শিরোনামটা ধার করলাম কাজী আনোয়ার হোসেনের ছায়ানুবাদ গল্প "ঠিক দুক্ষুর বেলা" থেকে। মূল গল্পটা যে কার লেখা, মনে পড়ছে না, তবে আমার পড়া সেরা ছোটগল্পগুলোর মধ্যে একটা এটা।
মেলান্ডার পরিবার (জার্মানি)। সপ্তাহের খাবার খরচ ৫০০.০৭ ইউএসডি।
রেভিস পরিবার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। সাপ্তাহিক খোরাকি ৩৪১.৯৮ ইউএসডি।
উকিতা পরিবার (জাপান)। সাপ্তাহিক খাবার খরচ ৩১৭.২৫ ইউএসডি।
মানজো পরিবার (ইতালি)। সপ্তাহে খায় ২৬০.১১ ইউএসডি।
কাসালেস পরিবার (মেক্সিকো)। এদের সাপ্তাহিক খোরাকি ১৮৯.০৯ ইউএসডি।
সবচিনস্কি পরিবার (পোল্যান্ড)। সপ্তাহে খাচ্ছেন ১৫১.২৭ ইউএসডি।
আহমেদ পরিবার (মিশর)। সবাই মিলে সপ্তাহে খায় ৬৮.৫৩ ইউএসডি।
আয়মে পরিবার (একুয়াদর)। সাপ্তাহিক খাবার বাজেট ৩১.৫৫ ইউএসডি।
নামগে পরিবার (ভূটান)। সপ্তাহে খেয়ে খরচ করেন ৫.০৩ ইউএসডি।
আবুবকর পরিবার (চাদ, ব্রেইদজিং ক্যাম্প)। সপ্তাহে খাবার জন্যে খরচ করতে পারেন ১.২৩ ইউএসডি।
মন্তব্য
হ, কারও ক্ষিদা আছে, খাবার নাই।আবার কারও খাবার আছে, ক্ষিদা নাই।
খাও দাও ফুর্তি করো, দুনিয়াটা মস্ত বড়ো...
চমৎকার তুলনা। বাংলাদেশের উদাহরণ থাকলে আরো ভাল হতো।
PPP(Purchasing Power Parity) দেশভেদে ভিন্ন, অর্থাৎ সমান অংকের ডলারের মালিকদের বিভিন্ন দেশে ক্রয়ক্ষমতা সমান না। তারপরও তুলনাটা খুব প্রাসঙ্গিক। ধন্যবাদ।
ঠিক তাই, PPP এর ব্যাপারটা দেশভেদে ভিন্ন তাই সরাসরি তুলনা হয়তো চলে না তবে আপেক্ষিকভাবে দেখতে গেলে আমার মনে হয় ডলারের ক্রয়ক্ষমতা কিছুটা বোধ হয় প্রতিফলিত হচ্ছে সাপ্তাহিক মোট ডলারের পরিমাণের মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ রোজগার বেশী হওয়া ছাড়াও 'উন্নত বিশ্বের' দেশগুলোতে যত বেশী সাপ্তাহিক বরাদ্দ ডলারের ক্রয়ক্ষমতা তত কম। নাকি এই ধারণাটা পুরোপুরি ঠিক না?
বাংলাদেশের ছবিটা ভূটানেরটা থেকে আন্দাজ করে নিচ্ছি।
ধন্যবাদ হিমু, অনেক কিছু না লিখেও যে কত খবর দেয়া যায় - সচলায়তনের ছবি ব্লগ গুলো দেখে তা বারবার বুঝতে পারি!
হুমম .... আসলেই
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ডলার এর পরিমান টা যদি আমরা উপেক্ষাও করি তার পরেও সামনে তো খাবার এর পরিমান দেখাই যাচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশের ছবি না দেওয়ার জন্য।
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
---------------------------------
নব্বই দশকের শুরুর দিকে মাইক্রোবাস না ড্রিমল্যান্ড নামে একটা ব্যান্ড হইছিলো... আজকের বাংলাদেশের সফলতম কনসার্ট আয়োজক আর এরশাদের ভাতিজা স্বপন চৌধুরী ছিলো সেইটার ভোকালিস্ট। তারা পৃথিবীর সবচেয়ে আজিব পোশাক পইরা গান গাইতো... তাদের দুইটা গান খুব হাস্যকর রকমের বিখ্যাত ছিলো...
১. রমজান চোট্টার কান কাইটাছে
রমজান চোট্টার কান কাইটাছে
আমগো হুরমতি এই কাম কইরাছে গো কইরাছে
আমার বুক ফাইট্টা হাসি আইতাছে... (সংশপ্তক দ্রষ্টব্য)
আর
২.
পোলাডা কান্দে ক্যা রে...
ওর বুকে ব্যাথা রে
মাইয়াডা কান্দে ক্যা রে...
ওর ক্ষিধা লাগছে রে...
ওরে একটা রুডি আইনা দে দে দে দে...
বহুদিন পরে গানটা মনে হইলো... দে দে দে দে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবচে বেশীদামের খাবারের দেশে থাকি। ভাবতেই ভালো লাগতেছে।
কিন্তু নিজের সপ্তাহের খরচটা নাই বা বল্লাম।
মজার বিষয় ! চাউলঅলাগো বাজেট এতো কম ! চাউলছাড়াগো লাইগা দুঃখই লাগতাছে, ক্ষুধা কী এই মৌলিক অনুভূতিটা বুঝলোই না ! আহারে, কতো গরীব হেগো অনুভূতি !
নিশ্চয়ই অন্য অনুভূতিতেও গরীব হেরা ?
তয় দারুণ একটা পোস্ট !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ক্যামেরায় লেখা গল্পগুলো (গল্প একটা না তো!) চমৎকার লাগল। এ গল্পের সুবিধাও অনেক, অনুবাদ লাগে না।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
এই জাতীয় ছবিব্লগগুলো দেখতে শুরু করলেই আমি অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করি। জানি যে অবধারিতভাবেই একেবারে তলানীতে এসে বাংলাদেশের একটা ছবি পাব— "কিছু ভুখা-নাঙ্গা মানুষ সামান্য কিছু খাবার নিয়ে বসে আছে।"
হিমুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই অস্বস্তিটুকুতে না ফেলার জন্য।
কি মাঝি? ডরাইলা?
বিষয়টা কি? উপর থেকে নিচ, খাবার আর খরচের পরিমান কমছে, কন্তু খানেওয়ালার সংখ্যা বাড়ছে (চাদ বাদে!)।
কী কমেন্ট করা যায়?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন