বাংলাদেশের পত্রিকায় খেলাধুলার খবর পড়াটা এক ধরনের বিনোদন । বিভিন্ন নিউজ এজেন্সির নিউজ থেকে হুবহু অকৃতজ্ঞ কাটপেস্ট করা ছাড়াও ঐ খেলাপাতার আরো একটা প্রপঞ্চ হলো রিপোর্টাররা ওখানে নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ সমর্থন লুকোতে পারেন না । বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জার্মানি লড়াই নিয়েই এর অন্যথা নেই ।
একটা উদাহরন দেই । সময়ে সময়ে বিভিন্ন ঘটনার জন্মদানকারি ম্যারাডোনার খেলার পরবর্তি সময় নিয়ে প্রথম আলো জানাচ্ছে [লিংক] -
এবং ম্যাচ পূর্ববর্তী ম্যারাডোনার কাজ কর্ম নিয়ে প্রথম আলো থেকে জানছি আমরা [লিংক] -
যে ম্যারাডোনা মেক্সিকোকে হারিয়ে শেষ আটে পা রাখার পর থেকেই ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী, কথার লড়াইয়ে জার্মানিকে ঘায়েল করছিলেন, সেই ম্যারাডোনাই ম্যাচের আগের দিন একেবারে চুপচাপ।
যে ম্যারাডোনা মেক্সিকোকে হারিয়ে শেষ আটে পা রাখার পর থেকেই ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী, কথার লড়াইয়ে জার্মানিকে ঘায়েল করছিলেন, সেই ম্যারাডোনাই ম্যাচের আগের দিন একেবারে চুপচাপ।
তো বিষয়টা শুধুমাত্র প্রথম আলোর কথামতো শুধুমাত্র "আত্মবিশ্বাসী ... কথার লড়াই" ছিলো কিনা সেদিকে একটু দৃষ্টি দেয়া যাক । আমরা আরোও একটু বুঝতে চেষ্টা করি ঐসব কথার লড়াই আসলেই "যথার্থ খেলোয়াড়ি চেতনা" প্রতিফলন করে কিনা ।
আর্জেন্টিনা আর জার্মান শিবিরের সাম্প্রতিক রেষারেষির শুরু হয় গত মার্চ মাসে মিউনিখে । মিউনিখের আলিয়ানৎস এ্যারেনার জার্মান আর্জেন্টিনার একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ।[লাইনআপ] [খবর]ম্যাচে ১-০ গোলে আর্জেন্টিনা জয়লাভ করে । ম্যাচটা ফ্রেন্ডলি ভাবে শুরু ও শেষ হলেও খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্সে সেটা আর ফ্রেন্ডলি থাকেনি । প্রেসে কনফারেন্সে হাজির ছিলেন আর্জেন্টিনার পক্ষে ম্যারাডোনা আর জার্মানির পক্ষে ২০ বছর বয়সি প্রতিশ্রুতিশীল থমাস ম্যুলার । থমাস ম্যুলারের সেটিই ছিলো প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ । জার্মানদের মনে সেদিন কি ছিলো বলা মুশকিল । হয়তো তারা এই খেলোয়াড়কে বিশ্বমিডিয়ার সামনে তুলে ধরতেই সেদিন সেখানে তাকে পাঠিয়েছিলো । জার্মানরা যে ম্যুলারকে গুরুত্ব দেয় সেটা ম্যুলারের ১৩ নাম্বার জার্সি ব্যবহারের বোঝা যায় । ম্যুলারের আগে এটা ব্যবহার করতেন মিশেল বালাক ।
তো ঐ কনফারেন্সে প্রথমেই বেকে বসেন ম্যারাডোনা । ব্যঙ্গাত্মক স্বরে (স্বরটা শোনার জন্য ভিডিওটা দেখতে হবে) কনফারেন্সে জার্মানি পক্ষ থেকে একজন বলবয়কে পাঠানো হয়েছে অভিযোগ করে মঞ্চ ত্যাগ করে দুরে দাড়িয়ে থাকেন । ম্যুলার মঞ্চ থেকে না সরে যাওয়া পর্যন্ত ম্যারাডোনা আর মঞ্চে ওঠেননি ।
ম্যারাডোনা থেকে বল বয় খেতাব প্রাপ্ত ম্যুলার ম্যারাডোনার বিদ্রুপের উত্তর একটা বাক্যে দিয়েছিলেন - ইউ উইল রিমেম্বার মি । [সূত্র]
ম্যুলার তার কথা রেখেছেন । গত কালের জার্মান আর্জেন্টিনার ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায়ই ম্যারাডোনার অন্য খেলোয়াড়দের প্রতি অখেলোয়াড়োচিত অশ্রদ্ধার জবাব কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছেন ম্যুলার ।
জার্মানির বিশ্বকাপ জিততে আরো দু'টো ম্যাচ তাদের জিততে হবে । তবে ম্যারোডোনার বিশ্বসেরা টিমের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র জয় একটা সাধারণ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ জয় থেকেও অনেক বেশী কিছু ।
১ | লিখেছেন অতিথি লেখক [অতিথি] (যাচাই করা হয়নি) (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ৭:১৫অপরাহ্ন)
খেলোয়াড় হিসেবে অতি উঁচুমানের হলেও মানুষ হিসেবে ম্যারাডোনা কোনওভাবেই অনুকরণযোগ্য নন। পেটভরা ঔদ্ধত্য তাঁর কথায়, আচরণে। ম্যুলারের গোল প্রসঙ্গে ম্যারাডোনার উদ্দেশ্যে তাই বলা যায়, ইট সার্ভড হিম রাইট। বাংলায় খুব বাজে শোনাতো (যেমন কুকুর...) বলে ইংরেজিতে বললাম।
২ | লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ৭:২০অপরাহ্ন)
মজা পাইলাম।
তবে ম্যুলারকে পরবর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে। ব্রাজিল হারের পর বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন দর্শকরা যে আনন্দ মিছিল বের করেছিলো, জার্মানি না জিতলে আনন্দের ঠেলায় কুরুক্ষেত্র হয়ে যেত। এখন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা দুইদলই বাদ, দেশে খালি শান্তি আর শান্তি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
৭ | লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ৮:১৬অপরাহ্ন)
মনে বড় আশা ছিল, আর্জেন্টিনা জার্মানরে বিদায় করবে। অনেকটা সেই আশায় পিকনিকে গেসি কিন্তু তীরুদা সাথে লেপটপ নিসে। রাইত জাইগ্যা কি সব কইরা লেপটপরে খেলাদেখার উপযোগী বানাইছে।
কিন্তু আশা ধূলিস্যাৎ। ভাবলাম দ্বিতীয়ার্ধে দেখাইব মরাডোনা ফুটবল কারে কয়! কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখলাম, মরাডোনার দল দেখাইল কিভাবে একহালি গোল খাইতে হয়!
এখন গাড়ীর ভেপু শুনতে হবে আরো কিছুদিন। কিন্তু একটা বেফার শুইন্না ভাল লাগতাসে, দেশের একটা অশান্তি অন্তত বিদায় হইছে। বুঝি না আমাগো দেশের মানুষ ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনারে নিয়া এতো পাগল হয় ক্যান!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
১০ | লিখেছেন হাসিব (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ৮:৫৭অপরাহ্ন)
আমার কোন পত্রিকারেই নিরপেক্ষ মনে হয় নাই । অনেক সময় সাংবাদিকরা খেলোয়াড়/দল মাথায় ওঠায় । মাঝে মাঝে এর পেছনে যুক্তি থাকে (যেমন আর্জেন্টিনা) আবার মাঝে মাঝে থাকেও না (যেমন ইংল্যান্ড) ।
দাম্ভিকতার উপযুক্ত জবাব অবশ্যই। একটা শিক্ষা সংশ্লষ্ট সবার জন্য। ভিডিওটা দেখা গেল না কেন যেন (স্পিডের কোন সমস্যা নেই অন্ততপক্ষে), তাই ঘটনাটা ‘দেখা’ গেল না।
তবে জার্মানির ব্যাপারটাও হয়ত পুরাপুরি সমর্থন করতে পারলাম বলে মনে হল না। ম্যারাডোনার ব্যাপারে আমার কোন অনুরাগ বা বিরাগ কিংবা ইন্টারেস্ট নেই (এবং তাই তার খবর ফলো করিনা)। তবে নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক ‘প্রটোকল’ অনুযায়ী ম্যারাডোনা একটা ব্যাখ্যা দাবি করতেই পারে তার কাউন্টারপার্টের ব্যাপারে……।
১৪ | লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ম্যারাডোনা খুবই ত্যাড়া কিসিমের লোক, তাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু সমস্যাটা সম্ভবত কালচারে। জার্মানিতে দৌত্যদায় যার কাঁধেই পড়ুক না কেন, সে ম্যানেজমেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, সবাই তাকে গুরুত্ব দেবে। অন্যদিকে দক্ষিণামেরিকার লোকজন ম্যারাডোনাকে কিংবদন্তিতুল্য মনে করে [ইতি বা নেতি, যে বাচকই হোক না কেন]। ম্যারাডোনা হয়তো আশা করেছিলো সমানে সমানে মুখোমুখি হবার জন্যে য়োয়াকিম লোয়ভ নিজেই আসবে। তরুণ একজন ফুটবলারকে দেখে সে ধরে নিয়েছে তাকে ব্যঙ্গ করার জন্যেই একে পাঠানো হয়েছে। ম্যারাডোনা মুয়লারের বয়সে যখন স্পেনে খেলতো, ইয়োরোপিয়ানদের কম বিদ্রুপ তো তাকে সহ্য করতে হয়নি। আমার ধারণা ঐ ট্রমা থেকে সে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমি ম্যারাডোনার জায়গায় থাকলে হয়তো মঞ্চ ছেড়ে উঠে যেতাম না, কিন্তু জানাতাম যে মুয়লারের জায়গায় আমি লোয়ভকে আশা করছিলাম, জার্মানি আমাকে আশাহত করেছে।
একজন খেলোয়াড়কে বলবয় ডাকার মতো অভদ্রতা খামাখা আর বিরক্তিকর। মুয়লারের রিপার্টিটা ভালো হয়েছে। কিন্তু ম্যারাডোনার শিক্ষা হবে না। সে ঐরকমই। কে জানে, লোয়ভ আসলে হয়তো লোয়ভরেও বলবয় ডেকে বসতো।
১৬ | লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: রবি, ০৪/০৭/২০১০ - ১১:১৬অপরাহ্ন)
বলা যায় না, জার্মানি বিশ্বকাপ জিতলে কালে হয়তো মুলার জেসি ওয়েন্সের মর্যাদা পেয়ে যাবে... ঐ যে, বার্লিন অলিম্পিকে যার সাথে গায়ের রঙের কারণে হিটলার হাত মেলায় নি...
ওই খেলাটা বিশ্বকাপের সবচেয়ে শিক্ষনীয় খেলা। বলা ভালো উচিত শিক্ষা। কোটি ভক্তের প্রাণ কাঁদলেও ম্যারাডোনার জন্য এই শিক্ষাটা প্রয়োজনীয় ছিল। নো হার্ড ফিলিংস!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
২০ | লিখেছেন বাবুবাংলা (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৭/২০১০ - ৭:৩৫পূর্বাহ্ন)
জার্মানীর সাথে খেলায় ম্যারাডোনা দিয়েগো মিলিত’কে মাঠে নামায় নাই।
মিলিত না হইলে গোল কেন, কোন কিছুই উৎপাদন করা যায় না- এই সামান্য জৈবিক নিয়মও উনার জানা নাই। তাই ম্যারাডোনা সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন হইলোঃ উনি মাঠের খেলা ভালো জানলেও, জীবনের খেলায় একেবারেই কাঁচা।
বাই দ্যা ওয়ে, আমি কিন্তু ইদানিং উরুগুয়ের সমর্থক। এই দলের নামের প্রথম দুটো অক্ষর দেখলেই বোঝা যায় এরা খুবই উত্তেজনাপূর্ন খেলা উপহার দিবে।
মন্তব্য
খেলোয়াড় হিসেবে অতি উঁচুমানের হলেও মানুষ হিসেবে ম্যারাডোনা কোনওভাবেই অনুকরণযোগ্য নন। পেটভরা ঔদ্ধত্য তাঁর কথায়, আচরণে। ম্যুলারের গোল প্রসঙ্গে ম্যারাডোনার উদ্দেশ্যে তাই বলা যায়, ইট সার্ভড হিম রাইট। বাংলায় খুব বাজে শোনাতো (যেমন কুকুর...) বলে ইংরেজিতে বললাম।
মজা পাইলাম।
তবে ম্যুলারকে পরবর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে। ব্রাজিল হারের পর বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন দর্শকরা যে আনন্দ মিছিল বের করেছিলো, জার্মানি না জিতলে আনন্দের ঠেলায় কুরুক্ষেত্র হয়ে যেত। এখন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা দুইদলই বাদ, দেশে খালি শান্তি আর শান্তি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ, আর নোবিল বক্তিমায় বলা হবে, খেলাধুলা মনের প্রশান্তি বাড়ায় । সুত্রাং এই বিষয়ে যারা মানুষকে শান্তি দেয় তাদের একজনকে শান্তি পুরস্কার দেয়া হৈলো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাইলাম - । পছন্দ করার আইকন পাই না।
হা হা হা... এরকমই হয়।
দাম্ভিকতার একটা উপযুক্ত জবাব । তাও আবার সেই জবাবের শুরুটা ২০ বছর বয়সি এক খেলোয়াড়ের কাছে যার আন্তর্জাতিক খেলার সংখ্যা ১০এর ঘর পর্যন্ত যায়নি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মনে বড় আশা ছিল, আর্জেন্টিনা জার্মানরে বিদায় করবে। অনেকটা সেই আশায় পিকনিকে গেসি কিন্তু তীরুদা সাথে লেপটপ নিসে। রাইত জাইগ্যা কি সব কইরা লেপটপরে খেলাদেখার উপযোগী বানাইছে।
কিন্তু আশা ধূলিস্যাৎ। ভাবলাম দ্বিতীয়ার্ধে দেখাইব মরাডোনা ফুটবল কারে কয়! কিন্তু চেয়ে চেয়ে দেখলাম, মরাডোনার দল দেখাইল কিভাবে একহালি গোল খাইতে হয়!
এখন গাড়ীর ভেপু শুনতে হবে আরো কিছুদিন। কিন্তু একটা বেফার শুইন্না ভাল লাগতাসে, দেশের একটা অশান্তি অন্তত বিদায় হইছে। বুঝি না আমাগো দেশের মানুষ ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনারে নিয়া এতো পাগল হয় ক্যান!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বলেন কি! আপনারা দুই ডয়েশে মান জার্মানি সাপোর্ট করেন নাই ! পিকনিকের কারন মনে হয় একটু একটু পরিস্কার হচ্ছে !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
প্রথম আলো আর্জেন্টিনার পক্ষে বলেই ব্যক্তিগতভাবে মনে হইছে আমার...
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
আমার কোন পত্রিকারেই নিরপেক্ষ মনে হয় নাই । অনেক সময় সাংবাদিকরা খেলোয়াড়/দল মাথায় ওঠায় । মাঝে মাঝে এর পেছনে যুক্তি থাকে (যেমন আর্জেন্টিনা) আবার মাঝে মাঝে থাকেও না (যেমন ইংল্যান্ড) ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভালো হইছে... খুশি হইছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ম্যারাডোনা এমন বইলাই তো আপনি এই পোস্ট লিখতে পারলেন। এরকম লোকেরও দরকার আছে। নাইলে ম্যুলার মিয়ারে চাগাইতো কেডা?
বলা যায়, পরোক্ষভাবে ম্যুলারের বিশ্বকাপে জ্বলে ওঠায় ম্যারাডোনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ!
দাম্ভিকতার উপযুক্ত জবাব অবশ্যই। একটা শিক্ষা সংশ্লষ্ট সবার জন্য। ভিডিওটা দেখা গেল না কেন যেন (স্পিডের কোন সমস্যা নেই অন্ততপক্ষে), তাই ঘটনাটা ‘দেখা’ গেল না।
তবে জার্মানির ব্যাপারটাও হয়ত পুরাপুরি সমর্থন করতে পারলাম বলে মনে হল না। ম্যারাডোনার ব্যাপারে আমার কোন অনুরাগ বা বিরাগ কিংবা ইন্টারেস্ট নেই (এবং তাই তার খবর ফলো করিনা)। তবে নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক ‘প্রটোকল’ অনুযায়ী ম্যারাডোনা একটা ব্যাখ্যা দাবি করতেই পারে তার কাউন্টারপার্টের ব্যাপারে……।
ম্যারাডোনা খুবই ত্যাড়া কিসিমের লোক, তাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু সমস্যাটা সম্ভবত কালচারে। জার্মানিতে দৌত্যদায় যার কাঁধেই পড়ুক না কেন, সে ম্যানেজমেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, সবাই তাকে গুরুত্ব দেবে। অন্যদিকে দক্ষিণামেরিকার লোকজন ম্যারাডোনাকে কিংবদন্তিতুল্য মনে করে [ইতি বা নেতি, যে বাচকই হোক না কেন]। ম্যারাডোনা হয়তো আশা করেছিলো সমানে সমানে মুখোমুখি হবার জন্যে য়োয়াকিম লোয়ভ নিজেই আসবে। তরুণ একজন ফুটবলারকে দেখে সে ধরে নিয়েছে তাকে ব্যঙ্গ করার জন্যেই একে পাঠানো হয়েছে। ম্যারাডোনা মুয়লারের বয়সে যখন স্পেনে খেলতো, ইয়োরোপিয়ানদের কম বিদ্রুপ তো তাকে সহ্য করতে হয়নি। আমার ধারণা ঐ ট্রমা থেকে সে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। আমি ম্যারাডোনার জায়গায় থাকলে হয়তো মঞ্চ ছেড়ে উঠে যেতাম না, কিন্তু জানাতাম যে মুয়লারের জায়গায় আমি লোয়ভকে আশা করছিলাম, জার্মানি আমাকে আশাহত করেছে।
একজন খেলোয়াড়কে বলবয় ডাকার মতো অভদ্রতা খামাখা আর বিরক্তিকর। মুয়লারের রিপার্টিটা ভালো হয়েছে। কিন্তু ম্যারাডোনার শিক্ষা হবে না। সে ঐরকমই। কে জানে, লোয়ভ আসলে হয়তো লোয়ভরেও বলবয় ডেকে বসতো।
ম্যাচ হেরে কান্নাকাটি, ম্যাচের আগে পরে এইসব নাটক এই নিয়েই ম্যারাডোনা খবরের কাগজে মাতায় রাখে। নেগেটিভ মার্কেটিংও একপ্রকার মার্কেটিং বটে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বলা যায় না, জার্মানি বিশ্বকাপ জিতলে কালে হয়তো মুলার জেসি ওয়েন্সের মর্যাদা পেয়ে যাবে... ঐ যে, বার্লিন অলিম্পিকে যার সাথে গায়ের রঙের কারণে হিটলার হাত মেলায় নি...
_________________________________________
সেরিওজা
আলু পেপারে পাঠানো হউক লেখাটা।
- "মুখ খুললেই বিপদ" নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে দেখছি আবার!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওই খেলাটা বিশ্বকাপের সবচেয়ে শিক্ষনীয় খেলা। বলা ভালো উচিত শিক্ষা। কোটি ভক্তের প্রাণ কাঁদলেও ম্যারাডোনার জন্য এই শিক্ষাটা প্রয়োজনীয় ছিল। নো হার্ড ফিলিংস!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জার্মানীর সাথে খেলায় ম্যারাডোনা দিয়েগো মিলিত’কে মাঠে নামায় নাই।
মিলিত না হইলে গোল কেন, কোন কিছুই উৎপাদন করা যায় না- এই সামান্য জৈবিক নিয়মও উনার জানা নাই। তাই ম্যারাডোনা সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন হইলোঃ উনি মাঠের খেলা ভালো জানলেও, জীবনের খেলায় একেবারেই কাঁচা।
বাই দ্যা ওয়ে, আমি কিন্তু ইদানিং উরুগুয়ের সমর্থক। এই দলের নামের প্রথম দুটো অক্ষর দেখলেই বোঝা যায় এরা খুবই উত্তেজনাপূর্ন খেলা উপহার দিবে।
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মাঝেসাঝে পোস্ট দিলেও তো পারেন
ভাই, এইটা কি কইলেন !!!!
_________________________________________
সেরিওজা
হা হা হা। আপনি মিয়া ইউনিক চীজ। নিয়মিত হোন। বাংলাক্রিকেটেও তো অনেকদিন ধরে অনুপস্থিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পেপারে আগেই পড়ছিলাম, তাও লেখাটা ব্যাপক লাগল...
''চৈত্রী''
নতুন মন্তব্য করুন