসংখ্যা! সেই সংখ্যার জৌলুস বাড়িয়ে দিলেন আপনিও।
তাহলে মাজার রাজনীতির শেকড় আরও অনেক অনেক পেছন!
এত নাটকীয়ভাবে শেষ হবে, তা সত্যি বোঝা যায়নি! খুন করতে এসে শেষমেশ পাচক হয়ে গেলেন? আচ্ছা, আজকের বিলেতেও যে বাংলাদেশীরা থাকেন, যাদের মধ্যে বেশীরভাগই সিলহটি, আর যাদের বেশীরভাগই শোনা যায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছেন, তারা কি তাহলে সৈয়দ উল্লাহ্র দেখানো পথেই হেটেছিলেন?
সে গল্পটি কিন্তু শোনাতেই হবে, মোরশেদ ভাই! সম্ভব হলে পরের পর্বেই।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
সেরকম অথেনটিক কোন যোগসূত্র প্রমানিত নয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সিলেটের জাহাজীরা বিলাতে বসত শুরু করেছিলেন উল্লেখযোগ্যভাবে- এরকম কিছু জানা যায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাল লাগলো বিকেলের গল্পসল্প।
দারুন লাগলো!
সিলেটী নাগ্রি, এই লিপিতে লেখা সাহিত্য, প্রথম ছাপাখানা (ইসলামিয়া প্রেস) ও তার প্রতিষ্ঠাতা - ইত্যাদি সম্পর্কে বেশ আগ্রহ আছে। এ ব্যাপারে কিছু জানেন? লিখবেন? নাগ্রি পড়তে পারেন এমন লোকজন কি এখন আর আছেন সিলেটে?
****************************************
সিলেটী নাগরী সম্ভবতঃ বিভিন্ন দিক থেকে আসা মুসলমান সৈনিকদের কমন ভাষা হিসেবে উদ্ভুত- বাংলা ও দেবনাগরীর আদলে। বাংলার চেয়ে বর্ণ কম এবং যুক্তাক্ষর নেই বলে সাধারন সিলেটীদের কাছে নাগরী আদৃত হয় যদি ও অভিজাতদের কাছে ফার্সীর কদর ছিলো বেশী। নাগরীতে বেশ কিছু পুঁথি প্রচলিত ছিলো। আমাদের একেবারে ছোটবেলায় দেখেছি নাগরী পুঁথি, আমাদের নানা-দাদাদের জেনারেশন পর্যন্ত ছিলো। আমাদের পরিবারের নানী মারা যাবার পর নাগরী পড়তে পারার মতো আর কেউ নেই। পুঁথিগুলো ও নাই হয়ে গেছে।ধারনা করি ঐ জেনারেশন একেবারে শেষ হয়ে যাবার পর সিলেটী নাগরীর চুড়ান্ত মৃত্যু ঘটবে।
নাগরী সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক ছিলেন 'হালতুন্নবী' খ্যাত সাদেক আলী- ইসলাম গ্রহনের আগে যার নাম ছিলো গৌরকিশোর সেন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এম সি কলেজের অধ্যাপকের বাসভবন যে টিলাতে এর আসল নাম শুনেছি থ্যাকারে টিলা। ঠিক জানি না। মানিক পীরের টিলার এই কাহিনী জানতাম না। আগ্রহ বোধ করি চাসনী পীরের মাজার নাম শুনে।লাউর-জাদুকাটা নদী-আজমিরীগঞ্জ-জলশোকার জমিদার বাড়ি, প্রত্যেক অপূর্ব সুন্দর জায়গারই অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক গল্প আছে শুনেছি।
ভোলাগঞ্জ তো অস্বাভাবিক সুন্দর এখনো।তবে সেখানকার পাথুরে শ্রমিকদের কষ্ট সভ্য মানুষকে হার মানায়।
জীবনের আঁটটি বছর কাটিয়ে দেয়া আমার সিলেট, প্রিয় শহর সিলেট। প্রবাসে চোখে ভাসে স্বচ্ছ সুরমার জল !
আরো লেখা চাই।
রাজর্ষি
হ্যাঁ, এমসি কলেজের প্রিন্সিপালের টিলা থ্যাকারে সাহেবের টিলা। এর অনেক আগে গৌড়গোবিন্দের আমলে এখানে ছিলো সীমান্তচৌকি- গড়। টিলার উপর গড়- টিলাগড়। মুলতঃ জৈন্তিয়া সেনাবাহিনীর আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য ছিলো এই চৌকি। আয়রনি, এখানেই জৈন্তার শেষ রাজাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আহ! একেবারে বৈঠকি কায়দায় গল্প শুনলাম। মাঝে মাঝে আরো শুনতে চাই
অসাধারন
আমার এক বন্ধুর দুরন্ত ছোটভাই ভর্তি ইস্কুল পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার পরে বন্ধুর মা বলছিল, তুই ফার্স্ট হইসিস...নাহ বাজে ইস্কুল। এই ইস্কুলে দিবোনা।
দেয়নাই
..................................................................
#Banshibir.
হা হা হা হা হা!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জয়মঙ্গলের গপ শুনতে চাই।
সৈয়দ উল্লাহ বণ্ডাইল হইতে গিয়ে টমিমিঞা হয়ে গেলু!
বেশ কিছু টাইপো থেকে গেছে ভাইয়া। আপনাকে বলে লাভ নাই।
অতি ব্যস্ততায় ঠিক করবার সময় পাবেন না।
জয়মঙ্গলের গল্প তার পিতার মতো অতো জটিল নয়। পিতার মতো দুর্বিনীত(!) ও ছিলেন না। তাই গ্রেপ্তার হবার পর তার ভদ্র আচার আচরনে সজ্জন বৃটিশেরা মুগ্ধ হয়ে তাকে মুক্তি দেয় এবং চৌধুরী খেতাবে ভুষিত করে। চৌধুরী জয়মঙ্গল ডোমচাড়ালের বানানো ঘরের অপেক্ষায় থাকেন নি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বৃটেনের সব লোকেরাই কি এত চলাক? নাকি চলাক লোকগুলা আমাদের ভাগে পড়েছিল?
আমরা যারা বইটই পড়ে এত কিছু জানতে পারব না, তাদের জন্য আপনার এই ধরণের লেখাগুলো খুব ভালো লাগে।
লেখা চলুক, শুভেচ্ছা
সাহস এবং চালাকি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ম্যালা দিন পর লিখলেন। ভাল্লাগছে অনেক এই শুক্কুরবারের গপসপ ...
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
লিণ্ডসে তো সাংঘাতিক লোক। ওই আমলে ৪০০ টনী জাহাজ?? প্রায় অবিশ্বাস্য ঘটনা। সিলেটেও তখন জাহাজ বানাবার কারখানা ছিল নাকি? অনেক অজানা রয়ে গেছে ইতিহাসে। পুরানা যুগের গল্প শুনতে ভালো লাগে। আরো লিখুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
"লিণ্ডসে তো সাংঘাতিক লোক। ওই আমলে ৪০০ টনী জাহাজ?? প্রায় অবিশ্বাস্য ঘটনা।"
যা বলেছেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সচলায়তনকে এইজন্যই এত ভালো লাগে। বিচিত্র সব বিষয়ের লেখা এবং লেখকদের সমাবেশ এখানে। লেখা খুবই ভালো লেগেছে।
গোঁসাইবাবু
চমৎকার মজলিশী গল্প। পরের গপ্পের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
জৈন্তিয়ার গল্পের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দারুণ লাগলো ইতিহাসের গল্প শুনতে।
____________________________
দারুণ লাগলো সিলেট অঞ্চলের কোম্পানি আমলের ইতিহাস।
পরবর্তী শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকলাম।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
অসাধারণ লেখা, চমৎকার সাধারণ ভাষায়।
ধ্রুব আলম
নতুন মন্তব্য করুন