এক খানা কৌতুক বলিয়া শুরু করা যাক। পূর্বে শুনিয়া থাকিবেন হয়ত, স্বর্গের দুয়ারে প্রবেশের পূর্বে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, সেই রূপ একখানি ঘটনা সংশ্লিষ্ট কৌতুক।
দুয়ারে উপস্থিত হইয়াছেন সেঞ্চুরী মানিক, বিশ্বপ্রেমিক এরশাদ এবং হুজুরে আলা সাইদী সাহেব। দুয়ারে গিব্রিল উপস্থিত উহাদের ঈমান পরীক্ষা করিবার জন্য। পরীক্ষার শর্তঃ উহাদের সামনে তিন তিন জন অসামান্যা রুপসীকে উপস্থিত করা হইবে, তাহারা ঈমান ধরিয়া রাখিতে পারিলে স্বর্গে প্রবেশের অনুমতি মিলিবে,নইলে দোজখে রাস্তা দেখাইয়া দেওয়া হইবে। ঈমানের নির্দেশক হিসেবে সকলের ঈমানে এক খানি ছোট ঘন্টা বাধিয়া দেওয়া হইল। ঈমানে গড় বড় হইয়া গেলেই ঘন্টা বাজিয়া উঠিবে। পরীক্ষার প্রথম পর্বে উপস্থিত হইলেন লাস্যময়ী অপু বিশ্বাস, তৎক্ষনাৎ মাইনক্যা চিপায় পড়িয়া মানিকের ঘন্টা বাজিয়া উঠিল। বিনা বাক্যব্যায়ে তাহাকে হাবিয়া দোজখে ছুড়িয়া ফেলা হইল। এরশাদ ঢোক গিলিলেন, সাইদী কুলহুয়াল্লাহু পড়িয়া নিজ শরীরে ফু দিয়া পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্বের জন্য তৈয়ার হইলেন। কিন্তু কিসের কি আঞ্জুমান আরা জলি আপার কাটা ঠোঁটের হাসি দেখিবা মাত্র এরশাদের জন্য পরীক্ষার ঘন্টা পড়িয়া গেল, তিনি আগুনে নিক্ষিপ্ত হইলেন। সাইদী লম্পটদের প্রতি বিদ্রুপের হাসি ছুড়িয়া দিয়া আল্লাহ তাআলার শোকর গুজার করিতে না করিতেই সম্মুখে হাজির হইল জাস্টিন বিবার, ফলশ্রুতিতে তিনিও কাঁটাময় জাক্কুম গাছ বেষ্টিত দোজখের অতল আগুনে স্থান লইলেন।
উহারা সত্যযুগের ঈমানদার পুরুষ, সহজে তাদের ঈমান বিচলিত হয় না। কিন্তু এই কলি কালে আসিয়া নারীদেহের আর প্রয়োজন হয় না, কেবল চক্ষু দেখিয়াই দুর্বল পুরুষদিগের ঈমান সড়গড় হইয়া যায়। বিশেষত আরব দেশে যেখানে নারীদের কেবল চক্ষু দৃশ্যমান সেইখানে শুধু আখিপল্লব দেখিয়াই বাকিদেহ কল্পনা করিয়া মুমিন বান্দাগন কাবু হইয়া যান। তাই সেখানে আদেশ হইয়াছে নারীদের চক্ষু আবৃত করিবার জন্য। আবেদনময়ী চোখের অধিকারিনীদের নির্ণয় করিবার নিমিত্তে একখানা কমিটিও গঠিত হইয়াছে। কৌতুহল জাগিয়াছে এই নিয়া যে আখিপল্লবের আবেদন কিভাবে পরিমাপ করা হইবে? এই ক্ষেত্রে উক্ত কমিটির সুবিধার্থে বৈজ্ঞানিক একটি পন্থার কথা সুপারিশ করিতে আজ্ঞা রাখি। উপরে গিবরিল অনুসৃত পন্থা একাধারে এস্লামিক এবং বৈজ্ঞানিক। ঘন্টা বাজিলেই নারী চক্ষু আবৃত করিতে বাধ্য থাকিবে। তার চক্ষু যদি বৃদ্ধ মুমিন দিগের ঈমান স্খলিত করিতে পারে, তবে তা কত তাগড়া যুবক মুসলমানের বিপদের কারণ হইতে পারে তাহা সহজেই অনুমেয়।
তবে কী না ইসলামের পাক গ্রন্থ কুরআনে নারী ও পুরুষ উভয়ের পর্দার কথা বলা হইয়াছে সমাজে শালীনতা রক্ষার জন্য। নারীর পর্দার বন্দোবস্ত তো হইল, পুরুষ কি কেবল অবহেলিত পড়িয়া থাকিবে? সমাজের শালীনতা রক্ষার্থে উহাদেরও তো অবদান রাখা প্রয়োজন। নারী চক্ষু ঢাকিয়া রাখিয়া সিন্দুকে ঢুকিয়া বিচরণ করিলেও যে তাহাদের কল্পনা শক্তি বাধা মানে না। এ ব্যাপারে আদম সেই কোন কাল হইতে ঈশ্বরের কাছে আবেদন জানাইয়া আসিতেছে। কিন্তু অদ্যাবধি আদমের বংশধরদের উপেক্ষা করা হইয়াছে। এইবার তাহাদের কে ঈমান রক্ষার্থে ঘুনসি প্রদান করা হউক। মুসলিমাহদের সিন্দুক দেখিয়া ঈমানদার বান্দারা আক্রান্ত হইলেই উহারা ঘন্টা বাজাইয়া সাহায্য প্রার্থনা করিতে পারিবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শালীনতা রক্ষা পুলিশ তাহার ঈমান রক্ষার্থে আগমনপূর্বক তাহাকে চাবুকের আঘাতে পশ্চাতদেশের চামড়া বিসর্জন করিয়া ঈমান পুনর্বহাল করিতে সহায়তা করিবে।
উপরি-উক্ত প্রস্তাব বাস্তবায়িত হইলে যে মুসলমান ভাই দিগের ঈমান আরও শক্তিশালী হইবে এই আশা করা যায়, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধিবে কে?
মন্তব্য
মহাকবি ইকবাল এজন্যেই লিখে গেছেন, আঁক্ষিও সে গোলি মারে লাড়কি কামাল রে ... ঢিঁশিয়্যাঁও!
বিভিন্ন টোনের ঘন্টা বেঁধে উইন্ডকাইমের মতো একটা মমিনকাইম বানানো যেতে পারে। পথেঘাটে নারী নামলেই সুরলহরী।
নারী পাইলেন কই? সব তো সিন্দুকে ভরে দিলাম।
আর ইসলামে সুর লহরী হারাম! এইসব কথা মুখে আনাও গুনাহ!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
তাহলে উট।
facebook
হাসেন কেন? শিগগীরই দেখবেন বাজারে এই ফোরকানিয়া ফিলহারমোনিক এসে পড়েছে।
উটের আখিপল্লবও বড়ই মনোহর।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আহা, সিন্দুকটি যে বড়ই মনোহর!
নির্বোধ আর গোয়াড় আরবদের যুক্তিবোধ শেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। কিন্ত সচলে যেহারে ধর্মভিত্তিক পোস্ট বাড়ছে, সেটা কি ধীরে ধীরে একে সামহোয়ারের মতো ছাগুস্তানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেনা? ইসলামের সাথে আরবের কোন সম্পর্ক নেই, ওরা যা করবে তাকেই সঠিক ইসলাম ধরে নিয়ে সবাইকে স্টেরিওটাইপ করারও কোন মানে নেই। উপরন্তু স্যাটায়ার লেখার জন্য আমাদের দেশেরই অনেক ঘটনা আছে, আরবরা কি করে তাতে কি আসা যায়?
স্যাটায়ার লেখার জন্য আমাদের দেশের অনেক ঘটনা থেকে পাঁচটা ঘটনা বলেন ভাইয়া।
খবরের কাগজ থেকে যেকোন পাঁচজন রাজনীতিক বেছে নিলেই হয়। সবাই নির্মল বিনোদনের উৎস। And of all the people, I thought you know the best
খবরের কাগজের পিছনে ১০টা টাকা খরচ করার কোন দরকার নাই ভাইজান, আপনার এই বিনামূল্যে প্রদত্ত বাংলাদেশি ফতোয়াটাই অমন অনেক পাঁচটার চেয়ে বেশি -
****************************************
বস এই ফতোয়া সম্পর্কে একটা ব্যাপক পোস্ট বা কোবতে দিয়ে দেন। উইকএন্ডে একটু বিনোদিত হই।
আপনার প্রথম কমেন্ট পড়ে মনে হলো আপনি স্টিরিওটাইপিঙের কঠোর বিরোধী। তারপর এই কমেন্ট পড়ে দেখলাম আপনি রাজনীতিকদের স্টিরিওটাইপিং করতে একটুও সংকোচ বোধ করছেন না। সেই সংকোচ অবশ্য আমারও নাই।
স্যাটায়ার জিনিসটা তীরের মতো। একটা চোখা দিক থাকে, একটা পালক থাকে। যার দিকে পালকটা ফেরানো থাকে, সে সুড়সুড়ি খেয়ে হাসে। আর তীর যার মুন্সিগঞ্জে গিয়ে বেঁধে, সে খুব চেতে যায়। আপনি রাজনীতিকদের নিয়ে স্যাটায়ারে হাসতে পারছেন, ইসলামের নামে আরবদের এই অতিশয়াচারের স্যাটায়ারে পারছেন না কেন? আরবে ইসলামের নামে যা হয়, তা সঠিক ইসলাম না হয়ে থাকলে, এত বড় বড় মুফতি মুয়াল্লেমরা এগুলো নিয়ে কখনো কিছু বলে না কেন?
আর সঠিক ইসলাম কোথায় চর্চিত হয় ভাইয়া? আরব বলেন আর বাঙ্গাল বলেন, কোথাও ইসলামের নামে এইসব মাত্রাছাড়া ইতরামির সমালোচনা করলেই সবসময় কয়েকজন বলেন, ইহা সঠিক ইসলাম নহে। খোদ নবীর দেশেই যদি সঠিক ইসলাম পালিত না হয়, তাহলে তো দুনিয়ার সকল মুসলিমের উচিত চান্দা তুলে তাদের দেশে কিছু আলেম পাঠিয়ে তাদের সঠিক ইসলামের পথে আগে আনা।
হিমু ভাই, আপনার সাথে একমত, you and me both know, they are sold out and it's a lost cause. কিন্তু মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলাটাই কি জরুরী?
যাই হোক, আমি মূর্খ গ্র্যাড স্টুডেন্ট, মাথা গরম হয়ে কি লিখতে কি লিখি... কারো অনুভূতিতে আঘাত করলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী (মনমাঝি, শিসিরকণা ও অন্যান্য)
_________________
[খোমাখাতা]
'ইসলামের সাথে আরবের কোন সম্পর্ক নেই' !!!!!!!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
জ্বী, আমার ধারণা আরবরা মেরামতের অযোগ্য একটা জাতি, ওখানে ইসলামই আসুক, আর হিন্দুত্বই ঢুকুক, শেষমেশ যা হবার তাই হবে। They will find a loophole.
এইটা একটা চরম রেইসিস্ট কমেন্ট।
****************************************
সহমত।
_________________
[খোমাখাতা]
এটা শুধু আরবী ঘটনা বিষয়ক স্যাটায়ার এইটা ভাবছেন কেন? এইটা একটা বিশ্বজনীন সমস্যার সমাধান বাতলাইলাম সেটা দেখলেন না? কুচিন্তা করল পুরুষ, শাস্তি পাইল নারী, এইটা কিরম বিচার। চোর চুরি করল সেইটা দোষ না, আমার বাড়িতে চুরি করার মতো জিনিষ আছে কেন, সেইটা দোষ? চোর ধরার একটা উপায় বাতলাইলাম আরব, ইয়াহুদী নাসারা সব দেশ নির্বিশেষে সেইটা বিবেচনায় নিলেন না? আফসুস!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপু আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আরবদের হিপোক্রেসির প্রমাণ (http://www.guardian.co.uk/world/2011/may/31/egypt-online-protest-virginity-tests)। কিন্তু এর জন্য ঢালাওভাবে "এস্লাম" আর "বিসমিল্লাহ" জড়ানো মানতে পারছিনা।
কী করব বলেন ভাইয়া? আপনি ইসলাম জড়ানো মানতে পারছেন না,তবে ইসলাম তো জড়িয়েই যাচ্ছে,আপনি না চাইলেও। ওসব কাজ যে তারা ইসলামের নাম দিয়েই করছে-এ ব্যাপারটা কি অস্বীকার করবেন?
_________________
[খোমাখাতা]
সচলায়তন ছাগুস্থান হবে কেন, বরঞ্চ ছাগু মনোভাবধারীদের(?!) এখানে স্থান গাড়তে খুব একটা উৎসাহিত করবে না। আরবে হিন্দুত্ব ঢুকল এটা দ্বারা গুরুত্বহীন কী বোঝাতে চান? আর ইসলাম ধর্মটাতো পুরোপুরি আরবীয় সংস্কৃতিকেই প্রমোট করে, আরবীয়রা যেভাবে মধ্যযুগে জীবন যাপন করত, সেরকমভাবে মোমিন বান্দাদের জীবন পালনের দিক-নির্দেশনা দেয়া আছে ইসলামী মহা কেতাবে। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে আরবীয় সংস্কৃতিকেই সবখানে চালু করে দেওয়ার প্রচেষ্টা। সবগুলো ধর্মপ্রচার আসলে প্রকারান্তে আক্রমণকারী জাতির সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই আরবের সাথে ইসলাম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, এটা অস্বীকার করতে চাওয়াটাও একটা ভণ্ডামি।
জাতিগত বিভেদ, নারী পুরুষ শিক্ষাগত বৈষম্য, উত্তরাধিকার প্রথা --আরবদের ঠিক কোন জিনিসটা আপনার কাছে মনে হয় ইসলাম থেকে প্রসূত? এটা পুরোপুরি ইমবেসিল একটা মন্তব্য। হিন্দুত্ব দিয়ে আমি শুধু আরেকটা ধর্মের উদাহরণ দিয়েছি মাত্র।
ঠিক এই জিনিসটাকেই আমি ভয় পাই। জাতিগতভাবে আমরা বাঙালীরা ধর্মীয় ব্যাপারে অনেক উদার, এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ধর্ম একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনার মন্তব্য এটা প্রমাণ করে, This is about to change. Here, you will blaspheme about one, somewhere else, some other people would start to do it against you.
পি.এস. সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে আপনার নিকটা আগে এফিডেফিট করে বদলান।
এই কথাটার সাথে একমত। যে যার মতো বিশ্বাস করে মনে শান্তি পাক, সেটা তাকে করতে দেয়া উচিত। কিন্তু ধর্মের নামে অন্যকে বাধ্য করার ব্যাপারটা স্বাধীনতা হরণ। কেউ বিশ্বাস করে না বলে তাকে টার্গেট করা যেমন এক রকম অত্যাচার, কেউ বিশ্বাস করে বলে তাকে টার্গেট করাও একই রকম অত্যাচার।
যেটা আসল ফোকাস হওয়া উচিত তা হলে, ধর্মের নামে যেসব অসংলগ্ন, অদ্ভুত কাজ কারবার করে মানবতাকে হেয় করা হচ্ছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব হচ্ছে ধর্মও নয়, ধর্মাচারের নামে। ধর্মবিশ্বাস এবং ধর্মাচার দু'টা আলাদা লেভেলের জিনিস। বিশ্বাস যদি বাড়ির একতলা হয়, আচার-পালন দোতলা। অনেকেই একতলা ঠিকমত না বানিয়ে দোতলা তিনতলা সাজাতে ব্যাস্ত হয়ে যান। একটু টোকা লাগলেই তাই তাদের পুরো বাড়ি কেপে উঠে আর তারা হা রে রে রে করে তেড়ে আসেন।
সব ধর্মেই ভালো ভালো কথা বলা আছে। কিন্তু ধর্মাচারের নামে এইসব বুজরুকি করে বেড়ানো ভন্ড গুলোকে আস্তিক, নাস্তিক সবারই সব যুগে বাঁশের উপরে রাখা উচিত। তার আগে আপনার বিশ্লেষন করার মতো একটা পরিষ্কার মন থাকতে হবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভাল লিখেছেন, চোখের পরে নেক্স্ট কি হতে পারে চিন্তা করছি, নাকি নারী থেকে নেক্সট অন্য কোন প্রাণী কে পর্দা করানো লাগবে?
আরব দেশে উট, বঙ্গ দেশে ছাগল।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমারও তাই ধারনা
@গুরুত্বহীনঃ এর কিছু বক্তব্যের বিরোধিতা করছি মাত্র। জাতিগত সম্প্রীতি কোথায় আছে ইসলামে। মুসলিম জাহানের জন্যই সমস্ত দোয়া করা হয়, অমুসলিমদের বলছে কাফের এবং কাফের সে যতই ভাল কাজ করুক না কেন জাহান্নামই তা ঠিকানা। দুনিয়ার সব মুসলমানেরা ভাই বলছে ইসলাম, মানুষে মানুষে ভাতৃত্বের কথা কই? ইসলামের কোথায় নারীকে পুরুষের সমান হিসেবে বলা হয়েছে? নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে বিবেচনার কথাই তো দেখি সুরার পর সুরায়, নারীকে যেখানে বলা হয়েছে পুরুষের পাঁজর থেকে সৃষ্ট, একজন পুরুষের চার স্ত্রী-উপপত্নী রাখা জায়েজ, নারীর যৌনসম্ভোগ এর জন্য কয়জন স্বামী রাখা জায়েজ সে সম্পর্কে ইসলাম কিছু বলে নি তো। ইসলাম পূর্ব আরবে নারীরা সম্পদশালী ছিল এবং ইসলাম পরবর্তী পুরুষদের মত বহুবিবাহও করতে পারত, পুরো ব্যাপারটাই উলটে যায় ইসলামের আবির্ভাবের কয়েকশ বছরের মধ্যে। আপনি সম্পদের উত্তরাধিকারের কথা যখন বললেন তখন জিজ্ঞাস্য, ইসলামী আইনে কন্যা সন্তান কি পুত্র সন্তানের সমান পরিমান সম্পদ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে? সমানাধিকারটা কোথায়? ইসলাম নারীর উপর যে পরিমান বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পুরুষের উপর করেনি কেন? পুরুষ বোরকা পরে ঘুরে বেড়ায় না কেন? সুন্দর পুরুষ দেখলে নারীর ও তো যৌনাকাঙ্খা জেগে উঠতে পারে। স্ত্রীকে যেখানে স্বামী প্রহার করতে পারবে বলা আছে সে ইসলামকে আর যাই বলুন নারী-পুরুষকে সমান চোখে দেখা দর্শণ বলে প্রচার করবেন না। আর ব্যক্তিগত ইস্যু যখন নিয়ে এলেন তখন বলি, আমি তো মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করিনি, যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করলাম তারাই আমার একটা আরবী নাম দিল, আমার উপর আরবে উদ্ভুত হওয়া বেমক্কা একটা রীতি চাপিয়ে দিল, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐ নাম নিয়েই চলতে হয়েছে কাগজপত্রে ঐ নাম থাকায়। এখন সমাজে পরিচিত ঐ নামেই। তবে চেষ্টা থাকবে আমার উত্তরপ্রজন্মকে যদি ধারণ করতে পারি তাদের মানুষ পরিচয়েই বড় করে তোলার। নামের ক্ষেত্রে যে ভাষায় কথা বলি, যে মাটির আলো হাওয়া তাদের পুষ্ট করে যাবে সেই বাংলা ভাষার সুন্দরতম নামগুলোই তাদের জন্য বেছে রেখেছি। মানুষ আমরা সর্বাগ্রে, ধর্মীয় পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করাটা ছাগলামি ছাড়া আর কিছুই না।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অন্য প্রাণীর কথা পরে। তার আগে কমবয়েসি বালকদের ঢাকাঢাকি করতে হবে। কোমলমতি মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাহলে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' থেকে সামলে সুমলে থাকার অজুহাত পাবে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
কত ঢাকাঢাকি করবেন বলেন? এ তো হবুচন্দ্র রাজার মতো গোটা দুনিয়া চামড়া দিয়ে মুড়ে দেয়ার মত ব্যাপার হয়ে যাবে। এর থেকে আপন পদ-দ্বয় ঢাকাই কি বাঞ্ছনীয় নয়?
চোরের বদলে গৃহস্থকে শাস্তি দিলে কী চুরি বন্ধ হবে?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এই সরল কথাটা যদি মমিন্ধারীরা বুঝতো! হাহ...
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আরব পুরুষের চোখে ঠুলি পরিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
বলিতে পারি করিলে অনুমতি,
সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।
নিজের দুটি চক্ষু ঢাকো, তবে
(নারীর) আঁখিপট আর ঢাকিতে নাহি হবে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
শুধু আরব পুরুষ? বঙ্গবীরদের চক্ষুও কি কম যায়? আর পাকি ভ্রাতাদের কথাও ভুলিয়েন না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এত ঝামেলায় যাওয়ার দরকার কী ! সব মুমিন বান্দাদের অন্তঃপুরবাসী করে দিলেই তো হয়। নিজের বউ ছাড়া আর কাউকে দেখবে না, ঈমানে টান পড়ারও সমস্যা নাই।
- উত্তম সমাধান।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এইজন্যই তো এত বিপত্তি। বলি, পুরুষরা তাদের চোখ সংযত না রাখলে তাদের চোখ গেলে দেবার কোন নিয়ম নেই?
আইনে নাই। তবে আজকাল আইন মানা আবার ব্যাকডেটেড ট্রেন্ড। দেন চোখ গেলে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঘ্যাঁচাং
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
এদের ঈমান লোহা দিয়ে বানানো, বেজায় শক্ত... শীর নেহারী তাহারি নত শীর ওই শিখর হিমাদ্রীর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফোরকানিয়া ফিলহারমনিকে কন্ট্রিবিউট করতে পারবে না বলছেন?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
যে যাই বলুন, আমার ধারনা আরবদের থেকে বাঙালীরা (বাংলাদেশি) অ-নে-ক বেশি ঈমানদার! সৃষ্টিকর্তার অনেক বেশি পেয়ারা বান্দা। কারন বাঙালিরা সর্বক্ষণই ইবাদত-বন্দেগিতে রত। এই দেখুন না, প্রায় ৮২ লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত আরব জাহানের জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ কোটি, আর তার প্রায় ১৪৬ ভাগের ১ ভাগ (৫৬ হাজার বঃমাঃ) আয়তনের বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪৬ ভাগের ১ ভাগ নয় - বরং ২ ভাগের ১ ভাগ ! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাঙালিদের ঈমান কত শক্ত আর খাঁটি, তারা কত নিবেদিত্তচিত্তে অহর্নিশ ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকেন। কত নেকি তারা হাছিল করছেন অহরহ। তাদের উপর পাক-পরওয়ারদিগারের অশেষ রহমত নাযিল হোক!
আর হ্যাঁ, ঘন্টা বুদ্ধিটা বাংলাদেশের জন্য অন্তত খুবই ভাল। এতে করে এই দেশে যে কত অপ্রস্ফুটিত, অনাবিষ্কৃত সঙ্গীত প্রতিভা প্রস্ফুটিত হবেন, আবিষ্কৃত হবেন - তার কোন ইয়ত্তা নেই। গরিব দেশে সরকার শিক্ষাখাতে বেশি বরাদ্দ করতে পারেন না, স্কুল-কলেজে-মাদ্রাসায় সঙ্গীত শিক্ষার তো কোন ব্যবস্থাই নাই। ঘন্টা সিস্টেমটা আইন করে বাস্তবায়ন করুন। পরের দিন ঘর হইতে দুই পা ফেলিবা মাত্র দেখিবেন - যেদিকে চোখ যায়, বাখ-মোজার্ট-বিটোফেন-তানসেনে সয়লাব হয়ে গেছে সারাদেশ। এটা কম অর্জন নয়!
****************************************
দ্বিমত করি বাহে। জানি না আপনি আরবীভাষী মাত্রেই আরব ধরেছেন কি না। তাও যদি ধরেন, এই বিস্তৃত ৮২ লক্ষ বর্গমাইলের মধ্যে লক্ষ লক্ষ বর্গমাইল বসবাসের অযোগ্য মরু অঞ্চল। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের পুরোটাই উর্বরভূমি। আপনি যদি ঐমানিক প্রাবল্য তুলনা করতে চান, ফার্টিলিটি রেট দিয়ে করতে পারেন। একটা গ্রাফ দিলাম। তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর কুয়েত বাদি বাকি সব আরব দেশের ফার্টিলিটি রেটই বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। সুদানকে গোণায় ধরলাম না, তারা যত না আরব তারচেয়ে বেশি আফ্রিকান।
মমিনবাদনে নতুন নতুন রাগরাগিণীও উদ্ভাবন হোক। মেঘলা দুপুরে রাগ ব্লাউজবেহাগ, অস্তরবির ওয়াক্তে রাগ কামিজ কল্যাণ, সকালে অফিস যাওয়ার পথে গার্লস স্কুলের সামনে রাগ মিশ্র বালিকাবিলাবল। আহা। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই "উচ্চাঙ্গ" সঙ্গীত রে ভাইডি।
বুঝলাম। কিন্তু ঐ সব দেশের বেশির ভাগেরই তো ঈমান এ্যাফোর্ড করার ক্ষমতা বাঙালির থেকে বেশি, তাই না? সেদিক থেকে দেখলে ওদের নেকির রেট বেশি হলেও অন্তত বাঙালির থেকে তুলনামূলক ভাবে বেশি জাস্টিফায়েড বলা যায় না কি? যাইহোক, তুলনাটা আসলে উদ্দেশ্য ছিল না। আপনি মনে হয় আমার প্রথম প্যারাটার স্পিরিট ধরতে পারেননি।
তবে পরেরটা আপনি ঠিকই ধরেছেন। তবে চিন্তার কিছু নাই, ঘন্টা সিস্টেম করে দিলে নতুন নতুন রাগরাগিণীর কোন অভাব ঘটবে না। যেসব অপ্রস্ফুটিত, অনাবিষ্কৃত, অবহেলিত সঙ্গীত প্রতিভারা বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথেঘাটে, বিশেষ করে যারা আপন প্রতিভার প্রতি অশ্রদ্ধাবশত শোধ তুলতে চান নারীকে বস্তাবন্দী করে, তাঁদের প্রতিভার বিস্ফোরন ঘটবে তখন। আত্নপ্রকাশের একটা লেজিটিমেট চ্যানেল আউট পেয়ে যাবেন। তখন দেখবেন রাস্তায় বেরুলে সঙ্গীত, মলে ঢুকলে সঙ্গীত, রেস্টুরেন্টে গেলে সঙ্গীত, হাটে-ঘাটে-বাজারে-বন্দরে সর্বত্র সঙ্গীত। কত নতুন নতুন রাগরাগিণী আসবে তখন!
****************************************
কামিজের সাথে আবার আমারে টানেন ক্যান? কানিজের কামিজ হইলে ঠিকাছে
নতুন মন্তব্য করুন