ফ্রি সেক্সের দেশ

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০১৫ - ১২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেক্স আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে এতটাই ট্যাবু বিষয় যে এর একটা প্রমিত বাংলা প্রতিশব্দ পর্যন্ত নেই। মানব প্রজাতি ধরে রাখার মৌলিক কাজটিকে উল্লেখ করতে বিদেশি নয়ত সমাজের নিচুতলার মানুষদের মুখের ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয়। এমন ভাব যেন সক্কলে ডিম ফুটে বের হয়েছি।

"ফ্রি সেক্সের দেশ " এই শব্দগুচ্ছ যেই মানুষগুলোকে ব্যবহার করতে দেখি তারা আসলে ফ্রি সেক্স বলতে কি বুঝেন আমি জানি না। ফ্রি সেক্সের দেশ থেকে নাকি অশ্লীলতা, বেলেল্লাপনা এসে আমাদের দেশীয় মূল্যবোধকে কলুষিত করে ফেলছে। ফ্রি সেক্স শব্দগুলি বলতে বলতে তাদের চোখ চক চক করে উঠে, সম্ভবত তারা কল্পনা করেন, যেখানে ইচ্ছামতো যেকোন মেয়েকে যেভাবে খুশী সম্ভোগ করা যাবে, তাই দেশের বাইরে উড়াল দেয়ামাত্রই কোন কোন বীরপুঙ্গব সুযোগের সদ্যবহারের রাস্তা দেখেন। সেক্স এর বিনিময়ে কোন নারীকে পারিশ্রমিক বা ভরণ পোষনের অর্থ দিতে হচ্ছে না এটাই সম্ভবত তাদের কাছে 'ফ্রি' সেক্সের সংজ্ঞা। এইসকল চলমান শিশ্নবাহক এর ঘিলুতে এটা হিসাবে আসে না যে সেক্সের জন্য নারীর সম্মতি থাকতে হয়। বেশ্যালয়ে হয়ত অর্থের বিনিময়ে সম্মতি কেনা যায়, বিবাহিত সম্পর্কের ভিতরে বা বাইরে একটি মেয়ের সাথে বিছানায় যাবার আগে অন্তত মেয়েটিকে ভালবাসা ও সম্মানের বিনিময়েই তার সম্মতি পেতে হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ আসলেই এক ফরেন কনসেপ্ট। নারী মানেই রমনী, যাকে রমণ করা যায়।

অন্য দেশের কথা বাদ দেই। এই আমাদের বাংলাদেশেই কোটি কোটি পুরুষ বিয়ে করেন একটি ভোগ্যা দাসী পাবার উদ্দেশ্যে, যে সারাদিন তার ঘরবাড়ি পরিবারের আর সব সদস্যদের দেখভাল করা শেষে রাতে বিছানায় তাকে ফ্রি সেক্স সার্ভিস দেবে। সেখানে নারীর কামনা, চাহিদা সম্পূর্ণরূপে গৌণ। এমনকি তার সেবার বিনিময়ে স্বামী নামক শিশ্নধারীর থেকে যে ভালবাসা বা জীবনসঙ্গী হিসেবে নূন্যতম শ্রদ্ধা, সম্মান প্রাপ্য তাও বেশিরভাগক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। আদতেই এ সমাজ বিয়ের নামে একজন পুরুষের হাতে অন্তত একজন নারীকে ফ্রি সেক্স করবার লাইসেন্স তুলে দেয়। ভরণ পোষন, সম্মান উপরি পাওনা।
আর যাদের এখনও সমাজ থেকে পাওয়া গলায় দড়ি বাধা একটি সেক্স অবজেক্ট জোটেনি অথবা এই এক নারীতে লালসা মেটে না তাদের জন্যও ব্যবস্থা নেই বলা যাবে না। রাস্তায়, বাজারে, যে কোন ভীড়ে মেয়ে, মহিলা, বৃদ্ধা বা শিশু রুচিমতো ছুঁয়ে, খামচে বা চটকে দাও কোমল যে কোন অঙ্গ, যেটাতে পুরুষ তোমার কামক্ষুধা মিটে। কোন পয়সা দিতে হবে না, দিতে হবে না কোন মুচলেকাও, হবে না কোন শাস্তি, এমনকি চিল চীৎকারে সাহায্য চাইলেও সমবেত সমাজ বরং ঐ মেয়েকেই মূল্যশোধ করতে বাধ্য করবে। নেহাতই ফ্রি তে সেক্স এর চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারবে। চমৎকার দেশ!

পশ্চিমা দেশ থেকে মুল্যবোধ আমদানি হলে কি আর এইসব সুখ কপালে থাকবে? বেঁচে থাকুক আমাদের ফ্রি সেক্সের দেশের মূল্যবোধ।

পাদটীকাঃ
১। ইচ্ছা করেই সববয়সী ট্যাগ। বয়স যদি যৌননিগ্রীহিত হওয়ার বেলায় কোন পার্থক্য সৃষ্টি না করে, তবে লেখা বা পড়ার বেলায় হয়ে কি লাভ?
২। বাংলা সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ, " ঘরে মা বোন নেই"। ঘরের মা বোনদের জন্য সমবেদনা। মা বোন নিয়ে বাঙালি পুরুষের যে পরিমাণ ফ্যান্টাসি গুগলে মা লিখে সার্চ দিলেই বুঝা যায়। মাদারচোদ, বাঞ্চুদ এখন আর গালি না, বিশিষ্ট চরিত্রবান লোকদের পরিচয়।


মন্তব্য

শাওন এর ছবি

যেসব লোকজন পাশ্চাত্যের ফ্রি সেক্সের কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন তাদের একটা কুৎসিত হিপোক্রেসী হচ্ছে তারা আবার এই দেশগুলোতে যাবার জন্য মুখিয়ে থাকেন। যদি তাদের এই হিপোক্রেসীকে চোখে তুলে দেখিয়ে দেয়া হয় তখন তারা যেসব যুক্তি দেখান আর যেরকম আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠেন সেটাও দেখার মত এক জিনিশ।

তবে এর থেকে খারাপ লাগে যে জিনিশ সেটা হল এই ধরনের কথাবার্তার সারমর্ম হল, মেয়েমানুষকে 'কন্ট্রোল' করতে হবে। এরা কথায় কথায় মা বোনের উদাহরন টানে, কিন্তু তাদের কথা অনুসারে তো আমাদের মা বোনের এই ব্যাপারে নিজেদের কোন ইচ্ছা বা বিবেচনা নেই, এই বিবেচনা তাদের মধ্যে দেয়ার গুরুদ্বায়িত্ব পুরুষ জাতিকেই নিতে হবে। মা বোনের এর থেকে অপমান আর কি হতে পারে আমার মাথায় আসে না।

শাওন

শিশিরকণা এর ছবি

মা বোনও "চোডের গেনেস"। মুরাদ টাকলা থেকে ডিকোড করে নেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নাশতারান এর ছবি

মূল্যবোধ তো আমদানি করার জিনিস না, তিলে তিলে গড়ে ওঠার জিনিস। আমরা পশ্চিমা জীবনের শরীরটা নিই, আত্মা নিই না। পশ্চিমা যৌনজীবন নিয়ে যে রগরগে ফ্যান্টাসি আমাদের মধ্যে কাজ করে সেটা আমাদের অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষা থেকে আসে। মেয়েদের মা বোন বানিয়ে রক্ষা করার কৌশলটা প্রাচীন এবং অচল। কেউ কারো মা বোন হয় না। মেয়েদের মানুষ ভাবতে শেখাতে হবে। মা বোন বউ বন্ধু রক্ষিতা যা-ই হোক না সে। এই শিক্ষাটা শুরু করতে হবে একদম গোড়া থেকে। পরিবারে আর স্কুলে। আমাদের গলদ গোড়ায়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

সেই দুপুর থেকে চেষ্টা করছি মাথা ঠাণ্ডা হবার, কাজ হচ্ছে না। রাগ ঝাড়তে খোমাখাতায় করা মন্তব্যের অংশগুলো টুকে রাখলাম।

দেশ ভরা কলেজ আর পাবলিক/প্রাইভেট ইউনি আমাদের, এমএ আর এমবিএ করা পুরুষপুঙ্গবের ছড়াছড়ি। ডিগ্রিটাই আছে, মোরালিটি নেই।

যথেষ্ট কট্টরপন্থী ধার্মিক, পিএইচডি করছেন এমন এক ভ্রাতের গল্প শুনলাম সেদিন, আরেক সহকর্মীকে (যিনি পোস্টগ্রাড) গিয়ে বলেছেন, তোমার ঐ স্টুডেন্টের হিপ থেকে তো চোখ সরাতে পারি না।

আমার কলিগ ছিলো একজন, একসঙ্গে একই দিনে জয়েন করেছিলাম। 'ভদ্র'লোক চবি থেকে এমবিএ করা, তার ওয়াইফ তখন ফেনীর সহকারী জজ। মেয়েদের বলতেন 'মাল'। ডেইলি একবার তার সঙ্গে খুনোখুনি লেগে যেতো আমার, ঐ টাইপের রসিকতার চোটে। এরপর সিটপ্ল্যান বদলে নিয়েছিলাম। এই হলো এভারেজ বাঙালি পুরুষের অবস্থা।

বাংলাদেশের প্রজনন সিস্টেমে সিরিয়াস কড়াকড়ি আসলে জরুরি এখন, পালে পালে জানোয়ার পয়দা করতে দিয়ে লাভ নেই তো আসলে।

ডিগ্রি, সিকিউরিটি, স্বচ্ছলতা-- সব ছাপিয়ে শুধু এই একটা কারণে মেয়েদের দেশ ছাড়াটা আর বাইরে থেকে যাওয়াটা লজিক্যাল মনে হয় এখন।

সবকিছু নিয়ে হতাশ, স-ব-কি-ছু!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

আরও কত কিছু যে বলতে ইচ্ছা করছে। কিছুতেই শান্তি হয় না। কয়টাকে হাতের সামনে পেলে পিটায়ে শুয়ায়ে দিতে পারলে মন ঠান্ডা হইত। মাইরের উপরে ওষুধ নাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাবরিনা ফেরদৌস এর ছবি

ছোটবেলায় পারিপার্শ্বিক থেকে নেয়া উপাদানগুলো যে মানসিকতা তৈরি করে তাকে চট করে পালটে ফেলা যায় না। আমাদের সমাজ মেনেই নিয়েছে ছেলেরা একটু আধটু "ইয়ে টাইপ" হয়, তাই মেয়েদেরকেই সামলে চলতে হবে। ইয়ে টাইপ হতে হতে শেষ পর্যন্ত এরা কোন তলানিতে গিয়ে তা দেখাই যাচ্ছে। এরসাথে আছে ইসলামের কুচর্চা।

শিশিরকণা এর ছবি

সিরিয়াসলি পোলাগো ইয়ে কেটে দিলে লাইনে চলে আসতো। এইরকম পাপিষ্ঠদের বীজ জিনেটিক্স পুল থেকে বাদ পড়া দরকার।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নিটোল এর ছবি

আমাদের সমাজের নৈতিকতার ভিত্তিই হলো যৌনতা। যতোদিন না সেটার পরিবর্তন হচ্ছে, ততোদিন এখনকার ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে।

_________________
[খোমাখাতা]

শিশিরকণা এর ছবি

কিভাবে? নৈতিকতার ভিত্তি কিভাবে যৌনতা হলো? ঘুষ, খুন এইসব ক্ষেত্রে নৈতিকতা নির্ধারনে তো যৌনতার কোন ভূমিকা নাই। যৌনতা ব্যাপার না। এইখানে মূল কথা হচ্ছে সম্মতি। মেয়েদেরকে বস্তু সম মনে করা হচ্ছে, যার অনুমতির তোয়াক্কা না করে তাকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেয়েদের একটা কমন হ্যারাসমেন্ট অভিজ্ঞতা হচ্ছে পাশ দিয়ে যাবার সময় কেউ মেয়েদের দিকে থুথু ছুড়ে মেরেছে। এখন বলেন এই থু থু মারার মধ্যে কি যৌন সুখ পাচ্ছে এই কীটগুলো?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

(১) বাঙালি পুরুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এইসব ঘটনায় কিছু বলতেও অসহায় ঠেকে। বলে কিছু হবে কিনা জানি না। সম্ভবত কিছুই হবে না।

(২) লোকজন ফ্রি সেক্সের দেশ বলে কটাক্ষ করে আর মনে মনে কামনা করে ফ্রি সেক্স। বেশিরভাগ বাঙ্গালির ধারণা পাশ্চাত্যের মানুষ যে কেউ যে কারও সাথে যে কোনো অবস্থায় বিছানায় যায়, যাইতে উন্মুখ থাকে। আমার অল্পদিনের বিদেশ অবস্থানের অভিজ্ঞতা অন্যরকম, এরা বিছানায় যাইতে পারে পছন্দের মানুষের সাথে, সেইটার জন্য এদের বাপ মার লাইসেন্স নেয়া লাগে না, গোপনও করা লাগে না। কারও সাথে বিছানায় যাওয়া আর না যাওয়া কারও সাথে প্রেম করা আর না করা যে একটা মেয়ের নিজের চয়েস এইটা অধিকাংশ বাঙালি মানতেই পারে না। তারা ভাবে একটা মেয়ে রাস্তায় বের হইছে তার মানে তাকে দেখাইতে বের হইছে। সমাজ, পুরুষতন্ত্র আর ধর্ম সবকিছু এইসব আচরণের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু সবাই হয়ত সাহসী হয়ে মনের কামনা মিটাইতে পারে না। রাজনৈতিক বা কোনো রকমের ক্ষমতা থাকলে সেই সাহসটুকু তখন জুটে যায়। আজকে ছাত্রলীগ কালকে ছাত্রদল, যে ক্ষমতায় থাকবে সেই এই কামনার চর্চা করার সাহস পেয়ে যাবে, এইসব ক্ষেত্রে অধিকাংশ বাঙালি পুরুষ অন্য লেভেলের দল নিরপেক্ষ।

(৩) এই ঘটনা নিয়ে লেখা বা পত্রিকার খবরগুলোতে মানুষের কমেন্ট দেখলে বাঙালি পুরুষের গড়পরতা চিন্তা ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। এই বিষয়ে দেখবেন দলমত নির্বিশেষে অধিকাংশ মানুষ একমত, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির এই বিষয়ে মিলেমিশে একাকার। ইস্লামি নিয়ম না মানার কারণে যে এগুলা ঘটতেছে এই বিষয়েও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো দ্বিমত নাই। আরও দুঃখজঙ্ক ব্যাপার অনেক মেয়েকেও দেখতে হচ্ছে এই ধরণের মতামত দিয়ে বেড়াতে।

(৪) এই সব ঘটনা থেকে নিস্তার পাবার কোনো সম্ভাবনা আছে? নাকি দিনে দিনে বেড়েই যাবে এইসব?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

বাঙ্গালির ধারণা পাশ্চাত্যের মানুষ যে কেউ যে কারও সাথে যে কোনো অবস্থায় বিছানায় যায়, যাইতে উন্মুখ থাকে।

হলিউড মুভি আর টিভি সিরিজ দেইখা এই অবস্থা। আসল জীবন এত সোজা না।

..................................................................
#Banshibir.

শিশিরকণা এর ছবি

বাঙালি পোলা বেশিরভাগই এমন অভদ্র আর নোংরা বিদেশ গিয়ে চেষ্টা নিলেও কেউ এদের সাথে বিছানায় যাইতে সম্মতি দিবে না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ইয়ামেন এর ছবি

নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একসময় কিছু বড় ভাইয়ের মুখে শুনতে হয়েছে 'আরে তোমরা এখনও ছোট আছো, এসব তো বলবাই, তোমরা চাও মেয়েদের এভাবে চলাফেরা করা দেখে নিজেদের চোখের ক্ষুধা মেটাতে। আমাদের বয়সে উঠলে বুঝবা কেন মেয়েদের নিরাপত্তার জন্যই আমরা এমন অবাধ চলাফেরা আর মেলামেশা করতে মানা করি।'
পাঞ্চ লাইন আসে কয়েকদিন পরে যখন সেই ভাইয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখতে পারি সানি লিওন, দীপিকা পাডুকোনে আর কারিনা কাপুরের পেজে লাইক দেয়া। হাততালি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

শিশিরকণা এর ছবি

বড় ভাইরা যে চোখের ক্ষুধা মেটান না, এইটা ভুয়া কথা। মার্কেট বা ভীড়ে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের স্বীকার হওয়া যে কোন মেয়েই বলতে পারবে, যে বেশিরভাগ সময় এই নুনুবাহী লোকগুলো মধ্যবয়স্ক হয়। ভীড়ের মাঝে বউ এর শপিং এর ব্যাগ টানতে টানতে কচি মেয়ে হাতিয়ে বোরডম কাটায়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রানা মেহের এর ছবি

এই ঘটনা গুলোযারা ঘটায় আর মন্তব্য করে যারা তারা আমাদের ভাই বন্ধু প্রতিবেশি।
এই লোকগুলোর সাথে ১০ মিনিট হাঁটার রেশিওর মধ্যে থাকি ভাবলে অসহ্য লাগে।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শিশিরকণা এর ছবি

সত্যি কথা। সব মেয়ে বলতে থাকে, যে আমার বাপ ভাই এইরকম না। কিন্তু মানুষ বহুমুখী, বাপ ভাই তাদের অমানুষ চেহারাটা সযতনে আমাদের সামনে লুকিয়ে রাখে হয়ত। কত অমানুষের মাঝে যে আমরা থাকি!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শিশিরকণা এর ছবি

মাকড়শা ভয় পায়, এমন কাউকে যদি ঘরের কোনায় কানায় ২-৪টা গোবদা সাইজের মাকড়শা সহ একটা ঘরে ঢুকিয়ে বলা হয়, এখানেই তোমায় থাকতে হবএ, যেমনে পার মানিয়ে নাও, শরীর ঢেকে চলো ইত্যাদি। মনের উপর কেমন চাপ পড়বে ভাবুন। মেয়েদের রাস্তায় বের হলে ঠিক এইরকম একটা টেনশন মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়, কখন না জানি কোন লুইচ্চা সুযোগ নেবার চেষ্টা করে। এই মানসিক পেইনটা ছেলেরা কখনো বুঝবে কি না জানি না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

সেক্স অনেকের কাছে সেইরকম জিনিস যা ফ্রি পেতে আরও বেশি মজা। এইজন্যই যত পার, বেশি বেশি মেয়ের গায়ে হাত দাও, সুযোগ পেলে আরও কিছু কর-ফ্রি জিনিস তো; এতকিছু ভাবতে নেই! এদের সাথেই বসবাস করতে হয়, চলতে হয়-এর চেয়ে অসহায়ত্বের আর কী হতে পারে?

দেবদ্যুতি

শিশিরকণা এর ছবি

এর পরেও যে মেয়েরা বাঙালি ছেলেদেরকে সুযোগ দেয় প্রেমিক হবার, এটাই ওদের বিশাল ভাগ্য। কারণ কুলাঙ্গার ২-৪টা হইলেও সেগুলাকে থামাইতে তোমরা কাপুরুষরা কি করছো যে তোমাদেরকে বিশ্বাস করবো? ১৯৭১ এর সেনা বাহিনী যা করছে, তার জন্য আমরা সব পাকিস্তানীকে অবিশ্বাসের চোখে দেখি, ঘৃণ করি, কারণ তারা এই গণহত্যার প্রতিবাদ করেনি। বাঙালি পুরুষের অবস্থা তার থেকে কতটুকু ভালো আসলে ? তারপরেও যে তাদের আমরা বিশ্বাস করে সুযোগ দিচ্ছি নিজেদের প্রমাণ করার, সেটা যে একটা ফেভার এইটা কয়জনে চিন্তা করে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

পৃথ্বী এর ছবি

বাংলাদেশে বিয়ে করতে তো দেনমোহর দেওয়া লাগে। বৈবাহিক সঙ্গম তো তাহলে ফ্রি না, পেইড সেক্স হয়ে যাচ্ছে দেঁতো হাসি


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

উস্কানিমূলক বক্তব্য! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

প্রথম কথা, কয়টা বেটা দেন মোহর দিয়ে কবুল বলে? দেয়ার কথা তো কেউ ভাবেই না, যারা ভাবে তারা তো মাফ চেয়ে নিয়ে ফ্রি পাওয়ার ধান্দাই করে।
পেইড হয়ে যাচ্ছে দেখেই তো ফ্রি- এর জন্য এত হাহাকার।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

আয়নামতি এর ছবি

'বাঙ্গালি নাকি ফ্রি পাইলে আলকাতরাও খায়, আর সেক্স হইলে তো কথাই নাই...'
এসবই মতলববাজ কিছু নারীবাদী এবং তার প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষদের রটনা।
বাংলাদেশের সুশীলসমাজ যৌনতা লইয়া জনসমক্ষে আলাপচারিতাকে বেলাল্লাপনার নামান্তর
মনে করেন এবং সর্বক্ষণ তক্কে তক্কে থাকেন কখন সুযোগ মত কোনো কোমল শরীরে হাতটি দেয়া যায়। এক্ষেত্রে শিকারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল নারী তুমার জানা থাকলে ভালু, নইলে পারলে ঠেকাও! আসুন সুশীল একখানা যৌনশিক্ষার ভিডু দেখি দেঁতো হাসি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ভিডু দেখে ব্যাপক জ্ঞান লাভ ঘটছে, আমি এখন শিখখিত।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

এক লহমা এর ছবি

ভাল লেখা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

শিশিরকণা এর ছবি

ধন্যবাদ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শিশিরকণা এর ছবি

ফেসবুকে শেয়ার করা লিঙ্কে একজন মন্তব্য করেছেন, " বিয়ে মানে ফ্রি সেক্সের লাইসেন্স বলার আগে পাশ্চাত্যে বিবাহ বিহীন সেক্সের ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাবের কথা ভাবা উচিত ছিল" । এটা দেখে আবার মনে প্রশ্ন এলো, বিবাহ বিহীন সেক্সের কি কি নেতিবাচক প্রভাব বিদেশে দেখা যাচ্ছে। বিয়ের বাইরে সেক্স করতে গেলে যেটা মূখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা হলো, মেয়ের সম্মতি এখানে থাকতেই হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অভিমন্যু . এর ছবি

চলুক

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।