তুমি,
অনেকদিন পর চিঠি লিখছি তোমাকে হিটলারের দেশ থেকে। আমি যে চলে যাবো, তুমি জানতে, কবে যাবো বলিনি, বলাও হয়নি আর শেষ পর্যন্ত।
খুব একটা পার্থক্য কি হলো, বলো? আগেও তো ফোনের ওপাশেই ছিলাম, এখন না হয় চিঠির ওপাশে আছি। দূরত্ব, সবসময়ই দূরত্ব। তোমাকে তখনও খুব ছুঁয়ে দেখতে, জড়িয়ে ধরে থাকতে ইচ্ছে হতো, এখনও হয়। তখন ইচ্ছেপূরণটা আরেকটু সহজ ছিলো, এখন অনেকটা কঠিন, এ-ই তো পার্থক্য।
দুঃখ হয় জার্মানদের জন্যে। শান্ত, ঠান্ডা, গোঁয়ার, নিষ্ঠুর, সুশৃঙ্খল আর পরিশ্রমী জাতি, কত অজস্র সুসন্তান এদের, কিন্তু কী দুর্ভাগ্য, দ্যাখো, কেউ বলে না আমি বাখের দেশে এক পথভোলা পথিক, কেউ বলে না আমি বেঠোফেনের দেশে এক উদ্বাস্তু, কেউ বলে না আমি গোয়েটে-শিলার-মান-হেসে-রিলকের দেশে পথ চলতে চলতে তোমাকে ভেবে নিজের লেখা কবিতা আওড়ানো কোন প্রেমিক ... চরম মূর্খ থেকে শুরু করে পরম বিদ্বানও আমাকে হিটলারের দেশের হিটখোর বলে উড়িয়ে দেয়।
তুমিও কি আমাকে এভাবেই ডেকে এ চিঠির উত্তর দেবে? আমার চোখের নিচে জমে থাকা কালি আর শুকনো মুখকে পড়তে পারবে তো, তুমি? নাকি পড়ে দেখবে না আমাকে একটুও, বানান ভুল বলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে আমার তোমার হাত ধরে হাঁটা সন্ধ্যেগুলোকে? আমার এই শীর্ণ, কৃশ, কৃষ্ণকায় হাতটা দূরে ঠেলে সরিয়ে দেবে কল্পনায় তোমার কবুতরের শরীরের মতো নরম বুক থেকে, শুধু আমার হাতের ফরম্যাট ভালো নয় বলে? এই যে এতোগুলো অভুক্ত রাত জেগে জেগে তোমার সঙ্গে কাটালাম, হোক না ফোনের ওপাশে, সেগুলো কি কিছুই নয়, শুধুই নাগালের বাইরে থেকে একজন আরেকজনকে চুলকানো?
বাখ-বেটোফেন-রিলকে-শিলারকে ভুলে যায় মানুষ, পাঠ করে ঝকঝকে বাঁধাই আর ভালো কাগজের হিটলারকে। তুমি কি আমার ভেতরটা পড়ে দেখবে না, তুমি? নাহয় কিছু বানান ভুল থাকুক আমার ভেতরে, আমার এই ভাঙাচোরা মলিন কোয়াসিমোদোর মতো চেহারাটা নিয়েই নাহয় আসি তোমার কাছে, পড়ে দেখবে না আমাকে, তোমার জন্যে আমার কষ্টটুকুকে, সবকিছু একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু তোমার কাছে আমার আসতে চাওয়াকে?
ভালো থাকো, তুমি, ভালো থাকো অনেক অনেক।
ইতি
তোমার বেক্কল হিমু
মন্তব্য
খাইছে ! সেইরকম...........................
কিন্তু পামু কই? কতদিন লাগতে পারে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
বিবাহিত মানুষ হয়ে আমার তুমিকে পাওয়ার দুর্মতি কেন আপনার? রামা, আমার রামদাটা কই ...!
হাঁটুপানির জলদস্যু
রামদা বনে গেছে সীতাদিকে খুঁজতে। ইত্যবসরে তুমির সাথে লীলাখেলা হবে নিকি হে কৃষ্ণ?
কি মাঝি? ডরাইলা?
এটা কি সত্যি প্রেমপত্র নাকি আসলটি লেখার জন্য হাত মকশো করাকরি? শুনি আজকাল নাকি প্রেমপত্রের চেয়ে এসএমএস টাই বেশি এফেক্টিভ? সবই শোনা কথা অবশ্য।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এসএমএস লিখতে গেলে হাত ব্যথা করে দাদা! পুরানা জমানার প্রেমিক আমি, প্রেমিকার ব্যালকনির নিচে গান গাওয়া টাইপ।
আমার জন্য এফেক্টিভ হচ্ছে ব্লগে কিছু লিখে লিঙ্ক দেয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হাঃ হাঃ।
শুনি ঐ জাতীয় প্রেমিকদের নাকি আজকাল ভাত নেই। স্বয়ং নির্মলেন্দু গুণ পর্যন্ত কাগজ-কলম ছেড়ে মুঠোফোনের কাব্য লিখে ফেললেন ঠেলায় পড়ে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আপনি ঠিকই শুনেছেন। ঐ জাতীয় প্রেমিকদের অনেক সমস্যা। মেয়ে ফুল ছুঁড়ে মারতে চাইলে ব্যালকনি থেকে মেয়ের বাপ-ভাই অনেক সময় টব ছুঁড়ে মারে ফুলশুদ্ধ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সুন্দর,ভাল হয়েছে।আশা করি আর ভাল হবে।
ধন্যবাদ nasim, আমিও আশা করি আরো ভালো হবে ;)।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কয়দিন আগে দেখলাম ধূসরের লক্ষণ ভাল না ,,, এখন দেখি হিমুরও
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধূসরের পেটের অসুখ, বুঝতেই পারছেন, ভেতো বাঙালির যা হয় আর কি। আমারটা হৃদয়ে, বুঝতেই পারছেন, লোচা বাঙালির যা হয় আর কি ...।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- অই ব্যাটা, মুখ সামলাইয়া কথা ক' কইলাম!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ দোস্ত। আমার হয়ে এরকম শত-সহস্র প্রেমপত্র লিখে ফেল। জ্বীনের প্রেসিডেন্টের কথা কানে নিস না। ঈশ তুই যে এতো ভালো এইটা আমি বুঝতে কতোই না দেরী করে ফেলছি দেখি।
তা 'তুমি'র নাম ঠিকানাটা দে আমারে এইবার। হাজার হোক তোর ভাবী হয় তো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হূমম
___________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
খাইছে!!
আরে *(খারাপ কথা)*, জিনিস পামু কবে ??!!
....
যান আপনাকে এইটা দিয়ে দিলাম
০৩
রাবণ পাপীদের জন্য স্বর্গে একটা সিঁড়ি বানাতে চেয়েছিল
হিটলার তার নিজের মানুষদের জন্য বানাতে চেয়েছিল নিজের দেশ
এ দুজনকেই আমি স্বপ্নময় শিল্পীর মর্যাদা দেই
হিটলার তার নিজের মানুষদের জন্য বানাতে চেয়েছিল নিজের দেশ
এ দুজনকেই আমি স্বপ্নময় শিল্পীর মর্যাদা দেই
কেম্নে কি ?
হ
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কঠিন
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
লোকজনের হইলোটা কী?
আসেন, মেঝেতে মাদুর পাইতা জামাতের* সাথে কান্নাকাটি করি।
*(জামায়াতের সাথে নয়!)
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কঠিন! মর্মান্তিক!!
....তবে সমুচিত মূল্যেই সমবেদনা কিনেছি।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আহা তোফা তোফা!
ঐ ব্যাটা কেলুয়া!
আয় মেরি বাহোমে আয়!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অ্যা!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
tor lekhata valo legechhe, hoyto toke ami jani bolei tor onibarjo shobdogulu, tor kachhe amar je prottasha tar kachhe nie jae.
vlaothakish
boudi
এই অভি চৌধুরী কার বৌদি রে ভাই?
হাঁটুপানির জলদস্যু
"কী দুর্ভাগ্য, দ্যাখো, কেউ বলে না আমি বাখের দেশে এক পথভোলা পথিক, কেউ বলে না আমি বেঠোফেনের দেশে এক উদ্বাস্তু, কেউ বলে না আমি গোয়েটে-শিলার-মান-হেসে-রিলকের দেশে পথ চলতে চলতে তোমাকে ভেবে নিজের লেখা কবিতা আওড়ানো কোন প্রেমিক ... চরম মূর্খ থেকে শুরু করে পরম বিদ্বানও আমাকে হিটলারের দেশের হিটখোর বলে উড়িয়ে দেয়।"
এই সমস্যার কথা উট -পাল শুভ্র এর লেখায় পড়েছিলাম।২০০২ এ জার্মানিতে বিশ্বকাপ ছিল,তখন সে একটা লেখায় বলছিল এক জার্মান এর কথা। সেই জার্মান খুব বিরক্ত যে সে যখন জন্মায় নি,তার অনেক আগের এক জনের কাজের দায় তাকে বহন করতে হচ্ছে। আমার কেন যেন মনে হয় 2nd world war নিয়ে এত ফাটাফাটি সব সিনেমা বানানোটা এর একটা বড় কারণ। সারা বিশ্বের মানুষ হিটলুর কথা যে ভাবে জানে, টিক্কা খানের কথা সে ভাবে যদি জানতো,তাহলে পাকিস্তানিরাও আন্তরজাতিক ক্ষেত্রে টিক্কা খানের পরিচয়েই পরিচিত হতো।আমাদের দেশের সিনেমা গুলো দেখলে কি আর বলব...,কিছুই বলার থাকে না।প্রথম আলো তে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের রুচি(যেমনঃপ্রিয় বই,মুভি) নিয়ে প্রতি শুক্রবার একটা কলাম দেয়া হত। সেখানে যদি খেয়াল করেন,দেখবেন বেশির ভাগ এর প্রিয় মুভির তালিকায় কোনো মুক্তিযুদ্ধের মুভি নেই। থাকবেই বা কিভাবে?? মুক্তিযুদ্ধের যে সব মুভি আছে,বেশির ভাগের এ কারিগরি মান খুব খারাপ।হাঙ্গর নদী গ্রেনেড এর একটা যুদ্ধের সিন দেখেছিলাম,মুক্তিযোদ্ধারা কাঠের ডামি রাইফেল দিয়ে গুলি করছিল,সেটা খুব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছিলো।দেখে হাসব না কাঁদব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
একটা জিনিষ লিখতে বসেছিলাম, এই লেখাটা পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। প্রেমিকার ব্যালকনির নিচে গান গাওয়া টাইপ প্রেমিকদের জন্য আমার সহানুভূতি প্রচন্ড। এইবার মন থেকে দোয়া করি যেন পৃথিবীর সব থেকে লক্ষ্মী মেয়েটা আসলেই আপনার ঘাড়ে এসে পড়ে। মেয়েটার জন্য একটু আনফেয়ার হয়, কিন্তু দুনিয়াতে কাউকে না কাউকে তো স্যাক্রিফাইস করতেই হয়।
নতুন মন্তব্য করুন