তাহলে মার্গারিটা কি প্রকৃত বাংলাদেশী নহে?

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: সোম, ২২/০৮/২০১৬ - ৯:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

বাংলার ফেসবুকাশে গতকাল থেকে গরম ইস্যু সদ্য অলিম্পিক সোনা বিজয়ী মার্গারিটা মামুন। আমি আগে থেকে বুঝতে পারছিলাম মার্গারিটা ইস্যুতে ফেসবুক গরম হবে। হাতি, রামপাল নিয়ে বহু কিবোর্ড ক্ষয় হয়েছে। আপামর বাঙালির এখন নতুন ইস্যু দরকার। তবে আমার ধারণা ছিল এটা হবে মার্গারিটা কী পোশাক পরে খেলায় অংশ নিলো সেটা। এই অনুমানটা কিছুদিন আগে মেয়েদের ম্যারাথন নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে যে কেউ করবে। আমার অনুমানটা ভুল ছিল। ফেসবুকে সবচাইতে বেশি কমেন্ট + শেয়ারসহ নিউজপেপার পেজগুলোর মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে মূল সমস্যাটা মার্গারিটা বাংলাদেশী কিনা সেই প্রশ্নে।

২।

মার্গারিটা মামুন বিষয়টা নিয়ে আলোচনার আগে একটা ব্যাকড্রপ সাজিয়ে নেয়া যায়। প্রথমে আসা যাক, মার্গারিটা মামুন কে সেই বিষয়ে। মার্গারিটা মামুনকে মিডিয়াতে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিসাবে। কারণ হিসাবে অনুমান করা যায় মার্গারিটা মামুনের বাবা যেহেতু বাংলাদেশী অরিজিন সেহেতু পিতৃতান্ত্রিক ফরমুলায় মার্গারিটার পরিচয় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। উলটোটা, অর্থাৎ, মা বাংলাদেশী কিন্তু বাবা রাশান - এরকমটা হলে হয়তো তাকে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বলা হতো না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই দুই ক্ষেত্রেই কাউকে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বলা যেতে পারে। মার্গারিটার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এমনটা জানা যায় মিডিয়া থেকে। 

৩। 

এই মার্গারিটা মামুনের মতো একটা বিশাল জনগোষ্ঠী পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে। এদের বাবা বা মায়ের কেউ একজন বিদেশী বা হয়তো তাদের দুইজনই বাংলাদেশী কিন্তু তাদের সন্তানদের জন্ম বিদেশে। এই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের সবাই বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারণ করতে পারে না। ইউরোপে বা আমেরিকায় থাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরা মোটা দাগে দুই রকমের, এদের 

- বাবা মা দুইজনে বা বাবা মায়ের যেকোনো একজন বাংলাদেশী। সন্তানের নাগরিকত্ব দ্বৈত বা একক। এই ফর্মটা দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউকেতে। এরা দ্বিতীয় প্রজন্ম পার হয়ে তৃতীয় প্রজন্মে পড়লে সাধারণত একক বিদেশী পাসপোর্টের মালিক হয়। 
- বাবা মা দুইজনেরই বা একজনের একক বিদেশী নাগরিকত্ব। সন্তানের একক বিদেশী নাগরিকত্ব। এই ফর্মটা ইউরোপে দেখা যায়।   

সুদূর পশ্চিমের মতো অদূর পশ্চিমে, অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তানে অনেক মানুষ আছেন যাদের শেকড়টা বাংলাদেশে। এদের কেউ ৭১এ আঁটকে পড়েছেন, দেশভাগের সময়, দেশভাগের পরে বিভিন্ন সময়ে বাধ্য হয়ে ভিনদেশে পাড়ি দিয়েছেন। এদের সন্তানদেরও নাগরিকত্ব বিদেশী।

এই বিদেশী পাসপোর্টধারি প্রথম প্রজন্ম বা দ্বিতীয় প্রজন্ম অনেকেই নিজেদের পরিচয়ের সাথে বাংলাদেশ নামটা উচ্চারণ করেন। ওরা হয়তো মার্গারিটার মতো বাংলা বলতে পারেন না। তবুও পরিচয় প্রশ্নে পূর্বপুরুষের বাস বাংলাদেশে ছিল সেটা উল্লেখ করেন। আমি কিছুদিন আগে এক এয়ারপোর্টে মায়ার নামে এক ব্রিটিশ তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসীর সাথে কথা বলছিলাম। বাংলা জানেন না। ঢাকা থেকে এসেছি শুনে জিজ্ঞেস করে নিলেন ওটা বড় শহর কিনা। জানালেন তিনিও বাংলাদেশী। আমার কনফিউজড মুখ দেখে বললেন তৃতীয় প্রজন্ম। দাদা দাদি সিলেটের। বিদায় নেবার সময় মুঠোয় ব্রিটিশ পাসপোর্ট বুকে ঠুকে বললেন বাংলাদেশে একদিন ঘুরতে যাবেন। 

বাংলাদেশে শেকড় এরকম আরেকজনের ব্লগ পড়ছিলাম কদিন আগে। ঐ ব্লগারকে অনেক সচলও চেনেন। তার জন্ম ইন্ডিয়াতে, নাগরিকত্বও সেখানকার। ২০১০ এর আগে বাংলাদেশে পা দেননি। এ সত্ত্বেও মনের মধ্যে বাংলাদেশকে ধারণ করেন। নিজের বাড়ি সিলেটের মাধবপুর থানা বেজুড়া গ্রাম বলে মানেন।

মায়ার বা ডানার মতো যাদের শেকড় বাংলাদেশে কিন্তু বিদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন তাদের বাইরে কিছু বিদেশবাসি আছেন যারা পাসপোর্টের ফেরে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন কিন্তু এখন যাদের তাদের প্রাণ বাঁচাতে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, কোপ-হুমকি খেয়ে বিদেশে পালানো ব্লগারকুল এর মধ্যে পড়বে। দেশ এদের কিছুই দিতে পারেনি। এ সত্ত্বেও পরিচয়ে তারা বাংলাদেশী।   

৪।

মার্গারিটা মামুনকে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে বিতর্ক চলছে তাতে প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল দুই পক্ষই জড়িয়েছে। দুই পক্ষই একই দিকে তাদের "আর্গুমেন্ট" (বিষোদ্গারও পড়তে পারেন কেউ চাইলে) সাজাচ্ছে। সেগুলোর একটা সামারি করে দেখা যাক,

প্রথমত, তাকে বাংলাদেশী বলা যাবে কিনা। এই আর্গুমেনট যারা দিচ্ছেন তারা জোর গলায় বলছেন মার্গারিটা বাংলাদেশী নহে, সে রাশান মুলুকের মেয়ে।
দ্বিতীয়ত, মার্গারিটার সোনাজয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা কতোটুকু? তাকে নিয়ে তাহলে এরকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ কেন? এই প্রশ্নটা তুলছেন অনেকে।
তৃতীয়ত, মার্গারিটা বাংলাদেশে থাকলে কিছু করতে পারতো না। আমাদের লোকেরাই তাকে এসব করতে দিত না। এই কারণে তার জন্য এতো আনন্দ উৎসবের কিছু নেই।

পোস্টের নিচের লিঙ্ক গুলো ঘুরলে এই তিনটি প্রধান আর্গুমেন্টই চোখে পড়বে পাঠকের।

প্রথম পয়েন্টের উত্তর সহজ। মার্গারিটা বাংলাদেশী পাসপোর্ট হোল্ড করেন। তার বিজয় দুই দেশেরই বিজয় এরকমটাও বলেছেন। এখানে সে বাংলাদেশী না এই কথাটা বলার আস্পর্ধা লোকজন পায় কীভাবে সেটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। বা কেউ শুধরে দিয়ে বলতে পারে মার্গারিটাকে বাংলাদেশী-রাশান বলা উচিৎ। খুবই যুক্তিযুক্ত কোথা। কিন্তু তার বাংলাদেশী পরিচয় ফেসবুক বিপ্লবীরা খারিজ করে দিতে চাচ্ছে কোন সাহস ও অধিকারবলে সেটা আমার বোধের বাইরে। 
আর তার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব না থাকলেও কোন অধিকার বলে আমরা কারো পরিচয় (আইডেন্টিটি) থেকে বাংলাদেশী শব্দটা মুছতে চাইতে পারি? আমরা কি মায়ারের বা ডানার বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিয়ে বলবো তোমরা বাংলা নামের দেশটাকে পরিচয়ের ভেতরে রাখতে পারবে না? বা আমরা কি দেশত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া বাঙালিদের বলতে পারি তোমাদের বাস, নাগরিকত্ব বিদেশী তাই তোমাদের কোন অর্জন আমাদের নয় বলে আমরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবো না? 

সত্য, মার্গারিটা বাংলাদেশে থাকলে তার ঐ ট্রেইনিং পেতো না এবং তার সোনা জয়ও হতো না। এই একই কথাটা বাংলাদেশ থেকে যারা বাইরে পড়ালেখা করতে গিয়ে সফল হয় তাদের ক্ষেত্রে খাটে। তাদের জয়, সাফল্যে কি আমরা আনন্দিত হবো না? সাফল্যের স্টেজে দাঁড়িয়ে তারা বাংলাদেশকে স্মরণ করলে আমরা কি তাদেরকে বলবো আমরা খারাপ, আমাদের একখানে কিছু হয় না, তুমি বিদেশের গড়া, যাও দুর হটো!

৫। 

আমাদের সংস্কৃতিতে অথরিটেটিভ আচরণ খুব বেশি মাত্রায় বিরাজ করে। সবাই সারাদিন রাগত মুখে হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরে ঘুরে বলতে চেষ্টা করছে কে কী করবে বা কে কী করতে পারবে না। লাঠি হাতে রাগত জনগোষ্ঠী এখন কে কীভাবে নিজেকে পরিচিত করবে, কে কাকে নিজের বলে মনে করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবে সেটা ঠিক করে দিতে চাচ্ছে। এই লাঠিয়ালপনার পরিণতি কোন দিকে যাবে? 

বাংলাদেশে যারা এই সময়টাতে বাস করে তাদের দেখলে বোঝা যায় আমরা একটা মিশ্র জাতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে এখানে এসে থেকে গিয়েছে। এখনও আমাদের সীমানার বাইরে মানুষ আমাদের দেশটাকে নিজের দেশ ভাবে। বিদেশী গায়ক, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাংলাদেশে আলু চাষ করতে আসা জাপানি ভদ্রলোকও এই তালিকায় আছেন। তাদের বাড়ানো হাত ঘৃণা দিয়ে ঠেলে না দেই আমরা।

লিঙ্ক

১। মার্গারিটা মামুনকে নিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা খবরের লিঙ্ক ১
২। মার্গারিটা মামুনকে নিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা খবরের লিঙ্ক ২
৩। মার্গারিটা মামুনকে নিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা খবরের লিঙ্ক ৩


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

হা হা, লোল!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মারুফ বরকত  এর ছবি

দারুন একটা লেখা পড়ে মন ভরে গেল।

কিন্তু ভাই, আপনার হাতেও লাঠি দেখতে পাই যে!

হাসিব এর ছবি

কীরকম লাঠি সেইটা? আরোপের লাঠি নাকি প্রতিরোধের লাঠি?

মারুফ বরকত  এর ছবি

আরোপের। এইরকমভাবেই শুধু কথা বলা যাবে। এর বাইরে বলা যাবে না- এই টাইপ। তবে, আপনার লেখা ভালো পাই। যে অল্প কয়জন ব্লগারের আমি ভক্ত, আপনি তার একজন। খালি লাঠিটা অস্বস্তি দেয়।

হাসিব এর ছবি

আমি লেখার সময় সতর্ক থাকি কাউরে কিছু করতে বলার ব্যাপারে। নর্ম্যাটিভ ডিসকাশন উত্তরাধুনিক জমানায় কোথাও পাত্তা পায় না এইটা জানি ও বুঝি। এই লেখেটাতেও কাউরে কিছু করতে বলা হয় নাই। কারো কাজের সমালোচনা করা হয়েছে। সমালোচনা লাঠি হাতে মাস্তানি না।

মুস্তাফিজ এর ছবি

মার্গারিটা্র বাবা আম্লীগ না বিএনপি সমর্থন করে এইটা জানা গেলে আরো ভালো হইতো, তাতে আরেকধরণের মেরুকরণ দেখতে পাইতাম।

...........................
Every Picture Tells a Story

হাসিব এর ছবি

অথবা সে মুসলিম কি অমুসলিম। আমার কাছে মনে হয়েছে মার্গারিটা আমাদের কেউ এটা কোনভাবেই কেউ মেনে নিতে পারছে না। একেকজন রামগরুড় লাঠি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সজীব  এর ছবি

তাও ভালো ধর্মপ্রান বাঙ্গালী এখনো জানতে পারেনি মেয়েটা কয়দিন আগে ইসরাইল ঘুরে এসেছে, এবং আবারো সেখানে ফিরে যেতে চায়। জানলে আরো কতযে লাইন ঘাট বের করে ফেলতো আমাদের সহী বাঙ্গালী ভাইয়েরা

শবনম সুরিতা ডানা এর ছবি

লেখককে ধন্যবাদ আমার মত আরো অনেকের বাড়ানো হাত ধরে ফেলার জন্য। মার্গারিটার বিষয়টা আমার থেকে অনেকটাই আলাদা, এবং আপনি তা বলেছেনও বটে। ওর অধিকার বাংলাদেশী নাগরিকত্বের ওপর যতটা ততটাই আমার অগ্রাধিকার বাংলাদেশের মননের ওপর। নাগরিকত্বে বিশ্বাস করি না বলে এই কথাটা জোর দিয়ে বললাম। আমার সমস্যাটা হচ্ছে আসলে কনফিউশনের। বাপ-মা-ঠাকুর্দা-দাদু কেউই কখনো বুক ঠুকে বলতে পারেনি নিজের দেশ কোনটা। ঠাকুর্দা বলত সিলেট, যেখানে ফিরে যেতে পারব না। বাবা বলত আসাম, যে মাটি তাকে বিদেশী বলে দূর দূর করেছে। আমি বলব কাকে? কলকাতা? যে আমার ভাষার টানে এক্সোটিক খোঁজে? তিন প্রজন্মের যোগসূত্র যদি কোনমতে তাও বাংলাদেশকে ধরি, তাহলেও অঙ্ক মেলেনা। সুতরাং আমার মতন ঘেঁটে যাওয়া অ-নাগরিকের জন্য দেশ-কালের গণ্ডী আসলেই কোন বিষয় নয়। বিষয়টা রিলেট করতে পারার। আর সেখানেই আমার বাড়ি, ঘর। স্লোগান তোলার সময় তাই আমি কলকাতার ময়দান। ধামাইল গাওয়ার সময় বেজুড়া, মাধবপুর। আর বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে এলে শিলচর, আসাম।
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। নাগরিকত্ব নিয়ে অনেক বুলি কপচানো হয়, এবং হবেও। অ-নাগরিকদের জন্য যদি আর কিছু লেখেন, সেই আশায় রইলাম। শুভেচ্ছা সকল সচলকে হাসি

হাসিব এর ছবি

পৃথিবীর বেশিরভাগ নাগরিকের একাধিক আইডেন্টিটি আছে। ভবিষ্যতে এই আইডেন্টিটি একীভূত না হয়ে বহুমুখী হবারই সম্ভাবনা বেশি। এই একাধিক আইডেন্টিটিকে মেনে নিতে পারলেই অনেক ঝামেলা কমে যায়। আমরা যেকোনো একটা ছাঁচে সবাইকে ফেলতে চাই এবং দেখি যে সেই ছাঁচে কেউই পুরোপুরি ফিট করে না।
আমি অনাগরিক/নাগরিকত্ববিহীন অবস্থা নিয়ে চিন্তা এখনও ভালো গুছিয়ে উঠতে পারিনি। একটু গুছিয়ে লিখবো অবশ্যই।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আহা মারগারিতা! তুমি আমাদের গর্ব!
ও রাশিয়া, তোমার কাছে আমরা ঋণী!

ব্যাস!

অতিথি লেখক এর ছবি

"এখনও আমাদের সীমানার বাইরে মানুষ আমাদের দেশটাকে নিজের দেশ ভাবে। বিদেশী গায়ক, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাংলাদেশে আলু চাষ করতে আসা জাপানি ভদ্রলোকও এই তালিকায় আছেন। তাদের বাড়ানো হাত ঘৃণা দিয়ে ঠেলে না দেই আমরা।"

লাইনগুলো ভাল লেগেছে হাসিব ভাই। নিজের মানসিকতাকে যদি এখনও বড় করা না যায় তাহলে ভাল কিছু আশা করা সম্ভব না। এই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।

ফাহমিদুল হান্নান রুপক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।