সপ্তাহ অধিক থেকে বৌদ্ধভিক্ষুদের নেতৃত্বে যে গনআন্দোলন চলছিল,আজ তা চুড়ান্ত রূপ নিয়েছে । রাজধানী ইয়াংগুনে সকাল থেকেই অন্ততঃ ৫ হাজার ভিক্ষু ও তাদের কয়েকহাজার সমর্থক-কারফিউ ভংগ করে রাস্তায় নামেন ।
বিকেলের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের পাশাপাশি গুলি ছুঁড়তে থাকে ।
এখন পর্যন্ত অন্ততঃ একজন ভিক্ষুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে । আরো কয়েকজন গুলীবিদ্ধ হয়েছেন
থাইল্যান্ড থেকে একজন ব্লগার,তার ব্লগে পরিস্থিতি'র আপডেট জানাচ্ছেন ।
সচলায়তনের পাঠকগন সর্বশেষ পরিস্থিতির জন্য চোখ রাখতে পারেনঃ
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ব্লগ নিউজ
সংযোজনঃ
জুলাই মাসে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ভারত থেকে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার গানশীপ আমদানী করেছে । হালকা ও সহজে উড্ডয়নযোগ্য এই গানশীপ গুলো ভারতেই তৈরী কিন্তু এর টেকনলজী এবং আর্মস এম্যুনিশেন্স সরবরাহ হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক বা একাধিক দেশ থেকে ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো দেশ অস্ত্র রপ্তানী নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ও গোপনে অস্ত্র ব্যবসা চালু রেখেছে ।
এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ বিষয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ ও তদন্ত দাবী করেছে ।
ধারনা করা হচ্ছে, গনবিক্ষোভ চুড়ান্ত রূপ নিতে পারে এই আশংকায় সামরিক জান্তা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ।
মন্তব্য
পরিস্থিতি বাংলাদেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে!?
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
হা হা ভাল বলছেন।
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
লেখার প্রথমে 'বৌদ্ধভিক্ষুকদের' স্থলে 'বৌদ্ধভিক্ষুদের' হবে সম্ভবত, আশা করি ঠিক করে দেবেন।
নিরস্ত্র মানুষের উপর অস্ত্রসজ্জিত হয়ে আক্রমন করা কোন পর্যায়ের কাপুরুষতা আমার জানা নেই, তবু ইতিহাসে বারবার তাই ঘটে।
আফগানিস্তানের পপি পশ্চিমা দেশে যায় বলে মহাজ্ঞানীদের মহামাথাব্যাথা, অস্ত্র এবং হেরোইন/কোকেন কোনাটা রপ্তানী বেশী দুশ্চিন্তার বিষয়?
==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।
অবশ্যই,অবশ্যই এটা 'বৌদ্ধভিক্ষু'ই হবে ।
এই পোষ্ট যখন লিখি তখন আমি স্কটল্যান্ডের এক ট্রেন স্টেশনের ওয়েটিং রুমে । নতুন ওয়াই ফাই লাগিয়েছে । পয়সা দিয়ে ওয়ারল্যাস নেট সুবিধা পাওয়া । বসে বসে এই পোষ্ট দিতে না দিতেই ট্রেনের হুইসেল
ধন্যবাদ ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পিথিমী বড়ই জটিল।
এই আন্দোলনের খবর রাখছি শুরু থেকেই।
আজ খুব খারাপ লাগছে। ১ জন ভিক্ষু প্রাণ দিয়েছেন। আহত ও গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে।
সবচেয়ে হতাশ চীন ও ভারতের কোন প্রতিক্রিয়া না দেখে। এরা দুই মহাশক্তি মিয়ানমারের জান্তার সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল। চীন সরাসরি সমর্থক আর ভারত বাণিজ্যিক সহযোগী।
বিবিসি তে এই ছবিগুলো দেখার অনুরোধ জানাই।
মুক্তির জয় হোক, দেশ-কাল-সময়কে পেরিয়ে আমাদের সমর্থন থাকবে এইসব সংগ্রামী সহযাত্রীর জন্যে।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সামরিক জান্তা নিপাত যাক!
সৌরভদা, লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ঈশ্বরহীন ধর্মের সমীকরণ কি অন্যরকম হয়?
গড় একটা কথা আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বলেন যে ধর্মজীবিদের সাথে সেনাশাসনের পীরিতিথাকে জব্বর।
বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে কি রসায়নটা অন্যরকম?
কেউ আলোকপাত করেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সামরিক জান্তা নিপাত যাক। ছবিটার আবেদন গভীর। বার্মার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রতিরোধের ছবির পাশাপাশি বাংলাদেশের ছবিটি দেখুন দেশী ভয়েস থেকে: Two Tales of Two Lands!!!
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
বিশ্বের সব দেশের সামরিক জান্তা নিপাত যাক।
কিছু পার্থক্য লক্ষণীয়। প্রথমত, দুই দেশের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ভূমিকার তফাৎ। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের মিডিয়ার ভন্ডামি। বার্মায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ যত রোমান্টিক ব্যাপার, এই দেশে সামান্য বিরুদ্ধমতের প্রকাশ ততটাই দুরাচার। আমাদের সময়ে দেখলাম বলছে, জনগণ 'গণতন্ত্র, গণতন্ত্র' বলছে, আর জান্তা 'কারফিউ, কারফিউ' বলে লেজ গুটাচ্ছে। হায় রে বড় বড় কথা! পরের দেশ নিয়ে নসিহতের নমুনা দেখে গা জ্বালা করছে। নিজের দেশের বেলায় তো একই বাঘের মুখে মিউ-মিউ (নাকি মুই-মুই?) রব শুনি।
সময়ের সাথে সাথে, অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ সময় সকালে দেখছি - রাতভর গ্রেফতার অভিযান চলেছে, শতশত নীরিহ ভিক্ষুকে
গ্রেফতার করা হয়েছে।
সামরিক কুকুরেরা নিপাত যাক।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অস্ত্র যার, ক্ষমটা তার!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একজন জাপানী ফটোগ্রাফার মারা গেছেন সামরিক জান্তার গুলিবর্ষণে...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ভয়ংকর ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন