বহুদিন থেকেই দল হিসেবে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে। এই নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। তো এই নিষিদ্ধের বিপক্ষে যারা কথা বলেন তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা রয়েছেন। এরা কেন এর বিপক্ষে বলেন তার কারণ সহজেই অনুমেয়। এর বাইরে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যারা বলেন তাদের আর্গুমেন্টগুলো হলো,
প্রথম যুক্তির বিপক্ষে বলা যায়, জামায়াতে ইসলামী অন্যান্য দলগুলোর মতো নয়। এই দলটির মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ করার দলিলভিত্তিক ইতিহাস রয়েছে। এবং স্বাধীনতার পরেও তারা একধরণের নির্দিষ্ট হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে আসছে। এই দলটির সদরদপ্তরও পাকিস্তানে। এই দলটিকে তাই বাকি দলগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখার সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এটা যেকোন প্রগতিশীল নাগরিক স্বীকার করবেন। জামাতকে দিয়ে সেটা শুরু করলে ক্ষতি নেই। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যে ক্ষতিকর এটা জনগণের ধারণার মধ্যে নিয়ে আসারও একটি বিষয় রয়েছে। পৃথিবীতে খুব কম দেশই রয়েছে যেখানে ধর্মকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি পৃথক করা গেছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদে বিষয়। একদিনে এক ঘোষণার মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। জামাতকে নির্মূলের মধ্য দিয়েই এটা শুরু হোক।
তৃতীয় যুক্তিটি রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এ্যাকাডেমিক, রাজনীতিবিদ অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন। বাস্তবে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দেশবিরোধী দল বা ব্যক্তির রাজনীতির অধিকার দেয়া হয় না। এই অধিকার থাকলে আমেরিকাতে আল কায়েদার অফিস বা জার্মানিতে এখনও নাৎসি পার্টির অফিস দেখা যেত।
এই লেখাটিতে কিছু ঐতিহাসিক মিলের কারণে জার্মানিতে নাৎসি নির্মূল অভিজ্ঞতা, তারপর ইউরোপের অন্যান্য উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে দেশবিরোধী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার ইতিহাস ও সবশেষে এসব অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে কীভাবে জামাত নির্মূল করা যেতে পারে সেটার একটা প্রাথমিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জার্মান অভিজ্ঞতা
জার্মানির ইতিহাসের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা উল্লেখযোগ্য মিল হলো এই দুই দেশই কিছুসংখ্যক নাগরিকের জন্ম দিয়েছে যারা এই দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। জার্মানির নাৎসি পার্টি[১] এবং বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বেশ কিছু চরিত্রগত মিল রয়েছে।
তো জার্মানি এবং বাংলাদেশে এরকম সন্ত্রাসীচিন্তার দুই দল থাকার ইতিহাস থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে অমিলটা হলো জার্মানিতে এই অন্যায়ের বিচার হয়েছে এবং চলছে, কিন্তু বাংলাদেশ এই বিচার ৪০বছর পরেও সম্পূর্ণ করতে পারেনি। জার্মানিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলমান আইনি কাঠামোর জন্যই তারা এই তাদের দেশটা প্রায় পুরোটা মানবতাবিরোধী দলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য তাই জার্মানির অভিজ্ঞতা খতিয়ে দেখা অবশ্য কর্তব্য।
দেশের মধ্যেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানবতার বিরুদ্ধে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই যুগে যুগে দেখা গেছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের প্রভাব ন্যুনতম পর্যায়ে নিয়ে আসার আইনি চেষ্টারও উদাহরণ ভুরি ভুরি। এইসব আইনি প্রচেষ্টার সুফলও দেখা গেছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে জার্মানির অভিজ্ঞতা এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যেখানে ত্রিশের দশকে জার্মানিতে নাৎসি দল নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো সেখানে নাৎসিবিরোধী কর্মসূচী চালিয়ে যাবার কারণে জার্মানিতে নাৎসিদের প্রভাব এখন রাজনৈতিকভাবে শূণ্য।
মিত্রবাহিনী এপ্রিল ১৯৪৫এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ হবার আগেই বিজয় অর্জিত হবার পর জার্মানিতে নাৎসি নির্মূল কর্মসূচী কীভাবে চালানো হবে সেই বিষয়ে খসড়া প্রস্তুত করে ফেলে। মিত্রবাহিনীর এই বিষয়ে একটি 'বেসিক প্রিলিমিনারি প্ল্যান' তৈরি করে।
এই পরিকল্পনার আওতায় নিন্মোক্ত কর্মসূচীর খসড়া তৈরী করা হয়। [২][৩]
এরপর এপ্রিল ১৯৪৫ এ Joint Chief of Staff directive 1067/6 এ এই ডিনাৎসিফিকেশন কর্মসূচীর বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি করা হয়। [নোট ১: Annex A, পৃষ্ঠা ১৪-১৬] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর ক্রিমিয়া কনফারেন্স বা ইয়ালটা কনফারেন্স [১৩] হিসেবে পরিচিত এক সভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিউনের রাষ্ট্রপ্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন। এই কনফারেন্সে মিত্রবাহিনীর রাষ্ট্রপ্রধানেরা প্রাথমিক ঐক্যমতে পৌছে যে ঘোষণা দেন তার মাধ্যমেই সর্বপ্রথম ১৯৪৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি এই ডিনাৎসিফিকেশন পরিকল্পনার কথা জনসমক্ষে আসে। ২রা মে, ১৯৪৫এ ব্যর্লিনের পতনের পর এই ঘোষণার পরে ৩০শে জুলাই ১৯৪৫এ পটসডাম কনফারেন্সে [১৪] ডিনাৎসিফিকেশনের কর্মসূচী [নোট ১] গ্রহণ করা হয়।
অধিকৃত অঞ্চলসমূহ যেমন, আমেরিকান এলাকা, ব্রিটিশ এলাকা, সোভিয়েত এলাকা, ফরাসি এলাকা, সবগুলোতেই মূলত একই ধাঁচের ডিনাৎসিফিকেশনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
অধিকৃত অঞ্চলভেদে এসব আইনি কাঠামোর মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকলেও এর উদ্দেশ্য ছিলো,
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিনাৎসিফিকেশন কর্মসূচীর আওতায় পুরো জার্মানিতে সবকিছু পুরো ঢেলে সাজানো হয়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নাৎসি সমর্থক কর্মকর্তাদের অপসারণ, তাদের সম্পদ অধিগহণ ইত্যাদির মাধ্যমে নাৎসি ভাবধারার সামাজিক ও অর্থনৈতিক শক্তি শূণ্যতে নিয়ে আসা হয়। শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনৈতিক কাঠামো পুরো ঢেলে সাজানো হয়।
ডিনাৎসিফিকেশনের এই কর্মসূচী শেষ হবার পরও জার্মানির আইনি কাঠামো নাৎসিবাদ মাথাচাড়া দেবার বিরুদ্ধে সংরক্ষিত। জার্মানির সংবিধান (Grundgesetz)[১৫] এজন্য রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়, বরঞ্চ রাষ্ট্রের মূলনীতি সংরক্ষণে খড়গহস্ত। জার্মানির সংবিধানে এই বিষয়ে যে শব্দবন্ধটা ব্যবহৃত হয় সেটা হলো 'মুক্ত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা' (Freiheitlich demokractische Grundordnung)[১৬]। এই মুক্ত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিভিন্নভাবে সুরক্ষিত।
জার্মান সংবিধানে মুক্ত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার হুমকিস্বরূপ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারও সীমিত করা হয়েছে [২১]। সীমিত/রহিত করা এসব অধিকারগুলো হলো,
দেশে পশ্চিমের যে "মুক্ত" গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা আমরা মিডিয়া বা বিদেশি দূতাবাস কর্মকর্তাদের নসিহত থেকে শুনে থাকি। সেগুলো কতোটা মুক্ত সেটা আরো বুঝতে জার্মানি ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো ফ্যাসিস্ট/নাৎসি রাজনীতির বিরুদ্ধে তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে একই রকম সুযোগ রেখেছে সেটার প্রতি দৃষ্টি দেয়া যায়। ইউরোপের প্রায় প্রতিটা দেশেই এই ধরণের দেশদ্রোহী দলগুলোর বিরুদ্ধে, তাদের ছড়ানো বিষাক্ত প্রচারণাগুলোর বিপক্ষে আইন রয়েছে। মুক্তমত মানে সেখানে যা খুশি সেটা বলা বা করা নয়।[২৬][২৭]
অন্যান্য ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা
আগেই বলা হয়েছে বিদেশী প্রচার মাধ্যম, এনজিও ও দূতাবাসগুলো আমাদের এরকম একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করে যে পশ্চিমে সব মত সব দলের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উন্মুক্ত রয়েছে। সেটা যে ইউরোপিয় আইনের কাঠামোতে সত্য নয় এটা উপরের আলোচনা থেকে পরিস্কার হবার কথা। ইউরোপিয় ও অন্যান্য দেশে যেখানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি শক্ত সেসব দেশগুলোতেও এই আইনি কাঠামোর বাইরে থাকা দলগুলো ব্যান করা হয়।
এখানে লক্ষ্যণীয়, রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে যেমন ঘটেছে তেমনি এই ব্যান আধুনিককালেও হয়েছে। দেশগুলো তাদের গণতন্ত্রের প্রাথমিক অবস্থায় রাজনৈতিক দল ব্যান করেছে, আবার পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায়ও রাজনৈতিক দল ব্যান করেছে। অর্থাৎ, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পার্টি ব্যান হয় না বা ওসব দেশে মতপ্রকাশের পূর্ণ সুযোগ রয়েছে এই ধারণা সঠিক নয়।
জামাত বিষয়ে করণীয়
বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বহুবার প্রমানিত হয়েছে যে জামায়াতে ইসলামী নামের দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বিশ্বস্ত নয় এবং কার্যবিচারে এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। রাষ্ট্রিয় স্থাপনাগুলোতে, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক হামলা, ৫০টির বেশি হিন্দু মন্দিরে হামলা্, পুলিশ হত্যা ইত্যাদি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জামাত নিষিদ্ধ করার দাবি বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার উত্থাপিত হয়েছে। [২৯]
জামায়াতকে ব্যান করতে আপাতদৃষ্টিতে সরকারের কাছে তিনটি পথ খোলা রয়েছে।
এই তিন পন্থাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ নাম্বার ধারায় বৈধতা দেয়া রয়েছে। [৩৪]
আইনি ব্যবস্থায় বিচারিক আদালতের (সনাতন বা সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনাল) মাধ্যমে জামাতে ইসলামীর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পরিপূর্ণ সুযোগ রয়েছে। সংগঠন নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে সংগঠনের লাইফ সাপোর্ট অর্থব্যবস্থায় ও প্রচার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করারও সুযোগ রয়েছে।
এই পর্যন্ত আইনি কাঠামোর বাইরে সংগঠন হিসেবে জামাতকে নিষিদ্ধ না করে নির্বাচন কমিশন জামাতকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে জামাত নির্বাচনে অংশ না নিয়েও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। এমনকি ভিন্ন নামে দল খুলে সেটার মাধ্যমে রাজনীতি চালিয়ে যেতে পারবে। সুতরাং, শুধু দল হিসেবে একে নিষিদ্ধ না করলে জামাত নির্মূল করা আসলে সম্ভব হবে না।
জামাত নির্মূল করতে জামাতি মতাদর্শকে সাথে কবর দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজে এখনই শুরু করে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। এর আওতায়,
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি পাকিস্তানপন্থী ধর্মীয় রাজনীতি। এই পাকিস্তানপন্থীদের সমূলে উচ্ছেদ করাটা হবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার প্রথম ধাপ।
পাঠকদের অনুরোধে লেখাটির একটি পিডিএফ যোগ করা হলো। পিডিএফটি ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকে।
নোট
নোট ১
সম্পূর্ণ তালিকা পাওয়া যাবে Denazification (Cumulative Review) Report of the Military Governor (1 April 1947 – 30 April 1948) এর Annex G (পাতা ৪৪-৪৫)-এ।
ডকুমেন্টটি পাওয়া যাবে - এখানে ।
[পিডিএফ ফাইল ৩০+ মেগা]
নোট ২
আমেরিকা অধিকৃত এলাকায় বলবত হওয়া আইনগুলোর তালিকা পাওয়া যাবে এখানে
এইসব আইন মূলত খসড়া পরিকল্পনাগুলোর আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও সম্প্রসারণ। যেমন, Military Government Law No. 8এ উপরে বর্ণিত ৭ নম্বর খসড়া প্রস্তাবের সম্প্রসারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নাৎসিদের জার্মানির অর্থনীতির ওপর প্রভাব নিরোহিতকরণের রূপরেখা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত নাৎসিরা ন্যুনতম কায়িক পরিশ্রমের বাইরে অন্য উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে না বলা হয়েছে।
সূত্র
[১] নাৎসি পার্টি উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[২] Annex XXXIII, Basic Preliminary Plan Allied Control and Occupation of Germany (Control Council Period) 15 Feb. 1945
[৩] Denazifying the Nazis, The Review of Politics, V019, Issue 02, April 1947, pp 153-172, Cambridge University Press 1947
[৪] স্টুর্মআবটাইলুঙ উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[৫] শুৎসটাফেল উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[৬] হিটল্যার ইউগেন্ড উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[৭] নাৎসি পার্টি লিডারশীপ কর্পস উইকি এন্ট্রি লিংক
[৮] গেস্টাপো উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[৯] সিখারহাইটসডিন্সট উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[১০] রাইখস কেবিনেট উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[১১] ওব্যরকমান্ডো ডেস হেরেস (Oberkommando des Heeres) উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[১২] মর্গেনঠাউ প্ল্যান উইকিপিডিয়া আর্টিকেল লিংক
[১৩] ইয়ালটা কনফারেন্স উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[১৪] পটসডাম চুক্তি উইকিপিডিয়া প্রবন্ধ লিংক
[১৫] জার্মান সংবিধান গ্রুন্ডগেযেৎস - লিংক
[১৬] মুক্ত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা (ফ্রাইহাইটলিশে ডেকোক্রাটিশে গ্রুন্ডঅর্ডনুঙ লিংক
[১৭] জার্মান সংবিধান ধারা ৭৯(৩) লিংক
[১৮] জার্মান সংবিধান ধারা ২১(২) লিংক
[১৯] জার্মান সংবিধান ধারা ৯(২) লিংক
[২০] জার্মান BverfGG ধারা ৪৬(৩) § 46 III BVerfGG লিংক
[২১] জার্মান সংবিধান ধারা ১৮ - Grundrechtsverwirkung, Art 18 GG লিংক
[২২] জার্মান সংবিধান ধারা ৫(১) লিংক
[২৩] জার্মান সংবিধান ধারা ৫(৩) লিংক
[২৪] জার্মান সংবিধান ধারা ৮ ও ৯ Art 8 GG লিংক Art 9 GG লিংক
[২৫] জার্মান সংবিধান ধারা ১২ ও ১৪ Art 12 GGলিংক, Art 14 GG লিংক
[২৬] ইতিহাস নিয়ে তামাশা বন্ধ আইন চাই [হাসিব – সচলায়তন]লিংক
[২৭] ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ও সামান্যীকরণ বিরোধী আইন’ চাই – [ষষ্ঠ পান্ডব – সচলায়তন] লিংক
[২৮] Decomcratisation and the Illegalisation of Political Parties in Europe, Angela K. Bourne, Published in: working paper series on the legal regulation of political parties, no. 07, February., Date of publication: 2011
Download লিংক
[২৯] জামাত নিষিদ্ধ আগামি মাসের মধ্যেই – হানিফ লিংক
[৩০] বিশেষ ক্ষমতা আইন ধারা ২০ লিংক
[৩১] হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ [প্রথম আলো ২২-১০-২০০৯] লিংক
[৩২] হিজবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ তালিকায় আরও ১৪ [নিউজ বাংলা ডেস্ক ২৪-১০-২০০৯]লিংক
[৩৩] সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ লিংক
[৩৪] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ধারা ৩৮ লিংক
মন্তব্য
প্রয়োজনীয়, তথ্যবহুল, শিক্ষনীয়, যুক্তিপূর্ণ একটা মারাত্মক, অসাধারণ, ফাটাফাটি লেখা হয়েছে হাসিব ভাই
ব্যাপক শেয়ার হউয়া উচিত এবং অতি অবশ্যই দন্ডমুন্ডের কর্তাদের কোনভাবে পড়ানোর ব্যবস্থা করা উচিত।
অনেক ধন্যবাদ ।
দন্ডমুন্ডের* কর্তাদের এটা পড়ানো দরকার অবশ্যই। তবে কাগুজে পত্রিকার কলামলেখক ও টিভিতে টকশোজীবিদেরও এইটা পড়ানো উচিত। উনা হরহামেশা হিল্লিদিল্লীওয়াশিংটন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি শব্দ আওড়ান। তাদের একটু জেনেবুঝেশুনেপড়ে মন্তব্য করা উচিত।
[*] দন্ডমুন্ড মানে কী? লাঠির মাথা?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
পান্ডবদা কে জিজ্ঞেস করে নেই
দণ্ডমুণ্ড=সাধারণ শাস্তি থেকে প্রাণদণ্ড পর্যন্ত সকল প্রকার শাস্তি।
দণ্ডমুণ্ডের কর্তা= সকল প্রকার শাস্তিদানের অধিকারী। যিনি রাখলে রাখতে পারেন মারলে মারতে পারেন। নৃপতি, শাসক বিচারক।
(বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান)
ইয়েস - আমিও চাই এটা - কোন এক ধরনের হার্ডকপি পৌঁছে দিতে চাই এদের ।
ছোট একটি সংশোধনী - সন্ত্রাস বিরোধী আইনটি প্রণীত হয়েছিল ২০০৯ সালের ১৬ নং আইন হিসেবে। এটি অত্যন্ত যুগোপযোগী একটি আইন। বিশিষ্ট আইনবিদরা এই আইনটির উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন।
পোস্টে তো ১৯৯৯ সালের কথাই আছে। পরে গতবছর একটা সংশোধনী আসে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এরে বলে স্যাকরার টুকটাক, কামারের এক ঘা।
সবার পড়া দরকার,
জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে সরকার চালাচ্ছেন যারা,
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে মিডিয়াতে আলোচনা করছেন যারা,
ব্লগাররা, যারা সমাজের প্রাগ্রসর আরেকটি অংশ,
আইন চর্চায় জড়িত যারা তারাও পড়বেন আশা করছি।
চমৎকার কাজ, হাসিব ভাই।
আইন চর্চায় থাকা বুড়োরা, এবং টকশোজীবিরা হিল্লিদিল্লিওয়াশিংটন দেখানোর আগে আসলে ওখানে কী হয়ে সেটা একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন আশা করি। এ্যাবসলিউট স্বাধীনতা কোথাও নেই। এইটা মানতে হবে আগে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
'এই পোস্ট স্টিকি করা হোক' লিখলে তো আবার লোকজন অন্যকিছু ভেবে বসে... তবু এই পোস্ট স্টিকি করার দাবী থাকলো। এইটার দরকার আছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাসিব ভাই, তুরস্কের একেপি/ মিসরের ব্রাদারহুড ও কিন্তু জামাতের খালাত ভাই... প্রথমটা আমার জানামতে কামাল পাশা'র আমল হতে বহুদিন ব্যান ছিল... তুরস্কের মত দেশে এরা কিভাবে মাথাচাড়া দিল সে ব্যাপারেও সম্ভব হলে একটু আলোকপাত করবেন কি? তাহলে ব্যান পরবর্তী সময়ে (আদৌ যদি হয়) আমাদের সতর্ক হতে কাজে দেবে...
আমি খুঁজে দেখবো। রাশার নিষিদ্ধ করার ইতিহাসটাও আরোও বিস্তারিত পড়ে দেখা ইচ্ছা আছে। এখানে ওসব আনিনি কারণ লেখা ইতিমধ্যে অনেক বড় হয়ে গেছে। পরের বার হয়তো এগুলো একত্র করার চেষ্টা করা যাবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অপেক্ষায় থাকলাম...
মুল্যবান একটি লেখা। প্রাসঙ্গিক তথ্যবহুল এবং যুক্তিযুক্ত। তিনটি পয়েন্টের কোনটির পক্ষে বলার মতো কিছু পাওয়া যাবে না। তবে দ্বিতীয় পয়েন্টের বাস্তবতা হচ্ছে এটির পুরো বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ- সুতরাং জামাতকে দিয়েই শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে এন্টি জামাত বেশ কিছু ইসলামী দল আছে যারা স্বাধীনতার সপক্ষের দল। এছাড়া মূলধারার রাজনীতির সাথে ওলামা মাশায়েখদেরও সম্পৃক্ততা আছে, এটাও বিবেচনায় নিয়ে আস্তে আস্তে এগোতে হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সেটাই। একবারে সিদ্ধিলাভ হবে না। একটু একটু করে আগাই। প্রথমে জামাত দিয়ে শুরু হোক।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এর উত্তরে শুধু একটা কথাই বলা যায় - যেই গন্ডি অতিক্রম করলে খোদ স্বাধীনতার অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হতে পারে , সেই গন্ডিতেই স্বাধীনতা বেধে দেওয়া উচিত। জামায়াতকে রাজনীতি করার স্বাধীনতা দিতে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার স্বাধীনতা বিসর্জন দিলে সেই স্বাধীনতার উপযোগিতা কী?
আমার জানামতে এখনও আমাদের ইতিহাস বইগুলোতে নাম ধরে কোন রাজাকারের উল্লেখ করা হয় না। রাজনীতি-অসচেতন পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী একারণে ছুপা ছাগুদের ন্যায় রাজাকারদের বিচার চায় কিন্তু কেপি টেস্টে ফেল মারে(আর বলাই বাহুল্য, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যসূচীর বাইরের বই পড়ার "পাগলামো" অধিকাংশই করে না)। শীর্ষ রাজাকারদের নাম পাঠ্য-পুস্তকগুলোতে খোদাই করে রাখাটা খুবই জরুরী।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
এটা একটা ইন্টারেস্টিং ফাইন্ডিং। তুলে ভালো করেছেন। এই বিষয়ে একটু খোঁজ নিতে হবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মন্তব্যটা লেখার সময় আমার বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগের মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের সমাজবিজ্ঞান বইয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ অংশটার কথা মাথায় ছিল। নিচের ক্লাস কিংবা অন্য বিভাগের বইগুলার ব্যাপারে জানি না। তবে মাধ্যমিকের কিছুটা পরিণত বয়সের শিক্ষার্থীদেরই যদি নাম ধরে রাজাকার চেনানো না হয়, তাহলে ছোট শিশুদের ইতিহাস বইতেও নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম কিছু ঘটে না।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
বাংলাদেশের কোন পর্যায়ের কোন পাঠ্যপুস্তকে রাজাকার ও পাকিস্তানীদের দোসরদের নাম আজ পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। অতি অল্পসংখ্যক পাঠ্যপুস্তকে এক আধটা দালাল রাজনৈতিক দলের নাম থাকলেও প্রায় সকল শিক্ষার্থী দালালদের নাম ও তাদের সংগঠনের নাম জেনেছে বয়োজ্যেষ্ঠ, মিডিয়া বা 'আউট বই' থেকে। এই ব্যাপারটা অসচেতনভাবে ঘটেছে এমনটা ভাবার কারণ নেই। ৪২ বছরে এটা কর্তাদের কারোই মনে হয়নি বা চোখে পড়েনি এমনটা ভাবারও কারণ নেই। ইচ্ছে করেই করা হয়নি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ দেবার রাস্তায় হাঁটলাম না, কারণ সেটা যথেষ্ট নয়। এই লেখা নামাতে কী পরিমাণ খাটুনী গেছে সেটা বুঝতে পারি। আপনার কপালে এমন খাটুনীমূলক কাজ আরো জুটুক। লেখাটার একটা পিডিএফ ভার্সান করে লেখার শেষে জুড়ে দিন।
জনগণের দাবিগুলো কী আর জনগণের প্রয়োজনগুলো কী সেটা ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা কতটুকু জানেন আর কতটুকু জানার চেষ্টা করেন? ক্ষমতা হারালে সবাই দোষারোপ করার জন্য বলির পাঁঠা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে চোখে দেখতে না পাওয়া আর কানে শুনতে পাওয়ার জন্য কী কী ক্ষতি হলো সেই হিসাব কেউ করেন না। এই একটা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এই অন্ধচক্রটার গতি রুদ্ধ হোক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অচিরেই দিচ্ছি। বাংলায় সায়েন্টিফিক ডকুমেন্ট লেখার কোন উপায় দেখি নাই। তবুও যা হয় জুড়ে দেব।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অসাধারণ ... ফাটাফাটি ... অত্যন্ত তথ্যবহুল একটা লেখা।
লেখককে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব তার ভাষা পাচ্ছি না।
চরম চরম চরম শেয়ার চাই লেখাটার।
আর হ্যাঁ, অন্যদের মতো আমিও বলতে চাই, কি করে এটা হর্তা-কর্তাদের দেখানো যায়? তার কোনো ব্যবস্থা পারলে কেউ করেন।
---
পাপ্রদজ
'৭১ এর যুদ্ধাপরাধ ছাড়াও; সাম্প্রতিক কালে জামাত শিবিরের দ্বারা সংঘটিত উন্মত্ততায় যে এতোগুলো প্রাণহানী হলো, বয়ে গেল রক্তের হোলী আর চললো নারকীয় ধবংসযজ্ঞ... এরপরও ক্ষমতাশীন দলের পক্ষ থেকে জামাতকে ব্যান করার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেই! জামাতকে ব্যান করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্টতা এবং জনসমর্থন (শাহবাগের গণজাগরণ) থাকার পরও এই নিরবতার কারণটা কী?
বটম লাইনটা হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আইন খুঁজে নেয়া কোন সমস্যা নয়। সরকার মনে হয় অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি কতোদুর গিয়ে গড়ায় সেটা দেখার জন্য। রায় ঘোষণার পর শ'খানেক প্রাণহানি ঘটেছে। ফাঁসি, নিষিদ্ধ ইত্যাদিতে গেলে কতোজনের প্রাণহানি ঘটে সেটা চিন্তার বিষয়। তাছাড়া সরকারি নিরাপত্তাবাহিনী, নিরাপত্তাব্যবস্থা যথেষ্ট প্রস্তুত না বড় ধরণের পরিস্থিতি সামাল দেবার মতো এটা মনে হয় এবার বোঝা গেছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
"বটম লাইনটা হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে আইন খুঁজে নেয়া কোন সমস্যা নয়।" সেটাই!
জামাত ব্যান করার ব্যাপারে আসলে কোন রাজনৈতিক দলেরই সদিচ্ছা নেই, বিএনপির তো নয়ই এমন কী আওয়ামী লীগেরও নয়! জামায়াত শিবিরকে জিইয়ে রেখে নোংরা পলিটিক্সটা চালাতে পারলে অনেকেরই লাভ! জামাতকে ব্যান করার জন্য আওয়ামী লীগ সেই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্টতাটি নেকস্ট টার্মে নাও পেতে পারে! এই সুযোগটা হাত ছাড়া করা একদম উচিত হবেনা! ক্যাজুয়ালিটির ভয়ে পিছিয়ে থাকলে, "জামায়াত-শিবির" নামক বিষবৃক্ষটি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কুরে কুরে খাবে!
একমত। এখনই সময়। পরিস্থিতি কতোদূর গড়ায় এটা দেখতে যেয়ে দেরি করাটার ফলাফল আরো খারাপ হতে পারে। দলটি নিষিদ্ধ হয়ে গেলে নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজতর হবে বলে মনে করি।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
সূত্র: বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ
সরকারী দল ও বিরোধী দল একমতে পৌছালো যে বাংলাদেশে জামাত এর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কিন্তু কে প্রস্তাবটি নিয়ে এগিয়ে আসবে এ নিয়ে মতানৈক্যে পুরো বিষয়টিই ঝুলে গেল। ২০ বছরে ওরা কিন্তু বসে নেই। বৃহৎ দুটো দলও জামাত প্রশ্নে তাদের নিজেদের মধ্যে দুরত্ব বাড়িয়েই চলছে। এভাবে জামাত কে আর কত সময় দেয়া হবে?
ছোট একটা টাইপোঃ
জার্মানিতে তখন নাৎসিরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তারপরও তাদের (সেসব মতবাদ সহ) ওরা নির্মূল করতে পেরেছে। আর বাংলাদেশে তো জামাত তেমন বেশি লোক সমর্থন করে না (অন্তঃত এই পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়ছে, সেগুলোর ফলাফল তাই বলে), এখানে জামাত নিষিদ্ধ এবং নির্মূল করা (তাদের যাবতীয় মতবাদ সহ) তুলনামূলক সহজ হওয়া উচিত।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
থেংকু।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দারুণ একটা তথ্যবহুল লেখা
দুর্দান্ত লিখেছেন!
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
"এই পোস্ট স্টিকি করা হোক' লিখলে তো আবার লোকজন অন্যকিছু ভেবে বসে... তবু এই পোস্ট স্টিকি করার দাবী থাকলো। এইটার দরকার আছে"__ সহমত @নজরুল ইসলাম
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
এই গবেষণাধর্মী সংকলনটার বড্ড দরকার ছিল হাসিব ভাই। কুর্নিশ কত কত জায়গায় ছড়াবো, কীভাবে ছড়াবো লিস্ট করতেছি।
জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হোয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই.........
_____________________
Give Her Freedom!
অবশ্যপাঠ্য...
অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
তবে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাচ্ছিনা।
যেমন ধরেনঃ
এইটা কিভাবে সম্ভব তা একটু ব্যাখ্যা করবেন দয়া করে?
কোন আইনের ভিত্তিতে আপনি একজনকে নতুন দল গঠনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন?
এধরণের আইনের বাস্তব কোনও প্রয়োগের উদাহরণ দিতে পারবেন(একনায়কতান্ত্রিক দেশগুলো বাদে)?
শিবিরের কি হবে জামাতকে বাতিল করার পর?
ধন্যবাদ।
-- জ্যোতিস্কর দাদু
জামাত শিবিরের সদস্য তালিকা নিশ্চয়ই রয়েছে। সেটা ধরে আগালে সমস্যা কী?
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের মনে হয় নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধি আছে। নতুন দল রেজিস্ট্রেশনের সময় এরকম কিছু থাকার কথা। না থাকলেও যোগ করে নিতে আপনার আপত্তি আছে?
এধরণের আইনের বাস্তব কোনও প্রয়োগের উদাহরণ দিতে পারবেন(একনায়কতান্ত্রিক দেশগুলো বাদে)?
জার্মানি।
আপনি জামাত ও শিবিরকে আলাদা ভাবেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এখন বুঝতে পারছি মনে হয়।
সংগঠনটি যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে তার সাথে জড়িত সবাই কে রাজনীতিতে অংশগ্রহন করা থেকে নিষিদ্ধ করা যাবে?
ফৌজদারী মামলা না থাকলে বাধা দেয়ার উপায় থাকছে না।
নাকি জড়িত বলেই উপরের নিয়ম মেনে অটোমেটিক সবার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে?
জামাতের সাথে শিবিরের আইনী সম্পর্কটা কেমন? সেটা জানিনা বলেই প্রশ্নটা করলাম।
জামাত কে যুদ্ধ-অপরাধ আইনে বাতিল করা যাবে। একই আইনে কি শিবির কে বাতিল করা যাবে? নাকি শিবিরকে সন্ত্রাসী-সংগঠন হিসেবে প্রমান করে?
আপনার প্রস্তাবে আমার কোনও আপত্তি নাই, কিন্তু ঠিক কিভাবে এটা সম্ভব সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।
স্যুড ডয়েচে যাইতুঙ্গের এই আর্টিকেলটা দেখেন, জার্মানীতেও বিষয়টা এত সহজে নিষ্পত্তি হয়নি।
bericht-ueber-ns-vergangenheit-deutscher-politiker-zu-viel-undemokratisches-personal-1.1242602
-- জ্যোতিস্কর দাদু
আপনার প্রশ্নমালার ধারা বুঝতে আমি অক্ষম।
মামলার কথা আসছে কেন? মামলা করে নিষিদ্ধ করতে হবে একথা কেন বলা হয়েছে কোথাও?
জামায়াত শিবিরের আইনি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে দলিলপত্রের প্রমান লাগবে কেন?
আপনি কি আজকে যে শাহবাগে হামলা হলো, দুটি মন্দির ভাঙ্গা হলো সেগুলোর জন্যও দলিলিপত্র দেখতে চান?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে জরুরীও। লেখাটা অতিঅবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করা উচিত। পুরাটুকু যদি নাও হয়, অন্তত জামাতের সাথে নাৎসি বাহিনীর সাজুয্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দেশবিরোধী দলগুলিকে কীভাবে দমন করা হয়, সেই অংশটুকু।
একমত পোষণ করছি।
দারুন একটা কাজ করেছেন ভাইয়া। খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দারুণ বিশ্লেষণ। সময়োপযোগী লেখা।
একটি প্রশ্নঃ ইতালীর ন্যাশনাল ফ্যাসিস্ট পার্টি কি নিষিদ্ধ ঘোষণার ৫ বছর পরেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রথম নির্বাচন বলতে বোঝানো হচ্ছে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন। ওটাতে নিষিদ্ধ দলের অংশগ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। ফ্যাস্টিস্টদের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ৫ বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অত্যন্ত জরুরী আর পরিশ্রমী লেখা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মানব শরীরের সাথে যদি রাজনৈতিক বাংলাদেশের তুলনা করা হয় তাহলে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহকে একেকটা অঙ্গের সাথে তুলনা করা যায়। সে ক্ষেত্রে জামাতে ইসলামীকেও শরীরের ক্ষুদ্র একটা অংশ বলা যায়। আকারে ছোট হলেও তার যন্ত্রণাপ্রদান ক্ষমতা সর্বব্যাপী। কারণ ক্ষুদ্র অংশটি একটি জীবন্ত বিষফোঁড়া। গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের মানুষ সেই বিষফোঁড়ার অস্তিত্ব টের পেয়েছে আতংকিত প্রতিটা মুহুর্তে। সে বাংলাদেশের সমস্ত শরীরে যন্ত্রণার বিষ ছড়িয়ে প্রমাণ করেছে কেন তার অস্তিত্বের বিরুদ্ধে এতটা সোচ্চার বাংলাদেশের মানুষ ও শাহবাগের গণজাগরণ। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তাদের সাথে বাংলাদেশের বাকী রাজনৈতিক দলগুলোর পার্থক্য। রাজনৈতিক দাবী আদায়ের নামে এত বিধ্বংসী মনোভাবের নজির বাংলাদেশে অন্ততঃ নাই। যারা এদেশকে নিজের দেশ মনে করে না, তাদের পক্ষেই এত ধ্বংসযজ্ঞ সম্ভব। এরকম কোন দলের অস্তিত্বই একটা দেশের জন্য কলংকজনক।
আসলে জামাতে ইসলামী আসলে কোন রাজনৈতিক দল না। তারা হলো ইসলামের ছদ্মাবরণে, রাজনৈতিক দলের ছদ্মাবরণে একটা সুসংগঠিত সন্ত্রাসী অপশক্তি। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে এক সময় নাকি তাদের প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং মওদুদীও তাদের উপর আস্থা হারিয়েছিল। মওদুদী তার নিজের সন্তানদের কাউকে জামাতের সংস্পর্শে যেতে দেয়নি বলে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছে মওদুদীর এক সন্তান ফারুক মওদুদী। সহযোগী ব্লগ আমারব্লগে তার বাংলা অনুবাদও প্রকাশ করেছে দেখলাম। আজকের প্রেক্ষিতে সেই কথাগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়। এর পর জামাতকে চিনতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়।
দেশব্যাপী জামাতের নারকীয় তাণ্ডব আর শক্তির মহড়া দেখে যেসব 'নিরপেক্ষ' লোক ভাবছেন- 'যেহেতু তাদের শক্তি সামর্থ্য একটা সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিতে সক্ষম, তাই ঝামেলায় না গিয়ে তাদের দাবী মেনে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হোক, তারা যেটা চায় সেটা দিয়ে তাদের শান্ত করা হোক'- তাদেরকে বলছি দেশব্যাপী নারকীয় সন্ত্রাস কায়েমের সক্ষমতার সাথে তুলনীয় হয় রইসউদ্দিনের সেই বিষফোড়াটার, যেটা তাকে তিনদিন সোজা হয়ে হাঁটতে দেয়নি। কিন্তু তাই বলে সে বিষফোড়ার কাছে আত্মসমর্পন করে সারাজীবনের জন্য শয্যা নিয়েছিল? না। সে প্রথমে প্যারাসিটামল খেয়েছে, কাজ হয়নি। তারপর এন্টিবায়োটিক খেয়েছে, কাজ হয়নি। তারপর বাধ্য হয়ে শল্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ফোঁড়াটা কেটে বাদ দিয়েছে। সে জানতো শরীরে বিষফোঁড়া জিইয়ে রেখে কোনদিন সুস্থ জীবনযাপন করা যায় না।
অতএব, বাংলাদেশকে সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য যে চিকিৎসার দরকার সেই চিকিৎসা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হোক রাজনীতিতেও।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ইসলামী ছাত্র শিবিরকে ইতিমধ্যেই এক্সট্রিমিস্ট গ্রুপ হিসেবে তকমা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল। এখানে শিবিরের গত তের বছরের আকামগুলো লিপিবদ্ধ আছে।
গুরুতত্বপুর্ন পোস্ট।শেয়ার্ড দিলাম
জামায়াত শুধুমাত্র একটা রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটা গোষ্ঠি। এই গোষ্ঠি ধর্ম, রাজনীতি, সন্ত্রাস সবকিছুই ব্যবহার করেছে তাদের গোষ্ঠি স্বার্থ হাসিলে। ধর্ম নিয়ে জামায়াতের কোন মাথাব্যথা আদৌ আছে বলে মনে হয় না, এরা ধর্ম কে যখন খুশি বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। নইলে যে দল নারী নেতৃত্ব হারাম বলে আখ্যা দেয়, সেই দলই কি করে আবার খালেদা জিয়ার আচলের তলায় গিয়ে রাজনীতি করে? জামায়াত নিষিদ্ধ করা ফরয তাদের অতীত এবং বর্তমান উভয় কার্যক্রমের জন্য। একটা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য জামাতের মত দল হুমকি বই কিছু নয়। তবে, সেই সাথে দরকার ধর্ম নিয়ে যাতে কেউ রাজনীতি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। না হলে সমস্যার গোড়াটাই থেকে যাবে। প্রথমত, জামাত-শিবির অন্য ইসলামী দলের আশ্রয়ে-প্রশ্র্যে তাদের গোষ্ঠিতন্ত্র কায়েম রাখবে। অন্য ইসলামী দলগুলো মখে মুখে যতই জামাত বিরোধিতা করুক না কেন, শেষ বিচারে এরাই মাঠে নামে জামায়াতের পিঠ বাঁচাতে, ২০ তারিখের হরতালে আমরা তা দেখেছি। দ্বিতীয়ত, এই সব দলের যে দর্শন তা কোন সুস্থ মানুষে্র পক্ষে ধারন করা সম্ভব নয়। এরাই যে ভবিষ্যতের জামায়াত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে না তার গ্যারান্টি কি? তাছাড়া, জামায়াতের হাতে যে পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর মেরুদন্ড ভেঙে না দিলে তাদের বংশবিস্তার ঠেকানো যাবে না।
তবে, আমরা যা কিছুই বলি না কেন, বল এখন আওয়ামী লীগের কোর্টে। পারবেন কি শেখ হাসিনা তার সৎসাহস দেখাতে?
অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলগুলোর জামায়াত প্রতিরোধে খামতি আছে এই বিষয়ে আমি একমত। এরা জামায়াত হিসেবে ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে এই আশংকা আমিও ধারণ করি। এজন্য দীর্ঘমেয়াদে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিলোপ দরকার।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নাৎসিরা ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত যা করেছে, জার্মানি অন্তত তাদের নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে একটা দাঁড়ি বসাতে পেরেছে এই রক্তাক্ত ইতিহাসে। কিন্তু এই জামাআতী বেজন্মারা সেই দেশ বিভাগের আগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গোঁদফোড়া হয়েই রয়ে গেলো!!
প্রশাসনের সময় এসেছে কিছু করার, নয়তো এরা প্রশাসন কে সবসময়ের মতোই কাঁচকলা দেখিয়ে নৃসংশতা চালিয়ে যাবে!
কসাই মওলানা
নিঃসন্দেহে স্বীকার করতে হবে লেখাটি অসাধারণ তথ্যবহুল একটা লেখা। অবশ্যই শেয়ার করব। তবে আমি একটু যোগ করতে চাই, তাহল শুধু জামাত নয় সাথে সাথে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও নিষিদ্ধ করা হোক। এতে হয়ত সাময়িক বিশৃঙ্খলা বারবে কিন্তু গনতন্ত্রের পথে আমরা যে দুরুত্ব পিছিয়ে আছি তা কিছুটা কমবে। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিলে অচিরেই তা সম্ভব। কারন জামাতের বেশিরভাগ কর্মিই অপরিচিত মুখ আর তাছাড়া এদেরকে সেভাবে চিনহিত করে রাখাও প্রায় অসম্ভব। তো আজবাদে কাল জামাত নিষিদ্ধ হলে এরা সমমনা অন্য কোন দলে আশ্রয় নিবে। আগের মতোই আবার সহিংস হয়ে উঠবে। তাছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর গনতন্ত্র একপাত্রে রাখা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
রূপরেখা বলুন আর যাই বলুন, সরকার সবই জানে..জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে যেটা লাগে সেটা হলো সত্সাহস যার অভাব সরকারের আছে বলে আমার ধারণা...মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী হারামি গুলার বিচার একমাত্র আওয়ামিলিগ এর পক্ষেই করা সম্ভব (অথবা একমাত্র আওয়ামিলিগ কে দিয়েই করিয়ে নেয়া সম্ভব)--এই জায়গাতেই আমরা অসহায়..সন্দেহর প্রচুর অবকাশ সত্ত্বেও বর্তমান সরকারকে বিশ্বাস করা ছাড়া কোনো গতি কি আমাদের আছে?
আজাইরা ধুনফুন না করে জামাত শিবির কে নিষিদ্ধ করে দিন, দেখবেন ক্ষমতার রাজনীতিতেও আপনাদের জয় হবে...আমাদের আশাহত করবেন না..
নিষিদ্ধ করলেই সব কিছুর সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না। আমার মনে হয়, সব দলেরই যে সব নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত তাদের প্রত্যেককে শাস্তি দিতে হবে। দেখুন, তাহলে জামায়াত-শিবির কিন্তু নাশকতা করতে পারবে না। জামাত-শিবিরের নাশকতার শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে এমনিই দল ভেনিশ হয়ে যাবে। তাহলে আবার নিষিদ্ধের কথা বলে সমালোচনার দরকার কি। বিগত সময়ের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শাস্তি দিতে পারলে এতোদিন জামায়াত-শিবির থাকতো না। এখনো স্থানীয় পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করলে আ'লীগ-বিএনপি নেতারাই ছাড়াতে শুপারিশ করছে।
নাশকতা ছাড়াও জামাত-শিবির যে বাংলাদেশ নামক ধারণার সাথে এক লাইনে যায় না এই বিষয়টা মনে হয় আপনি বুঝতে পারছেন না। বাংলাদেশ নামে পরিচিত ধারণার সাথে জামায়াতে ইসলামী যায় না বলে আর সব নাশকতার সাথে জামাতে নাশকতা মেলানোর সুযোগ নেই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তিন ধরণের লোক জামাতকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়
১। রাজাকার আর তাদের সহযোগী/সমর্থক (বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, বংশধর)
২। সরাসরি জামাতের সুবিধাভোগী (সরকারি, বেসরকারি, সামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহে জামাতের সুপারিশে চাকুরীররত বা ব্যবসাকারী)
৩। জামাতকে ইসলামের সমার্থক ভেবে বসে থাকা কিছু মানসিক প্রতিবন্ধী।
রাষ্ট্রের পক্ষে এক আর দুই চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া খুবই সম্ভব (রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি, গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ, রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ইত্যাদি)
তিন নম্বুরী গুলো কিছুই পায় না, জেহাদের নামে শুধু শুধু প্রাণ হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাধেই কি এগুলোরে ছাগু কয়? বন্ধুবান্ধব পাড়াপ্রতিবেশী মিলে এদের দৌড়ের উপ্রে রাখতে হবে
কয়দিন লেগেছে এইটা গোছাতে?
তিনসপ্তাহ ধরে পড়লাম। ১সপ্তাহ ধরে লিখলাম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এরকম লেখার চাইতে বেশি জরুরী আর কিছু নাই এখন।
লেখাটা সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধমত জানাই। দেশেরটান বাইরে থেকে মনে হয় এগুলাই সর্বত্তোম অংশগ্রহন।
ধন্যবাদ জানিব ভাই!
Bitte schön.
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জামাতের ইসলাম ইসলাম নয় তা প্রচার করা জরুরী
সবাই জামাতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার কথা বলছেন কিন্তু কেউ একটিবারও অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে মোকাবেলা করব সেটা বলছেন না কেন ?
অসাধারণ লেখা হাসিব ভাই।
জটিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চমৎকার, তথ্যবহুল । হাসিব ভাই আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখা পরিশ্রম করে লিখেছেন এর জন্য । আমার অনেক জ্ঞান বাড়লো । অনেক শিক্ষিত জ্ঞান পাপি জামাত শিবিরের দালাল তাদেরকে এই লেখাটা পড়া উচিত ।
Md. Mostafizur Rahman
লেখাটা খুব ভালো হয়েছে। অনুবাদ করে প্রকাশ করা অবশ্য কর্তব্য। কিছুটা অনুবাদের চেষ্টা করলাম। খুব একটা ভালো হয়নি। তবু চেষ্টা আরকি।
তবে আমি বলবো এটাকে একটু ছোট করে অনুবাদ করতে পারলে বোধহয় ভালো হয়।আমার ব্যক্তিগত ধারনা লেখা একটু ছোট হলে, রিডারশীপ বেশি হয়।
-আইলসা
For quite some time it has been discussed that Jamat-e-Islami should be banned as a political party. There are several schools of thought both in favor and against this proposal. Most of those who argue against the prohibition belong to Jamat-e-Islmai and their stand is self-explanatory. Those, who are not part of Jamat but yet, disagree to ban Jamat, voice the following concerns
Jamat is like another political party and thus have full right to practice politics
Without ban on religious based politics, banning only Jamat-e-Islami will not be helpful
Example of ban on political party is rare in democratic countries. Participation in Politics is a key element of right of expression, which is a fundamental right in a democratic setting.
In reply to the first argument, we should remember, Jamat is different from other political parties. This very party was against the independence of Bangladesh and ample of documented prove are available that confirm their (Jamat) involvement with heinous crimes against humanity during the liberation war of Bangladesh. Even after independenc, they were involved with violent racial politics. Given, their head quarter is still in Pakistan; Jamat cannot be compared to any other political party.
Secondly, any citizen of today’s world would agree to ban religion based politics but we must remember this is a long process and only a few countries have been able to segregate religion from politics. However, we can start with banning Jamat and take the fight forward progressively
The third view is being raised by political analysts, academicians, and politicians from time to time. In reality, most of countries do not allow people, who are against the country, to participate in politics. If it were other way around, we would have seen Al-Qaeda office in USA or Nazi office in Germany.
Based on historical similarities, we would like to discuss the prohibition process on Nazi party in Germany and ban of political parties that are against the country in Europe. In light of afro-mentioned experiences a primary way forward on how we can ban Jamat will be discussed in this article.
German Experience
The unfortunate similarity between Germany and Bangladesh is- both of these countries give birth to some citizen who worked against the country. In terms of characteristic, German Nazi party and Jamat-e-Islami share some common features
• Both oppressed people based on their religious identity. Home, prayer buildings of people with different religious identity were demolished by both of them. And Jamat is still continuing it.
• Both of these two parties committed heinous and inhuman crime like murder, rape, vandalism against their countrymen.
• The attacked the representative symbols of the country. In Germany, the Nazis change the flag, burn books whereas in Bangladesh, Jamat is tearing off flag, destroying Shahid Minar (Shahid Minar is the symbol of victory of Bengali nation, a source of national pride and honor.)
• Both of these parties are notorious of use of special technique for crime against humanity. Nazis used gas chamber while Jamat cut the vein of political opponents and use sharp weapon to silence any concern against them.
Despite the common history of terrorist organization, Germany has completed trial of such terrorist party and the process of such trial is an ongoing one. But in last 40 years we Bangladeshis failed to bring the terrorist party Jamat to the books. Thanks to presences of legal structure in German, they have been able to free the country from those criminals who committed crime against humanity. Bangladesh should focus and learn from the success of Germany.
Political parties working against the sovereignty, independency of the country where they belong is common in history of various countries. States through legal framework have tried to bring the influence of these parties to a minimum is also a common event. Such legal work has been proven to be beneficial over time. In recent time, German experience is note worthy. In thirties, the Nazis were elected to power. But due to anti-Nazi campaign, the Nazi influence in Germany is non existence now.
A draft plan on how eliminate the Nazis was prepared before the final victory was achieved in 1945. Under the plan the followings were included.
• Expunge all the sections based on Nazi ideology from German constitution, law and regulation
• Parks, walk ways, road, government and non-government organization, any sort of infrastructure named after people who support Nazi ideology was renamed. Sculpture and monuments associate with Nazism was demolished. “Swastika” sign was removed from all the places.
• Arrest all the high personnel of Nazi party and forfeit property of Nazi party and associate organization
• Stop pension and other benefit for Nazis
• Arrest Nazi leaders, influential supporters and other citizens who were considered threat to coalition force. Groups that faced trial are Nazi Party Leadership Corps [7], Gestapo [8], SS [5] [9] the Reich Cabinet [10], the German General Staff and High Command [11] and SA (Sturmabteilung)
• All Nazi leaders, activists and supporters were removed from government positions. The same rule was followed in semi-government and non-government offices.
• No nazi propaganda was allowed to be publisher or aired in any media that includes entertainment, theater, education, and religion. No nazi supporter is allowed to work in media.
• Publication and share of Nazi parade or song was disallowed along with display of “Swasthika”
Detailed disnazification program was drafted in April 1945. In Yalta/Crimea conference, where all the state heads of allied force met, the disnazification plan was first shared publicly. The program reached execution stage at Potsdam conference on 30 July 1945.
The same type of disnazification program was adopted in all the conquered areas.
The whole Germany was rebuilt while executing this program. By removal of Nazi supporters & officials at Government & non government level and through confiscation of property, economic and social power of Nazi ideology was bought down to zero. Education system and economic frame was rebuilt.
Even after the end of disnazification program, German law protects the rise of Nazism. German constitution is not politically non partisan rather proactive to protect the basic principles of the state. German constitution use the word, “Freiheitlich demokractische Grundordnung” to represent this free democratic rule of law, which is protected by different means.
Fundamental right of an individual or institution is limited in case s/he or it is a threat to free democratic rule of law. These limited rights are
o Freedom of media [22]
o Freedom of teaching and research [23]
o Freedom of mass gathering and instutionalization [24]
o Professional freedom and right of property [25]
Western media and diplomats lecture us on free democratic environment from time to time. To understand this “freedom” let us dig deeper into legal frame against Nazis of other European countries. Most European countries have law against these treacherous parties and their right to express. Freedom of speech there does not mean to do or say whatever one likes. [26] [27]
হাসিব ভাই আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
আমার দেখা সেরা পোস্টের মধে এটি একটি।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার।
তথ্যবহুল অসাধারণ লেখা! সবারই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখা প্রয়োজন।
আচার্য
দারুন লিখেছেন হাসিব ভাই! অসংখ্য ধন্যবাদ!
শিমুল কিবরিয়া
অনেক পরিশ্রমী তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
এই লেখাটা ব্যাপক হারে প্রসার দরকার।
ভয় হয়, জামাত নিষিদ্ধ হলেও, তারা হয়ত অন্য নামে আবার রাজনীতিতে নামবে! তাই জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হবে এমন ভাবে জাতে তারা অন্য কোন নামে, অন্য কোন দলের সাথে মিশে কোন ভাবেই যেন সুবিধা করতে না পারে। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ না করা হলে দীঘ মেয়াদে জামাত আবার মাথা চাড়া দিবে, সেই সাথে মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করতে হবে। মাদ্রাসা গুলিই শিবির তৈরির কারখানা।
এই লেখাটার জন্য শতকুটি সেল্যুট, বস। দেয়ালে লটকায়া রাখার মতো লেখা। যুদ্ধ করার বিশাল একটা রসদ পাওয়া গেলো।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
এই সময়ে এরকম একটি লেখা অনেকগুলো প্রশ্নের দুর্দান্ত জবাব।
জামাত ব্যান করা নিয়ে একটা ডিবেট আছে আমাদের। চিন্তায় ছিলাম ইনফো কোথায় পাবো । আহ পেয়ে গেলাম। জামাত ব্যান করা নিয়ে আইনি উপায় ব্লগে লিখার জন্য ধন্যবাদ।
হাসিব ভাই খুব ভালো কাজ হয়েছে। মুখে মুখে তর্ক অনেক হইছে, এখন সময় হইছে এই ধরণের তথ্যবহুল লেখা মুখে গুঁজে দেওয়ার।
দারুন তথ্যবহুল এবং সময়োপযোগী একটা পোষ্ট। অবশ্যই আমাদের মাথা মোটা রাজনীতিবিদ এবং তথা কথিত টকশো মডেলদের পড়া উচিত
সারা গায়ে ঘা আছে বলে চিকিৎসা না করে বসে থাকলে চলবে না। চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবঙ সেটা শুরু হোক জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের মাধ্যমেই। বাঙলার মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গেছে! (নিভৃতে যতনে)
পূর্ণাঙ্গ এবং অবশ্যপাঠ্য একটি লেখা। ভাল লেগেছে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ভাল লিখেছে ভাই । খুবই তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা।
জামাত নিষিদ্ধকরণের বর্তমান অবস্থাঃ
১। ২০১৩/১৪ দিকে হাইকোর্টে জামাতে ইসলামি নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য বলে রায় দেয়। (তিনিটি ইসলাম ধর্ম ভিত্তিক দিলের আবদেনের প্রেক্ষিতে)।
২। জামাতে ইসলামি এর বিরুদ্ধে স্টে-ওর্ডার চেয়েছিল, কোর্ট আবেদন খারিজ করে দেয়।
৩। জামাত ইসলামি অ্যাপিল করে, ব্যাপারটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
৪। সরকারের যুক্তি নির্বাহী আদেশে জামাত নিষিদ্ধকরণ এই মুহূর্তে সম্ভব না – সাব-জুডিস ম্যাটার।
৫। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দল হিসাবে জামাতের বিরুদ্ধে তাদের অনুসন্ধান শেষ করেছে ২০১৩ দিকে, কিন্তু চার্জশিট দেয়নি। সরকার বলেছে ১৯৭৩ এর আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে।
৬। আইন পরিবর্তনের ব্যাপারটিও ‘প্রক্রিয়াধীন’।
নতুন মন্তব্য করুন