জর্জ ওয়াকার বুশ যখনই দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে শান্তিস্থাপনের মহাযজ্ঞ নিয়ে রোডম্যাপ কথাটা বলে বসলো, সক্কলে নড়েচড়ে বসে বুঝলো, সামনে কয়েকবছর আর শান্তির দেখা মিলবে না। শান্তির পারাবত বউবাচ্চাসহ কুঠুরি ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেলো। শুরু হয়ে গেলো নানা আপদ, সংঘাত, কংক্রীটের বিশাল দেয়াল নির্মাণ, ফিলিস্তিনিদের ঘর ভেঙে বিলাসবহুল ইসরায়েলি প্রাসাদোপম বাড়িঘর নির্মাণ, আত্মঘাতী হামলা, পাল্টা হামলা, হামাস-ফাতাহ দ্বন্দ্ব। খালি বলেন কী বাদ পড়লো। রোডম্যাপ নিয়ে ব্যাপক কান্নাকাটি পড়ে গেলো চারদিকে, বুশ শুধু ক্যামেরার সামনে সাজুগুজু করে আর বলে, উঁহু উঁহু, রোডম্যাপ অনুসরণ করতে হবে।
কাজের সূত্রে আমাকে রোডম্যাপ ব্যবহার করতে হয়েছে কিছুদিন। বেশ কাজের জিনিস, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম চিনে নিতে হয় শুধু। তারপর সব ফকফকা। রোডম্যাপ খুলে আপনি চলে যেতে পারেন গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে ঠাকুরগাঁয়ের নেকমরদ, পিরোজপুরের পাথরঘাটা থেকে বরিশালের বানারিপাড়া। মধুমতী, সন্ধ্যা, আত্রাই ... সব ম্যাপের নীলনদী দেখতে পাবেন চোখের সামনে। ম্যাপটা ঠিক হলেই চলে।
এদিকে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে হুহু করে। হুহু বললেও কম বলা হয়। গুঁড়ো দুধের ব্যবসায় কে আঙুল কিভাবে দিলো বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু এ দুধের দাম বাড়ছে কাবুলিঅলার সুদের ওপর সুদের মতো। গরুর মাংসের দাম একবার চারদলীয়জোটের আমলে খামাখাই বেড়ে গেলো ফট করে, খুব বেশিদিন হয়নি যখন নব্বই টাকা কেজি করে কিনতাম এই দারুণগোস্ত, আজ তার মূল্যের পারদ একষো ষাট-সত্তর-আশি। কেন কে জানে। গরু ব্যবসায়ীদের কি আজও চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়? এখনও কি সেই রাজনীতিচাটা খানকির পোলারা ঠ্যাক দিয়ে দিয়ে এই গরীব মানুষগুলির কাছ থেকে হাটেমাঠেঘাটে পয়সা আদায় করে করে খুচরা বাজারে দাম বাড়ায়? খুচরা বাজারের নাটকির পোলারা এখনও সাহস পায় দু'টাকার জিনিস কুড়ি টাকায় বেচতে?
সামনে রমজান, কুত্তার বাচ্চারা আবার দাম বাড়াবে। কারা এই কুত্তার বাচ্চা, আমি ঠিক জানি না, কিন্তু দাম এড়াই বাড়ায়। আর একবার দাম বাড়লে বাংলাদেশে কোন জিনিসের দাম কমেছে, এমনটা শোনা যায় না সহজে।
আজ খবরে শুনলাম নির্বাচনের রোডম্যাপের গল্প। জানুয়ারিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, আর ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন। ভালো লাগলো শুনে, সকলে নাকি স্বাগত জানিয়েছেন এই রোডম্যাপকে।
আমিও অভিনন্দন জানাই এই মানচিত্রের বিজ্ঞ কার্টোগ্রাফারদের। আমার শিরোনামটা নিছকই একটা কবিতার লাইন, বাস্তবের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই।
মন্তব্য
এতো দাম গরুর গোস্তের?!!! বাজারে কি আগুন নাকি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হক মাওলা।
সকল প্রশংসা তেনাদের।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
প্রাক্তন এক মন্ত্রী পেঁয়াজের দাম বাড়লে বলেছিলেন, পেঁয়াজ না খেলে কী হয়? এবার হয়তো দৈববাণী শোনা যাবে, গোমাংস স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। ব্লাড প্রেশার-কোলেস্টেরল বাদই দিলাম, অমি রহমান পিয়াল আজই জানিয়েছেন তার বউয়ের গোমংসে অ্যালার্জি হয়। না খাওয়াই ভালো! সংযমী হও বৎস্যগণ। রোজার মাস? তা-ও তো সংযমেরই মাস!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বাজারে গিয়া আপনার মাথা নষ্ট হইয়া গ্যাছে মালুম হয়। কিসব গালাগালি
..................................
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
নাটকি শব্দটির ব্যবহারের জন্য ফুল মার্কস।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
গরু ১৬০?????? আমি ৯০ টাকা কইরা কিনা রাইখা আসছিলাম!!!!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
রেখে যখন এসেছেন আপনি বেঁচে গেলেন
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
হ...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
দেশে যাও না খালি, বুঝবা কি অবস্থা।আমি এখন ও বুঝি না মানুষ বেচে আছে কি খেয়ে?
...তবু বাঁচবেই গনতন্ত্র! শালা
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় হা.মো.।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হাসান মোরশেদ গুরু, গনতন্ত্র বাঁচবে, কিন্তু কাগজে কলমে! একদিন আমরা গরীবীকে সত্যিই জাদুঘরে পাঠাতে সক্ষম হবো-সেটাও কাগজে কলমে। স্বাধীনতার ৩৬ বছর পরে এসেও একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতার নাম মনে করতে পারছি না।
নব্বইতে নুর হোসেন গনতন্ত্র মুক্তি পাক লেখা নিয়ে মরে ছিলো। দেশে গনতন্ত্র এসেছিলো, সেই গনতন্ত্রের সুফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন