আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে লেখক ও ব্লগার শামসুজ্জোহা মানিককে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসা থেকে তার সকল বই পুস্তক, কম্পিউটার, মনিটর, হার্ডডিস্ক জব্দ করে নিয়ে গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব মিলিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ারা হলেন ইসলাম বিতর্ক বইয়ের সম্পাদনাকারী শামসুজ্জোহা মানিক (৭৩) , প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফকির তসলিম উদ্দিন কাজল (৫৩) ও লেখক শামসুল আলম চঞ্চল (৫১)। খবরটি থেকে আমরা জানছি আগে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পেরে বাংলা একাডেমিকে জানালে বাংলা একাডেমি স্টলটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
আরেকটি খবর বলছে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় একটি মামলা (নম্বর-২৩) দায়ের করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা।
শুরুটা হয়েছিলো গত বছর রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়ে। মৌলবাদি ধার্মিক, প্রকাশকদের রোষাণলে সামিল হয়ে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দিয়েছিলো বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমির কাছ থেকে খুব বেশি আশা করাটাও বোকামি। পরপর বেশ কয়েকজন লেখক, প্রকাশক খুনজখম হয়ে গেলেও তাদের নামে একটা বিবৃতিও তারা প্রকাশ করেনি। এই চর্চা ধরে রেখে আজকে তারা একুশে বইমেলাতে ব-দ্বীপ প্রকাশনের স্টল বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অপরাধ তারা লেখক ও ব্লগার শাহসুজ্জোহা মানিকের ইসলাম বিতর্ক নামে একটি বই প্রকাশ করেছে যেটা নাকি কতিপয় লোকেদের অনুভুতি আহত করেছে। বইমেলা শুরুর আগে লেখকদের উস্কানীমূলক লেখা না লিখতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান যে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন সেটা যে নিছক মেঠো বক্তৃতা ছিলো না সেটার প্রমান রাখলেন তিনি। তিনি স্টল বন্ধ করতে পুলিশ পাঠিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত খবর পুলিশ স্টলে বই বিক্রেতাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। "অপরাধের প্রমান" হিসেবে স্টল থেকে ৫টি বই জব্দ করা হয়েছে।
ছবিসূত্রঃ স্টল বন্ধ করে দেবার দাবিতে ফেইসবুক ইভেন্ট পেইজ।
ব-দ্বীপ প্রকাশনের স্টল কেন বন্ধ হয়েছে সেটা নিয়ে বাংলা একাডেমির আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও হাতে আসেনি। তবে গত দুই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করে একা পরিস্কার হয় যে লেখক ও ব্লগার শামসুজ্জামান তার একটি বই ব-দ্বীপ প্রকাশনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যেটা কোমলমতি নৃশংস ধর্মপ্রাণ ধার্মিকদের মনে আঘাত দিয়েছে। এ ধরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। নতুন বিষয়টা হলো কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরণের মৌলবাদি কার্যক্রম সংগঠিত করা হচ্ছে সেটা। পুলিশও বলছে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই “ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের কথা জেনেছে”। (ঢাকা ট্রিবিউন)
ছবিসূত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন
স্টলে চৌকস পুলিশ এ্যাকশন। ছবিসূত্রঃ বাংলামেইল২৪ডটকম
শামসুজ্জোহা মানিক নতুন লেখক নন। উনি ষাটের দশক থেকেই বামপন্থী রাজনীতি ও লেখালেখির সাথে জড়িত। ইসলাম বিতর্ক বইয়ের আগে ও পরে তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা, রাজনীতির পুনর্বিন্যাস, আওয়ামী লীগ-বিএনপি বিরোধের সমাজতত্ত্ব, বাংলাদেশের সংকট ও উত্তরণের পথ, ধর্ম ও শ্রেণীতত্ত্বের যাঁতাকলে বাঙ্গালী জাতিঃ জাতি ও জাতীয়তাবাদ বিষয়ক প্রবন্ধসংকলন, ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা, ইসলাম বিতর্ক (অনুবাদ সংকলন), বাঙ্গালি মধ্যবিত্তের উত্থান, বাঙ্গালী জাতির সঙ্কটের উৎস ও তার প্রতিকার সন্ধান, ইসলামে নারীর অবস্থান (প্রবন্ধ সংকলন), কৃষক আন্দোলনঃ অভিজ্ঞতার সারসংকলন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যা, স্বপ্নের কাল মিছিলের কাল।
ধর্মতত্ত্ব নিয়ে এতোদিন লেখালেখির পরও কোমলমতিদের অনুভুতি অক্ষতই ছিলো। এমনকি যে বইটির কারণে স্টলটি বন্ধ করে দেয়া হলো সেটা শামসুজ্জোহা মানিকের ব্লগে বেশ কয়েক বছর আগেই পোস্ট করা হয়েছে। এই নিয়ে ২০১১ সালে আল ইহসান পত্রিকায় একটি চিঠি ছাড়া তেমন কোন দৃশ্যমান শোরগোল ওঠেনি বিগত কয়েক বছরে।
তো বিগত কয়েক বছর ধরে পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশিত ইসলাম বিতর্ক নতুন করে অনুভুতিতে আঘাত উস্কে দেয় নয়ন চ্যাটার্জি নামে একটি ফেইসবুক নিক। সনাতন ধর্মের নাম নিয়ে এই নিক ফেইসবুকে সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়ানোর কারণে ইতিমধ্যে কুখ্যাত। নয়ন চ্যাটার্জি তার নিজের ব্লগসাইটে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকালে ইসলাম বিতর্ক নামে একটি পোস্ট দেয়। সেখানে সে ইসলাম বিতর্ক বইয়ের বিভিন্ন উদ্ধৃতির স্কৃনশট প্রকাশ করে। একই দিন দুপুরে এই ব্লগে লেখক ও ব্লগার শামসুজ্জোহা মানিকের জীবনি, তিনি দেখতে কেমন সেটার ধারণা দেবার জন্য একটি ইউটিউব ভিডিও এবং সবশেষে শামসুজ্জোহা মানিকের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার পোস্ট করে।
নয়ন চ্যাটার্জির পোস্টের পরও শামসুজ্জোহা মানিক বা ব-দ্বীপ প্রকাশনের ইসলাম বিতর্ক বইটি কোন “ইস্যু” হয়ে দাঁড়ায়নি। এটা “ইস্যু” হয়ে দাঁড়ায় মূলতঃ বিএনপি-জামাত ঘরাণার আইনজীবি তুহিন মালিক এই বিষয়টি নিয়ে একটি ফেইসবুক স্টাটাস দেবার পর। স্টাটাসটি ছিলো এরকম,
এই স্টাটাসের পরই আসলে ফেইসবুকে ইসলাম বিতর্ক বইটি নিষিদ্ধ, প্রকাশক ও লেখকের ফাঁসির দাবিতে উচ্চকণ্ঠ নজরে আসতে থাকে। ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট খোলা হয়। আজকে বাঁশেরকেল্লা এই ইভেন্টের পক্ষে প্রচারণা চালাতে থাকে। তারা প্রকাশ্যে জনগণকে আইন হাতে তুলে নেবার আহবানও জানায়।
এর সাথে এখনো তুহিন মালিকের স্টাটাসে, ফেইসবুক ইভেন্টে চলছে কোতল, চাপাতি, পুড়িয়ে, উইকেট ফেলে দেবার (এই কিওয়ার্ডটা আনসারুল্লাহর কাছে জনপ্রিয়) আহবান। এসবের একটি সংকলন পোস্টের শেষে দেয়া হলো।
রোদেলা প্রকাশনীর মতো ব-দ্বীপ প্রকাশনের ঘটনাটাও একটা উদাহরণ হিসেবে স্মরণে রাখা যেতে পারে। রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করার সময় মৌলবাদি গোষ্ঠি, বাংলা একাডেমিসহ প্রকাশকদের ভূমিকা ছিল। স্টল বন্ধের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনেও গুটিকয় প্রকাশনী অংশ নিয়েছিলো। এবার ব-দ্বীপ প্রকাশনের ঘটনায় আমরা দেখলাম কীভাবে সামাজিক মাধ্যমকে মবিলাইজ করে নত হতে ইচ্ছুক বাংলা একাডেমিকে দিয়ে কোন স্টল বন্ধ করানো যায় এবং কোন লেখকের জীবন বিপন্ন করে তোলা যায়।
মানবসভ্যতা এর থেকে বড় সংকট পার করে এসেছে। লেখালেখির ওপর শ্বাপদের এই হামলাগুলোও পার হবে সভ্যতা। শুধু লেখালেখিটা জারি রাখতে হবে।
সংযুক্তি ১
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক থেকে আমরা জানতে পারি, ব-দ্বীপ প্রকাশনীতে এমন কিছু বই প্রদর্শিত হচ্ছে যেগুলোর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। পরে অনুসন্ধানে বিতর্কিত লেখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্টল বন্ধ করা বিষয়ে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেছেন,
পুলিশ আমাদের বলেছে, ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো বই প্রদর্শিত হচ্ছে। স্টলটি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এ কারণে প্রকাশনীটির স্টল বন্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য
একটা স্টল বন্ধ করা এত সোজা?
বাংলা একাডেমি কিছুই করবেনা। প্রকাশকেরাও কি করবেননা কিছুই?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এইখানে স্মরণ রাখা ভাল যে রোদেলার স্টল বন্ধ হবার আগে বাংলা বাজারের কার্যালয়ে গেল বছর প্রকাশক, মুদ্রক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা চড়াও হয়েছিলেন। রোদেলার স্টল বন্ধের প্রতিবাদে মাত্র ৪-৫টি স্টল দাঁড়িয়েছিলো। বাকিরা রোদেলার পাশে দাঁড়ায়নি। অতএব এবার প্রকাশকেরা কী করবেন সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আজ কি রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী?
কী সুন্দর উপায় সেলেব্রেশনের!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শামসুজ্জোহা মানিকের লেখা কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে পড়তে পাওয়া যায়। তার ছাপানো বইটাও নতুন নয়। এই পুরনো লেখা, পুরনো বই পুঁজি করে এই সময়টাতে ঘোট পাকানো পরিকল্পনা করেই হয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অদ্ভুত দেশ!
...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”
বইমেলা নীতিমালা ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদ টা কী উল্লেখ করতে পারবেন?
সম্ভবত বিষয়টা এরকম,
আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাঁশেরকেল্লার একটা অ্যাডমিনকে না ধরা হইছিল?
..................................................................
#Banshibir.
বিষয়টা এইভাবে বললে ভালো — "বাঁশেরকেল্লার এক এডমিনকে ধরা হয়েছে এরকম একটা খবর আমরা পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছিলাম।"
বাঁশেরকেল্লা এক এ্যাডমিন দিয়ে চলে এটা মনে করার কারণ নেই। তাদের গ্রাফিক্স, কন্টেন্ট ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা লোক আছে বলে ধারণা করি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সহমত, বাঁশেরকেল্লা একটা অর্গানাইজড প্রতিষ্ঠান। অ্যাডমিনেরা মূলতঃ দেশের বাইরে (লন্ডনিস্তান?) থাকেন বলেই ধারনা করি। তবে বলতেছিলাম এক অ্যাডমিন ধরলে বাকিদের খবর পুলিশের কাছে গেছে কিনা সেইটা নিয়া।
..................................................................
#Banshibir.
জানামতে সেটা নাকি আসল বাঁশের কেল্লা পেজের অ্যাডমিন ছিল না। বাঁশের কেল্লা নামে আরও কয়েকটা পেজ যে আছে সেগুলোর কোন একটার অ্যাডমিনকে ধরা হয়েছিল আসল বাঁশের কেল্লার কোন অ্যাডমিনের গুপ্তকেশটাও এখনও প্রশাসন বাকা করতে পেরেছে (বা করার আন্তরিক চেষ্টা করেছে) বলে মনে হয় না।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
ইন্টারেস্টিংলি এতোসব এভিডেন্স থাকার পরও বাঁশেরকেল্লা পেইজটা কিন্তু ঠিকঠাক বাংলাদেশ থেকে এ্যাক্সেস করা যাচ্ছে। তারানা হালিম ফেইসবুকের সাথে এতো মিটিং ইত্যাদি করে কী রেজাল্টটা আনলেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেঃ পহেলা বৈশাখে যৌনহয়রানি ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করার খবর শেয়ার করতে চেয়েছিলাম ফেবুতে, ফেবু করতে দেয় নাই বলে 'this news has been flagged for inappropriate content'। যদি তারানানানানানানানা ম্যাডামের ফেবু মিটিং এর ফল হয় বাঁশের কেল্লা রেডিও মুন্নার অব্যহত থাকা আর দরকারী খবর শেয়ার করাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, তাহলে ম্যাডামের মিটিং সফল।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
দঃখের বিষয় হল আমাদের প্রগতিশীল লেখক সমাজ কোন দিন এসবের প্রতিবাদ করেনা।
লেখকেরা বাই ডিফল্ট প্রগতিশীল হবে এরকমটা অনেকে মনে করেন। বাস্তবে সেটা নাও হতে পারে। রোদেলা বা ব-দ্বীপ বা লেখক প্রকাশকদের উপর আক্রমন কোনটাতে প্রগতিশীল লেখকদের কলম তুলতে দেখি নাই তেমন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শ্বাপদের ভিড়েও যেন লেখালেখি চলতেই থাকে। স্বাধীন লেখালেখি বন্ধ হয়ে যাবার চেয়ে সর্বনাশের আর কিছুই হতে পারেনা।
সোহেল ইমাম
হুমম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাংলা একাডেমির হাজাম সাহেবের সাক্ষাৎকার (বিবিসি বাংলা)
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই মানের লোক কীভাবে বাংলা একাডেমির মতো সৃজনশীল সংস্থার মাথা হতে পারে! এতো মাদ্রাসা শিক্ষকের মতো কথা বলে!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ওনার বাসায় গেলে আবার পড়ে শোনাবে। একটা প্রশ্নেরও ঠিকমতো উত্তর দিতে পারল না। কীভাবে তার গা শিউরে ওঠে সেই বর্ণনা দেয়া ছাড়া র তার কিছু করার নাই। এই লোকের ব্যাকগ্রাউন্ড কী?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এ লোকের স্থান ত হাটহজারী মাদ্রাসা হওয়া উচিত
এই যে প্রকাশনী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, লেখক গ্রেপ্তার হচ্ছে, খুন হচ্ছে... এর বিরুদ্ধে জোরালো কোনো প্রতিবাদ নাই। কাগুজে আর টিভির মিডিয়া মজা লয়, দেশের বড় বড় কবি সাহিত্যিকের জীবনে বিন্দুমাত্র ছন্দপতন হয় না। কেনো প্রেশার নাই।
বাংলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে নাচ গান হয়, সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ হয়। ক'দিন আগে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার দেওয়া হলো, ক'দিন পরে একুশে পুরষ্কার দেওয়া হবে। তারো ক'দিন পরে স্বাধীনতা পুরষ্কার।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পুরস্কারের রাস্তা কেউ কন্টকিত করতে চায় না। আবার এদের কোমরে বাড়ি পড়লে এরা দেশের সব প্রগতিশীলতার ধামা টানতেছে এই দাবিটা করতে এক মিনিটও দেরি করবে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১।ধরে নিয়েছিলাম বাংলা একাডেমী হয়ত মনে করেছিল এ বই এর লেখা কারো বা গষ্টীমহলের অনুভুতিতে আঘাত করতে পারে তাই বই নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু ভেটকি মেরে থাকা চুপা ছাগু টাইপের এ লোকের (বাংলা একাডেমীর প্রধান শামসুজ্জামান) বয়ান শুনে তাজ্জব হয়ে গেলাম-এ লোক নিজেই শফি হুজুরের চেয়ে এক ডীগ্রী বেশী অনুভুতি আঘাতে আক্রান্ত।হেফাজতের চেয়ে এ লোক বই মেলার জন্য অধিক হুমকি জনক।বই মেলাতে হাজার মতের বই থাকবে কিন্তু মতের ভিন্ন বই পড়ে যদি বাংলা একাডেমী প্রধানেরই অনুভুতি আক্রান্ত হয় তবে বৈচিত্রের বই ত এ ব্যক্তি জায়গা দিবেনা। এরকম মৌলবাদী টাইপের লোক কিভাবে বাংলা একাডেমীর পরিচালক হতে পারে মাথায় ধরছেনা।এ লোক সবকিছু ধ্বংষ করে দিবে
২।স্ক্রীনশটের এত গুলো আক্রমানত্বক মন্তব্য একটাও ৫৭ ধারায় পড়েনা অথচ বই এর লেখক ৫৭ধারায পড়ে গেল!!
এ প্রসঙ্গে কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, যে বইটির কারণে স্টলটি বন্ধ করা হয়েছে, সেটির কয়েকটি লাইন আমাদের বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান আমাকে পড়ে শুনিয়েছেন। আমি কয়েক লাইন শোনার পর আর সহ্য করতে পারি নি। এত অশ্লীল আর অশালীন লেখা। এই স্টলটিকে আর অন্য দশটি সাধারণ স্টলের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। তিনি বলেন, আমি মনে করে লেখালেখির সময় কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না আসে। আর যে বইটির বিষয়ে কথা হচ্ছে, আমার অনুরোধ কেউ যেন এই বইটি না পড়ে। :/
নতুন মন্তব্য করুন