1।
জামাত বেশ কৌশলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় গোলাম আযম ছিলো ভাষা আন্দোলনের প্রানপুরুষ । সত্য যে 1948 সালে সে ডাকসু'র জি.এস ছিলো এবং তার প্রতিনিধিত্বে একটা স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল, যেখানে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম রাখগার দাবী ছিলো ।
কিন্তু পরবতর্ীতে অলি আহাদ, আব্দুল মতিনদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, গোলাম আজম ঢা.বি'র ছাত্রদের নির্বাচিত জি.এস ছিলোনা, ছিলো সরকার মনোনীত । আন্দোলন জমে উঠার পর তাকে ও তার সংগীদের সরকারের চর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় ।
সত্যতা মিলে । কারন আন্দোলনের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে গোলাম আজমের আর কোনো পাত্তা মিলেনি , কোনো মিছিলে নেই, মিটিংয়ে নেই, রাজপথে নেই.... তবু তিনি ভাষা সৈনিক ।
2।
ধীরেন্দ্্রনাথ দত্ত 1948 সালের 23 ফেব্রুয়ারী পাকিস্তান পালর্ামেন্টে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবী জানিয়েছিলেন ।
তার সেদিনের উত্থাপিত দাবি দেখা যেতে পারে, এখানে
ধীরেন দত্তকে এর মাশুল গুনতে হয়ছে । পাকিস্তান আমলে বারবার তাকে জেলে যেতে হয়েছে ।
শেষ পর্যন্ত , 27 মার্চ একাত্তুরে পাক আর্মি তাকে হত্যা করে ।
3।
ধীরেন দত্তের এই পরিনতি স্বাভাবিক ছিলো ।
স্বাভাবিক ছিলো আর সব ভাষা সৈনিকের পরবতর্ী সময় ধরে নিযর্াতিত হওয়া , স্বাভাবিক ছিলো 52 এর ভাষা যোদ্ধাদের 71 এর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ।
ব্যতিক্রম শুধু সেই একজন । গোলাম আজম । তথাকথিত সেই ভাষা সৈনিক, পুরোটা সময় ধরে পাকিদের পা-চাটা, পাকিদের গনহত্যার দোসর, দেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া, পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়েই এদেশে ঢোকা ।
বোধ করি এই ব্যতিক্রমই একটা সরল সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে ।
ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাই আমাদের পরিচয়
মন্তব্য
আচ্ছা, কোন এক পত্রিকায় নাকি পরবর্তীতে গোয়াজম এ নিয়ে আফসুস করে একটা বিবৃতি দিয়েছিলো, আপনার জানা থাকলে একটু দিবেন প্লিজ।।
নতুন মন্তব্য করুন