সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্মানের নাম কি ? এই প্রশ্নটার উত্তর কঠিন । জাতি হিসেবে জার্মানরা পৃথিবীর ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে অনেক ভূমিকায় ছিলো এবং এখনো আছে । তর্ক সমাধানের দিকে না গিয়ে খুব সহজে দু'টো নাম আলাদা করা যায় - নাম আলাদা করা যায়, যেমন মার্টিন লুথার, কার্ল মার্ক্স । দুইজন দুইপ্রান্তের মানুষ হলেও এদের মধ্যে একটা মিল আছে । মিলটা হলো এরা দু'জনেই বিপ্লবী । মার্টিন লুথার এখনও বহাল তবিয়তে আছেন । মার্ক্সের অবস্থা পরাজিত পক্ষের নেতার মতো ।
তো ধর্মকর্ম ভালো পাইনা বলে আমার কাছে মার্ক্স বুড়োই আগ্রহের বিষয় । জার্মানিতে পা দেয়ার অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো মার্ক্সের শহরে যাবো । এই পরিকল্পনাটা বাস্তবে রূপ দেয়াটা জার্মানির দক্ষিনে বাস করা কারো পক্ষে একটু ঝামেলার । কারন মার্ক্সের জন্মশহর ট্রিয়ার একটু বেজায়গায় অবস্থিত । দুরপাল্লার দ্রুতগতির ট্রেন ঐদিক মাড়ায় না । দিনে গিয়ে ঐদিনই ফেরত আসতে যথেষ্ট দৌড়ানির দরকার পড়ে ।
ট্রিয়ার শহরটা জার্মানির প্রাচীনতম শহর । বয়স ২ হাজার বছরের কিছু বেশি । জার্মানি আর্চবিশপ ইলেকটোরালরা (মানে যারা আর্চবিশপ নির্বাচন করতো) এই শহরে বাস করতো । এখনও শহরে ঘুরতে বেরোলে পেল্লায় সাইজের সব প্রাচীন চার্চ, নান-প্রিস্ট আকছার চোখে পড়ে । মার্ক্সের চিন্তা মাথায় নিয়ে শহরে পা দিলে এই বিষয়টা একটু অস্বস্তি জন্ম দিতে পারে ।
মার্ক্সের জন্ম এই শহরে ১৮১৮ সালে । যৌবনে বন, ব্রাসেলস প্যারিস শহরে কিছুদিন বাস করার পর পাকাপাকিভাবে মার্ক্স ট্রিয়ার ছাড়েন ১৮৪৯ সালের দিকে । মালিকানা বদলের পর নানাহাত ঘোরার পর ১৯২৮ সালে বাড়িটা জার্মান বামপন্হী দল এসপিডি কিনে নেয় । তবে সেটা বেশিদিন থাকেনি তাদের কব্জায় । নাৎসি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িটা বাজেয়াপ্ত হয়ে সেটা একটা প্রেসে রূপ নেয় । নাৎসি জার্মানদের তত্ত্বাবধানে ঐ বাড়ি থেকে কি ছাপা হতো সেটা একটা আগ্রহউদ্দিপক বিষয় হতে পারে অনেকের কাছেই । নাৎসিদের পর আবারো বাড়িটা এসপিডির হাতে আসে । এই মুহুর্তে এসপিডির নিয়ন্ত্রনে একটা জাদুঘর হিসেবে আছে বাড়িটা ।
মেইন স্টেশন থেকে মার্ক্সের বাড়িটা হাটাদুরত্বে । শহরের কেন্দ্রের চার্চপাড়া থেকে সোজা নদীর দিকে হাটা দিলে ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা । চাচীমতোন একজনকে জিজ্ঞেস করে ঠিক রাস্তা ধরে বাড়িটা খুঁজে বের করা গেলো খুব সহজে । দেখতে আহামরি কিছু না । সাধারণমানের তেতলা বাড়ি । বঙ্গদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিরা যেমন সবাই সভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তেমনটা কপাল মার্ক্সের ছিলো না এটা প্রথম দর্শনেই বোঝা যায় ।
ছবি - কার্ল মার্ক্সের বাড়ি
বাড়িতে ঢোকার মুখে দেখলাম সময়সূচী টাঙানো । ইংরেজি, জার্মান আর চায়নিজ ভাষায় ! চায়নিজ দর্শকের সংখ্যার আধিক্য সম্ভবত এটার কারন । দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে বুঝলাম জাদুঘর (মিউজিয়ামের বাংলা জাদুঘর কেন ? মার্ক্সের বাড়িতে জাদু দেখবো আমরা গিয়ে ? এই প্রশ্নটা তখন মাথায় এসেছিলো । শেয়ার করলাম ।) দেখতে টাকা লাগবে । মার্ক্সরে বাঁচাতেও পুঁজির দরকার এটা বুঝলাম ।
দরজার সাথে লাগানো রিসেপশনে বসা চাচির কাছে টিকেট কিনে ঢুকে পড়লাম বাসায় । বাসাটা তিনতলা । বেশ কয়েকবার হাতবদল আর রিনোভেশনে ঐটা যে কারো বাস করার জায়গা ছিলো সেটা বোঝার উপায় নেই । বাড়িতে কোন আসবাব বা ব্যবহার্য জিনিসও নেই । নাৎসিরা সব ঝেড়ে পুছে পরিস্কার করে ফেলেছে । এরপর মার্ক্স নিজে বাসার ভেতরের কোন ছবিও তুলে/আঁকিয়ে রাখেননি যে বোঝা যাবে সেখানকার চেহারাটা আদতে কী ছিলো । দেয়াল জুড়ে ডিসপ্লেতে মার্ক্স সম্বন্ধে উদ্ধৃতি, মার্ক্সের তত্ত্ব ইত্যাদি লেখা ।
ট্রিয়ারে কার্ল মার্ক্সের বাড়ি দেখতে যাবো এই ইচ্ছা অনেকের কাছে অনেক বছর ধরে বলেছি । তাদের সবার জন্য পুরো বাড়িটার একটা ভিডিও তুলে এনেছি । বাড়িটার ভেতরের বর্তমান চেহারাটা আশা করি বোঝা যাবে ।
ভিডিও ১ - দ্বিতীয় তলা
ভিডিও ২ - দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় তলা
ভিডিও ৩ - তৃতীয় তলা থেকে নীচতলা ।
সোভিয়েত পরবর্তী দুনিয়াতে মার্ক্সের অবস্থা অনেক জায়গাতেই ভাসুরের নামের মতো । জার্মানিতে আগে একটা শহর ছিলো মার্ক্সের নামে । দুই জার্মানি এক হবার পরে সেই শহরের নাম থেকে মার্ক্স হটে গেছে । এদের ধর্মীয় গুরু মার্টিন লুথারের নাম অবশ্য এখনও বহাল তবিয়তে তার জন্মশহরের নামের সাথে আছে ।
ছবি - কার্ল মার্ক্স স্ট্রাসে, ট্রিয়ার ।
ট্রিয়ার শহরে মার্ক্সের বাসাটা যেই রাস্তায় সেখানকার নাম আগের মতোই রাখা আছে । চার্চপাড়ার দিক থেকে ঐ রাস্তায় যাবার রাস্তাটার বদলে নগর কর্তৃপক্ষ মার্ক্সের বাসা থেকে নদীর দিকে যেই রাস্তাটা গেছে সেইটার নাম রেখেছেন কার্ল মার্ক্স স্ট্রাসে । ফেরার ট্রেনে ওঠার সময় ভাবছিলাম এইটা একদিক থেকে ভালো । মার্ক্স স্ট্রাসে চার্চের বদলে অন্তত নদীতে নিয়ে যাক পথিকরে ।
টুকিটাকি -
- ট্রিয়ার শহরটা জার্মানির পশ্চিম সীমান্ত এলাকার একটা শহর । ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ও লুক্সেমবুর্গ থেকে ৫০ কি.মি. পূর্বে এই শহরটা অবস্থিত ।
- কার্ল মার্ক্সের বাসার ঠিকানা হলো Brückenstraße 10 । মেইন স্টেশন থেকে হাটা দুরত্বে । ট্রেনে থেকে নেমে চার্চের চুড়াগুলো তাক করে প্রথমে চার্চ পাড়ায় যেতে হবে । এরপর কাউকে জিজ্ঞেস করলেই হবে । মার্ক্সের বাসা ট্রিয়ারে পরিচিত জায়গা ।
- গরিবী ক্যামেরায় মার্ক্সের বাসার ভেতরের ছবি ভালো আসেনি । ফ্লিকারে দেখতে পারেন অন্যদের তোলা ভালো কিছু ছবি ।
৫ | লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শনি, ০৩/০৪/২০১০ - ৫:৪৯পূর্বাহ্ন)
- হাসিব্বাই, জুয়েল আইচের বাড়ি গেলে যাদু দেখার সম্ভাবনা থাকলেও মার্কসের বাড়িতে যাদু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ! কারণ সেটা যাদুঘর না, জাদুঘর।
সাকুল্যে দুইবার যাওয়া হয়েছে ট্রিয়ার, একবারো সুযোগ মেলেনি। লুক্সেমবুর্গ গেলাম, কিন্তু মার্কসের বাড়িতে যাওয়া হলো না, আফসোস লাগে।
আরেকটা মজার জিনিষ খেয়াল করছেন? পশ্চিমে জন্ম নেয়া মার্কসের দর্শন আঁকড়ে ধরলো পুবের বাসিন্দারা। পশ্চিমে মার্কস কোনো দামই পেলেন না। শালারা বাড়ির কাছে আরশী নগর দেখলো না, পড়শীর বসতও দেখলো না।
দেখি, প্ল্যান কর্তে হইবো শীঘ্রই ট্রিয়ার যাওয়ার।
আপনে কি একলাই গেছিলেন নাকি পুর্ব ইয়োরোপিয় কেউ সাথে আছিলো! আর আপনে এতো ভাষা থাকতে ঐখানেও চৈনিক ভাষা খুঁইজা পাইলেন! চীন্দেশ দেখি আপনেরে ছাড়ে না!
___________ চাপা মারা চলিবে কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
পশ্চিমারা মার্ক্স একদম ছাড়ছে কিনা বলা মুশকিল । জার্মানিতে বছর দশেক আগে একটা জরিপ হৈছিলো শ্রেষ্ঠ জার্মান কে এই বিষয়ে । লিস্টিতে প্রথম দশজনের মধ্যে মার্ক্স আছিলো । ইউকেতেও একই অবস্থা । তবে জরীপটা যদি শুধুমাত্র আম্রিকান টিভি দেখা নতুন জেনারেশনের ওপর করা হয় তাহলে সেটার ফল কি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না ।
নেক্সট টাইম গেলে আওয়াজ দিও । আবারও যাবার ইচ্ছা আছে ।
ধুগোদা, সমপূর্ন অফটপিক প্রশ্নঃ আপনি মন্তব্য করেন, কিন্তু আপনাকে অনলাইনে দেখা যায় না কেন? গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। এভাবে অদৃশ্য মানব হয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারটা তো আমার কাছে ভৌতিক মনে হচ্ছে!! কাহিনী কি?
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
১৬ | লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শনি, ০৩/০৪/২০১০ - ৮:৫৭অপরাহ্ন)
- নিজের বাড়ি ফিরাই নিজের গলা যোগ করে দিতেন। আমরা শুনতাম, জনৈক হাসুবক্সমৃধার ধারাভাষ্য, হযরত মার্ক্স আল ট্রিয়ারপুরী ছাহেবের আশ্রমের উপর।
___________ চাপা মারা চলিবে কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ব্রেখট, রেমার্ক, গুটেনবার্গ, শুমাখার, শিন্ডলার - অনেকগুলো নাম মনে পড়লো- বিখ্যাত জার্মানদের। আমার এক জার্মান ক্লাসমেটকে ধরলে সে অবশ্য তোতাপাখির বুলি শুরু করতো মার্লিন ডিয়েট্রিচ, ক্লডিয়া শিফার -- -- যে যুগের যে ভাও
আচ্ছা, হিটলারকে "প্রভাবশালী" হিসেবে মানে জার্মানরা? যে কোনো অর্থেই হোক? আর মার্ক্সের বাড়ি নিয়ে আগ্রহ থাকাটাতে একটু বুর্জোয়া গন্ধ পায়না ?নাকি ব্যক্তিপূজা অ্যালাউড এবং অ্যাকসেপ্টেড এখনকার প্রজন্মের কাছে? এটা জানতে চাইছি বর্তমানে মার্ক্সিয় দর্শনের বেহাল অবস্থা তার নিজের দেশে দেখে। এটি ব্যক্তিগত কৌতূহল।
যুগের হাওয়া বিষয় ঐ ভাসুরের নামের কথা মনে করতে পারেন । কমিউনিস্ট সরকারগুলোর যাবতীয় কুকর্মের সাথে মূল ভাবধারার কারিগরদের মিলিয়ে ফেলে তুলোধুনো করাটা ফ্যাশনের পর্যায়ে চলে গেছে । তবে মার্ক্স যে গুরুত্বপূর্ন এটা এখানে মানে অনেকেই । ২০০০ সালের দিকে একটা জরীপ হয়েছিলো কে সর্বশ্রেষ্ঠ জার্মান এই বিষয়ে । জরীপে যদ্দুর মনে পড়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ছিলো কার্ল মার্ক্স । তবে জরীপে শুধু নতুন প্রজন্ম থাকলে সেটা কি হতো সেটা বলাইবাহুল্য । এ্যামেরিকান সংস্কৃতিতে অবসেসড নতুন প্রজন্ম ওদের মতোই ভাবতে শিখছে মনে হয় ।
এ প্রসঙ্গে আরো একটা নোট । আমি এক পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্টের কাছে একদিন আক্ষেপ করে বলছিলাম আমি কোন জার্মান মার্ক্সিস্টকে চিনি না । তো তিনিও বললেন তিনি এখনও পর্যন্ত কাউকে দেখেননি যে মার্ক্সিস্ট । মার্ক্সের তত্ত্বের পর অনেকগুলো বছর পেরিয়েছে এবং এর মধ্যে কর্মপন্থা নিয়ে অনেকগুলো মত এসেও গেছে । এই মুহুর্তে মৌলমার্ক্সিস্ট হওয়াটা এককথায় অসম্ভব । এটা তাঁর মত ছিলো ।
হিটলারকে "প্রভাবশালী" হিসেবে মানে জার্মানরা?
একটা বিষয় হলো প্রভাবশালী । আরেকটা হলো বিখ্যাত । ক্লডিয়া শিফার বিখ্যাত কিন্তু প্রভাবশালী নন । মার্ক্স বিখ্যাত ও প্রভাবশালী দুটোই । দর্শনের আলোচনায় মার্ক্স এড়ানোর উপায় নাই । বামপন্থীরাও মার্ক্সের দর্শনের মূল্য দেয় । সেই অর্থে মার্ক্সের প্রভাব জার্মানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে অনেক বেশী । এবং এই প্রভাবটা জার্মানির বাইরে পুরো পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে । আমি আরেকটা নাম যেটা বলেছি তার প্রভাবও পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে । তবে সেটা মারফতি লাইনে ।
আর হিটলারকে এরা বিখ্যাত নয় কুখ্যাত হিসেবে দেখে । হিটলারকে ভালো পায় হাতে গোনা গুটিকয় মানুষ । গোনার মধ্যে আসে না ওরা । মোটাদাগে জার্মান জাতি তাদের আগের সেই কলুষিত অতীত পেছনে ফেলে এসেছে এটা আমার পর্যবেক্ষন ।
এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কার কাছে কি প্রসঙ্গে মার্ক্সের কথা পাড়ছেন । মার্ক্সের বাড়ি খুঁজতে আমি কোন বেমক্কা প্রশ্নের মুখে পড়িনি । তবে নতুন প্রজন্মের কাছে এই প্রসঙ্গে একটা নিস্পৃহ ভাব লক্ষ্য করেছি ।
নাকি ব্যক্তিপূজা অ্যালাউড এবং অ্যাকসেপ্টেড এখনকার প্রজন্মের কাছে?
ব্যক্তিপূজা কিছু মাত্রায় সবদেশেই আছে । তবে জার্মানিতে সেলিব্রেটি কালচারের প্রকোপ একটু কম মনে হয় । এরা জাতিগতভাবে অনাড়ম্বর । কালচারাল স্টাডিজে যেটাকে পাওয়ার ডিস্ট্যান্স বলা হয় সেটা এখানে খুব কম । মানে এখানে শহরের মেয়র আর দিনমজুর এক বাসে পাশাপাশি বাসে দাড়িয়ে সকালে দাড়িয়ে অফিসে যাচ্ছে এটা দেখা যায় ।
মন্তব্যের মাধ্যমে কিছু কথা বলার সুযোগ তৈরীর জন্য বিশেষ ধন্যবাদ ।
মন্তব্য
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
থেঙ্কু ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
পৃথিমীর কয়েকজন মানুষের প্রেমে আমি পড়েছি। মার্কস তাঁদের একজন।
ভিডিও দেখে খুব ভাল্লাগলো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- হাসিব্বাই, জুয়েল আইচের বাড়ি গেলে যাদু দেখার সম্ভাবনা থাকলেও মার্কসের বাড়িতে যাদু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ! কারণ সেটা যাদুঘর না, জাদুঘর।
সাকুল্যে দুইবার যাওয়া হয়েছে ট্রিয়ার, একবারো সুযোগ মেলেনি। লুক্সেমবুর্গ গেলাম, কিন্তু মার্কসের বাড়িতে যাওয়া হলো না, আফসোস লাগে।
আরেকটা মজার জিনিষ খেয়াল করছেন? পশ্চিমে জন্ম নেয়া মার্কসের দর্শন আঁকড়ে ধরলো পুবের বাসিন্দারা। পশ্চিমে মার্কস কোনো দামই পেলেন না। শালারা বাড়ির কাছে আরশী নগর দেখলো না, পড়শীর বসতও দেখলো না।
দেখি, প্ল্যান কর্তে হইবো শীঘ্রই ট্রিয়ার যাওয়ার।
আপনে কি একলাই গেছিলেন নাকি পুর্ব ইয়োরোপিয় কেউ সাথে আছিলো! আর আপনে এতো ভাষা থাকতে ঐখানেও চৈনিক ভাষা খুঁইজা পাইলেন! চীন্দেশ দেখি আপনেরে ছাড়ে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- যামু তো বটেই। কাসলেপুরী হুজুরেরাই তো যতো হেজিমোনি করে। পেট নিয়া নড়তে পারে না একেকজন! ছুটি পাইলেই খালি ঘুমায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, সমপূর্ন অফটপিক প্রশ্নঃ আপনি মন্তব্য করেন, কিন্তু আপনাকে অনলাইনে দেখা যায় না কেন? গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। এভাবে অদৃশ্য মানব হয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারটা তো আমার কাছে ভৌতিক মনে হচ্ছে!! কাহিনী কি?
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
- এইবার খুশ মুগাম্বো?
ভৌতিক থেকে লৌকিকে চলে এলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুকরিয়া মিঃ ইন্ডিয়া!
=========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
অফ টপিকঃ কারো কাছে কি গোর্কির 'দ্যা মাদার' এর পিডিএফ আছে?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
এখানে দেখতে পারেন।
অবশ্য প্লেইন টেক্সট এ আছে। পিডি এফ করে নেওয়া যাবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ অনেক ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ভিডিওর সাথে হালকা কমেন্ট্রি দিতে পারতেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আইডিয়াটা মাথায় ছিলো । তবে বাড়ির গুরুগম্ভির পরিবেশে নিজের গলা ব্যাপক বেখাপ্পা লাগতো বলে ঐ পথে আগাইনাই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- নিজের বাড়ি ফিরাই নিজের গলা যোগ করে দিতেন। আমরা শুনতাম, জনৈক হাসুবক্সমৃধার ধারাভাষ্য, হযরত মার্ক্স আল ট্রিয়ারপুরী ছাহেবের আশ্রমের উপর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জার্মানী যাইতে মঞ্চায়। জার্মানীর যেই ছবিই দেখি, মনে হয় যেন সিনেমার সেট।
হ । জিনিসপাতি কিভাবে সাজায় গোছায় রাখতে হবে সেইটা জার্মান আর সুইসদের কাছে সবার শেখা উচিৎ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জানিনা কোনদিন এই মহান মনিষীর জন্মস্থানে যাবার সৌভাগ্য হবে কিনা।
কিন্তু আপনার ওছিলায় দেখার সুযোগ হল।
অনেক ধন্যবাদ হাসিব ভাই।
এদিকে আইলে আওয়াজ দিয়েন । নিয়া যামুনে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কাসেলবাসিদের পেট নিয়ে অবজারভেশন ঠিকাছে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্রেখট, রেমার্ক, গুটেনবার্গ, শুমাখার, শিন্ডলার - অনেকগুলো নাম মনে পড়লো- বিখ্যাত জার্মানদের। আমার এক জার্মান ক্লাসমেটকে ধরলে সে অবশ্য তোতাপাখির বুলি শুরু করতো মার্লিন ডিয়েট্রিচ, ক্লডিয়া শিফার -- -- যে যুগের যে ভাও
আচ্ছা, হিটলারকে "প্রভাবশালী" হিসেবে মানে জার্মানরা? যে কোনো অর্থেই হোক? আর মার্ক্সের বাড়ি নিয়ে আগ্রহ থাকাটাতে একটু বুর্জোয়া গন্ধ পায়না ?নাকি ব্যক্তিপূজা অ্যালাউড এবং অ্যাকসেপ্টেড এখনকার প্রজন্মের কাছে? এটা জানতে চাইছি বর্তমানে মার্ক্সিয় দর্শনের বেহাল অবস্থা তার নিজের দেশে দেখে। এটি ব্যক্তিগত কৌতূহল।
মন্তব্যের মাধ্যমে কিছু কথা বলার সুযোগ তৈরীর জন্য বিশেষ ধন্যবাদ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখা আর এই কমেন্ট দুইটাই ভাল্লাগছে...
তরুন জার্মানদের মার্ক্স বিষয়ে নিস্পৃহতা আমিও দেখেছি। মার্কিন দেশে যেগুলো আসে অন্তত সেগুলোর মধ্যে। আপনার লেখা পড়ে দেখলাম জার্মান মুল্লুকেও তাই।
তবে মার্ক্স এখনো রিলেভেন্ট দুনিয়াজোড়া। হয়ত আবারো উত্থান হবে এর সামনের দিনে, কাপড়ের ফ্যাশনের মত মানুষের আদর্শেরও বদল হয় বিশ্বব্যাপী।
...আমারো একই ধারনা।
ক্রাইম আর উচিত পানিশমেন্টের মাধ্যমে মানুষের মূল্যবোধ শুধরানো যায়।
ধন্যবাদ
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মার্ক্সের সম্বন্ধে নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরে ভাল লাগল। সাথে সাথে বাড়িটাও দেখতে পেলাম, সেজন্যও ধন্যবাদ হাসিব ভাইকে।
মার্ক্সের বাড়িটা দ্রষ্টব্য কেন?
- দোস্ত, সাথে চৈনিক কিংবা পুর্ব ইউরোপিয় ললনা থাকলে মার্ক্সের বাড়ি ক্যান, আমার বাড়ি দেখতেও তোর ভালো লাগবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইখানে মার্ক্স থাকতো । এইটাই । এর বেশি কিছু না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখা, ভিডিও আর ছবিগুলো দেখে বাড়িটার খুব ভাল একটা ধারনা পাওয়া গেল। মার্ক্সের বাড়িটা ঘুড়িয়ে দেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
----------------
তৌফিক হাসান
ইন্টারেস্টিং! সুযোগ পেলে আমিও যেতাম।
মার্টিন লুথারের বাড়ি কি কাছে আপনার? সেটা আরেকটা ইন্টারেস্টিং দর্শন হবে মনে হয়।
ভাল লেগেছে। পরের বার কমেন্ট্রি এড করে দিতে পারেন - আপনার বর্ণনা থেকে শুনে দেখে নেয়াটা অনেক কাছের হবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
নতুন মন্তব্য করুন