সেনাসমর্থিত সরকারের ব্যালেন্সশীট (অপালার' লেখা)

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শুক্র, ২৪/০৮/২০০৭ - ৫:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিরোধ আন্দোলন তো এরকমই হয়- এই পোষ্টে সহব্লগার অপালা একটি চমৎকার বিশ্লেষনী মন্তব্য করেছেন,যেখানে উঠে এসেছে সেনাসমর্থিত তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলনামা- কোন কোন দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, আর ক্ষমতায় এসে গত ৮ মাসে তাদের এক্তিয়ার বহির্ভুত কি কি কাজ তারা করেছেন এবং করছেন ।

মনে হলো, এই মন্তব্য আলাদা পোষ্ট হয়ে আসার দাবী রাখে,যাতে সচলায়তনের সম্মানিত পাঠকগন এ সরকারের হিরন্ময় ব্যালেন্সশীটে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন ।
----
----

গণবিচ্ছিন্ণ কিছু মানুষ ক্ষমতায় গেলে এমন ই লাগে।
তারা যখন ক্ষমতায় আসেনি, তাদের তখন ও ফকিন্নির পোলাপানের সংস্পর্শে যেতে হয় নি,এখন ও না। তারা কি করে বুঝবে। এসি গাড়ি থেকে নেমে এসি রুমে ঢুকে অফিস করা, তার পর এসি করা বাসায় গিয়ে নিদ্রা যাওয়া।তাদের বাজারে যেতে হয় না, বাজার করতে। ফ্রিজ এমনি ভরা থাকে।ওরা কি বুঝবে।ওডের কথা বার্তায় তাদের দম্ভ স্পস্ট হয়ে উঠে, তাই। এটা ই তো সে। তাই না।

যে দল ই ক্ষমতায় থাকুক, তারা তো ভালো ই ছিল।তাদের তো আন্দোলনে যেতে হয়নি, তারা কি করে বুঝবে আন্দোলন এর চরিত্র কি? এতো করাপ্টেট সরকার ছিল,ওি সরকার আমলেও ওরা বড় বড় ব্যাবসা করে আসেছে, ১০০% সততা দিয়ে কিভাবে করেছে। কোন লোককে ঘুষ না দিয়ে কেমনে করছে ব্যবসা?!!

আজ রাসেল এর সাথে কথা বলছিলাম এি সব নিয়ে, এই আট মাসের হিসাব করতে গিয়ে দেখি, ওনারা কি করতএ এসে কি কি করেছেন

ওনাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল-

১।একটা সঠিক ভোটার তালিকা তৈরী
২।নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী
৩।চরম করাপ্টেড লোক জন কে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এর জন্য দূর্নিতি বিরোধী অভিজান।

ওনারা এসে কি কি করলেন-

১।বস্তি আর হকার উচ্ছেদ-ওরা কি অপরাধ করছিল?
২।বিদ্যুৎ শক্তি জমানোর জন্য, ব্যবসায়ীদের সময় বেধে দেয়া-এটা কি ওনাদের মূল দায়িত্ব ছিল?
৩।বড় বড় হোতা দের বাদ দিয়ে ছোটখাট ব্যাবসায়ীদের ও ভয়ের ঠিতর রাখা, ব্যাংক হিসাব চেয়ে।
৪।৪টা পাট কল বন্ধ(ওনারা কি এর জন্য ক্সমতায় বসেছেন?)
৫।চিনি কল বন্ধ
৬।গার্মেন্টস বন্ধ
৭।চিটাগাং ডিপ সি পোর্ট দিয়ে দেয়া(বিশ্বস্থ সূত্রে খবর)
৮।কিছু চুক্তি এখন ও হাতে আছে, হাত নিস পিস করছে হয়তো,তাও করে ফেলবেন।

যা করারা কথা করেন নি-

১। এখন ও বিমান এর দূর্নিতিবাজদের ধরা হয়নি
২। যেই সব সচিব বা বড় কর্মকর্তা আগের বড় বড় দেশ বিরোধি চুক্তি গুলো কাউকে না জানিয়ে করে গিয়েছেন টাদএর ধরে ধরে শাস্তি দেয়া।দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি।
৩।এর সাথে জড়িত নেতাদের ধরা।
৪। বন্যার্তদের জন্য প্রস্তুতি

------
----

জনগন তাদের এখানে বসিয়েছে দেশোন্নয়নের জন্য না, তারা বসিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য।অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য না।

কিন্তু তারা তাই করে আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে।এখন ভারত থেকে চাল এনে ভাত খাও। তারা কাদের লাভ দেখতে এসেছে?কাদের ভাল করতে এসেছে?

আমাদের মতো স্বাধিন দেশের নাগরিকদের কোন অধিকারে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস বলতে সাহস পায়, জন গনের সংযত আচরন করা উচিৎ।তারা আমাদের পর্যবেক্ষন করছে।আমরা কি আচরন করব তাও কি তরা ঠিক করে দিবে?আমরা এখন কোথায় আছি?


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অপালার মন্তব্য আগেই পড়েছিলাম। আলাদা পোস্ট দেয়াতে ভাল হল, যারা পড়েনি তারাও দেখবে। আমার মনে হয় আরো কিছু যোগ করা দরকার ছিল, যেমন আইএমএফ এর সাথে একটা চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে।

আর ধৃত দূর্নীতিবাজদের মধ্যে কোন রাজাকারই নাই--- মি. উ কি জামাতি নাকি?

হযবরল এর ছবি

সামহোয়্যারে অপালা'র লেখাটা কোন এক বেল্লিক রেফারেন্স ছাড়া কপি-পেস্ট করেছে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

করুক। এখন এসব ভাবার সময় না। অপালা দি কিছু মনে করবেন বলে মনে হয় না। ঝামেলা মিটলে ঐ ব্লগারকে অনুরোধ জানালেই হল।

এস্কিমো এর ছবি

ওরা এগার জন...বসে আছে হট সিটে। একদিকে আর্মি - অন্যদিকে রুজী হারানো পাটকল শ্রমিক আর হকাররা। এখন যুক্ত হলো নির্যাতিত ছাত্ররা।

উপায় নেই...

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

সৌরভ এর ছবি

ঠান্ডা ঘরে বসে এগারোজন রুপোর চামুচ মুখে জন্ম নেয়া মানুষ।
এদের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করাটা অর্থহীন।
সেইখানেই প্রথাগত গণতন্ত্রের জিত - অন্তত মানুষের কাছাকাছি থাকা কিছু মানুষ ক্ষমতায় থাকে।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।