টাগেসব্লাট — ২

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শনি, ৩০/০১/২০১৬ - ১০:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

§
ব্রিটেন থেকে ৫২ জন নারী আইসিসের খেলাফতের ছায়ায় জিহাদ করতে সিরিয়া গেছে। এরা ঐ দেশ থেকে মোট হিজরতকারিদের সংখ‍্যার ১০ শতাংশ। বিবিসির এক খবরে এক গবেষণার ফাইন্ডিংসের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বের করার চেষ্টা হয়েছে কেন সিরিয়ায় নারীরা জিহাদ করতে যাচ্ছে। এর চুম্বক অংশগুলো তুলে রাখলাম,

— অনেক সময় নিয়ে, প্রচুর গবেষণার পরেই তারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাচ্ছে।

— এই মেয়েরা মনে করছে, আই এস তাদেরকে মর্যাদা দিচ্ছে, তারাও জিহাদে সমান অংশ নিতে পারছে, তাদের কিছুটা ক্ষমতায়ন ঘটছে যা আগে কখনো ছিলো না

— তাদেরকে যে শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যেতে হবে তা নয়। আগামী প্রজন্মের মুজাহিদিনকে শিক্ষিত করে তোলা এবং জিহাদিদের ভালো স্ত্রী হয়ে উঠাও তাদের ধর্মীয় একটি দায়িত্ব বলে তারা মনে করে।

— এছাড়াও আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো তাদেরকে ইসলামিক স্টেটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেমন তারা হয়তো মনে করছে সমাজে বা কমিউনিটিতে তারা নিজেদেরকে ঠিকমতো মানাতে পারছে না

— সিরিয়াতে যাওয়া হচ্ছে এই মেয়েদের কারো কাছে অ্যাডভেঞ্চার আবার কারো কাছে রোমান্টিক এক অভিজ্ঞতা।

— তাদের বিয়ের কথাও আগাম বলে দেওয়া হয়। মেয়েরা ভালো করেই জানে তারা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছাবে তাদেরকে বিয়ে করা হবে। আগে থেকেই তাদেরকে ধারণা দেওয়া হয় সে কাকে বিয়ে করবে, তার ওই স্বামী কেমন, ওখানে গেলে সে কাজ করতে পারবো কীনা, একজন শিক্ষক হতে পারবো কীনা, ওখানে তার ভূমিকা কি হবে- এসব বিষয়ে তাদেরকে একটা প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়

উপরের পয়েন্টগুলোর মধ‍্যে ক্ষমতায়ন শব্দটা বেশ ইন্টারেস্টিং। এই ক্ষমতায়ন কোন দিক দিয়ে? এরা সবাই পশ্চিমের একটা দেশে বাস করতো। ওখানে নারীর ক্ষমতায়ন তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। তাহলে কোন ক্ষমতায়নের কথা বলছে তারা? এই জিনিসটা রিপোর্টার পরিস্কার করে নিতে পারতো সাক্ষাতকারের সময়। রিপোর্টটিতে পারিবারিক সাপোর্ট, বাংলাদেশি ব‍্যাকগ্রাউন্ড পরিবারশুদ্ধ সিরিয়াতে চলে যাবার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট ইউরোপের মতো ক্ষমতাশালী হলে এবং সেই সাথে জনগণের মধ‍্যে বিমানভাড়ার সামর্থ‍্যটা আরেকটু বেশি থাকলে শত শত পরিবার হিজরত করতো ধারণা করা যায়। আইসিসের বিপক্ষে প্রবল জনমত এবং এর বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় অবস্থান একদমই দৃশ‍্যমান না বাংলাদেশে।

§
বাংলাদেশ যদ্দুর মনে পড়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মধ‍্যে সবচাইতে বড় সেনা সাপ্লায়ার দেশ। সেনা থাকবে এবং যৌন নির্যাতন থাকবে না এরকম সম্ভবত কোন ঘটনা নেই পৃথিবীতে। বাংলাদেশের সোনার সেনারাও এই কাজে পিছিয়ে নেই। আজকে খবর বেরিয়েছে ২ বাংলাদেশী সোনার সেনা সেনারা শিশু যৌননির্যাতনের সাথে জড়িত। যেহেতু জাতিসংঘ জড়িত সেহেতু বিচার একটা হবে এটা আশা করা যায়। পাহাড়ে পাকিপনার বাইরে তারা আন্তর্জাতিক পরিসরেও পাকিপনা শুরু করেছে এটা চিন্তার বিষয়। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে কী প্রশাসনিক শাস্তি দেয়া হয় সেটাই দেখার বিষয়।

§
বইমেলায় পর্যাপ্ত আলো ও নিরাপত্তা থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অভিজিতের হত‍্যাকারিদের সনাক্তে পর্যাপ্ত আলোর অভাব বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বইমেলায় নিরাপত্তা নিয়ে এর আগেও গত কয়েকদিনে কয়েকটি বক্তৃতা বিবৃতি এসেছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে বাংলাদেশে যেকোন জায়গাতেই নিরাপত্তা অবস্থা তথৈবচ। বইমেলা এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা লিখে রাখি
,

— মেলায় প্রবেশ পথে অনেকগুলো মেটাল ডিটেক্টর বসানো থাকে। এগুলোর কাজ কি বোঝা মুশকিল। একটু দাঁড়িয়ে দেখে আমি খেয়াল করলাম প্রতিটা লোক ঢুকলেই ওটা পুপ করে একটা আওয়াজ করে। ভারি জামাকাপড় থাকলে কোমরটা একটা হাতড়ে দেখা হয় এবং সাথে ব‍্যাগ থাকলে ব‍্যাগটা চেক করা হয়। পায়ের গোড়ালিতে কেউ ছুড়ি চাপাতি নিয়ে ঢুকলে সেখানকার পুলিশ সেটা সনাক্ত করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।

— মেলার বাইরে গেটে অনেক পুলিশ থাকে। মেলার ভেতরে থাকে না। কেউ মেলার বাউন্ডারির কোন ফাক ফোকর দিয়ে মেলায় প্রবেশ করে কাজ করে সেদিক দিয়েই বের হয়ে যেতে পারে। বাউন্ডারির ওপাশে অন্ধকার সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যান। সেখানে অবাধে গাজাসেবন, পতিতাবৃত্তি চলে। সেখানে নিরাপত্তা ব‍্যবস্থা কতোটুকু শক্ত?

— মেলার বাইরে অন‍্য পয়েন্টগুলোতে পুলিশরা চেকপোস্টে গা এলিয়ে বসে সময় কাটায়। তারা সেখানে বসে গার্ড দেয় না। সময় কাটায়। এটা অভিজিৎ হত‍্যা পরবর্তী সময়টাতে পুলিশের তৎপরতা খেয়াল করলেও বোঝা যায়। মেলায় অতিরিক্ত লাইটে কি এই আলসেমি কমবে?

— আনসারুল্লাহর হুমকি বইমেলাতে একমাত্র হুমকি নয়। ফেব্রুয়ারির ১৩, ১৪, ২০, ২১ এবং প্রতিটা শুক্রবার যেকোন মেয়ের জন‍্য বইমেলা একটা অনিরাপদ জায়গা। ভিড়ের মধ‍্যে গত বৈশাখে কী হয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। এই বইমেলার জনসমাবেশে পুলিশ এরকম ঘটনা ঠেকাতে কী প্রস্তুতি নিয়েছে?

§
ফেইসবুকে ঘুরতে ঘুরতে কিছু ছবি পেলাম। ছবিগুলো গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না এরকম একটা গ্রামের স্কুলের ছাত্র অভিভাবক সম্মেলনের।

আশির দশকে আমি যখন ঢাকা স্কুলের নামী স্কুলে পড়তাম তখন ছাত্র অভিভাবক সম্মেলন ছিলো না। স্কুলের রেজাল্ট, খেলাধুলার পুরস্কার বিতরনী ইত‍্যাদি ইভেন্টে কিছু অভিভাবক আসতেন। হাতে গোনা কয়েকজন মায়ের দেখা মিলতো সেখানে। আমি উপরের ছবিতে খেয়াল করলাম পুরুষ অভিভাবকদের তুলনায় নারী অভিভাবকদের সংখ‍্যা কোন অংশেই কম না। এরা আবার আলাদা বসেছেন। এই সেগ্রিগেশন উচ্চশিক্ষিত সমাজেও দেখা যায়। এটা সহসা কাটবে না। তবে মেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে যাবতীয় কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন এটাই আশার কথা। একদিনে ইউটোপিয়া ধরা দেবে না। এর জন‍্য ধাপে ধাপে এগোতে হবে।

§
ইরিত্রিয়ায় পুরুষেরা দুই বিয়ে করতে পারবে এই নিউজ করে পত্রিকাগুলো পাতা ভরিয়েছে কয়েকদিন যাবত। সানী লিওন কভার কভার করতে বোরড সাংবাদিকেরা এরকম মুখরোচক খবরটা লুফে নিয়েছিলো। একটু আগে বিবিসিতে দেখলাম খবরটা গুজব। আজকে কয়েকটি নিউজ আউটলেট এই গুজব বিষয়টা নিয়ে নিউজ করলেও তারা যে এই গুজব প্রচার করেছিলো সেটার জন‍্য কোন দুঃখপ্রকাশ করেনি।

§
গত মাসে কয়েকবারই পত্রিকায় এসেছে কোন সরকার দলীয় নেতা বা পুলিশের কোন বড়কর্তা বলেছেন দেশে নাকি ইউরোপ আমেরিকার অপরাধ থেকে ভালো অবস্থা। আমার কাছে তাদের দাবিতে সত‍্যতা আছে বলে মনে হয়। ইন্টারনেটে যেকোন একটা ক্রাইমের নাম লিখে by country লিখতে ড‍্যাটাতে দেখাবে আমাদের দেশের অবস্থা অনেক দেশের থেকে ভালো। যুদ্ধ চলে না কিন্তু অবস্থা আমাদের থেকে খারাপ এরকম দেশ আফ্রিকা, মধ‍্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় আছে। তবে কথা হলো এই বক্তব‍্যগুলো যখন দেয়া হয় তখন অন‍্য কোন তুলনাও চলে আসে। যেমন,

— আমাদের ক্রাইম স্টাটিসটিক্স কতোটা ঠিক? অনেক ক্রাইম তো পুলিশের কাছে রিপোর্টেডই হয় না। কারণ অনুমেয়। 
— ইউরোপ আমেরিকার থেকে পার হেড কাউন্টে আমাদের অবস্থা ভালো এই বক্তব‍্যের পলিসি ইমপ্লিকেশন কী? কর্মকর্তারা আরো কিছুদিন গা এলিয়ে থাকা যাবে এরকমটা ভাবছেন? কোন জটিল কেইসের সমাধান উনারা করতে পারেন না। তাদের সম্বল ফোন আড়ি পাতা, চর আর পেটি ক্রাইমের ড‍্যাটাবেইজ। এই দিয়ে তারা আনসারুল্লাহ, জেএমবিকেও সামাল দিতে পারেন না।

— সাধারণভাবে দেশে ছিনতাই হলে, পকেটমার হলে, রাস্তায় হেনস্থা হলে পুলিশ ডেকে বিচার পাওয়া যায় না। ইউরোপেও যে সবক্ষেত্রে বিচার পাওয়া যায় এরকমটা না। তবে তাদের ফোন করলে ১০ মিনিটের মধ‍্যে তারা আসে। এসে একটা বিহীত করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর নাকের ডগায় একদল মানুষ দুইটা মানুষকে কুপিয়ে চলে যেতে পারে। তুলনামূলকভাবে এই ইস‍্যুতে ইউরোপ আমেরিকার অবস্থান কোথায় সেটা নিয়ে কর্মকর্তারা একটু সময় ব‍্যয় করলে ভালো।

— দুর্নীতি তুলনা করলে বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দুর্নীতিবাজ সংস্থাগুলোর মধ‍্যে থাকবে। স্টাটিসটিকস বর্ণনা করার সময় এই বিষয়টাও আনলে ভালো।

সূত্র ও নোটঃ
১. বিবিসি আইসিস নারী যোদ্ধা
২.শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযুক্তদের মধ্যে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীও রয়েছে
৩.
বইমেলায় থাকবে পর্যাপ্ত আলো ও নিরাপত্তা
Avijit murder: Light was inadequate, cops say
৪. ইরিত্রিয়ার দুই বিয়ের গুজব


মন্তব্য

ইয়ামেন এর ছবি

যেই সেগ্রিগেশন দেখালেন সেই সেগ্রিগেশন আমেরিকাতে হরহামেশা দেখি। যে কোন বাংলাদেশী দাওয়াতের শতকরা ৯৯ ভাগে দেখে এসেছি ছেলেরা এক রুমে বসে, মেয়েরা আরেকটায়। বেশীরভাগ সময় ড্রয়িং রুম ছেলেরা, আর মেয়েরা বেডরুমে গিয়ে বসে পড়ে। কি আর বলবো, নিজের বাসায় যখন দাওয়াত দিয়েছি, তখনও সেটা আটকে রাখা যায় না, মেহমান আসে, এবং কিছু বুঝার আগেই অনেক সময় দেখি মেয়েরা পিলপিল করে আলাদা রুমে চলে গিয়ে বসে পড়েছে।
এটা একেবারে মজ্জাগত হয়ে গেছে বলে মনে হয়।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

হাসিব এর ছবি

মজ্জাতে আগেও ছিলো। আবহমান ভারতীয় সমাজে অন্দর আর বাহির আলাদা বিষয়। সমস‍্যা হলো এর থেকে বের হতে পারছি না আমরা। লেখায় এজন‍্য শিক্ষিত সমাজের কথা উল্লেখ করেছি। ছেলে এবং মেয়েরা যে বাসায় একসাথে আড্ডা দেয় না বা একসাথে খেতে বসে না সেখানে আমি প্রকাশ‍্যে যাবার ব‍্যাপারে অনাগ্রহ দেখাই। অনেক আড্ডা মিস হয়। কিন্তু আসলে কিছু মিস হয় কিনা সেটাও একটা কথা।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একমত

সেগ্রিগেশন এর কারণটা আসলে সবসময় ধর্মীয় না। আমাদের বাংলাদেশি কম্যুনিটি যখন ছোট ছিল (৬-৭ জন) তদন সবাই মিলে একসাথে বসে কথা বলা যেত। এরপর জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে বাংলাদেশির সংখ্যা (৪০-৪৫ জন)। তখন দেখা যায়, (১) সবাই একসাথে বসার জায়গা হয় না। বউ-জামাই এক জায়গায় বসলেও দেখা যায় আলাপ-আড্ডার বিষয় সবার কমন পড়ে না। (২) কিছুদিন পরে দেখা হওয়া ছেলেরা সবাই এক ধরণের বিষয় নিয়ে কথা বলছে, আর মেয়েরা আরেক বিষয় নিয়ে কথা বলছে। এটা স্বেচ্ছায়ই হয় অনেক সময়। পরে আবার সবাই যখন খাবার জন্য একজায়গায় হচ্ছে -তখন আবার ছেলে-মেয়ে নির্বেশেষে আলাপ চলছে (বা কাউকে পঁচানি চলছে)।

যখন ৬-৭ জন ছিলাম এখন আমি আর আমার বউ দুজনেই বসেছি আরও ভাইয়া-আপু আর অবিবাহিত ব্যচেলরদের সাথে। আমরা সবাই ভাইবোনের চেয়ে কম ছিলাম না। এরপর, যখন অনেক লোক বাড়লো তখন আমার বউ ভেতরের ঘরে মেয়ে মহলে ঘেঁষে যাওয়া শুরু করল, আমি ছেলেদের মধ্যে বসা শুরু করলাম। আমার বউ হয়ত যেসব বিষয় নিয়ে আলাপ করবে সেগুলো আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে, আর জ্যাসন স্ট্যাথাম, ডেডপুল নিয়ে আমাদের ছেলেদের হাউকাউ তার ভালো লাগবে না। পরে আবার খাবার প্লেট হাতে আবার দুজনে পাশাপাশি বসেছি (যাতে বউ প্লেটে কিছু নিয়ে না খেতে পারলে সেটা অলক্ষ্যে আমার প্লেটে চালান করে দেয়া যায় হাসি )।

তবে, অন্য কারণে‌ ‌ আলাদা বসতে হচ্ছে এমনটাও আছে জানি, শুনেছি। আমি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় তেমন পরিস্থিতিতে পরিনি।

শুভেচ্ছা হাসি

রানা এর ছবি

প্রতিবেদন থেকে কিছু জিনিস ভাবানোর মতো-

১/ তরুণীদের বয়স ১৫-১৮ বছর, তারা প্রযুক্তি বান্ধব, তারা একশোর চেয়েও বেশি জিহাদি সাইট ঘাটাঘাটি করে, কিন্তু ভাবার সময় ভাবে আই এস নারীদের সম্মান দিয়েছে। প্রযুক্তি বান্ধবেরা কেন নেট ঘাটাঘাটি করে বের করতে পারলো না যে আই এস তাদের যৌনদাসী বানাচ্ছে ? আর যদি বের করে থাকতে সক্ষম-ও হয় তাহলে কেন সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত বদলালো না ?

২/ হেনা আহমেদ এর আশংকা যদি সত্যি হয় যে, অভিভাবকরা জানেন না যে আই এস কি জিনিস, তাহলে সেটা-ও এক ভয়াবহ ব্যাপার। ইষ্ট লন্ডন বা গ্লাসগোতে থেকেও তারা কি কারণে জানেন না ? তাদের ছেলেমেয়ে যুক্তরাজ্যের আধুনিক প্রজন্ম , প্রযুক্তি বান্ধব আর তারা নিজেরা কি ভুরুঙ্গামারীর বাসিন্দা ?

হাসিব এর ছবি

১/ তরুণীদের বয়স ১৫-১৮ বছর, তারা প্রযুক্তি বান্ধব, তারা একশোর চেয়েও বেশি জিহাদি সাইট ঘাটাঘাটি করে, কিন্তু

ভাবার সময় ভাবে আই এস নারীদের সম্মান দিয়েছে। প্রযুক্তি বান্ধবেরা কেন নেট ঘাটাঘাটি করে বের করতে পারলো না যে আই এস তাদের যৌনদাসী বানাচ্ছে ? আর যদি বের করে থাকতে সক্ষম-ও হয় তাহলে কেন সিরিয়া যাবার সিদ্ধান্ত বদলালো না ?

সেই জন‍্যই ক্ষমতায়ন শব্দটাকে ইন্টারেস্টিং বললাম। তারা একটা ডকট্রিনে বাস করে যেখানে তারা ভাবে সিরিয়ার খিলাফতেই ন‍্যায‍্য ব‍্যবস্থাগুলো আছে। তারা সেখানে জেনেশুনে ও বুঝে গিয়েছে।

২/ হেনা আহমেদ এর আশংকা যদি সত্যি হয় যে, অভিভাবকরা জানেন না যে আই এস কি জিনিস, তাহলে সেটা-ও এক ভয়াবহ ব্যাপার। ইষ্ট লন্ডন বা গ্লাসগোতে থেকেও তারা কি কারণে জানেন না ? তাদের ছেলেমেয়ে যুক্তরাজ্যের আধুনিক প্রজন্ম , প্রযুক্তি বান্ধব আর তারা নিজেরা কি ভুরুঙ্গামারীর বাসিন্দা ?

অভিভাবকদের একটা অংশ অবশ‍্যই ভাবে যে আইসিসই প্রকৃত ইসলাম কায়েম করছে। এই ধারণার মানুষ বাংলাদেশেও ভর্তি আমার বিশ্বাস। গবেষণায় উঠে এসেছে যে তাদের ছেলেমেয়েরা যে এসব ভিডিও দেখছে এবং প্রভাবিত হচ্ছে তা তারা জানতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কয়েকজন বন্ধু আই এস এর ভক্ত। ইন ফ্যাক্ট সিরিয়াসলি ভক্ত। তাদের ফেবু কর্মকান্ড, ব্যক্তিগত কর্মকান্ড বলে তারা কয়েক বছর পর জিহাদি হয়েও যেতে পারে। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে তারা এটা হল। দেখুন তারা কিন্তু সবকিছু জেনে-বুঝেই এপথে এসেছে। তারা কি অন্ধ, তারা কি কোনকিছু যাচাই করতে পারেনা? না, পারে, কিন্তু ইহাই একমাত্র সহিহ ইসলাম মতবাদ তাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে যে ওই পথেই এখনো আছে। ভবিষ্যতে কি হবে জানিনা।

In the Skin of a Jihadist: A Young Journalist Enters the ISIS Recruitment Network বইটা পড়েছিলাম। একজন সাংবাদিকের অনুসন্ধানীমূলক বই। মেয়েদের কিভাবে রিক্রুট করা হয় এটাতে আছে। ভয়াবহ। আসলে আমার ধারণা কি, ইসলামের জন্য ধর্ষিত হলেও পূণ্য অর্জন হয়, ওইসব মেয়েদের বোধহয় এরকমই ধারণা। জানিনা কি হবে, আই এস নির্মূলের তো লক্ষণ দেখি না।

বিদ্র: বইটার সারসংক্ষেপ এখানে পাওয়া যাবে।

হাসিব এর ছবি

বইটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। পড়ে দেখতে হবে।
আর আপনি আইসিস বন্ধুদের কাছ থেকে দুরে থাকুন পারলে। নাহলে দেখবেন তাদের সাথে যোগাযোগের সূত্রে আপনি কোথাও আটকে গেছেন।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

টাগেসব্লাট শব্দের অর্থ কি?

লেখা গুলো দেখে আন্দাজ করছি, এগুলো হয়তো আপনার ফেইসবুক স্ট্যাটাস ছিল বিভিন্ন সময়।

যাদের ফেইসবুক একাউন্ট নেই/ইচ্ছে করে করেনি/আপাতত ডিএকটিভেট করা আছে তাদের কথা ভেবে সিরিজটি নিয়মিত চালিয়ে যাবার অনুরোধ থাকলো।

হাসিব এর ছবি

এগুলো আসলে জার্নাল টাইপের লেখা। ফেইসবুকে ছিলো না এগুলো। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক কুড়োনো থেকে এখানে এগুলো জমুক।

হাসিব এর ছবি

টাগেসব্লাট হলো দৈনিক পত্র টাইপের। প্রথম অংশ টাগের মানে হলো দিন/দৈনিক আর ব্লাট মানে হলো sheet।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।