ভোখেনব্লাট - ৪

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ১৯/১১/২০০৭ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০০৭
বাংলাদেশে যেমন বলিউড কালচার একটা নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে রেখেছে গণসংস্কৃতিতে । তেমনি ইউরোপে আমেরিকান সংস্কৃতির একটা প্রভাব দেখা যায় । বিশেষ করে উঠতি তরুনদের মধ্যে এই প্রবনতা খুব বেশী । বিরক্তিকররকমের নিরাপদ, একঘেয়ে জীবন তাদের হয়তো আর টানে না । এর থেকে হলিউডের গানফাইট কালচার, রেপারদের ঢিলেঢালা পোষাকআশাক তাদের খুব আকৃষ্ট করে । ইউরোপিয়ানরা তাদের ইউঙ্গেদের এই ঢিলেঢালা পোষাকে খুব বিরক্ত না হলেও গান কালচারে তাদের আকর্ষণ প্রায়ই মুরুব্বিকুলের চিন্তার কারন হয়ে দাড়ায় । আজ ফিনল্যান্ডে এক স্কুল ছাত্র স্কুলে গুলি চালিয়ে ৮জন ছাত্র শিক্ষককে হত্যা করেছে । বছর দুবছর পর পরই এরকম একেকটা হু্জ্জত লেগেই থাকে ইউরোপে । এদের প্রায় সবাই আমেরিকার কলাম্বিয়ার ঘটনা দিয়ে প্রভাবিত । এদের প্রায় সবাই মনে করে পৃথিবীটা কিছু লোকের কারনে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । তাদের এই পৃথিবীটাকে বাসের যোগ্য করতে তারা এই আবর্জনাটাইপ লোকদের হত্যা করতে চায় ।
এই জাতিয় কোন খবর পেলেই কেমন যেন একটা আতংক পেয়ে বসে । তাড়াতাড়ি জানার চেষ্টা করি সেই গুলিবর্ষণকারি ছাত্র মুসলিম কিনা । সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বিদের কাজ হলে সেখানে এরা সোসাইটির খুঁত বের করতে আলোচনা করে । আর সংখ্যালঘিষ্টদের ক্ষেত্রে অবধারিতভাবে তারা আলকায়েদার সাথে দায়ি ব্যক্তির সম্পর্ক খোজার চেষ্টা করবে । সেই সাথে এমপি বুদ্ধিজীবি সবাই মিলে মুসলিম ইনফিলট্রেশন কিভাবে তাদের দেশকে লাটে ওঠাচ্ছে সেটা নিয়ে বিস্তর লাফঝাপ শুরু করবে ।
পত্রিকা খুজে দেখলাম ফিনল্যান্ডের সেই ছাত্র অমুসলিম । এটা আমার মনে এক ধরনের শান্তি দিলো এইকারনে যে এই স্কুলে গুরিবর্ষণকে কেন্দ্র করে আমাদের স্টাডট অফিসে নতুন কোন নিয়মের মুখে পড়তে হবে না, অথবা এটাকে কেন্দ্র করে নতুন কোন প্রশ্নপত্রও ফিল আপ করতে হবে না। আস্তিক নাস্তিক যাই হই না কেন ইউরোপ ভিন্ন ধর্মিদের জন্য খুব শান্তির জায়গা ছিলো না কোনকালে । এটা আস্তে আস্তে আরোও কঠিন যায়গা হয়ে যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০০৭
বাংলাদেশে ইন্টারনেটে টিকটিকি নজরদারি বৈধ করা হয়েছে । বোঝাই যায় প্রতিপক্ষকে নতুন নতুন কৌশলে ঘায়েল করার জন্য এটা একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হবে অচিরেই । বাংলাদেশ এই জাতীয় আইন তৈরীতে নতুন না । চায়নাতে এটা একটা বহুত ব্যবহৃত আইন । মানুষ কি করে সেটার খবর তো তারা নেয়ই, উল্টো সার্চ এঞ্জিনে ফিল্টার বসিয়ে মানুষ কি করবে কি দেখবে সেটাতেও তারা হাত দিয়েছে । চায়নার মতো বিশ্বমোড়ল ইউএসএতেও এই জাতীয় আইন রয়েছে । প্রতিবেশী দেশ ভারতে একবার ইয়াহু গ্রুপ ব্লক করা হয়েছিলো । এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এরা এখনও ব্লগস্পটের মতো জনপ্রিয় সাইট ব্লক করে রেখেছে ।
এদের দেখাদেখিই হয়তো ইউরোপও এই টিকটিকি আইন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে । আজকে জার্মান সরকারও এ আইনে সাড়া দিয়েছে । তারা এখন থেকে আমি কার কার সাথে টেলিফোনে কথা বলি, কাকে কাকে মেইল করি এসব ড্যাটা কালেক্ট করবে । এছাড়াও ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের সময় ডাক্তার, সাংবাদিকদের ওপরও তারা বিশেষ নজরদারি করতে পারবে । হায়রে সেলুকাস. . পুরো পৃথিবীটাই জেলখানা হয়ে গেলে যাবো কোনঠে বাহে ?

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০০৭
আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস । নূর হোসেনের হত্যার সময়টাতে আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি । নিতান্তই বালক বয়স । রাজনীতি বোঝার বয়স তখনো হয়নি । সেকারনে সেইসময়ের ঘটনা প্রবাহগুলো সেভাবে মনেও নেই । গুলি খাবার কিছু আগে নূর হোসেনের উদোম গায়ের বিদ্রোহী ছবিটা খুব আলোড়ন তুলেছিলো এটা মনে আছে । তো সেই থেকে নূর হোসেনের বাড়ির পাশের ঝিলে আশেপাশের নর্দমা থেকে অনেক বর্জ্য গিয়ে জমেছে । সেই সাথে আমাদের স্মৃতিতেও নূর হোসেনদের জন্য রেখে দেয়া জায়গাটাতে ধুলো জমেছে অনেক । রাজনীতিতেও তৎকালের স্বৈরাচারবিরোধী দলগুলো নূর হোসেনদের রক্ত মাংসে গড়া গণতন্ত্রের সিড়ি দিয়ে ক্ষমতার সিড়ি বেয়েছেন এক অথবা একাধিকবার । পুরনো স্বৈরাচারের সাথে এখন সময়ের বিবর্তনে হোক আর ক্ষমতার রাজনীতিতে হোক সেকালের লড়াকু দলগুলোর আর তেমন দাকুমড়ো সম্পর্ক নেই । সম্পর্কটা এখন অনেকটা আলু-তরকারির মতো । আলু যেমন কোন ঝামেলা ছাড়াই তরকারিতে মেশে । এখন আলু এরশাদ তেমনি বিএনপি আওয়ামীলীগ নামের চারপদ চৌদ্দপদের তরকারিগুলোতে কোন ঝামেলা ছাড়াই মিশতে পারেন ।
তো মাঝে মাঝে এই পুরনো লোকগুলোর জন্মমৃত্যুদিনগুলো আসে । ভুলে যেতে যেতে নামগুলো আবারো মনে পড়ে যায় । পুরনো পত্রিকা, বই এসব ঘেটে স্মৃতিটা ঝালাই করার চেষ্টা করি । আস্তে আস্তে বোধহয় সেই ঝালাইয়ের সুযোগগুলোও চলে যাবে । এবার নূর হোসেন বিষয়ক পত্রিকাগুলোর ট্রিটমেন্ট দেখে আমার অন্তত সেরকমই মনে হলো । কোথায় কে মিলাদ ও কোরান খতম দিচ্ছে, সে দোয়া মাহফিল করছে, কারা বিবৃতি দিয়েছে তাদের নাম, কারা মাজারে গিয়ে ফুল দিলো; এগুলোই ছোট একটি দায়সারা নিউজ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে সংবাদপত্র গুলো । ভেতরের পাতায় উপসম্পাদকীয়তেও কোন উল্লেখ করার মতো কিছু দেখলাম না যাতে আমরা জানতে পারি তখনকার ঘটনাপ্রবাহগুলো । আমরা জানতে পারি না কেন নূর হোসেনের আত্নত্যাগের ফল পেতে আমাদের আরো তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো । আরো দশ বছর পেরোতে না পেরোতেই দেখবো হয়তো পত্রিকাগুলো, সাথে কলামিস্টরাও তাদের ডিকশনারি থেকে নূর হোসেনদের বাদ দিয়ে দেবেন ।
সচলায়তনেই কেউ একজন (নামটা মনে করিয়ে দেবেন কেউ দয়া করে) একবার সাংবাদিক ফজলুল বারীর সাপ্তাহিক ২০০০এ প্রকাশিত একটি কলামের লিংক দিয়েছিলেন । সেখানে থেকে পাঠকদের জন্য কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছি,
প্রিয় প্রজন্মের বিজ্ঞাপন দেখে সাংবাদিক হতে এসেছেন পলব মোহাইমেন। জামালপুরের একটি কলেজ শিক্ষকের ছেলে। পড়াশুনা উপলক্ষে তখন ঢাকায় বিএনপি নেতা ড. আর এ গণি’র বাসায় থাকতেন। পলবকে যাচাই করতে সে শিল্পীকে খুঁজে বের করে ইন্টারভ্যু’র এ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়। দু’দিনের মধ্যে সে শিল্পীকে খুঁজে বের করে ইন্টারভ্যুটি লিখে এনেছেন যুবক। সঙ্গে স্বাক্ষী হিসাবে শিল্পীকেও অফিসে নিয়ে এসেছেন। নূর হোসেনের বুকে নিপাত বানানটি ভুল বানানে ‘নীপাত’ লেখা ছিল। শিল্পীকে সেটি জিজ্ঞেস করলে সত্য স্বীকার করেন অকপটে। তার দাবিটি ছিল বানানটি নূর হোসেনই ভুল লিখেছিলেন। পুরনো ঢাকায় তার সাইনবোর্ড লেখার ব্যবসা। সেই সকালে নূর হোসেন তার কাছে এসে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নীপাত যাক’ শোগান দুটি দেয়ালে লিখে সেটি তার বুকে পিঠে লিখে দিতে অনুরোধ করেন। নূর হোসেন যেভাবে বানানগুলো লিখেছেন তিনিও সেভাবে তা লিখে দিয়েছেন তার বুকে পিঠে।
আসল কথা হলো বানান ভুল না শুদ্ধ উত্তাল সেই সময়ে সেটি কারও দেখার বা বিবেচ্য ছিল না। সেভাবে একটি জীবন পোষ্টার হয়ে স্বৈরাচারের বেদীমূলে প্রাণ দিয়েছেন নূর হোসেন। তার সেই আত্মত্যাগ এরশাদের গদিতে যে ধাক্কা দিয়েছে সেটি আর কখনো সামাল দেয়া যায়নি। বাংলাদেশ আর বাংলা সাহিত্যের সমকালীন সময়ের শ্রেষ্ট কবি শামসুর রাহমানও তখন নূর হোসেনকে নিয়ে তার অন্যতম শ্রেষ্ট কবিতাটি লিখেছেন। ‘রোদের অক্ষরে লেখা নাম।’ গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ধরে রিকশায় তুলেছিলেন খিলগাঁও’তিলপাপাড়ার ক্লাস এইটের ছাত্র সুমন। বিচিন্তায় তখন আমরা সুমনের ইন্টারভ্যু করে নূর হোসেনের শেষ কথাগুলো লিখেছি। গোরান গোরস্তান ঘুরে এসে নূর হোসেনের কবর নিয়েও প্রথম রিপোর্টটি ছাপা হয়েছে বিচিন্তায় । প্রিয় প্রজন্মেও প্রথম ছাপা হয়েছে নূর হোসেনের শিল্পীর সাক্ষাৎকার। সেই পলব এখন প্রথম আলোর আইটি বিষয়ক জনপ্রিয় রিপোর্টার।
আরেকটি সত্য লেখা দরকার। ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা নূর হোসেনের পিঠের ছবিটির জন্যে তখন খ্যাতিমান হয়েছেন আলোক চিত্রশিল্পী পাভেল রহমান। ইত্তেফাকে তখন তার ছবিটি ছাপা হয়েছিল। এরপর নূর হোসেনের বুকের ‘স্বৈরাচার নীপাত যাক’ লেখা ছবিটি নিয়ে স্বারক ডাক টিকেট প্রকাশের সময়ও বলা হয়েছিল ছবিটি পাভেল রহমানের তোলা। কিন্তু আমরা রাজপথের সাংবাদিকরা জানি ছবিটি তুলেছেন সৌখিন আলোক চিত্রশিল্পী দিনু আলম। ঈশ্বরদীর ছেলে দিনু আলম এখন কানাডা প্রবাসী।

কৃতজ্ঞতা, ফজলুল বারী ও যিনি এটি সচলায়তনে শেয়ার করেছেন তাদের প্রতি । আন্দোলনের সেই দিনে নূর হোসেন কি করছিলেন কোথা থেকে তাঁর গায়ে কথাগুলো লিখিয়েছিলেন সে বিষয়ে আরোও বিস্তারিত জানালে আরোও উপকৃত হতাম আমরা । কানাডা প্রবাসী সচলদের কাছে অনুরোধ থাকলো এই দিনু আলমকে খুঁজে বের করার । ইন্টারনেট বা অন্য কোথাও নূর হোসেনের ছবিটার কোন ভালো কোয়ালিটির ছবি পাওয়া গেলো না । দিনু আলমই এটা দিতে পারেন হয়তো ।
আজকে যতদুর দেখলাম ভোরের কাগজ নূর হোসেন বিষয়ে সর্ববৃহৎ কভারেজ দিয়েছে । ড. মোহাম্মদ নূর উদ্দিন লিখিত কলামটি পড়ে একটা তথ্যের অমিল পেলাম ফজলুল বারীর সাথে । ফজলুল বারী বলছেন নূর হোসেনের কবর গোরান গোরস্থানে । কিন্তু ড.নূরউদ্দিন বলছেন সেটা জুরাইনে । কোনটা সঠিক ? ২০বছরেও যদি এরকম বেসিক তথ্যে গড়বড় হয় আরো কয়েক দশক পর কি হবে সেটা চিন্তা করতেই ভয় হয় ।

রবিবার ১১ নভেম্বর ২০০৭
আজ সবাই মিলে স্টুটগার্ট গেলাম । পাশের প্রদেশের রাজধানী স্টুটগার্ট । হোম অফ ম্যারসেডেস, পোরশে, বোশ । এই শহরের কোট অফ আর্মসটা পোরশের লোগোর মাঝখানে সাঁটা আছে । শুধু গাড়ি বানানোই এই শহরের কৃতিত্ব নয়, দার্শনিক হেগেল, কবি শিলারের জন্মও এই শহরে । শহরটা একটা পাহাড়ে শহর । এর মানে হলো, শহরটা ঘুরতে যেতে ভালো, কিন্তু থাকতে ততটা ভালো না । উলমের সীমানায় পাহাড়ের ওপর শহর থেকে ৩০০ ফুট ওপরে থাকতে হয়েছে এক বছর । আমি বিলকুল জানি দৈনিক পাহাড় ঠ্যাঙ্গানো বাঙ্গালি পায়ের কম্মো না ।
তো এই স্টুটগার্টে যাওয়া উপলক্ষে জার্মানির ট্রান্সপোর্টেশন নিয়ে কিছু বলি । গরিবী ট্রাভেলারদের জন্য ইওরোপে জার্মানি সবচেয়ে ভালো যায়গা । এখানে গ্রুপ টিকেট নামে একটা কনসেপ্ট প্রচলিত আছে । একটা গ্রুপ টিকেট পাওয়া যায় যেটা দিয়ে যেকোন একটি স্টেটে সারাদিন প্রায় সবধরনের ট্রান্সপোর্টে চড়া যায় । দাম মাত্র ২৭ ইউরো । ৫ জনের গ্রুপ হলে মাথাপিছু ৫ ইউরোর একটু বেশী । একলা হলে মাথাপিছু খরচটা বেড়ে ১৯ ইউরোতে দাড়ায়। তো এরকমই একটা গ্রুপ টিকেট উইকেন্ডে পাওয়া যায় যেটা আরো কয়েক ইউরো বেশি । পার্থক্য হলো এটা দিয়ে এক দিনে নির্দিষ্ট স্টেটের সারা জার্মানির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যাওয়া যায় । দাম সস্তা হলেও জার্মানির ট্রেন সার্ভিস নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ কম । সময়মতোই স্টেশনে এসে থামে সময়মতোই ছাড়ে এখানকার ট্রেন ।

(এটা আসলে গত সপ্তাহের ভোখেনব্লাট । মানসিক অশান্তিত আছি একটু । একারনেই দেরি । এ সপ্তাহেরটা কালকে প্রকাশ পাবে )

টিকা: ইউঙ্গে - ইংরেজী ইয়াং ।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

রাগিবের সাথে যোগ করছি । সম্ভব হলে পল্লব মোহাইমেনের সাথে যোগাযোগ করুন । বেশ কয়েকজন ব্লগার তাকে খুজে বের করতে পারবেন বলে ধারনা করছি । নূর হোসেনের ওপর পল্লবের কাজগুলোও হয়তো সচলে ডিজিটাইজ করা যেতে পারে ।

হাসিব এর ছবি

ক্লাস নাইনের ঘটনা । সিক্সে আমি লাস্ট ক্লাস ফার্স্ট বয় ছিলাম । মানে ঙ সেকশন, রোল নাম্বার ১ । প্রথমে হাকিম স্যার তারপর বোধহয় জাহানারা আপা ক্লাস টিচার ছিলো । আমার বহুকাল আগের কথা মনে হয় এগুলারে ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তুমি ৯৪ ব্যাচ হইলে ১৯৮৭ তে ক্লাস সিক্স। ১৯৯০ তে ক্লাস নাইন।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হাসিব এর ছবি

এইখানে একটা ক্যাচাল হয়া গেছে । আমি তখন ক্লাস সিক্সেই পড়তাম । সেই হিসেবে ৯২ এসএসসি ৯৪ এইচএসসি । নাইনের কথা বললাম এইকারনে যে ঐটা মাথায় ঢুইকা বইসা ছিলো । আমি ভোখেনব্লাট -৫ এ ক্লাস নাইনের একটা ঘটনার কথা বলবো । তখন বুঝতারবা কেমনে কি ।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ফজলুল বারী বলছেন নূর হোসেনের কবর গোরান গোরস্থানে । কিন্তু ড.নূরউদ্দিন বলছেন সেটা জুরাইনে । কোনটা সঠিক ? ২০বছরেও যদি এরকম বেসিক তথ্যে গড়বড় হয় আরো কয়েক দশক পর কি হবে সেটা চিন্তা করতেই ভয় হয় ।

-নূর হোসেনের কবর জুরাইনে । 1991 সালে নূর হোসেনেকে নিয়ে একটি টিভি অনু্ষ্ঠান করেছিলাম। নূর হোসেনের বাবা জুরাইনে নূর হোসেনের কবরের সামনে দঁাড়িয়ে আমাকে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ফজলুল বারী বলছেন নূর হোসেনের কবর গোরান গোরস্থানে । কিন্তু ড.নূরউদ্দিন বলছেন সেটা জুরাইনে । কোনটা সঠিক ? ২০বছরেও যদি এরকম বেসিক তথ্যে গড়বড় হয় আরো কয়েক দশক পর কি হবে সেটা চিন্তা করতেই ভয় হয় ।

নূর হোসেনের কবর জুরাইনে । 1991 সালে নূর হোসেনেকে নিয়ে একটি টিভি অনু্ষ্ঠান করেছিলাম। নূর হোসেনের বাবা জুরাইনে নূর হোসেনের কবরের সামনে দঁাড়িয়ে আমাকে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ রিটন ভাই । দিনু আলমের খোজ বের করা কি সম্ভব ? পরিচিত মহলে একটু খুঁজে দেখবেন দয়া করে ।

দিগন্ত এর ছবি

ব্লগস্পটের মতো জনপ্রিয় সাইট ব্লক করে রেখেছে ।
- কোথায়? আমি তো দিব্যি লেখালিখি করি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসিব এর ছবি

দিগন্ত, এটা গতবছরের ঘটনা যতদুর মনে পড়ে । তখন এটা নিয়ে বেশ হৈচৈ হয়েছিলো । এ লিংকটা দেখতে পারেন । আপনি যেহেতু ব্লগস্পটে ব্লগিং করতে পারছেন সেহেতু আমি দু'টো হাইপোথেসিসে আসতে পারি । হয় আপনার আইএসপি সরকারি ঐ আদেশটা অগ্রাহ্য করছে অথবা ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞাটা প্রত্যাহার করেছে । সঠিক ঘটনাটা জানাবেন দয়া করে ।

দিগন্ত এর ছবি

খবরটা পড়ুন ভাল করে -
"The country's 153 internet service providers (ISP) have blocked 17 websites since last week on federal government orders.

Some of these sites belong to Google's Blogspot, a leading international web log hosting service. "
গোটা ব্লগস্পটকে ব্যান করা হয়নি - সামগ্রিকভাবে ১৭ টা সাইটকে ব্যান করা হয়েছিল। তার মধ্যে কয়েকটি ব্লগস্পটে হোস্টেড ছিল। সেগুলো ব্যান করতে গিয়ে ভুলক্রমে কিছুদিনের জন্য (২ দিন - আমিও আকসেস পাচ্ছিলাম না) সমগ্র ব্লগস্পট ব্যান হয়ে পড়েছিল। আপনি দেখতে পারেন এই ব্যান্ড সাইটগুলো -
"
www.hinduunity.org
exposingtheleft.blogspot.com
pajamaeditors.blogspot.com
commonfolkcommonsense.blogspot.com
www.hinduhumanrights.org/hindufocus.html
princesskimberley.blogspot.com"


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসিব এর ছবি

ধন্যবাদ । । অচিরেই শুধরে নেবো মূল লেখায় ।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার ভখেনব্লাট সচলায়তনের সব লেখার মাঝে একটি মুল্যবান সংযোগ।
লেখার গতি বাড়ছে ক্রমশ:ই। মাখনের মতো নরোম হচ্ছে লেখার প্রতিটি বাক্য। ভাল লাগছে।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসিব এর ছবি

বিটে শোয়েন ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি তো এতোদিন ধরে ওটা পাভেল রহমানরেই জানতাম ।
যাক হাসিবের এই সিরিজের কল্যানে একটা অজানা সত্য জানা হলো ।
সিরিজটা চমৎকার হচ্ছে ।
পার্ফেক্ট ব্লগিং ।
-----------------------------------------
ভালো নেই,ভালো থাকার কিছু নেই

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব এর ছবি

দিনু আলমের ঘটনাটা সত্য কিনা সেটা এখনই সিদ্ধান্তে আসার সময় হয়েছে কিনা বুঝতে পারছি না । ইনফরমেশনগুলো ক্রসচেক করে রাখা দরকার । সময় থাকতেই । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।