মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০০৭
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবনটা যে একটু আলাদা সেটা আমি বুঝতে শিখি ক্লাস সেভেনে । আমার এক ক্লাসমেইট ছিলো বৌদ্ধ । দিপংকর নাম ছিলো যতদুর মনে পড়ে । সে আমাদের সাথে সব কাজে থাকলেও খাওয়া দাওয়া করতো একটু আলাদাভাবে । টিফিনের সময় তাকে কখনও আমরা দেখিনি চটপটি-ফুচকা-সিঙ্গাড়া কিনে খেতে । সে সারা বছরই বাসা থেকে আনা কোন সব্জি ভাজির সাথে রুটি খেত । মাছ মাংস না খেয়ে কিভাবে মানুষ থাকতে পারে সেটা খুব অবাক করতো আমাকে । পরে বিভিন্ন সময় দেশে সংখ্যালঘুদের জীবনটা যে খুব মসৃন নয় সেটা বুঝেছি পত্রিকায় বিভিন্ন খবর পড়ে, মুরুব্বিদের মুখে তাদের মালাউন গালি দিতে শুনে । বড়কালে ইউনিভার্সিটিতে জগন্নাথ হলের ক্যান্টিনে খাওয়া দাওয়ার পর সেখানে থাকা বন্ধুদের অনেককেই নানাবিধ অভিযোগ করতে শুনেছি । কিছু অসুবিধা তারা আমাদের সাথে শেয়ার করতো কিছু করতো না ।
তো, দেশের বাইরে যাবার প্রস্তুতি যখন নেই তখন জার্মানি নিয়ে দেশীয় বুদ্ধিজীবিদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, ভ্রমন কাহিনী ইত্যাদি পড়ে মোটাদাগে একটা ধারনা নিয়েছিলাম যে জার্মানি হলো কার্ল মার্ক্সের দেশ, ধর্মীয় গোড়ামি একদমই নেই এখানে । (এখন বিদেশ নিয়ে দেশীয় এসব লেখা হাস্যকর লাগে । ) এখানে বেশীরভাগ মানুষ কোন ধর্মে নিজেকে বেধে রাখতে চায় না । অধিকাংশ লোক এখানে কোন ধর্ম অবলম্বন করে না বলে ডিক্লেয়ার করে । এখানে এসে বুঝলাম প্রকৃতপক্ষে এরা এই কাজ করে ট্যাক্সের সুবিধা পেতে । বইয়ে পড়া সেইসব সাহিত্য থেকে পাওয়া ইওরোপের ছবি ভেঙে টুকরো হতে আমার খুব বেশীদিন লাগেনি । পা দেবার এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজেকে এখানে একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে আবিস্কার করে ফেলি ।
জার্মানিতে যারা থাকে তাদের সবাইকে স্টাডট অফিসে (সিটি কর্পোরেশন অফিস) আনমেল্ডুঙ (রেজিস্ট্রেশন বা তালিকাভুক্তকরণ) করতে হয় । যাতে করে সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলো একজন লোকের হদিস বের করতে পারে । দেশী বিদেশী সবার জন্যই এক নিয়ম । জার্মানিতে পা দেবার এক সপ্তাহ পরে গেলাম সেখানে আনমেল্ডুঙ করতে । গিয়ে দেখি একটা মোটামুটি বড় রুমে সারি দিয়ে টেবিল সাজানো । প্রতিটা টেবিলের সাথে অক্ষরের রেঞ্জ লেখা । ওর সাথে আমরা লাস্ট নেইম মিলিয়ে লাইনে দাড়াতে হবে । আমি দেখলাম পাশাপাশি দুটো টেবিলের একটাতে এইচ (ফার্স্ট নেইমের প্রথম অক্ষর) ও আরকটাতে এম (লাস্ট নেইমের প্রথম অক্ষর) । স্বাভাবিক কারনেই এম লাইনে দাড়িয়ে গেলাম । লাইন শেষে গিয়ে মিস্টি হাসি দিয়ে ডেস্কে বসা ফ্রাউ জানালো আমার পাশের লাইন অর্থাৎ এইচ লাইনে দাড়াতে হবে । কিছু না ভেবেই পাশের লাইনে গিয়ে দাড়ালাম । সেখানে ফ্রাউ একহার্ডট বেশ কিছুক্ষন আমার কাগজপত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করে একটা আনমেল্ডুঙের কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন । একটু খেয়াল করতেই আমি দেখলাম সেই কাগজে আমার নাম,
লেখা হয়েছে । আমি খুব বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলাম এই প্লুসটা কিসের । জবাবে যা শুনলাম সেটা শোনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না । ফ্রাউ একহার্ডট জানালেন আমি মুসলিম ও এই কারনে আমার ফার্স্ট নেইম নেই । আমি কিছুক্ষন তাকে বোঝালাম যে আমার ফার্স্ট নেইম হাসিব লাস্ট নেইম মাহমুদ । কে শোনে কার কথা । কিছুক্ষন তর্কের পর ফ্রাউ জার্মানদের অতিপ্রিয় ডায়লগ Das ist Deutschland বলে মামলা খতম ভঙ্গিতে তাকালেন । বুঝলাম যে এই মহিলার সাথে তর্কে গিয়ে লাভ নেই । হাজার হলেও জার্মানি থেকে বের করে দেবার ক্ষমতা এই মহিলার আছে । পরবর্তিতে ভিসা আপডেট বা অন্য যে কারনেই ফ্রাউ একহার্ডটের কাছে গিয়েছি সেবারই একই ভাবে একটা প্লুস যোগ করে আমার নাম লিখেছেন তিনি । * বিনা আকিকাতে নামের মধ্যে নতুন একটা প্লুস প্রাপ্তির মধ্য দিয়েই ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে গন্য হবার প্রথম অভিজ্ঞতা হয় আমার ।
নাম লেখার এই নিয়মের কারনটা অনেক পরে জানতে পারি আমি । বাংলাদেশের পাসপোর্টে ফার্স্ট নেইম লাস্ট নেইম আলাদা করে লেখা থাকে না বলেই এই বিপত্তি । এই কারনটা না বলে কি কারনে আমার ধর্মের দিকে ফ্রাউ একহার্ডট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেটা আমার কাছে এখনও পরিস্কার না । এখানে দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারিরা কিছু না জেনেই মানুষজনকে হরহামেশা নানারকম হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট দেখিয়ে থাকেন । তর্কে গেলে ফস করে বলে দেবে এইটা একটা নতুন রুল বা এই ধরনের কিছু একটা । একরম অসংখ্য অভিজ্ঞতা ঝুলিতে আছে । সময় সুযোগ মতো বলা যাবে সেগুলো ।
কন্টিনেন্টাল ইউরোপে সংখ্যালঘু হবার এটা ছাড়াও অনেক ধরনের জ্বালা যন্ত্রনা রয়েছে । দেশে থেকে এগুলোর খোজ খবর তেমন একটা না পেলেও এখানে একটু চোখ মেললেই দেখা যায় । বাংলাদেশে যেমন রমনা কালিমন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা স্বাধীনতার পর প্রায় চার দশক পরেও সম্ভব হয় না তেমনি এখানেও সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাগৃহ বানানো অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না । গ্রিসের এথেন্সে গত দুইদশক ধরে চেষ্টা চলছে একটি মসজিদ বানানোর । সেটা আজও সম্ভব হয়নি । সম্ভব না হওয়ার কারনগুলো শুনলে আক্কেল গুড়ুম হতে হয় । সিনেমায় দেখা ন্যুড বিচ খুল্লাম খাল্লা ইওরোপ বা সাহিত্যিকদের লেখায় উঠি আসা প্রগতিশীল ইওরোপের সাথে এগুলো যেন ঠিক মেলে না । এথেন্সের মেয়র যখন বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশীরা যদি মসজিদের মিনার দেখেন তাহলে তাদের খ্রিষ্টান দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে তখন চোখটা কচলে দ্বিতীয়বার মেয়রের উক্তিটা পড়তে হয় । এথেন্সের মেয়র এটা নিয়ে বেশ একটা গণআন্দোলন টাইপও গড়ে তুলেছিলেন গত বছর । সরকারি ভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত, সৌদি বাদশাহের ফান্ডের নিশ্চয়তা এথেন্সে একটা মসজিদ বানানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি । (সরকারি লোক ছাড়াও গণস্তরের প্রতিক্রিয়া দেখুন এখানে , পিলে চমকে যাবে নিশ্চিত ।
দেশে দেখিছি পদ্মার চর দখলের পর সেটাতে দখলিস্বত্ত্ব প্রকাশ করার জন্য দখলদার সেখানে ছাপড়া ঘর বানিয়ে তার কিছু লোককে সেখানে পাহারায় বসায় । এথেন্সেও এই মসজিদের জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটা দখল করে সেখানে একটা চ্যাপেল বানিয়ে ফেলা হয়েছে । এখন সেখানে মসজিদ বানাতে সেই চ্যাপেল ভাঙতে হবে । দখলদারের চরিত্র মনে হয় সবজায়গাতেই এক।
এজাতীয় ধর্মিয় সংবেদনশীলতা দেখাতে জার্মানিও পিছিয়ে নেই । গত বছর এথেন্সের সাথে সাথে জার্মানির নর্থে এক ছোট শহরে কাদিয়ানিদের একটি মসজিদ বানানোর বিরুদ্ধে এরকম বাদ প্রতিবাদ হয়েছিলো । লিংক হারিয়ে ফেলেছি বলে শেয়ার করা গেলো না । পরে খুজে পেলে শেয়ার করবো । সেই ঘটনাটা বেশ ছোট আকারে ছিলো ও সেটা মিডিয়াতে তেমন আসেনি । সম্ভবত বিল্ড পত্রিকায় একটা ছোট নিউজ দেখেছিলাম ।
আর এবছর ক্যোলনে এরকম এক মসজিদ বানানো নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে । এই তুলকালামে রাজনীতিবিদ, লেখক, বুদ্ধিজীবি সবাই হত্তে দিয়ে পড়েছেন । কে বলে শুধু গরিব দেশগুলোতেই ধর্ম নিয়ে গোড়ামী বেশী ! গরিবের বৌয়ের দুর্নাম সবসময় বেশীই হয়ে থাকে ।
ক্যোলনের এই মসজিদ বানানোর ঘটনায় সবার আগে যথারীতি চরম ডানপন্থি দলগুলো ঝামেলা পাকানো শুরু করেছে । ক্রিশ্চিয়ানিজম হাতছাড়া হবার জুজুর ভয়ে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামের কিছু ডানপন্থী দলও এই প্রসেসনে যোগ দিয়েছে । তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন বিখ্যাত সাংবাদিক/লেখক রালফ গিওরডানো । মসজিদ বানানোর উদ্যোগকে তিনি “an expression of the creeping Islamization of our land.” বলে রায় দিয়েছেন । এতসবের পরও আশার কথা এই যে এই উদ্যোগে সিটি মেয়রের সমর্থন রয়েছে । ডানপন্থী সিডিইউ সরকারের মেয়র ইট্রেগরেশনের নামে একটু আধটু গাইগুই করলেও কোন আইনগত বাঁধা সৃষ্টি করেননি ।
মুসলিমদের প্রতি এই বিদ্বেষের কারনকে মিডিয়ার স্টেরিওটাইপকে দায়ি করেন অনেকে । আবার সম্পুর্ন ভিন্ন আচার আচরন ধারন করে বলেও এই দুরে ঠেলা প্রবনতার জন্ম হতে পারে । মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য জায়গায় সন্ত্রাসী প্রতিরোধও একটা কারন । এই মুসলিম ছাড়াও ইওরোপের আরেক ধর্মিয় সংখ্যালঘু ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর শত শত বছর অত্যাচার হয়েছে । তাদের সমূলে বিনাশ করার বেশ কয়েকবার চেষ্টা হয়েছে । যার শেষ প্রচেষ্টাটা করে এ্যাডল্ফ হিটল্যার । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সঙ্গিসাথীসহ সমূলে উৎপাটিত হলেও জার্মানদের মধ্য থেকে ইহুদি বিদ্বেষ একেবারে সরিয়ে ফেলা যায়নি । যার প্রমান সম্প্রতি এক জরীপে ধরা পড়েছে । সেখানে এক পঞ্চমাংশ জার্মান টিনএজার ইহুদিদের গড়পড়তা জার্মানদের মতো সমান সুযোগ সুবিধা দিতে দ্বিমত প্রকাশ করেছে । এই বিপুল সংখ্যক টিনএজারের শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ বিচারের প্রবনতা জার্মান অভিভাবকদের কপালে আরেকটা ভাজ যোগ করবে বলেই মনে হয় ।
বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০০৭
সাইক্লোন সিডরের ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ন অব্স্থা আস্তে আস্তে মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পরিস্কার হচ্ছে । মৃতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে । সাধারণত সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা একটু কমিয়ে দেখানোটাই চল । মৃতের সংখ্যা কম হলে হয়তো সরকার বাহাদুরের কেরামতি বাড়ে । বেসরকারি রেড ক্রিসেন্ট ১০ হাজারের মতো একটা প্রাথমিক হিসাবে দিলেও সেটা নিয়ে পরবর্তিতে কোন আপডেট দিয়েছে বলে চোখে পড়লো না । বাকি এনজিওগুলো নানাধরনের স্পেকুলেশন দিলেও মানবসম্পদ ক্ষয়ক্ষতির কোন হিসাব এখনও দিতে পারেনি । তারা হয়তো ফসল খামারে তাদের লোনে করা সম্পদের ক্ষতির হিসাবে ব্যস্ত । এনজিওদের সংগঠন বা মাইক্রোক্রেডিটের কোন সংগঠন থেকে এখনও ঋণ বা সুদ মওকুফ অথবা নিদেনপক্ষে লোন রিসিডিউলিঙের কোন ঘোষণা দেয়নি ।
এই হতাহত গণনার সাথে সাথে দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রান দেবার কাজও শুরু হয়েছে । ত্রান কাজের ব্যবস্থাপনা শুরুতেই হোচট খেয়ে লেজে গোবরে অব্স্থায় পড়েছে । ভোটের কারনে হোক আর মানবতার কারনেই হোক স্বাভাবিক সময়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটা গুরুত্বপূর্ন রোল প্লে করে এসব দুর্যোগে । এবার সেটা পুরোপুরি অনুপস্থিত। বিএনপি তাদের ত্রান কার্যক্রম জরুরি অবস্থা তুলে নেবার দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে । আওয়ামী লীগ সাকুল্যে হাজার তিরিশেক টাকা যোগাড় করতে পেরেছে । দেশের মানুষ তাদের ভোট দিয়ে তাদের নেতানেত্রিদের ধনী হবার পথ সুগম করলেও জনগন তাদের নিজেদের দরকারের সময় বাকোয়াজি শুনতে পাওয়া ছাড়া আর কিছু পাচ্ছে না । আসলেই দুর্ভাগা আমার দেশ । এদের কারনের আজ ফৌজি প্লাটুন গণতন্ত্রের বুকে বুট খটখটিয়ে বেড়ায় ।
রবিবার ২৩ নভেম্বর ২০০৭
ভোখেনব্লাটের প্রথম অংশের ফোকাস ছিলো পাশ্চাত্যে ধর্মীয় গোড়ামির চেহারা । এবার আসি প্রাচ্যের ধর্মীয় গোড়ামির দিকে । এটা আরোও ভয়ংকর । তসলিমা ইস্যুতে উপমহাদেশীয় কীটগুলোর কর্মতৎপরতা সম্পর্কে পাঠকেরা এরইমধ্যে ওয়াকিবহাল । তসলিমা ইস্যুতে হেট মাথা উচু না করতে করতে সৌদি-সুদানিরা আবারও মাথা নীচু করে দিয়েছে সমগ্র মানবতার ।
প্রথম ঘটনা সৌদি আরবে । সৌদি আরবের ঘটনাটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে । ওবামা-ক্লিনটনের ডিবেটেও এই ঘটনা উঠে এসেছে । ঘটনাটা এরকম, ১৯ বছর বয়সী এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেখানে । সাতজনের এক দল এই অপকর্মের হোতা । অভিযোগ যথাসময়ে কোর্টে ওঠে । সৌদি আরবে চালু থাকা শরিয়া আইনে চলা নিম্নআদালত এই ধর্ষণের শিকার নারীকে ৯০ বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান করে । সাথে উপরি হিসাবে জেল । কি তার অপরাধ ? আদালত সিদ্ধান্তে এসেছেন এই কুলটা নারী পরপুরুষের সাথে গাড়িতে চড়েছেন ও সেসময় তার পরনে উস্কানিমূলক (অথবা উত্তেজক) পোশাক পরা ছিলো । এথেকে তারা সিদ্ধান্তে এসেছেন যে এই নারীই দায়ী যাবতীয় ঘটনার জন্য ।
তো, ঘটনা এখানেই শেষ না । অল্প কিছুদিন পরে উচ্চ আদালতে আপিল হয় এই রায়ের বিরুদ্ধে । উচ্চ আদালত আরেক কাঠি সরেস । বিচারক মহোদয় শাস্তি যথেষ্ট মনে না করে সেটাকে ২০০ বেত্রাঘাত ও ৬ মাস জেলবাসে উন্নিত করেছেন । সেই সাথে ঘর্ষিতার পক্ষে যেই আইনজীবি লড়াই করেছেন তাঁর আইনজীবি লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ।
দ্বিতীয় ঘটনা সুদানে । ছোট বাচ্চাদের স্কুলে গিলিয়ানি গিবনস নামে এক শিক্ষিকা পড়াতেন । গত সেপ্টেম্বরে এক ক্লাসে তিনি বিভিন্ন প্রানী বিষয়ে পড়াচ্ছিলেন । সেখানে একটি টেডি বিয়ারকে দেখিয়ে শিক্ষিকা ছাত্রদের সেটার একটা নাম দিতে বলেন । ভোটাভুটির পর দেখা গেলো ছাত্ররা টেডি বিয়ারটিকে মুহাম্মদ নাম দিয়েছে । এই ঘটনাটা আস্তে আস্তে চাউর হয়ে গেলে সুদানে বেশ একটা গণআন্দোলন গড়ে ওঠে । আন্দোলনকারিদের দাবি এই শিক্ষিকা ছাত্রদের টেডি বিয়ারটিকে মুহম্মদ নাম দিতে বাধা না দেয়ায় তাদের মুহম্মদের অপমান হয়েছে । শিক্ষিকার উচিত ছিলো ছাত্রদের এ নামটি নির্বাচন না করতে দেয়া । এই অপরাধে আন্দোলনকারিদের চাপের মুখে সুদান সরকার গিলিয়ানি গিবনসকে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে । ব্রিটিশ এই শিক্ষিকাকে ছাড়ানোর জন্য এখন বৃটিশ সরকার কুটনীতিক তৎপরতা চালাচ্ছে ।
ড. আইজউদ্দিন নামে ওপাড়ার এক ব্লগার একবার বলেছিলেন, ‘বাবা বলেছিলেন বড় হও, কিন্তু আজ আমি ছোট হই পদে পদে’ । অসহিষ্ণু ধর্মীয় কীটগুলোই বারবার আমাদের এই ছোট করে দেয় ।
টিকা
১. Anmeldung (আনমেল্ডুঙ) – রেজিস্ট্রেশন বা তালিকাভুক্তিকরণ
২. Frau (ফ্রাউ) – ইংরেজীতে Ms. । কোন মহিলাকে এখানে ফ্রাউ অমুক বা তমুক ডাকাটাই চল ।
৩. Plus (প্লুস) – ইংরেজীতে প্লাস ।
৪. Das ist Deutschland. (ডাস ইসট ডয়েশলান্ড) – ইংরেজী This is Deutschland. নিয়ম কানুনের ধব্জা দেখানোর জন্য জার্মানিতে এটা একটা প্রচলিত ঝাড়ি ।
৫. Koeln – ইংরেজীতে Kologne (কোলন), জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত বড় শহর । উত্তরের রোম বলা হয় এ শহরটাকে ।
৬. জার্মান শহর মানহাইমে (Mannheim) মসজিদ বানানো দিয়ে একটি তর্ক পড়ুন । সব পড়া সম্ভব না হলেও কিছুটা পড়ুন । এটা পশ্চিম সম্পর্কে ধারনা বদলে দেবে আপনার ।
৭. সৌদে আরবের ধর্ষিতার জবানবন্দি পড়ুন এখানে ।
মন্তব্য
আমারে অবশ্য পদবীর সঙ্কটে পড়া লাগে নাই। জার্মানীর উত্তরাঞ্চল দৃশ্যত তেমন গোঁড়া না। মানে ধর্মের দিক থিকা। এইখানে আউসলেন্ডারবেহ্যোর্ডেতে হয়রানি করে এইটা নাই সেইটা নাই বইলা। অনেকরে ছাইড়াও দেয়। যেমন আমারে দিছে।
২০০০ সাল পর্যন্ত হেসেনে টানা বহুবছর এসপিডির মনোপলি ছিল। সিডিইউ ক্ষমতায় আসছে এসপিডির আগের মুখ্যমন্ত্রী চুরি কইরা ধরা খাইয়া। এখন হেসেনের যে মুখ্যমন্ত্রী সে তো রীতিমতো একটা বাবর।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আউসলেন্ডারবেহ্যোর্ডে - সিটি কর্পোরেশনের যেই অফিস বিদেশীদের কাগজপত্র নিয়ে কাজ করে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হেসেনের উত্তরাঞ্চলে আর তারো উপরে লোয়ার স্যাক্সনীতে দেশী বিদেশী শ্রমিকরা মেজরিটি। তারপরে মধ্যবিত্ত। এইখানে এসপিডি আর গ্রীনের মরাল সাপোর্ট বেশী। এসপিডি ধরা খাইছে শ্রোয়েডারের আমলের এজেন্ডা ২০১০ এর কারণে। দক্ষিণে সিডিইউর সাপোর্ট বেইজ হইলো অবস্থাপন্ন কৃষকরা আর ইন্ডাস্ট্রীমালিকরা। দক্ষিণের দুইটা প্রদেশ থিকা সিডিইউরে সরানো আপাতত নামুমকিন।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে সৌদি আর সুদানের ঘটনা নিয়ে লেখা।
এ নিয়ে লেখার পরিকল্পনা ছিলো আমার কয়েকদিন আগে, কিন্তু মহার্ঘ আলস্য বরাবরের মতোই জয়ী হয়েছে।
সুদানের ঘটনা নিয়ে মুসলমানদের প্রতিবাদের তিনটি ছবি দেখুন।
এক.
দুই.
তিন.
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ ।
আলস্যের কারনে আমিও ভোখেনব্লাটে এক সপ্তাহ পিছিয়ে আছি ।
আর ভালো কথা । ছবিগুলো দেখতে পারছি না
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমারই ভুল হয়েছিল। এবার দেখতে পাবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ব্রিটেনের পরিবেশ ঠিক কন্টিনেন্টাল ইওরোপের মতো না । ওখানকার সোসাইটি পুরোটাই মাল্টিকালচারাল । ভিন্ন সংস্কৃতি চেখে দেখার ইচ্ছা তাদের আছে পুরোপুরিই । ইন্টেগ্রেশন যে একটা টু-ওয়ে রোডট্রিপ সেটা তারা অনেক আগেই বুঝে নিয়ে সেইমতো এগিয়েছে। একারনে ইমিগ্র্যান্ট সোসাইটি ওখানে অনেক ভালো করে ইন্টেগ্রেটেড । সমাজের সব স্তরেই ইমিগ্র্যান্ট খুজে পাওয়া যায় ওখানে ।
চার্চ কিনে মসজিদ বানানো নিয়ে জার্মানিতে কয়েকদিন আগে একটা ঝামেলা হয়েছিলো । সম্ভবত ক্যোলনের কোন এক কেউকেটা পাদ্রি মুসলমানদের চার্চ হস্তান্তরে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন । বলাবাহুল্য অন্য ধর্মের ব্যাপারে তার আপত্তি ছিলো না । এই নিউজটার সোর্স হারিয়ে ফেলায় এখানে দেয়া গেলো না । পরে পেলে কোনসময় দেবো ।
জানো বোধহয়, লন্ডনের ব্রিকলেনে বাঙ্গালিদের পুরনো জামে মসজিদটা এক সময় চ্যাপেল তারপরে সিনাগগ ছিলো । যদ্দুর জানি চার্চ থেকে সিনাগগ বা সিনাগগ থেকে মসজিদে রূপ নিতে ওখানে কারোরই গাত্রদাহ হয়নি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জঙ্গলে যামুগা ভাবতাসি। এইসব সভ্যতা আর ভাল লাগে না।
জঙ্গলে গেলে আরোও বিপদ । কিছুদিন পর জঙ্গলের আশে পাশের জনবসতি আপনেরে দয়াল বাবা ভাইবা খাতির যত্ন করতে জঙ্গলে হানা দেবে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এখন বিদেশ নিয়ে দেশীয় এসব লেখা হাস্যকর লাগে ।
সর্বাংশে একমত। আমাদের লেখকরা বিদেশে ঘুরে গিয়ে প্রায়শই অতি গ্রাম্য ধরনের লেখা লেখেন। তার সঙ্গে সত্য বা বাস্তবের মিল না থকলো তো কী এসে গেলো! অসংখ্য গল্প-উপন্যাসের নাম করতে পারি যেখানে এইসব দেখেছি।
ভালো কথা, আমি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে উঠেছি। আগের কিস্তিটাও পড়েছিলাম এক ফাঁকে, মন্তব্য লেখা হয়নি। লিখে যান, পড়ছি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সবার লেখাতে আমি এক ধরনের সমাজ দর্শনের অভাব পাই । বছর সাতেক আগে তানভীর মোকাম্মেলের একটা লেখা পড়েছিলাম ইউরোপ ভ্রমন নিয়ে । সেখানে তিনি প্রাক্তন কলোনিয়াল মাস্টার ইংল্যান্ডের দুরবস্থা দেখে আফসোস করেছেন । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাস্তবতা হলো এই যে এই ইংল্যান্ডই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অন্যান্য ধনী প্রতিবেশীদের তুলনায় এগিয়ে । লন্ডন এখন ওয়াল স্ট্রিটের সাথে পাল্লা দেয় । বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি নেবার কারনে জার্মানি ফ্রান্সের মতো জনশক্তি ঘাটতিতেও এরা পড়বে না । অপেক্ষাকৃত ভালো ইন্টেগ্রেশনের কারনে সামাজিক সমস্যাতেও তাদের ঝুকি কম বলেই মনে হয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তালাল আসাদের Formation of the Secular নামে একটা পুস্তক আছে যেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে, য়ুরোপ একটা ধর্মীয় আইডেন্টিটি ধারণ করতে যাচ্ছে। যে কারণে ইইউ-তে টার্কির জায়গা হয় না, বসনিয়ায় নির্বিচার মুসলিম নিধন চলে। হাসিবের অভিজ্ঞতা যেন সেই বয়ানকেই আবার প্রমাণ করল।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
- EUতে তুরস্কের জায়গা না হবার পেছনে ধর্ম কতটা দায়ী? তুরস্ক তো ধর্মনিরপেক্ষ দেশ - তাছাড়া যথেষ্ট উদারচেতা ও মুক্ত সংস্কৃতি ওদের। তবে এখনো ওখানেও রক্ষণশীল সমাজ আছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ভালো কথা মনে করেছেন । তুরস্ক নিয়ে লেখার ইচ্ছা জাগলো ।
ইইউতে তুরস্কের জায়গা না হবার একটা বড় কারন ধর্ম । আর কাগজে কলমে ধর্মনিরপেক্ষ হলেও সেখানে ব্যাপক রকমের গোড়ামি বিদ্যমান । মুম্বাই দেখে যেমন পুরো ভারতের কথা আন্দাজ করা শক্ত তেমনি আংকারা দেখেও পুরো তুরস্কের কথা অনুমান করাটা কঠিন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কাগজে কলমে তো ধর্মকে দায়ী করছে না কেউ, না ইইউ, না অন্য কেউ। দায়ী করছে ইকোনমিকে। কিন্তু টার্কি-র চেয়েও দুর্বল ইকোনমি (যেমন গ্রিস) ইইউ-তে ঢুকে পড়ছে অবলীলায়, টার্কির ক্ষেত্রেই যত সমস্যা। এসব বিচার বিবেচনা কৈরা তালাল আসাদ সাহেব এই সিদ্ধান্ত নিলেন যে আসলে খৃস্টান ধর্মই হৈতেছে ইইউ-র গেটপাস। গোটা য়ুরোপকে একটা খৃস্টীয় পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টাই ইইউ করতেছে বৈলা তিনি মনে করেন।
টার্কি খুব উদারচেতা ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ সেটা ভাবার খুব কারণ নাই। হৈতে পারে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সে তুলনামূলকভাবে লিবারাল, কিন্তু সেখানেও নানান গোঁড়ামি ও মৌলবাদ রয়ে গেছে। আজকের যে হিযবুত তাহরীর এর নাম শোনা যাইতেছে, তার উত্পত্তি টার্কিতেই। তাছাড়া টার্কিতে ঘটে যাওয়া আর্মেনীয় গণহত্যা নিয়া কথা কৈতে গিয়ে ওরহান পামুক কেমন বিপদে পড়ছিলেন সেই খবর এখনো বাসি হয় নাই।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
এই গণহত্যার ব্যাপারে তুরস্কের চিন্তা ভাবনা পুরোটাই বর্বোরোচিত। তুরস্কের এশিয়ার বর্ডারের জায়গাগুলো এখনও পাথর ছুড়ে মানুষ মারার ঘটনা ঘটে । এইসব গোড়ামি সারফেসে আসে । কিন্তু লোকাল পলিটিকাল ফিগাররা যেভাবে তুরস্ক আসলে ইওরোপ খৃষ্টানত্ব হারাবে বলে যে বিষোদগার করে সেটা মূলস্রোত মিডিয়ার আড়ালেই থাকে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কিন্তু বাস্তবে, বিষেদাগার যদি সামনে না আসে তাহলে আর কেন সেকুলার হবে না? আমি আড়ালে তো যত খুশী সমালোচনা করতে পারি, কিন্তু রাষ্ট্র মারফত কিছু না করলেই হল। ব্যক্তিগত বায়াস চলে যেতে এখনো কয়েক শতক দেরি আছে।
আর গ্রিসের মাথাপিছু আয় ৩৩০০০ ডলার (সূত্র - উইকি) যেখানে তুরস্কের ৯০০০ ডলার, কিভাবে তুরস্কের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে?
আমি ইউরোব্যারোমিটারের সার্ভের কথা বলি - এই একই টপিকে। মাত্র ২৯% তুর্কী ই-ইউ সংবিধান সমর্থন করছেন আর ৩৫% তুর্কী ট্রাস্ট করছেন ই-ইউ কে। আমার তো মনে হয় তুর্কী জনগণও ই-ইউতে আসতে খুব একটা ইচ্ছুক নন।
সূত্র - উইকি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ব্যক্তিগত বায়াস থাকবেই । রাষ্ট্রিয় বায়াসের কথাই বলছিলাম আমি । এই বিষয়ে একটা বিস্তারিত পোস্ট দেবার ইচ্ছা রাখি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব,
আপনার নাম নিয়ে অভিজ্ঞতা খুবই ইন্টারেস্টিং লাগলো। আমার ধারণা পুরা কন্টিনেন্ট (ইংল্যান্ড সহ) আরো ডানের দিকে যাবে আগামী ২০-২৫ বছরে। সেইটার আবার পুশব্যাক আসবে কন্টিনেন্টের কোটি মুসলিম থেকে। ভ্যাজাল বাড়বে বৈ কমবে না।
ইউকে-কে যতটা উদার ভেবেছেন, ততটা না (যদিও কন্টিনেন্টের থেকে নিঃসন্দেহে ভাল)। সারফেসের নীচে অনেক টেনশন লুক্কায়িত। দুই মাস আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম ইউরেবিয়া শিরোনামে - হয়তো আরেকটু খোলাসা হবে। লিঙ্ক নীচে --
http://www.sachalayatan.com/shubinoymustofi/8829
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নামের প্লাস চিন্হটা নিয়ে আমাকেও খোঁজ নিতে হবে। সেভাবে খেয়াল করি নাই। ভিসা হবে কি না সেই টেনশনে এতোটাই কুঁচকে থাকি যে প্লাস-মাইনাস নিয়ে মাথা ঘামানোর অবকাশ নাই।
এটা ঠিক করা যায় । তবে সেজন্য বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে বিস্তর দেনদরবার করতে হয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
উইকি হাতের নাগালে আছে সত্য, কিন্তু মুশকিল হল, কোন্ তথ্য কোন্ কাজে লাগবে সেটা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। Per capita নয়, যখন রাষ্ট্রগুলো ইইউ-তে অন্তর্ভূক্ত হয়, তখন ঐ রাষ্ট্রের ইকনমির টোটাল সাইজটাই ম্যাটার করে। সেই হিসাবে টার্কি গ্রিসের প্রায় দ্বিগুণ আকারের ইকনমি। উইকি-র সূত্র অনুযায়ী।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কয়টা বাজে এখন?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আমি তো হায়দ্রাবাদে বসে, আমার এখানে বাজে বিকাল ৪টে ২০। ই-ইউ তে ঢোকার ব্যাপার নিয়ে একটু সময় করে এটা পড়ে দেখুন। একে বলে একুইস - সরকারি ভাবে কোনো রাষ্ট্র যদি ই-ইউতে যোগদান করতে চায় তাহলে তাকে কি কি কমপ্লাই করতে হবে তার একটা লিস্ট।
আর দেখুন এখানে তুরস্কের ক্ষেত্রে এই প্যারামিটার গুলোর অবস্থা কোথায়। এই কারণেই তুরস্ক ই-ইউ তে নেই। এটাই সহজ ধারণা। ব্যক্তিগত বায়াস ম্যাটার করে বলে আমার তো মনে হয় না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আপনার লিংক দুইটা তালাল আসাদকে ফরোয়ার্ড করতেছি খাড়ান। অত্ত বড় স্কলার, অথচ এত "সহজ" জিনিসটা ব্যাটা বুঝল না!! আর এই ফাঁকে আপনিও সময় কৈরা তার লেখা Formation of the Secular বইটা পইড়া ফালান।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
উনি বড় স্কলার হলে কি হবে, উনিও ব্যক্তিগত বায়াসের উর্দ্ধে নন। তাই উনি ওনার মত করে এন্টি-সেকুলারিসমকে উপস্থাপনা করেছেন। তবে বইটা পইড়্যা ফেলামু - পাইলেই হয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঠিকাছে। লন এক কাপ চা খান!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আঃ, শান্তি ইইইইইইইই !! মন জুড়াইল !!
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কি চমৎকার একটা লেখা!!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
বেশ আলোচনা হয়ে গেছে এটাকে ঘিরে । আর নাই বাড়ালাম এবার ।
শুধু সবিন্যে জানাই- এইপর্বের ও প্রথম দিকের আগ্রহী পাঠক ছিলাম
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন