পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মিসটার জিন্নাহ'র অদ্ভূত 'দ্বিজাতি' তত্ব বৃহৎ ভারতের বেশ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠির স হজাত বিন্যাসকে এলোমেলো করে দিয়েছিল, যার দায় পরিশোধ হচ্ছে ৬০ বছর থেকে ।
অন্ত:ত তিনটা জাতিগোষ্ঠিকে বিবেচনায় আনা যায় ।
বাঙ্গালীরা দু টুকরো হয়ে এক টুকরো গেলেন পাকিস্তানের সাথে, এক টুকরো থাকলেন ভারতে ।
পাঞ্জাবীরা দু টুকরো হয়ে মুসলমানরা গেলেন পাকিস্তানে, শিখ ও হিন্দু পাঞ্জাবী রয়ে গেলেন ভারতে । বিশাল প্রদেশ বিহারের মুসলমানরা ও এলেন পাকিস্তানে ।
তিনভুক্তভোগী জাতিগোষ্ঠি'র ভেতর পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীরা নি:সন্দেহে সবচেয়ে ভাগ্যবান । অনেক ত্যাগের বিনিময়ে তারা নিজেদের জন্য স্বাধীন দেশ অধিকার করতে পেরেছেন । মুসলমান পাঞ্জাবীরা ও খারাপ নেই । দানব রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রায় পুরোটা সময় তারাই শাসক ( সেনাবাহিনীতে আধিক্যের কল্যানে) । শিখ পাঞ্জাবীরা নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে ব্যর্থ, যদি ও ভারতের বুদ্ধিবৃত্তিক গোষ্ঠির বড় অংশ তারাই । সাবেক রাষ্ট্রপতি জৈল সিংহ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এদেরই একজন ।
তবে সবচেয়ে ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ জাতি গোষ্ঠি বিহারী'রা ।
বর্তমান বিহার ভারত রাষ্ট্রের অন্যতম খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ প্রদেশ হওয়া স্বত্বেও অবকাঠামো উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা য় সবথেকে পিছিয়ে ।ভারতের অন্যদের কাছে 'বিহারী' মানেই অগোছালো, ক্ষ্যাৎ, আনস্মার্ট একটা জাতি যাদের বেশীর ভাগ পেশায় গোয়ালা অথবা ধোপা । শিক্ষার মান ভয়াব হ নিচু । বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্টিফিকেট নিয়ে ভারতের ভালো কোম্পানীগুলোতে চাকরী পাওয়া যায়না । ভারতের অন্য অংশের ছেলেময়েদের সাথে 'বিহারী'দের স্পষ্টভাবেই আলাদা করা যায় । আমি নিজে ভারতের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়েছিলাম । দেখেছি 'বিহারী' ছাত্রছাত্রীদের অন্যরা বন্ধু হিসেবে গ্রহন করেনা । 'কিষান কুমার' নামের এক বিহারী'র ভাষ্যমতে এই বাঙ্গাল আমি ছিলাম তার ভার্সিটি জীবনের প্রথম 'ইয়ার'!
মুসলমান বিহারীরা মুলত: পাকিস্তানে মাইগ্রেট করেন , প্রধামন্ত্রী লিয়াকত আলীর প্রেরনায় যিনি নিজে ছিলেন বিহারী । লিয়াকত আলী তার জীববদ্দশায় পশ্চিম পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসে এবং পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাবসা বানিজ্যে 'বিহারী'দের পুনর্বাসন করেন । লক্ষ্যনীয় পাকিস্তানে চলে এলেও এরা 'বিহারী' নামেই পরিচিত থাকলো । পশ্চিম পাকিস্তানে মুলত: করাচী নগরীতে এবং পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা ও সৈয়দপুরে এদের জায়গা দেয়া হয় ।
লিয়াকত আলী খান কে হত্যা করার পর যখন পাঞ্জাবীদের নিয়ন্ত্রিত সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ক্ষমতা দখন করে, সে সময় থেকে শুরু হয় 'বিহারী'দের দুর্দশা । পশ্চিম অংশের সিভিল সার্ভিস ও অন্যান্য চাকরী থেকে বিহারীদের হটিয়ে পাঞ্জাবীদের বসানো হতে থাকে ।
তবে শাসক গোষ্ঠি পূর্ব অংশে 'বিহারী'দের পৃষ্ঠপোষকতা করতে থাকে মুলত: বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে এদের অবস্থানের জন্য । একই সময়ে কেন্দ্রে পাঞ্জাবীদের ক্ষমতা কুক্ষিগতকরন অপরদিকে বাঙ্গালী,বেলুচ ও সিন্ধিদের স্বাধিকার আন্দোলন পাকিস্তান রাষ্ট্র ও মিস্টার জিন্নাহ'র 'দ্বিজাতি' তত্বের কবর রচনা নিশ্চি তকরে । প্রমান করে ধর্মের ভিত্তিতে কখনোই জাতি গঠন হয়না, ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক বন্ধনটাই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে ।
'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা কামী বাঙ্গালী জন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞে সম্মিলিত ভাবে হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তিনটি পক্ষঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনী, 'বিহারী' ও জামাতে ইসলাম সহ তৎকালীন ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো ।
তিন ঘাতক গোষ্ঠির প্রত্যকের আলাদা আলাদা স্বার্থ ছিলো । 'বিহারী'দের বিবেচনায় ছিলো-- পূর্ব পাকিস্তানে তারা ইতিমধ্যেই ব্যবসা বানিজ্যে ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠিত । বাংলাদেশ রাস্ট্র সৃষ্টি হলে এই অধিকার তারা হারাবে, মুল জন্মভূমি ভারতে ফিরে যাবার সুযোগ নেই-- কারন 'হিন্দু' ভারতকে অস্বীকার করে 'মুসলিম পাকিস্তানে' তারা এসেছে স্বেচ্ছায় । যেতে হবে পশ্চিম পাকিস্তানে । কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে থাকা 'বিহারী' দের নিজেদের অবস্থাই খারাপ । দেশ বিভাগের এতো বছর পর ও মুল স্রোতের সাথে তাদের আত্নীকরন হয়নি । করাচী নগরীতেই শুধু প্রাধান্য । বাকী সবার কাছে এতোদিন পর ও 'মোহাজের' নামে পরিচিত- 'পাকিস্তানী ' হয়ে উঠা হয়নি ।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ধরে হত্যাকান্ডে স হযোগীতার পর ও এই 'বিহারী' রাআবারো 'বিট্রেড' হলো পাকিস্তানী তথা 'পাঞ্জাবী'দের দ্বারা। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আত্নসমর্প নকারী সৈন্যদের পাকিস্তান ফিরিয়ে নিলে ও তাদের স হযোগী বাহিনী 'রাজাকার' 'আলবদর' 'আল শামস' দের ফিরিয়ে নেয়নি । ফলে 'বিহারী' রা আবারো আটকা পড়লো এমন এক ভূ-খন্ডে যার প্রধান জন গোষ্ঠির হত্যাকান্ডে তারা সরাসরি জড়িত ছিলো ।
এরা যেভাবে 'জাতিগত শোধন' চালিয়েছিল বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে , বিজয়ী বাঙ্গালী তার প্রতিশোধ নেয়নি । নেয়নি যে তার প্রমান , গত ৩৬ বছর ধরে এরা বেঁচে আছে নিজেদের পরিচয়েই এই রাষ্ট্রে , যে রাষ্ট্রকে জন্মলগ্নে তারা হত্যা করতে চেয়েছিল । এটা সম্ভবত: এ কারনে হয়েছে যে বাঙ্গালী জাতিগত আচরনে প্রতিশোধ পরায়ন বা যুদ্ধংদেহী নয় । জানা ইতিহাসে জাতি হিসেবে বাঙ্গালীরা এই একবারই ৭১ এ যুদ্ধ করেছিলো । করেছিলো , কারন এ ছাড়া তার বেঁচে থাকার আর কোনো পথ ছিলোনা ।
বাংলাদেশের 'বিহারী' রা ৩৬ বছর ধরে 'রিফিউজি' হিসেবে আছে এ দেশে , অপরদিকে পাকিস্তানের করাচীভিত্তিক 'বিহারী'রা ৪৭ থেকেই আছে 'মোহাজির ' হিসেবে । মুল জন গোষ্ঠির সাথে এদের আত্নীকরন হয়নি গত ৬০ বছরে ও ।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাগ্যবান ভারত থেকে আসা বাঙ্গালী মুসলমানেরা । পূর্ব বাংলার মানুষ খুব স হজেই পশ্চিম বাংলা , আসাম থেকে বাঙ্গালী মুসলমানদের গ্রহন করে নিয়েছে ।
এমনকি দেখা যায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গত ৩৬ বছরে শেখ মুজিব ও তার মেয়ে শেখ হাসিনা ছাড়া বাকী সব শাসকই মুলত: পশ্চিম বাংলার বাঙ্গালী । এদের কারোরই শেকড় এই বাংলায় নয় । বিপরীতে পূর্ববাঙ্গালী হিন্দুদের অনেক অনেক বেশী দুর্দশার শিকার হতে হয়েছে পশ্চিম বাংলায় আত্নীকরন হতে গিয়ে । সুনীল গাঙ্গুলীর 'পূর্ব-পশ্চিম ' উপন্যাসে কিছুটা ছবি পাওয়া যায় ।
'মেঘালয় ', ত্রিপুরা' 'নাগাল্যান্ড' ও 'আসাম ' এর অনেক জায়গায় এখনো কিন্তু এটা হয়ে উঠেনি । এখনো অনেক জায়গায় বাঙ্গালীদের থাকতে হয় ক্যাম্পের মতো আলাদা জায়গায় । প্রতি বছর বাঙ্গালী- খাসিয়া, বাঙ্গালী - টিপরা, বাঙ্গালী- নাগা, বাঙ্গালী-আসামী রায়ট হয় । এই খবর গুলো গুরুত্বহীন , এমনকি বাঙ্গালীপ্রধান 'পশ্চিমবংগের' মিডিয়ায় ও।
যা হোক ৮০ এর দশকের শুরুতে পাকিস্তানের 'বিহারী' রা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে 'মোহাজের কওমী মুভমেন্ট' শুরু করে । পাকিস্তানী(মুলতঃ পাঞ্জাবী) সামরিক শাসকদের নির্যাতনের মুখে এই 'মুভমেন্ট' সশস্ত্র হতে বাধ্য হয় । রক্তক্ষয়ী আন্দোলন এখনো চলছে । সমপ্রতি নাম বদলে হয়েছে 'মোত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট' ।
সব মিলিয়ে 'বিহারী' দের গল্প -- একটা 'বিট্রেড' , 'ফ্রাসটেইটেড' জাতিগোষ্ঠির গল্প-- যারা ধর্মীয় রাজনীতির করুণ শিকার ।
*** বেশ পুরনো লেখা , পুনরোদ্ধার করলাম মাত্র ।
মন্তব্য
খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
বাংলাদেশে কিন্তু বিহারীদেরকে অনেকবার নাগরিকত্ব নেবার সুযোগ দেয়া হয়েছে
সম্ভবত ৭৩ সালে প্রথম এই সুযোগ দেয়া হয়
যারা বাংলা দেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে তাদের অনেকেই এখন দেশে ব্যবসা বাণিজ্য এমনকি বিসিএস ক্যাডারেও চাকরি করছে
এই বছর ভোটার রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রেও এরকম এটা সুযোগ দেয়া হয়েছে (যতদূর মনে পড়ে)
এদের এক দল বাংলাদেশে নাগরিকত্ব না নিয়ে বরং বাংলাদেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে দরকষাকষি করতে বেশি আগ্রহী। তাতে তাদের পুনর্বাসনের পরিমাণ বেশি হবে বলে তারা মনে করেন
আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বেশি চাপ দিতে পারে না কারণ বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানীর সংখ্যা আড়াই লক্ষ
কিন্তু পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালির সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ
যারা বাংলাদেশের বিহারীদের থেকেও বেশি মানবেতর জীবন যাপন করে
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে চাপ দিলে পাকিস্তান বাংলাদেশকে চাপ দেয়ে আটকে পড়া বাঙালিদেরকে ফিরিয়ে আনতে
...
তবে বিহারীদের জন্য দুঃখ হয়। পৃথিবীতে এখন রোহিঙ্গা এবং আটকেপড়া বিহারীরা পৃথিবীর কোনো দেশেরই নাগরিক নয়
বিহারিরা বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান। আটকে আছে বাংলাদেশে
তাদের পাকিস্তান ফিরে যাবার ইচ্ছাকে আমি সমর্থন করি
সেই সাথে চাই পাকিস্তানে আটকে থাকা বাংলাদেশীরাও যেন ফিরে আসে নিজেদের দেশে
....
বিহারীদের বিরুদ্ধে যে বিজয়ী বাঙালিরা যে প্রতিশোধ নেয়নি একথা মনে হয় একেবারে ঠিক নয় ।
কয়েকদিন আগে সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রখ্যাত গায়ক আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম । যিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিলেন ।
তাঁর কথা অনুযায়ী অনেক বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা বিহারীদের খুন-জখম লুঠপাট ধর্ষণ প্রভৃতিতে জড়িত ছিল । এই সমস্ত বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই পরবর্তী কালে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান হ্রাস পেয়েছিল ।
আর বাংগালের প্রতিশোধ নেয়া!
তেমন প্রতিশোধ নিতে পারলে কি আর এরা এখনো বহাল তবিয়তে থাকে?
একটা তথ্য বোধহয় আমাদের ভুলে যাওয়া ঠিক নয়,১৬ ডিসেম্বর বিজ্য় দিবস হলেও বিহারী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে কিন্তু জানুয়ারী পর্যন্ত যুদ্ধ চলছিলো । জহির রায়হান মারা গিয়েছিলেন জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে মীরপুরে । সেই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন লেঃ সেলিম ।
পুরোটা তো যুদ্ধই ছিলো,যুদ্ধ ব্যাপারটাই তো অমানবিক কিন্তু আক্রান্ত হলে তো এই অমানবিক কাজটা করতে ও হয়
----------------------------------------
সঙ্গ প্রিয় করি,সংঘে অবিশ্বাস
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই ব্যাপারটি আমাকে বেশ বিস্মিত ও একই সাথে আশান্বিত করে তোলে। তথাকথিত প্রথম পৃথিবীতেও মাইনরিটি থেকে এইরকম বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার বড় অংশ জুড়ে থাকার উদাহরণ খুব বিরল।
হিডেন গড এর কথাটাই ঠিক বলে আমার মনে হয়। বিজয়ের পর, এরকম ঘটনা ঘটেছে বলেই কোথাও পড়েছিলাম। তথ্যসূত্র দিতে পারছি না। জুবায়ের ভাই বা অন্যেরা এ ব্যাপারে আলোকপাত করবেন - আশা করি।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বেশ তথ্যভিত্তিক লেখা। আগেও পড়েছিলাম।
..মন্তব্যগুলোও সঠিক।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আজম খানের সাক্ষাৎকার
http://www.sachalayatan.com/biplobr/10798
অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই তো সেদিন ফকিরাপুলে আমার গ্রুপের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখি, ফুটপাতে চা বিক্রি করছে! কি আর করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যার ভেতর আছে, সে তো আর চুরি করতে পারে না!...মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সরকারই তো মূল্যায়ন করেনি। এর পাশাপাশি অনেক বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধা সে সময় লুঠপাঠ - ডাকাতি করেছে, বিহারীদের বাড়ি - জমি দখল করেছে, মা - বোনদের ইজ্জতহানী করেছে। অনেকে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারাও গিয়েছে।”
“আমি নিজেও এ সব কারণে অনেক বছর নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেই নি।...বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে জাতিও বহুবছর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানের চোখে দেখেনি।”
নতুন মন্তব্য করুন