বিনয় মজুমদারের কবিতা:: আমার উজ্জ্বল উদ্্বার

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৯/২০০৬ - ৮:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


[
'এ ভরা ভাদরে, মাহে ভাদরে শূন্য মন্দির মোর' --- সেই চর্যাপদ থেকে শুরু করে তীব্র আধুনিকতা--- 'চুম্বনে যদি সন্তান হতো তবে আজ তুমি জননী হতে' ---আমার কবিতা পড়ার মুগ্ধতা । এই ভয়াব হ মুগ্ধতার জন্য ই বোধ করি নিজে আর সাহস করিনি কবিতা লেখার ।
বছর দুয়েক আমি বন্দী ছিলাম মেঘ পাহাড়ের দেশ শিলং এ । [ইংলিশ]গবমযধষধুধ-- ডযবৎব পষড়ঁফবং পড়সব ঃড় ুড়ঁৎ যড়সব[/ইং িলশ] ।কবিতা ছিল সে সময়ে আমার উজ্জ্বল উদ্ধার ।
শিলং ইংলিশভাষী শহর । বাংলা পেতাম না । চলে যেতাম 90 মাইল দূরে গৌহাটি তে ।
সে সময়েই আমার প্রথম বিনয় মজুমদার পড়া ।
বিনয় মজুমদার

খুব প্রিয় একজনের দেয়া ডায়েরীতে লিখে রাখতাম ভালো লাগা কবিতাগুলো ।
আজ অন্ত:ত বছর সাতেক পর ডায়েরীটা পড়ছি আবার ।
বিনয় মজুমদারের বেশ কটি কবিতা ।
ইচ্ছে হলো লিখে রাখি ব্লগের পাতায়
]
*********************************
একটি উজ্জ্বল মাছ

একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে
দৃশ্যত: সুনীল কিন্তুপ্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে
পুনরায় ডুবে গেল--এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে
বেদনা গাঢ় রসে আপক্ব রক্তিম হল ফল ।

বিপন্ন মড়াল ওড়ে, অবিরাম পলায়ন করে,
যেহেতু সকলে জানে তার সাদা পালকের নীচে
রয়েছে উদগ্র উষঞ (!) মাংস আর মেদ;
স্বল্পায়ু বিশ্রাম নেয় পরিশ্রান্ত পাহাড়ে পাহাড়ে;
সমস্ত জলীয় গান বাস্পীভূত হয়ে যায় তবু
এমন সময়ে তুমি, হে সমুদ্্রমৎস্য, তুমি...তুমি...
কিংবা দ্যাখো,ইতস্ত:ত অসুস্থ বৃক্ষেরা
পৃথিবীর পল্লবিত ব্যাপ্ত বনস্থলী
দীর্ঘ দীর্ঘ ক্লান্তশ্বাসে আলোড়িত করে ;
তবু সব বৃক্ষ আর পুস্পকুঞ্জে যে যার
ভূমিতে দূরে দূরে
চিরকাল থেকে ভাবে মিলনের শ্বাসরোধী কথা ।
*******************************

1।(!) বানান ভূল আছে ।
2।ছবিটা আমাদের শহরের ।

[/ইংলিশ]


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।