ভোখেনব্লাট - ৩

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ০৫/১১/২০০৭ - ৬:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩০শে অক্টোবর, ২০০৭

আমি যেখানে কাজ করি সেখানে আমাকে বড় একটা হলরুমের মতো জায়গায় কাজ করতে হয় । পাঁচজন বসের তত্ত্বাবধানে আমরা সাত জন স্টুডেন্ট ওয়ার্কার কাজ করি সেই রুমে । আজ সকালে এসেই দেখলাম সব জার্মান বসেরা একত্রে বসে উত্তেজিত ফিসফাস করছে । প্রমাদ গুনলাম মনে মনে । মনে করার চেষ্টা করলাম গত সপ্তায় গাধার মতোন কোন কাজ করেছি কিনা । হয়তো সেটাই তাদের গজগজ ফিসফিসের কারন । আস্তে আস্তে নিজের জায়গায় বসে গত সপ্তাহের কাজগুলোয় নজর বোলালাম । নাহ সবতো ঠিকই আছে মনে হচ্ছে । তো, ততক্ষণে বসরা ফিসফিস শেষ করে নিজের জায়গায় গিয়ে বসেছে । আস্তে করে নিটকতম বসকে জিজ্ঞেস করলাম আলেস ক্লার কিনা । জবাবে বসের কাছে যেটা শুনলাম সেটাতে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । ঘটনা আউটোবানে স্পিড কন্ট্রোল নিয়ে । যেহেতু আমার গাড়ি নাই সেহেতু আউটোবনে স্পিড লিমিট আমার বিষয় আশয়ের বাইরের টপিক ।
autobahn_1029
ঘটনা যেটা শুনলাম সেটা হলো জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এসপিডি জার্মান হাইওয়েতে স্পিড লিমিট দেবার জন্য একটি প্রস্তাব রেডি করেছে । এসপিডি সরকারি দল সিডিইউয়ের সাথে ক্ষমতায় অংশীদার । তারা তাদের প্রস্তাবের পক্ষে কার্বন ডাই অক্সাইড উদগীরনকে প্রধান যুক্তি হিসেবে দাড় করিয়েছেন । নতুন প্রস্তাব মতে আউটোবানের যেসব জায়গায় স্পিড লিমিট নেই সেখানে সর্বোচ্চ গতিসীমা ১৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেবার কথা । স্বভাবতই বেশীরভাগ ডয়েশে মানই এই প্রস্তাবে বিরক্ত । কারনটাও পরিস্কার । পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো গাড়ি বানিয়ে সেই গাড়ী যদি তারা টেস্টই না করতে পারলো তাহলে এই গাড়ী ইন্ডাস্ট্রি ইম্প্রুভড গাড়ী বানানোর উৎসাহ পাবে কোথায় !

জার্মানির এই আউটোবান সারা পৃথিবীদের স্পিডফৃকদের স্বপ্নের ট্র্যাক । ১২০০০ কিলোমিটারের এই আউটোবানের অর্ধেক জায়গায় কোন স্পিড লিমিট নেই । আবার যেসব জায়গায় আছে সেখানেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্পিডে লিমিট বাঁধা । বাকি সময়টাতে যেমন ইচ্ছা তেমন চালাও । আমাদের মধ্যে এরকম একটা প্রচলিত ধারনা আছে যে স্পিড লিমিট থাকলেই দূর্ঘটনা কম হবে । স্টাটিসটিকস এই ধারনাকে সমর্থন করে না । জার্মানিতে বেশিরভাগ সড়কদূর্ঘটনায় মৃত্যু স্পিড লিমিট বেধে দেয়া রাস্তাগুলোতে হয় । আবার অন্য দেশগুলো যেখানে স্পিড লিমিট দেয়া থাকে সেখানকার তুলনায় স্পিড লিমিটবিহীন জার্মানি বেশ ভালো একটি অবস্থান ধরে রেখেছে ।

১লা নভেম্বর, ২০০৭

আমার বাসার পাশের শপিং কম্প্লেক্সের কাছে ফুটপাতে একটা দোকান আবিস্কার করেছি সম্প্রতি । রাতে খাবার পর হাটতে বের হলে আমি প্রায়ই ওটা দেখে আসি । দেখতে আমাদের দেশের ফুটপাতের দোকানের মতোই । গাজীপুরে যাবার সময় রাস্তার ধারে দোকানিরা যেমন কাঠাল তরমুজ রাস্তার ওপর ফেলে দোকান সাজিয়ে বসে সেরকম বন্দোবস্ত । দেশি দোকানের সাথে পার্থক্যটা হলো এই দোকানে কোন দোকানি নেই । কুমড়া, ভুট্টা, আরোও কিছু সব্জি আনাজ সাজানো থাকে । আর সামনে থাকে বাংলাদেশে মসজিদ মাজারে দেখতে পাওয়া দানবাক্সের মতো ছোট একটা কাসে বাক্স । সেখানে যার যার খুশি মতো দাম দিয়ে গেলেই হবে । না গেলেও হয় । দেখার জন্য কেউ নেই । আশে পাশে সারভেইল্যান্স ক্যামেরা থাকলে এখানে সাধারনত সেটার কথা ছোট একটা সাইনে লেখা থাকে । সেটাও নেই । আমি একদিন বেশ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে খেয়াল করেছি সবাই এসে কাসে বাক্সে পয়সা ফেলে জিনিস পত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছে । কেউ ধারে কাছে না থাকলেও নিয়ম করে সবাই দাম দিয়ে যাচ্ছে ।
আজকে ভাবছিলাম গড়পড়তা জার্মানরা যে এরকম সৎ জীবনযাপন করে এর কারন হিসেবে কোন জিনিসটা কাজ করে । অসৎ হবার একটা কারন হতে পারে আর্থিক দুরবস্থার অথবা অনিশ্চয়তা । দুই জার্মান একত্র হবার পর থেকে জার্মান ইকোনমি সমান তালে নিচের দিকে নামলেও এদের ক্রাইম স্টাটিসটিকস সেটা বলে না । ইউনিফেকেশন পরবর্তি ক্রাইমের ট্রেন্ডটা মোটামুটি অবাক করা ফ্ল্যাট ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমেদকে একদিন বাংলাদেশে দুর্নীতি মাস লেভেলে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম । তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, মাত্র ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার শুরু হয়েছে । দুর্নীতিতে আমরা সেবারই প্রথমবারের মতো প্রথম । স্যারের বক্তব্য ছিলো একটা সোসাইটির মানুষ যখন নিজের সামর্থের অতিরিক্তি কনসাম্পশন করতে থাকে তখনি সেখানে দুর্নীতি আসতে বাধ্য । জার্মান সোসাইটি আমি বাইরে থেকে যতদুর দেখি তাতে বুঝি যে এই অতিরিক্ত কনসাম্পশন তাদের ধাঁতের বাইরে । পুরো দেশটাই একটা অনাড়ম্বর ঘরোয়া পরিবেশ তারা তৈরী করেছে দিনের পর দিন ধরে । হঠাৎ করে ঘুরতে আসা দেশী টুরিস্টদের আমি এখানে এসে হাহুতাশ বলতে শুনেছি কি একটা দেশ একটা উচু বিল্ডিং নেই । এর থেকে নাকি নিউইয়র্ক অনেক উন্নত ! এখানে একটি গড়পড়তা বাড়ির বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই বাড়ির মালিকের আর্থিক অবস্থা কিরকম । ব্যাংকে ধুন্দুমার ব্যালান্স থাকলেও আমার সুপারভাইজরকে দেখি একটা পুরনো সাইকেল নিয়ে তিনশত ফুট উচু পাহাড় বেয়ে প্রতিদিন অফিসে আসতে । জিজ্ঞেস করলে বলে সে এটা হেলদি প্রাকটিস হিসেবেই করে ।
উল্টো দিকে আমার দেশে কিছু একটা করে সেটা সবাইকে দেখিয়ে দিতে পারাটাই যেন জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য । বিয়ে, জন্মদিন, বাড়ি সাজানোতে আমরা যে টাকা ব্যয় করি সে অনুপাতে বলতে হয় জার্মানরা দরিদ্র জীবন যাপনই করে ।

২রা নভেম্বর, ২০০৭

ঢাবিতে একসময় কোন ছাত্র নারী ছাত্রদের সাথে কথা বলতে দেখা গেলে জরিমানা গুনতে হতো । আইনটা শুনতে পাই এখনও জারি আছে । প্রয়োগ হয়না এই যা । তো এরকম এক আজব নিয়মের কথা জানতে পারলাম আজকে । চবিতে কর্তৃপক্ষ পড়াশোনার সাথে কোন ধরনের চাকরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন । সেখানে বিশেষ করে 'সাংবাদিকতা' পেশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে । ছাত্ররা নাকি সইসাবুদ করে চবিতে এই শর্তে ভর্তি হয়েছেন যে তারা পড়াশোনার বাইরে কোন পেশায় জড়াবেন না ! এই আদেশের প্রজ্ঞাপন জারি করে তারা নাকি সেটার একটা কপি ইউজিসিতে পাঠিয়েছেন । বলিহারি যাই, ছাত্ররা পড়াশোনার সাথে কি করবে না সেটাও ঠিক করবে ইউজিসি ! ফৌজি শাসিত দেশটা কি ক্যাডেট কলেজে রূপ নিলো শেষে !
আপডেট - রবিবারের পত্রিকা বলছে এটা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সার্কুলার ।

৩রা নভেম্বর, ২০০৭

আমাদের দেশে সব সরকার মহাশয়ই ক্ষমতায় গিয়ে যে কাজটি করেন সেটা হলো শিশুদের স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে জানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তক সংস্কার । রেগুলার সরকারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারও সম্প্রতি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন । তবে এবারের এই পদক্ষেপটা কি ফল বয়ে নিয়ে আসে সেটাই প্রশ্ন । দুটো প্রধান রাজনৈতিক দল একবার শেখ মুজিব আরেকবার জিয়াউর রহমানকে পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে ফেলার কাজেই ব্যস্ত ছিলো । হালের ফ্যাশন অনুযায়ী এখন রাজাকার আলবদরদের অপকর্মগুলো হয়তো মুছে ফেলা হবে । 'দেশে যুদ্ধপরাধী নেই', 'দেশে যুদ্ধাপরাধী আছে কিনা মনে করতে পারছি না' ইত্যাকার নানা সংলাপে আকাশ বাতাস মুখরিত এখন ।
জার্মান দেশে গণহত্যা হয়নি বললে জেলে যেতে হয় । ইওরোপের অন্যান্য অনেক দেশেও এটাই আইন হিসেবে বলবৎ আছে । দুষ্ট লোকেরা মাঝে মাঝে বলে আমরা নাকি পশ্চিমাদের কাছ থেকে খারাপগুলোই শিখি । তো, এই স্বাধীনতার ইতিহাস প্রসঙ্গে মনে হয় আমাদের সরকারপুঙ্গব বাকস্বাধীনতার মতো ভালো জিনিসটাই শিখে সেটা প্রাকটিস করছেন । তবে সেটা শুধুমাত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য সংরক্ষিত । কোনরকম ভয় ভীতি ছাড়াই যত্রতত্র তারা যা খুশি তাই বলে বাকস্বাধীনতার চরম ব্যবহার করছেন ।
আমাদের সময় আজ আরেক সুশীল তত্ত্বাবধায়ক বিচারপতি হাবিবুর রহমানের একটি কলাম ছাপিয়েছে । এটা গত বছরে প্রথম আলোর স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় প্রকাশ পেয়েছিলো । সেখানে তিনি ইতিহাসের নানারকম ভার্সনে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে 'সুকুমার কোমলমতি ছাত্রদের পক্ষে তার (ইতিহাসের) মোদ্দা কথা বুঝতে' যেন কষ্ট না হয় সেজন্য বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি ভার্সন দাড় করিয়ে দিয়েছেন । সেটা নিয়ে আগামী পনের বছর কোন প্রকার কথা বার্তা না বলতেও তিনি নসিহত করেছেন । ইতিহাসের সেই ভার্সন থেকে আমরা জানতে পারি '২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তান সৈন্যবাহিনী ঢাকায় এক পিটুনি অভিযান চালালে বহু লোক নিহত হয়'। হান্নান মুজাহিদ গঙ তাহলে তো নতুন কিছু বলেনি ! গণহত্যা আর পিটুনি অভিযান নিশ্চয়ই এক জিনিস নয় ! আর সামান্য পিটুনির জন্য কাউকে নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী বলা যায় না !
দুঃখ হয় দেশটার জন্য । হান্নান মুজাহিদ গো. আজমরা নাহয় নিজেদের প্রান বাঁচাতে এইসব বকাবাহ্যি করে বেড়ায় । কিন্তু সুশীলকুলশিরোমনিদের একজন এই হাবিবুর কিসের এজেন্ডার বাস্তবায়নে এইসব প্রচার করেন ? আর প্রথম আলোই বা কি এজেন্ডা মাথায় রেখে এগুলো প্রচার করে কোনরকম প্রতিবাদ ছাড়াই ? তাও এমন একটা দিনে যেদিন কালোরাতের স্মৃতি প্রতিটি বাঙ্গালিকে কামড়ে বেড়ায় ?

টিকা -
১. আলেস ক্লার - আলেস মানে ইংরেজী অল, ক্লার মানে ইংরেজী ক্লিয়ার । সবকিছু ঠিক আছে কিনা জানতে এই বাক্যটাই ব্যবহার করার চল ।
২. আউটোবান (Autobahn) – জার্মান হাইওয়ে ।
৩. ডয়েশে মান - জার্মানির নাগরিক
৪. গেরহার্ড শ্রোয়েডারের পার্টির নাম এসপিডি । শ্রোয়েডারের দল গত মেয়াদে জার্মানিতে ক্ষমতায় ছিলো । এখন সিডিইউয়ের সাথে ক্ষমতায় শরীক দল ।
৫. কাসে - ইংরেজী ক্যাশ


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

৩০ অক্টোবর
১৩০ কিমি ই তো অনেক বেশী । বৃটেনের মোটরওয়েতে সর্ব্বোচচ লিমিট ৭০ আর মোটরওয়ের বাইরে ৬০!

১লা নভেম্বর, ২০০৭
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দারিদ্রের চেয়ে বরং বড়লোকিটাই বড় সমস্যা । কিছু মানুষ যেমনে খুশি,যতোখুশি টাকা উপার্জন করতে পারছে । কোন দায়বদ্ধতা,কোন জবাবদিহীতা নেই । এইসব দেশে এক বাড়ীর মালিক আরেক বাড়ী কিনতে গেলে দ্বিতীয় বাড়ীর উপর ট্যাক্স বাড়বে ৪০%,বেতন যতো বাড়তে থাকবে ইনকামট্যাক্স বাড়তে থাকবে ততো । ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য একটা সহ্যসীমার ভেতরে থাকে,অমানবিক হয়ে উঠেনা । আজকের সমকালে নিকিতা নামের এক বালিকার আয়রোজগার ও ভোগবিলাসের খবর শুনে আঁতকে উঠলাম । পৃথিবীর সবচেয়ে গরীব দেশ!

২রা নভেম্বর, ২০০৭
পুরো দেশকেই ক্যান্টনমেণ্ট বানিয়ে ছাড়বে ।

৩রা নভেম্বর, ২০০৭

গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন মান্যবর মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ।

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব এর ছবি

কোন দায়বদ্ধতা,কোন জবাবদিহীতা নেই ।

জাতিগত স্বভাবই হয়তো এটা । সেই মোঘলদের আমল থেকে সরকার যা বলে বা করতে বলে সেটাই না করতে আমরা উৎসাহী । তারপর স্বাধীনতার পর ক্ষমতার স্বার্থে স্বজনপ্রীতির স্বার্থে ছাড় দিতে দিতে দুর্নীতিগুলো আমাদের জীবনাচারের অংশ হয়ে গেছে । এগুলো এখন আমাদের মনে কোন দাগ ফেলে না ।

গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন মান্যবর মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ।

কোয়াইট ইন্টারেস্টিং ইনডিড ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন মান্যবর মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ।

কেমনে কী?

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আমাদের মধ্যে এরকম একটা প্রচলিত ধারনা আছে যে স্পিড লিমিট থাকলেই দূর্ঘটনা কম হবে । স্টাটিসটিকস এই ধারনাকে সমর্থন করে না ।

আমেরিকার হাইওয়েতে গাড়ির গতিসীমা এই কিছুদিন আগেও ছিলো ৫৫ মাইল (এই দেশীরা এখনো মেট্রিক পদ্ধতি রপ্ত করে উঠতে পারেনি)। প্রতিবাদে তখন ভ্যান হেলেন নামের এক রক গ্রুপ একটি গান বেঁধেছিলো : I can't drive55। মনে পড়ে গেলো। এখন অবশ্য কিছু বেড়েছে, অঞ্চলভেদে ৬৫ থেকে ৭০। এই বৃদ্ধির ফলে দুর্ঘটনার হারে কমবেশি কিছুই হয়নি।

-----------------------

আমার দেশে কিছু একটা করে সেটা সবাইকে দেখিয়ে দিতে পারাটাই যেন জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য ।

এমনকি তা কোরবানী ঈদে আড়াই লক্ষ টাকায় গরু কেনা বা মেয়ের বিয়েতে এক কোটি টাকা খরচ করার মতো চূড়ান্ত অশ্লীলতা হলেও।

আয় বুঝে ব্যয় করার এই সাধারণ প্রবণতা কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গেও আছে। অথচ আমরা তাদের সুযাগ পেলেই কৃপণ বলে ঠাট্টা করি। নিজেকে দিয়েই জানি, দেশে থাকাকালে যখন আমার আয় ক্যাপস্টান সিগারেট খাওয়ার উপযুক্ত তখনও আমি খাই বেনসন। না হলে ইজ্জত থাকে না যে!

---------------------------

গণহত্যা আর পিটুনি অভিযান নিশ্চয়ই এক জিনিস নয় ! আর সামান্য পিটুনির জন্য কাউকে নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী বলা যায় না !

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের এই রচনাটির দুটি প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েছিলো। প্রথম আলোতেই নাসিরউদ্দীন ইউসুফ অবিলম্বে এর প্রতিবাদ করে লিখেছিলেন। আরেকটি অসাধারণ লেখা লিখেছিলেন (সম্ভবত জনকণ্ঠে) আমাদের লুৎফর রহমান রিটন। তাঁকে অনুরোধ করি লেখাটি এখানে পোস্ট করতে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসিব এর ছবি

এমনকি তা কোরবানী ঈদে আড়াই লক্ষ টাকায় গরু কেনা বা মেয়ের বিয়েতে এক কোটি টাকা খরচ করার মতো চূড়ান্ত অশ্লীলতা হলেও।

নিজের বিয়ের কথা চিন্তা করলে গায়ে জ্বর আসে । নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে বিয়ে করতে গেলে বেশ কয়েকবছরের সেভিংস ছাড়া অসম্ভব ।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের এই রচনাটির দুটি প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েছিলো।

লেখাগুলো যোগাড় করা দরকার । কারো রিটন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ থাকলে তাঁকে অনুরোধ করুন ।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

একটু ভুল বলেছি। রিটনের প্রতিক্রিয়াটি ছাপা হয়েছিলো আমাদের সময়ে, জনকণ্ঠে নয়। আর্কাইভ ঘেঁটে শিরোনাম পাওয়া গেলো, ভেতরে ফাঁকা। রিটনের সঙ্গে কথা হয়েছে, ওই লেখাটির হাতে লেখা কপি আছে তাঁর কাছে। বললেন টাইপ করে পোস্ট করবেন আজকালের মধ্যে।

নাসিরউদ্দীন ইউসুফের লেখাটির জন্যে প্রথম আলোর আর্কাইভে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। দেখছি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটা কপি পাওয়া যায় কি না।

আমাদের সবগুলো কাগজ আর্কাইভ নামে একটা মশকরা রেখে দিয়েছে, আমার কোনো কাজে আসেনি আজ পর্যন্ত।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসিব এর ছবি

মেয়ে কি করে ? নাম কি ? বৃত্তান্ত দিয়া পুস্ট দেও ।

নব্য এর ছবি

ধন্যবাদ হাসিবকে একটা সুন্দর লেখা পোস্ট করার জন্য। লেখাটির এ লাইনটি, ‘আজকে ভাবছিলাম গড়পড়তা জার্মানরা যে এরকম সৎ জীবনযাপন করে এর কারন হিসেবে কোন জিনিসটা কাজ করে’, সম্বন্ধে আমার মন্তব্যটা এরকম। গত কয়েকদিন ধরে আমি ‘Lord of the Rings’ এর উপর বিভিন্ন দার্শনিকের মতামত নিয়ে একটা বই পড়ছিলাম। ঐ বইটাতে বলা হচ্ছিল যদি একটা মানুষ একটা জাদুকরী আংটি পায় যেটা দিয়ে সে যখন ইচ্ছা অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে এবং অদৃশ্য অবস্থায় যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, যেমন, চুরি, রাহাজানি, খুন ইত্যাদি, যা ইচ্ছে তাই (কারণ কেউ জানবে না কে এসব অপকর্মের হোতা!), তাহলে মানুষটা কি সৎ থাকবে নাকি গোপনে তার সব অসৎ অভিসন্ধিগুলি চরিতার্থ করবে? বিশ্বখ্যাত দার্শনিক প্লেটো আর সক্রেটিস এর মতে, বেশীর ভাগ মানুষই ‘স্যাম’ এর মত সৎ থাকবে তাদের অপকর্ম পরবর্তী কর্মফলের ভয়ে ভীত হয়ে। যদি এরকম কোনো ভয়ের তাগিদ মানুষের মধ্যে না থাকত, তাহলে আমরা সবাই ‘যা খুশি, তাই করতাম’। ‘অসৎ’ থেকেই যদি সব সুখ উজাড় করে ভোগ করা যায়, তাহলে দরকার কি কষ্ট করে সৎ থাকার! হাসিবের লেখায় উপরের লাইনটা পড়ে আমার তাই বইটার এ কয়েকটা কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের দেশটা দুর্নীতিতে প্রথম হওয়ার ব্যাপারে কিছু মানুষের বিবেকহীন লিপ্সা এত প্রচন্ডভাবে কাজ করেছিল যে কর্মফলের মিথ্যে দোহাইটা সেসময় তাদের অবান্তর মনে হয়েছিল।

হাসিব এর ছবি

আমাদের দেশটা দুর্নীতিতে প্রথম হওয়ার ব্যাপারে কিছু মানুষের বিবেকহীন লিপ্সা এত প্রচন্ডভাবে কাজ করেছিল যে কর্মফলের মিথ্যে দোহাইটা সেসময় তাদের অবান্তর মনে হয়েছিল।

দুর্নীতিতে প্রথম হবার কারন কারনটা আসলে শুধু এটা না । সমাজের সব স্তরেই দুর্নীতিটা রয়েছে । শিক্ষা দুর্নীতির দ্বিতীয় বৃহত্তম সেক্টর । সেখানে দুর্নীতি মূলত: সমাজের উচু স্তরের মানুষ করে না । সেটা সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহন আছে । ডোনেশন বা কাউকে তদবির করে ভর্তি করানোও একটা দুর্নীতি যেটার মুখোমুখি মধ্যবিত্তরা অহরহ হচ্ছে ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

আরেকখান কথা।
আপনার আর হিমুর লেখা নিয়মিত পড়লে জার্মান ভাষা আয়ত্তে এসে যাবে অচিরেই চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আপনিও ব্যঙ্গ বঙ্গাভিধানের পাশাপাশি রুশ ভাষা শিক্ষার ক্লাস শুরু করতে পারেন। চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসিব এর ছবি

রুশ ভাষাটা শিখতে আগ্রহী । অন্তত গ্রিটিংসগুলো শিখতে চাই ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রুশ গালিগালাজ শিল্প কিন্তু অতিশয় সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। এই ক্ষেত্রে ইংরেজি তার নখেরও যোগ্য নয়। রুশরা ঠাট্টা করে বলে, ভাষাশিক্ষা শুরু করতে হয় অশ্লীল সব শব্দ দিয়ে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসিব এর ছবি

পুরান ঢাকার সাথে পারবো ?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হেসে-খেলে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমাগো এহানে ইন্টারসিটি হাইওয়েতে স্পীড লিমিট ৬৫ মাইল/ঘন্টা (১০৫ কিমি/ঘন্টা), ইন্টার স্টেট ৭৫ মা/ঘ (১২১ কিমি/ঘ)। লগে ১০ মাইলের (১৬ কিমি) একটা টলারেন্স আছে। যেহেতু একসিডেন্ট হয় সেহেতু একটা অলিখিত স্পীড লিমিট নিশ্চয়ই আছে। সেটা কি?

হাবিবুরের কথা পইড়া তাজ্জব হইলাম। লগে আরো তাজ্জব হওয়া বাকি আছে বুঝতে পারলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসিব এর ছবি

হাবিবুরের কথা পইড়া তাজ্জব হইলাম।

বিচারপতি হেবো সম্পর্কে আমার ধারনা ছিলো নাম কামাতে অতি উৎসাহী একজন লোক হিসেবে । এই ভদ্রলোক নিয়মিত নিজের ফটোসেশন করে থাকেন ফটোগ্রাফার ভাড়া করে যাতে করে তার সুন্দর একটা ছবি পত্রিকা ফত্রিকাতে দেয়া যায় ।
কিন্তু হেবোর এই কলামটা পড়ে সেটা আবারো তিনবার পড়তে হয়েছে যে সেটা রম্যরচনা কিনা সেটা বুঝতে । কিন্তু শেষমেষ টের পেলাম তিনি এটা সিরিয়াস পদ্য হিসেবেই লিখেছেন ।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হাবিবুর রহমান ও গোলাম আজম সমসাময়িক।
তারা একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন ও একসাথে রাজনীতি করেছেন।

(নিচের তথ্যগুলো ইতিহাস পাঠের স্মৃতি থেকে লিখছি। যদ্দুর মনে হয় স্মৃতি ঠিক আছে। তবে কারো কাছে পুস্তক থাকলে চেক করে জানালে সুবিধা হয়।)

গোলাম আজম যখন জি.এস ছিলেন তখন হাবিবুর রহমান ভিপি ছিলেন (সম্ভবত:)।
ভাষা আন্দোলনের ঠিক আগে আগে পাকিস্তানী সরকার প্রধানের জন্য যে মানপত্র পাঠ করে গোলাম আজম ভাষা-সৈনিক হয়ে উঠেছেন, ঢাবি থেকে দেয়া সেই সম্বর্ধনা সভার মানপত্রটি হাবিবুর রহমান লিখেছিলেন।

হাবিবুর রহমান পরবর্তীতে বিচারক হন। নিভৃতে তিনি বাংলা একাডেমির জন্য 'যথাশব্দ' ও কোরানের সরল বঙ্গানুবাদ ইত্যাদি বই লিখে দিয়েছেন। যথাশব্দ বেশ জনপ্রিয় ছিল লেখক ও ছাত্রদের মধ্যে।

তবে এসব কৃতিত্বের কথা আমরা বেশি জানতে পারি তার সরকার প্রধান হয়ে উঠার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম আলোর বদৌলতে। সম্পাদক মতিউর রহমান তার প্রিয় শেলিভাইকে নিজের পত্রিকায় কবিতা লেখার জায়গা করে দেন। এবং তিনিও নিয়মিত কলাম ও কবিতা আবার লিখতে শুরু করেন।
প্রথম আলো সংশ্লিষ্টতার কারণে আমরা হাবিবুর রহমানকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করতে শুরু করি। তাকে সবাই জাতির অভিভাবক হিসেবে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে।

কিন্তু এই ঐতিহাসিক পিটুনি-তত্ত্ব প্রকাশ হওয়ার পর তার ইমেজ ভেঙে পড়ে। তিনিও কিছুটা নেপথ্যে চলে গেছেন। অবশ্য প্রথম আলোতে তার কবিতা চর্চা অব্যাহত আছে।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ তথ্যবহুল আলোচনার জন্য । একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও তার তোয়াজকারিদের চিনতে সাহায্য করছে এসব ।

সৌরভ এর ছবি

যথাশব্দ ও কোরানের বাংলা অনুবাদের একটা সংকলন - দুটো বইই আমার সাথে অনেকদিন ছিলো।
জাতীয় "হেবো" র আবিষ্কারে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।

সেইরকম হচ্ছে সিরিজটা।
এই সিরিজ বন্ধটন্ধ করার চিন্তাও করবেন না। করলে, ট্রলিং শুরু করবো। দেঁতো হাসি


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হাসিব এর ছবি

মন্তব্যগুলোই সিরিজটাকে পরিপূর্ন করছে । মন্তব্য যারা করছেন তাদেরও জাঝা দিন ।

অমিত এর ছবি

হাসিব ভাই, আপনে এই সিরিজটা আর ১ বছর চালালেই জার্মানটা মোটামুটি হয়ে যাবে।
আমি এখানে ফ্রিওয়েতে উঠলে মিনিমাম টানি ৮০ মাইলে (১২৯ কিমি'র মত), স্পিড লিমিট কি ঐটা দেখি না। একবার উঠাইসিলাম ১২০ এ (১৯৩ কিমি/ ঘন্টা)। মিনিট চারেক চালাইসিলাম। আমার একখান হাউস আসে জার্মান দেশের আউটোবানে একবার একখান টান দিমু। নতুন আইন আসার আগেই যাইতে হইব মনে হয়।
জাতীয় হেবোর কথা জাইনা মজা পাইলাম।
______ ____________________
suspended animation...

অয়ন এর ছবি

পরীক্ষার জন্য ব্লগে আসা বর্তমানে বন্ধ রাখছি। মাঝে মাঝে হালকা বিনোদনের জন্য সামহোয়ারে চোখ বুলাই। ওইখানে আপনার লেখাটা পইড়া কমেন্টগুলা পড়ার জন্য এইখানে আসলাম। আসা বৃথা হয় নাই :)। হাসিব ভাই এবং যারা কমেন্ট করছেন সবাইরে ধন্যবাদ দারুণ একটা সিরিজ দারুণভাবে চালানোর জন্য।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সাধু সাধু



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

তন্ময় [অতিথি] এর ছবি

১৯৫২ সালে ডাকসুর ভিপি ছিলেন অরবিন্দ বোস আর জিএস ছিল গোলাম আযম।

সূত্র: প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি জনাব বদরুদ্দীন উমরের নিচের লেখাটি। লেখাটির অংশবিশেষ তুলে দেয়া হল-

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভেলকিবাজি

আমি আমার ভাষা আন্দোলনের বইটির প্রথম খণ্ডে একবারই মাত্র গোলাম আযমের উল্লেখ করেছি। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বোসের। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং মুসলিম লীগ সরকার এ নিয়ে নানা প্রকার বিরূপ প্রচার শুরু করবে­ এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। এই হল ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ‘বিরাট’ ভূমিকা।

সিরাত এর ছবি

এই পার্টটা জোস লাগলো। এরকম লেখা আর কেউ দেয় না।

ফ্রুলিক্স এর ছবি

আমি গতসামারে VW-touran নিয়ে বার্লিনের রাস্তায় ২২০ কিমিতে দৌড়াইছি। আনলিমিটেড স্পীড লিমিটের মজাই আলাদা। আর নতুন গাড়ি হলে তো কথাই নেই। বছর দুয়েক আগে মার্সিটিজের নতুন একটা নিয়ে এইরকম দৌড় দিছিলাম। এখনো পর্যন্ত Audi নিয়ে দৌড়ানোর সুযোগ হয়নি মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।