খালাতো বোনের একটা দুই বছরের পিচ্চি আছে, মাত্র কথা বলা শিখেছে, তার কথার যন্ত্রণায় মা অস্থির। একদিন পিচ্চিকে আমাদের ভাই বোনের হাওলায় দিয়ে বোন গেলো ঈদের বাজার করতে। আমরা তো মহাখুশি, এইটুকু পিচ্চি আবার গুটুর গুটুর কথা বলে, দারুন সময় কাটবে ভেবে। বোন আমাদের খুশি দেখে বললো, " বুঝবা মজা, ২ ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসতেছি, তোমরা ততক্ষণ টিকতে পারলে হয়, আমার তো খালি মনে হয় মুখ চেপে ধরি"। আমরা চোখ গরম করে বোনকে বিদায় দিলাম, কেমন মা? বাচ্চার কথা শুনে কই খুশি হবে, পিশাচীর মত কথা বার্তা। যাই হোক পিচ্চি এতক্ষণ বেশ সুবোধের মত ছিল, মা যাওয়া মাত্র তার মুখ খুললো এবং তার পরেই টের পেলাম সে কি চীজ। আমরা আবিষ্কার করলাম সে আসলে খুব বেশি কথা বলতে পারে না, মাত্র ২-৩ টা শব্দ, "কী এবং কেন"? যাই দেখে হাত তুলে জিজ্ঞ্যেস করবে এটা কী? যেভাবেই উত্তর দেই না কেন, তার প্রত্যুত্তর হচ্ছে কেন? ১০ মিনিটের মাঝে আমার এবং ভাইএর মাথা খারাপ হয়ে গেল। এত "কেন?" র উত্তর তো কোনদিন ভেবেও দেখি নাই।
তার মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে একটা বল নিয়ে খেলতে দিলাম। তাতেও প্রশ্ন,
এটা কী?
- এটা বল।
বল কী?
- বল হচ্ছে একটা গোল জিনিস যেটা গড়ায়।
গড়ানো কী?
- এই যে এটা গুতা দিলে সামনে আগাচ্ছে এটাকে গড়ানো বলে।
কিছুক্ষণ বল গড়াগড়ি চললো, হাফ ছাড়তে যাচ্ছি, তখনি আবার প্রশ্ন, "গড়ায় কেন?"
পদার্থবিজ্ঞান এর অভিকর্ষ ঘর্ষন ইত্যাদি নিয়ে একটা লেকচার ঝেড়ে দিব কি না ভাবছি, ছোটভাই বাঁচিয়ে দিল, টেবিলের গায়ে একটা খাতা কোনাকুনি ভাবে ঠেস দিয়ে সেটার উপর থেকে বলটা গড়িয়ে দিয়ে বলল, "এই যে বলটা উপর ছিল, তাই নিচে নামার জন্য গড়ান দিল। " দেখলো, তারপর ঘাড় ঘুরিয়ে জিজ্ঞ্যেস করল, " উপর কী? নিচে কী?" হাত দিয়ে দেখালাম এইতা উপর আর এইটা নীচ। প্রশ্নবাণে দাঁড়ি বসেছে এইরকম আশা মনে জেগে উঠবারও সময় দিল না, তার আগেই,
"ঐটা উপর কেন? ঐটা নীচে না কেন?"
ভাইএর সাথে হালকা চোখাচোখি হলো, মুখ চেপে ধরব কি না এই রকম একটা শলা পরামর্শ হয়ে গেল আড়চোখে। পিচ্চি বিপদ টের পেয়ে তাড়াতাড়ি সুর বদলালো,
"বল নীচে নামে কেন?"
হে- খোদা ধৈর্য্য দাও আমায়, তারপর দম নিয়ে বলি, " পৃথিবী টানে তাই"।
"পিতিবি টানে কেন?"
আর পারি না। মাইর দিতে মায়া লাগে, তাই পিচ্চিটাকে জাপটে ধরে একটা চিপা দিয়ে দেই, বলি, " এই যে আমার যেরকম তোমাকে টানতে ইচ্ছা করলো, সেরকম পৃথিবীর বলটাকে টানতে ইচ্ছা করে।"
"তুমি টানলা কেন?"
মিষ্টি কথার খেতা পুড়ি। সোজা সাপ্টা সত্যটা বলে দেই, "যাতে তুমি চুপ কর"
"চুপ কর কেন?"
তাই তো? কেন চুপ করবে? উলটা আমিই চুপ করে যাই।
বাচ্চারা যে খুব অবলীলায় নির্মম সত্য বলে ফেলে সেটা সবাই কখনো না কখনো হাতে কলমে টের পেয়েছেন। কিন্তু একই সারল্য নিয়ে বাচ্চারা আপাতনিরীহ সব প্রশ্ন করে ফেলতে পারে যার উত্তর খুব জটিল। কিন্তু তারা কিন্তু জটিল উত্তরের খোঁজে প্রশ্নটা করেনি, তারা তো সহজ উত্তর টাই খুঁজে যেটা তাদের বোধগম্য। আমরাই না ব্যাপারটা অনেক কিছু জড়িয়ে জটিলতা বাড়িয়ে চলি। ঐ পিচ্চির মত কেন /কী করতে থাকলে একসময় না একসময় উত্তর অনেক রঙের মিশেল ছাড়িয়ে সহজ সাদা কালোয় এসে মিলবে।
জীবনের টানে দৌড়াতে দৌড়াতে অনেক সময় আমরা ভুলে যাই কেন দৌড়াচ্ছি। অনেক রকম উত্তর মাথায় আসে, কিন্তু অনেক সময় নিজেরাও জানি কিছু কিছু উত্তর সত্যি নয়, কিন্তু শুনতে ভালো লাগে বলে সেগুলো অন্যকে শুনাই, নিজেকেও প্রবোধ দেই। নিজের সাথে মিথ্যাচারে অন্তরের অস্থিরতাই কেবল বাড়ে। কাজের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মে, জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা লাগে। জীবনে কত ক্ষেত্রেই তো আমরা বাধ্য হই কোন একটা কাজ করতে, তেতো ওষুধ গেলার মত দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু মনের উপর তার যে চাপ পড়ে, তার রেশ আমাদের ক্লান্ত করে শরীরের ক্লান্তির চে' বেশি। কিন্তু আসলেই কি আমরা বাধ্য অপ্রিয় কাজ করতে? যদি কেউ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েও বলে, তাহলেই বা কি? মরব? মরলেই বা কি? আমি একটা তুচ্ছ মানুষ, এই পৃথিবীতে আমার থাকা না থাকায় কার কি এসে যায়? আমার মা'র এসে যায়। আমি মরে গেলে আমার মা কষ্ট পাবে। তাকে আমি কষ্ট দিতে পারব না জেনে শুনে। কাজেই আমায় বেঁচে থাকতে হবে, দাঁতে দাত চিপে কাজটা করতে হবে। যতই অসহ্য লাগুক তখন নিরর্থক কাজও উদ্দেশ্যপূর্ণ হয়ে উঠে। সিম্পসন কার্টুনের এই দৃশ্যটা চমৎকার উদাহারণ। অনেক সময়ই বাইরের দৃশ্যমান কারনকেই আমরা একমাত্র কারন ভেবে অস্থিরতায়/ অশান্তিতে ভুগি। শিশুর সততায় কী/কেন প্রশ্নের উত্তর করতে করতে একসময় নিজের হৃদয়ের কাছে উত্তর খুঁজে পাবেন আশা করি।
শুধু কি নিজের জীবনের অর্থ খোঁজা। সমাজে বসবাস করে অন্যের কথায় নাচতে লাগা নাচুনে বুড়ির সংখ্যা কম নয়। প্রত্যকের মতই যে আলাদা হবে এমন কিন্তু সব সময় নয়। কাজেই অন্যের ঢোলের বাড়িতে নেচে উঠার আগে জিজ্ঞেস করুন, নাচছি কেন? বা নাচবো না কেন? সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত ঢুঁড়তে থাকুন, দেখুন কোথাকার জল কোথায় গড়িয়ে থামে শেষ পর্যন্ত।
ব্যাক্তিজীবনে আমি ভীষণ ঘাড়ত্যাড়া। কোন কাজ ভালো না লাগলে একদম করতে পারি না, কেউ কপালে পিস্তল ঠেকালে তখন ভেবে দেখতে পারি, কিন্তু সেই চরম ব্যবস্থায় কেউ যায় না। তবুও মানব জনমে অনেক কিছুই করা লাগে, তখন আমি পিচ্চির কেন? তরিকা অবলম্বন করি। কেন? কেন? করতে এক পর্যায়ে গিয়ে মনের সাথে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো যায়। এতে নিজের মনের হীনমন্যতা দূর হয়ে নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারি, কেন আমি একটা কাজ করছি বা কোন কথা বলছি। যখন নিজেকে এতটা পরিষ্কার ভাবে জানা যায়, তখন অন্যের মতামতে আর কিছু যায় আসে না। পাশাপাশি অন্যের মতামতকে যার যার নিজস্ব চিন্তাভাবনা বলে অনেক বেশি নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করা যায়। কেন-র উত্তর খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমার ভীষণ অস্থির লাগে। আর যদি শেষ পর্যন্ত শান্তিচুক্তির পথ খুঁজে না পান, তবে স্টিভ জবসের মত নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, " আজকেই যদি মরে যাই, তাইলে কি এই কাজ করে সময় নষ্ট করতাম?" আপনার উত্তর যা-ই হোক সেটা মেনে নিয়ে সুখে থাকুন। আপনার সুখ, আপনার মনে শান্তি কোথায় এইটা আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে এইটা দুরাশা। জ্ঞানী গুনী কোন এক বান্দা বলে গেছেন, " Know thyself". নিজেকে প্রশ্ন না করলে নিজেকে জানবেন কিভাবে? ফেসবুকে জ্ঞানী জ্ঞানী একটা কমেন্ট করার আগে ভাবুন, কেন করছেন? ভাত খাওয়ার আগেও ভেবে নেন, ভাত কেন, পিৎসা বা বার্গার বা বান্দরের মত পাকা কলা নয় কেন?
এই যে কাজ কাম ফেলে ব্লগ পড়ছেন, কেন?
ছবিসূত্রঃ http://9gag.com/gag/2273425
মন্তব্য
কেন???
কী কেন??
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনে এত জ্ঞান দিতাছেন কেন???
কারন আমি অজ্ঞান না, আমারও জ্ঞান আছে, তাই শেয়ার করি। শেয়ার করা ভালু।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার লেখা তালিকার এক নম্বরে ছিল তাই
এক নম্বরে ছিল তাতে কী? আপনি পড়লেন কেন? পড়লেনই বা যদি মন্তব্য করলেন কেন?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ যদিও।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আহারে এই পিচ্চি কত কথা বলে, এতদিন পর বাসায় আসছি, আমার বোনের পিচ্চি আমাকে বেইল দেয়না, কোন কথা ও বলেনা, আমাকে ডাকেটাকে ওনা, খালি নিজের মত খেলতে সে ভালোবাসে, অথচ এই অগাস্টে সে তিনে পা দিবে। একাটা দুইটা শব্দ ছাড়া কিচ্ছু বলেনা এই পিচ্চি।
শুধু আপনারে বেইল না দিলে ঠিক আছে, কিন্তু কারও সাথেই যদি কথা না বলে তাহলে কিন্তু বাচ্চার বয়সের সাথে মানসিক বৃদ্ধি সঠিকহারে হচ্ছে না কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখা ভালো। এরকম চুপচাপ দুই একটা বাচ্চা দেখেছি, অনেক পরে বাবা মা বুঝতে পেরেছে বাচ্চার অটিজম সমস্যা আছে। নিশ্চিত হবার জন্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো।
ভাগ্নার সাথে খাতির জমানোর জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পিচ্চিদের কাছে বেইল পাওয়া কঠিন ব্যাপার
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বলেন কি? আমার ভাগ্না যখন ছোট ছিল তখন তার খাওয়া-দাওয়া, গোসল, ঘুমানো, দুষ্টুমী, খেলা সব আমার সাথেই করত।
আর এখন? এখনো কি আগের মত বেইল পান?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বেইল পাওয়ার চেষ্টা করলে এরা বেইল দেয় না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কেন? কারণ ভালো লাগে।
ধন্যবাদ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভালো লাগলো লেখা এবং লেখার বক্তব্য। নিরন্তর প্রশ্নের ভিড়ে নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকতে পারাটাই সবচাইতে বেশি জরুরী এই জীবনে। সব শিশুরা সকল প্রশ্নের উত্তর পাক
নিজের কাছে স্বচ্ছ্ব থাকতে পারাটা বিরাট একটা অর্জন।
শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারাও আরেক টা অর্জন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনি আমার মত ঘাড়ত্যাড়া কেন ?
আসলে আমি চরম আইলসা। গতর নড়াইতে চাই না বলেই আমি ঘাড়ত্যাড়া। আপনি কেন ঘাড়ত্যাড়া?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি এই কাজটা করি, কোন কিছু ভাল না লাগলে করতে পারি না এবং কেউ জোর করলে বলি আমার মাথায় পিস্তল ঠেকালেও করব না। কেউ এখনও সেই রিস্কে যায় নাই। গেলে বুঝতে পারতাম আমার ঘাড়ের কি অবস্তা।
কাজ কাম ফেলে ব্লগ পড়ছি , কারন ভাল লাগে,আপ্নার লেখাটাও ভাল লাগছে।
ছিনতাইকারীর সামনে পড়লে হাতে কলমে যাচাই করে নিতে পারবেন।
লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
(গুড়)
facebook
আপনি এই লেখা পড়ার সময় পাইছেন আমি এতেই ধন্য। আপনার জন্য পাতার চাটনি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কেন ?
মন চায় তাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হ। আমারও একই কথা? কেনু ? কেনু?
ইয়ে মানে আমিও এই ধরণের প্রশ্নই করি। আমি যখন ঠিক ঠিক বড় হয়ে যাবো তখন আপনার মতো বগল বাজিয়ে ব্লগ লিখে সব্বাইকে কেনু'র জ্ঞান দেবো। কসম
ডাকঘর | ছবিঘর
বড় হওয়া ভালো না। সব সময় ছোট থাকা ভালো। তবে বগল বাজিয়ে ব্লগ লিখা জারি থাকুক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমাদের তোতন তিন বছর বয়সেই 'কি, কেন'র স্টেজ পেরিয়ে আরো ব্যাপক সব ইয়ে টাইপের প্রশ্ন করত।
"বিকাল বেলা জিন্সের প্যান্ট পড়লা কেন?"
"এক্টু বাইরে যাব। ফটকপি করব"।
"কারে করবা?"
শুনে হাসি আটকে, এক গ্লাস জুস খেয়ে তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে যেতেই পেছন থেকে তার হাহাকার,
"তুমি একটানে সব জুস একলাই খায়ালাইসো?!"
আমি তাকে এক গ্লাস জুস ঢেলে দিতেই হাত-পা ছড়িয়ে কান্না, "একা একা খাব কেন? তুমি খাবে না কেন?" ...
শেষের প্যারাগুলোতে যা বলতে চেয়েছেন, তার সাথে দারুনভাবে একমত।
লেখা ভাল লেগেছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পুলাপান মানুষ করা বিরাট ধৈর্যের ব্যাপার। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কেন প্রশ্নটা নাকি সবচেয়ে খারাপ প্রশ্ন, যা যার প্রতি করা হয় তাকে মানসিকভাবে বিব্রতকর করে তোলে, এটা আমার কথা না, একজন সাইকোলজিস্টএর বক্তব্য। এর পরিবর্তে কি বা কিভাবে বা কোথায় এসব প্রশ্ন নাকি অনেক এম্প্যাথিটিক।
লেখা ভাল লাগসে, কেন বলতে পারি না।
কেন? র উত্তর খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন বলেই এই প্রশ্ন শুনলে মাথা আউলায় যায়। সাইকোলজিস্ট এর এই প্রশ্ন আরো বেশি করা উচিত, তার কারবারই তো আউলা মাথা নিয়ে।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে সুখী হলা।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পিচ্চিদের কেন এর উত্তর দেয়া পিএইচডি ক্যান্ডিডেসির চাইতেও কঠিন। ওরা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সায়েন্টিস- সবচেয়ে বড় ফিলোসফার। আমার ৬ বছরের ছোট ভাই যখন খুব ছোট, তখন আমাকে একটা ফিলোসফি শিখিয়েছিল। তখন সে ৭-৮ বছরের। তার মত দুষ্টু বাচ্চা আমি জীবনে দেখিনি, তবে আমার মেয়ে তাকে বিট দিবে বলে মনে হচ্ছে। বাবার কাছে বকা খেয়ে মন খারাপ করে বসে ছিলাম। তখন সে বলেছিল, "শোন, জীবন যাপন করতে হয় শিং-মাগুর মাছের মত (সে গ্রামে গিয়ে দেখেছিল কিভাবে প্যাঁকের মধ্যে শিং-মাগুর মাছ ধরা হয়)- কখনো কাদা লাগাবি না। কেউ মাইর দিলে ভাববি, মাইর দিছে, গায়ে লাগছে- মনে যেন না লাগে। আর কেউ বকা দিলে, বকাই তো দিছে। গায়ে তো আর লাগে নাই।" আজও সেই ফিলোসফি নিয়ে চলছি।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাচ্চাদের ফিলোসফি খুব সোজা সাপটা। আমি এই সোজা লাইনেই থাকার চেষ্টা করি, সুখে থাকা যায়। টেকনিক্যাল চাকরির ইন্টারভিউ প্র্যাক্টিস করতে চাইলে আপনার মেয়েকে প্রশ্নকর্তার চেয়ারে বসায় দিবেন।
মাগুর মাছের ফিলোসফি ভালু পাইলাম। এত কিছু গায়ে মেখে কি হবে, মরলে পরে হাড্ডি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বাঁচতে হলে জানতে হবে।
বুঝতে হলেও জানতে হবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নতুন মন্তব্য করুন