• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বুদবুদ -১

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: শনি, ০১/১১/২০১৪ - ১২:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন কিছু লিখি নাই। মাথায় ছুটে বেড়ানো এলোমেলোচিন্তাগুলিকে গুছিয়ে একটা প্যারাগ্রাফে বঁধার মতো স্থবিরতাও যদি মস্তিষ্ক আমায় অনুকম্পা করতো, হয়তো খসড়া অন্তত করতে পারতাম। কিন্তু সে আশা বৃথা। টুকিটাকি ভাবনা গুলো যেন বুদবুদ। বড় করতে গেলেই ঠুস ঠাস ফেটে যায়। নেহায়েত দু তিনটাকে যদি ব্লগের পাতায় এনে ফেলতে পারি, মন্তব্যে আলোচনায় হয়ত আরেকটু সমৃদ্ধ হতে পারে। এইসব আলগা ভাবনা অবজার্ভেশন কে এক সুতোয় বাঁধতে সিরিজ ধরলাম।

১। যেকোন টিভি রিপোর্টে রিপোর্টার যখন কারু সাক্ষাতকার নিতে যায়, সংগের ক্যামেরাম্যান বোধহয় প্রায়ই তাদের আলোচনায় বোরড হয়ে যায় এবং ঘরে নানা জিনিস্পাতির ছবি তুলতে থাকে যেগুলো নিউজে ফিলার দেয়া হয়। সাক্ষাতকারদাতা এবং গ্রহণকারীর কথা বলার দু-চার সেকেন্ড ফুটেজ দেখানোর পরই ঘরের নানান শো-পিস দেখানো হয়। এটার কারণ কি? আজকাল বক্তব্য বাদ দিয়ে শো -পিস দেখি। কার অফিস/ বাসা কি দিয়ে সাজানো, তা থেকে মানুষটা সমন্ধে বেশ একটা অন্য ডাইমেনশনাল ধারণা পাওয়া যায়।

২। বাংলাদেশের মানুষের রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান বলে কি কিছুর চল আছে? নাকি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়া এবং তার ঘাড়ে চেপে বসাটাই রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান? অবসর গ্রহণ করার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খরচ চালাবার জন্য বেশিরভাগ মানুষের চিন্তা ভাবনা কি? যারা বিশাল অঙ্কের টাকা সুইস ব্যাঙ্ক বা এমন কোনখানে সরিয়ে রাখে নাই তারা কি ভাবে?

৩। অনভ্যস্ত নগ্নতা বা আবরণই অশ্লীলতা। লোমশ, বেঢপ আকৃতির পুরুষ শরীর হরদম দেখতে অশ্লীল লাগে না, প্রকাশ্যে মুত্রত্যাগ করার দৃশ্যও দেখে অভ্যস্ত তাই তাতে শ্লীলয়ানভূতিতে আঘাত লাগে না। কিন্তু পুরা শরীর ঢেকেও কোন মেয়ে আটসাট ব্লাউজের বদলে গেঞ্জি বা শার্ট পড়লে তা অশালীন। সমস্যা কেবল দেখে অভ্যস্ত নই তাই।

আপাতত এই তিনের সীমাবদ্ধ থাকি।


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

১) কোন আইডিয়া নাই কেন এই কাজ করে, কেনই বা করতে দেয়া হয়।

২) এই প্ল্যানিং টা ব্যক্তিগত পর্যায়েই সীমাবদ্ধ। কেউ কেউ ভাবে, কেউ ভাবেনা, ভাবার হয়তো স্কোপই নাই কারণ যা আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে চলে যায়, জমানোর কোন উপায় থাকেনা। বুড়ো বয়সে ছেলে মেয়ে দেখবে এটা আশা করা ছাড়া তাদের আর কোন গত্যন্তর নাই।

৩) মুখফোঁড়ের শেষ স্যাটায়ারের কথা মনে পড়ে গেল।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

শিশিরকণা এর ছবি

অনেকে যেমন বলেছেন, সিনেমাটিক ব্যাপার স্যাপার থেকে করে। তবে আমার ধারণা এই শট গুলার বেশ কিছু সাক্ষাতকার দাতা হাজির হবার আগে বসে বসে অপেক্ষা করার সময় তোলা হয়। খেয়াল ক্রএ দেখলে বেশ ইন্তারেস্টিং।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শিশিরকণা এর ছবি

জমানোর উপায় থাকে না, কথাটা পুরাপুরি মানতে পারলাম না। কারণ এখানে জীবনযাত্রার মান বলেও একতা কথা আছে। যদি ভবিষ্যত এর প্ল্যান করার জন্য জীবনযাত্রার মান এখন কিছু আত্মত্যাগ করতে হয়, তাহলে কি জমানো সম্ভব না? যদি ভাবনা থাকে যে ছেলে মেয়েকে মানুষ করার পিছনেই ব্যয় করি, তাহলে ভবিষ্যতে তারাই দেখবে, তাহলে হয়ত সন্তানের পড়াশোনার পিছে অনেক খরচ করা হলো। কিন্তু অনেক পয়সা খরচ করলেই যে ছেলে পিলে মানুষ হবে সেটা কি সত্য? মেয়ে দেখবে এইটা তো মনে হয় আরও হিসাব করা হয় না। মূলত ছেলে দেখবে এই আশা থাকে, এবং এই কারনেই ছেলে সন্তানের জন্য যত হাহাকার, ছেলে সন্তানকে যত আদর যতন করা।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মেঘলা মানুষ এর ছবি

১) যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় তারা তো আর আমজনতা না। তাদের বাসার শো-পিস এক রকমের 'শো-ডাউন' যেন আমরা বুঝতে পারি এই লোকটার দু'হাত, দু'পা থাকলেও তিনি শোপিসের মাপকাঠিতে আমাদের থেকে এগিয়ে আছেন।
(সম্ভবত: কোন এক সময় কোন গুণী লোকের বাসার পদক দেখানো থেকে ক্যামেরাম্যানদের এই অভ্যাসের সূত্রপাত)

২) রিটায়ারমেন্ট প্লান বলে ধরা বাঁধা কিছু নেই। (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে) রিটায়ার করার সময় কিছু টাকা পাওয়া যায়, সেটা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে সেটা দিয়ে চলার চেষ্টা থাকে অনেকের। অনেকে অন্যের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে।

৩) পরিবেশই (নাকি সমাজ!) এসব ঠিক করে দেয়। মনে পরে এক সময় বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় শাড়ি না পড়ে সালোয়ার-কামিজ পরাটাকে শোভন ধরা হত না। একবার ফুপার বদলির চাকরির কারণে আমার ফুপু তার সাথে বাংলাদেশের কোন একটা জেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা মোটর সাইকেলে করে ঘুরতে বের হয়ে আবিষ্কার করেন যে সবাই তাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এরপর তারা আর একাজটি করেননি। কিন্তু, তারা আগে যেখানটায় ছিলেন সেখানে ওটা সাধারণ ঘটনা ছিল। নতুন জায়গায় নিজের স্বামীর সাথে বের হলেও বোরখা পরে বের হবার রীতি প্রচলিত -কাজেই সেটা শোভন ছিল না। সবই পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব।

চোখ নিয়ে আমরা জন্মাই কিন্তু আমাদের দেখতে শেখায় সমাজ

শুভেচ্ছা :)

শিশিরকণা এর ছবি

রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানে কোন রকমে খেয়ে পরে ধুকে ধুকে বেচে থাকাতেই কেন সীমাবদ্ধ? চাকরি জীবন শেষ করার পর কেন নিজের শখ আহ্লাদ মেটানোর স্বপ্ন দেখেনা কেউ? বা সেই স্বপন মেটাবার জন্য যুবক বয়সেই ইনভেস্ট করে না? কেবল হা- হুতাশ শুনি, পরিকল্পনা করার কথা শুনি না। কেন?

অনেকেই পেনশন প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে কোথাও বাড়ি করে বাড়িওয়ালা হয়ে বাকি জীবন আয় রোজগারের বন্দোবস্ত করেন। এখনকার যুগে আর সেটা সম্ভব কি না জানি না। নতুন কোন অবসরকালীন পরিকল্পনা করা উচিত।

শাড়িতে এতখানি পেট পিঠ বের হয়ে থাকলেও সেটা শালীন। কিন্তু পুরো শরীর ঢাকা শার্ট প্যান্ট পরলে অশালীন। আমরা দিন দিন আমাদের গন্ডিকে আরও ছোট করে নিয়ে আসছি, আর সেই গন্ডিকে বেশি কঠোর ভাবে নিয়ে বাইরের সবকিছুর কড়া সমালোচনা করছি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। কেউ একজন এই স্টাইল শুরু করার পর সেটাই কপি-পেস্ট চলতেছে :p

২। কেউ কেউ করে :S

৩। হ, সিন্দুকটিও বড় মনোহর ;)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

সিন্দুক মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে পারলে এক দফা শান্তি হতো। কিন্তু তখন আবার সুন্দর বালকদিগের ও নাদান পশু পক্ষীদের উপর অত্যাচার বাড়তো।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

১। যার ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছে সেই মানুষটাকে মাঝে মাঝে এগুলো আরো বিস্তারিত রিপ্রেসেন্ট করে। ডকুমেন্টারি ফিল্মে এ গুলো সটের এর ডেপথ বাড়ায়। ফিল্ম মেকিং পড়ার সময় এ বিষয়ে একটু জেনে ছিলাম।যেমনঃ একজন আওয়ামীলীগের নেতার যখন ইন্টারভিউ নেয়া হয় এবং এর মাঝে যদি বঙবন্ধুর সাথে যদি তার কোন ছবি দেয়ালে ঝুলানো থাকে যা ক্যামেরায় দেখানো হচ্ছে এই সটটি অনেক কিছুই প্রকাশ করে। হতে পারে সে ঠিক বঙবন্ধুর সময় থেকে রাজনীতি করছে বা বঙবন্ধুর কাছের লোক ছিল বা লোকটি বঙবন্ধুর সময়ের।
আবার যেমন একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের বাসায় দেখানো হল লাঙল হাতে কৃষকের শো-পিছ। এটাও বেশ কিছু প্রকাশ করে ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে এটা পজেটিভ বা নেগেটিভ।

২। বিক্রমপুরে একটা রীতি চালু আছে। বাপ যখন মেয়ে বিয়ে করাবে("দিবে" শব্দটি অনুপুযুক্ত বা দুইয়েই ব্যবহার করা উচিত) তখন হাসিমুখে যৌতুক দিবে আবার যখন ছেলে বিয়ে করাবে তখন হাস্যোজ্জল মুখে যৌতুক নিবে। আমাদের সমাজে রিটায়রমেন্টের ক্ষেত্রে এই নীতি মেনে নেয়া হয়। তবে অনেকেই নিজ ও স্ত্রীর জন্য একটা প্ল্যান রিটায়ার মেন্টে আগে ঠিক করে রাখেন। মজার বিষয় হচ্ছে আমি আমার নানীকে দেখেছি ওনি মরে যাবার আগে আমার নানার জন্য সব কিছু ঠিক করে রেখেছিলেন। ওনি কার বাসায় থাকবেন ওনাকে কে সেবা করবে? ওনি এক্ষেত্রে কোন ছেলের বউর সেবা নিতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন। এবং ওনি যখন কর্মক্ষম থাকবেন তখন তার আয়ের উৎস কি হতে পারে।কিন্তু আমার নানা কোনদিন কোন প্ল্যান করেননি।

৩। হতে পারে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে দৃষ্টিকটু শব্দটির অপব্যাবহার এর জন্য দায়ী।

২।

শিশিরকণা এর ছবি

এই যে আরেকটা পয়েন্ট। যৌতুক নেয়াটাও দেখেন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানের অংশ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের বৃদ্ধ বয়সের টেকা পয়সার হিসাব আগাম চিন্তা না করার কারনে কতগুলা বাজে প্রথাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই যে ছেলেদের উপর ভর করার সামাজিক প্রচলন, এটা কি ছেলেদের উপর একটা চাপ নয়? আবার মেয়েদের সংসারে এইভাবে চেপে বসা যাবে না, তাই মেয়েদের পার করে দেয়া , বা মেয়ে হলে অখুশি হওয়া, এইগুলি কি একটার সাথে আরেকটা যুক্ত না? ছেলের সংসারে থাকলে আবার শাশুড়ি বউ এর ঠুকাঠুকি নিয়ে আরেক কাহিনী। যদি বৃদ্ধ বয়সে নিজস্ব ভরনপোষোণের ব্যবস্থা থাকতো, তবে ছেলে মেয়ে যে কারও সঙ্গে বা নিজ পছন্দমতো যেভাবে খুশি জীবনযাপন করতে পারতেন। সবকিছুকে এরকম কঠিন আবেগের জালে জড়িয়ে প্যাঁচ লেগে যেত না। এভাবে বয়সকালে এসে এত বছরের স্বাবলম্বিতা জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়াটা মানসিকভাবেও একটা ধাক্কা।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

Sohel Lehos এর ছবি

শিশিরকণা, আপনার এবং আমার মত মানুষদের মস্তিষ্কের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলতে হয়। অন্যেরা যা সহজেই পারে সেই সামান্য কাজটুকু করার জন্য কি পরিশ্রমই না আমাদের করতে হয়!

লেগে থাকুন। লাথি গুতা দিয়ে বজ্জাত ব্রেইনটাকে সচল রাখুন :)

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল :)

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

১) এর মধ্যে একটা সিনেমেটোগ্রাফি টাইপ ব্যপার আছে, সিনেমায় দেখবেন আসল শট নেয়ার আগে পাশে রাখা ফুলদানি, অ্যাকুরিয়াম এইসব জায়গায় কিছু শট নেয়। সিনেমা একটা শিল্প মাধ্যম সেখানে পরিচালক বা চিত্রগ্রাহকের স্বাধীনতা থাকে, একটা দৃশ্য দৃষ্টিনন্দনভাবে ফুটিয়ে তোলার দায়ও থাকতে পারে। খবরের চিত্রগ্রাহক সম্ভবত সেই লোভট সামলাতে পারে না, শিল্পী হবার লোভ তাকেও কিছুটা পেয়ে বসে।

এর মধ্যে আমার সবচেয়ে মজা লাগে যখন টেলিভিষনে আমাদের বিখ্যাত গান্ধিবাদী, ভুরুঙ্গুমারীখ্যাত মক্সুদ সাহেবকে দেখানো হয়। দামী আসবাবপত্র আর শো-পিসে সাজানো উচ্চবিত্তের ড্রয়িংরুমে একপ্রস্থ কাপর পরে যখন উনি ভন্ডামি করেন, তখন মনে হয় ক্যামেরার ফোকাস শুধু ওনার মুখে না থেকে ড্রয়িংরুমের দামী শোপিসের ওপরেও কিছুটা থাকলে ভন্ডামির চিত্রটা আরও পরিষ্কার হয়।

২) রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানের ব্যপারটা মনে হয় শ্রেণীবিভাজন না করে আলোচনা করা কঠিন। উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত অংশে বাবা-মা সন্তানদের ওপর একেবারেই নির্ভর করেন না বা দরকার হয় না, একটা বাড়ি থাকলে একটা গাড়ি থাকলে তাঁরা সন্তানদের মুখাপেক্ষী হন না একেবারেই, অন্তত আমি যদ্দুর দেখি। মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্তের ভেতরে সম্ভবত এটা একটা সংকটের ব্যপার, পেনশান, ছেলেমেয়ের মানুষ হওয়া (কিছু করে খাওয়া অর্থে) ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে সম্ভবত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরণের পরিবারের ছেলে-মেয়েকে জাতে তোলার চেষ্টা (মধ্যবিত্ত মানসিকতায় ছেলের একটা চাকরি, মেয়ে চাকরি না করলেও অন্তত একটা বিয়ে দেয়ার চেষ্টা, এসবে খরচপাতিও আছে) করতে করতে সম্ভবত জীবনের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়। আমাদের দেশে বিশেষ করে বিয়ে শাদীর সামাজিকতা করতে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে, নাভিশ্বাস ওঠে। ছেলে মেয়ের চাকরি বাকরির জন্য ঘুষ টুষ সব কিছু মিলায়ে এঁদের এই বয়সটা বেশ সংকটেই কাটে, নিজেদের যদি কিছু সঞ্চয় থেকেও থাকে সেটা এই সময়ে এসে একেবারে শেষ হয়ে যায় সম্ভবত। তখন ছেলে-মেয়ের (বাংলাদেশে মূলত ছেলেই) উপর নির্ভর করা ছাড়া আর উপায় কী থাকে‍! একেবারে নিম্নবিত্ত, প্রান্তিক জণগনের ক্ষেত্রে ব্যপারটা কেমন? আমার জানা নেই।

৩) অশ্লীলতার ব্যপারে সবচেয়ে দামী কথা বলা হয়েছিল সাতানব্বই আটানব্বইএর দিকে মুনমুন অভিনীত একটা সিনেমায়, 'নগ্নতা মানেই অশ্লীলতা নয়', এর পরে আর কিছু বলার থাকে না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শিশিরকণা এর ছবি

১/ হেহে গান্ধীবাদী মক্সুদ। একবার ভাবছিলাম কার বাসায় কি কি দেখলাম এইগুলা কমাপিল করে একটা পোস্ট দিব।
২/ উচ্চবিত্ত দুই রকম আছে। যারা নিজেরা কষ্ট করে বিত্ত অর্জন করেছেন ( সৎ/ অসৎ ব্যাপার না), তারা সাধারণত পরের প্রজন্ম সেই বিত্ত সামলাইতে পারবে এই নির্ভরতার অভাবে নিজেদের ব্যবস্থা প্ল্যান করে রাখেন। অপর দল প্রথম গ্রুপের উত্তর প্রজন্ম অর্থাৎ পারিবারিকসূত্রে টেকাটুকার মালিক, এদের খরচের দিকে বেশি মন থাকে, ভবিষ্যত ভাবার চেয়ে। মোটকথা টেকাপয়সা সচেতন লোকজন আগাম ভাবনা ভেবে রাখেন অন্তত নিজেদের জন্য।
মধ্যবিত্ত ছেলেপুলেকে পড়াশুনা করাইতেই টেকাটুকা শেষ করে ফেলে। তাদের রিটায়ারমেন্ট ইনভস্টমেন্ট আসলে সেটাই। যে জোনয়ো বেকার ছেলের উপর প্রচন্ড চাপ থাকে চাকরি বাকরি জোগাড় করে পরিবারের হাল ধরার। নিম্নবিত্তের আশা থাকে ছেলেপুলে বুরা বয়সে দেখবে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষত্রেই তাদের ঘানি টেনে যেতে হয়। বা তারা হয়ত বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত পৌছুতেই পারে না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

স্বপ্নহারা এর ছবি

১, এইটা মুখস্থ জিনিস। ঘরের সাক্ষাতকারে এইসব, আর বাইরে সাক্ষাতকার হইলে আকাশ-বাতাস-এইটা-সেইটা-রাস্তা। এইটা দুনিয়ার সব দেশেই এক, মনে হয় চোথায় লেখা আছে।

২, বেশিরভাগেরই নাই। আমার বাপ-মা এর নাই-ছিল না। সন্তান মানুষ করতে তারা সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন। জমিজমা ভরসা।

৩, অনভ্যস্ততাই কারণ। সেকারণে বেশি অভ্যস্ত করতে হবে সবকিছুতে 8)

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রিক্তা এর ছবি

১) ইন্টারেসটিং অব্জারভেশন। আমার ধারণা সাক্ষাতকারের ভিডিও রেকর্ডিং ফর বিগিনারে এইটা মনে হয় প্রথম ট্রিক্স :)

২) আমার বাপ মা, আত্নীয় স্বজন বেশিরভাগ সরকারী চাকরি করেতো তাই এরা দেখি সরকারের দেওয়া পেনশনকে রিটায়ারমেন্ট প্লানের অংশ হিসেবে ধরে। তেমন করে কাউকে ছেলে সন্তানের উপর চাপায়ে দিতে দেখি নাই। তবে এর একটা কারণ হলো ছেলের সংখ্যা কাছের আত্নীয়দের মধ্যে বেশ কম।

৩) বাংলাদেশে মাধ্যমিক থেকে নৈতিকশিক্ষা, যুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা দরকার। আর কোন উপায় দেখি না।

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

১। আমি তো শো পিস গুলো দেখে ভাবি, শুধু ওইগুলা দেখালেই আরও বেশি ভাল লাগতো!
২। আমার আর আমার বেটার হাফ পেনশনকে রিটায়ারমেন্ট প্লানের অংশ ভেবে রেখেছি। ছেলে-মেয়ে কামাই করতে পারলে তো ভাল নাইলে তো তাদেরও আমাদেরই চালাইতে হইবো। আজব দুনিয়া! কয়দিন বাঁচি দেখি। সরকারি ব্যাংক সম্বল। সরকারি আর সুইস, দুটোতেই ‘স’ আছে!
৩। আমার চার বছরের ছেলে অভ্যস্ত হয় নাই, সে টিভিতে বিদঘুটে এ্যাড দেখলে বলে, মা ওরা এত কম জামা পড়েছে কেন? ওদের শীত লাগে না?

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।