টাগেসব্লাট — ৩

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ০১/০২/২০১৬ - ৫:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

§
১৬টি বৌদ্ধ স্তুপ খনন করে পাওয়া গেছে বলে খবরে বেরিয়েছে। অতিশ দীপঙ্করের জন্মস্থান ব্রজযোগিনী গ্রামের পাশেই এই স্তুপের দেখা পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত নমুনার কার্বন ডেটিং বলছে জায়গাটা ১১০০ বছর পুরনো। এই খনন প্রকল্প তত্ত্বাবধান করছেন জাহাঙ্গিরনগরের অধ‍্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। উনি নিয়মিতই এসবে লেগে আছেন। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো যদিও বিজ্ঞানসম্মত লোকেরা যখন গবেষণাকর্ম গুনতে বসেন তখন তাদের চোখে পড়ে না। তারা খেলনা ড্রোন নিয়েই উত্তেজিত।

এই খনন প্রকল্পের আরেকটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো এখানে চীন সহযোগিতা করছে এবং তারা ঐ জায়গাটাতে একটা আর্কাওলোজিকাল পার্ক গড়তে চায়। চীন কী কারণে হুট করে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ‍্যে আবিস্কারে সাহায‍্য করতে শুরু করলো সেটা বোঝা মুশকিল। চীনের সাথে আমাদের একটা প্রত্নতাত্ত্বিক ঝামেলা আছে। উপরে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। এই অতীশ দীপঙ্করকে তিব্বতীরা এখান থেকে নিয়ে যায় তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান চর্চা ইত‍্যাদি লাইনে আনার জন‍্য। অতীশ দীপঙ্কর সেখানে যাবার আগের ১০০ বছর তীব্বতিরা অন্ধকার যুগ বলে। তখন নাকি সেখানকার মানুষ মুর্তি বানানো ও বড় বড় মন্দির বানানোই ধর্ম মনে করতো। সেসব থেকে বের করতে আনতে তিব্বতীরা অনেক কষ্ট স্বীকার করে অতীশকে সেখানে নিয়ে যান। সেই সময়টাতে নেপালের রাজবংশের সাথে বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের বৌদ্ধ বিদ‍্যাপীঠগুলোর সম্পর্ক ছিলো। অতীশও নেপাল হয়ে তিব্বত যান। বাংলাভাষার আদি নিদর্শনও ঐ নেপালের রাজাদরবার থেকেই উদ্ধার হয়। যেহেতু অতীশ তিব্বতের গিয়েছিলেন একজন জ্ঞানী ব‍্যক্তি হিসেবে এবং জ্ঞানী ব‍্যক্তিরা বই পত্র রচনা করেন এবং অন‍্যের বই রচনায় তত্ত্বাবধান করেন সেহেতু আমরা ধারণা করতে পারি আমাদের এখানে যে ভাষা ও তার টেক্সট প্রচলিত ছিলো সেগুলো তিব্বতেও কিছু গিয়েছে। চীন সমাজতন্ত্র কায়েম করতে তিব্বতের অনেক জিনিসের সাথে প্রচুর প্রাচীন টেক্সট ধ্বংস করেছে। তারা এসব না করলে হয়তো আমরা বাংলার প্রাচীনতর কোন নিদর্শন তিব্বত থেকে খুঁজে পেতাম। এই চীন এখন আমাদের ইতিহাস ঐতিহ‍্য উদ্ধারে সাহায‍্য করতে এসেছে। জিনিসটা একটু আইরনিক।

অতীশ দিপঙ্কর শ্রীজ্ঞান সম্পর্কে আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছিলাম অনেক আগে। অতীশ দীপঙ্করের একটা ছবি আছে নিউইয়র্কে। উইকির অতীশ দিপঙ্কর আর্টিকেলটাতে সেই ছবিটা রাখা আছে। সম্ভবত ঐ ছবিটা সবচাইতে আগে আঁকা এক বাঙ্গালির ছবি।

অতীশের চেহারা যদি তখনকার গড়পড়তা চেহারা হয় তাহলে বাঙ্গালিরা তখন এখনকার চাইতে একদমই অন‍্যরকম দেখতে ছিলো। অতীশের আগে বা পরে মধ‍্যযুগে আঁকা আর কোন বাঙ্গালির ছবি কি আমাদের হাতে আছে?

§
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ‍্যালয়ের একজন গবেষক ৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৩০০ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন গ্রীক মিউজিক কীরকম ছিলো সেটা উদ্ধার করেছেন। মিউজিকটা শুনতে এরকম,

আমাদের ভারতীয় সঙ্গীতের বর্তমান ধারার শুরু মধ‍্যযুগে। ভারতীয় সঙ্গীতের একটা সমস‍্যা হলো আমাদের নোটেশন লিখে রাখার প্রচলন নেই। গুরু শিষ‍্য পরম্পরায় সঙ্গীত এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে চলে এসেছে। এই নোটেশন না থাকার কারণে অনেক সঙ্গীত হারিয়ে গেছে এটা আন্দাজ করা যায়। আমাদের দেশেও অনেক জনরো ছিলো যেটা হয়তো এখন চর্চার অভাবে হারিয়ে গেছে। এই সঙ্গীতগুলো যেহেতু কোনভাবে লিখিত নেই সেহেতু এগুলো পুনরুদ্ধারও সম্ভব হবে না।

§

ডেইলি স্টার একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে। কিছু প্রাচীন মুদ্রা বাস্তবে দেখতে কেমন সেটা দেখতে পেলাম সেই ভিডিওতে।

প্রশংসনীয় কাজ। এরকম কাজ আরো হওয়া দরকার। মুদ্রা নিয়ে একটা বই পড়েছিলাম অনেক আগে। নাম ছিলো সম্ভবত “মুদ্রায় ও শিলালিপিতে মধ‍্যযুগের বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি”। লেখক এ কে এম শাহনেওয়াজ। প্রকাশক খুব সম্ভব বাংলা একাডেমি। মুদ্রায় আগ্রহ থাকলে বইটি অবশ‍্যপাঠ‍্য।

সাইড নোটঃ কেউ কি ডেইলিস্টারের ভিডিও নির্মাতাকে জানাবেন যে কমিক সান্স ফন্ট ব‍্যবহার সিরিয়াস কাজের ওজন কমায়?

§
বাংলা একাডেমির আমীর আল্লামা ড. শামসুজ্জামান খানসাহেব বইমেলা শুরুর প্রাক্কালে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে লেখকেরা যাতে উস্কানীমূলক লেখা না লেখে সেই বিষয়ে সবক পৌঁছে দিতে এরশাদ করেছেন।

বাংলা একাডেমির আমিরের সাথে সরকার দলীয় নেতা শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমুও সবাইকে লাইনে এসে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিলে কঠোর ব‍্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুমকি পুনর্ব‍্যক্ত করেছেন।

এদিকে পুলিশের বড়কর্তারা সাংবাদিকদের সামনে সেজেগুজে বসে লেখক ও ব্লগারদের নিরাপত্তা “প্রয়োজন হলে” দেয়া হবে বলছেন। একজন লেখক বা ব্লগার কখন কীভাবে বুঝবেন তিনি হুমকির মুখোমুখি? তাদের নাম কোন উড়োতালিকায় এলে তারা বুঝবেন যে তারা হুমকির সম্মুখিন? আর পুলিশ কীভাবে এটা ভেরিফাই করবে? ধরা যাক ৫০০ লোক গিয়ে কন্ট্রোলরুমে গিয়ে বললো তাদের নিরাপত্তা দিতে। তখন পুলিশ কী করবে? ৫০০জনের সাথে ২জন করে পুলিশ দিলেও ১০০০ পুলিশ লাগার কথা। এই লোকবল সরবরাহ করতে প্রস্তুত পুলিশ?

§
রাইটস যশোর নামে একটা মানবাধিকার এনজিও যশোরে শিশু নিপীড়ন ও পাচার-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এই পরিসংখ‍্যান শুধু একটা জেলার পরিসংখ‍্যান হলেও আমার ধারণা এটা বাংলাদেশকে শতাংশ দাগে মোটামুটি প্রতিনিধিত্ব করবে। পরিসংখ‍্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে খুলনা বিভাগে ৮৪৬টি শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। রিপোর্টার এরপর একগাদা সংখ‍্যা দিয়ে নিউজ ভর্তি করেছে। সাজিয়ে গুছিয়ে নিউজের ড‍্যাটাগুলো টেবিল আকারে এরকম দেখায়,

নিউজে একটা বাক‍্য এরকম, “১২০টি ধর্ষণ ও ১০৮টি নারীশিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।” এখানে সম্ভবত ১২০টি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মধ‍্যে ১০৮জন নারীশিশু এরকমটা বলার চেষ্টা হয়েছে। অন‍্য সবগুলো ক্ষেত্রেও নারী শিশু দেশে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার মধ‍্যে বড় হয় এটা পরিস্কার। আর সবশেষে আছে বর্ডারের জেলা হবার পাপ হিসেবে বিএসএফ কর্তৃক দুই শিশুর মৃত‍্যু।

§
পিশাচ করিমের বন্ধু আইনমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ অবমাননার আইন করা তাদের বিবেচনার মধ‍্যে আছে বলে জানিয়েছেন। এরকম করা হচ্ছে, করা হবে বক্তব‍্য অনেক দিন ধরেই আমরা শুনছি। এই স্নিপেটটা আইনমন্ত্রীর বক্তব‍্য নিয়ে নয়। বিডিনিউজ নিউজটাতে একটা লাইন লিখেছে এরকম,

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার পর মুক্তিযুদ্ধ অবমাননার জন্য শাস্তি দিতে আইন করার দাবি ওঠে।

এই দাবিটা কি তাহলে নতুন? আমি নিজেই একটা পোস্ট লিখেছিলাম ২০০৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। পত্রিকাগুলো ব্লগের কোন রেফারেন্স দিতে চান না কেন? আমরা আজকে যে অনলাইন একটিভিজম দেখি সেগুলোর সুতিকাগর হলো বাংলা ব্লগগুলো। সেগুলোর কৃতিত্ব দিতে এতো কার্পন‍্য কেন নিউজ মিডিয়াগুলোর? আমি যে উদাহরণের উপর বেসিস করে এই কার্পন‍্যের অভিযোগটা করলাম সেটা বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়। শাহবাগ আন্দোলনের মতো বড় আন্দোলন পত্রিকাগুলো পড়লে মনে হবে আকাশ থেকে পড়া ইমরান সরকারের নেতৃত্বে একটা আন্দোলন। এর পেছনের সোশ‍্যাল মিডিয়া, ব্লগগুলোর ইতিহাস তারা কখনো উল্লেখ করে না। ব্লগ প্রসঙ্গ তারা শুধু নাস্তিক ইস‍্যুতে আলোচনা উঠলে তখন আনে।

§
সমকাল নিউজ করেছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বিষয়ে। নিউজটার হেডিংটা এরকম “এসএসসিতে তত্ত্বীয়ের আগেই বহুনির্বাচনী পরীক্ষা”। হেডিঙে বহুনির্বাচনী শব্দটা আমার মনোযোগ কেড়েছে। অনুবাদটা আক্ষরিক ও ঠিক আছে বলে মনে হয়। তো যেটা ঠিক নেই সেটা হলো মাধ‍্যমিক পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন আসে সেগুলো বহুনির্বাচনী প্রশ্ন নয়। বহুনির্বাচনী অর্থাৎ মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন হলো সেই প্রশ্নগুলো যেগুলো একাধিক উত্তর হয়। যেমন “আপনি প্রতিদিন কোন কোন পত্রিকা পড়ে থাকেন?” এই প্রশ্নের উত্তরে ১০টা পত্রিকার নাম দেয়া থাকলে আমি কয়েকটাতেই টিক চিহ্ন দেব। কিন্তু এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রতিটা প্রশ্নের একটা উত্তরই থাকে। এই অর্থে সেগুলো এমসিকিউ নয়, সিঙ্গেল চয়েস কোয়েশ্চেন। এই ভুলটা বোর্ড থেকে শুরু করে পত্রিকার সাংবাদিক সবাই করে আসছেন। অনেকদিন আগে ছোট্ট একটা ব্লগ লিখেছিলাম এটা নিয়ে। আগ্রহীরা এই লিংকে ঢু মারতে পারেন।

§
সূত্র
১. 16 Buddhist stupas found at Nateshwar
২. What Ancient Greek Music Sounded Like: Hear a Reconstruction That is ‘100% Accurate’
৩. [WATCH] Evolution of Bengal coins: From Hercules to Bangabandhu
৪. প্রকাশকদের আগেভাগেই ‘সবক’ দিয়ে রাখল বাংলা একাডেমি
৫. প্রয়োজনে বইমেলায় প্রকাশক-লেখকদের ‘বিশেষ নিরাপত্তা’
৬. রাইটস যশোরের শিশু নিপীড়নের তথ্য প্রকাশ
৭. মুক্তিযুদ্ধ অবমাননায় শাস্তি দিতে আইন হচ্ছে
৮. এসএসসিতে তত্ত্বীয়ের আগেই বহুনির্বাচনী পরীক্ষা


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

অতীশের আগে বা পরে মধ‍্যযুগে আঁকা আর কোন বাঙ্গালির ছবি কি আমাদের হাতে আছে?

এইখানে ওলন্দাজ আর্কাইভে নিচের এনগ্রভিংটা আছে। ঠিক মধ্যযুগ না অবশ্য, সময়কাল লেখা ১৬৬৩ সাল। উড়িষ্যার পিপলি বন্দরে সদ্য ধরে আনা দাস ওলন্দাজদের কাছে বিক্রয় করার দৃশ্য। ছবির অধিকাংশ দাসই বাংলা এলাকার বাসিন্দা ধরে নেওয়া যায়।

..................................................................
#Banshibir.

হাসিব এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

পাঠক হিসেবে টাগেসব্লাট নিয়ে আমার দুইটা সমস্যা হচ্ছে। এক, এটা দৈনিকবার্তা হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নীড়পাতা থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে আলোচনা করার স্কোপ কমে যাচ্ছে। বলতে পারেন, ব্লগটা তো আর হারিয়ে যাচ্ছে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে আলোচনাটা আপনার ব্লগে গিয়ে করতে হবে যা নীড়পাতা ভ্রমণকারী পাঠকের চোখে পড়বে না। তাছাড়া একটা বিষয়ে আলোচনা করার জন্যও কিছুটা সময় লাগে। দুই, প্রতিটা এপিসোডে অনেকগুলো বিষয় উত্থাপন করেন বলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অন্য আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বা সহজপাচ্য ইস্যুর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। এতে প্রথমোক্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটার প্রতি সুবিচার করা হয় না। টাগেসব্লাট লেখার পেছনে আপনি যে যুক্তিই দিন না কেন, এখানে তো এটা ব্লগ - তাই না! প্রকাশিত ব্লগের কনটেন্ট নিয়ে পাঠকের আলোচনার স্কোপ কমিয়ে দিলে কি ব্লগের প্রতি সুবিচার করা হয়? প্রকাশিত তিনটা এপিসোড নিয়েই আমার আলোচনা করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আপনার গতির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারিনি।

হাসিব এর ছবি

সচলের নীতিমালা মানতে হবে। এটা একটা বিষয়।
আরেকটা বিষয় হলো প্রতিদিনই যে একটা পোস্ট হবে বিষয়টা এরকম না। এখন হাতে একটু সময় আছে বলে পোস্ট আসছে। হাতে সময় না থাকলে হয়তো সপ্তাহে একটা পোস্ট আসবে।
গতির সাথে তাল মেলানোর সমস‍্যা হলে একটা কাজ করা যায়। আমি পোস্টের শুরুতে বা শেষে আগের পোস্টগুলোর লিংক দিয়ে দিতে পারি। ওগুলো অবশ‍্য বাদিকের পোস্ট তালিকায় দেখা যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলের নীতিমালা আমি অবহিত তাই এক্ষেত্রে আপনার বাধ্যবাধকতা আমার বোধগম্য। আগের পোস্টের লিঙ্ক দেবার তো দরকার নেই। কারণটা আপনিই বলে দিয়েছেন। এরচেয়ে আমার মনে হয় পোস্ট দেবার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক গতি ফলো করতে পারেন। মানে স্বাভাবিক গতিতে আপনার পোস্ট নীড়পাতা থেকে সরে গেলে পরের পোস্ট করতে পারেন। এতে পাঠক পড়ার ও আলোচনা করার যথেষ্ট সুযোগ পাবেন।

তাছাড়া এক পোস্টে একটা বিষয় নিয়ে যদি বলেন তাহলে আপনার তরফ থেকে যেমন বিস্তারিত জানার সুযোগ তোইরি হয় তেমন বিষয়টি পাঠকেরও যথাযথ মনোযোগ পায়।

guest writer এর ছবি

এমন সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অতীতের ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব সব খুজে পাওয়া সম্ভব হবে!

অতিথি লেখক,
ডিবেটার সাদ্দাম হোসেন

অতিথি লেখক এর ছবি

আইন মন্ত্রী এভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সরাসরিই বলে দিতে পারতেন যে, বাংলাস্তান থুক্কু বাংলাদেশে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা একদমই চলবে না।
(ম্যারি)

ঘুমকুমার এর ছবি

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৯০ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে যার মধ্যে ৭০% নারী শিশু। এই সেগমেন্টটা নিয়ে আরও গভীর গবেষণা দরকার বলে মনে হয়। ভেবে দেখা দরকার শৈশবেই কেন শিশুরা এতটা হতাশায় পতিত হচ্ছে যে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অতীশ দীপঙ্করের ছবিটা কি প্রতিকৃতি না প্রতীকী?
বুদ্ধের বিভিন্ন এলাকার ছবি/মূর্তিতে কিন্তু মুখের আদল ভিন্ন রকম। সাধারণতো যে লোকালেয়ে মূর্তি/ছবি তৈরি হচ্চে সে লোকালয়ের চেহারার আদল। তিব্বতে আকার কারণে কি অতীশের এই চেহারাটা তীব্বতীয় হবার একটা সম্ভাবনা তৈরি করে না?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পড়ছি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।