দানবের থাবা থেকে মুক্ত হোক একুশে বইমেলা

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ১৬/০২/২০১৫ - ৮:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুই বছর আগে মাঝ ফেব্রুয়ারির ঠিক এই সময়টাতে ব্লগার থাবা বাবাকে হত্যা করা হয়। এর কিছুদিন পরেই সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচাইতে সহিংস মৌলবাদি সমাবেশ ঘটায় হেফাজতে ইসলাম নামক এক ধর্মীয় গোষ্ঠি। এদের মূল ক্ষোভ ছিলো ব্লগারদের উপর। ব্লগার কারা? ব্লগার হলো তারা যাদের কেউ কেউ হেফাজত ও সমমনাদের পছন্দ নয় এরকম কিছু কথা লিখেছে। এই ব্লগাররা কাউকে সেই লেখা দিয়ে হত্যার উস্কানি দেয়নি, কোন অপরাধীর সাফাই গায়নি, কোন জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এরকম কোন কাজও করেনি। তবুও এদের তালিকা করে ফাঁসির দাবি চেয়েছিলো হেফাজতিরা।

চিন্তাকে রুদ্ধ করার এই প্রক্রিয়া বহু আগে থেকে বাংলাদেশে জারি আছে। এই অপচেষ্টার ফলে দাউদ হায়দার, তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়তে হয়। হুমায়ুন আজাদকে বইমেলার অদুরেই চাপাতির কোপানলে পড়তে হয়। ঐতিহ্য বজায় রেখে এই বছরও বইমেলায় এই অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে রোদেলা প্রকাশনীর একটি বইকে কেন্দ্র করে।

রোদেলা প্রকাশনীর এই বইটির শিরোনাম নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর। মূল লেখক আলি দস্তি। ভাষান্তর করেছেন আবুল কাশেম ও সৈকত চৌধুরী।

এই বই প্রকাশের জের ধরে ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠি বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে। গতকাল গণমাধ্যমগুলো প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে হেফাজতে ইসলামের [১] জুনাইদ বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক "মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি চরম অবমাননাকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ শীর্ষক বইটি বাজেয়াপ্ত ও ‘রোদেলা’ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ" করার দাবি জানিয়েছে।"

তারা আরোও বলেন,

দেশের ক্ষুদ্র একটি ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক পৃষ্ঠপোষিত ‘রোদেলা’ নামক কথিত এক অখ্যাত প্রকাশনী এবারের ২০১৫-এর বইমেলায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ের স্পন্দন ও তৌহিদি জনতার প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ‘নবি মুহম্মদের ২৩ বছর’ শীর্ষক চরম অবমাননাকর ও অমর্যাদাকর বই প্রকাশ করেছে। এই বইটির পরতে পরতে মহান আল্লাহ তা’আলা, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পবিত্র জীবন সম্পর্কে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মিথ্যাচার করা হয়েছে। বইটির লেখক কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক আলী দস্তি।

পবিত্র আসমানী কিতাব কোরআনুল করীম আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিল হয়েছে, অথচ এই চিরন্তন সত্যের বিরুদ্ধে চরম স্পর্ধামূলক উক্তি উচ্চারণ করে বইটিতে বলা হয়েছে যে, কোরআন নাকি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মস্তিষ্ক উদ্ভূত একটি সাধারণ কিতাব এবং এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)।

পবিত্র মিরাজের ঘটনাকে বানোয়াট বলে মন্তব্য করা হয়েছে এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানিতা স্ত্রী ও উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে মিথ্যাচারপূর্বক চরম অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হয়েছে। সদ্য বইমেলায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবমননাকর বই প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে লক্ষণীয় যে, এতদিন ধরে গর্তে লুকায়িত এদেশের ক্ষুদ্র সেই ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী দুষ্টচক্রীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, হেফাজতে ইসলাম শেষ হয়ে যায়নি। এদেশে যতদিন ইসলাম ও তৌহিদি জনতার ঈমান-আক্বিদাকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা চলবে, ততদিন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ তার শেষ রক্তবিন্দুর বিনিময়ে হলেও ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীর সকল অপতৎপরতা রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ।

এই জঘন্য খোদাদ্রোহী বই প্রকাশের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, অবিলম্বে সরকার কর্তৃক এই বই বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং এই বইয়ের প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এই বই প্রকাশের নেপথ্য ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী দুষ্টচক্রকে তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দিতে হবে। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে বাংলার তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

হেফাজত ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ন মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান একই রকমের দাবি তুলে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। [২]

এদিকে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে রোদেলা প্রকাশনীর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। Tanjim Al Fahim" And "BD Leet" নামে দুজন সেখানে এরকম একটি মেসেজ পেস্ট করেছেন,

নবীকে অবমাননার প্রতিবাদ স্বরূপ রোদেলা প্রকাশনীর ওয়েবসাইট হ্যাক করলো "সাইবার ৭১"

হ্যালো রোদেলা প্রকাশনী, কি করে ভাবলি যে তোরা বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশে নবী []সাঃ] কে অবমাননা করে বই প্রকাশ করবি আর "সাইবার ৭১" চুপ করে বসে থাকবে? .
এটা তোদের জন্য সতর্কবার্তা, আগুন নিয়ে খেলবেন না। ধর্মীয় উস্কানী মূলক কর্মকান্ড করে নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির আগে আরেকবার ভেবে নিয়ো।
মনে রাখবা, আগুন আর "সাইবার ৭১" কে কখনো আক্রমনে আসতে বাধ্য করতে নেই।
আশা করি ব্যাপারটা পরবর্তিতে খুব ভালো করেই মনে রাখতে বাধ্য থাকবা।

Say no to Rodela Prokashoni.

এছাড়া রকমারি.কম নামে একটি বই বিক্রয়ের সাইটে বইটি বিক্রয়ের জন্য হোস্ট করা হলে কাজি মিনহার মোহসিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এই সাইট থেকে বইটি সরানোর জন্য ৪৮ঘন্টার সময় বেঁধে দেয়। রকমারি ইতিমধ্যে বইটি সরিয়ে ফেলেছে।

গতকাল ফেইসবুকে স্বকৃত নোমান মারফত আমরা জানছি "রোদেলা প্রকাশনীর প্রকাশক রিয়াজ খান গতকালই বইটি তার বইমেলার স্টল এবং বাংলাবাজারের অফিস থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। বইটি বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সবিনয়ে স্বীকার করেছেন, ‘বইটিতে নবী মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকতে পারে এমনটি আমার ধারণায় ছিল না। যেহেতু ভুল করেছি, তাই অপরাধ স্বীকার করে আমি বইটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’" [৩] সেখানে আমরা আরোও জানতে পাই রোদেলার বাংলাবাজার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে অন্য একটি সূত্র [৪] থেকে আমরা জেনেছি সেখানে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

তো দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ দেশের প্রভাবশালী অফলাইন ও অনলাইন মিডিয়াগুলো গত দুইদিন ধরে প্রকাশ করেনি। আজ বাংলা একাডেমির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পর এই নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বাংলা ট্রিবিউন। [৪]

দেশের লেখকদের আশ্রয়স্থল যে প্রতিষ্ঠানটির হবার কথা সেই প্রতিষ্ঠানটি রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়েছে।

সেইসাথে আগামী বছর এই প্রকাশনাটি মেলায় অংশ নিতে পারবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে তারা। আজ বিকেলে বিকালে বাংলা একাডেমির শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে উপপরিচালক মুর্শিদ অানোয়ার বলেছেন, বাংলা একাডেমির নীতিমালা অনুযায়ী মেলায় ধর্ম, রাষ্ট্রকে কটাক্ষ করে কোনও গ্রন্থ প্রকাশ করা যাবে না এবং প্রদর্শন করা যাবে না। রোদেলা প্রকাশনী এ নীতিমালা লঙ্ঘন করায় স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী অাগামী মেলাতেও অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

ধর্মানুভুতির দোহাই পেড়ে একটি গোটা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে হেফাজত ও সমমনাদের আগ্রাসনের কাছে বাংলা একাডেমি নতি স্বীকার করলো। এ থেকে আরোও একটা জিনিস পরিস্কার হলো যে ছাপা কাগজে বই প্রকাশের প্রধান উৎসব হিসেবে যে বইমেলাকে আমরা চিনতাম সে বইমেলায় কোন জঙ্গিগোষ্ঠির ধর্মানুভুতি আহত হবে এমন কোন লেখা প্রকাশ করা যাবে না। এটা করলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার মতো অবস্থায় পড়তে হবে এরকমই একটা মেসেজ আমরা বাংলা একাডেমি থেকে পেলাম আজকে।

বাংলা একাডেমিসহ পুরো দেশ রাহুমুক্ত হোক। রাহুমুক্ত হোক আমাদের গর্বের একুশে বইমেলা। অবিলম্বে স্টল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে হেফাজতমনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে হাজির হোক বাংলা একাডেমি।

সংযোজন ১

নতুন পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে আজ সোমবার সকালে বাংলাবাজারে দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাবাজারের দোকানমালিক ও কর্মচারীরা। এ সময় বইটির প্রকাশক রোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ ও প্রকাশনীটির স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ খানকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলা ট্রিবিউন জানাচ্ছে, মিছিলে বাংলাবাজারের প্রায় সব প্রকাশনী অংশ নিয়ে দাবির প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করেছে। মিছিলপূর্ব সমাবেশে মাকতাবাতুল আশরাফের স্বত্ত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান খান এবং আন-নূর পাবলিকেশন্সের স্বত্তাধিকারী শহীদুল ইসলাম তারেক বক্তৃতা করেন। হাবিবুর রহমান খান তার বক্তৃতায় বলেন, অবিলম্বে বইয়ের সকল কপি বাজেয়াপ্ত, রোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ, অভিযুক্ত মালিক রিয়াজ খানকে গ্রেফতার ও ফাঁসি, ইসলামী টাওয়ার থেকে তার দোকান উচ্ছেদ এবং প্রকাশনীর বাপুস সদস্যপদ বাতিল করা হোক।

পরে বিক্ষোভকারীরা সমিতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটনের কাছে রোদেলা প্রকাশনী ও একই অভিযোগে অভিযুক্ত সদর প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ ও দোষী রিয়াজ খানের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে বাপুস সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন বলেন, 'বিষয়টি অনাকাঙ্খিত এবং দুঃখজনক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হানার কারণে অচিরেই পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ [৫]

এখানে লক্ষ্যণীয়, হেফাজতে ইসলামও প্রকাশকের ফাঁসির দাবি চাননি যেমনটা চেয়েছেন বাংলাবাজারের দোকানমালিক ও কর্মচারীরা।

সংযোজন ২

বিডিনিউজ২৪ বলছে, স্টল বন্ধের দাবির সিদ্ধান্তটি মূলত নেয়া হয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বিডিনিউজকে জানিয়েছেন, "ওদের একটা বই নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমরা ওদের স্টলটা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।"

কী সমস্যা হয়েছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা তো বইটা পড়তে পারিনি। বইটা এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসেনি। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারব না।

“তবে শুনেছি, মহানবীর ওপর কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “প্রকাশকদের বিরুদ্ধে বাংলা বাজারে বিক্ষোভ হয়েছে। এটা শুনেছি, তারা বিষয়টা মিটমাট করেছে। তারা আমাদেরকে বলেছে, স্টলটা বন্ধ করে দেন। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”

একাডেমির উপপরিচালক মুর্শিদ আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের মেলায় অংশগ্রহণের একটা নীতিমালা আছে। এই নীতিমালার ১৩ অনুচ্ছেদের ১৩ ধারায় আছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো কথা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সামাজিক নিরাপত্তা ধ্বংস বিঘ্নিত করতে পারে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড উপলক্ষে কোনো বই প্রকাশিত হলে, সেই বই মেলায় আনতে পারবে না।

“কিন্তু রোদেলা প্রকাশনী মানুষের মনে আঘাত দিতে পারে এ ধরনের একটা বই তারা মেলায় এনেছে। আমরা শনাক্ত করতে পারায় তাদেরকে বাতিল করে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, দুপুরের দিকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে।

মুর্শিদ আনোয়ার আরও বলেন, “ইরানের বই অনুবাদ করেছে। যাই হোক, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে না। সেই বিষয়টা বিবেচনায় রেখেই নীতিমালার আলোকে নিষিদ্ধ করেছে।”

কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা তো আজ দেখলাম, কোনো একটা পত্রিকায় এসেছে।”

পত্রিকার খবর পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পত্রিকার খবর পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও আমরা স্টলে গিয়ে বইটা পাই নাই। কিন্তু খবর নিয়ে কর্তৃপক্ষ যতটুকু জানতে পেরেছি, তার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

স্টলে বইটা না পাওয়া গেলে কিভাবে বইমেলার শর্ত ভঙ্গ করল-এ প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির উপপরিচালক বলেন, “নিশ্চয়ই কোনো একটা অথেনটিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টা বিবেচনা করেছে।” [৬]

সংযোজন ৩

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি রোদেলা প্রকাশনীর সদস্যপদ বাতিল করেছে। [৭]

সূত্র

১. মহানবীকে অবমাননা করে লেখা বই এবং ‘রোদেলা’ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন : হেফাজত [সময়বার্তা২৪.নেট] [লিংক]
[ইমেইজ ব্যাকআপ]
২. রাসুল(সাঃ)-কে অবমাননা করে বই, মেলা ঘেরাও করার হুমকিঃ মানবজমিন [লিংক] [ইমেইজ ব্যাকাপ]
৩. স্বকৃত নোমানের ফেইসবুক নোট লিংক
৪. রোদেলা প্রকাশনী বন্ধ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমিঃ বাংলা ট্রিবিউটন [লিংক]
৫. ধর্ম ও মহানবীকে অবামননার প্রতিবাদে বিক্ষোভঃ বাংলা ট্রিবিউন [লিংক]
৬. নবীর নামে বই ছেপে নিষিদ্ধ রোদেলা প্রকাশনীঃ বিডিনিউজ২৪ডটকম [লিংক]
৭. ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত: রোদেলা প্রকাশনী বন্ধঃ দৈনিক যুগান্তর [লিংক][ইমেইজ ব্যাকাপ]


মন্তব্য

আরিফুল হোসেন তুহিন এর ছবি

পেঙ্গুইন ষাটের দশকে লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার প্রকাশের জন্যে ধনুর্ভাঙ্গা পণ করেছিল। এখানে সেরকম কঠোর অবস্থানে কোন প্রকাশনী যাবার সাহস পায় না। এখানে এখনও কাউকে গায়ের জোর দেখালেই কাজ হয়ে যায়।

সমাজে "গায়ের জোরে" কোন কিছু করা যাবে না, এই ব্যপারটি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

অ্যাঁ
দুর্ভাগ্যজনক।
যার পছন্দ হবে না, সে বইটা কিনবে না। যার ইচ্ছে করবে সে কিনবে।
মেলায় ঢোকার সাথে সাথে তো আর এই বইটা কেনা বাধ্যতামূলক করে রাখা হয় নি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

রোদেলার বেশ কিছু বই ভাল লেগেছিল

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

প্রকাশনা সংস্থাগুলো বছরে একবার ব্যবসা করে। রোদেলাকে পরপর দুই বছর ব্যবসার বাইরে ঠেলে দেয়া হলো এদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা। কয়েকদিন পরে বাংলা একাডেমিকে হেফাজতে ইসলামির বাংলা একাডেমি শাখা ডাকতে হবে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

একটা বিকল্প নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায় না?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

কাগুজে প্রকাশকেরা এই বিকল্পে আসবে না। এক যদি ইবুক জনপ্রিয় করা যায় তাহলে কিছু হতে পারে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বিকল্প নেটওয়ার্ক সম্ভবত এই আলোচনায় প্রাসঙ্গিক না অতটা। রোদেলে প্রকাশনী হিসেবে কীভাবে টিকবে সেটা অবশ্যই একটি আলোচনার বিষয়। কিন্তু নীতিগতভাবে বাংলা একাডেমী হেফাজতের দাবী মেনে নিইয়ে একটা প্রকাশনী বন্ধ করে দিতে পারে কিনা, বা দিলে সেটা আমাদের কী ধরণের ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিবে সেটাই সম্ভবত মূল চিন্তার বিষয়।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কবি,
মূল চিন্তার সাথে আমিও একমত। বাংলা একাডেমির নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন যদি হয়ও, সেটা সময়সাপেক্ষ হবে বলেই আমার ধারণা। এই প্রেক্ষিতে ওপরে হাসিব ভাইয়ের "রোদেলাকে পরপর দুই বছর ব্যবসার বাইরে ঠেলে দেয়া হলো এদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা" প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন হিসেবে বিকল্প নেটওয়ার্কের কথা বলেছিলাম।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হিমু এর ছবি

ঢাকায় শত শত কপি কোরান হাদিস পোড়ানো হেফাগতি শফি হুগুরের চ্যালাচামুণ্ডাদের মুখে ইসলাম বাঁচানোর কথা শুনে ঠাঠা করে হেসে ফেলার বদলে একাডেমি যেভাবে পিট্টান দিলো, তাতেই বোঝা যাচ্ছে বইমেলার ভবিষ্যৎ কী।

হাসিব এর ছবি

বাকি পোকাশকেরাও লাইনে চলে আসছে। হেফাজতিরাও যেটা চায় নাই সেই ফাঁসি চেয়ে বসেছেন উনারা।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আজব তো!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আয়নামতির কথার সূত্র ধরে বলছি,

প্রকাশনী সংস্হাগুলো রোদেলার বিষয়ে প্রতিবাদী না হয়ে যেভাবে রোদেলাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো, একইভাবে সব পাঠকেরা কি পারিনা এই প্রতিবাদে অন্তত একটা দিন বইমেলা বয়কট করতে?

কেউ পাশে থাকবে না। উল্টোটা হলে তো কথাই নাই।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

হাসিব এর ছবি

পৃষ্ঠপ্রদর্শনতো বটেই, তারা ফাঁসি চাহিয়া বসিয়াছেন। এই মোল্লা প্রকাশকদের লইয়া আমরা কী করিব!

পৃথ্বী এর ছবি

শফি হুগুরের জঙ্গি সমাবেশে ক্র্যাকডাউন করে তারপর আবার তাদেরকে জমিজমা কিনে দিয়ে আওয়ামী লীগ কয়টা ভোট পাইল, জানতে মন চায়।


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

হাসিব এর ছবি

কফি হুগুররে শান্ত করতে নিজ দলের প্রথম সারির নেতাও আজকে জেলে। হেফাজতিরা কোনকালেই আওয়ামী লীগের ভোটার ছিলো না এইটা তারা বুঝতে চায় না।

স্বপ্নহারা এর ছবি

বইমেলা ইত্যাদি বেদাতি জিনিসের কী দরকার! সব বন্ধ! একটা বই পড়লেই হয়।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হাসিব এর ছবি

এক বইয়ের পাঠক থেকে সাবধান। গুরুজনেরা আগেই বলে গেছেন এই কথা।

সাফওয়াত এর ছবি

বাংলা একাডেমির সমালোচনা করা যায়। কিন্তু, সম্ভবত সরকার এর পরোক্ষ চাপেই বাংলা একাডেমি এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতে এই ধর্মোন্মাদগুলো যদি এটার সুযোগ নিয়ে আবারও মতিঝিল সমাবেশ এর মত কিছু একটা করে ফেলে তাহলে সরকার এর পক্ষে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। জামাত-বিএনপি এই ধরনের কিছু একটা সুযোগ এরই অপেক্ষায় আছে।
তবে যতই তারা এই ধরনের চাপ তৈরী করার চেষ্টা করবে, সমাজে মুক্তচর্চার আকাঙ্খা আরো বাড়তে থাকবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তসলিমার নিষিদ্ধ সবগুলো বই এর পাইরেটেড কপি নীলক্ষেত, পল্টনে হরদম বিক্রী হয়। এবং যথেষ্ট জনপ্রিয়। নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষনও বেশি।
এখন প্রকাশক/অনুবাদকের উচিত বইটির পিডিএফ কপি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া, দেখা যাক ধর্মোন্মাদগুলো কি করতে পারে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কয়েকদিন পর না বই প্রকাশের আগে পুলিশ দিয়া পাণ্ডুলিপি চেক করাইয়া পারমিশন নিতে হয়...

হাসিব এর ছবি

একটা দরখাস্তের মুসাবিদা করে ফেলা যায়। মুসাবিদা ফলো করে লেখকেরা থানায় পান্ডুলিপি হাতে ধর্না দেবেন।

মাসরুফ হোসেন এর ছবি

ইয়ে, লীলেনদার অভাজনের মহাভারতের পাণ্ডুলিপি পাঠের সৌভাগ্য হইছিলো, থানাতে পাণ্ডুলিপি হাতে ধর্ণা দেয়ার নিয়ম হইলে এই অধমের থানাতে আসার আমন্ত্রণ রইলো লইজ্জা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দরখাস্তটা কি এরকম হবে:

বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাহিত্য)
অমুক থানা

বিষয়: খসড়া পাণ্ডুলিপি পাঠ করিয়া অনুভূতিশূন্য ঘোষণাপূর্বক প্রকাশের অনুমতি দান প্রসঙ্গ

জনাব,
ডট ডট ডট
ডট ডট

বিনীত
অনভূতিশূন্য গোত্রের লেখক
ডট ডট (নাম ঠিকানা জন্ম ধর্ম বাপ মা শিক্ষাগত (অ)যোগ্যতা জাতীয় পরিচয়পত্র ছবি ডট ডট)

অঙ্গীকারনামা:
আমি এই মর্মে ঘোষণা করিতেছি যে আমার রচিত সূর্য কেন ডোবে গ্রন্থের অতটি শব্দের অতটি বাক্যে কোথাও সূর্য ছাড়া কাহারও বদনাম করা হয় নাই; কাহারো অনুভূতিতে আঘাত করা হয় নাই ডট ডট ডট...

হাসিব এর ছবি

হয় নাই লীলেনদা। মাননীয়, বিনীত এইসব শব্দগুলো বাদ পড়ছে। এইগুলো না লিখলে নাকি দরখাস্ত হয় না। জর্মন দেশের বাংলাস্তান এম্বেসি থেকে এই জ্ঞান আহরণ করেছি।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

এটা শিগগিরই হবে।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

হাসিব ভাই কাকে এসব শোনাচ্ছেন? এসব শোনার আর কে আছেন? দেখুন এই ব্লগ লিখে আপনাকেই না গ্রেফতার হতে হয়‍!

হাসিব এর ছবি

ব্যাপার নাহ। কাউরে না কাউরে লিখতেই হবে।

মাসুদ সজীব এর ছবি

অন্য দশটা মুসলমান দেশের মতো বাংলাদেশেও মৌলবাদীদের জয়যাত্রা সর্বত্র অব্যাহত। এখানে ফারাবী-হেফাজতিরা রাষ্ট্র-আইন সবকিছুর উর্ধ্বে। তারা কুরআন পুড়ালে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হয় না, তাই রাষ্ট্র ৫৭ ধারা প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু নুবী কে নিয়ে কিছু লিখলেই ৫৭ ধারার কথা মনে পড়ে রাষ্ট্র আর সংগঠনগুলোর আর তখনি নষ্ট দেশের পঁচে যাওয়া আইনের শাসনের মাঝে সকল আইন সজাগ হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে যায় মৌলবাদীদের পক্ষে। এ লজ্জার নয়, এটাই নিয়তি। আপোষের রাজনীতি করলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে দিনের পর দিন। রাজীবর মরবে, মুন্সী মরবে, দীপু মরবে আর তেতুল বাবারা নিরাপদে আয়েশী জীবন কাটাবে। ধন্য এমন দেশে জন্মে রেগে টং

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

হাসিব এর ছবি

আয়েশী ও প্রিভিলেইজড জীবন তাদের। তাদের কেউ ধরতে পারে না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইখানে তো বলছে কাকের মাংস ঠুকরাতে দাঁড়কাকেরা হাজির, শকুনের ভাগ নেই ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

লিংকটা আবার দেন। আসে নাই।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইখানে টিপি দ্যান

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ ফাইন্ডিং। মূল পোস্টে যোগ করে দিলাম।

ওডিন এর ছবি
বাল্টিক এর ছবি

ব্যাপারটা তো যেরকম হওয়ার কথা তাই হইছে। কোন সমস্যা তো দেখছি না !

হাসিব এর ছবি

ব্যাপারটা এইরকমই হবার কথা ঠিক। আমি প্রকাশকদের কাজ দেখে একটু অবাক হইছি। তারা এইরকম এইটা আমার কাছে নতুন তথ্য।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

বাকি প্রকাশকেরা কী করবে? পাশে দাঁড়াবে? নাকি ক'দিন পর নিজেরাই স্বীকার হবে?
বাংলা একাডেমির কাপুরুষকতার নিন্দা জানাই

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাহ, বাকি প্রকাশকেরাও অর্থনৈতিক অনুভূতিপ্রবণ, দুদিন পর বাঁশটা যে নিজের পেছনেও ঢুকবে সে চিন্তা নেই কারো। চলেন, মার্টিন নিয়েমলারের কোবতে পড়ি গে। মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

বাকি প্রকাশকেদের কাজ বিষয়ে পোস্টে সংযোজিত অংশটি দেখুন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

থেঙ্কু হাসিব ভাই, এই খবরটা দেখার পর পুরো ঘটনাটাই অন্যরকম লাগছিল ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

যুধিষ্ঠির এর ছবি

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড আছে, বই এর জন্য সে রকম কিছু নাই। দূরদর্শী বাংলা একাডেমি এইটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায়ে দিল। এইটা বাংলাদেশে আরও কিছু বুদ্ধিজীবির কর্মসংস্থান করতে বাংলা একাডেমির অবদান। আপনারা জিনিসের ভালো দিক দ্যাখেন না। অচিরেই "জাতীয় ধর্মীয় অনুভূতি প্রতিরক্ষা দিবস"-এর ঘোষনা আসবে। ধৈর্য ধরেন।

হাসিব এর ছবি

পোস্ট আপডেট করলাম। এখানে বাংলা একাডেমি গোটা সিস্টেমের একটা অংশ মাত্র। প্রকাশকেরা আজকে ফাঁসি চেয়ে মিছিল করেছে। ফাঁসির কথাটা হেফাজতিরাও বলে নাই।

ফেইসবুকের স্টাটাসটা তুলে দেই,

কুইজঃ রোদেলা প্রকাশনী সংক্রান্ত ঘটনায় ওর্স্ট অফেন্ডার কে?

ক. প্রকাশকঃ বইটার দায়িত্ব না নিয়ে বইটা হুমকি ও আক্রমনের মুখে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
খ. হেজাজতমনারাঃ যারা দাবি করেছে বই লেখা ও প্রকাশের সংশ্লিষ্টদের "গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথা তৌহিদী জনতা রাজপথে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
গ. রকমারি.কমঃ অনলাইনে হুমকি খেয়ে যথারীতি তারা বই গুটিয়ে নিয়েছে।
ঘ. বাংলাবাজারের দোকানমালিক ও কর্মচারীরাঃ রোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ ও প্রকাশনীটির স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ খানকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসি। বাংলাবাজারের প্রায় সব প্রকাশনী এ দাবির প্রতি একাত্বতা ঘোষণা করে।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অধিক শোকে পাথর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম

খেকশিয়াল এর ছবি

এখনকার ট্যাবু হইলো মানুষের জীবনের থিকা অনুভূতি বড়, আপনে আইছেন মুক্তচিন্তা নিয়া।ধুরু!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

হাসিব এর ছবি

সেই অনুভুতি আবার সিলেক্টিভ। বিশেষ বিশেষ সময়ে সেইটা চাগা দিয়ে ওঠে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে উপপরিচালক মুর্শিদ অানোয়ার বলেছেন, বাংলা একাডেমির নীতিমালা অনুযায়ী মেলায় ধর্ম, রাষ্ট্রকে কটাক্ষ করে কোনও গ্রন্থ প্রকাশ করা যাবে না এবং প্রদর্শন করা যাবে না।

বাংলা একাডেমিতে অনেক ইসলামি পুস্তকালয়ও থাকে, যেখানে আবার এমন অনেক পুস্তক শোভা পায়, যেগুলি অন্য ধর্মগুলিকে শুধু কটাক্ষ করিয়াই বসিয়া থাকে না, অন্য ধর্ম অবলম্বনকারীগণকে দীনের শত্রু ঘোষনা দিয়ে জেহাদে ঝাঁপাইয়া পড়ার উদাত্ত আহবান জানাইতে থাকে। সেই ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদিগকে হেফাজতের তরে অবশ্য কোন হেফাজতি থাকে না, ফলে ঐ পুস্তকগুলি বাংলা একাডেমির নীতিমালাগুলি গলায় ধারণ করিয়া একের পর এক রাজপথ খুনাইয়া চলে!!

জানি না, আলি দস্তির বই আর কোন দেশে নিষিদ্ধ হইয়াছে কিনা! অথবা আর কোথাও কে একটি বই প্রকাশের দায়ে একটি প্রকাশনিরই কপাট লাগাইয়া দেওয়া হইয়াছে? অন্য কোথাও না ঘটিলে আমাদের দেশে ঘটিবে ইহা অবশ্য এখন অনুমানযোগ্য, কেননা আমাদের দেশে একখানা অতি শক্তিশালী হেফাজতি সংগঠন রহিয়াছে, আর সেই সংগঠনের হেফাজতের তরে রহিয়াছে আরও একখানা অতি শক্তিশালী সরকার!!

- অন্ধকূপ

চরম উদাস এর ছবি

বাঙ্গালী মুসলমান ঘরে বসে পবিত্র কিতাব পড়বে। মাঝেমাঝে ফেসবুকে এসে আরিফার হুসেন পড়বে। প্রথমটায় ধর্ম উদ্ধার হবে, দ্বিতীয়টায় দেশ। কচি ব্রেনে এর চেয়ে বেশী চাপ নেয়ার কোন কারণ তো আমি দেখি না। বাকি এতসব বইপত্র সবই অপ্রয়োজনীয় ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

রকমারির সমস্যাটা কি? এত চমৎকার একটা সাইট, দেশের নানা প্রান্তে বই পাঠিয়ে দিচ্ছে- শুধু নিজের ব্যবসা ঠিক রাখার জন্য একটা ধমক খেয়েই চুপসে যাবে? প্রথমে তো ভেবেই নিয়েছিলাম এখানে বই-সম্পর্কিত, এখন তো দেখি কেস অন্য জায়গায়!

রাসিক রেজা নাহিয়েন

হাসিব এর ছবি

এরা আরিফারও পড়তে চায় না। লো রেজুল্যুশনের ছবিতে লেখা হাদিসের কোট শেয়ার করেই তারা দিন পার করে। হুমায়ুন আজাদ বলে গেছেন এক বইয়ের পাঠক থেকে সাবধান। এক বই বিক্রি করতে বইমেলারই দরকার নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

পৃথিবী জুড়ে পশ্চিমা আগ্রাসনের মুখে ইসলাম বিপন্ন। গাজায় ইসরায়েলী বোমা হামলায় নিহত হচ্ছে প্যালেস্টাইনী শিশুরা। নর্থ ক্যারোলিনায় ক্রিশ্চান উগ্র নাস্তেকের গুলিতে ঝরে গেছে তিনটি তাজা মুসলিম প্রাণ। এ রকম সময়ে ইসলামের নবিকে নিয়ে এই রকম একটা বই প্রকাশ ইসলামের বিরুদ্ধে ইঙ্গ-মার্কিন-ইন্দো-ইসরায়েলী ষড়যন্ত্রের আরেকটা নমুনা! (এইটা কি যথেষ্ট উত্তর-উপনিবেশবাদি বিবৃতি হইল?)

পুনশ্চঃ এই লিঙ্কে গেলে আলী দস্তির বইয়ের ইংরেজি ভার্সন পাওয়া যাবে।
http://www.islam-watch.org/Ali_Dasti/

Emran

নজমুল আলবাব এর ছবি

সঙ্কুচিত হয়ে আসছে বাঙালির চিন্তার ক্ষেত্র। দেশে দেশে গড়ে উঠা কালো পতাকা আর মুখোশের মুখ ঘন হয়ে হয়ে উঠছে আমাদের জনপদে। ফতোয়া, পশ্চাদপদতা আর নির্যাতনের মাঝেই আমাদের বসবাস করতে হবে।

হাসিব এর ছবি

সামনে কঠিনতর সময়।

তারিক আজিজ এর ছবি

এতদিন সবার মুখে শুনেছি বাংলাদেশ বাংলাস্তান হতে বেশি দেরি নেই
এখন মনে হচ্ছে বাংলাস্তান হয়েই গেছে

বইটি প্রকাশ হবার পর ভেবেছিলাম ফেসবুকে ইসলাম পচারকরা কড়া কড়া ভাষায় নিন্দা জানানোতে সীমাবদ্ধ থাকবে
কিন্তু যা দেখলাম বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয়ে যায়

ফারাবীর কথা মত চলার জন্য রকমারিকে দোষ দিবনা আর

হাসিব এর ছবি

ফারাবীর কথা মত চলার জন্য রকমারিকে দোষ দিবনা আর

এই বাক্যটা আমি হলে এভাবে লিখতাম,

ফারাবীর কথা মত চলার জন্য এখন থেকে শুধু রকমারিকে দোষ দিবনা আর

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

একদিন শুরুর দিকে মেলায় গিয়ে বইটা দেখলাম একটা প্রকাশনীতে। নামটা ইন্টারেস্টিং মনে হওয়ায় একটু নাড়াচাড়া করে রেখে আসলাম পরে কোনোদিন কিনব এটা ভেবে। তারপর যথারীতি ভুলে গেলাম।

এরপর কাল না পরশু দেখলাম বাংলাবাজারের রোদেলা প্রকাশনীতে হামলা হুমকির খবর। তখন আবার মনে হল বইটার কথা। আজকে মেলায় গিয়েই একটু হাঁটতেই দেখি রোদেলা প্রকাশনীর স্টল। ঠিক যে রকম ছবি দিয়েছেন সেরকম অবস্থায়। আশে পাশে কিছু মানুষের ইতস্তত ঘুরছে। দুজন পুলিশ অস্ত্র নিয়ে বন্ধ স্টল পাহারা দিচ্ছে। কয়েকজন ছবি তোলার জন্যে মোবাইল বের করতে পুলিস ইশারায় ছবি তুলতে নিষেধ করল। তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। উটকো ঝামেলা এড়ানোর জন্যে আর চেষ্টা করলাম ছবি তোলার। একজন পুলিশের কাছে গিয়ে দেখি একজন কথা বলার চেষ্টা করছে। জামার উপরের জ্যাকেটে নীল কালিতে সম্ভবত বাংলা২৪ টাইপের কোনো পত্রিকার নাম লেখা। ভদ্রলোক সম্ভবত সাংবাদিক। আমি একটু দূরে দাঁড়ানো, তাই তাদের মধ্যে কী কী কথা হচ্ছিল সেটা বুঝলাম না। কিন্তু পুলিশের বডী ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি কথা বলতে আগ্রহী না হাত নেড়ে সাংবাদিককে চলে যেতে বলছেন।

আমি আরও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বিশেষ কোনো অগ্রগতি না দেখে চলে আসলাম ওখান থেকে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসিব এর ছবি

ছবি তুলতে না দেবার অভিযোগটা আরো একজন আমাকে জানিয়েছেন। জানা দরকার এই বিষয়ে বাংলা একাডেমির কোন ডিরেক্টিভ পুলিশদের কাছে ছিলো কিনা।

হিমু এর ছবি

একাডেমির কর্তারা কি ভাত খান নাকি অন্য কিছু খান? বইটা তারা পড়েন নাই, বইটার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাবস্ট্যানশিয়েট করে নাই কেউ, হাউকাউ উঠা মাত্র তারা বই সরায় ফেললেন?

হাসিব এর ছবি

এর মানে হলো সেরাম ক্ষমতাবান কেউ কিছু তাদের বলছে। প্রকাশকেরা কি এতোই শক্তিশালী দেশে যে তাদের কথামতো বাংলা একাডেমি মুরগির সালুনে লবনের পরিমান ঠিক করে?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এক সময়ে দৃপ্ত পদক্ষেেপে রাত-বিরেতে যত্রতত্র বিচরন করেছি। আজ এই সময়ে এই বয়সে নিজেকে বড্ড অসহায় বোধ হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা মুক্তবুদ্ধির চর্চা- সবকিছুর অর্থ কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে!

দেখেশুনে প্রতিবাদের আগ্রহও যেন হারিয়ে ফেলছি। সত্যিই লজ্জাজনক! অপমানকরও বটে।

হাসিব এর ছবি

এই ঘটনাটায় অনেকগুলো পক্ষ জড়িত। এবং এই সবগুলো পক্ষই একযোগে রোদেলার নিষিদ্ধ করার পক্ষে।

ঈয়াসীন এর ছবি

রোদেলার স্টল বন্ধ করা হল। এইভাবে বারবার অন্যায়ের কাছে নত হতে হচ্ছে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

হাসিব এর ছবি

আমি এই জিনিস নিয়মিত বিরতীতে দেখতে পাবো আশংকা করছি মন খারাপ

আয়নামতি এর ছবি

দুঃখজনক ঘটনা। একটা বইয়ের জন্য গোটা স্টল বন্ধের কোন মানে দেখিনা।
১। বাংলা একাডেমি অমর একুশের বইমেলার নীতিমালা কি বছর বছর পালটায়? না হলে এমন বলছে কেন চিন্তিত

অমর একুশে গ্রন্হমেলা ২০১৫'র নীতিমালা ভঙ্গ করায় অমর একুশে গ্রন্হমেলা ২০১৫'র নীতিমালা ও নিয়মাবলি'র ১৩.১৩ ও ১৩.১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোদেলা প্রকাশনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে

এখানে খবরটা
২। কিছুদিন আগে এ কে খন্দকারের বইটা কিন্তু অনেকের অনুভূতিতে খোঁচা দিয়েছিল(সঙ্গত কারণে) সে বই কী বইমেলাতে আছে কি নেই? থাকলে প্রথমাকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না!(কোনো স্টলকে বন্ধ করার পক্ষপাতি নই ব্যক্তিগতভাবে, বিশেষকিছু ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান বাদে) ঐরকম কতশত বই মেলাতে আছে তার খোঁজ কিভাবে রাখছেন একাডেমি?

৩। সংশ্লিষ্ট বইটি কতৃপক্ষ না পড়েই কিভাবে এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন, এ ব্যাপারে নীতিমালা কি বলে?

৪। তাহলে কী আমরা এটাই ভেবে নেবো ভবিষ্যতে যে কোনো হুজুগে বই/স্টল বন্ধের রেওয়াজ চালু করতে যাচ্ছে মেরুদণ্ডহীন বাংলা একাডেমি?

৫। দেশটা জুড়ে যখন জ্বালাও পোড়াও চলছে তখন কেন এইসব হুজুগে শফি/কাফিদের অনুভূতি ঘুমায়, সাথে বাংলা একাডেমির তালেবরেরাও।

৬।ভূতের মুখে রাম নাম শোনাটা হাস্যকর, আরো বেশি হাস্যকর যারা রাজাকার শিরোমণি গোআযমকে ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে রেখেছিল তারা যখন এটাকে অন্যায় বলে প্রতিবাদ করে। হাসি পেলেও ঘটনা সত্যি হলে এ বিষয়টার বিহিতের দরকার। একুশের পদককে আর কলঙ্কিত না করার ব্যাপারে সচেতনতা আশা করি। এখন কথা হচ্ছে ঐসব ভূতেরা রোদেলার বিষয়টাতে রামনাম জপছেন কী(কারণ দুষ্টু লোকের ফিসফাসে যেটা বোঝা যাচ্ছে, একাডেমি সরকারের ইশারায় ঘটনা ঘটিয়েছে- প্রমাণ চেয়ে লজ্জা দেবেন না প্লিজ!)?

৭। কিছু কিছু কোবি এবং অপন্যাসিকেরা যেসব অসভ্য অশ্লীল কথা সর্বস্ব গদ্য/পদ্য ছাপেন সেসব বিষয়ে বাংলা একাডেমি তো এতদিন ঘোড়ার ডিম করেছে। এবছরে প্রথমালুর জীবননান্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত কোবিতার বইটা যদি মেলায় এসে থাকে তবে কী সেটাকে বাংলা একাডেমি নিষিদ্ধ করবে বা করতে যাচ্ছে? কারণ ঐ একটা বই- ই শালীনতার যাবতীয় অনুভূতিকে সংজ্ঞাহীন করতে যথেষ্ট! অন্তত আমার নারী অনুভূতি তার যৎসামান্য পড়েই ব্যাপকভাবে আহত, নিহত হবার আগেই বইটা তুলে নেয়া ফরজ কিনা একাডেমির?????

৮। প্রকাশনী সংস্হাগুলো রোদেলার বিষয়ে প্রতিবাদী না হয়ে যেভাবে রোদেলাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো, একইভাবে সব পাঠকেরা কি পারিনা এই প্রতিবাদে অন্তত একটা দিন বইমেলা বয়কট করতে???

বাংলা একাডেমির কৃর্তপক্ষের আসনে কোনো মেরুদণ্ডহীনকে দেখতে চাই না, সাধারণ জনগণ হিসেবে এটা আমাদের অনেকেরই প্রাণের কথা। দানবেরা নিপাত যাক, মুক্ত চিন্তা মুক্তি পাক!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

বাংলা একাডেমি অমর একুশের বইমেলার নীতিমালা কি বছর বছর পালটায়?

পাল্টাতে পারে। তবে লক্ষ্যণীয় এই বিষয়ে কেউ রা করেনি।

কিছুদিন আগে এ কে খন্দকারের বইটা কিন্তু অনেকের অনুভূতিতে খোঁচা দিয়েছিল(সঙ্গত কারণে) সে বই কী বইমেলাতে আছে কি নেই? থাকলে প্রথমাকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না!(কোনো স্টলকে বন্ধ করার পক্ষপাতি নই ব্যক্তিগতভাবে, বিশেষকিছু ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান বাদে) ঐরকম কতশত বই মেলাতে আছে তার খোঁজ কিভাবে রাখছেন একাডেমি?
------
কিছু কিছু কোবি এবং অপন্যাসিকেরা যেসব অসভ্য অশ্লীল কথা সর্বস্ব গদ্য/পদ্য ছাপেন সেসব বিষয়ে বাংলা একাডেমি তো এতদিন ঘোড়ার ডিম করেছে। এবছরে প্রথমালুর জীবননান্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত কোবিতার বইটা যদি মেলায় এসে থাকে তবে কী সেটাকে বাংলা একাডেমি নিষিদ্ধ করবে বা করতে যাচ্ছে? কারণ ঐ একটা বই- ই শালীনতার যাবতীয় অনুভূতিকে সংজ্ঞাহীন করতে যথেষ্ট! অন্তত আমার নারী অনুভূতি তার যৎসামান্য পড়েই ব্যাপকভাবে আহত, নিহত হবার আগেই বইটা তুলে নেয়া ফরজ কিনা একাডেমির?????

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেকায়দা কিছু বলা বাকস্বাধীনতায় পড়ে। ধর্মের সাথে অনুভুতি জড়িত। সেইখানে বাকস্বাধীনতার হিসেব আলাদা।

সংশ্লিষ্ট বইটি কতৃপক্ষ না পড়েই কিভাবে এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন, এ ব্যাপারে নীতিমালা কি বলে?

একগাদা নির্বোধ যে বাংলা একাডেমির মাথায় বসে আছে এতে কোন সন্দেহ নাই। এরা প্রগতিশীল হলে এই ধরণের ব্লাসফেমি নীতিমালাই তৈরি হতো না।

তাহলে কী আমরা এটাই ভেবে নেবো ভবিষ্যতে যে কোনো হুজুগে বই/স্টল বন্ধের রেওয়াজ চালু করতে যাচ্ছে মেরুদণ্ডহীন বাংলা একাডেমি?

আপনি যখন এধরণের দাবিকে স্পেইস দেবেন তখন ধরে নিতে পারেন প্রতিবছরই এই ধরণের জিনিস দেখা যাবে।

প্রকাশনী সংস্হাগুলো রোদেলার বিষয়ে প্রতিবাদী না হয়ে যেভাবে রোদেলাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো, একইভাবে সব পাঠকেরা কি পারিনা এই প্রতিবাদে অন্তত একটা দিন বইমেলা বয়কট করতে???

এই প্রতিবাদ কাজে দেবে না। প্রথমত কেউ পাত্তা দেবে না। লোকে উৎসব করতে চায়। একটা কাজ হতো লেখকদের কাছে আনতে পারলে। লেখকেরা প্রকাশনা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে একটা বাক্য বলেছে এরকম চোখে পড়েনি এখনও। এতো সব ভন্ড নিয়ে কোন আন্দোলন দাঁড়াবে না।

এক লহমা এর ছবি

একটা সময় মনে হয়েছিল, ধর্ম বিপন্ন বলে কেউ দাবী করলে এইরকম ঘটনাই ঘটার হাত থেকে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন করা মানুষেরা মুক্তি পেয়েছে। পরে জেনেছি সে অর্জন থাকে নি। তারপরে আবার এক সময় ... ... নাঃ! আচ্ছা, অনুভূতির দুনিয়ায় আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুভূতি কি সবার শেষে আসে? না কি অল্প কিছু মানুষের মনে ছাড়া বাকিদের কাছে তার অর্থই পাল্টে গেছে?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

হাসিব এর ছবি

সবাই অন্যদের থেকে নিজেকে বেশি ধার্মিক প্রমান করতে ব্যস্ত। এই দেশের ভবিষ্যত খারাপ। প্রগতিশীলতার পরিবেশ তৈরি করতে হয়।

অপর্ণা এর ছবি

বইটি ইরানীদের ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত করেনি?

অতিথি লেখক এর ছবি

যে কবিতার কারণে দাউদ হায়দারকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, তা পরবর্তীতে পৃথিবীর নানা ভাষায় অনুদিত হয়েছে। হিব্রু ভাষায় এমন কি আরবি ভাষায়ও অনুদিত হয়েছে। আরবি ভাষায় কায়রো থেকে প্রকাশিত একটি মাসিক পত্রিকায় তাঁর এ লিখা দু'বার ছাপা হয়েছে। আরব দেশসমূহে বা কায়রোতে এ লিখা নিয়ে কোন হৈ চৈ হয়নি।

অথচ বাংলা ভাষায় এই লিখাটি এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না। এমন কি, স্বয়ং লেখকের কাছেও নেই।

আয়নামতি এর ছবি

কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যা এই নাম নাকি কবিতার?
আমার কাছে দাউদ হায়দারের "জন্ম আমার আজন্মের পাপ" বইটা আছে ওতে নেই কবিতাটা।
কোথাও নেই! এটা কেমন কথা, নিশ্চয়ই কারো কাছে আছে। সেভাবে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে ঠিকই।
আমি চেষ্টা করবো খুঁজতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোথাও নেই! এটা কেমন কথা

নিন, কবির মুখেই শুনুন তাহলে

ভিডিও সাক্ষাৎকার

অতিথি লেখক এর ছবি

সলিউশন কি হতে পারে?
১. প্রতিষ্ঠান বর্জন - রকমারির ক্ষেত্রে যা হয়েছিল।
কয়েকটা কারণে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান। এক, আপনার বই কোন ডিস্ট্রিবিউটর বেচবে, এটার ওপর সম্ভবত লেখকের হাত নেই (পুরোপুরি sure না এ ব্যাপারে - দেশে বই ছাপানোর সিস্টেম সম্বন্ধে অন্যরা ভালো বলতে পারবেন) তাছাড়া পাঠকদের দিক থেকে বর্জনে কতটা সাড়া পাওয়া যাবে সেটাও কথা। আর খবর পড়ে তো মনে হচ্ছে লোম বাছতে কম্বল উজাড় হয়ে যাবে।
২. ইবুক - প্রত্যেকটা বইয়েরই লেখকের নিজ উদ্যোগে একটা ইবুক ভার্সন করা যায়। এক্ষেত্রে হেফাজতিদের/মৌলবাদীদের হামলায় কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বিক্রি বন্ধও করে দেয়, পাঠক হিসেবে আমরা দুটো করে বই কিনে একটা ছড়িয়ে দিতে পারি। amazon.com, smashwords.com থেকে খুব সহজে পাবলিশ করা যায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো যে কেনার জন্য ডেবিট কার্ড বা পেপ্যাল একাউন্ট লাগে। কিন্তু এটাকে অতো বড় সমস্যা মনে হচ্ছে না। পেপ্যাল একাউন্ট দিয়ে কেউ পাইকারী কিনে খুচরো বেচতে পারে। এ নিয়ে বিশদে আলোচনা করা যায়।
শেষ কথা, বই বিক্রি হবে নাকি না হবে, এ ব্যাপারে লেখকদের একটা বড় কন্ট্রোল থাকবে। লেখকদের ক্ষমতা বাড়লে বাংলা একাডেমির মেরুদন্ডের জোর বা হেফাজতিদের ধমকির ওপর এটলিস্ট বইয়ের সরবরাহ বন্ধ থাকবে না।

আর কোনো আইডিয়া?

-সো।

অতিথি এর ছবি

যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান এসব কাজে সহায়তা করছে (নিজেদের স্বার্থে অথবা টাকার কাছে নত হয়ে) তাদের বর্জন করা - পাঠক লেখক নির্বিশেষে। অর্থিক কিছু দিয়ে এদের রুখতে হবে।

কিছু ডোনেশন ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে বিদেশ থেকে।

হাসিব এর ছবি

প্রতিষ্ঠান বর্জন - রকমারির ক্ষেত্রে যা হয়েছিল।

ঠগ বাছতে গা উজাড় হবে।

ইবুক - প্রত্যেকটা বইয়েরই লেখকের নিজ উদ্যোগে একটা ইবুক ভার্সন করা যায়।

এটা একটা উপায় অবশ্যই। মানুষকে এই প্রকাশক ও বাংলা একাডেমি গোঁড়ামির কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে।

নাশতারান এর ছবি

দানবের থাবা অনেক আগে থেকেই ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। ধর্মকে ব্যবহার না করে এদেশে কিছুই সম্ভব না এটা যারা বোঝার বুঝে গেছে। বুঝেশুনে করে খাচ্ছে যে যার মতো। হেফাজতে ইসলাম যে "ইসলামের হেফাজত" করে চলেছে তা সময়ে সময়ে দেখানো দরকার তাদের। রোদেলা একটা মোটামুটি অখ্যাত প্রকাশনী। বইটাও এ ঘটনার আগ পর্যন্ত সুপরিচিত ছিলো না। বই নিষিদ্ধ করা, স্টল বন্ধ করা এগুলো পূর্বাভাষ মাত্র। সামনে গহীন অন্ধকার।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

রোদেলা একটা মোটামুটি অখ্যাত প্রকাশনী।

বুনোদি,
এই কথার সাথে সবিনয়ে দ্বিমত পোষণ করছি। রোদেলার চমৎকার কিছু বই ছিল। আমি আজ নতুন করে বই গোছাতে গিয়ে খেয়াল করলাম যে এই বইমেলায় একক প্রকাশনী হিসেবে রোদেলা থেকেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বই কেনা হয়েছে আমার। (ব্যাক্তিগত পছন্দে দ্বিমত থাকতেই পারে অবশ্য।)

নিশ্চিত থাকেন এখানে দর্শন-সমাজনীতির সাথে অর্থনীতির একটা বড় যোগসূত্র আছে। অন্তত বাংলাবাজারের ক্ষুব্ধ বাংলাভাইদের দেখে কিন্তু তাই মনে হয়। এইবার মফস্বলের একটা শহরের ছোট্ট একরত্তি বইমেলাতেও সাংগঠনিক ভাবে মাত্র তিনটি পেশাদার প্রকাশনীর অংশগ্রহণ দেখে এসেছি। প্রথম দুটি হল "প্রথম আলো বন্ধুসভার" জনশক্তি চালিত "বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র" ও "প্রথমা", আর অন্যটি স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের জনবল সমেত "রোদেলা" বলাই বাহুল্য শেষোক্তটির বইগুলোর বিপণন ভাল হচ্ছিল। অতএব, মজিদ তো "ঐ মিয়া রোদেলা, তোমার দাড়ি কই?" বলে হায়দরী হাঁক দেবেই।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

নিশ্চিত থাকেন এখানে দর্শন-সমাজনীতির সাথে অর্থনীতির একটা বড় যোগসূত্র আছে।

একমত।

হাসিব এর ছবি

রোদেলা বিখ্যাত অখ্যাত এটা কোন বিবেচ্য নয় আসলে।

ওডিন এর ছবি

গতকাল মেলায় গিয়ে সুমিমা আপুর কাছে ঘটনা প্রথম শুনি। পরে রোদেলার স্টলের সামনে গিয়ে দেখি স্টল বন্ধ। সামনে পুলিস পাহারা। হাতে ক্যামেরা বের করাই ছিলো, আগে জানলে ক্যামেরা ব্যাগে রেখে সেলফোনে ছবি তুলতাম। পুলিসরা খুব বিনীতভাবেই বলো যে স্টল বন্ধ, আর ছবি তোলা যাবে না। পরে রাতে এসে পুরান ঢাকায় পরিচিতদের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারলাম বাংলাবাজারেও ঝামেলা করেছে , শুধু সোমবার সকালেই না, রবিবার দিনও

হেফাজতিদের কর্মকান্ডে অবাক হই নাই, কিন্তু অবাক হইলাম সূর্যের চে' বালি গরম এর মতো বাংলাবাজারের দোকানমালিক ও কর্মচারীদের একেবারে কল্লা নেয়ার জন্য ফাল পাড়া দেখে। মন খারাপ

হাসিব এর ছবি

এবং যথারীতি কাগুজে লোকগুলো শুধু বাংলা একাডেমি (একজন দেখলাম আগ বাড়িয়ে সরকারকে) দুষছে এই বিষয়ে। প্রকাশকদের কেন লেখকেরা ঘাটাচ্ছেনা এটা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পরে বিক্ষোভকারীরা সমিতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটনের কাছে
নামটা চেনা চেনা লাগে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হ, কান্দুপট্টিতে নিহত তিব্বতের ছুডু ভাই। পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদকে ছাত্রদের মধ্যে গ্রহনযোগ্য করার জন্য গঠিত অঢেল টাকা, রিভলবার আর হোন্ডা এক্সেল সমৃদ্ধ নতুন বাংলা ছাত্র সংহতি/ জাতীয় ছাত্র সমাজের দুই কেন্দ্রীয় নেতা হচ্ছে জাহাঙ্গীর সিকদার জোটন আর আলমগীর সিকদার লোটন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তখন কলেজ) -কে কেন্দ্র করে পুরনো ঢাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী ভাতৃদ্বয়।

মোরশেদ, এখন মিলমিশের সময়। এখন অহেতুক অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা ঠিক হবে না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আজকে একটি মফস্বল শহরের যত্রতত্র "বইমেলা সফল হোক" শিরোনামে একটি পোস্টার দেখলাম, নিচে বাপুস-র পক্ষে লোটন বক্সীর নাম ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

বহুত কিছু জানা গেল চাল্লু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

"অনুভুতিতে আঘাত" এই শব্দ দ্বয়যে যুগে যুগে আরো কত অন্যায্য অপরাধের জন্ম দেবে সেটা ভাবতেই কষ্ট হয়। অনুভুতি বিষয়টা আপেক্ষিক। আর তাই এই সংক্রান্ত আইনের রোষানলে যেন মুক্ত চিন্তাকে পড়তে না হয় সেটাই চাই।

হাসিব এর ছবি

সামনে কঠিনতর সময় আসছে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই সেই বই:

অ্যামাজন

পিডিএফ

হাসিব এর ছবি
আয়নামতি এর ছবি

পিডিএফ ফাইলখানা হালাল করে নিলুম দেঁতো হাসি

অতিথি এর ছবি

অর্থনীতি সব কিছুর চাবি কাঠি

প্রতি ____

আপনার মালিকাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত ____(নাম)____ , __(অন্যান্য)__, দেশদ্রহী এবং অরাজকতা গোষ্ঠির সাথে সম্পৃক্ত।

____(নাম)____ এর বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রমানিত হলে, আপনার কম্পানি থেকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করা হল। অন্যথায় আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে "দেশদ্রহী এবং অরাজকতার গেষ্ঠির” পৃষ্টপোষকতার জন্য আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা বাঙ্গালি - ধর্ম যার যার দেশ সবার।
কার্যক্ষেত্রে সকল ধর্মীয় বেশ লেবাসের বহি:প্রকাশ নিষিদ্ধ করি। অর্থনীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।

ধন্যবাদন্তে
ক খ গ

অতিথি লেখক এর ছবি

সাস ভাইয়ের উপরের মন্তব্য দেখার আগে ধরেই নিয়েছিলাম যে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বইটি পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। রোদেলায় সাস ভাইয়ের পছন্দ হবার মত অনেক বই আছে জেনে মনে হ‘ল কেইস সেটা নয়। রাজনৈতিক ভূতদের চক্রে ফেলে বেচারা রোদেলাকে ভূত বানানো হয়েছে। এটা ভেবে খুবই খারাপ লাগছে যে দেশ হুমায়ুন আজাদ স্যারের ‘পাকসার জমিন সাদবাদ’-এর সময়ের চেয়ে আরও অনেক খারাপ অবস্থায় পতিত হয়ে গিয়েছে। যতদূর মনে করতে পারি, এখনকার চেয়ে হাজার গুন বেশী হুমকী আসা সত্ত্বেও তখনকার বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ স্যারের বই বা প্রকাশনীকে বন্ধ করেনি তখন। বুঝতে পারি, প্যাট্রোল বোমা বৈজ্ঞানিকদের এবং তাদের ফাদার-মাদারদের হাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার সুযোগ তুলে না দেবার চিন্তা থেকে সরকার রকেট গতিতে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কিন্তু এটা করে যে সরকার আখেরে আরও অনেক বড় বিপদ ডেকে আনছে সেটা তাদের কে বুঝাবে। লতিফ এবং এ কেইসের মাধ্যমে সরকার হেফজতকে যে শিখরে তুলে দিয়েছে সেখান থেকে তারা অচিরেই প্যাট্রোল বোমা নয় এটম বোমা মারবে সরকারের উপর।
হেফাজতীদের মতলবাজি প্রতিবাদের বিপরীতে হাসিব ভাইয়ের এ লেখা একটি খাঁটি প্রতিবাদ। সেজন্যে উনাকে হাজার বাহবা। আমাদের সকলের সক্রিয়তায় প্রতিবাদের পরিমানগত এবং গুনগত দিক উত্তর উত্তর তীব্র হোক।

- পামাআলে

হাসিব এর ছবি

এখানে সরকারের ভূমিকাটা কি পরিস্কার?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভূতের রাজ্যে যাইগো সখা, উল্টোপথে চল- আমরা এই নীতিতে চলি। চলতে চলতে ধারে চইলা আসছি। আর একটু, তারপরই খাদা--- কী তার রুপ!

এই দেশের প্রকাশকদের মেরুদণ্ড এর চেয়ে ভালো হওয়ার কথা না। সারা বছর বাদ দিয়া খালি মেলা আসলে বইয়ের কথা মনে হয় তাদের। প্রকাশনা যে শুধু ব্যবসার কারবার না, এটা আগে বুঝতে হইবো, তাইলে কোনো লেখকের বা বইয়ের পাশে দাঁড়াইয়া ফাইট দেওয়ার শক্তি থাকবো। একই অবস্থা একাডেমির। আর সরকার, তার কথা না বলি। কোনটা রক্ষণ আর কোনটা খাল কাটা তাই বুঝল না।

অট: এবারের মেলা চলাকালে, বাংলা একাডেমির ভবনের কাছে, মানে ছাদে আরকি, ককটেল ফুটছে নাকি। খবর পাইছি। বিশ্বস্ত সূত্রে। এই সংবাদটাও পত্রিকায় দেখি নাই। তবে, খবরটা বিশ্বস্ত সূত্রেই পাওয়া।

স্বয়ম

 অতিথি এর ছবি

মাদাসার এতিমদের দানখয়রাত করুন, পশুপাখীর চামড়া দান করুন !!!

সময় আসলে আপনাকেও এরকম অবস্থায় পরতে হতে পারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই কি এখানে একটু ধমক-ধামক দিলেন নাকি? বুঝি নাই। তা নাম-পরিচয় দিয়া যান। বেনামের বেল নাই।

স্বয়ম

 অতিথি এর ছবি

আমার মতে এখন মাদাসায় কোন ধরনের দান খয়রাত না করাই শ্রেয়।

সময় আসলে নাম পরিচয় দিব। এখানে পক্ষে একটি দুটি কমেন্ট করেই যে সবাই হিপাক জাতের লুক নয় তা কি আর বোঝা যায়।

 অতিথি এর ছবি

অসাধারন বইটির একটি লাইন (ইংরেজী অনুবাদ থেকে)

ত্যানা পেচানো ১৯৩৬ বন্ধ করা হয়েছিল।
কিন্তু নিচু শ্রেণীর খালারা যুদ্ধের পর আবার ত্যানা পেচানো শুরু করে এতে ধীরে ধীরে উচু এবং মধ্যবিত্ত মেয়েরা ত্যানা পেচাতে বাধ্য হয়।

অসাধারন লেখা যা বর্তমানে দেশের সাথে মিলে যাচ্ছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।