[
যদি ভূল না হয়ে থাকে, হুমায়ুন আজাদ জার্মান গিয়েছিলেন হাইনরিশ হাইনের উপর গবেষনার জন্য ।
মাত্র ক'মাস আগেই ঘটে গেছে তার উপর মৌলবাদী ঘাতকদের পাশবিক আক্রমন ।
না ! হুমায়ুন ফিরতে পারেননি জার্মান থেকে । দু'বছর আগে ঠিক এই দিনেই তার রহস্যময় মৃতু্য ।
হাইনের উপর তার গবেষনা শুরু ও করতে পারেননি ।
আজ হুমায়ুনের পুরনো লেখা গুলো ঘাটছিলাম ।
হঠাৎ তার অনুবাদ করা হাইনের কিছু কবিতা পেলাম ।
তুলে দিলাম ব্লগে । ব্লগের কবিগনের সম্মানে ।
আমি নিশ্চিত সম্মানিত কবিগন আরো একবার ঘৃনা জানাবেন, আর একজন কবির ঘাতকদের ।
যে কবির নাম ছিল হুমায়ুন আজাদ
]
আমার অশ্রু
----------
আমার অশ্রু এবং কষ্টরাশি থেকে
ফুটে উঠে ফুল থরে থরে অফুরান,
এবং আমার দীর্ঘশ্বাসে
বিকশিত হয় নাইটিংগেলের গান ।
বালিকা,আমাকে যদি তুমি ভালোবাসো,
তোমার জন্য সে ফুল আনবো আমি---
এবং এখানে তোমার দ্্বারের কাছে
নাইটিংগেলেরা গান গাবে দিবাযামি ।
------------------------------------
ফুলেরা জানতো যদি
----------------
ফুলেরা জানতো যদি আমার হৃদয়
ক্ষতবিক্ষত কতোখানি,
অঝোরে ঝরতো তাদের চোখের জল
আমার কষ্ট আপন কষ্ট মানি ।
নাইটিংগেল আর শ্যমারা জানতো যদি
আমার কষ্ট কতোখানি-কতোদুর,
তাহলে তাদের গলায় উঠতো বেজে
আরো ব হু বেশী আনন্দদায়ক সুর ।
সোনালী তারারা দেখতো কখনো যদি
আমার কষ্টের অশ্রুজলের দাগ,
তাহলে তাদের স্থান থেকে নেমে এসে
জানাতো আমাকে স্বান্তনা ও অনুরাগ ।
তবে তারা কেউ বুঝতে পারেনা তা-
একজন,শুধু একজন,জানে আমার কষ্ট কতো;
আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিয়েছে যে
ভাংগার জন্য-বারবার অবিরত ।
---------------------------------------
তুমি হাতখানি রাখো
----------------
প্রিয়তমা, তুমি হাতখানি রাখো আমার গুমোট বুকে।
শুনতে পাচ্ছো শব্দ? কে যেনো হাতুড়ি ঠুকে চলছে?
সেখানে এক মিস্ত্রি থাকে,যে বানিয়ে চলেছে
এক শবাধার ।
কার জন্যে জানো?----- আমার, আমার ।
উল্লাসে বিদ্্বেষে নিরন্তর সে হাতুড়ি
ঠুকছে দুই হাতে,
কিছুতে ঘুমোতে পারছিনা আমি,
দিনে কিংবা রাতে।
মিস্ত্রি, দ্্রুত করো, তুমি কাজ
শেষ করো তাড়াতাড়ি,
যাতে আমি অবশেষে শান্তিতে ঘুম যেতে পারি । ।
---------------------------------------
[এবার ঘুম যাও, শান্তিতে ঘুম যাও প্রিয় হুমায়ুন আজাদ]
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন