Charles Bukowski'র কিছু কবিতা অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম । দুটো প্রকাশ ও করেছিলাম সামহোয়ারে । সচলায়তনের জন্য এটা নতুন অনুবাদ ।
যথারীতি,অনুবাদের চেয়ে ভাবানুবাদ অভিধাই নিরাপদ ।
----------------------------------------
পবিত্র রোববার,মসৃন সকাল
জানালার পাশে পান করছি প্রিয় দ্রাক্ষারস ।
অদুরে গীর্জা দন্ডায়মান,ভাব গম্ভীরময় ।
সে শ্যামলা বরন, প্রাচ্যের ঘ্রানময় ।
দীর্ঘ কালো চোখ, তুলে তাকালো বাইবেল হতে,
চোখ নামালো আবার বাইবেলে ।
ছোট কালো,ছোট লাল বাইবেল । আর সে পড়ছে
তার দু পা নাচছে ।সোয়ানলেকের মতো ছন্দময় ।
দীর্ঘ সোনালী কানের দুল দুবাহু মোড়ানো সোনালী বালা
আর আঁটোসাটো মিনিস্কার্ট জড়িয়ে আছে শরীর তার ।
যেনো একটা ছবি,স্থির হয়ে এইক্ষনে এইসব ।কেবল
দীর্ঘ দু পা অদলবদল-রোদের তাপ ।
যেনো তার কোন পরিত্রান নেই
যেনো তার কোন অভিলাষ নেই ।
আমার রেডিওতে বাজছে ধ্রুপদী সংগীত
শনতে পারছেনা তবু কি অদ্ভুত তালে তালে
বদলে যাচ্ছে তার পায়ের ছন্দ,নাচের ভংগীমা ।
শ্যামলা সে,ছায়াময়
পড়ছে সে ইশ্বরের গ্রন্থ ।
দুরবর্তী জানালায় দ্রাক্ষারস হাতে স্বয়ং ইশ্বর ।
জুলাই ৩। প্রথম প্রহর । বিলেতের ঘড়ি
মন্তব্য
পড়লাম। প্রাঞ্জল।
'সোয়ানলেক' শব্দটা আগেও কোথাও পড়েছি। অর্থ কী? @ মোরশেদ ভাই।
'সোয়ানলেক' রাশান ব্যালে ড্যান্সের এক বিশেষ মুদ্রা । সাদা কস্টিউম পড়া ব্যালেরিনাদের এই মুদ্রায়, লেকে ভাসা রাজহংসীদের মতো মনে হয়। হয়তো সে কারনেই এরকম নাম
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দারুণ তো!
থ্যাংকস।
তবে চাইকোভস্কি মহাশয়ের কম্পোজিশনটা মনে হয় হ্রদে রাজহাঁসের ফালাফালি বিষয়ক...রাজহাঁস দেখতে যতটা ভালো মাংস ততটা না...তুলনায় পাতি হাঁস ভালো...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আমার মন্তব্যের সাথে হাসান মোরশেদের মন্তব্যের সম্পর্ক একদিক থিকা নাই,আরেক দিকে গভীর..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হা হা।
>>>> বদ্দার কমেন্ট পড়ে মনে পড়লো।>>>> পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের পার্থক্য লিখতে হতো। চাহিদা-যোগান, প্রান্তিক উপযোগ-সমষ্টিক উপযোগ, স্মারকলিপি-পরিমেল নিয়মাবলী - - এইরকম। তো ঐখানে ছক কেটে পার্থক্য লিখে উপসংহার থাকতো কমন, ---এসব পার্থক্য সত্বেও উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
পার্থক্য তো নিজেই একটা সম্পর্ক
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ঠিক।
এই সাইটে চামচামি করার সিস্টেম কি?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পিঠ চুলকায়ে দিলেই হবে।
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
কারনটা বলতে পারছি না তবে আগের গুলোর মতো ভালো লাগেনি।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
'Theory of relativity vs differenciation'-by সুমন চৌধুরী ।
কৃতজ্ঞতা অন্যসকল কে ।
কারনটা মনে হয় আমি ধরতে পেরেছি । আগের দুটোয় তুলনামুলক ভাবে ছন্দ কিংবা তালটা বেশী ছিলো, ফলে পড়াটা সাবলীল ছিলো । লেখার পর যখন পাঠক হয়ে পড়েছি একবার,আমার কাছে ও সেটা ঠেকেছে ।
এই ব্যাটার কবিতাগুলোতে এই সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ঠিক।গতি পাওয়া যাচ্ছে না।একাত্ম বোধ করছি না।আগের দুইটাতে ১০০ তে ৯৬ দিতাম,এটাতে বড়োজোর ৬৭।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
হাহা, যাক ফেল তো করিনি
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এভাবেই বুঝি ঈশ্বরও পাতক (নাকি পাতকী) হয় !! বরাবরের মতোই উপভোগ্য। এখন থেকে ঠিক করেছি সুন্দর, দারুন, উপভোগ্য শব্দগুলি ব্যবহার করবো না। আপনার লেখার জন্য ওগুলো বাই ডিফল্ট থাকবে।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ঝরা আমারে ফেল করানোর ধান্দায় আছে
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হায় হায়, এটা কি বললেন। গুরু মারা বিদ্যায় আমার বিশ্বাস নেই।
শংকারাচার্য একবার আরো বেশ কয়েকজন পন্ডিত, আচার্যসহ এক ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সভার সভাপতি। কিছুক্ষণ পরে নলিনী নামক এক ভক্ত এসে শংকারাচার্যের পূর্বে আরেকজন সন্ন্যাসীকে প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানান। তখন সভায় উপস্থিত সকলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। নলিনী তখন বলেন- আমি যাকে প্রণাম করেছি তিনি আমার গুরু। আমার গুরুকেই আমি সবচেয়ে সত্য মানি। তার উপর কোন গুরু নেই। তাঁর কোন ভুল নেই। তাই সবার আগে আমি আমার গুরুকেই প্রণাম করবো। সভার লোকজন হ্ট্টগোল শুরু করলো, এহেন অভদ্র শিষ্যের আচরণ নিয়ে। শংকারাচার্য বললেন- নলিনী, তুমি তোমার সাধনায় সম্পূর্ণ সিদ্ধ। আজ থেকে তুমি পরমহংস। তোমার জ্ঞানের পূর্ণতা সাধন হয়েছে। এই বলে তিনি সভামঞ্চে নলিনীকে আসন গ্রহণ করতে বললেন।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
কবিতা কেন জানি অলোয়েজ আমার মাথার উপর দিয়া যায়...রাডার কেটচ করতে পারে না...মূর্খ বইলা মনে হয়।ঃ(
দৃশা
খুঁজেপেতে ইংরেজী ভার্সনও পড়ে ফেলেছি। চমৎকার!
আমাদের ঝরা তবে পরমহংস হতে যাচ্ছে! হুম,সামলে বাবা...
আশিক আহমেদ:
কৃতজ্ঞতা । চিনি কি কোনো প্রকারে? নাম এবং চেহারায় দ্বিধাগ্রস্থ হলাম । গিয়াস আহমেদ এর কেউ হন নাকি?
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মনে হয় না, আমি সচলায়তনে নতুন। আর গিয়াস আহমেদের সাথেও পরিচয় নেই। আমার নাম আর চেহারা দুটোই খুব কমন,তাই পরিচিত মনে হতে পারে।
দারুণ তো।
শ্যামলা সে,ছায়াময়
পড়ছে সে ইশ্বরের গ্রন্থ ।
দুরবর্তী জানালায় দ্রাক্ষারস হাতে স্বয়ং ইশ্বর ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন