রেডিও

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১০/২০১৫ - ৫:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রানা ভাই এর ঠেলায় পরে ফেবুতে করা কয়েকটা লম্বা মন্তব্য জোড়া দিয়ে এই ব্লগ খানা পয়দা করলাম। সংগে বোনাস একখানা গান, ছেড়ে দিয়ে স্ক্রল করতে থাকুন। আন্দ্রিয়া আপার সৌজন্য হেলাফেলায় লেখা ব্লগ যদি উতরে যায় এই আশা আর কি।
[img][/img]

রেডিও শুনার অভ্যাস হয়েছিল দাদার থেকে। একদম পিচ্চি থাকতে ৬-৭ বছর বয়স যখন, ভোরে উঠে দাদা-দাদীর ঘরে চলে যেতাম, দাদা বিবিসি শুনতো, আমি কি করে বেড়াইতাম মনে নাই, রেডিওর আওয়াজ দাদার সাথে কাটানো সুখস্মৃতির অন্যতম অংশ। ফুপু দেখতাম দুপুরে রেডিওতে নাটক শুনতো, গান শুনতো, মাঝে মাঝে বাংলা ছায়াছবির বিজ্ঞাপন, "আসিতেছে, আসিতেছে সামাজিক একশান ঢিসুমাইক ছবি.... "। এর মাঝে টের পেলাম ১০০ এফ এম এ বাংলাদেশ বেতারে দুপুর ৩ টায় ওয়ার্ল্ড মিউজিক অনুষ্ঠান হয়। আমার হিন্দি গান প্রীতি ছিল না, এদিকে টিভিতে ইংরেজি গান শোনা মুশকিল একটু, কারণ ভিডিও গুলা অশ্লীল ক্যাটেগরিতে বাপ মায়ের উপস্থিতিতে দেখা যায় না। তখনো বাংলাদেশ বেতার ছাড়া আর কিছু নাই। আমার চেয়ে বেশি বয়সী পুরানো একটা টু-ইন ওয়ান কে মেরামত করে টরে সেটা দিয়ে শুনতাম। দিনে বাংলাদেশ বেতার, আর রাতে বিবিসি ওয়ার্ল্ড। বিবিসিতেও অনেক নাটক, অনুষ্ঠান হতো। বিবিসি শোনার ফলে আমার ইংলিশের অনেক উন্নতি হয়েছিল। আমি ওদের মত নকল করে করে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করতাম মনে মনে। ফলে একসেন্ট হয়ে গেছিলো ব্রিটিশ টাইপ। এখনো আমেরিকানরা আমার ইংলিশ শুনলে ব্রিটিশ গন্ধ পায় বলে।

মেট্রিক পাশের পর বাপ মায়ের কাছে আবদার ধরলাম একটা ক্যাসেট প্লেয়ার রেডিও সহ কিনে দেয়ার। আমাকে বিশা-আ-ল একটা ক্যাসেট প্লেয়ার/ রেকর্ডার কিনে দিল আব্বা ( সেখানেও কাহিনী, কিনতে গিয়ে দেখা গেল, আব্বার কাছে টাকা নাই যথেষ্ট, তখন ড্রাইভারের থেকে ধার করে দোকান থেকে নেয়া হলো, বাসায় এসে ড্রাইভারকে ধার শোধ করা হইল)। এই বার আমি ৩০ টাকা দিয়ে সস্তায় হিন্দি গানের ক্যাসেট কিনতাম আর রেডিও থেকে পছন্দের ইংলিশ গানগুলা সেইসব হিন্দি ক্যাসেটের উপর রেকর্ড করা শুরু করলাম। একটা ৯০ টাকা দাম এর TDK blank cassette এর বদলে ৩টা ক্যাসেট একই বাজেটে। দু'টো গানের ফাঁক দিয়ে চুইয়ে এক কলি হিন্দি গান, কি উপস্থাপকের কথা ঢুকে যেত। এই ক্যাসেটের জন্য আবার সুন্দর করে কভার বানাইতাম, হিন্দি খুললাম খুল্লা ছবি ওয়ালা কভার ফেলে দিয়ে। ওয়ার্ল্ড মিউজিকের এইরকম ৩২ টা ক্যাসেট রেকর্ড করছিলাম। এখনো আছে বাসায় কোথাও। শোনার যন্ত্র নাই খালি।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড এ রাত সপ্তাহে একদিন রাত ৮টার দিকে টপ চার্টের ২০ টা গান শুনাইত। তার আগে বা পরে দেখি আরেকটা বিচিত্র অনুষ্ঠান হতো, নাম "Wright round the world" । আমি সেই অনুষ্ঠান খুব শুনতাম। মজার মজার সব বিষয় ছিল অনুষ্ঠানে। যেমন একবার হলো দুনিয়ার সবচেয়ে জঘন্য/ অশ্রাব্য গানের প্রতিযোগিতা। কি যে ভয়ংকর এক একটা গান। সেই প্রতিযোগিতায় শ্রোতা ভোটে জিতেছিল কে জানেন? জন লেননের স্ত্রী ইয়োকো ওনো। আরেকবার সন্ধান করা হলো প্রচলিত সব Idiom এর ইতিহাস, যেমন, raining cats and dogs কোত্থেকে এলো। আবার বিখ্যাত তারকাদের নিয়ে আসতো সাক্ষাতকারের জন্য। তখন ১৯৯৯-২০০০ সাল, বয়ব্যান্ডের রমরমা দিনকাল। আমি ছিলাম বয়জোন আর রোনান কিটিং এর ভক্ত। তো একদিন এই অনুষ্ঠানে রোনান কিটিং আসলো সাক্ষাতকার দিতে, সাথে তার অটোবায়োগ্রাফির ৫ কপি নিয়ে। সেখানে একটা প্রতিযোগিতার মত ছিল, কিছু একটা প্রশ্নের উত্তর দিলে তার সেই ৫ কপির এক কপি পাওয়া যাবে। তো আমি উত্তর সহ চিঠি পাঠিয়ে দিলাম। বাংলাডেশের ডাক বিভাগের উপর অবিশ্বাসের খেতা পুরিয়ে দিয়ে আমি জিতে গেলাম বই এর কপি, খুশিতে... লারেলাপ্পা অবস্থা। এইভাবে তারপর আরেক কন্টেস্টে জিতলাম, রোনান কিটিং এর সিঙ্গেলস এর সিডি ( মানে সিডিতে একটাই গান)। অটোগ্রাফ ছিল কি না মনে নাই, তবে প্রিয় তারকার হাত হয়ে আসছে এতেই খুশিতে গুলগুলা ছিলাম।
এই অনুষ্ঠানেরই আরেকটা পার্ট ছিল pen friends. যারা পত্রমিতালী করতে চায়, অনুষ্ঠানে চিঠি লিখে নিজের পরিচয় জানাতো, Steve wright সেটা পড়ে শোনাত, তারপর বলতো যারা চিঠি লিখতে চাও একে বিবিসির ঠিকানায় চিঠি লিখো, আমরা পৌছে দেব। আমি একবার লিখে ফেললাম নিজের পরিচয় দিয়ে। Steve wright সেটা শোনালো ওর অনুষ্ঠানে। তারপরে ৪ সপ্তাহ বাদে, বিশাল একটা বান্ডিল এসে হাজির হলো আমার বাসায় বিবিসি থেকে, ভিতরে এত এত চিঠি। পরের কয়েক সপ্তাহ বান্ডিল আসতেই থাকলো। মোটমাট ৫২ জন বন্ধু পেয়েছিলাম। নানান দেশ থেকে, ব্রিটেইন, ইরান, ঘানা, সুদান, নাইজেরিয়া, সাউথ আফ্রিকা, কোন দেশ নাই। বয়স ১২ থেকে ৭৪ বছরের বুড়ো পর্যন্ত। সাউথ আফ্রিকার ক্যান্সার আক্রান্ত ক্যামিলা, যার হাতের লেখা এত সুন্দর যে দেখলে নিঃশ্বাস আটকে যায়। নিউজিল্যান্ডের ১২ বছরের মেয়ে জেনি, বাবা মায়ের সাথে নৌকায় করে সাগরে ভেসে বিশ্ব ভ্রমণ করছে, তার চিঠি যায় প্রথমে তার দাদীমার কাছে, সে জানে জেনি বর্তমানে কোথায় আছে, তারপর সেখানে জেনিকে চিঠি ফরোয়ার্ড করে। ৭৪ বছরের বিজ্ঞানী মার্ক, টাইপ করে করে এত কঠিন আলোচনা লিখত, চিঠি পড়তে পড়তে ঘুম চলে আসতো। ঘানা থেকে স্টিভেন নামের এক কাঠমিস্ত্রী লিখতো তার কথা, ছবি পাঠাত। সবাইকে উত্তর লিখে পাঠালাম, এখনো সাউথ আফ্রিকার ক্যামিলার সাথে বন্ধুত্ব টিকে আছে, তবে ফেসবুকে। বাকিরা কই কই হারিয়ে গেছে। কিন্তু কি যে উত্তেজনার সময় ছিল সেইটা।

ততদিনে প্রথম বেসরকারী চ্যানেল চলে এসেছে, অল্প কিছু সময় ব্রডকাস্ট করতো তারা। সেখানের এক আরজে খুব ফট ফটায় কথা বলতো আর শেষে তার নিজের ইয়াহু/MSN আইডি দিতো গান রিকোয়েস্ট করার জন্য। তখন নতুন নতুন ইন্টারনেট হাতে পেয়েছি। MIRC, MSN এর যুগ। দিলাম বেটারে নক, গান রিকোয়েস্ট করে। বেটা কিঞ্চিত লুল ফেলা শুরু করলো, যাই হোক, লুল এড়ায়ে এটা সেটা আলাপ করতে করতে আমাকে অফার দিলো তার সাথে একদিন শো হোস্ট করতে, আমার পছন্দের সব গান বাজাবো সেদিন শো-তে। বাপ মায়ের সাথে ব্যপক টানাটানির পর বাপ রাজি হইলো, সেও আমার সাথে যাবে শো রেকর্ড করতে , তারপর গিয়ে একদিন শো রেকর্ড করে আসলাম, তবে বেটা যে লুল সেটা বুঝে তাকে ব্লক মারিলাম।
এরপর আস্তে আস্তে রেডিও চ্যানেল এত বাড়লো, আর তার কোয়ালিটি এত ফালতু হইলো, যে রেডিও শুনাই ছেড়ে দিলাম।
THE END


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভালা পাইসি। উত্তম জাঝা!

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

শিশিরকণা এর ছবি

ধন্যবাদ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

আম্নে তো দেখি বিশাল কাবিল আদমি, এত্তগুলা "মাই প্রেশাস" ধরনের গিফট পাইছেন।
চলুক

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

শিশিরকণা এর ছবি

একটু সাহস করে চেষ্টা নিলেই হয়। ভাগ্যে কি আছে সেইটা তো চেষ্টা না নিলে বুঝা যাবে না। এইরকম আজাইরা সাহস দেখায় আরও কিছু মাই প্রেশাস টাইপ গিফট পাইছি, যার মধ্যে আছে অতি অতি অতি প্রিয় খেলোয়াড় জন্টি রোডসের লেখা চিঠির উত্তর আর অটোগ্রাফ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

বাহ্

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

বাবার প্রায় ভাঙাচোরা রেডিওটা আমরা শুনতাম বছর কয়েক আগেও, মহাযত্নে রাখত সেটাকে আমাদের সাদ্দাম। লেখাটা চমৎকার, শেষ লাইনটা সবচে’ দারুণ তবে একজন সেইরকম রেডিওশ্রোতার পতন দুঃখজনক...

দেবদ্যুতি

শিশিরকণা এর ছবি

রেডিও ভাঙ্গাচোরাই হয় কেন, এইটা একটা রহস্য। ভাঙ্গাচোরা গুলা যেইরকম যত্নে রাখা হয়, সেইরকম যত্ন পাইলে তো ভাঙ্গার কথা না তাই না?

সাদ্দাম কে?

এখনও শুনি রেডিও, বৈদ্যাশে গাড়িতে যা বাজতে থাকে নাইলে অনলাইনে প্যান্ডোরা। সেটায় ঐরকম আমেজ পাওয়া যায় না। ঘরে রেডিও চালানো হয় না আর।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই তো, প্রথমে এমন যত্ন পেলে রেডিওগুলো তো ভাঙার কথা না চিন্তিত

সাদ্দামের আসল নাম বিপুল, ওর জন্মের সময় নাকি গ্রামদেশে সাদ্দামের সেইরকম জনপ্রিয়তা ছিল। আমাদের বাড়িতে ছোটবেলা থেকে থাকত হাসি

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহ, রেডিওতে খেলা শোনার কথা মনে পড়ে গেল। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

এইটা লেখার মধ্যে ঢুকাবো কি না ভেবেও আলসেমির চোটে বাদ দিলাম। ১৯৯৭ এ আইসিসি ট্রফি তো পুরাই ছিল রেডিও তে শোনা। জাফরুল্লাহ শরাফত কি এমনি এমনি পেয়ারে বান্দা হয়?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

রানা ভাই ?!?!?!?

শিশিরকণা এর ছবি

উনারে আমি ভাই আপু যাই ডাকি উনি না চেতলেই হইল, তাই না?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শিশিরকণা এর ছবি

রেডিও শোনার অভ্যাসের কারণে আমার একটা সমস্যা হয়, আমি গান নিজে পছন্দ করে প্লে-লিস্ট বানিয়ে শুনতে পারি না। রেডিও তে র‍্যান্ডম এক একটা গান আসে, আগে থেকে জানা থাকে না কী বাজবে, এই ব্যাপারটা গান শুনার আনন্দের অন্যতম অংশ আমার মনে। প্লে-লিস্ট জানা থাকলে গান শোনার মজা চলে যায়, মনে হয় এরপর ঐ গানটা আসবে কখন, বা ইশ এইটা তো শেষ হয়ে যাচ্ছে, আরেকবার শুনবো না কি না?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমাদের দেশে রেডিও চ্যানেল অনেক বাড়লেও অধিকাংশ RJ এখনও তাদের দায়িত্বটা সম্পকর্ে সচেতন নয়। প্রবাসে রেডিও গাড়িতে রেডিও শোনার বেশ চল আছে। আর টিভিতেও মাঝে মাঝে রেডিও ছেড়ে বসে থাকি। প্রেজেন্টেশন খুব বড় একটা গুন RJ দের। দারুণ ভাবে কথা বলে স্রোতাকে ধরে রাখা। বাংলা RJ দের কথা শুনলে উল্টা দৌড় দিতে ইচ্ছে হয়। তবে একসময়ের অনলাইন রেডিও 'রেডিও গুনগুন' এর RJ সেঁজুতীর সাথে পরিচয় ছিল (এখন যোগাযোগ কম, কিন্তু তাকে ভালো বন্ধুই ভাবি)। তাকে শুনে মনে হয়েছে এখনও FM রেডিওর ভবিষ্যত পুরা অন্ধকার হয় নি। হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

রেডীও জকিদের শুধু ফটফটায়ে কথা বললেই চলে না, আকর্ষণীয় বিষয়বস্তুও লাগে। ভালো মর্নিং শো গুলো শোনার মজাই আলাদা।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক এর ছবি

আপনি তো নিজেই "বেতার কেন্দ্র"।
রোনান কিটিং এর সিঙ্গেলস এর সিডি জিতে ফেললেন!!! আমি এইসব উত্তর দিব দিব করে শেষ পন্ত আর বাংলাদেশের ডাক বিভাগের উপর অবিশ্বাসের খেতা পুরাতে পারি নাই কোনদিন।
মাঝে মাঝে ওয়ার্ল্ড মিউজিকের দিনগুলির কথা খুব মনে পড়ে।এই গানটা আপনার জন্য।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

শিশিরকণা এর ছবি

‌Yesterday Once more কি বুধবার করে হোত?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রানা মেহের এর ছবি

এতো ছোটতে হবেনা আপি।
আরো বড়ড়ড়ড়ড় করে লিখতে হবে। চোখ টিপি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শিশিরকণা এর ছবি

ইশ!। আপনি বলছেন কপি পেস্ট হলেই চলবে। কমেন্টে চুইংগাম চিবিয়ে টেনে বড় করার ব্যবস্থা করেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।