আমাদের শ হর তখনো ন গর হয়ে উঠেনি ।
ও ই তো পুবে গেলে জাফলং রোড, পশ্চিমে বিশ্ববিদ্যালয়.. উত্তরে লাককাতুরা চা-বাগান আর দক্ষিনে গেলে কীনব্রিজে সুযের্াদয় ।
একযুগে আগে ও শ হরটা শপিংমলের বস্তি হয়ে উঠেনি ... সাইকেলে চড়ে এক চককর ঘুরে আসলে মনে হতো এই তো সব চেনা জানা মুখ । 'আশার আলো' চায়ের কেবিন অথবা গলফের মাঠে আড্ডা ।
সেই সময়টা তে শ হর সিলেটে রাজত্ব করতো ক'জন সদ্য তরুন ।
তাদের একজন আরিফ । আরিফ জেবতিক ।
91 এর শেষের দিকে এম.সি কলেজে যখন আরিফকে দেখি তখন সে তুখোড় বিতার্কিক । তার নামে হাততালিতে কেঁপে উঠতো কলেজ অডিটরিয়াম ।
92 তে আরিফকে দেখি মান্নান হীরার নির্দেশনায় মঞ্চ নাটকে । যথারীতি আবারো তুমুল হাততালি ।
93-94 এ ছাত্ররাজনীতির সামনের সারিতে । আরিফ সম্ভবত :বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির সেই বিলুপ্তপ্রায় প্রজন্মের শেষ প্রতিনিধি --যারা কাঁধের ঝোলায়, কাটা রাইফেলের সাথে জীবনানন্দের শ্রেষ্ঠ কবিতা ও রাখতো ।
তারপর রাজনীতি থেকে সরে আসা (আমি জানতাম ঐ রাজনীতি তোকে ধরে রাখতে পারবেনা ) ।
তারপর আবার লেখালেখি । ছোট গল্পের কাগজ 'স হবাস' । ভোরের কাগজ ।প্রথম আলো ।
জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের বিভাগীয় সম্পাদক । এসব আরিফকেই মানায় !
গত বছর দেশে গেলাম । ফেরার পথে ঢাকায় একদিনের যাত্রাবিরতি । অনেক বন্ধুদের ভেতর যে বন্ধু দেখা করতে এলো , সে রাজধানী ঢাকার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি । সে ও আরিফ, আরিফ জেবতিক ।
আজ ব্লগে ঢুকে এই নামটা দেখলাম ।
একটা পোষ্ট পড়লাম ।
না চিনতে ভুল হলোনা ।
এই তো আরিফ, আমার বন্ধু আরিফ জেবতিক ।
ও নিয়মিত হলে , সামহোয়ার ইন ঋদ্ধ হবে নিশ্চিত ।
[ছবিসুত্র:নেট]
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন