[ নিশ্চিত, ভয়ংকরতম দু:স্বপ্নে ও আমরা তাদের আর প্রত্যাশা করিনা ।
তবু মঞ্চ প্রস্তুত হতে থাকে, প্রপস - কস্টিউম সাজানো হয়ে যায়, ড্রেস রিহাসর্াল ও অনুষ্ঠিত প্রায় । আমরা তবু নিজেদের সাহ স জোগাই-- এসব সিঁদুরে মেঘ !
কপাল তো পুড়ছে প্রায় জন্মাবধিই , আগুন আমাদের আর লাগবে কোথায়?
]
আজ ভীড় আমাদের এই রাজধানীতে ভীষন;
মন্ত্রী ও সাংসদগন নেমেছেন পথে । থৈ থৈ এভেনিউ ।
পতাকা উড়ছে সব ল্যাম্পোষ্ট থেকে ।
বর্বরেরা আজ চলে আসবে এখানে ।
মানুষ নি:শ্বাস টানে, দোর বন্ধ যে যার বাড়িতে ।
সংসদ বসেনি আজ । শূন্য সব সবুজ আসন ।
শূন্যতাকে ঠোকরায় স্তব্দ মাইক্রোফোনের সারস ।
প্রত্যাহারকৃত আজ উত্থাপিত যাবতীয় বিল ।
এসে যাচ্ছে বর্বরেরা ! অত:পর বিল পাশ তারাই করবে !
রাষ্ট্রস্বপ্ন ঠোঁটে নিয়ে ঘরে ঘরে জ্বরের তাড়শ ।
জেনারেল আজ কেন এত ভোরে উঠে পড়েছেন?
কেনবা ছাউনি ছেড়ে,সদর দফতর ছেড়ে, ন গরীর পথে নেমেছেন
উৎসবের প্রটোকল অনুসারে সোনালী বোতামে ?
আজকেই এসে যাচ্ছে বর্বরেরা ! স্বাগত করতে !
বর্বর বাহিনীর চিফ--ভূষিত করতে তাকে সবের্্বাচ্চ সম্মানে !
আর,প্রজাতন্ত্রের সচিবগন কেন আজ জাতীয় পোশাকে?
আঙুলে হীরার আংটি,কবজিতে দামি ব্রেসলেট?
কেনবা তাদের জুতো মচমচ করছে এতটা?
এসে যাচ্ছে বর্বরেরা, জুতোর শব্দের
স্বাধীনতা তারা খুব ভালোবাসে ভৃত্যের দু'পায়ে !
অন্যান্য দিনের মতো আজ কই আমাদের বিখ্যাত বক্তারা?
জনশূন্য ময়দান,মঞ্চ কেন খালি পড়ে আছে?
দোকানে দোকানে আজ এত বিক্রী হচ্ছে কেন ক্যাসেট প্লেয়ার?
আজকেই এসে যাচ্ছে বর্বরের বাহিনী এখানে !
বক্তৃতা ভীষন তারা অপছন্দ করে ।
হঠাৎ কী হলো? ও কী ! ওঁরা কেন এতটা চঞ্চল?
নিজেদের মধ্যে কেন অকস্মাৎ এত ফিসফাস?
তবে কি কোথাও কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে আয়োজনে?
বর্বরের বাতর্া স হ এসে বলে যায়,
'একটি যে বজ্রকণ্ঠ টেপে বাজে আজো, ওকে হত্যা করো আগে!'
বুকের প্লেয়ার বাজে টেপ মুছে দিলে ।
বর্বরেরা জানেনা তাই অপেক্ষায় আছে তারা আসবে এখানে !
সৈয়দ হকের কবিতা, পড়ছি ইদানিং আবার ।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন