।। কবি ও প্রেমিকাগন ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ০৭/০৩/২০০৯ - ৭:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..
আমার এমন হয় ।
দীর্ঘ প্রস্তুতির বিনিময়ে কোন কোন কাজ শেষ করতে গিয়ে, শেষ মুহুর্তে আমাকে আঁকড়ে ধরে অবসন্নতা । মনে হয়, থাক । বরং বাদ দেই, বরং ফিরে যাই…

প্রথম যেদিন রিমি’র জামার বোতাম খুলেছিলাম-আমার দীর্ঘ প্রস্তুতি ছিল সেটা,মনে আছে । কারো কারো এইসব সহজে হয়ে যায় । আমার হয়না । বেশ তো ক’দিন হয়ে গেল । এখনো মনে আছে, রিমি’র জামায় পাঁচটা বোতাম ছিলো । ও চোখ বুঁজে ছিলো । আমি প্রথম বোতামে বেপরোয়া ছিলাম,দ্বিতীয় বোতামে কামার্ত, তৃতীয় বোতামে সাহসী হয়ে চতুর্থ বোতামে অবসন্নতা ।মন বলছিল- থাক এতোটুকুই, বাদ দেই এবার, ফিরে যাই । মুহুর্তের অমনোযোগীতায় রিমি চোখ খুলেছিল আর হাতের আঙ্গুল ও অবাধ্য হয়েছিল আমার ।

এই বিকেলে কালো গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সেই একই রকম ফিরে যাওয়ার আকুতি টের পাই নিজের ভেতর অথচ এই বিকেলের জন্য, এই গেটের সামনে দাঁড়ানোর জন্য কতোদিনের অপেক্ষা আমার!
এবারো হাতের আঙ্গুল অবাধ্য হয়ে উদ্ধার করে আমাকে । কলিং বেল চাপি ।
মধ্যবয়স্ক কাজের লোক এসে গেট খুলে দেয় ।
আমার কি কিছুটা মন খারাপ হয়?

লোকটা নাম জিজ্ঞেস করে,তারপর জানান দেয়-তিনি ভেতর ঘরে অপেক্ষায় আছেন । আমি লোকটাকে অনুসরন করি কেবল । অনুসরন করতে করতে ঘাড় ঘুরিয়ে বাড়ীটা দেখি । খুব পুরনো নয় অথবা বাড়ীটা পুরনোই,নতুন করে সাজানো হয়েছে । দোতলায় টানা ছাদ, নিচে বেশ বড় একটা বাগান, বাগান পেরিয়ে মুল বারান্দা । আমরা বারান্দায় উঠি । বারান্দা পেরিয়ে ভেতর ঘর ।

ভেতর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি। বয়স হয়েছে বুঝা যায় কিন্তু চিবুকে এখনো স্নিগ্ধতা ও আভিজাত্যের মিশেল । বেশ ঘরোয়া কিন্তু দামী শাড়ী জড়ানো গায়ে । কোন কোন মুখ দেখলে সাদা-কালো এলবামের ধ্রুপদী ছবি মনে হয় । এ মুখ সেরকম ।

তাঁর চোখে কৌতুহল,ঠোঁটে চাপা হাসি ।
-টেলিফোনে গলা শুনে আপনাকে আরো বয়স্ক মনে হচ্ছিলো ।
আমি হাসি । সবিনয়ে বলি-
-আমাকে তুমি করে বললে খুশী হবো ।
-ঠিকাছে, ভিতরে এসো ।

আমরা ভেতরে যাই।কাজের লোকটা অন্য কোথাও চলে গেছে।এই ঘরে শুধু তিনি এবং আমি। বেতের সোফায় বসি।পাশের সোফায় বসতে বসতে তিনিই কথা শুরু করেন-
-আমি কিন্তু তোমাকে ঠিক চিনতে পারিনি ।

নাম শুনে চিনে ফেলা অসম্ভব জেনেই আমি আমার নামটা বলি । তারপর বলি
-আমি ঢাকা থেকে এসেছি । সিনেমা বানাই
-ওহ । শুটিং করতে এসেছো? আমাদের ছোটবেলায় এখানে কতো শুটিং হতো । এখন মনে হয় সেরকম হয়না ।
-আমি ঠিক ওরকম সিনেমা বানাইনা । ডকুমেন্টারী করি ।
-আচ্ছা!

টের পাই-আমার সামনে যিনি বসে আছেন-এই শহরের সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের অবসর নেয়া প্রধান শিক্ষিকা,যার স্বামী বছর কয়েক আগে প্রয়াত, ছেলে মেয়েরা লন্ডন ও নিউইয়র্কে সেটেলড, নিজে ও বছরের বেশীর ভাগ সময় এখন বাইরে থাকেন- তার ভেতর আমাকে নিয়ে যুগপৎ কৌতুহল ও অস্বস্তি কাজ করছে ।
আমাদের মধ্যে ছেঁড়া ছেঁড়া কথা হয়
-আমি গত সপ্তাহে লন্ডন থেকে ফিরেছি । এতো ঠান্ডা পড়েছে এবার । ভাল্লাগেনা থাকতে ।
-আমি জানি ।
-জানো?
-জ্বি । আপনার ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম । ফিরেছেন জেনেই আমি এসেছি ।

এবার তিনি স্পষ্ট করে আমার দিকে তাকান । কন্ঠ একটু ও না কাঁপিয়ে বলেন
-ঠিক কি কাজে তুমি এসেছো, বলোতো?

আমি বুকের একটু গভীরে বাতাস টেনে নেই । ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলি
-একটা ডকু ফিল্ম বানাতে যাচ্ছি । আপনার সাহায্য দরকার । ইনফ্যাক্ট আপনার সাহায্য ছাড়া আমি পারবোনা । সেজন্য আপনার লন্ডন থেকে ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম ।

তিনি হেসে উঠেন
-তোমার ফিল্ম বানাতে আমি সাহায্য করবো? কি সাহায্য করবো বলোতো? নানী-দাদীর ক্যারেক্টার করতে হবে? আমি জীবনে ও অভিনয় করিনি ।
তার হাসিতে আমি ও হাসি
-৩০ বছর আগে জন্ম নিলে আপনাকে আমার ফিল্মের নায়িকা বানাতাম
এবার আমরা দুজনেই একসাথে হেসে উঠি ।

হাসির রেশ থামার আগেই আমি জরুরী কথাটা বলে ফেলি
-একসময়ের বিখ্যাত একজন কবি’কে নিয়ে আমি ফিল্ম করতে চাচ্ছি । তার জীবনের জরুরী কিছু বিষয় আপনার সাথে জড়িত । এ গুলো আমার জানা দরকার ।
খুব স্থির কন্ঠে তিনি বলেন
-কার কথা বলছো তুমি?
-কবি রায়হান মুস্তাফিজ ।
-তুমি কে?
-আমি তার ছেলে ।

তিনি আর্তনাদের মতো আমার অগ্রজের ডাক নাম উচ্চারন করেন ।
-ও আমার বড় । খুব ছোটবেলায় আপনি ওকে দেখেছেন । আমার জন্ম তার পরে । আমরা তখন এ শহর ছেড়ে চলে গেছি ।


কাজের লোক ট্রলি ভর্তি নাস্তা নিয়ে ঢুকে । আমাদের কথায় স্তব্দতা নেমে আসে । তিনি আমাকে গাজরের হালুয়া এগিয়ে দেন । আমি নাড়াচাড়া করতে থাকি ।
কাজের লোক বেরিয়ে গেলে তিনিই আবার কথা শুরু করেন
-তোমার বাবা আমার কথা বলেছে?
-না । মা ।
- ও । কেমন আছেন তিনি?
-মা মারা গেছেন চার বছর আগে ।
- আমি দুঃখিত ।
-না ঠিকাছে । মারা যাওয়ার আগের দুবছর মা বিছানায় পড়েছিলেন । বড় ভাই কানাডায় চলে গেছে । বাবা ও তার মতো সময় কাটাতো । একমাত্র আমি মায়ের পাশে বসে থাকতাম । সেই সময়ে প্রথম আপনার কথা শুনি । মা অনেক গল্প করতো আপনার ।
-তোমার মা খুব ভালো ছিলেন ।
-আপনার তো বান্ধবী ছিলেন ।
-এক সাথে পড়েছি ।

কথা আবার থমকে যায় । তিনি বাবার কথা জিজ্ঞেস করেননা । তার জানতে ইচ্ছে করেনা নাকি অস্বস্তি?
-মায়ের মৃত্যুর পর বাবা ও চলে গেছে বড়ভাই এর কাছে । কিডনীর সমস্যায় ভুগছে ।
-ও
-বাবার সাথে আমার কখনোই তেমন ঘনিষ্ঠতা হয়নি । মা বিছানায় শুয়ে শুয়ে এতো গল্প করতো মানুষটাকে নিয়ে, পরে মনে হলো তাকে নিয়ে একটা ফিল্ম করা যায় ।
-তোমার মায়ের কাছে আর কি শুনেছো?
-বাবা এবং আপনার দীর্ঘসম্পর্ক ছিলো । আপনি চমৎকার গান গাইতেন আর কবি হিসেবে বাবার খ্যাতি ও ছড়াতে শুরু করেছে, সাথে ভালো চাকরী । প্রথম দিকে কিছুটা আপত্তি থাকলে ও শেষপর্যন্ত দু পরিবারের সম্মতি ছিলো । ছোট্ট মফস্বল শহরে আপনারা ছিলেন আদর্শ জুটি । কিন্তু…
-শেষ পর্যন্ত আমাদের বিয়ে হয়নি ।
-ঠিক এই বিষয়টাই আমি জানতে চাইছিলাম ।
-কেনো তোমার মা তোমাকে বলে যাননি?

আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা জড়ানো কন্ঠে তার এই প্রথম আমি কিছুটা শ্লেষের ইংগিত পাই ।
-না । এটা মায়ের কাছে ও রহস্য ছিলো ।
-তিনি তোমার বাবার বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন ।
-মা আপনার বান্ধবী ছিলেন
-আমরা একসাথে পড়েছি ।
-যাইহোক । আপনি তো জানতেন তাকে । অতোটা সপ্রতিভ কখনোই ছিলেন না । নিজের ভেতর গুটিয়ে থাকতেন । বাবার সাথে ও তাকে আমরা খুব বেশী কথাবার্তা বলতে দেখিনি ।
-কিন্তু তোমার বাবা তো তাকেই বিয়ে করেছিলেন
-হ্যাঁ । আমার মায়ের কাছে ও এটা শেষদিন পর্যন্ত রহস্য ছিলো বাবা কেনো শেষপর্যন্ত তাকে বিয়ে করেছিলেন ।
-তাই নাকি? ভালো ।

আমি টের পাই একটা জটিলতা স্পর্শ করছে তাকে । আমি যা জানতে চাইছি তার বদলে কথাবার্তা চলে যাচ্ছে একজন প্রয়াত ও দুজন প্রায় বৃদ্ধ মানুষের বিগত যৌবনের হিসেব-নিকেশে । এখানে দাঁড়িয়ে আমি কার প্রতিনিধিত্ব করছি ? আমার মৃত নিস্প্রভ মায়ের,মৃত্যুর মুহুর্ত পর্যন্ত গুনী স্বামীর প্রতি যার অগাধ মুগ্ধতা ছিলো নাকি আমার সংস্পর্শহীন বাবার যাকে আমাদের কোনদিন তেমন করে বুঝে উঠা হয়নি ?
কিন্তু আমি তো এসব থেকে নিজেকে আলাদা রেখে প্রফেশনালী কিছু তথ্য জানতে চাই শুধু ।

আমি সমস্ত অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে এবার সরাসরি তাকে জিজ্ঞেস করি
-কবি রায়হান মুস্তাফিজের সাথে শেষপর্যন্ত আপনার বিয়েটা হলোনা কেনো? আমার ফিল্মের জন্য এই তথ্যটা জরুরী । প্লিজ আপনি ইজিলি আমাকে বলেন, সমস্ত প্রস্তুতি শেষে ও কেনো রায়হান মুস্তাফিজ বিয়েটা ভেংগে দিলেন ?

ঢং করে আওয়াজ দিয়ে না উঠলে আমি খেয়ালই করতাম না ঘরের দেয়ালে একটা বিশাল ঘড়ি । তার পেন্ডুলাম দুলছে ।
ঠোঁট কামড়ে তিনি উঠে দাঁড়ালেন । তার মুখের রঙ এতোটা সাদা আগে খেয়াল করিনি ।
-আছরের ওয়াক্ত হয়েছে, আমি নামাজ পড়তে যাচ্ছি । তুমি নাস্তাটা শেষ করে যেও ।



তিনি তার সমস্ত আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা নিয়ে চলে গেলে আমি স্থির দাঁড়িয়ে থাকি । পুরনো দিনের বিশাল দেয়াল ঘড়ির কাটাগুলো টিক টিক করে । বছর পঁয়ত্রিশ আগের সদ্য তরুনীকে আমার দেখতে ইচ্ছে জাগে । মফস্বল শহরের তার সৌন্দর্য্য রুপকথার মতো ছড়িয়ে বেড়াতো । মৃত্যুশয্যায় শুয়ে শুয়ে ও আমার মা সেই গল্প বলতেন । তার বলায় কোন হিংসা ছিলোনা । স্বামীর সাবেক প্রেমিকার জন্য তার নিজের ও মুগ্ধতা ছিলো । নাকি এই প্রসিদ্ধ সৌন্দর্য্যকে অস্বীকার করে বাবা তাকেই বিয়ে করেছিলেন বলে আমার অপ্রতিভ, গুরুত্বহীন মায়ের গোপন অহংকার ছিলো?

বাবা লোকটা চিরদিন আমার কাছে বিরক্তিকর এক রহস্য থেকে গেলো । আমি তার মতো এতোটা নির্মোহ, নিমগ্ন অথচ অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতে পারলাম না । মায়ের প্রতি তার কোন মনোযোগ ছিলোনা তবু মায়ের কি অসীম মুগ্ধতা ছিলো এই মানুষটার জন্য। দীর্ঘ সম্পর্কের পরিনতিতে বিয়ের সমস্ত আয়োজন শেষে যে প্রেমিক অস্বীকৃতি জানায় তার জন্য ও এই ধ্রুপদী সুন্দরীর এতো অভিমান?
লোকটাকে আমার অসহ্য ঠেকে ।

-তোমার বাবার বিরহের শখ জেগেছিলো । তার কবিত্বের পূর্নতার জন্য নাকি ওটা জরুরী ছিলো

আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখি । তিনি ভেতরের সিঁড়ি ভেংগে নেমে এসেছেন আবার । এবার তাকে অনেকটা স্থির দেখাচ্ছে,যদি ও চোখ দুটো লাল হয়ে আছে ।
-জ্বি!
-হ্যাঁ, তুমি তো এটাই জানতে চেয়েছিলে । বড় কবি হওয়ার লোভে তোমার বাবা আমাকে বিয়ে করেননি । তিনি বড় কবি হয়েছেন ।
-ও
আমি কোন ভাষা খুঁজে পাইনা ।
-আমাদের যেদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হবার কথা সেদিনই তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, কবি হওয়ার জন্য তার বিরহের অভিজ্ঞতা খুব জরুরী । যেনো আমি তাকে সেই অভিজ্ঞতা দান করি । তোমাকে বাবাকে আমি বড় কবি হবার জন্য বিরহ দান করেছিলাম

আমার কাছে সবকিছু পাজলের মতো লাগে । তার দিকে আমি চোখ তুলে তাকাতে পারিনা । যেনো রোমান সম্রাজ্ঞীর দারুন গরিমা নিয়ে তিনি এক কবিযশপ্রার্থী অপরিপক্ক তরুনকে মৃত্যুদন্ড দান করছেন ।
এই গরিমা, তার কন্ঠের তেজ আমার কাছে অসহ্য লাগে ।
-তোমার সিনেমাটা বানানো হলে আমাকে জানিও । বহুদিন সিনেমা দেখিনি । কি নাম দেবে সিনেমার?

বাহ। মুহুর্তের মধ্যে আমি আমার না বানানো সিনেমার নাম খুঁজে পাই । এই নামই হবে গরিমাময়ী সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে আমার সামান্য অস্ত্র ।
- সিনেমার নাম হবে ‘কবি ও প্রেমিকা গন’
-প্রেমিকা গন ! ‘গন’ কেনো?

আমার অস্ত্র তবে একেবারে ভোঁতা নয় । তারদিকে আর না তাকিয়ে বাইরে দরজার দিকে পা বাড়িয়ে বলি
-কারন কেবল আপনিই কবি রায়হান মুস্তাফিজ এর একমাত্র প্রেমিকা ছিলেন না ।

আমি তার দিকে তাকাইনা আর ।
কিন্তু তার নিচু কন্ঠের স্পষ্ট উচ্চারন শুনি
-তুমি তোমার বাবার মতোই হয়েছো ।

সম্রাজ্ঞীর আহত কন্ঠ কেমন গোঙ্গানীর মতো শোনায় । বেদনাহত । আমি চোখ নিচু করি ।

কোন কোন দূরত্ব এতো অনতিক্রম্য হয়ে উঠে কেনো?


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

পড়লাম। বেশ গোছানো লেখা।
প্রকাশিত হওয়ার পর লেখকদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তার ছাপ দেখা গেল।
শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রকাশিত হওয়ার পর লেখকদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। তার ছাপ দেখা গেল।

নিবিড় পর্যবেক্ষন হাসি
ধন্যবাদ প্রিয় শোমচৌ ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

অন্য লেখা পড়ি তবে ধীরে ধীরে,কিন্তু আপনার লেখাটা একটানা পড়লাম। চমৎকার এর পরে বোধহয় আর কিছু বলার দরকার হয় না।
মেঘ
মেঘের কথকতা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা মেঘ/মেঘের কথকতা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অম্লান অভি এর ছবি

কোন নাট্যকার হাত বাড়াতে পারে। বেশ দোলাচলের গল্প...........সিনামাও হতে পারে। বেশ সুপাঠ্য, সুপেয়ও।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার অবশ্য মনে হয় দর্শকের চেয়ে পাঠকদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার সুযোগ বেশী থাকে । দর্শকদের ইমাজিনেশনের সুযোগ সংকুচিত থাকে, তাইনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

গৌরীশ রায় এর ছবি

ক্লাস

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সবজান্তা এর ছবি

অসাধারণ, সিম্পলি সুপার্ব। মোরশেদ ভাই যদি আরো একটু নিয়মিত গল্প লিখতেন সচলায়তনে,তাহলে আমাদের বেশ উপকার হত।

উপকার শব্দটা শুধু পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা না, বরং লেখালিখিতে নবিশ ( লেখকযশোপ্রার্থী ? ) একজনের দৃষ্টিকোণ থেকেও বলা। এই গল্পটাকে আমি বার তিনেক পড়লাম, প্রত্যেকবারই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে গল্পের কাঠামো, বুনটটা লক্ষ্য করলাম। গল্প বলে যাওয়ার যে সহজাত প্রবনতা, তা আমাকে মুগ্ধ করলো আবারও।

"শমন শেকল ডানা" তো একদমই সাম্প্রতিক সংযোজন, এর আগে "মায়িশার মায়ের সাথে দায়িত্বশীল দুপুর" কিংবা অন্যান্য গল্পেও দেখেছি আপনার গল্প বলার ভঙ্গি অনবদ্য। আপনার লেখা পড়ে গল্প বলার ভঙ্গি নিয়ে বেশ কিছু জিনিশ উপলব্ধি করতে পারলাম।

অনুরোধ থাকলো আরো ঘনঘন কিছু গল্প লিখে দেওয়ার জন্য।


অলমিতি বিস্তারেণ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ @সবজান্তা ।
যা লিখি, যতোটুকু লিখি -এখন তো সব সচলায়তনেই ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব জামান এর ছবি

একটানে পড়লাম। অনেক কিছু শেখার আছে গল্প লেখার ব্যাপারে।
-------------------------------------
ভালবাসা তুমি - প্রেয়সীর ঠোঁটে প্রগাঢ় চুম্বন;
ভয়হীন তবু, দেখলে দেখুক না লোকজন।

নীল মানব [অতিথি] এর ছবি

অসামান্য !!!

অনীক আন্দালিব এর ছবি

দারুণ গল্প! আপনার বর্ণনাভঙ্গি, ছোট ছোট কিছু লাইনে দৃশ্যের তাপমাত্রা বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষমতায় মুগ্ধ হচ্ছি! এখানে এসে আপনার লেখার প্রশংসা-ই শুনছি খালি। এখন ভাবছি সময় করে পড়ে নিতে হবে সব লেখা!
===
অনীক আন্দালিব
http://www.jochhonabilashi.blogspot.com

রণদীপম বসু এর ছবি

নিয়মিত আপনার গল্প চাই....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বাউলিআনা [অতিথি] এর ছবি

এক কথায় অসাধারন..
গল্পের বিষয় বস্তুতে যেমন চমত্‌কারিত্ব আছে, তেমনি আছে গল্প বলার ঢং-এ।
এরকম গল্প পড়ে শুরু করলে দিনটাই ভাল যায়..
হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে, এক নিঃশ্বাসে পড়লাম গল্পটা। কতটা ভাল লেগেছে সেটা বোঝানোর মত ভাষা জানা নেই। শুধু অনুরোধ করতে চাই, আরো নিয়মিত গল্প লিখবেন।

রেনেট এর ছবি

একেবারেই অন্য ধাঁচের একটা গল্প পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো।
সচরাচর রেটিং দেই না... কিন্তু এই লেখায় খুব ৫ তারা দিতে ইচ্ছে করছিলো...রেটিং এর অপশনই নাই মন খারাপ
ধুরো!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

খেকশিয়াল এর ছবি

অসাধারণ একটা গল্প!

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একটা ভাবগম্ভীর কমেন্ট দিলাম :

লেখকের উচিত নিয়মিত গল্প লেখা ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাবে গম্ভীর কমেন্টের জবাবে :
কতো উচিতই করা হলোনা মন খারাপ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

একরাশ মুগ্ধতা...
আরো একটু বেশি লেখা কি খুব কষ্টের?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুলাপা ।
আরো একটু বেশি লেখা কি খুব কষ্টের?

বানিয়ে বানিয়ে লেখা তো কষ্টেরই আপা । কষ্ট করতে ভাল্লাগেনা বেশী হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দময়ন্তী এর ছবি

খুব ভাল গল্প ৷
-----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

বজলুর রহমান এর ছবি

সাংঘাতিক মৌলিক হয়তো বলা যাবে না, এবং শিরোনামেই শেষের ইঙ্গিত থাকাতে ক্লাইমেক্সে তত বিস্ময় নেই। তবু চমতকার উপভোগ্য গল্প ভাষার স্বচ্ছতা ও মিতাচারের কারণে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাহ, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল্লাগলো ।
আমার ধারনা ছিলো সিরিয়াস বিষয় ছাড়া অন্য কোন পোষ্ট পড়েননা , কমেন্ট ও করেননা ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

আগাগোড়া পরিপূর্ণ একটি গল্প পড়লাম। গল্পে রূপকের ব্যবহার দারুণ লেগেছে; যেমন, দেয়াল ঘড়ি, পেন্ডুলামের ভেতর দিয়ে সময়কে তুলে আনা কিংবা স্মৃতিময়তা। চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতেও গল্পকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি তার মতো এতোটা নির্মোহ, নিমগ্ন অথচ অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতে পারলাম না- বাবার চরিত্রাঙ্কনে এই লাইনটা খুব ভালো লেগেছে। হাসান মোরশেদের লেখার বড় যে গুণটি আমার ভালো লাগে তা হলো- তিনি পাঠককে কথার প্যাঁচে ফেলেন না, খুব সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেন। অনেক লেখকই পাঠককে ভাষার টুইষ্ট দিয়ে কাবু করতে চান, হাসান মোরশেদ তার ব্যতিক্রম। কিন্তু ভাষার সূক্ষ্ন যাদু, সেটা প্রয়োগ করতে তিনি কখনোই ভোলেন না। যেমন-
-না । এটা মায়ের কাছে ও রহস্য ছিলো ।
-তিনি তোমার বাবার বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন ।
-মা আপনার বান্ধবী ছিলেন
-আমরা একসাথে পড়েছি ।

উপরের কথোপকথনে গল্পের দুই প্রধান চরিত্রের মধ্যে চলমান একটা সূক্ষ্ন খোচাখুঁচির আঁচ পাওয়া যায়। একে অপরের উপর দখল নেয়ার যে প্রচেষ্ঠা তা মাত্র কটি শব্দের উত্তর ও প্রত্যুত্তরে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

গল্পের শেষ লাইনটা নিয়ে একটু বলতে চাচ্ছি- কোন কোন দূরত্ব এতো অনতিক্রম্য হয়ে উঠে কেনো? এই লাইনটাকে রিপ্লেস করতে পারে এরকম আরেকটা লাইন অনেকক্ষণ ধরে খুঁজলাম। আসলেই, কোন কোন বাক্য এতো অবিসংবাদিত হয়ে উঠে কেনো?

সর্বোপরি, কবি ও প্রেমিকাগন একটা জমাট গল্প।

*
একটা কৌতুহলি প্রশ্ন, রিমিকে কি আরো ফুটিয়ে তোলা যেত না?

*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রিমিকে কি আরো ফুটিয়ে তোলা যেত না?

যেতো । মনে পড়ে, 'তক্ষক' গল্পে ও একটা চরিত্র নিয়ে এরকম আলোচনা হয়েছিল ।

আমার ব্যাখ্যা হচ্ছে এরকমঃ
একটা গল্পের পেছনে আরো অনেকগুলো উপগল্প জড়িয়ে থাকে । যেমন- এই গল্পের ভেতরে আরো কিছু গল্প আছে । কবি রায়হান মুস্তাফিজ এর নিজস্ব ভাবনাটা ও একটা গল্প হতে পারে, কোন তাড়নায় তিনি কবি হবেন বলে বিরহলোভে প্রেমিকাকে ত্যাগ করলেন? আরেকটা গল্প হতে পারে রায়হান মুস্তাফিজের স্ত্রী( গল্পের কথকের মা যিনি)কে ঘিরে, অথবা গল্প আরো বাড়তে পারে- প্রত্যাখানের পর রায়হান মুস্তাফিজের প্রেমিকার যাপিত জীবন নিয়ে ।

আরো বড় স্কেলে লিখলে কিংবা উপন্যাসের কাঠামো গ্রহন করা গেলে এইসব উপগল্পকে পরস্পর জড়িয়ে ফেলা যায় ।

এই গল্পটা হয়তো একটা অংশ মাত্র । রিমি কেবল উপলক্ষ মাত্র, কথকের বৈশিষ্ট্য স্ফুটনের প্রয়োজনে হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রথমে আমি একটু থমকে গেছিলাম। বিশেষ করে কবির নাম দেখে... আর প্রথমে কাহিনীটা দেখে...
ভাবলাম সত্য কাহিনী নিয়া লেখলেন নাকি?

তবে গল্পটা দারুণ হইছে..
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

চলুক চলুক

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সে-ই পুরনো আমেজ নিয়ে পড়লাম।

তবে মনে হলো এবারের গল্পে বেশ একটা ধীর ভাব আছে। লেখকের ইচ্ছাকৃত নাকি পাঠকের ভিন্নমত; বুঝতে পারছি না ঃ)

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

খুবই সুন্দর মোরশেদ ভাই। আপনি গল্প লিখায় আরেকটু নিয়মিত হলে আমাদের উপকার হয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অসামান্য লাগলো গল্পটা পড়ে। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করবার মত না, তাই সেই অপচেষ্টাও করছি না।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফারুক হাসানের সাথে একমত। রিমিকে আরো একটু সময় দেয়া কী যেতো না!
গল্পের সাবলীলতায় মুগ্ধ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আপনার লেখার দীর্ঘদিনের পাঠক হিসেবে বলতে পারি, এই গল্প আপনার(লেখার) 'বাঁক'প্রতিম ইস্যু ।
সহজ ভাবে কথা বলা যেমন উপাদেয়, পাঠকের জন্য - নিরন্তর একই চেষ্টা করে যাওয়া বিপদেরও কথা; বাহুল্যই বলা, সেটা, লেখকের !
আপনার নিয়মিত গল্প লেখা উচিত্‌ । জাতির দাবী ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ঝরাপাতা এর ছবি

অসাধারণ . . . .


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

hoimonti [অতিথি] এর ছবি

দারুন.তবে আপনাদের আডডার page ki নারী বজিত .

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ ।
কিন্তু কোন 'আডডার page' এর কথা বললেন বুঝিনি ।
তবে সচলদের -নারী বর্জন নয়, অর্জনের সুনাম আছে হাসি
আপনাকে ও স্বাগত ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তুলিরেখা এর ছবি

কেন, বেশ কয়েকজন নারীর মন্তব্য তো আছে!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

গল্প খুব ভালো লাগলো। লেখকের মুনশীয়ানায় চেনা গল্প শক্তিশালী সুখপাঠ্য কাহিনি হয়েছে। এরকম আরো লেখা আশা করছি।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। পরবর্তীতে কোনো সময় পুরুষ কবি ও নারী প্রেরণার রোল রিভার্সাল আশা করি। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কৃতজ্ঞতা তুলিরেখা

রিভার্সাল ভার্সনটা আপনিই লিখুন না হাসি

অপেক্ষায় থাকলাম ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় আছি।
মেঘের পরে
মেঘের কথকতা

শেখর সিরাজের এর ছবি

ভালো লাগলো

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে...হাসি

নীলকান্ত এর ছবি

অ্যাঁ

এতদিনপর দেখলাম!!!
হাসান ভাই, গল্প লেখেন না কেন এখন???

অসাধারণ, এককথায় অসাধারণ।
মন্তব্যের নামগুলো দেখে খারাপ লাগছে, আগে অনেকেই ছিল। এখন নেই কেন????


অলস সময়

guest_writerআদু ভাই এর ছবি

অসাধারণ গল্প ও গল্প-গঠন , সন্দেহ নেই। রেটিং-৫

তবে সবাইতো প্রশংসাই করছে, আমি একটু সমালোচনা করি। মাত্র একটা লাইন। খুব ভালো একটা লিখায় এই একটা লাইন খুব বেশি কানে বেজেছে।

‘আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা জড়ানো কন্ঠে তার এই প্রথম আমি কিছুটা শ্লেষের ইংগিত পাই’

এটা অসাধারণ একটা লাইন। কিন্তু এ লাইনটা ব্যবহার করে ফেলার পর

‘তিনি তার সমস্ত আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা নিয়ে চলে গেলে আমি স্থির দাঁড়িয়ে থাকি’

এই লাইনে ‘আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা’ কানে বাজে। ‘আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা’ দিয়ে দুই লাইনে দুটি ভাব প্রকাশ পাচ্ছে। ‘আভিজাত্য ও স্নিগ্ধতা জড়ানো কন্ঠে তার এই প্রথম আমি কিছুটা শ্লেষের ইংগিত পাই’ এই লাইনের ভাবের মৌলিকতাও নষ্ট হয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।