যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ী হলে একজন আস্ত জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হতে পারেন। উদাহরণ আছে, ফিল্ড মার্শাল মন্টগোমেরি, ফিল্ড মার্শাল এরইউন রোমেল, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেক'শ। জেনারেল আইয়ুব খান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ফিল্ড মার্শাল খেতাব গ্রহণ করেছিলেন। '৬৫ সালে রান অফ কাচের সেই যুদ্ধে তিনি জয়ী হয়েছিলেন নাকি হেরে গিয়েছিলেন তা নিয়ে অনেক তক্কো হয়েছে। কেউ বলেছে, কচ্ছকে মুক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তান মুক্তকচ্ছ হয়েছে। আবার কেউ বলেছে, কচ্ছকে মুক্ত করতে এসে ভারত মুক্তকচ্ছ হয়েছে। এই গোলযোগে কান না দিয়ে আইয়ুব খান মেঠো মার্শাল হয়ে উঠেছিলেন আপনমনে।
পাকিস্তানের এককালের প্রধান১ বিচারপতি রুস্তম কায়ানী বলেছিলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধ করে অন্যদেশ জয় করতে পারেনি, কিন্তু নিজের দেশটাকে দুটি বারের জন্য দখল করে নিয়েছে। হয়তো নিজের দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার বিরুদ্ধে "যুদ্ধ" জয়ের পুলকেই আইয়ুব মার্শালপনার দিকে গিয়েছিলেন। কে জানে?
তবে নিজের রাজধানীর অদূরে এক মসজিদ-দুর্গের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন জেনারেল পারভেজ মুশাররফ। কিভাবে দুই মোল্লা ভাই প্রবলপরাক্রান্ত এই জেনারেলের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের স্পর্ধা অর্জন করলো, তার বিশদ ইতিহাস আমি জানি না, শুধু জানি, সেই চরমপন্থী দলের এক মোল্লা জেনারেল বোরখার আড়ালে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, আরেকজন "ক্রসফায়ারে" নিহত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলরা কাগজ-রেডিও-টিভিতে কয়েক মাস ধরেই মহড়া নিচ্ছিলো, বকাবকিও করেছিলো মুশাররফকে বিস্তর, কিন্তু মুশাররফ বোধহয় ভাবেননি, তারা অস্ত্রধারণের পথে এগোবে।
ইতিহাস সাক্ষী থাকবে, প্রথম লাল মসজিদের যুদ্ধে জেনারেল মুশাররফ জয়ী হয়েছেন। তিনি যদি ফিল্ড মার্শাল হবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন, কারো আপত্তির সুযোগ হয়তো থাকবে না।
১. দায়িত্বকাল জানি না। গুগল ঘাঁটলে বের হবে। কিন্তু ইচ্ছা করছে না।
মন্তব্য
এ এক বিশাল কমেডি
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
না রে ভাই। নিরীহ লোকও মারা গেছে অনেক। কোন যুদ্ধই কমেডি না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমগো বাংলায় একখান ফিল্ড মার্শালও নাই। তয় মার্শাল শাহ আলম আছেন। প্রতি নির্বাচনে যার জামানত সম্মানের সাথে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
রোমেল আর আইয়ুব খান, দুজনেই ফিল্ড মার্শাল, ভালই !!!
______ ____________________
suspended animation...
খুব দুঃখজনক ঘটনা। লাল মসজিদ যে দূর্গ হয়ে গিয়েছে এটা পাকিস্তানের একটা ঘেয়ো কুকুর ও জানে। জানেনা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজ মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ঘোষণা দিয়েছে, ৯/১১ এর পর এই মূহুর্তে আল কায়েদা সবচেয়ে শক্তিশালী। সুতরাং সামনের ঘটনাগুলো দেখবার মতোই হবে। লাল দূর্গ গুলো ইচ্ছে করেই বাড়তে দেয়া হয় এবং সময়ে ইস্যুর প্রয়োজনে ছাঁটা হয়। লাল মসজিদে সিভিলিয়ানই সম্ভবত ২০০'র উপরে মারা গেছে।
আমি অপেক্ষা করছি ঠিক এরকম একটা ঘটনা বাংলাদেশের প্রথিতযশা দুটি মাদ্রাসা থেকে। সময়ে ব্যবস্থা নিলে এরকম কিছু হওয়ার বেশী দেরী নেই।
মুশাররফের জায়গায় থাকলে ফিল্ড মার্শাল না হওয়ার লোভ সামলানোর মতো লোক উপমহাদেশে কয়জন আছে? হিমু তুমি যদি এক বছরের জন্য মুশাররফের দায়িত্ব পাও তাহলে কি করতে?
স্ত্রীকে নিয়ে তাজমহলের চত্বরে একটি পূর্ণিমা রাত নিরিবিলি কাটাতাম। শাহজাহানেরও এই সৌভাগ্য হয় নাই, মুশাররফের হয়েছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক কথা। পারভেজ মুশাররফ খুশিতে সেই উপাধি নিতেই পারেন। হযু ভাইয়ের আশংকাও অমূলক নয়।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
:boohoo:
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
হইতারে । আমাগো দেশী কাগুরা এখন এরে উরে দিয়া জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বানানোর পায়তারা করতেছেন । নিরাপত্তার খাতিরে এইটা ওইটা সুযোগ সুবিধা ভালো কামাইবো । শালা কে কয় রাজনীতিকরাই দুর্নীতিবাজ !
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মুশাররফ লাল মসজিদ ইস্যু তৈরী করে পিঠ বাঁচাতে চাইলেন । বিচারপতি ইফতেখার তো তাকে গিলে ফেলছিলো প্রায় । আরো কয়দিনের হায়াত মঞ্জুর হলো হয়তো, বেচারা ফিল্ডমার্শাল!
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হুম বাবা,
ইফতেখার বলে কথা, এমন গণআন্দোলনের জোয়ার পাকিস্তানে গত ত্রিশ বছরে কেউ দেখেনি। সেইরকম বুকের পাটা বিচারপতি ইফতেখারের।।
পাকিস্তানীদের মতো সামন্তমনস্ক জাতি বলেই, নয়তো ইফতেখারের আন্দোলনে গন অভুত্থান ঘটে যেতো আরো আগেই ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যতদিন পর্যন্ত পাকিস্থানের বাকী অংশ পাঞ্জাব থেকে আলাদা না হচ্ছে ততদিন পাকিদের মুক্তি নেই।
পাকিস্থানের অন্য অংশের জনগন পাঞ্জাবীদের সাথে এক টেবিলে বসে খেতেও অপছন্দ করে। কিন্তু সহজে এদের মুক্তি নেই বলে মনে হচ্ছে।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
সভ্য ভাষায়ই বলি। মুরুব্বী আপনারা সবাই। আর্মি থাকলেই তাকে ডেপ্লয় করতে হয় কয়দিন পরপর। নাহলে ঝামেলা শুরু হয়ে যায় দেশের ভেতরে। এই জন্যই আমেরিকা এত অবান্তর যুদ্ধ করে। পাকিস্তানি জেনারেলদের এই রকম "এক্সারশন" দরকার। এটা করতে পারে না দেখেই নিজের দেশকেই *দতে হয় এদের এত ঘনঘন।
সেটাই। লাঠি থাকলেই ব্যবহারের ইচ্ছা চলে আসে।
ইন্টারেস্টিং এ্যাঙ্গেল!
নতুন মন্তব্য করুন