চাকতি জগতঃ জাদুর রঙ

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: বুধ, ২৮/১২/২০১৬ - ৬:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড পড়া ধরেছি। এবং আকন্ঠ মুগ্ধতায় ডুবে গেছি। স্বভাবদোষ হলো যে কোন লেখা খুব ভালো লাগলে অনুবাদ করে ফেলতে ইচ্ছা করে। প্র্যাচেটের লেখা অনুবাদ করার মত দুঃসাহস এবং বেকুবি মাফ করবেন। স্রেফ মুগ্ধ ভক্তের বালখিল্যতা হিসেবে নিলেই স্বস্তি পাবো। একদম ক্রম মেনে প্রথম থেকে শুরু করেছি। তাই Color of Magic দিয়েই প্রথম অনুবাদ।

পূর্বরঙ্গঃ

অসীম দূরের এক অনির্ণেয় মাত্রায় অবস্থিত কোন এক নক্ষত্রমন্ডল, যার অস্তিত্বই থাকার কথা ছিলো না, সেখানে বিলীয়মান তারারা ঘুরতে ঘুরতে দূরে সরে গেলে দেখা যায়,

ঐ আসছে,

মহাজাগতিক স্রোতে ধীরে সাঁতার কেটে এগিয়ে চলছে আ'তুইন, মহান কচ্ছপ। তার ভারী, শ্লথ পা গুলোর উপরে জমাট হাইড্রোজেনের বিন্দু । সুপ্রাচীন খোলসের গায়ে অজস্র ধুমকেতুর আছড়ে পড়ার চিহ্ন। সাগরের সমান বিশাল চোখের কোণে গ্রহাণুকণা আর নেত্রমল মিশে তৈরি স্ফটিকস্বচ্ছ্ব দৃষ্টি মেলে সে চেয়ে থাকে তার গন্তব্যের দিকে।

একটা শহরের চেয়েও বিশাল তার মস্তিষ্ক, গঠনগতভাবেই একটু ঢিলা, কেবলই ভাবতে থাকে তার পিঠে বয়ে চলা অসম্ভব ভার এর কথা।

যদিও মোট ভারের বেশিরভাগটাই হচ্ছে বেরিলিয়া, টুবুল, বিরাট ট'ফোন আর জেরাকিন নামের চার দানবীয় হাতির ওজন। ওদের তারকালোকিত চওড়া কাধের উপরেই কিনা এ জগতের চাকতিখানা বসানো। সে চাকতির পরিধি ঘিরে রয়েছে দীর্ঘ জলপ্রপাত আর ঢাকনি হয়ে রয়েছে অভ্রনীল রঙের স্বর্গ।

নভোঃমনোবিদরা অবশ্য এখনো একমত হতে পারেননি এই দানবীয় হাতিরা কি নিয়ে চিন্তা করে সে বিষয়ে। এই তো, এই যে মহান কচ্ছপ, যদি ক্রাল নামের একটা ক্ষুদ্র ও গোপন রাজ্য, যেখানে পর্বতের ছায়া পরিধি-প্রপাত ছাড়িয়ে যায়, সবচেয়ে দুরারোহ পাহাড়ের মাথায় একটা লম্বা আড়া আর কপিকল বসিয়ে কিছু পর্যবেক্ষককে একটা পিতলের জলযানে ঢুকিয়ে দড়ি বেধে কিনারা বরাবর প্রপাতের ধোয়াশার মধ্যে নামিয়ে না দিত, সেটাও তো কেবল অনুমানই থেকে যেতো।

প্রাচীন নভোঃজীববিদরা, যাদেরকে এক ঝুলন্ত অভিযান থেকে বিশাল দাসবাহিনী দিয়ে টেনে উদ্ধার করতে হয়েছিল, যদিও মহান আ'তুইন এবং হাতিদের আকার আকৃতি অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু তাতে এই ব্রহ্মান্ডের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য বিষয়ক মৌলিক প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর মেলেনি।

যেমন ধরা যাক, আ'তুইনের লিঙ্গ কি? বিজ্ঞ নভোঃজীববিদেরা মনে করেন যতদিন না একটা মহাশূন্যযান এবং তা ঝুলাবার জন্য আরো বিশাল এবং শক্তিশালী একখানা কপিকল বানানো হচ্ছে, এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ততদিন অবধি তারা মহাবিশ্বের যতটুকু দেখতে পেয়েছেন তা নিয়েই জল্পনা কল্পনা করে কাটাবেন।

একটা প্রচলিত মতবাদ হচ্ছে যে আ'তুইন অশেষ থেকে এসেছে, এবং এভাবেই অবিচল গতিতে হামা দিতে দিতে অশেষ এর দিকে চলতে থাকবে অনিঃশেষ সময় অবধি। বিশেষভাবে বুদ্ধিজীবীদের কাছে তো এ মতবাদ খুবই জনপ্রিয়।

ধার্মিক গোষ্ঠির কাছে অবশ্য বিকল্প একটি মতবাদ অধিক প্রিয়, যেটিতে বলা হয় আ'তুইন জন্মস্থান থেকে যাত্রা শুরু করে হামা দিয়ে চলেছে তার মিলন হবার স্থান ও মূহুর্তের উদ্দেশ্যে, যেমনটি চলছে মহাকাশের আর সকল তারা, যার যার নিজস্ব দানব কচ্ছপের পিঠে করে। যখন তাদের দেখা হবে, তারা প্রথম এবং শেষবারের অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী ও আবেগঘন এক মিলনে লিপ্ত হবে। এই অগ্নিগর্ভ মিলন থেকে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে নতুন সব কচ্ছপের এবং তারা নতুন ধরনের জগত তাদের পিঠে নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করবে। এই মতবাদটি মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং মতবাদ হিসেবে পরিচিত।

আর এজন্যই, এই মতবাদের অনুসারী 'অবিচল গতি' চক্রের জনৈক জ্যোতিষকূর্মবিদের নতুন দূরবীক্ষণ যন্ত্রেই প্রথম ধরা পড়ে যে জগতের সবচেয়ে প্রাচীন শহর থেকে চাকতির কেন্দ্রমুখী ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠছে। কিন্তু সে মূহুর্তে সে ব্যস্ত ছিলো মহান আ'তুইনের ডান চোখের প্রতিফলিত বিচ্ছুরণাংক নির্ণয় করতে। সে রাতে তার গবেষণায় এতই নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিলো যে ধোঁয়ার ব্যাপারটা ভুলেই গিয়েছিলো। তা যাই হোক, সেই কিন্তু ছিলো এই ঘটনার প্রথম সাক্ষী।

এছাড়াও ছিলো আরও কয়েকজন ...

ছবি: 
18/04/2010 - 8:51অপরাহ্ন

মন্তব্য

তাহসিন রেজা এর ছবি

টেরি প্র্যাচেট খুব খুব প্রিয় লেখক। বেশ কয়েক বছর আগে হিমু ভাইয়ের একটা লেখার সুত্র ধরে এই চাকতি পৃথিবীর খোঁজ পাই। প্রিয় লেখকের লেখা অনুবাদের জন্য সাধুবাদ জানাই। প্রথম কয়েকটা প্যারা বেশ সাবলীল লাগল। হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

শিশিরকণা এর ছবি

ধন্যবাদ। আমিও সেই একই লেখার সূত্রে প্র্যাচেটের সন্ধান পাই।
প্র্যাচেট অনুবাদ করা খুবই দুঃসাধ্য। কারণ তার লেখার ধরণটাই হচ্ছে লম্বা লম্বা, জটিল, যৌগিক বাক্য, যার প্রতিটি কমার পরের অংশে বাক্যের অর্থ, গল্পের গতি ঘুরে যেতে যেতে থাকে। আবার শব্দ, বাক্য নিয়ে খেলতে খেলতেই তিনি সারকাজমগুলো করেন। সেগুলোকে অনুবাদে প্রকাশ করতে পারা খুবই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মেঘলা মানুষ এর ছবি

নতুন নতুন শব্দ জানলাম: নভোঃজীববিদ, নভোঃমনোবিদ, ইত্যাদি। দেঁতো হাসি

বেরিলিয়া, টুবুল, বিরাট ট'ফোন আর জেরাকিন নামের চার দানবীয় হাতির ওজন

বিরাট ট'ফোন কি বাকি হাতিদের চেয়ে বড়? বড় হলে চাকতি একদিকে কাত হয়ে যাবার কথা না? নাকি খালি নামেই বড়? আর হাতিরা কি স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে আছে নাকি ঘানির মত ঘুরছে? হাতিরা না ঘুরলে তো কোন ভৌতকাঠামো, যেমন স্তম্ভের উপর ও চাকতি রাখা যেত। কৌতুহল থেকে প্র‌শ্ন‌গুলো এলো (ট্রলিং না)। ইয়ে, মানে...

লেখা ভালো লেগেছে। সারদিন পড়া আরও দশটা লেখার চেয়ে ভিন্ন মেজাজের এটা। তবে শেষের অনুচ্ছেদটা কয়েকবার পড়েও মর্মোদ্ধার করতে পারিনি। নেবুলা জাতীয় কিছু কি? ঠিক কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে এখানে? চিন্তিত
ছবিটার সূত্র দিলে ভালো হত।

শুভেচ্ছা হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

প্র্যাচেট একটা পাগলা লোক। এর লেখায় প্রচুর স্ব-উদ্ভাবিত শব্দ আছে যেগুলো কোন ডিকশনারিতে পাবেন না। অনুবাদ করতে গেলে বাংলা শব্দও আপনাকে উদ্ভাবন করতে হবে। যেমন উনি লিখেছেন Cosmochelonian. ডিস্কওয়ার্ল্ড ছাড়া আর কোথাও এই শব্দ পাবেন না যে অর্থ বের করা যাবে। কেলোনিয়ান মানে খুঁজতে গিয়ে পেলাম কচ্ছপ বা খোলসাবৃত জীব সংক্রান্ত। শব্দের ভাবগাম্ভীর্য ধরে রেখে কচ্ছপ/ কাছিম না বলে কচ্ছপ= কূর্ম শব্দ আমদানি করতে হলো, সেটা জ্যোতিষ এর সাথে জুড়ে দিয়ে বানাতে হলো, জ্যোতিষকূর্মবিদ।

বিরাট ট'ফোন শুধু নামেই বড়। চাকতি ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থিত। কেন স্তম্ভের উপর না হয়ে হাতি এবং কচ্ছপের পিঠে সেটা জানতে হলে তো আপনাকে প্র্যাচেটের নিউরনে একটা অভিযান চালাতে হবে।

শেষের অনুচ্ছেদ এত জটিল কিছু না। একটা শহরে আগুন লেগেছে। সেখান থেকে ধোয়া উঠতে দেখছে এক মহাজাগতিক-কাছিম-বিশারদ ওরফে জ্যোতিষকূর্মবিদ। কিন্ত কাছিমের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণায় এতই ব্যস্ত ছিলো ভুলেই গেছে।
এই আগুন লাগা থেকেই কাহিনীর শুরু।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

হিমু এর ছবি

প্র্যাচেটের এই একটা জিনিস খুব ভালো লাগে, উনি কখনো পাঠকের হজমের কথা চিন্তা করে চামচে তুলে কিছু খাইয়ে দেননি, ছোটো ছোটো সরল বাক্যে লিখলে "সবাই" পড়ে বুঝবে, সেটা ভেবে তাঁর দারুণ সরস বাক্যগুলোর সাথে আপোষ করেননি। কজমোকেলোনিয়ানের মানে পাঠককেই খুঁজে বের করতে হবে, এবং এ প্রক্রিয়াটা তাকে আরো আনন্দ দেবে, হয়তো সে নিজেও একই ভাবে নতুন একটা শব্দ প্রণয়নের সাহস দেখাবে। একটা সাক্ষাৎকারে ভিন্ন প্রসঙ্গে প্র্যাচেট বলেছিলেন, আই উড ‌‌ড়্যাদার বি আ রাইজিং এইপ দ্যান আ ফলেন এইঞ্জেল। পাঠকের মধ্যেও এই একই স্পিরিট তিনি রোপণ করতে চেয়েছেন সম্ভবত, সেটা নতুন একটা শব্দ দিয়ে হলেও।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চলুক
এই লোক 'বানান মৌমাছি' অনুষ্ঠানে শব্দ সরবরাহ করলে খবর আছে!

আপনার লেখাটা পড়ে আবার ভাবতে বসলাম; আমরা আসলেই ক্ষুদ্র!

শুভেচ্ছা হাসি

হিমু এর ছবি

ডিস্কওয়ার্ল্ডের এই হাতি-কচ্ছপ-চ্যাপ্টা দুনিয়া ঠিক প্র্যাচেটের কল্পনা নয়, বরং এককালে আলোচিত সমতল পৃথিবীর কল্পনা [দেখতে পারেন এখানে, এখানে আর এখানে]। প্র্যাচেটের মুনশিয়ানা হচ্ছে এই পুরো ভুল ছবিটার ওপর স্রেফ কথার জোরে একটা পুরোদস্তুর বিকল্প দুনিয়া দাঁড় করানোয়। চাঁদ-সূর্য-আবহাওয়া-কিনারাসমুদ্র সবকিছু এই কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করেছেন প্র্যাচেট। এমনকি ডিস্কওয়ার্ল্ডে লোকে উত্তর-দক্ষিণ ধরেও দিঙনির্দেশ করে না, ওখানে চারটা দিক হচ্ছে কেন্দ্রমুখী (হাবওয়ার্ড), নেমিমুখী (রিমওয়ার্ড), চক্রমুখী (টার্নওয়াইজ, চাকতি যেদিকে ঘোরে) আর চক্রবিমুখী (উইডারশিনস, চাকতি যেদিকে ঘোরে তার উল্টোপাকে)। এমনটা যে বাস্তবেও ঘটে, সেটা পড়েছিলাম জ্যারেড ডায়মণ্ডের "কোলাপ্স" বইটায়, ওখানে তিকোপিয়া বলে একটা ছোট্টো দ্বীপের কথা আছে, যেখানে লোকে সবকিছু ""সাগরের দিকে" বনাম "ভেতরের দিকে"" কাঠামোয় মাপে। প্রত্যেকটা বিকল্প ব্যাখ্যাই উদ্ভট আর সরস। চারটা হাতির ওপর দুনিয়া দাঁড় করিয়েই উনি ক্ষান্ত হননি, পঞ্চম আরেকটা হাতিকে উল্কার মতো আছড়ে ফেলেছেন অতীত ইতিহাসে (ইউকাটানে ক্রিটাশিয়াস-টার্শিয়ারি যুগের ডাইনোসরঘাতী ইমপ্যাক্টের বিকল্প হিসেবে)।

শিশিরকণা এর ছবি

যা বলেছেন। এই দুনিয়ার কল্পকাহিনীগুলোকে জোড়া দিয়ে দিয়ে একটা সম্পূর্ণ বিকল্প দুনিয়া বানিয়ে ফেলেছেন। এবং এই কল্পকাহিনীগুলোর অসারতাগুলোকে যেভাবে কখনো তীব্র , কখনো মোলায়েমভাবে বিদ্রূপ করেন, বুঝে উঠতেই ৩-৪ বার পড়তে হয়।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সোহেল ইমাম এর ছবি

প্র্যাচেট এখনও পড়া হয়নি। অতএব আপনার কাছ থেকেই আপাতত স্বাদ নেওয়া যাক লেখাটার। অনুবাদ আরো এগোবে মনে হচ্ছে, গল্প শোনার জন্য গুছিয়ে বসলাম। চলুক

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

প্রাসঙ্গিক একটা জিনিস চোখে পড়ল, তাই আবার এই পোস্টে মন্তব্য করতে এলাম। Flat Earth Society -এর একটা বাংলাদেশি ফেসবুক পেজ আছে। স্পষ্টতই, পেজটা ট্রল করার জন্য বানানো। তবে, ওখান থেকে অনেক ভিডিও, ডকুমেন্ট শেয়ার দেয়া হয় যেগুলো চ্যাপ্টা জগতের হার্ডকোর সাপোর্টাররা বেশ কষ্ট ও টাকা খরচ করে বানিয়েছে। সমস্য হল, এসব দেখে দুই একজন না আবার চ্যাপ্টা দুনিয়ার সত‌্যিকারের সমর্থক হয়ে বসে!
https://www.facebook.com/bdflatearth/

শুভেচ্ছা হাসি

এক লহমা এর ছবি

অনুবাদ ভালো লেগেছে। মূল গল্প পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

টেরি প্র্যাচেটের অনুবাদ বাংলায় আর কেউ করেছেন কিনা জানিনা। আপনার কাজটি কিন্তু দুর্দান্ত হচ্ছিলো! হাইবারনেশনে চলে গিয়েছেন নাকি?

---মোখলেস হোসেন

শিশিরকণা এর ছবি

ধন্যবাদ। সময় পেলে বসি আর কি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।