দন হুয়ান দি মার্কো যখন প্রথম দেখি তখন আমি সদ্য তরুণ। বায়রনের দন হুয়ান পড়িনি। টেলিভিশনে তখন স্টার মুভিজে রোজই সিনেমা দেখায় দেদারসে, এইচ এস সি পরীক্ষা বোধ করি সামনে তখন, এক মাস ধরে এর নানা রকম ট্রেলার দেখাচ্ছে। জনি ডেপ, মার্লোন ব্রা...দন হুয়ান দি মার্কো যখন প্রথম দেখি তখন আমি সদ্য তরুণ। বায়রনের দন হুয়ান পড়িনি। টেলিভিশনে তখন স্টার মুভিজে রোজই সিনেমা দেখায় দেদারসে, এইচ এস সি পরীক্ষা বোধ করি সামনে তখন, এক মাস ধরে এর নানা রকম ট্রেলার দেখাচ্ছে। জনি ডেপ, মার্লোন ব্রান্ডো আর ফে ডানাওয়ে আছেন, নানারকম কথাবার্তা, ইন্টারভিউ, আর তারই ফাঁকে ফাঁকে মাইকেল কামেন আর ব্রায়ান অ্যাডামসের কম্পোজ করা দুর্দান্ত গান, হ্যাভ ইউ রিয়েলি এভার লাভড আ উওম্যান। সেই গানের বাণী শুনে আর দৃশ্যায়ন দেখে আমি কাত।
সিনেমাটা দেখে আমি প্রবল আলোড়িত হয়েছিলাম, মনে আছে স্পষ্ট। জনি ডেপ আত্মহত্যা করবে উঁচু এক ছাদ (নাকি টাওয়ার) থেকে লাফিয়ে, কারণ সে দন হুয়ান দি মার্কো, তার অনেক ভালোবাসার ভার, এ জীবন সে আর রাখবে না। অ্যাসাইলামের মনোরোগবিদ মার্লোন ব্রান্ডো তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে আসেন অ্যাসাইলামে। জনি ডেপ গোঁ ধরে, ঘুমের ওষুধ সে খাবে না, তার জীবনের গল্প শুনতে হবে ডাক্তারকে।
তারপর শুরু হয় গল্প। গোটা গল্পটাই বায়রনের দন হুয়ানের সাথে এক ব্যক্তিগত কষ্টের অভিজ্ঞতার এক দুর্দান্ত মিশেল, আর ডাক্তারের নিজের জীবনে এক আশ্চর্য পরিবর্তন নিয়ে। সিনেমা নিয়ে আর কথা বলবো না, তাহলে যারা সিনেমাটা দেখেননি তাদের মজা নষ্ট হয়, কিন্তু মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম তিন অভিনেতা অভিনেত্রীর পারফরম্যান্স দেখে। পরিচালক (জেরেমি লেভেন সম্ভবত) খুব পটুতার সাথে সিনেমার কাহিনীর সাথে দন হুয়ানকে মিশিয়ে গেঁথে দারুণ এক জিনিস বানিয়েছেন। এই সিনেমাকে ঘিরে অনেক পরে একজন বন্ধুও পেয়েছিলাম, দীর্ঘদিন তাঁর সাক্ষাৎ পাই না, কেন, জানি না।
সিনেমার সুর করেছিলেন মাইকেল কামেন, যেহেতু কাহিনী হিসপানিক পটভূমিতে, গোটা সিনেমাতেই স্প্যানিশ ধাঁচের সুরের ছড়াছড়ি। পরে জানি, এই ছবিতে কামেনের সাথে কাজ করেছেন পাকো দে লুসিয়া, আন্দালুশার প্রবাদপ্রতিম গীটারিস্ট, গীটারের ঈশ্বরও বলা হয় তাঁকে। ব্রায়ান অ্যাডামসের সাথে মিউজিক ভিডিওতে তাঁকে দেখা যায়, বারের এক প্রান্তে বসে চোখে পট্টি লাগিয়ে আনমনে গীটার বাজাচ্ছেন।
অনেক পড়ে পিটুপি ডাউনলোডের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকো দে লুসিয়ার অনেক কম্পোজিশন নামিয়ে শুনেছিলাম। আজ অবসরের সুযোগে ইউটিউব থেকে পাকো দে লুসিয়ার পুরনো দিনের কিছু টেলিভিশন পরিবেশনা দেখলাম, স্তম্ভিত করে দেয়ার মতো হাতের কাজ তাঁর। সেই নব্বই দশকের মাঝামাঝিতেই দে লুসিয়া প্রৌঢ়ত্বের সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলেন (একুশ তারিখে ৬০ বছর পূর্তি হবে বেচারার), ইউটিউবে আছে তাঁর যুবা বয়সের কীর্তিগুলি, সুদর্শন হিসপানিক এক যুবক তন্ময় হয়ে বাজাচ্ছেন গীটার, তাঁর আঙুল নির্ভুল প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে গীটারের তারগুলির ওপর। অবিশ্বাস্য তাঁর গতি আর লয়জ্ঞান।
কিছু সংযোজন করলাম এখানে।
মন্তব্য
প্রথমটা দেখলাম। গিটারের কাজটা অপূর্ব। আংগুলগুলো এভাবে নাচে কি করে? আমার বড় জোর রক্ত নাচে!
দিন দুয়েক আগে ব্রায়ান অ্যাডামস গান গেয়ে গেলেন কিয়েভে। যাইনি পকেটে কুলোয়নি বলে। আর তাছাড়া, আগের বার যখন এসেছিলেন, তখন গিয়েছিলাম। সেবার কনসার্ট ছিলো মাগনা ...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
prothom trackta thakle pathay diyen
আরো একটা সংযোজন করলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরো একখানা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
প্রথম দুইটা ভিডিও দেখলাম, তারপর পাকো সাহেবের পুরা কালেকশন নামাইতে দিলাম ... পৌনে তিন গিগা, রাতের মধ্যে নেমে যাবে আশা করি
মুভি দেখার আপাতত সময় বের করা যাচ্ছে না
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
সবগুলির রস আস্বাদন করার মতো না-ও হতে পারে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেটা তো স্বাভাবিক ... দেখা যাক কি হয় ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
আজ মারা গেলেন পাকো দে লুসিয়া।
নতুন মন্তব্য করুন