এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর পোষ্ট পড়ে একটা ঘটনা মনে পড়লো তড়িৎ
হাঁটছি ডান্ডি ইঊনিভার্সিটি এলাকায় । আমরা তিনজন । আমি,পলাশ ও ফিনল্যান্ডের উস্তিন্স। এই এলাকায় দেশী ভাইদের আনাগোনা(বাংলাদেশী,ভারতীয়,পাকি) কম । খুবই কম ।
বেশ দূরে দেখা যাচ্ছে একটা কাপল । যথারীতি ছেলেটা মেয়েটার কোমর জড়িয়ে, মেয়েটা ও ছেলেটার এবং যথারীতি স্বল্পবিরতিতে দুইজোড়া ঠোঁট পরস্পর ।
এসব চোখসওয়া হয়ে গেছে সে ও পুরনো খবর । কিন্তু কি এক অদ্ভূত কারনে যেনো আমি ওদেরদিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিনা । ওরা ও এগিয়ে আসছে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে । আমরা নামছি ।
কাছে আসা মাত্রই ধাক্কা খেলাম । মেয়েটা সাদা চামড়ার কিন্তু ছেলেটা আমাদের । পাকিস্তানী নয় অবশ্যই । ভারতীয়দের চেহারায় যে চতুরভাব থাকে এর তাও নেই । একেবারে খাঁটি বাংলাদেশী ছেলে । ভীষন মায়াময় মুখ । বয়স বড়জোড় ২০/২১ হবে ।
ওরা তেমনি জড়াজড়ি করে আছে এখনো । এখনো আমাদের দেখেনি । নিজদের ঠোঁটজোড়া নিয়েই ব্যাস্ত । পাহাড়ী ঢালটা খুব সরু হয়ে এলো । এবার পাশ কাটিয়ে যাবার সময় ছেলেটা চোখ তুলে তাকাল । তাকাল এবং সরাসরি আমার চোখে চোখ ।
ছেলেটার চোখের পাতা চমকে উঠল । বান্ধবীর কোমর থেকে ওর হাত খসে পড়ল । মাথা নীচু করল ।দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে গেলো ।
কয়েকমুহুর্তপর ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালাম । ছেলেটার হাত তখনো স্খলিত । বান্ধবীর কোমর জড়ানো নেই । পা কি একটু বিব্রত? সাদা মেয়েটা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল একবার । মায়াময় ছেলেটা আর ফিরে তাকালোনা ।
মন্তব্য
হা হা হা। আপনার ওভাবে তাকানো ঠিক হয় নাই। বেচারা বড় বেশি অপ্রস্তুত হয়ে গেছিলো মনে হয়।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ধুর মিয়া বেরসিকের মতো বাগড়া দিলেন!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ব্যাপারটা আমাকে ভাবিয়েছে । ছেলেটা কেনো অপ্রস্তুত হলো? সম্ভবতঃ সে বোঝতে পেরেছিলো আমি ও বাংলাদেশী । নিজের অজান্তেই তার ভেতরে একটা অপরাধবোধ জাগ্রত হয়েছিলো নাকি?
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সম্ভাবনা খুব বেশি সিলেটি হবার।সিলেটি কেউ হলে তোকে চেনার কথা।
অনেক পিচ্চিই গত কয়েকবছরে বড়ো সড়ো হয়ে গেছে,আমরা তাদেরকে এখন দেখলে চিনি না।সেই তুলনায় আমাদের চেহারা খুব পাল্টায়নি।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
নিজের পারস্পেকটিভে বলি।
একবার বিকালে আমি আর আমার বউ ডিপার্টমেন্টের সামনে ছায়া সুনিবিড় জায়গায় নিবিড় ভাবে বসে গল্প করছিলাম। এখানে বাঙ্গালী অনেক কম। তারউপর সন্ধ্যাবেলায় কেউ আসতে পারে সেটা ভাবিনি।
কিন্তু বিধিবাম। হঠাৎ দেখি এক বড় ভাই হাজির। বাংলাদেশে হলেও এই ক্লোজনেসটা হয়ত দৃষ্টি কটু হতো না। আমি আমার বউয়ের সাথে বসে আছি সেটা আর এমনকি। কিন্তু তারপরও আমরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম।
আসলে আমাদের ভেতরের রক্ষণশীল মানসিকতা আমরা কখনই কাটিয়ে উঠতে পারিনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ব্যাপারটাই ।
ছেলেটা আমাকে চেনেনা । কথা ও হয়নি । শুধু চেহারা দেখে আমি অনুমান করেছি ও বাংলাদেশী । আমাকে দেখে ও হয়তো তাই ।
তবু গড়ে উঠা মুল্যবোধ ঠিকই আওয়াজ দেয়
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি নিষ্ঠুর!
বেচারা।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যান গিয়া ঠিকঠাক কইরা দিয়া আসেন...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
চলে আসছি গুরু
কে হে ভ্রাত:?
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
সুযোগের অভাবে চরিত্রবান বাঙালীর সুযোগে এভাবে বাগড়া দিলেন!
আহারে আজীবনের মূল্যবোধ!
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমি গুরু হাসান মোরশেদ এর গেস্ট
ঐখানে এখন চাগল নিয়া গবেচনা কর্তেচি
ইন্টারেস্টিং!
নতুন মন্তব্য করুন