ধূসর গোধূলির একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় কয়েকজন সচল

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ০৪/০৫/২০০৮ - ৬:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কবাণী!
ধূসর গোধূলির ফোন পেয়েই বুঝলাম, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ফোন ধরে বুঝলাম, ফোন না ধরে যা বুঝেছি তা ঠিকই বুঝেছি। অভাবনীয় সংবাদ, ফ্রাঙ্কফুর্টে মিলা আর গোধূলির যুগ্ম সঙ্গীত পরিবেশন, শনিবারে।

হাজারো কাজের ফাঁকে আমি আর চৌধুরী অস্থির, বলাই অসুস্থ। কিন্তু ধূসর গোধূলি গান গাইবেন, আর এত কাছে থেকেও তা শোনা হবে না, তা-ই কি হয়?শেষমেশ চৌধুরী আর আমি চড়ে বসলাম ট্রেনে, অসুস্থ বলাইকে বার্লি খাইয়ে। বলাই শুধু ইঙ্গিতে ডিমের কথা বললেন। আমরা আশ্বাস দিলাম, হবে। পঁচা ডিম পৃথিবীর সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।

জার্মানিতে রেল যোগাযোগের কিছু সুবিধা আছে টিকিটের রকমফেরে। ছুটির দিনে দুই গোছের টিকিট কাটা যেতে পারে, সপ্তাহান্তের ভখেনএন্ডে টিকিট, কিংবা প্রাদেশিক টিকিট। ফ্রাঙ্কফুর্টে সেদিনই গানবাজনা শুনে হাঁটুপানির সচল হাঁটুপানিতে ফিরে আসার পরিকল্পনা ছিলো, তাই তুলনামূলকভাবে সস্তা হেসেন টিকিট কাটা হলো। এর সুবিধা হচ্ছে, গোটা হেসেন প্রদেশের যে কোন জায়গায় সেইদিন রাত বারোটা পর্যন্ত এই টিকিটে সর্বোচ্চ পাঁচজন ভ্রমণ করতে পারবেন, যতবার খুশি। কাসেলেই জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ আমাদের টিকিটসঙ্গী হলেন। প্লাটফর্মেও অনেকে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে খোঁজখবর করছিলেন টিকিটসঙ্গী চেয়ে। এটা হরদমই হয়, হয়তো তিনজনের একটা গ্রুপ এই প্রাদেশিক টিকিট কিনেছে, তারা আরো দু'জনকে সঙ্গে নিতে চায় মাথাপিছু খরচ কমানোর জন্যে।

যাত্রাপথে দুই পাশের অপূর্ব সরষেছাওয়া উপত্যকা, আর সহযাত্রিণী এক ক্ষুদে বিচ্ছুর দুষ্টুমি উপভোগ করা গেলো। বিচ্ছুর নাম লরা, তার মনে হাজারটা প্রশ্ন, সে দশ পর্যন্ত ঠিকঠাক গুণতে পারে, এরপর এগারো তেরো সতেরো ঊনিশ হয়ে যায়। গোটা কম্পার্টমেন্টের সবাই একটু পর তার সাথে পরিচিত হয়ে গেলো, কারণ একটু পর পরই লরা'র মায়ের উদ্বিগ্ন ডাক ভেসে আসে, "লরা, অতদূরে যেও না!"

ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমেই ধাক্কা খেলাম সচল তীরন্দাজ আর শাহীন হাসানের সাথে। বিস্ময়ের পর বিস্ময়! আমরা উল্লসিত হয়ে বলি, "আরে তীরুদা, আপনি! শাহীন ভাই, কেমন আছেন?" তো ওনারা ফেরতা ঠোকেন, "আরে হিমু যে! সুমন চৌধুরীও দেখি চলে এসেছেন!"

বুঝলাম, ধূসর গোধূলি যাকেই নাগালে পেয়েছেন, খবর করেছেন তাঁর কনসার্টে। কিন্তু এই নাটের গুরুটি কোথায়? ফোন করে জানা গেলো, তখনও এসে পৌঁছাননি শহরে। প্লেন ল্যান্ড করবে আরেকটু পর।

কী আর করা, মায়েস্ত্রোকে আকাশে ঝুলিয়ে রেখেই তীরন্দাজের আমন্ত্রণে কফি পান করতে বসলাম সবাই। ফ্রাঙ্কফুর্টে শেষ পা রেখেছি অনেক আগে, বেশ জেল্লাদার শহর, নরম রোদের নিচে ছাতার আভায় বসে নানা সুখদুঃখের আলাপ করতে করতেই ধূসর গোধূলি এসে হাজির হলেন মিনিট বিশেক পর। হাতে একতাড়া কাগজ।

কাগজ হাতে নিয়ে মেজাজটা খারাপই হলো। দলিল বানিয়ে নিয়ে এসেছে ব্যাটা। শালি সংক্রান্ত পঞ্চবার্ষিকী লেনদেন। আগামী পাঁচ বছরে একে অন্যের হাতে নিজের শালি তুলে দেয়ার অঙ্গীকারপত্র। গালি দিতে যাচ্ছিলাম, চৌধুরী দেখি চোখ টিপছেন। তীরন্দাজ আর শাহীন হাসানও দেখলাম একই রোগে আক্রান্ত। বুঝলাম, পঁচা ডিম সময়মতো প্রয়োগের চক্রান্ত চলছে।

ধূসর গোধূলিকে নরম গলায় বুঝিয়ে বললাম, এইসব দলিল দস্তাবেজ নিয়ে পরে কোন একদিন মাল্লু খেয়ে টাল্লু হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। আজ বরং কনসার্টই হোক।

ধূসর গোধূলি বিষন্ন হয়ে জানালেন, মিলার সাথে গতরাতে কিছু মনকষাকষি হয়েছে তার কিছু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে। মিলা কী যেন চাইছিলো, দিতে পারছিলেন না তিনি। আবার তিনি যা চাইছিলেন, তা দিতেও মিলা অপারগতা প্রকাশ করেছেন। ফাঁকতালে নাকি মুখ ফসকে রায়হান, জিহাদ, মহিব ... এইসব সারাসিন নামধাম বেরিয়ে এসেছে আলাপে। ধূসর গোধূলি মহা নাখোশ, তিনি কনসার্ট বর্জনের আহ্বান জানালেন আমাদের।

স্পষ্টতই হতাশ হলাম সবাই। এত এত পঁচা ডিম বয়ে আনা, সে কি বৃথা যাবে?

শাহীন হাসান সমাধান যোগালেন। তাঁর বাসাতে তাহলে একটা ঘরোয়া কনসার্ট হয়ে যাক। আরেক দফা চোখ টেপাটেপির পর সবাই দল বেঁধে রওনা দিলাম সেদিকেই।

শাহীন হাসানের রান্না অতুলনীয় বললে তাঁকে অপমানই করা হবে, এমন দুর্ধর্ষ গরুর মাংস আর খিচুড়ি যে কেবল আমার স্বহস্তে কর্তিত পেঁয়াজ, রসুন আর আদার গুণেই সম্ভব, তা বলা বাহুল্য। বেচারা বলাই, খোরাকিটা মিস করলেন বেচারা। পেটভরে খেয়েদেয়ে সকলে গোল হয়ে বসলাম ধূসর গোধূলির গান শুনতে।

ধূসর গোধূলি প্রথমে বায়না ধরলেন, তবলা আর হারমোনিয়াম, দুটোই তিনি স্বহস্তে বাজাতে চান। বহুকষ্টে তাঁকে রাজি করিয়ে তীরন্দাজ বসলেন তবলায়। হারমোনিয়ামে এক পশলা আঙুল চালিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে ধূসর গান ধরলেন, "আমি নেশাখুর, চলেছি খড়মপুর ...।"

পঁচাডিম সেদিন শাহীন হাসানের ময়লার ব্যাগে চুপিচুপি ফেলে আসতে হয়েছে। ধূসর গোধূলির গান শুনে চোখের জল আটকানো যায়নি গতকাল। একের পর এক গান শুনিয়ে শ্রোতা সচলদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন তিনি। "আমার দিল খাড়িয়া নিলো রে ঐ পাশের বাড়ির ছেরি" শুনে কঠোরচিত্ত সুমন চৌধুরীকেও গামছা দিয়ে চোখ মুছতে দেখা গেছে।

মিলা হয়তো তখন দূরে কোথাও নেচেকুঁদে একটা কান্ডই করছে, কিন্তু শাহীন হাসানের ঘরে বসে ধূসর গোধূলির দারুণ সব গান শুনে শেষমেশ ঘরে ফেরার কথা মনে পড়লো আমাদের। ধূসরের এক বান্ধবী তাঁকে পিক করবেন, রাতে কীসব প্রোগ্রাম যেন আছে তাঁদের, আমি আর চৌধুরী ফেরত চললাম কাসেলে।

ফ্রাঙ্কফুর্টের ষ্ট্রাসেনবান সার্ভিসকে চ-বর্গীয় গালাগালি করা ছাড়া আর গতি ছিলো না, একেবারে মোক্ষম সময়ে দক্ষিণ স্টেশনে পৌঁছে দেখি, মূল স্টেশনে যাবার সার্ভিস বাতিল করা হয়েছে। সময়ের হিসাব করে দেখলাম, সম্ভব না আর কাসেলে ফেরা। হাউপ্টবানহফে পৌঁছে দেখি তিন মিনিট আগে ছেড়ে গেছে কাসেলগামী শেষ ট্রেন।

খানিক মাথা খাটিয়ে শেষমেষ ফ্রাঙ্কফুর্টের অদূরে ডার্মষ্টাটে এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়াই স্থির হলো। অত রাতে মিটফার (আনুষ্ঠানিক হিচহাইকিং বলা যেতে পারে। একা কেউ গাড়ি নিয়ে যাত্রা করলে অনেক সময় সঙ্গী নিয়ে নেন, এতে করে অনেক কম খরচে যাত্রার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। জার্মানিতে এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়) জোটানো একটা ঝামেলা, তার ওপর আবার শনিবার। কী আর করা, ডার্মষ্টাটে বন্ধুদের রাতবিরাতে জ্বালানোর দায় কাঁধে নিয়ে সক্কালে আবার কাসেলের দিকে যাত্রা করলাম আমি আর চৌধুরী। চৌধুরী আফসোস করে বলছিলেন, "আমাদের সময়ের মানুষেরা ধূসর গোধূলির কদর করলো না!" আর আমি আফসোস করে বলছিলাম, "এতগুলি পঁচা ডিম ...!"


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা হা।

দলিল বানিয়ে নিয়ে এসেছে ব্যাটা। শালি সংক্রান্ত পঞ্চবার্ষিকী লেনদেন। আগামী পাঁচ বছরে একে অন্যের হাতে নিজের শালি তুলে দেয়ার অঙ্গীকারপত্র।

ধূসর গোধূলি বিষন্ন হয়ে জানালেন, মিলার সাথে গতরাতে কিছু মনকষাকষি হয়েছে তার কিছু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে। মিলা কী যেন চাইছিলো, দিতে পারছিলেন না তিনি। আমার তিনি যা চাইছিলেন, তা দিতেও মিলা অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

অন্তর্জালে ফিকশনের জনপ্রিয়তম হিরু ধুসর গোধুলীকে শুভেচ্ছা। লেখককে জাঝা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই হইল ঘটনা...মন খারাপ



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সবজান্তা এর ছবি

যা বুঝলাম, ধূ গো র প্রতিভা মিলার মত খোলামেলা না। বরং তার গানের উচ্চমার্গীয় কথা শুনে, তার মধ্যে পুরুষ মমতাজের ছায়াই দেখতে পেলাম। যাই হোক, শুধু গানের কথাতেই মমতাজ হওয়া যায়না, তার জন্য একটি নিটোল স্বাস্থ্যও লাগে। আশা করি, ধূ গো এগিয়ে যাবেন।

চমৎকার ধারা বিবরণীর জন্য (বিপ্লব) এবং জাঝা।
----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমরা যারা এতবড় সংগীত সন্ধা মিস করলাম তাদের জন্য কি কোনও ভিডিও/অডিও আপলোড করা যায়না, বা ইউটিউবের কোনও লিংক? ওস্তাদ ধূসর গোধুলি বলে কথা... আমরাও একটু কান্নাকাটি করি ...
---------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্বপ্নাহত এর ছবি

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলা সাহিত্যে গোধূলীয় সাহিত্য বলে আরেকটা নতুন ধারা এই শুরু হলো বলে।

ধূসর গোধূলী অমনিবাস নামে নতুন একটা ই বুক করে সচলায়তনই সেক্ষেত্রে প্রথম এগিয়ে আসতে পারে চাইলে চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ফারুক হাসান এর ছবি

শালী বাগানোর জন্য ধূসর গোধূলির শেষমেষ কনসার্টের আয়োজন! তা এই চ্যারিটিতে কে কে শালিদান করলেন/করার প্রমিজ করলেন?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কনসার্টটা মিস করে ফেললাম! মন খারাপ

রায়হান আবীর এর ছবি

বাহ্‌!!! কি সুন্দর সংস্কৃতিমনা পরিবার। গোধূ আর মিলা...মিলা আর গোধূ হাসি

আমগো নিয়া ভাবী কি কইছে এইটা জানবার চাই চোখ টিপি

বর্ণনার জন্য হিমুকে উত্তম জাঝা!...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমগো নিয়া ভাবী কি কইছে এইটা জানবার চাই

ঠিক ঠিক... জানতে চাই,জানাতে হবে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আহা!
ধুগো আর মিলা ভাবীরে কাপল অফ দ্য ইয়ার ঘোষণার দাবী জানাই।

ঐ গানটা গায় নাই?..
পবন দাস বাউলের ।।

মাঝরাতে বউ আমাকে বাবা ডেকেছে।
ওরে একবার নয় ... দুইবার নয়... তিন তিন বার ডেকেছে...
একটা এঁড়ে গরু বেড়া ভেঙে ... খেজুর গাছে উঠেছে। হো হো হো

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

খালি বাবা কেন, চৌদ্দ দু গুনে আটাশ গোষ্ঠীর আরো কারে কারে ডাকছে আল্লাহ মালুম।

দেখি গুরু আসুক।উনার কাছ থেকেই বিস্তারিত শুনি...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

শেখ জলিল এর ছবি

প্রাণবন্ত লেখা। প্রাণোচ্ছল সচল সম্মেলন। ভাল্লাগলো পড়ে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ হিমু ভাইকে.....ধূগোদা যেমন দূর্ধর্ষ ল্যাখে, আবার গানও গায়... সে আর কী কী করে......
আমরা নবীন........ ব্যাক্কলের মতো প্রশ্ন হয়ে গেলে মাফ চাই....

সৈয়দ আখতারুজ্জামান

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহারে !
কি একটা মিস করলাম !
অখন আমার কান্দন আইতাছে।
অতগুলান পঁচা ডিম ফালায়া দিতে আপনাগোর এট্টুও দিল কি দয়া হইলো না?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অডিও/ভিডিও চাই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হিমু এর ছবি

হাএরদ্রাই (HR3) এর পক্ষ থেকে ক্যামেরা এসেছিলো, কিন্তু ধূসর গোধূলি জানালেন যে তিনি একটু লাজুক (!!!) মানুষ (!!!!) ... তাই ক্যামেরাকে ফেরত যেতে হয়েছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রায়হান আবীর এর ছবি

ধূ গো দা লাজুক অ্যাঁ

থার্ড আই এর ছবি

ইস....লাইভ টেলিসংলাপটা মিস হয়ে গেলো মনে হয়??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়া শিল্পীলে আসলেই তাইলে পঁচা ডিম মারা উচিৎ ছিলো। চোখ টিপি
দেখি চৌধুরী, তীরুদা আর শাহিন ভাই কী বলেন!

এই পোস্টকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হলো। হাসি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

রায়হান আবীর এর ছবি

হইছে আর পার্ট নেওনের কাম নাই। আমরা সব জাইনা গেছি। হাসি
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

অবন্তী এর ছবি

এইবার আর ধূ.গোকে ছাড়া যাবে না। এখন সচলে বসে আমাদের গান শোনান যারা সেদিনের অনুষ্ঠান মিস্ করলাম। চিন্তা নাই সাথে পঁচা ডিম ও থাকবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেউ উপভোগ করবে কেউ করতে পারবে না
তা হবে না,তা হবে না।
আয়োজন করা হোক আমরাও সে রকম সংগীত সন্ধ্যা দেখি।
-নিরিবিলি

রেনেট এর ছবি

আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলুম, গোধুলীদার মধ্যে এত প্রতিভা। হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৌরভ এর ছবি

লোকের শালি নিয়া ক্যাঁচাল করা ওই বদপোলার ভিতরের খবর এইরকম কইরা লোকরে জানানোর জন্যে হিমু ভাইরে একশ বিপ্লব।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

ক্যাঁ? ইয়া হাবিবি ক্যাঁ?
ইয়া মিলা, ইয়া মিলা নয় ক্যানো?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যাত্রাবালায় ঠ্যাঙ বাইর কইরা যে নাচে সে নাকি মিলা না মন খারাপ
কোনো এক মডেল। তাইলে পরে বুঝলাম, আমি তো মিলারে ভালা পাই না, পাই অই ঠ্যাঙ বাইর করা ইট্টু লক্ষীমোটা কুদতে থাকা নাচনরত মেয়েটাকে।

অই মডেলের নাম তো জানি না, এখন ইয়া ঠ্যাঙওয়ালী তো আর কওয়া যায় না! সেই জন্য ইয়া হাবিবি সই।
আমারে ঐ বেটির ঠায় ঠিকানা যোগাড় কইরা দিবেন স্যার? মন খারাপ
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৌরভ এর ছবি

বেটির ঠিকানা।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ফটুকটা ঝাক্কাস হইলেও, আমি বেগানা নারীদের আর দেখুম না ঠিক করছি।
আমারে নাচনঅলীর ফটুক / ঠায় ঠিকানা যোগার কইরা দেন। মন খারাপ
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি

তলে তলে এত্ত? আর আমরা জানিনা...

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শিল্পী ধূসরকে নিয়ে মজা করার তেব্র পতিবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি গোধূলির পরতিবেশীনি, আর আমাকে দাওয়াত্ করলো না ??? আরিইইইইইইই
কেচকী মাছ ক্যন, তিমি মাছ খাওয়ালেও আর আসবো না। কানদার ইমোশনটা ক্যম্নে দেয় ভাই???

তানবীরা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে আরে বলে কী!!!

আপনার জন্য তো পাবলিক না, আমার ঘরোয়া কনসার্ট হবে। ঐখানে আপনাকে ছাড়া আর কোনো অতিথিকেই এক্সেপ্ট করা হবে না, এমনকি এই পোস্টদাতা হাবশী রিপোটার্টাকেও না।

শুধু হাম হ্যায় অর আপ হ্যায় চোখ টিপি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মুহাহাহাহাহা.... হো হো হো হো হো হো হো হো হো

শাবাশ! হাঁটু পানির জলদস্যু! (বিপ্লব)


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

দ্রোহী এর ছবি

হুমম।

কেন জানি মনে হচ্ছে হিমুর সাথে ধুসর গোধূলীর "শালী ভাগাভাগি" বিষয়ক কোন গোপন চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের তো খালি নিজে ক্যামনে পিছলাইয়া বাঁইচা যাইবেন সেই চিন্তা। বাঁচোন নাই জনাব। আপনাকে আশ্বস্ত করার জন্য জানাইতে চাই, ঐ রকম কোনো চুক্তিই আমাদের মাঝে সম্পাদিত হয় নাই, তবে আপনার শালিকার ব্যাপারে একটা গোঁপন শলা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইয়াছে। দেঁতো হাসি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

দ্রোহী এর ছবি

আমার শ্যালিকার ব্যাপারে আমাকে বাদ দিয়ে গোপনে শলাপরামর্শ করা আর ইশা খাঁর সোনার গাঁয়ে হামলা করতে যাওয়া একই কথা।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে মিয়া আমাগো দুই ইয়ারের মইধ্যে ডামাডোল বাজানোর চেষ্টা করছেন। এইটারও একটা নম্বা ইশতেহার আছে গোঁপন চুক্তিপত্রে। আপনেরে পাইলেই হৈছে সামনে, এক্কেরে সোনার গাঁয়ের সেই তামার সিন্দুকের ভিতরে পুরা হবে, তারপর গ্র্যান্ডট্র্যাঙ্ক রোড দিয়া গড়ায়া গড়ায়া দিল্লী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে আপনাকে।

বলেন এইবার কোনটা কবুল! সিন্দুকে সান্ধন নাকি পেয়ারের শালিদান? চোখ টিপি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পোস্ট পড়ার পর থেকে একটা দৃশ্য ভাসছে চোখের সামনে... ঘরোয়া কোনও আসরে ধূগোদা জামাই বেশে বসেছেন গাইতে... সামনে সুবেশী সুন্দরী শালীরা (অবশ্যই অন্যদের শালী... ধূগোদা শালী পাইবো কই?)। ধূগোদা গান শুরু করলো... চোখ বন্ধ কইরা অনেক আবেগ দিয়া গায়া উঠলো- ফুলের বনে যার কাছে যাই, তারেই লাগে ভালো... ও রজনী গন্ধা তোমার গন্ধসূধা ঢালো... অথবা মন কি যে চায় বলো... যারে দেখি লাগে ভালো... এ মন সে তো বাঁধা পড়ে না... কি জানি কেন জানি না না না... আ আ এ্যাঁ...
এই এ্যাঁর কারন হইলো ততক্ষনে শালীমহল থেকে পঁচাডিমবৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে...
আসর শেষ... সব শালীরা চলে গেছে... ধূগোদা বসে তখনো গাইছে- সখি ভালোবাসা কারে কয়, সে কি কেবলি যাতনাময়...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নজু ভাই, আপনার চোখে ভাসা দৃশ্যের প্রথামাংশের জন্য কামনা করি, আপনার মুখে চন্দনফুল পড়ুক, রক্তজবাও পড়ুক, হাসনাহেনা দুয়েকটা বারিবুরি দিক, কামিনী পড়লেও পড়তে পারে।

আর শেষের অংশ নিয়ে চিন্তা নাই। পেটে খেলে পিঠে সয়। আর যদি অবস্থা বেগতিক দেখি তাইলে শেষাংশে আসার আগেই নাহয় উঠে বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিবো নে! চোখ টিপি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাথরুমে গিয়া দরজা বন্ধ কইরা দিবেন? একলাই যাবেন নাকি সঙ্গে কাউরে নিয়া...?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে আপনে প্র্যাকটিক্যাল পরোশনো জিজ্ঞাইত বলতেছেন? হুশ কইরা বলতেছেন?

পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নজু ভাই, অ নজু ভাই,
করেনাকো হাঁকডাক।
এই দেখোনা নিয়ে এসেছি-
সব শালিকার আধাআধি ভাগ! চোখ টিপি
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হা খোদা... আমি তো তাশকি খাই... ধূগোদা শ্যালিকা ভাগাভাগিতে রাজী হইছে? খাইসে...

আইচ্ছা যান... তাইলে আপোষে আসি... আপনার সঙ্গীত সন্ধ্যার পরে রাত্রি নামিলো... আপনি নরম গদিওয়ালা তাকিয়ায় আসন নিলেন... শ্যালীকারা সকলে পুষ্পমাল্য হাতে আপনার সমীপে দাখিল হইলো... আপনে বললেন- না না... সক্কলে এইখানে ভীড় কইরো না... পাশের রুমে নজু ভাই আছে... তার খেদমতে অর্ধেক...
হা হা হা হা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তীরন্দাজ এর ছবি

সুমন আর হিমুর বিদায়ের পর কাহিনীটা আরেকটু বাড়াতে পারতাম। তবে বেচারা ধুসরের অবস্থা দেখে একটু আত্মস্থ হবার সময় দিতে চাচ্ছি।

তবে ধুসর বেশ ভাল গায়ক। তার গায়কী ঢঙ তুলনাহীন। আমরা সবাই বেশ মুগ্ধ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ধুগা, আমার বাড়িতে তো আসছিলা, গান তো গাইলা না।
সব রত্ন কি মাটির নিচেই থাকে? না কি কিছু গাছেও ধরে?!!

মেলাদিন পরে সচলে, এই পরিবেশটায় পা ফেলেই বুঝতে পারছি, এতদিন খুব মিস করেছি হুহহহঃ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।