আমার ধারণা, আমার "ড্রাইভিং সেন্স" খুব একটা মানসম্পন্ন নয়। আমি এখনো পর্যন্ত গাড়ি চালানোর চেষ্টা করিনি। শেখার সুযোগ এসেছে বহুবার, তারপরও না। মোটর সাইকেল এবং মোটরহীন সাইকেল, দু'টো নিয়েই আমি বেশ কেলেঙ্কারিয়াস দুর্ঘটনায় পড়েছি একাধিকবার। এখন যেমন বাইসাইকেল চালানোর বেশ চমৎকার সুযোগ আছে, তারপরও সাইকেল চালাই না।
এই একই কারণে আমি কবিতা লিখি না। আমি কবিতা লিখতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। কবিতার ক্ষেত্রে "হয়ে ওঠা"র একটা ব্যাপার থাকে, সেটা আবার সব সময় হয়ে ওঠে না। খারাপ একটা কবিতা লিখলে, বা বলা যায়, একটা কবিতা লিখে ফেলার পর সেটা খুব একটা পদের কিছু হয়নি, তা টের পাওয়ার অনুভূতিটা অনেকটা ঝোড়ো বাতাসে লুঙ্গি উড়ে যাবার মতো। পাঠক, আপনার কি কোনদিন ঝোড়ো বাতাসে লুঙ্গি উড়ে গেছে? যদি না যায় তাহলে একটা বাজে কবিতা লিখে দেখুন।
তারপরও আমি কিছুদিন কবিতা লিখেছি। এখনও মাঝে মাঝে হাওয়া অনুকূল থাকলে দু'একটা লেখার চেষ্টা করি।
কবিতা যাঁরা লেখেন তাঁদের মোটা দাগে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। একদল কবি, সে কারণে কবিতা লেখেন। দ্বিতীয় দলের লোকেরা (যেমন আমি) ঠিক নিজেকে সামলাতে পারেন না। কবিতার চাপ নাম্বার টু-এর মতো অনেকখানি, খুব ঝামেলায় ফ্যালে, একে নিষ্কাশিত না করলে নানা কেলেঙ্কারি হয়। পেট খারাপের সাথে তুলনা দিয়ে বলা যেতে পারে, এ হচ্ছে হৃদয় খারাপ হওয়া।
আমি এই পোস্টে মূলত যা করতে চাইছি তা হচ্ছে বিটিভির পুনর্প্রচারের মতো। পুরনো কিছু কবিতা আবারও সম্প্রচার করা হচ্ছে। নতুন কবিতা লিখতে গেলে নতুন করে হৃদয় খারাপ হওয়া প্রয়োজন, সেটাও কুলিয়ে উঠতে পারছি না আপাতত। পুরনো কবিতা মাঝে মাঝে লোকজনকে শোনানোর দরকার হয়ে পড়ে, দীর্ঘদিন ফোনালাপের অনভ্যাস আর ব্লগের বদভ্যাসের কারণে পুনর্পোস্টের পথকেই বেছে নিচ্ছি।
আমার কবিতাগুলি ২০০৩ থেকে ২০০৬ এর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে "বোকাদের পদ্য" শিরোনাম ও ক্রমিকে লেখা, সচলায়তনের ভেটেরান ব্লগাররা বহু আগেই এসব কবিতা পড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। নতুন সচলদের বন্দুকের মুখে জিম্মি করে কবিতা পড়ানোর এই সুবর্ণ সুযোগ আমি হাতছাড়া করতে চাই না। তুফানে বেঁধেছি লুঙ্গি, বাতাসে কী ভয়?
১.
কাকের উড্ডাল ধরে এগোলেও অযুতেক ক্রোশ
দূরে আছি
তবু
ভাবি, এখনো শরীরজলে ডুবে
সঞ্চিত নিশ্বাস ফেলি মুখ রেখে স্তনের বিষুবে
একবার, বারবার .. ..
ঘ্রাণ নিই নিপাট সন্তোষে৷
আমার আক্ষেপ ছোঁয়া দিয়ে
যায় অযুতেক ক্রোশে৷
২.
প্রত্যেক ক্রিসমাসে স্কুলে নাটক হতো
তুমি অবধারিতভাবে রাজকন্যার গুলগুল্লা রোল পেয়ে যেতে
নীরব সন্তুষ্টিতে তোমার গালে বেগুনি আঁচ লাগতো,
আমি দেখতাম আমার ভুরুর আড়াল থেকে।
আমাকে সবাই বলতো নিয়ান্ডার্টাল হিমু
নাটকের স্যার মৃদু হেসে বলতেন, কোয়াসিমোদো ...
আমি তখনও জানতাম না ... নোতরদামের কুঁজো তো পড়বো স্কুল ছেড়ে যাবার পর, নইলে তখনই আঁচড়ে খামচে উঠে পড়তাম স্কুলের পাশের পুরানো চার্চটা বেয়ে।
স্কুলের নাটক একেক বছর একেকটা,
কিন্তু সবই লিখতেন নাটকের স্যার
সেখানে রাজকন্যা আর কুৎসিত ক্রীতদাস থাকবেই
কারণ তুমি পড়তে সে স্কুলে
আর আমিও পড়তাম
আমরা নাটক ভালোবাসতাম, দু'জনেই ...।
আমি সেই ছোট্ট তোমাকে নতজানু হয়ে কুর্ণিশ করেছি,
যখন আমি সেই ছোট্ট আমি ছিলাম
হাঁটু গেড়ে বসে কতবার রাজকন্যার জুতোর ফিতে বেঁধেছি আমি ক্রীতদাস
আমার হাতে বর্ষাতি আর টুপি সঁপে দিয়ে কত ভিনদেশি রাজপুত্র তোমার পদ্মকোরকের মতো নরম হাত নিজের মুঠোয় নিয়েছে এক এক বছর
আমি সেই টুপিবর্ষাতির ভুলে যাওয়া ন্যাপথলিনের গন্ধ নতুন করে ফিরে পেয়ে চমকে দাঁড়িয়ে থেকেছি
কত নাটক করলাম আমরা দু'জন
কত মারপিট, অস্ত্রের হ্রেষাধ্বনি
মঞ্চে গড়াগড়ি দিলো কত সুপুরুষ স্কুলপড়ুয়া
আর তুমি জড়িয়ে ধরলে আরো সুপুরুষ কতো স্কুলপড়ুয়াকে
আমি ক্রীতদাস ছেঁড়া পাজামার হাঁটু ময়লা করে চিনে নিলাম তোমার প্রতি বছরের নাটকের জুতোর ফিতাবিন্যাস
রাজপুত্রদের বর্ষাতির বল্লরী
আর, নিথর দাঁড়িয়ে থেকে, মঞ্চে, তোমাকে।
সামনে ক্রিসমাস আসছে, রাজকন্যা
আমি, নিয়ান্ডার্টাল হিমু, নাটকের স্যারের কোয়াসিমোদো
এবার সটান মাথা উঁচিয়ে বলবো আমার ভাঙা গলায়,
স্যার আমি আর নাটক করবো না।
৩.
উত্তরের অন্ধকার, সকলেই ঝড় বলে তাকে
শনাক্ত করেছে, আর কালবৈশাখী নাম ধরে ডাকে
বিভ্রান্ত মানুষগুলো জানেনি তো এ আন্ধারী ঝড়
এ সন্ধ্যায় আমাদের ব্যক্তিগত একান্ত ঈশ্বর৷
ছাদের পানির ট্যাঙ্কে থরথর লোহার সোপান
বজ্রের ধমকে যত অট্টালিকা ভয়ে কম্পমান
আমিই উদ্বাহু নাচি, অট্টহাস্যে বলি আয় আয়
নিজেকে করেছি বলি, তুই ছাড়া আমাকে কে খায়?
হাতের মুদ্রায় তোর বায়বীয় প্রতিমাকে গড়ি
নৈবেদ্য চেটে যা এসে একচক্ষু ঈশ্বরসুন্দরী
বজ্র হাওয়া জল তোর যা যা আছে সঙ্গে নিয়ে এসে
আলিঙ্গন হয়ে যাক নিঃশর্ত উদ্দাম ভালোবেসে৷
তোকেই হেনেছি প্রেম, বায়ুস্রোত, হে নির্মাণখাকি
পুড়িয়ে উড়িয়ে নিয়ে যা আমায়, মধুবৈশাখী!
৪.
স্বপ্ন,
নাকি জেগেই ছিলাম
নাকি ও দুটোর কোনটাই নয়
আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি
হ্যাঁ, তোমার কবোষ্ণ বুকেই হাত রেখে বলতে পারি
খুল যা সিম সিম বলে হা রে রে রে আমার দিকে তেড়ে এলো একের পর এক ছেঁড়া কাঁথায় মোড়া লাখটাকাগন্ধী
কাগজের বান্ডিল বান্ডিলের কাগজ
কে যে কার বুঝে উঠতে না উঠতেই আবার দশদিক কাঁপিয়ে চিৎকার ওঠে খুল যা সিম সিম
আমি দেখি আমার অস্থিপঞ্জর আলিবাবার গুহার দরজার মতো হুটহাট খুলে যায়
দল বেঁধে ঈভের কাঠামোর মতো নেচে বেড়ায় তারা চারপাশে
আর আমি হাড়হারা হয়ে তৈমুর লঙের মতো ছটফটিয়ে ছুটে ফিরি কাগজের বান্ডিলের পিছু পিছু
স্বপ্ন?
নাকি জেগেই ছিলাম?
নাকি ও দু'টোর কোনটাই নয়?
নাকি দু'টোই সত্যি ছিলো?
এই দ্বিধা আর দ্বৈরথে পড়ে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়
শেষ পর্যন্ত তোমার বুকে হাত রাখাই সত্যি আর সত্যি হয়ে থাকে।
৫.
মৃত্যু,
অভিমানী বালিকা প্রেয়সী
অমন নরম হাতে কচি হাঁটু শক্ত বেঁধে বসে,
খোলা চুলে মুখ ঢাকো, কান্না তবু ঠেলে আসে ঠিকই
তোমার আদুর পিঠ তারই ভারে কেঁপে ওঠে, কোমল সরসী ---
যতো যাই --- যতো চাই, ভালোবেসে কাঁধ ছুঁয়ে বলি
আর মাত্র ক'টা দিন কেটে গেলে তোমার সাথেই
হাত ধরে ছুটোছুটি, বাগানোর ফুল চুরি খেলা ...
অফুরন্ত সঙ্গ দেবো এত অল্পে অভিমানীকেই।
বালিকা শোনেনা কথা, বাহুমূলে মুখ গুঁজে রাখে
তাকে ফাঁকি দিয়ে কেন জীবনের সঙ্গে উঠি বসি?
৬.
আষাঢ় আসুক,
তার চলে আসা রোধের অতীত
কদম্বে আপত্তি নেই, কিন্তু ভারি জল জমে যায়
কাদারা থিতিয়ে গেলে হাঁটা পথে আরশিতে দেখি
আমারই আষাঢ়ে মুখে আকাশের মেঘের সঙ্গীত।
কোকিল নিথর আজ, ব্যাঙেদের মুশায়রা ক্ষীণ
আকাশ গম্ভীর তবু সবুজ সবুজতর লাগে
বারান্দার মুখোমুখি ছাদে দুটি সতেজ বালিকা
আষাঢ়কে ঋদ্ধ করে তারাই --- বর্ষণে ব্রীড়াহীন।
মেঘদূত! --- ভেসে যায়, তার দৌত্যে আস্থা কারো নেই ---
আমার চুম্বন তুমি দিও এই মেয়ে দুটিকেই।
৭.
আবারও হয়তো কোন ভেজা দিনে ছোঁয়াছুঁয়ি হবে,
যতখানি শুন্যস্থান আমাদের মধ্যে টেনে আনি
পার হবো কিছু তার, তুমি --- নয়তো আমি, ঠিক জানি ---
তেমনই শেখায় বৃষ্টি, শ্রাবণের বৃষ্টিগ্রস্ত দিন
আর --- তেমন কঠিন
নয় এ প্রকৃতিক্লাস, শিক্ষণেও নেই কোন ভুল
দেখি রোজ মেঘমগ্ন জল ছোঁয় ঘাসের মাস্তুল।
৮.
ভেজার ইচ্ছে আমার খানিক ছিলো
খুকিই তাকে উসকে অনেক দিলো
আলতো হেসে আমার পাশে এসে
জলের ধারা নিজের গায়ে নিলো।
আকাশ তখন ভার করেছে মুখ-ই
খুকি তবু তাকে দেখেই সুখী
বাজের আলোর তাল মিলিয়ে হেসে
বৃষ্টি মাথায় বেড়ায় ছুটে খুকি।
তেপান্তরের সেই গহীনে ঠায়
ভিজেই কাটে আমার বিকেল হায়
বাতাস কাঁপে মেঘের ধমক শুনে
খুকির হাসির দমক বেড়ে যায়।
মেঘদেবতার মুড ভালো নেই বুঝি
শিলের পাহাড় ছিলো কি তাঁর পুঁজি?
ভীষণ বেগে পড়তে থাকে তারা।
সেই তুফানে খুকিকে কই খুঁজি?
হাত বাড়িয়ে ধরতে তাকে গেলে
চমকে উঠে দেয় সে আমায় ঠেলে
আমরা দু'জন ছুটতে থাকি দূরে
পিপুল গাছ এক যেথায় বাহু মেলে।
গাছের নিচে ক্ষুণ্ন মনে বসে
খুকির চোখে অশ্রু পড়ে খসে
বেশ তো ছিলো জলের সাথে খেলা
বিগড়ে গেলো সবই ঝড়ের দোষে।
থামলো শেষে ঝড়ের মাতামাতি .. ..
হাওয়ার সাথে গাছের হাতাহাতি .. ..
তেপান্তরে শিলের ঝিকিমিকি .. ..
খুকি আমার সে উদ্ভাসের সাথী।
আমি কিন্তু নিপাট সরল মনে
শুধিয়েছিলেম, "শিল কুড়াতে যাবে?"
খুকি ভাবলো কী তা কে বা জানে
মুখ ফেরালো ভীষণ অসদ্ভাবে।
.. .. শিলগুলো সব জল হয়েছে গলে
খুকিও গেছে নিজের পথে চলে
আমিই শুধু একলা ভেজা মনে
অশ্রু শিশির মেশাই মেঘের জলে।
মন্তব্য
তোকেই হেনেছি প্রেম, বায়ুস্রোত, হে নির্মাণখাকি
পুড়িয়ে উড়িয়ে নিয়ে যা আমায়, মধুবৈশাখী!
.. .. শিলগুলো সব জল হয়েছে গলে
খুকিও গেছে নিজের পথে চলে
আমিই শুধু একলা ভেজা মনে
অশ্রু শিশির মেশাই মেঘের জলে।
বার বার আওড়াবার মত কটি লাইন।
ড্রাইভিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন।
তুফানে বেঁধেছি লুঙ্গি, বাতাসে কী ভয়?
এটাও তো কবিতা দেখি!
না হিমু। নিজের কবিসত্তাকে এভাবে হেয় করবার দরকার নেই। আপনার লুঙ্গি লুঙ্গির জায়গায়ই আছে।
সবকটা লেখা পড়েই স্বস্তি পাওয়া গেল। কেবল ২ নম্বরটাকে মনে হলো কবিতার মতো করে সাজানো গদ্য। 'বোকাদের পদ্য'গুলো পড়া ছিল না, আজ পড়ে বোকা হয়ে গেলাম।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
২ নং টা ফাটাফাটি!!!
৮ নং টাও জোস্স
বাকি গুলো বুঝিনি!
========
স্পর্শ
বোকাদের পদ্য আগে পড়েছি। নতুন করে পড়ে ভাল্লাগলো। কবি মুজিব মেহদীর ভাষায় বলতে হয়- নিজের কবিসত্তাকে এভাবে হেয় করবার দরকার নেই। আপনার লুঙ্গি লুঙ্গির জায়গায়ই আছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
দুই নাম্বারটা দারূণ লাগছে ... কারণ বাকিগুলি আমার এন্টিনায় আটকায় নাই
কবিতা বুঝি না, কি আর করা
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
আমি বলি সকলেই কবি।
যারা বলেন-সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি- তারা মার্কেটিং এর কারণে এটা বলেন।
ব্রাভো।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
হিমু ভাই, আপনে তো কবিতাও লেখেন চরম! ৮ নম্বরটা বেশি জোস লাগল! বিশেষ করে শেষ চার লাইন। প্লীজ, কবিতা লেখা থামায়েন না। পাঠকের অভাব হবে না, গ্যারান্টি দিতে পারি!
হিমুর গৌরচন্দ্রিকা পড়েই বুঝে গেছি সে প্রমান করেই ছাড়বে তার কবিত্ব ।
শাবাস হিমু।
"তুফানে বেঁধেছি লুঙ্গি, বাতাসে কী ভয়?" এর চেয়ে দুর্দান্ত কি কবিতা হয় ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হিমু, কবিতাগুলো এখনও পড়িনি। শুরুটা পড়েই পেটে ব্যাথা হয়ে গেল। আমি আবার হাসতে শুরু করলে থামতে পারি না।
কবিতা পড়ার ধৈর্য যদি হয়, তাইলে তখন কমেন্ট করবো।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ভাইরে! আপনি তো বস!
এ তো বিপ্লব!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
বোকাদের পদ্য সামান্যও বোকা নয়!
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
১টি ভূমিকা এবং ৮টি পদ্য মিলে ৯টি পোস্ট হতে পারতো। এবং ৯টি 'দূর্দান্ত' দেয়া যেতো!
কবিতা ভালো...
বিণয় ভালো না...
তবে বিণয় মজুমদার ভালো...
আপনার হৃদয় বার বার খারাপ হউক... এই দোয়া করি... আমিন...
তবে ৮খানা কবিতা একবারে দেওয়াটা ভালো লাগে নাই... একেকদিন একেকটা পড়তে পারলে আরো বেশি আমোদ পাইতাম মনে হয়... একটানে আটটা কবিতা পড়াটা খুব একটা আনন্দময় হয় না... কবিতা তো ধীরে ধীরে রয়ে সয়ে খাওয়ার জিনিস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক! গ্যাংব্যাঙের মতো হয়ে যায় ব্যাপারটা :)। বহোত শুক্রিয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সুনীলের কবিতা পড়লে যেমন অনুভূতি হয় দুই নাম্বারটা তেমন লাগল। সালাম।.।.।.হিমু ভাই।
--------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লিখা ফাটায়া ফেইল্লা ভূমিকায় এডি কি কন? মস্করা করেন? কিছু পইড়া তো পাঠকেরই তো লুঙ্গি উইড়া যাইব গা। ৫ নম্বরটা বেশি জোস।
লাল সেলাম হিমু ভাই
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- শালা!!
ল্যাখ বেশি বেশি। এই জিনিষের কদর সবসময়ই আছে। ড্রাইভিং তোরে দিয়া হবে না। তবে স্টার্টবন্ধ হয়া গেলে ঠেলাঠেলি তোরে দিয়া ভালোই হবে।
কবিতার ব্যাপারে কিছু কওয়া ঠিক হবে না। জায়গাবিশেষে রবি বুড়ার চাইতে ঢের ভালো ল্যাখিস তুই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেহিস কইলাম!
হাঁটুপানির জলদস্যু
- দেহা দেহির কিছু নাই দোস্ত। আমি কমেন্ট দিছি রিয়েল টাইমে, তুই তোর স্বপ্নের মইধ্যে ডুবাডবি শুরু করলি ক্যান বুঝলাম না। শোনা যায়, এই কাজটাও নাকি তুই ভালো পারোস না!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাঁরা মন্তব্য করলেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। মনে হচ্ছে লুঙ্গি স্বস্থানেই আছে। অদূর ভবিষ্যতে কবিতা নয়, বরং গোয়েন্দা ঝাকানাকাই লিখবো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধূ. গো. দারে, এইবার (বিপ্লব) দিতে পারেন। হিমু দা লুঙ্গি রক্ষায় আর কবিতা লিখবেন না বলছেন।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ভালো হইছে , তবে কম কম লিখলে আরো ভালো হৈত ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
দুর্দান্ত!
সংবিধিবদ্ধ... : লুঙ্গির নিচে হাফপ্যান্ট ইজ্জত হারানোর ঝুঁকি কমায়।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আর তারও নিচে ইস্পাতের জাঙ্গিয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ইয়ে মানে, হিমুকে ইয়ে করতে চায় এমন সাহস কার হল?
কি মাঝি? ডরাইলা?
বিষয়টা কি আপনার? নিউটনি বিনয় নিয়ে ঘুরেন ক্যান এত? হইতে চান কবি ফলো করেন বিজ্ঞানীরে -----এইটা কোন ধারা হইল?
------ ফাটাফাটি একেকটা ----- তবে গদ্যটাও একশ তে একশ --- চালায় যান বস------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
নিউটনি বিনয়টা বুঝি নাই। একশোতে একশো দিলেন দেখে ভাল্লাগলো। আপনাকে একদিন সুযোগ হলে চা বানিয়ে খাওয়াবো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরে ওই যে জ্ঞান সমুদ্রের তীরে বসে ইয়েমারার কথা বলছেন।
কি মাঝি? ডরাইলা?
এইসব পচা কথা না বলে মেইল চেক দিন। বিপদ। সাহায্য আশু প্রয়োজন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
পুরাণগুলা দিছ ঠিকাছে।
এইবার টাটকা গুলা দাও।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হুম। ঠিকাছে—পুরান চাল ভাতে বাড়ে। ভুমিকাটুকু জব্বর হয়েছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
কবিতাভক্ত নই বলে এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু জনতার মন্তব্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার দেখে না পড়ে পারলাম না।
আপনি তো ভারি ইয়ে,.. কী যেন বলে... ও, মনে পড়েছে, সব্যসাচী লেখক!
পড়তে আরাম লাগে। মানে বেজায় সুখপাঠ্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি একগামী পুরুষ। একমাত্র নারীদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
গোমেজ'দায় কইছিল
কবিতা হিমুর হইছিল (মনে পড়ে??)
হিমুটা ভারী ইয়ে আছে। সে ইচ্ছা করেই লুঙ্গী পরে জ্ঞানসমুদ্রের তীরে হাঁটতে যাবে—ভাবখানা এমন দেখাবে যে লুঙ্গী উড়ে যাবার ভয়ে সে কাবু। কিন্তু তলে তলে ঠিকই দেখবেন লোহার জাঙ্গিয়া পরে বসে আছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন