ভূমিকা বাহুল্যমাত্র । সরাসরি কথাবার্তা হোক ।
৯ডিসেম্বর ১৯৪৮ জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের অধিবেশনে CONVENTION ON THE
PREVENTION AND PUNISHMENT OF
THE CRIME OF GENOCIDE নামে একটি রেজুলেশন পাশ হয় । লিংক আছে এখানেঃ-
গনহত্যা সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষনা
রেজুলেশনের ২৬০(৩) ধারার অনুচ্ছেদ ২ এ নির্ধারন করা হয়েছে , শুধু হত্যা নয় আরো কিছু অপরাধ গনহত্যা হিসেবে গন্য হবে ---
১।পরিকল্পিত ভাবে একটি জাতি বা গোষ্ঠিকে নির্মুল করার জন্য
তাদের সদস্যদেরকে হত্যা বা নিশ্চিহ্নকরন
২।একই উদ্দেশ্যে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন
৩।একটি জাতি বা গোষ্ঠিকে নির্মুল করার উদ্দেশে এমন পরিবেশ
সৃষ্টি করা যাতে তারা সম্পুর্ন বা আংশিক ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে
যায়
৪।এমন পরিবেশ তৈরী করা যাতে একটি জাতি বা গোষ্ঠীর
জীবনধারন কষ্টসাধ্য , সেই সংগে জন্মপ্রতিরোধ করে জীবনের
চাকা থামিয়ে দেয়া হয়
৫।একটি জাতি বা গোষ্ঠি শিশু সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে
তাদের জন্ম পরিচয় ও জাতিস্বত্বা মুছে ফেলা ।
গনহত্যার সংজ্ঞা নির্ধারনের পর ধারা ৩ এ গনহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধ সমুহ ও চিহ্নিত করা হয়েছে
১। গনহত্যা চালানো
২।গনহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র/পরিকল্পনা করা
৩। প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে গনহত্যা উস্কে দেয়া
৪।গনহত্যা চালানোর চেষ্টা করা
৫।গনহত্যায় যে কোন প্রকারে সহযোগী হওয়া ও সমর্থন করা
ধারা ৩ এর পর ধারা ৪ এ বলা হয়েছে--
উপরোক্ত যে কোনো একটি অপরাধেই, অপরাধী যুদ্বাপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে- তা সে সাংবিধানিক সরকার, সরকারের আজ্ঞাবাহী কর্মচারী, কোন দল কিংবা একক কোনো ব্যক্তি ই হোক ।
ধারা ৭ এ আবার স্পষ্ট করে বলা হয়েছে --
ধারা ৩ এ বর্নিত অপরাধ সমুহ কোনো ভাবেই রাজনৈতিক অপরাধ বলে গন্য হবেনা ।
----------------------------------------------------------------------------------
বাকী সব কিছু বাদ দিচ্ছি, ধারা ৩ এর ৫ নম্বর উপধারা কি বলে? গনহত্যায় সহযোগীতা করা কিংবা যে কোনো ভাবে সমর্থন জানানো ও যুদ্ধাপরাধ ।
২৫ শে মার্চ রাত থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি কাজ করছিল? পাকিস্তান সেনাবাহিনী কি গনহত্যা চালাচ্ছিলোনা? ২৫ শে মার্চ রাতে শুধু মাত্র ঢাকাতেই কয় হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকবাহিনী?
২৫ শে মার্চের পর থেকে ১৬ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে কারা পাকবাহিনীকে সমর্থন জানিয়েছিলো? পাকবাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে গোলাম আজম-নিজামীদের শত শত বিবৃতি আছে । ১৯৭১ এর মে মাসে খুলনায় জামায়াতের ৯৬ সদস্য নিয়ে যে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে সেই বাহিনী টিক্কা খানের সামরিক অধ্যাদেশ বলে নিয়মিত বাহিনীর সহযোগী হিসেবে নথিবদ্ধ হয় । এরা সেনাবাহিনীর মতোই বেতনভুক্ত ছিলো । রাজাকার ছাড়া আলবদর ও আলশামস নামে বাহিনীগুলো গঠিত হয় এগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা ছিলো?
রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী তৈরী হয়েছিলো পাকবাহিনীর সহযোগীতা করার জন্য । পাকবাহিনী নয় মাস জুড়ে গনহত্যা চালিয়েছিলো । সুতরাং পাকবাহিনী যদি গনহত্যার জন্য দায়ী হয় তাহলে এদের সহযোগী বাহিনী সমুহ এবং এইসব বাহিনীতে যুক্ত জামাতের নেতৃবৃন্দ সেই দায় এড়াবে কি করে?
দায় এড়াতে হলে তাদেরকে প্রমান করতে হবে- যে ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিকৃত ভুখন্ডে পাকিস্তান আর্মি কোন গনহত্যা চালায়নি । সংখ্যাটা ৩০ লক্ষ না হয়ে ৩০ হাজার কিংবা ৩ হাজার ও যদি হয়- সেটা গনহত্যা হবে,গনহত্যা হলে যুদ্ধাপরাধ হবে,যুদ্ধাপরাধ হলে পাকিস্তান আর্মি ও তার সহযোগী ও সমর্থক জামাত ও যুদ্ধাপরাধী বলেই বিবেচিত হবে ।
-----------------------------------------------------------------
এবার দেখা যাক, নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য জামায়াত যে সব যুক্তি দেখায় সেগুলোর অসারতাঃ
১। জামায়াত ইদানিং বলছে, শেখ মুজিব যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈন্যকে হস্তান্তর করেছিলেন শিমলা চুক্তির আওতায় । সুতরাং ঐ ১৯৫ জন্য ছাড়া আর কেউ যুদ্ধাপরাধী নয় ।--
হাস্যকর যুক্তি । ঐ ১৯৫জন পাকিস্তানী সৈন্য এতোবড় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো? ১৬ ডিসেম্বরে আত্নসমর্পন করা ৯৩,০০০ পাক আর্মি তাহলে নির্দোষ ছিলো?
বস্তুতঃ এই ১৯৫ ছিলো একটা স্মারক সংখ্যা মাত্র । ১৬ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান সরকার তার সেনাবাহিনীকে ফিরিয়ে নিলেও রাজাকার আল বদরদের ফিরিয়ে নেয়ার কোন চুক্তি হয়নি । সুতরাং ঐ চুক্তির আশ্রয়ে জামাতীদের বাঁচার সুযোগ নেই ।
এখানে আরো বলা যেতে পারে, শেখ মুজিবের সকল সিদ্ধান্তই ধ্রুবক নয় । শেখ মুজিব যদি দালালদের ক্ষমা করেও থাকেন তাহলে ও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হতে পারে, কারন ধর্মনিরপেক্ষতা,সমাজতন্ত্র,বাকশালের মতো সিদ্ধান্ত যদি বাতিল হতে পারে তাহলে দালাল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল হতে আপত্তি কেনো?
যে শেখ মুজিবের রাজনীতির চরম বিরোধী জামাত,নিজেদের জান বাঁচানোর সেই শেখ মুজিবের দোহাই দেয়া জামাতী রাজনীতির দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
২। জামাতীরা বলে, তারা যদি আসলেই অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে গত ৩৬ বছরে কেনো কেউ তাদের বিচার করলোনা? এই বিচার না করাই নাকি তাদের নিরপরাধের প্রমান?
বিচার না হলেই কি অপরাধি নির্দোষ প্রমানিত হয়ে যায়? পৃথিবীতে বহু হত্যা,বহু অপ্রাধের বিচার হয়নি । কারবালার মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ঘটালো যে ইয়াজিদ তার ও তো বিচার হয়নি,বিচার হয়নি চেংগিস,হালাকু খানদের,বিচার হয়নি জালিওয়ানোয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের । এইসব বিচার না হওয়ার পেছনে অনেক রাজনীতি আছে । বিচার হয়নি বলেই ইতিহাস ইয়াজিদকে নির্দোষ ঘোষনা করেনি,বিচার হয়নি বলেই জামাতীরা নিজেদের নির্দোষ দাবী করতে পারেনা ।
৪।
গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার রায়কে উদাহরন হিসেবে টেনে জামাতীরা নিজদের নির্দোষ প্রমান করতে চায়--- জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার আইন অনুযায়ী(ধারা ১৩) জন্মসুত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব বাতিল কিংবা কাউকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেয়া বা দেশে ঢুকতে বাধা দেয়া যায়না । আদালতের রায়ে গোলাম আজম নাগরিকত্ব পেয়েছে কারন মামলা ছিলো নাগরিকত্বের,যুদ্ধাপরাধের নয় । এই মামলার রায় কোনভাবেই প্রমান করে না যে সে যুদ্ধাপরাধী নয় । বরং এই মামলার রায় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার করাকে আরো সহজতর করেছে ,কারন এখন সে বাংলাদেশের নাগরিক । বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাইলেই তার নাগরিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিচার কার্য সমাপদন করতে পারে -এর জন্য কোন কুটনৈতিক আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই ।
জামাতী সহ জামাতীদের বাঁচানোর জন্য কেউ কেউ দাবী তুলছেন প্রচলিত আইনে বিচার করার । পৃথিবীর কোথাও গনহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রচলিত আইনে হয়নি । নুরেম্বার্গ ট্রায়াল কিংবা বসনিয়া গনহত্যার জন্য সার্বিয়ান জেনারেলদের বিচার -সবই বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে হয়েছে ।
তাই প্রচলিত আইনে বিচার করা একটা চরম ফাঁকিবাজী মাত্র । এর মাধ্যমে জনগনের চোখে ধুলো দেবার আয়োজন করা হবে । তাই সচেতন সকলকে দাবী উত্থাপন করতে হবে বিশেষ ট্রাইবুন্যালের । রাষ্ট্র কে নিজে বাদী হতে হবে কারন জামাতীদের অপরাধ ছিলো স্বয়ং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ।
আর যুদ্ধাপরাধীর বিচার করাই শেষ কথা নয়, বন্ধ করতে হবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি । যেহেতু নিরংকুশ ভাবে সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোই এদেশের জন্মযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো সেহেতু এ দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চলতে পারেনা । যে রাজনীতি রাষ্ট্রের জন্মের বিরোধীতা করেছিলো,সেই রাজনীতি রাষ্ট্রের কল্যান কামনা করবে-এমোন ইউটোপিয়া থেকে বের হয়ে আসা খুব জরুরী ।
বর্তমান সময়ের খুটির জোড়টাও চিন্তা করতে হবে রাজাকারদের। হাব-ভাবে মনে হয় আন্কেল স্যামের ভালই সাপোর্ট পাচ্ছে ওরা আর সাথে মধ্যপ্রাচ্যত আছেই।
তাই যা করার আমাদেরকেই করতে হবে দেশের ভিতর থেকে। মামলা-ফামলায় কাজ হবে না। সরাসরি বাদশাহ্ বা সম্রাটের দরবারেই বিচার করতে হবে!!
ধন্যবাদ সুন্ডর লেখার জন্য।
--বাপ্পী
খানিকটা ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ইদানিং। এর মাঝেও জেনেছি ফোরামে এক দুষিত রক্ত জামাতির নতুন বিশ্লেষণ। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
এই পোস্ট ভালো জবাব হয়েছে। নি:শ্বাসের পৌণপুণিকতার মতো একাত্তর ঘুরে ফিরে আসুক। অনেক অনেক শ্রদ্ধা এমন দলিলের জন্য!
বিপ্লব কমরেড আর বেশি দূর নয়, হয় ফুরাবো কিংবা ফুরিয়ে দেব
''দায় এড়াতে হলে তাদেরকে প্রমান করতে হবে- যে ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিকৃত ভুখন্ডে পাকিস্তান আর্মি কোন গনহত্যা চালায়নি ।''
হ... সত্য... করুক পারলে প্রমাণ ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, বিশেষ প্রেক্ষাপটে অনেকটা নতুন আঙ্গিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী উঠেছে সম্প্রতি এবং প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে মাত্র। একে যদি সত্যিকার অর্থেই এগিয়ে নিতে হয়, সেখানে অরাজনৈতিক জনগোষ্ঠিকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাঠেও নামতে হবে। কারণ এই দাবী নতুন কোন দাবী নয়। রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই এই দাবীটা তুলেছে অথচ তাদেরকেই বারংবার অভিযুক্তদের সাথে একই টেবিলে বসতে দেখা গিয়েছে পরক্ষনে। কোন স্বার্থ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো কোন দাবী তোলে না। কখনো নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রমানের তাগিদে, অর্থাৎজনসম্মুক্ষে ভাবমূর্তি রক্ষার্থে, কিংবা প্রতিপক্ষকে দূর্বল করার কৌশল হিসেবে এই দাবীর উপস্থাপন করেছে। তাই যখন হাওয়া পালটিয়েছে, তখন জামা'তের নিরাপত্তা রক্ষার দ্বায়িত্য তারাই পালন করেছে সুকৌশলে। এবারো যে মাঝপথে এরই পূনরাবৃতি হবে না- সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?
সবার কাছে তাই সবিনয় অনুরোধ, দয়া করে মনে রাখবেন, নতুন একটা যুদ্ধ শুরু হয়েছে মাত্র। এই যুদ্ধে পেশাদার সৈনিকেরা যে কোন সময় পিছু হঠতে পারে, তখন কিন্তু আপনাকেই অস্ত্র তুলে নিতে হবে হাতে। যদি সত্যিকার অর্থেই মুক্তি চাই, তাহলে আমাদের সবাইকে সক্রিয় (সচল!) হতে হবে। নয়তো...
থ্যাঙ্কস, সময়োপযোগী লেখা, চাই বর্তমান সরকারের কেউ লেখাটি পড়ুন।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
সেই রকম ... তারকা
__________________________
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
১৯৭১এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা কতটুকু দরকার, কতোদিন সময় লাগবে, আইনগত অন্যান্য দিক কী কী ; এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা'র 'প্রত্যুষা' অনুষ্ঠানে কথা বলেন ব্রাসেলসের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ জিয়া উদ্দীন আহমেদ (০২ জানুয়ারী ২০০৯) । শোনা যাবে এখানেঃ
|
অতীব সময়োপযোগী। আবার প্রকাশ করে খুব-খুব ভালো করেছেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ফ্যাক্স করে, চিঠি দিয়ে, ইমেলে আরো যতভাবে সম্ভব হবু সরকারকে পড়ানো হোক।
আমার মনে হচ্ছে তাঁদের গোদাদের মাথায় বিষয়টি ভালভাবেই আছে নাহলে শীর্ষ আলাপে প্রসঙ্গটি আসত না। বেশি ঝামেলা না হলে হেগ পর্যন্তও বিষয়টাকে নেয়া যায়। সেইসঙ্গ প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওদের ভয়াবহ কীর্তিকলাপের ব্যাপক প্রচার। আরব মিত্রদের কাছ থেকে জোর কূটনৈতিক তত্ পরতার মাধ্যমে বিচারের সমর্থন দ্রুত আনতে হবে। ঐসব মেরুদণ্ডহীন সুবিধাবাদী নেতারা ফিলিস্তিনের গণহত্যা বছরের পর বছর উপভোগ করে। গোলামদের প্রতি তাদের স্নেহের অন্ত নেই।
দেশের মাটিতে যেন ওদের কবরও না হয়।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
খুবই ভাল লেখা ... নতুন সরকারের কাছে এ নিয়ে সবারই অনেক প্রত্যাশা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, যদি যুদ্ধাপরাধের তদন্ত হয়, তবে তাতে অনেক পাকিস্তানীর নাম আসাও স্বাভাবিক। এখন তাদের বিচার করার ক্ষমতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নেই। তাদের নামের তালিকা কি জাতিসংঘের কাছে তুলে দেওয়া যেতে পারে?
আমি ভেবে পাইনা, লোকগুলো কি ভাবে বেচে বর্তে বাংলাদেশের মাটিতেই এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে ...
ভাল প্রস্তাব দিগন্ত। বিষয়টি ভাবানো যেতে পারে। তবে দেশেরগুলোর বিচার আগে ভালয় ভালয় করা গেলে বাকিদের বিচারের ভার ওদের দেয়া যায়। হুজুগ যখন উঠেছে কাউকেই ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখতে হবে।
আন্তর্জাতিক মাফিয়া আর ডনদের কাছে অবশ্য পাকিস্তানের সাত খুন মাফ।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
এর মাঝেও জেনেছি ফোরামে এক দুষিত রক্ত জামাতির নতুন বিশ্লেষণ।দয়া করে এই "দুষিত রক্ত জামাতির" লেখার লিঙ্ক দেবেন কি?
আবীর আনোয়ার,
মার্জনা করবেন, সচলায়তনে অন্য ফোরামের লিংক দেয়া বা পোস্ট/কমেন্ট নিয়ে আলাপের অনুমোদন নেই। তবুও সে সময়, নভেম্বর ২০০৭এ বাংলা ব্লগ কমুনিটি/ফোরাম যতোটা সীমিত ছিলো, তখন প্রায়ই নজর রাখা যেতো কোথায় কী ঘটছে, কে কী বলছেন। সে প্রেক্ষিতে আমার বলা - "এর মাঝেও জেনেছি ফোরামে এক দুষিত রক্ত জামাতির নতুন বিশ্লেষণ।"
আপনার কমেন্ট পড়ে স্মৃতি হাতড়ালাম কী হয়েছিলো ঐ সময়ে, কে কী বলেছিলো। একটু খোঁজাখুজির পরে পেলাম নানান পোস্ট আর কমেন্ট। একজনের একটা কমেন্টে বলা ছিলো, এরকম - যে
লিগ্যালি ইউনাইটেড নেশন ১৯৭১এর হত্যাকান্ডকে জেনোসাইড বলে অনুমোদন দেয়নি। যাদেরকে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী বলা হয়, তারা আসলে ইন্টারন্যাশনাল ল অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী না। একটা যুদ্ধে পার্টিসিপেশনের জন্য কাউকে যুদ্ধাপরাধী বলা হয় না, রেপ, মার্ডার, অগ্নিসংযোগ, মাস-কিলিং এগুলোর সাথে জড়িত থাকতে হয়। যুদ্ধের যে কোনো পক্ষই এগুলো করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী নেই, এগুলো রাজনৈতিক ভাওতাবাজি।
এই ছিল তার কথার সারমর্ম। জামাতি সেই যোদ্ধাটি কে, আগে কী বলেছিলো; এসব জিজ্ঞেস করলে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের অনেক ইতিহাস টানতে হবে। সেটা বোধ করি সচলায়তনের নীতিমালায় আঁটকে যাবে। আপনার আগ্রহ আরও বেশি থাকলে, একটু খোঁজ করতে পারেন অন্তর্জালে। হয়তো অনেক কিছু পেয়ে যাবেন, জেনে যাবেন।
ধন্যবাদ।
এখনই সময়
...........................
Every Picture Tells a Story
রাজাকারদের বাচাঁর আর কোন চান্স নাই মনে হয়।তবু মনে হইতাছে ওরা শিং মাছের মত না আবার পিছলাইয়া যায়।ওগো আব্বারা তো বিরাট শক্তিশালী।
আমার কেন জানি মনে হয়, "যুদ্ধাপরাধ " শব্দটির আন্তর্জাতিক ব্যাখ্যা অনেকের কাছে স্পষ্ট নয় । একারণে "নরপশুরা" এর অপব্যাখ্যা প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাতে পারে।
হাসান মোর্শদ ভাই, জাতিসংঘের যে সব রেজুলুশনের কথা বলেছেন, মিডিয়াতে (টিভি, রেডিও, পত্রিকা ) সেগুলো প্রচার করা হোক । প্রয়োজনে লিফলেট । এতে জনসচেতনতা বাড়বে । সে কারণে বিচার প্রক্রিয়া অনেক সহজতর হবে এবং ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া বেশী পাওয়া যাবে।
আর বিচার প্রক্রিয়া জাতিসংঘ মাফিক হলে, এটা প্রতীয়মান হবে যে সরকার গায়ের জোরে কাউকে শাস্তি দেয় নাই ।
নদী
বাঁচাইলে চাচাই বাঁচাবে।
ইরাক আক্রমণের সময় বুশ-ব্লেয়াররা চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিছে, জাতিসংঘ কার্যত: লুরমা। খুব বেশী ভরসা তাঁদের উপর করা যায় বইলা মনে হয় না।
আমার বক্তব্য হইল রাষ্ট্ররে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে বাধ্য করার একমাত্র উপায় সরকারের উপর ক্রমবর্ধমান গণদাবীর চাপ। চাপের মাত্রা এমন হৈতে হবে যাতে বিচার না করার আন্তর্জাতিক চাপরে রাষ্ট্র অগ্রাহ্য করতে বাধ্য হয়। বিচারে যে আইনগত বাধা নাই এইটা আসলেই পুরান কথা। ৩৭ বছর ধইরা ইস্যুটা আইনের বাধায় আটকাইয়া নাই, রাজনীতির পেজগীতে আটকাইয়া আছে।
বিচার না হলেই কি অপরাধি নির্দোষ প্রমানিত হয়ে যায়? পৃথিবীতে বহু হত্যা, বহু অপরাধের বিচার হয়নি। কারবালার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটালো যে ইয়াজিদ তার ও তো বিচার হয়নি, বিচার হয়নি চেংগিস, হালাকু খানদের, বিচার হয়নি জালিওয়ানোয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের। এইসব বিচার না হওয়ার পেছনে অনেক রাজনীতি আছে। বিচার হয়নি বলেই ইতিহাস ইয়াজিদকে নির্দোষ ঘোষণা করেনি, বিচার হয়নি বলেই জামাতীরা নিজেদের নির্দোষ দাবী করতে পারেনা।
বিচার হবে। বিচার হতে হবে সকল যুদ্ধাপরাধীর।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হ্যা, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশা এখন আমাদের মত অনেকেরই প্রাণের দাবী। আমি চাই অন্ততঃ একটি যুদ্ধাপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। এটা সিম্বলিকালি যুদ্ধাপরাধের বিচার যে হওয়া সম্ভব - তা প্রমাণ করবে।
সত্যই আগুন লেখা।
এ আগুন ছড়িয়ে দেব সবখানে ...
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
- শিমুলের দেয়া অডিও থেকে জানলাম এটা আসলেই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু কিছুদিন আগে অমি রহমান পিয়ালের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো এই নিয়ে। পরবর্তীতে কোনো এক সাক্ষাৎকারে এক বিশেষজ্ঞের কাছে শুনেছিলাম (ঠিক কোন সাক্ষাৎকার, মনে পড়ছে না) যে প্রচলিত আইনেই দালালদের বিচার করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি বিবিসি'র প্রত্যুষেও এরকম একটি আইনের কথা উঠে এসেছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার হোক আন্তর্জাতিক আইনেই, সময় নিয়ে। কিন্তু দালালদের বিচার হোক প্রচলিত দালাল আইনে। এক ইঞ্চি পরিমান ছাড়ও দেয়া না হোক রাজাকার শুয়োরের বাচ্চাদের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
মন্তব্য
"ধর্মনিরপেক্ষতা,সমাজতন্ত্র,বাকশালের মতো সিদ্ধান্ত যদি বাতিল হতে পারে তাহলে দালাল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল হতে আপত্তি কেনো?" -- ফাটাফাটি!! ...বিপ্লব ...
তাড়াহুড়ো করে বিচার আয়োজন করে লাভ হবেনা ...সুচিন্তিতভাবে এগু্তে হবে ...সম্ভবতঃ সবার আগে আমাদের সংবিধানে ৭১ এর পাক আর্মি আর বাঙালী ঘাতক-দালালদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গনহত্যাকে "গনহত্যা" বলে স্বীকৃতি দিতে হবে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমার একটা প্রস্তাব আছে। যাদের আমরা যুদ্ধাপরাধী বলে চিনি, তাদের বলা হোক তারা সবাই যেন সাক্ষ্যপ্রমাণসহ ১৯৭১-এ ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কর্মের একটি তালিকা প্রকাশ করে। রাজনীতিকদের সম্পদের হিসাব দাখিলের মতো। তবে খুব বেশি বিব্রত না করার উদ্দেশ্যে ১৬ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েক বছরের বিবরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে তাদের রেহাই দেওয়া গেলো।
তারা যে নির্দোষ, তা তারা নিজেরাই প্রমাণ করুক।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- আগ্গুন লেখা দাদা
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বরাবরের মতই বিপ্লব।
দারুন লিখেছেন হাসান। ধন্যবাদ। এভাবেই আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। বক্তৃতা মেরে কিচ্ছু হবে না। প্রয়োজন তথ্য-প্রমাণ, পরিকল্পনামাফিক কাজ। ঘাতকের দল নিজেদের পাপমোচনের একটা সুযোগ সাজানোর চেষ্টায় আছে বলেই মনে হয়। দাবি উঠুক-
কমিশন গঠন করে বিশেষ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।