এই তাৎক্ষনিক লেখার উস্কানীদাতা হচ্ছেন মান্যবর 'কনফুসিয়াস' ও 'এসএম৩'
ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ডানকান জর্ডানস্টোন' আর্ট ফ্যাকাল্টিতে বসে আছি । বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ফিসারের মুখোমুখি ।
আমি আসলে গৌন এ আয়োজনে । বন্ধু পলাশ ফাইন আর্টস এ পোষ্ট গ্রাজুয়েট ঢুকবে। গ্রাজুয়েশন করেছে স্টাফোর্ডশায়ার থেকে ।
খুবই ইনফর্মাল ভঙ্গীতে ইন্টারভিয় চলছে । ইনফর্মাল বলেই সাথে আমি ও ঢুকতে পেরেছি । আমি ঐ সব একেবারেই বুঝিনা । প্রফেসর ফিসারকে কে দেখে আমার বাংলাদেশের কবি মোহাম্মদ রফিক কিংবা অসীম সাহার কথা মনে পড়ছে । চোখমুখে এক শিল্পীত ভাবালুতা । কাধ ছাঁড়িয়ে ধবঅধবে সাদা চুল ।
পলাশের কাজ দেখে প্রফেসর খুশী । কেবল একটা জায়গায় একটু আপত্তি । ওর আগের কারিকুলামে স্ক্লাপচার ছিলোনা কিন্তু এখানে স্ক্লাপচারের ধারনাগত ব্যাপার গুলো পড়ানো হয়ে গেছে । শুরু হবে স্ক্লাপচার নির্মানের কৌশল গত দিকগুলো থেকে ।
দেখলাম পলাশ, প্রফেসর এর আপত্তিকে চমৎকার ভাবে উড়িয়ে দিচ্ছে । সে মুলতঃ চিত্রশিল্পী । পলাশ বলছে- সব মাধ্যমের মুল উদ্দেশ্য তো একটাই । যে দেখছে তাকে ম্যাসেজ দেয়া । তৈলচিত্র হোক, জলরঙ হোক কিংবা ভাস্কর্য নির্মান করেই হোক- শিল্পী তার শিল্পের দর্শকের সাথে যোগাযোগ তৈরী করছেন মুলতঃ । যোগাযোগ তৈরী করার ধারনাটা যদি পরিস্কার থাকে তাহলে টেকনিক টা শিখে নেয়া কঠিন কিছু নয় ।
প্রফেসর ফিসার দেখছি হাসলেন । আমি ও সুযোগ নিলাম একটু গলাবাজী করার ।
শুধু আঁকাআঁকি কিংবা ভাস্কর্য নির্মান কেনো, লেখালেখি বেলাইয় ও কি একই ধারনা প্রযোজইয় নয়? সেই একই ছবি আঁকা? একই মেসেজ দেয়া?দর্শক কিংবা পাঠকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন? নিজের কথা আরেকজনকে বোঝতে পারার মতো করে উপস্থাপন?
হোমারের মহাকাব্য পড়লে কি পাঠকের চোখে ছবি ভেসে উঠেনা? ট্রয়ের রনক্ষেত্র, একিলিসের বীরত্ব, হেক্টরের আকর্ষনীয় ব্যাক্তিত্ব এইসব কি পাঠক দেখেনা?
ঠিক একই ছবি দর্শক কি দেখেনা এসব কে ভিত্তি করে আঁকা কোন পেইন্টিংয়ে কিংবা ভাস্কর্যে?
তাহলে নির্মানের যোগসুত্র কি খুব সন্নিহিত নয়?
মন্তব্য
অবশ্যই পাঠকের মনে একটা জীবন্ত ছবি ভেসে ওঠা। যিনি যত দক্ষতার সাথে পাঠকমনে সে ছবি আঁকতে পারবেন ততই তিনি সার্থক যোগসূত্র স্থাপন করতে পারবেন পাঠকের সাথে।
আপনার সেই '১৫ বছরের কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে' নিয়ে লেখাটি যেমন এখনো জীবন্ত হয়ে আছে মানসপটে। আর তারই প্রেক্ষিতে একটা ইন্টার-অ্যাকশান গড়ে ওঠেছে।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
- তারপর, প্রফেসর ফিশার কি বললেন?
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিন্তু পাঠক বা লেখক যদি অন্ধ বা জন্মান্ধ হন? তাহলে তার দৃশ্যানুভব কিভাবে কাজ করবে? ২০০৫ সালে আমি সাহিত্য ও দৃষ্টি সংবেদন নিয়ে "দেখা না-দেখার চোখ" নামে একটা সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলাম। সেখানে এই বিষয়ের উত্থাপন ছিল। একটা লেখার কথা বিশেষভাবে বলি: কেনেথ জার্নিগান নামে এক জন্মান্ধ লেখকের একটা লেখার অনুবাদও করেছিলাম আমি সেখানে। লেখাটির নাম ছিল: "সাহিত্য কি অন্ধত্বের বিপক্ষে?"
আপনাদের দুজনের চাপে পড়ে প্রফেসর মাছুয়া কি আর কোনো যোগাযোগ করলেন না?
ধুসরের প্রশ্নই আমার প্রশ্ন।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মহাশয় হাসান মোরশেদ,
ইঙ্গিতে শিল্পের জটিল একখানা বিষয় উপস্থাপন করিলেন মাত্র ।
এতদ্ বিষয় প্রত্যক্ষ প্রমাণাদিসমেত বিস্তারিত ব্যাখ্যা আবশ্যক।
বিশেষত Visual Arts-এর ক্ষেত্রে গল্প বা ম্যাসেজ
মূখ্য বা একমাত্র উদ্দেশ্য নহে । ইহা কবিতার ক্ষেত্রেও সইত্য ।
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
নিজের আনন্দের জন্য লেখাকে কি বলবো?
উদাহরন দেই,এই সচলায়তনে আমার একটা লেখা আছে
"স্বপ্ন শব" নামে,এটাকে গুছিয়ে লিখলে হয়তো পাঠকের মনযোগ পেত,কিন্তু আমার ইচ্ছা হয় নি।
আমি লিখেছি নিজের আনন্দে,বড়ো বড়ো বাক্যে,জটিল করে,কিছু বলেছি,বেশিরভাগই বলা হয় নি।
এটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা হবে?
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
হ চাইপা ধরেন।
কথা কইলেই অইবো।
বুজাইয়া দিতে অইবো না। রাত বিরাতে নেট থুইয়া কই গ্যাছে?
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমচৌ'র মন্তব্যে ডরাইছি ।
তাইলে বিসমিল্লাহ বলিয়া এইবার শুরু করিঃ
সুমন রহমান
আপনি আক্ষরিক অর্থেই জন্মান্ধ বোঝিয়েছেন,সেটা আমি মনে করছিনা । আক্ষরিক অর্থে জন্মান্ধ হলেই যে তার মনের ঘরে ছবি অংকিত হতে পারবেনা,এমন কোনো দিব্যি যে নেই সেটা আপনি ভালোই জানেন- এটা ও আমি জানি ।
এবার যদি পাঠকের চেতনাগতভাবে চক্ষুস্মান হওয়াকে বোঝান তাহলে আরেক অনুসর্গ তৈরী হতেই পারে ।' পাঠকের প্রস্তুতি' । হ্যাঁ, পাঠকের ও প্রস্তুত হবার মতো উপাদান আছে । বোঝানোটা লেখকের একার দায় নয়, যদি প্রয়োজন মনে করেন-বোঝার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন । রিক্সার পেছনে আঁকা ছবি জনতাজনার্দন বিনাক্লেশে বোঝে ফেলে কারন তার বেড়ে উঠার পরিবেশে সাথে এই উপাদান গুলো অনাহুত নয় । কিন্তু রেঁনুয়্যার এর চিত্রকলা? বোঝতে হলে আমাকে ও তো কিছুটা জানতে হবে অন্ততঃ ।
মহাশয় সজারু :
যাক আপনাকে তাহলে চিনতে পেরেছি অতঃপর ।
আমি কিন্তু গল্প বা ম্যাসেজ বলতে সুনির্দিষ্টভাবে ফিগারেটিভ কিছু বোঝাইনি । জয়নুল আবেদীনের দুর্ভিক্ষের ছবিগুলো একটা গল্প তৈরী করে, সুনির্দিষ্টভাবেই । আবার piet mondrian এর tree series এর মতো abstratct চিত্রগুলো ও কিন্তু কোন না কোনো গল্প তৈরী করে । এই গল্প সুনির্দিষ্ট নয় অবশ্যই । দর্শকের বোধ ও মনন অনুযায়ী তা ভিন্ন আবহ তৈরী করে বৈকি । আমার মতো অশিল্পিতজন কিছু আঁকাবাঁকা গাছের ডাল দেখি । এটাই আমার কাছে ধরা দেয়া গল্প । আপনার মতো শিল্পবোদ্ধার কাছে গাছের ডালের এক এক রং হয়তো আনন্দ-বেদনা-বিষাদ ও ভালোবাসার উপমা হয়ে ধরা দেয় । কিন্তু কিছু একটা তো হয় দর্শক মাত্র । এই কিছু একটাই কি সেই গল্প নয় নয় সেই ছবি?
'ঘরে তো এলো না সেতো মনে তার নিত্য যাওয়া আসা, পরনে ঢাকাই শাড়ী কপালে সিঁদুর' এই লাইন গুলো একটা স্পষ্ট ছবি বানায় আবার জীবন দাস বাবুর 'স্বপ্ন নয়,সত্যি নয়-অন্য কোনো এক বোধ কাজ করে'- পাঠ মাত্রি কি পাঠক নিজে এক অন্য রকম বোধে আক্রান্ত হয়না? যদি না হয়, সুনির্দিষ্ট কিংবা অবচেতন যে কোনো প্রকারে কিছু একটা ঘটাতে না পারে তাহলে সেই সৃষ্টির আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
আরিফ
ব্যাবসার ধান্দাবাজি বাদে, বেশির ভাগ লেখালেখি তো নিজের অনুভূতি থেকেই উৎসরিত, তাইনা? সেটা আনন্দ হতে পারে,বেদনা হতে পারে, প্রেম কিংবা ইর্ষা হতে পারে কিংবা ঘৃনা ও হতে পারে । কিন্তু সেই লেখা যখন পাঠকের কাছে চলে যায়, পাঠক সেটা লেখকের মুলসুত্র অনুযায়ীই গ্রহন করবে- এমন নিশ্চয়তা কি আদৌ দেয়া যায়? লেখাটা হতে পারে একটা তীরের মতো, ছুঁড়ে দিলাম তো এটাকে আমার আর নিয়ন্ত্রনের সুযোগ নেই । হতে পারে সকল পাঠক লেখকের মতোই ভাবছেন হতে পারে সক্ল পাঠক মিলে লেখকের চেয়ে ভিন্ন কিছু ভাবছেন আবার এমন ও হতে পারে এক এক পাঠক এক এক রকম করে গ্রহন করছেন ।
'আমাদের অন্তর্গত রক্তে খেলা করে এক বিপন্ন বিস্ময়'- কে জানে জীবন বাবু কোন বোধ থেকে লিখেছিলেন এ লাইন । এ লাইন আমি আমার তীব্র বিষন্নতায় আঁকড়ে ধরেছি কখনো আবার কখনো স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পোষ্টারে ও দেখেছি ।
কি জানি কি লিখতে গিয়ে কি লিখে ফেলেছি । ক্ষমা করবেন মাননীয় গন ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ, আমি আক্ষরিক অর্থেই "জন্মান্ধের" বিষয় বুঝিয়েছিলাম। যে জীবনে চোখ খুলে দেখে নাই, তার দৃশ্যানুভব কীরকম। আবার, যার কিছু দেখাদেখি হয়েছে, তারপর অন্ধ হয়ে গেছে, তার অদেখার জগতের দৃশ্যগুলো কিভাবে পাল্টায়, বা বেড়ে ওঠে... এসব। তাদের ছবির সাথে চক্ষুষ্মান মানুষের মনোছবির পার্থক্য তো থাকবে, নাকি?
অন্ধদের (আক্ষরিক অর্থে) তরফে শিল্পসাহিত্য বিষয়ে একটা আপত্তি আছে যে, এগুলো দৃশ্যানুভূতি-বায়াজড। তাছাড়া, সাহিত্যের অন্ধচরিত্রগুলোও অস্বাভাবিক (ব্যতিক্রম আছে), হয় দেবতা, নয় শয়তান। হয় আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন, না হয় নিদারুণ ভূক্তভোগী। এখানেই অন্ধদের আপত্তি।
মহাশয় হাসান মোরশেদ,
এতদ্ বিষয় আপনি আমাকে একখানা রচনা লিখিতে অনুপ্রাণিত করিলেন।
যথাশীঘ্র পোস্টিত হইবে।
উহা পড়িয়া মন্তব্য জুড়িলে যাহার পর নাই আনন্দিত হইব ।
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
বলতে সংকোচ হচ্ছে, কিন্তু আমিও জন্মান্ধদের সাহিত্য অনুধাবনের ব্যাপারটা নিজে থেকে কখনো চিন্তা করে দেখি নি। সুমন রহমান যেরকম বললেন, জন্মান্ধদের মনে যে ছবি ভেসে উঠবে, তা অবশ্যই অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে। আমারো তাই মনে হয়।
কিন্তু সেই সাথে আরেকটা কথা যোগ করি। আমরা যারা চোখে দেখতে পাই, তারা সবাই কি যে কোন লেখা পড়ে একটা ছবিই আঁকি? আমাদের ছবিগুলোও তো একজনের থেকে আরেকজনেরটা অনেক বেশি আলাদা হতে পারে। হয়ও। সুতরাং, জন্মান্ধ বা অন্ধ যারা, তারা নিজেদের খুব বেশি ব্রাত্য না ভাবলেও পারেন।
হাসান ভাইয়ের এই কথার সাথে পুরোপুরি একমত যে,একটা নির্দিষ্ট সীমার পরে আর পাঠককে বুঝাবার দায় লেখকের নেই। পাঠকের নিজেরও একটা দায়িত্ব থাকা উচিত নিজেকে প্রস্তুত করার। অথবা কোন লেখক যদি সেই সর্বনিম্ন সীমাও না মানেন, আমি কখনোই দোষ দিবো না তাকে।
এই নিয়ে আগেও অনেকবার অনেক তর্ক করেছি। এবং আমি যেটা ভেবে নিয়েছি, মনের আনন্দ নিয়ে লিখলেও সব লেখকের মনের ভেতরই নিশ্চয় একটা টার্গেট পাঠকের কাছে পৌছবার চেষ্টা কাজ করে।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দেখলাম।সহমতের প্রশ্নই নাই।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
সুমন রহমান
আমি দুঃখিত । আপনি যে আক্ষরিক অর্থেই 'জন্মান্ধ' বুঝিয়েছিলেন আমি সেটা ধরতে পারিনি । এক্ষনে ভাবনার নতুন সুযোগ ঘটে ।
আমাদের দেশগুলোতে মনে হয় অন্ধদের পঠনের ব্রেইলি নামের একটা পদ্ধতি আছে । বৃটেনের লাইব্রেরীতে দেখেছি অডিও বুক থাকে অন্ধদের জন্য ।
নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়-উপমাগুলো তাদের কাছে কোনরূপে ধরা দেয় । 'মেয়ে তুমি আকাশের মতো নীল'-'নীল'টা কেমন? 'আকাশ'টাই বা কি রুপ?
ব্রেইলি কিংবা অডিও বুকের মাধ্যমে এই লাইন শোনার পর একজন জন্মান্ধ তার মননে কোন ছবি আঁকে?
মহাশয় সজারু
অতীব প্রীত হইবো আপনার সুলিখিত রচনা পাঠের সুযোগ দানে বাধিত করিলে ।
অপেক্ষায় থাকিলাম তবে ইহাও জানাইয়া দেওয়া আবশ্যক চিত্রকলা বিষয়ে এই অধ্ম একেবারেই ক অক্ষর গো-মাংস ।
কারুবাসনা
সহমতের প্রশ্ন না উঠাটাই বরং আনন্দপ্রদ । তাহলে ভিন্নমত জানার সুযোগ তৈরী হয় ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ, এ বিষয়ে জানার জন্য খুব বেশি টেক্সট নাই। যেহেতু এটি নিয়ে একসময় কাজ করেছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলি: হেলেন কেলার-এর আত্মজীবনী "মাই লাইফ" বা বোর্হেসের "অন ব্লাইন্ডনেস" পড়ে দেখতে পারেন। এরা দৃষ্টিহীন অবস্থায় এসব লেখা লিখেছিলেন। চক্ষুষ্মান সাহিত্যিকের কাজ দেখতে চাইলে বঙ্কিমের "রজনী" বা করলেংকোর "দ্য ব্লাইন্ড মিউজিশিয়ান" খুব কাজের। একজন দৃষ্টিহীন মানুষ কিভাবে অনুভব করতে চেষ্টা করে সেই বর্ণনা পাওয়া যায় সেখানে।
সৃজনশীলতা ব্যাপারটাই দ্বি-পাক্ষিক। সেটা লেখাই হোক আর আঁকাই হোক!স্রষ্টা সৃষ্টি করে আনন্দ পাবেন, আবার অন্য কেউ সেই সৃষ্টি থেকে আনন্দ পেলেও আনন্দিত হবেন।
পলাশ ভাই কি অবশেষে চান্স পেল?
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
খুলির ভিতরে পিষা না মারলে ..মানে কোন না কোনভাবে লেখা বা সুর বা নানারকম দাগাদাগিতে বাইর হইয়া গেলেই সেইখানে কোন না কোন মেসেজ থাকে। কথা হইলো সেইটা কিরকম মেসেজ? বন্ধু মশিউর ডিজিটাল অর্থাৎ ডি আর জি একসাথে খাইয়া টাল হইলে গলা ছাইড়া কইতো,"ঐ আমার খুব ভালো লাগতাছে..." সেইটাও একটা মেসেজ। এখন সেই বার্তা যে সুনির্দিষ্ট কাউরে উদ্দেশ্য কইরাই হইতে হইবো এরম কোন কথা নাই। কেউ কেউ সিগনাল পাইবো কেউ কেউ পাইবো না। এমনো হইতে পারে একটা সুনির্দিষ্ট এলাকার কোন সুনির্দিষ্ট সময়ে কেউই সিগনাল পাইলো না। তাতে কি হইলো? বার্তা নাই হইয়া গেল? বার্তা বলতে কি বুঝানো হইতাছে এইটা শুরুতে বুঝা দরকার...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সুমন রহমান
মনে থাকলো । ধন্যবাদ
দ্রোহী
হ্যাঁ । হয়ে গেছে । বংগমাতা আর কিছু না দিক,বলতে পারার মতো কথার ভান্ডার তো দিয়েছে অফুরান । এটা ও কিন্তু কাজে লেগে যায় অনেক সময় :
সুমন চৌধুরী
এক্সেকটলি এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম ।
কখনো ধরা যায়,কখনো ধরা যায়না,আবার একেক জনের কাছে একেক রকম ভাবে ও ধরা দেয় কিন্তু সৃষ্ট মাত্রই তো কোন না কোন বার্তা বহন করে ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন