এই কয়েকটা দিন খুব দৌড়ের ওপর গেলো। আক্ষরিক অর্থেই দৌড়ের ওপর, কিছুতেই সামলাতে পারছিলাম না কাজকর্ম, এক খাবলা এখানে আরেক খাবলা ওখানে, এমন করে কাজকর্ম শেষ করতে হচ্ছিলো। শেষ মিনিটে বেরোই ছুটতে ছুটতে, বাসে ঢুকি ধূমকেতুর মতো। আজকে রাতে বাসায় ফেরার পথে রাজারহাটে (কোয়নিগসপ্লাৎস আর কি) রীতিমতো বেন জনসনের মতো দৌড় দিতে হয়েছে বাস ধরার মতো।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ছিলো এক সেমিনার, সেখানে নতুন আইডিয়া নিয়ে উপস্থাপন দিতে হবে সুইৎজারল্যান্ডের কিছু লোকজনের সামনে। আমার কথ্য জার্মান বেশ ভচকে গেছে, এই কয়দিন তাই একটু প্রেজেন্টেশন নিয়ে চর্চা করতে হয়েছে, শেষমেশ কোন গোলযোগ ছাড়াই উতরে গেছি। গোদ হচ্ছে পরীক্ষা, একটা না, দুইটা, তার একটায় বেশ ভালোমতো পার পেয়ে গেলেও আরেকটায় সমন্বিত বাঘ আর অপরিণত ঘুড়ার যৌথ খোরাকিই খেতে হলো।
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত কাজ ছিলো, সেগুলো নিয়ে এখনও বসতে পারিনি, মনে হয় না আগামী হপ্তার আগে কিছু করতে পারবো। জার্মানরা মোটামুটি খোঁজখবর রাখে দুনিয়ার, গত কয়েকদিনে অনেকেই যেচে পড়ে বাংলাদেশের খোঁজ নিয়ে গেছে আমার কাছে।
ওদিকে সর্বাঙ্গে পোড়া আর কাটা দাগ। ডান বাম দুই হাতেই ইলেকট্রিক তন্দুরের চুম্বনচিহ্ন, সেদিন পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে আঙুলটাকেও বেশ কুচিয়ে ফেলেছি, হাতে ব্যান্ডেইড নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। সকালে পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখি সহপাঠিনী একজন বাম হাতে বিরাট ব্যান্ডেজ নিয়ে হাজির। তাকে আমার ক্ষুদে ব্যান্ডেইড দেখিয়ে বললাম, একদা ছিলো না জুতা চরণ যুগলে। বেটি বোঝে না। বাংলা জ্ঞানের অভাবে যে এরা কত কিছু থেকে বঞ্চিত, মাঝে মাঝে ভাবি।
তবে পরীক্ষার আগে অযাচিত সহযোগিতাও পেয়েছি বিস্তর। সহপাঠী ইউলি এক দারুণ ৎসুজামেনফাসুং (সারমর্ম) পাঠিয়ে দিয়েছে চরম খাইষ্টা এক লেকচারগুচ্ছের, ওটা না পেলে নির্মাণ ব্যবস্থাপনাতেও ফেলটুস মারতাম। আমার সহপাঠী ভাগ্য বেশ ভালো, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবার সহপাঠীরা মেঘ না চাইতেই জল ঢেলে দিয়েছে অনেক কিছুতে। ইউলিকে আজকে বিশদ ধন্যবাদ জানিয়ে দিয়ে এসেছি।
মন্তব্য
সবে কলির সন্ধ্যে।
কত গুয়ামারা সামনে বাকি আছে এক এক কইরা সামনে পড়বো.....
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তো কী ডোপিং নিচ্ছেন আজকাল?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কথাটা ঠিক্না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্যান্ডেজই হোক সেতুবন্ধন। এগিয়ে যাও।
ফেল দুধভাত। আমি জার্মানিতে একেবারে প্রথম পরীক্ষায় গ্রেড কম পেয়ে প্রফেসরকে ধরেছিলাম, ফেল করায়া দাও, আমি আবার পরীক্ষা দিবো। সে বললো, একবার পাস করে গেলে আর সিস্টেম নাই, ওই গ্রেড নিয়াই বাঁচতে হইবো আর তোমার গ্রেড তো খারাপ না, ভালোই পাইছো। আমি মনে মনে কইলাম, শালা! তবে পরের দিকে বুঝতে পেরেছি, গ্রেড এগাল। কোনোমতে পাস হইলেই বেড়া পার!
* এইটা ১৯তম পর্ব না?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যদিও এইটা মাত্র শুরু। তবে খুব খেয়াল কইরা। চান্স মাত্র তিনটা।
আর অপেন বুক হলে তো আল্লাহ সহায়।
'বেটি বোঝে না। বাংলা জ্ঞানের অভাবে যে এরা কত কিছু থেকে বঞ্চিত, মাঝে মাঝে ভাবি।'
খাঁটি কতা কইছেন!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এই পৃথিবীতে আমি একাই যে গুয়ামারা খাই না, আরও মানুষও যে গুয়ামারা খাওয়ার দলে আছে, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।
× এটা "প্রবাসে দৈবের বশে ১৯" হবার কথা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- গুয়ামারা খাইলে নম্বর ঠিক থাকেনা কাকারা!
হিমুর অখন উত্তর-পূর্ব ঠিক নাই। বিষের ব্যাথায় গোদ ভারাক্রান্ত।
তবে আগামি পর্ব কুড়ি বানাইয়া দিলেই হৈবো দোস্ত। চালায়া যাও!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইরম হৈসে এই কমেন্টটা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
নতুন মন্তব্য করুন