...বিষন্ন হতাম, কষ্ট পেতাম, রেগে উঠতাম ।
আজকাল এই সব মানবিক আবেগ গুলো সযতনে সংরক্ষন করি । বাঁচিয়ে রাখি অর্থহীন অপচয় থেকে ।
তারচে বরং উফাস করি, উপভোগ করি- এই সব তামশা, এই সকল জাদু বাস্তবতা ।
জাদু বাস্তবতার মহিমায় দেখি একজন শেখ মুজিব রাজকীয় অতিথি চলে যান ইয়াহিয়া খানের প্রাসাদে যুদ্ধকালীন সময়ে । অপেক্ষায় দিন গুনি পরের পর্বের । সে পর্বে জানা যাবে আরেক সত্য-- গনহত্যা ছিলো আসলে মুজিব আর ইয়াহিয়া এ দু জনের যৌথ প্রযোজনা!
জাদু বাস্তবতায় দেখি ঘাতকদালালেরা হয়ে যায় ধর্মাবতার । এই জাদু' কে আবার বাস্তব করতে জোর কদমে এগিয়ে আসে পুত পবিত্র বালক বালিকা গন । তারা অতি ভদ্্র ভাষায় কথা বলে, তারা ধর্ম শিক্ষা দেয়, তারা ঘাতকদের মহান নেতা ঘোষনা করে!
সমপ্রতি সৌভাগ্য হলো আরেক জাদু উপভোগের ।
একজন ব্লগার অংকন , তার এই ব্লগে ছড়ালেন জাদুর নতুন মায়া ::
একাত্তুরে শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যরা ভারতে চলে গিয়েছিলেন । সেখানে তারা পাঁচ তারা হোটেলে খেয়ে পরে ভালো কাটিয়েছেন
বদভ্যাস হেতু তর্ক করি । প্রতিবাদ করেন আরেক ব্লগার মাহবুব সুমন ।
হায়! আমরাই ভুল জানি, আমরা যে জাদু জানিনা ! অংকন বেশ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন-- তার দেয়া তথ্য যে ঠিক এটা সবাই জানে!
নিজের জানাকে কষে একটা থাপ্পড় দেই এবার । মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর এ.ডি.সি ছিলো তরুন শেখ কামাল সে তবে শেখ মুজিবের পুত্র নয় ? 16 ডিসেম্বর পর্যন্ত পাক বাহিনীর প্রহরায় 32 নম্বরে ছিলো যে নারী গন ও শিশু , তারা তবে শেখ মুজিবের স্ত্রী, কন্যা ও শিশুপুত্র নয়?
'সকলেই' জানে যে তারা ভারতের পাঁচতারা হোটেলে ছিলো সে সময়!!!
আজকাল উফাস ও উপভোগ ক্রমশ : পরিনত হচ্ছে শংকা ও ত্রাসে ।
কে জানে কোন দিন কোন মহাত্নন কোন জাদু বলে এসে আমাকে ই বলবেন ' ওহে বাপু এতো যে লাফাও, তুমি তো নেই আসলে , ছিলে না কোনোদিনই'
জাদুর মায়া এমনই তীব্র , আমি ও হয়তো আমার ছায়া খুঁজবো, আয়নায় প্রতিবিম্ব, নিজের গায়ে নিজে চিমটি কেটে ভাববো
' আসলেই তো! আছি না কি আমি? ছিলাম কি কখনো?'
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন