সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আরেক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনন্ত বিজয় মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ব্লগার অনন্তের প্রকাশিত চারটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন তিনি।
আজ সকালে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবেই খুন হন অনন্ত বিজয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি গওসুল হোসেন জানান, অনন্ত বিজয় দাশ সকাল ৯টার দিকে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে শহরের দিকে আসার সময় হামলার মুখে পড়েন।
বরাবরের মতোই আগে থেকে ওত পেতে থাকা চারজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এখনও পর্যন্ত এই হত্যার দায় দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। তবে হামলার ধরণ ও হত ব্লগারের লেখালেখির ক্ষেত্র দেখে অনুমান করা যায় এটা আনসারুল্লাহর কাজ। অভিজিৎ, রাজিব, ওয়াশিকুরের মতো মাথা টার্গেট করে কোপ।
আপডেটঃ ৩
আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
আপডেটঃ ২
আনসারুল্লাহ আল কায়েদার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে।
আপডেটঃ ১
এই মুহুর্তে এটা অন্তত নিশ্চিত যে আনসারুল্লাহর সাথে খুনিদের যোগাযোগ রয়েছে। এইমাত্র তাদের টুুইটের খুনিরা নিরাপদে আছে এরকম স্বীকৃতি মিললো।
এর আগে আনসারুল্লাহর টুইটার এ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে এই বিষয়ে তাদের বিবৃতি ও ভিডিও আসছে। ভিডিওর কথা নিশ্চিত করা মানে হত্যাকারিরা আনসারুল্লাহর সাথে যুক্ত বা যোগাযোগ রয়েছে এরকমটা আরেকবার নিশ্চিত হওয়া।
এই ভিডিও ও বিবৃতির কিছুক্ষণ আগে তাদের টুইট ছিলো এরকম,
আনসারুল্লাহ এই ডাস্ট উইল নেভার সেটল ডাউন বাক্যটি অন্যান্য হত্যার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে।
অনন্ত হত্যার ১৫-১৬ ঘন্টা আগে তারা এই বাক্যটি ওয়াশিকুরের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করেছিল (ছবিতে কিছু অংশ ঝাপসা করে দেয়া হলো)
আমি যখন এই পোস্ট ড্রাফট করছি তার ঘন্টা দুই আগেও অনন্ত ফেইসবুকে দীর্ঘ এক স্টাটাসে এক আওয়ামী লীগের সাংসদ কর্তৃক অধ্যাপক জাফর ইকবালকে চাবুক মারা বিষয়ে লিখেছিলেন। এর আগে পুলিশের দায়িত্ব কি সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
পুলিশের দায়িত্ব কি সেটা এই মুহুর্তে একটা প্রশ্ন। অভিজিৎ হত্যার কোন সুরাহা হয়নি। ব্লগার রাজিব হত্যার মামলায় গ্রেফতার ও সেটার বিচার শুরু হলেও সেই হত্যাকান্ডের নাটের গুরু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অনন্ত বিজয়ের হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও তাদের রাতারাতি বিচার শুরু হবে এটাও আশা করা কঠিন। আমাদের করণীয় চাপাতির মুখে লেখা না থামানো। লেখা থামালে জিতে যাবে আনসারুল্লাহ।
মন্তব্য
আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই জানি। এও জানি যে লড়াই থামানোর উপায়ও নেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে হবে এটাই হলো মূল কথা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই মৃত্যুকূপে বসে ভয়-ডরহীন ভাবে সেই লেখা চালিয়ে যাওয়া কতটা সম্ভব সে বিষয়ে আমি সন্দিহান। মুক্তভাবে লিখতে হলে এই বাংলাস্তান ছেড়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই এখন।
আর অপেক্ষায় আছি কিভাবে কওমীলিগ এই হত্যাকেও জায়েজ করে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অপেক্ষার আর প্রয়োজন নেই। নরকের কীট কওমীলিগের আমীর এর মধ্যে সেটা করে ফেলেছে। প্রথমে বলেছে অনন্ত নাকি হাইজ্যাকার বা ছিনতাই এর মারামারিতে পড়েছে। তারপর সন্দেহ প্রকাশ করছে অনন্ত নাকি কোন ব্লগারই না, তার কোন ব্লগ নেই!
অনন্ত বিজয় এর মুক্তমনার ব্লগ লিঙ্কটা দিলাম নিজে। তাতে এই শুয়োরের পালের কিছু আসবে যাবেনা। নিজের করা বমি নিজেরা গিলে ফেলবে। তবুও যারা মানুষ আছে তারা যেন জানতে পারে অনন্ত বিজয় একজন চমৎকার যুক্তিবাদী লেখক ছিলেন এবং সেই লেখালেখির কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, ছিনতাই এর কারণে নয়, সেজন্য দিলাম।
http://blog.mukto-mona.com/author/ananta/
এর শেষ কোথায় - কে বলবে! এ কোন নরকের যাত্রায় চলেছে দেশটা?
কিন্তু সরকারের নিশ্চয়ই কোনো ভূমিকা নেই!
সরকার তো অভিজিতের খুনিদের কাউকে ধরতে পারেই নি (ধরতে চায় কিনা কে জানে!)-- অভিজিতের আহত স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার সাথে যোগাযোগের কোনো প্রয়োজনও মনে করেনি -- "কিন্তু যেটাতে আমি সবচেয়ে বেশি বেদনাহত, তা হলো এখনও বাংলাদেশ সরকারের কেউ আমার কাছে আসেনি।মনে হচ্ছে যেন, আমার অস্তিত্বই নেই এবং তারা উগ্রপন্থিদের ভয়ে ভীত। বাংলাদেশ কি পরবর্তী পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হচ্ছে?" সূত্র
আর যেভাবে রুটিন করে কুপিয়ে মাসে একটা করে ব্লগার মারা হচ্ছে তাতে আপনার আর আমার মনে হয় না নিরাপদ দূরত্বে বসে কলম চালানোর জন্য মানুষজনকে উৎসাহিত করা উচিৎ -- চাপাতির কোপ খাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা মাথায় নিয়েও যারা এখনও লেখালেখি বন্ধ করছেন না -- তেমন কেউ করলেই ব্যাপারটা বেশি মানায়।
তার চেয়ে চলুন আমাদের মনোযোগটা আমরা সরকারের দিকে কেন্দ্রীভূত করি -- এই পোস্টেও দেখুন আপনি পুলিশকে সামান্য একটু বকে দিলেও সরকারকে নিয়ে কিন্তু কিচ্ছু বলেননি -- অথচ অভিজিৎ হত্যার আড়াই মাস হতে চলল।
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
এই দেশের জনগণ একটা সশস্ত্র ও আধুনিক সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যারা যা আছে সেইটা নিয়েই ঝাপায় পড়তে বলছিলেন। সবকিছু ছেড়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকতে বলেন নাই। সেইটা বললে আমার স্বাধীন হতাম না। একই অবস্থা এখনও। নিরাপত্তা না থাকলেও কলম চলবে। কলম থামানো যাবে না। আমাদের ঐটাই অস্ত্র।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কিছু অগোছালো কথা, কিন্তু না বলে পারছি না।
১. পুলিসের দায়িত্বের কথা বাদ দিলাম। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যানে আমরা জানতে পেরেছি যে তাদের কাছে একটা লিস্ট আছে। ধরে নিলাম যে ব্লগারদের বাঁচানো বা খুনিদের ধরা তাদের সাধ্যের বাইরে। কিন্তু এই লিস্টটা প্রকাশ না করার কারনটা কি? যারা রিস্কে আছে তাদের কি রিস্কটা জানারও অধিকার নেই ?
২. অভিজিতের খুনিদের ধরা যায়নি, কিন্তু এর ওয়াশিকুরের খুনি, রাজিবের খুনিরা পুলিশ কাস্টডিতে আছে। গণজাগরণ মঞ্চের কাছেই ইমরান এইচ সরকারের কাছেও চাপাতি সহ কিছু খুন করতে ইচ্ছুক যুবককে কর্মীরা নিজেরাই ধরেছিল। সবগুলো খুনের দৃশ্যেই দেখা যাচ্ছে মোটামুটি একই টেকনিক ব্যবহার করছে খুনিরা। পুলিশের কি ধারণা, যে এই খুনিরা ইন্টারনেট থেকে সেল্ফ হেল্প কোর্স নিয়ে খুন করা শিখে আসছে? নাকি কোনো গোপন জায়গায় গ্রুপ গ্রুপ করে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে? খুনিদের মধ্যে কি কোনো কমন লিংক নেই ? রাজিবের খুনিদের যে 'বড়ভাই' এর কথা আমরা প্রথম আলোতে পড়লাম, এই বড়ভাই কি এখন পুলিশ কাস্টডিতে ? এদের পেট থেকে কি কথা বের হয় না ?
৩. যেসব খুনিদের ধরা হয়েছে, এদের বিচার এখন কোন কোন পর্যায়ে? এসব নিয়ে এত ঢাকঢাক গুড়গুর কেন? তিন চারজন প্রমানিত খুনিদের ফাঁসি দিলেই কি একটা খুন করার আগে বাস্টার্ডগুলা দুইবার ভাবত না ?
৪. এই খুনিগুলার ব্যাকগ্রাউনড কি? এখনো কি সময় আসেনি এদের পরিবারগুলোকে হাইলাইট করার ? সামাজিক ভাবে একঘরে করার ? নাকি তলে তলে চিরকালই বাংগালি মুসলমানদের হিরো বানায় রাখতে হবে এদেরকে?
জিনিসটা এইভাবেও ভাবা যায় যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আল কায়েকামনস্করা লিস্টি হাতে পেয়ে আবার নতুন উদ্যোমে তাদের কাজ শুরু করলো। তবে কথা সেইটা না। লিস্টি বহু আগেই প্রচারিত হয়েছে এবং যাদের নাম আছে ওখানে তারা জানে ওটা।
পেট থেকে কিছু কথা বের হয়, কিছু কথা বের হয় না। পুলিশ তাদের কৌশল, পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুটা জানে। অনেক কিছুই আবার জানে না।
বিচার নিয়ে ঢাকঢাক গুড়গুড় করা হচ্ছে এরকমটা চোখে পড়েনি। গতকালও সব মিডিয়াতে রাজিব খুনের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে খবর প্রচার করেছে।
এদের ব্যাকগ্রাউন্ড আটপৌরে। আর তাদের পরিবার হাইলাইট করে কী হতে পারে সেটা পরিস্কার হলো না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
রাজীব হায়দারের হত্যার বিচার দিয়ে কি আপনি সবগুলো কে বিচার করছেন? অভিজিত হত্যার কোন আসামীকে কি এখন পর্যন্ত ধরতে পেরেছে? ওয়াশিকুর হত্যাকারী দুজন হাতে নাতে ধরা পড়ার পর আর কেউ কি ধরা পড়েছে? শফি বাবার মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ার পর কি শফিবাবার মাদ্রাসায় কোন তল্লাশী চালানো হয়েছে, সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এত ভিড়িও ফুটেজ থাকার পরও কি পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্চিতকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে?
আপনি বিচার নিয়ে গুড়গুড় করার চিন্থ দেখছেন না, আমি দেখি। আমি দেখি সরকার ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতায় নীরব, উদাসীন। গত ৫-৭ বছরে যতগুলো হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তার কোনটাতে কোন আসামী ধরা পড়েনি কিংবা সাজা হয়নি, কোনটার’ই বিচার হয়নি? রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে? আচ্ছা ৫ই মে হেফাজতের তান্ডবলীলাতে ঢাকা যে নরক হয়েছিলো, যে মামলায় বাবুনগরী রিমান্ডে গিয়েছিলো তার কি খবর, সেটার বিচার হচ্ছে?
না, এগুলোর কোনটার বিচার হচ্ছে না। আর হচ্ছে না বলেই সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো ভয়ডর বিহীনভাবে বুক ফুলিয়ে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। এখানেই সরকারের ব্যর্থতা, এখানেই সরকারের সমালোচনা। খুনকে কোনো সরাসরি প্রতিহত করতে পারে না কিন্তু খুনের পরিবেশ প্রতিহত করতে পারে। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ঢাকঢাক গুড়গুড় শব্দটা দিয়ে আমি বুঝি কোনকিছু ঢেকে রাখা হচ্ছে। এখানে কোনকিছু ঢেকে রাখা হচ্ছে বলে মনে হয়নি আমার। গ্রেফতার, বিচার, একটার পর একটা ঘটনা ঠেকানোতে সরকারের ব্যর্থতা সবগুলো ঘটনা বিচারে এখনো ১৫আনা। সেই বিষয়ে দ্বিমত নেই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
"জিনিসটা এইভাবেও ভাবা যায় যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আল কায়েকামনস্করা লিস্টি হাতে পেয়ে আবার নতুন উদ্যোমে তাদের কাজ শুরু করলো।"
যদি ভেবে থাকেন আল কায়েদামনস্করা এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাহলে বলতে হবে আপনি অনেক আশাবাদী।
মৌলবাদী বিষয়ে সরকারের উদাসীনতার কারণটা ওয়াজেদ জয়ের সাক্ষাত্কার থেকেই বেশ বোঝা যায়।
“We are walking a fine line here,” said Joy, an informal consultant for the ruling party, the Awami League. “We don’t want to be seen as atheists. It doesn’t change our core beliefs. We believe in secularism,” he said.
“But given that our opposition party plays that religion card against us relentlessly, we can’t come out strongly for him. It’s about perception, not about reality.”
সুত্র: http://bdnews24.com/world/2015/05/11/avijits-wife-bonya-criticises-bangladesh-government-for-not-doing-enough
পরিবারদের হাইলাইট করে সামাজিক ভাবে একঘরে করা উচিত। যেহেতু সরকার সেটা করবে না, ব্লগারদেরই এ ব্যাপারে এগিয়ে আশা উচিত। পাবলিক শেমিং হতে পারে ব্লগারদের একটা ফাইট ব্যাক। খুনিরা বুঝুক যে খুন করে তারা বেহেস্তের হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাদের আপনজনদেরকে এর জন্য একটা মূল্য দিতে হবে।
আর এই জিহাদিদের unsung hero স্ট্যাটাসটাও আশা করি কমবে।
স্বয়ম
লেখা তো থামেনি, এই লেখা একবার শুরু হলে তো থামে না। হয়তো সাময়িকভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে সহযোদ্ধাদের অসহায় মৃত্যুতে, আবার দাঁতে দাঁত চেপে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু লেখতেই লেখতেই কি সবাই একদিন মারা যাবে? কেউ কি কিছুই বলবে না? তারপর একদিন সবাই ভুলে যাবে এরকম কিছু হয়েছিল, তখন?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পৃথিবীর বুদ্ধির লড়াইটা আল কায়েদার আয়ু থেকে দীর্ঘতর।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লড়াইটা তো প্রাচীন জানিই। আল কায়েদা তো এই যুগের, সব যুগেই তো প্রতিনিধি ছিল। কিন্ত রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল কেন? রাষ্ট্রের অবস্থান কেন পরিষ্কার না? ন্যায় অন্যায় ব্যাপার গুলি কি শুধু বইয়েই লেখা থাকবে? একদল শুধু কলমেই যুদ্ধ করবে আর আরেকদল চাপাতিতে আর রাষ্ট্রযন্ত্র বসে বসে দেখবে?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
রাষ্ট্র বসে বসে দেখবে এটাই নিয়তি। কারণ নৈতিকতা থেকে ভোটের পাল্লাটা বেশি ভারি এখানে। তবে ব্যাপার না। বুড়ো পৃথিবী এর থেকে বহু খারাপ ঘটনার সাক্ষী। এইসব সত্ত্বেও চিন্তা পট দখল করবে। আমাদের কাজ হলো যার যায় লড়াইটা চালিয়ে যাওয়া। বিপক্ষ শক্তিমান এই চিন্তা করে ঘরে বসে থাকলে আমার স্বাধীন হতাম না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখা থামানো যাবে না, সহমত। কিন্তু দেশে থেকে সিরিয়াস লেখালিখি এখন সুইসাইডের সামিল মনে হয়।
এই প্রথম ঢাকার বাইরে এ ধরনের হত্যাকান্ড হল বোধয়। ফেসবুকে একটা গ্রুপে এ ধরনের কথা-বার্তা দেখেছিলাম যে এর পরেরবার স্ট্রাইক করলে ঢাকার বাইরে করবে। হলও তাই। সব জেনে-শুনেও কিচ্ছু করা যাচ্ছে না, করা হচ্ছে না। যা ঘটার তা ঘটেই যাচ্ছে।
হতাশ বোধ করছি সব মিলিয়ে।
সাহস পাই না ভাই। যারা দেশে থাকেন তাদের জন্য সিরিয়াসলি চিন্তা হয়। কেউ সম্ভবত লিস্টের বাইরে না, শুধু আগে আর পরে। যেহেতু দেখাই যাচ্ছে কেউ ধরা পড়ে না, কারও বোধোদয় হয় না। সরকারের খবর জানি না, বুঝি না, কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারি। এসব ব্যাপার কেউ পাত্তা দেয় না। খুন খারাবি গুম হত্যা নিয়ে মানুষের অনেক অভিযোগ কিন্তু এই ধরণের হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে কেউ কথাও বলে না। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিমাসের গ্যাপ কমে হয়ত সপ্তাহে নেমে আসবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাধারণ মানুষ এইটারে পাত্তা দেয় না এইটা বুঝি। তারা আসলে কিছুরেই পাত্তা দেয় না। দেড়শো মানুষ পোড়ানো দলকে তারা আবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। তাদের বশে আনতে সরকার হেফাজতরে আবার জমি দেবে হয়তো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কবির কথাই ঠিক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সকালে উঠে খবরটা পড়ার পর থেকে স্তব্ধ হয়ে আছি। ফেসবুক আপাতত বন্ধ, তাই কওমি লীগ এই হত্যাকে কিভাবে হালালিকরন করার চেষ্টা চালাচ্ছে জানি না, জানার রুচিও নাই। কিন্তু যে হারে এরা যাচ্ছে সরকারের চোখ কান মুখ বন্ধ করে রাখার প্রবনতা এদের উপরেই বুমেরাং হয়ে আসবে।
রাজিব হায়দারের কিছু লেখা প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, তাই তাকে প্রথমে খুন করে ব্যাপারটাকে দেশের 'ধর্মভীরু' (আমার চোখে নালায়েক) মানুষদের সামনে হালাল করার চেষ্টা ভালোই সফল হয়েছিল। আর তারপর থেকে এখন যাকেই মারা হবে তাকেও সেই একই চোখেই মানুষ দেখবে বা দেখছে। অনন্ত বিজয় নাস্তিক ছিলেন, কিন্তু ধর্মকে কটাক্ষ করার চেয়ে বিজ্ঞানমনস্কতা প্রমট করতেই বেশী উৎসুক ছিলেন বলে মনে হয়েছে আমার। এরা আস্তে আস্তে এভাবে করে মোটামুটি ধার্মিক কিন্তু সেকুলারিজমে বিশ্বাসী ব্লগারদেরও খুন করা শুরু করবে, সেটাও দেশের 'ধর্মভীরু' মানুষদের চোখে ততদিনে হালাল হয়ে যাবে। আর এই হালালিকরন করতে তো এখন আর ফারাবির মত জামাতি ব্লগার লাগে না, কওমি লীগের মানুষরাই আছে!
কয়েকদিন পর আনসারুল্লাহর চাপাতির শিকার যে এই দলকানা গর্দভগুলোও হবে তা বোঝার সামর্থ্য এদের আছে বলে মনে হচ্ছে না!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
মিডিয়া পোর্টালগুলো থেকে যা বুঝলাম, ইতিমধ্যে ঘটনাটি গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে, সবার চোখ বিএনপির সালাউদ্দিনের দিকে। আসলেই, কনভিনিয়েন্ট টাইমিং ফর এভরিওয়ান!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
তা হ'লে মোটের উপর হিসেবটা এই যে নিজের পরিচয় ও অবস্থান গোপন রেখে লিখতে না পারলে শুধু মাত্র নিজের মত প্রচারের কারণেই রাজীব-অভিজিত-ওয়াশিকুর-অনন্তদের পথে হাঁটা মানুষগুলোর খুন হয়ে যাবে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হাসিব ভাই, তথ্যে আরো দুটো বিষয় যোগ করে দিতে পারেন।
১) অনন্ত মুক্তমনার অ্যাডভাইসরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
২) উনি ২০০৬ এ মুক্তমনা অ্যাওয়ার্ড পান। (ঢাকা ট্রিবিউনে এসেছে ২০০৫ এ, নুরুজ্জামান মানিক ভাই জানালেন ২০০৫ এ)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা'পা, ২০০৫ এর পুরস্কার কিনা মনে নেই, তবে হস্তান্তরের অনুষ্ঠান ১১আগস্ট, ২০০৬ এ হয়েছিল। দিনব্যাপী "সেক্যুলারিজম, রাষ্ট্র সমাজ ও শিক্ষা" শীর্ষক সেমিনার ছিল ঢাবি'র আর.সি. মজুমদার মিলনায়তনে। "সেক্যুলারিজম ও শিক্ষা" শীর্ষক শেষ সেশনের একজন বক্তাও ছিলেন অনন্ত বিজয় দাস। সবশেষে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কারটির নাম ছিল শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নামে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন