পরিশিষ্ট ১ - খসড়া যৌন নিপীড়ন বিরোধী প্রস্তাবনা

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ১৯/০৪/২০১০ - ৮:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল পোস্ট এখানে

আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন, বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী-পুরুষ, শিশু বৃদ্ধ দিনরাত অতিবাহিত করেন। জীবন ধারণের নু্যনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের জন্য প্রাণাতিপাত এবং সেইসঙ্গে অপমান ও নিরাপত্তাহীনতা এই নিয়েই বেশিরভাগ মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়।

এগুলোর বিরুদ্ধে মানুষ লড়াইও করেছেন, করছেন বিভিন্নভাবে: ব্যক্তিগতভাবে, সমষ্টিগতভাবে। এই লড়াইয়ের ফলাফল হিসেবেই বিভিন্ন দেশে আগের তুলনায় আইনগতভাবে অনেক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সামাজিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণে এসব অধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি তবে তা নি:সন্দেহে মানুষের লড়াইয়ের ক্ষেত্রকে অনেক জোরদার করেছে।

অনেকরকম নিপীড়নের মধ্যে গুরুতর একটি হচেছ যৌন নিপীড়ন, যার শিকার আমাদের সমাজে বিশেষভাবে নারী। বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন শ্রেণীর নারী এই নিপীড়নে বিপর্যস্ত। পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নিয়মাবলী, মতাদর্শ, বৈষম্যমূলক আইন, দৃষ্টিভঙ্গী ইত্যাদি এই নিপীড়নকে সহায়তা করে।

গত দুদশকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে, শ্রমিক হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। এই বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে, যার কিছু কিছু এখন সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হচ্ছে।

আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য করি যে, নিপীড়নের একটি বিশেষ ধরন হিসেবে যৌন নিপীড়ন ব্যাপকমাত্রায় জারী থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের হাজারো রকমের আইন কানুন, নীতিমালা থাকলেও নির্দিষ্টভাবে যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা বা আইনকানুন নেই। এরফলে যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন যা

  • একজন ব্যক্তিকে চিরজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করে,
  • তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে,
  • তাঁর উপর স্থায়ী মানসিক চাপ সৃষ্টি করে,
  • তাঁর আত্নবিশ্বাস বা আত্নপ্রত্যয়ে হানি ঘটায়,
  • শিক্ষা বা পেশার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কিংবা তাঁকে চিরস্থায়ীভাবে শিক্ষা বা কর্মপ্রতিষ্ঠান ত্যাগে বাধ্য করে,
  • জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা স্থায়ী শারীরিক ক্ষতির সৃষ্টি করে, এবং
  • এমনকি জীবনহানি ঘটায়;
সেই হয়রানি বা নিপীড়নকে আলাদাভাবে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও বিবেচনা করা হয়না। অনেকসময় ক্ষমতাবানদের কাছে এসব হয়রানি বা নিপীড়ন হাসিঠাট্টার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। কখনও কখনও ঘটনা দৃষ্টিগ্রাহ্য হলে বা প্রতিবাদ জোরদার হলে অপরাধীকে 'নৈতিক স্খলন' বা 'শৃঙ্খলা ভঙ্গের' কারণে অভিযুক্ত করা হয়। এতে অপরাধকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়না যেভাবে তা হয়রানি/নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তদুপরি তদন্ত, শুনানী বা শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া এত দীর্ঘসূত্রীতার শিকার হয় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর আর কোন কার্যকরিতা থাকে না।

যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন বলতে কি বোঝায় ?

যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন অনেকভাবে ঘটে থাকে। কথা, শারিরীক স্পর্শ, মানসিক বা শারীরিক আঘাত ইত্যাদিভাবে এবং অনেকসময় পরোক্ষভাবেও হয়রানি বা নিপীড়ন হয়ে থাকে। এখানে এগুলোকে নিম্নোক্তরূপে উপস্থিত করা যায়:

  • যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ/ বিদ্বেষমূলক অঙ্গভঙ্গী, কটূক্তি, টিটকিরি এবং ব্যঙ্গবিদ্রুপ।
  • প্রেম ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ কিংবা এমন আচার আচরণ বা হুমকি প্রদান যাতে ভীতি সৃষ্টি হয়।
  • যৌন আক্রমণের ভয় দেখিয়ে কোন কিছু করতে বাধ্য করা বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন, শিক্ষা বা কর্মজীবন ব্যাহত করা।
  • যৌন উস্কানিমূলক, বিদ্বেষমূলক বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুৎসা রটনার জন্য ছায়াছবি, স্থিরচিত্র, চিত্র, কার্টুন, প্রচারপত্র, উড়োচিঠি, মন্তব্য বা পোষ্টার ইত্যাদি প্রদর্শন বা প্রচার।
  • সম্মতির বিরুদ্ধে শরীরের যেকোন অংশ যেকোনভাবে স্পর্শ করা বা আঘাত করা।
  • ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ বা স্থাপনের উদ্দেশ্যে বল বা চাপ প্রয়োগ, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা, ভয় প্রদর্শন, জালিয়াতি, সুযোগ গ্রহণ বা আঘাত করা।
  • যৌনতাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের স্বার্থসিদ্ধি বা কোন কাজে ব্যবহার করা।
  • ধর্ষণ।

কেন এ সম্পর্কে ভিন্ন নীতিমালা দরকার?

যৌন হয়রানি বা নিপীড়নের বিরুদ্ধে নীতিমালা থাকার প্রয়োজন

  • প্রথমত: যৌন হয়রানি বা নিপীড়ন যে একটি দন্ডনীয় গুরুতর অপরাধ সেটা নির্দিষ্ট করবার জন্য।
  • দ্বিতীয়ত: যারা আক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মধ্যে একটি নিরাপত্তাবোধ এবং বিচারের প্রতি আস্থা সৃষ্টির জন্য। এবং
  • তৃতীয়ত: প্রথম থেকেই যাতে সবাই এই অপরাধের ফলাফল সম্পর্কে সতর্ক থাকে সেটি নিশ্চিত করবার জন্য।

এই নীতিমালার লক্ষ্য
এই নীতিমালার বিশেষ লক্ষ্য থাকবে:
১. যৌন হয়রানি বা নিপীড়নকে সুনির্দিষ্ট অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা।
২. অভিযোগ প্রদানের নিরাপদ ও সহজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. অপরাধীদের প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান ও সকলের নিরাপত্তা বিধানের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নির্দেশ করা।
৪. বিচারের ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট ও ত্বরান্বিত করা।
৫. বিচার চাইবার কারণে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি, হেয় ও নিগৃহিত করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সুনির্দিষ্ট করা।

নীতিমালা যাদের প্রতি প্রযোজ্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা যাদের প্রতি প্রযোজ্য হবে তারা হলেন:

  • বিশ্ববিদ্যালয় ও সংযুক্ত স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী
  • বিশ্ববিদ্যালয় ও সংযুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ
  • বিশ্ববিদ্যালয় ও সংযুক্ত স্কুল ও কলেজের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ
  • বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী সকল মানুষ
  • বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন পেশার মানুষ
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে যাতায়াতকারী নারী-পুরুষ (বিশেষত: যদি যাতায়াতের সময়কালে কোন ঘটনা সংঘটিত হয়।)

অভিযোগ প্রদান ও শাস্তি নির্ধারণের পদ্ধতিসমূহ:
যৌন হয়রানি বা নিপীড়নকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান এবং আক্রান্তের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থাবলী গ্রহণ করতে হবে।

  • অভিযোগ প্রদান যৌন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যাতে সহজে, বিনা বাধায় এবং নির্ভয়ে কোথাও তার বা তাদের উপর হয়রানি বা নিপীড়নের ঘটনা জানাতে পারেন সেজন্য যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই ব্যবস্থায় কয়েকটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে: ১. অভিযোগকারী/দের নাম পরিচয়ের গোপনীয়তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
    ২. অভিযোগকারী/দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • অভিযোগ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অভিযোগ প্রদানের জন্য সিনেট অনুমোদিত কাঠামোর অধীনে সিন্ডিকেট দুস্তরে অভিযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে। প্রতিটি কেন্দ্র দুবছর মেয়াদী হবে। তবে যুক্তিসঙ্গত কারণ সৃষ্টি হলে সিন্ডিকেট অভিযোগ কেন্দ্র পুনর্বিন্যস্ত করতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষদ/ইন্সস্টিটিউট/হল/স্কুল-কলেজ ক্ষেত্রে একটি করে অভিযোগ কেন্দ্র থাকবে। এই অভিযোগ কেন্দ্র গঠিত হবে ঐ স্ব স্ব ক্ষেত্রের একজন শিক্ষক/একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একজন ছাত্র/ছাত্রী সমন্বয়ে।
    এই অভিযোগ কেন্দ্র অভিযোগ প্রাথমিক যাচাইয়ের পর বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে সমাধান করবার মতো কিনা তা বিচার করবেন। সেভাবে সমাধান করবার মতো না হলে তিনদিনের মধ্যে তা কেন্দ্রীয় অভিযোগ কেন্দ্রে প্রেরণ করবেন।
  • যৌন নিপীড়ন আদালত যৌন নিপীড়ন আদালতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিনিধি ছাড়াও বহি:স্থ এক বা একাধিক ব্যক্তি থাকবেন। বহি:স্থ ব্যক্তি আইন বিশেষজ্ঞ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই আদালত অভিযোগ তদন্ত করবার জন্য প্রয়োজনীয় শুনানী, তথ্য সংগ্রহ, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের দলিলপত্র পর্যালোচনার ক্ষমতার অধিকারী হবে। তাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস চাহিবামাত্র সকল সহযোগিতা প্রদানে বাধ্য থাকবে। আদালত তদন্ত পরিচালনায় অভিযোগকারী/দের পরিচয় গোপন রাখবেন। প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যপ্রদানে কেউ সমস্যা বোধ করলে পরিচয় গোপন রেখে বা পরোক্ষভাবে যাতে কেউ তথ্য সরবরাহ করতে পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আদালত সর্বোচ্চ তিনমাসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে তাদের রিপোর্ট এবং অপরাধীর শাস্তির নির্দিষ্ট সুপারিশ সিন্ডিকেটকে প্রদান করবে।
  • শাস্তি যৌন নিপীড়ন আদালত-এর সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে অপরাধীর শাস্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী যৌন হয়রানি সৃষ্টিকারী বা নিপীড়ক কিংবা মিথ্যা অভিযোগকারীদের কমপক্ষে নিম্নোক্ত শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
    ক. মৌখিক সতর্কীকরণ
    খ. লিখিত সতর্কীকরণ
    গ. লিখিত সতর্কীকরণ ও তা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বত্র প্রচার
    ঘ. এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও প্রচার
    ঙ. দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও প্রচার
    চ. চিরতরে বহিষ্কার ও প্রচার
    ছ. প্রচারসহ চিরতরে বহিষ্কার ও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত সনদপত্র বাতিল
    জ. চিরতরে বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত সনদপত্র বাতিল এবং সকল শিক্ষা
    প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ক তথ্য সরবরাহ। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য, অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে
    অবহিত করা।
    ঝ. চিরতরে বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত সনদপত্র বাতিল, সকল শিক্ষা ও কর্মপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ক তথ্য সরবরাহ এবং রাষ্ট্রীয় আইনের অধীনে অধিকতর শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য চাকুরিচু্যত করা, অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে অবহিত করা এবং রাষ্ট্রীয় আইনের অধীনে অধিকতর শাস্তি প্রদানের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর।

মিথ্যা অভিযোগ
যদি প্রমাণিত হয় যে, অভিযোগ ভিত্তিহীন কিংবা কোন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে হেয় বা হেনস্থা করবার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তাহলে অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীদেরই, যৌন নিপীড়কের জন্য প্রযোজ্য, বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আদালত বিষয়টি নিয়ে যথাযথ তদন্ত করে প্রযোজ্য শাস্তির সুপারিশ করে সিন্ডিকেট-এর কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।

শিক্ষা/পরামর্শ/জনমত গঠন

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল, অফিস ও বিভাগে এই নীতিমালার ব্যাপক প্রচার করতে হবে। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী সকলের মতপ্রকাশ, চলাফেরা, পড়াশোনা ও কাজের নিশ্চয়তা বিধানের জন্যও যথায়থ শিক্ষা, পরামর্শ ও জনমত গঠনের প্রক্রিয়া থাকতে হবে। এসবের পক্ষে, সহমর্মী, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল একটি পরিবেশ তৈরির জন্য সার্বিক শিক্ষা, প্রচার ও জনমত সংগঠনের কাজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।


মন্তব্য