১.
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর চুল বড় করার একটা খায়েশ হয়েছিলো আমার। অনেকে বাগান করেন, কেউ কেউ পাখি পালেন, অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছ পালেন আমাদের মাছপাগল হের রেহমান, কুকুরবিড়ালখরগোশও পালেন অনেকে, আমি চুল (মাথার) পোষার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমার সহপাঠী বা বন্ধুরা সবাই একে স্বাগতম জানাননি। প্রাথমিক পর্যায়ে একজন এসে জানালেন, মাইক্রোস্কোপের নিচে মশাকে যেমন দেখায়, আমাকেও নাকি সেরকম দেখাচ্ছে। আরেক বন্ধুর সাথে একই রিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরি, তিনি একদিন অভিযোগ করলেন, তার এক বন্ধু নাকি ফোন করে ঝাড়ি দিয়েছে, "তুই এত লম্বা কাউলা একটা মাইয়ার লগে প্রেম করস, আমাগো লগে আলাপ করায়া দ্যাস নাই ক্যা?" সেই বন্ধুর বন্ধুর বোধহয় গ্লুকোমা ছিলো, তা না হলে আমার হাফকাস্ত্রো দাড়ি কিভাবে তার নজর এড়িয়ে গেলো, সেটাও প্রশ্ন। তবে মাস দশেকের চেষ্টায় আমি চুলকে পোষ মানিয়ে ফেললাম। দুর্জনেরা আমাকে "কেশবৎ" বলে ব্যঙ্গ করার চেষ্টা করলেও গর্বের সাথে বলতে পারি, তাদের অনেকেরই মাথায় টাকের আভাস দেখা যাচ্ছিলো সেই সময়েই। সেইসব হিংসুকদের মুখে ছাই দিয়ে আমার চুল দিনকে দিন শনৈঃ শনৈঃ বৃদ্ধি পাচ্ছিলো পূর্বপুরুষের পূণ্যগুণে।
তবে চুলকে পোষ মানাতে গিয়ে টের পাই, এরচেয়ে মাছ কিংবা খরগোশই ভালো ছিলো। শহরের ধূলিবহুল এলাকায় বাস করি বলে প্রায় রোজই শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করতে হতো। এছাড়া আমার মা এবং বোন মাঝে মাঝেই নানারকম ভেষজ গবেষণার জন্যে আমাকে গিনিপিগ হিসেবে বেছে নিতেন। শুক্রবার সকালে তাঁদের আবিষ্কৃত কোন একটি বিকটগন্ধী আরক আমাকে মাথায় মেখে বসে থাকতে হতো ঘন্টাখানেক। এতে আমার চুলের গুণবৃদ্ধি হলেও সংখ্যা হ্রাস পেতো, সেটা টের পেতাম হাড়ে হাড়ে। তৎকালীন বান্ধবী চুল নিয়ে তেমন আপত্তি করেননি, তবে মাঝে মাঝে টান দেয়ার চেষ্টা করতেন। চুল এবং দাড়ির সাথে রাত্রি জাগরণের রক্তচক্ষু যোগ হওয়ায় বিভিন্ন বিল দিতে গিয়ে ব্যাঙ্কে আমি অন্যায় সুবিধা নিতাম। একেবারে শেষ বর্ষে এসে জনৈক সদ্যযোগদানকারী প্রভাষক ছাড়া প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোন শিক্ষক আমার মতো একজন নগণ্য ছাত্রের চুলের দৈর্ঘ্য নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করেননি।
আমার দীর্ঘ ছয় বছরের সাধনা ধূলিস্যাৎ হয় শেষ টার্মের পরীক্ষা দেয়ার পর পর বান্দরবান-লোয়ার রাঙামাটিতে এক রোমহর্ষক ট্রেকযাত্রার বোনাস হিসেবে পাওয়া তীব্র ম্যালেরিয়ার সময়। এভাবে মানুষের মাথার চুল গোছা গোছা উঠে আসতে পারে, তা-ও আবার নিজের মাথা, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। একেবারেই ব্যাঙ্করাপ্ট হবার আগেই আমার চুল বাটিছাঁট দিয়ে ফেলা হয়। একশো তিন থেকে একশো সাত ডিগ্রী জ্বরের মধ্যে থাকতাম বলে এ ব্যাপারে অসম্মতির সুযোগও তেমন একটা ছিলো না। ষোল কেজি হারানো ওজনের মধ্যে অন্তত এক কেজি চুলে ছিলো বলে আমার ধারণা।
চুল হারানোর পর নিজেকে ওল্ড টেস্টামেন্টের শিমশোনের মতো মনে হতে লাগলো, তবে হাতের কাছে কোন দেলাইলা ছিলো না বলে আয়নায় অচেনা আমিকে দেখে বিরক্ত হওয়া ছাড়া গতি ছিলো না। এ ছাড়া পরিচিত লোকজন দেখেও চেনে না, ভাইয়ের বিয়েতে গিয়ে তার তুতো-শালিদের প্রশ্নের মুখে পড়লাম, হিমু ভাই আসে নাই কেন? ইচ্ছা করছিলো ধরে ... যাই হোক।
যাই হোক, চাকরিবাকরি করি বাটিছাঁটা চুল নিয়ে, একদিন বিকেলে এক মার্কেটে দেখা হলো আমার সেই পুরনো কেশবিদ্বেষী প্রভাষকের সাথে। আমার মাথা দেখে তিনি রীতিমতো উলু দিয়ে উঠলেন। জানতে চাইলেন বস ধরে কেটে দিয়েছে কি না চুল। বিনয়ের সাথে বললাম, আমার চুল নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো নির্বোধ বসের অধীনে চাকরি করি না। তিনি অগ্নিদৃষ্টি হেনে চলে গেলেন গটগটিয়ে।
আমি চুল কেটে ফেলার পর লম্বাচুলো ছেলেপিলেদের দেখলে অসহ্য লাগতো। মনে হতো, বাটিছাঁট রুলজ। আমার ধারণা সত্যি প্রমাণ করে বছর কয়েকের মাথায় দেশ বাটিছাঁটদের দখলে চলে যায়।
এই প্রবাসে এসে চুল ছাঁটার কাজে ইস্তফা দিয়েছি আবার। আজ থেকে দশ বছর আগে আমার মাথার চুলের ডেনসিটি দুইতিনগুণ ছিলো বলেই আমার ধারণা, অন্তত পুরনো ছবি দেখলে সেরকমই মনে হয়। তবে আয়নায় নিজের লম্বা চুল দেখে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লাম সেদিন। আমার কাছের এক বন্ধু চুল ছাঁটার পর একদিন পথে আমাকে দেখে চমকে গিয়ে এ কথাটাই বলেছিলো, আমার ছোট চুল দেখে নাকি তার ছয় বছর আগের কথা মনে পড়ে গিয়ে নস্টালজিক লাগছিলো। হেসেছিলাম সেদিন, চুলও স্মৃতির মাইলস্টোন হয়ে থাকে জেনে। অনুভব করছি আবারও, কথাটা সত্যি।
কেশবৎ হয়ে যেটা লস, তা হচ্ছে নাপিতের অভিজ্ঞতা না হওয়া। আবারও পড়ালেখা ফুরোলে হয়তো চুল ছাঁটাবো, তার আগে জার্মানির নরসুন্দরীদের ওপর কিছু লিখতে পারছি না।
২.
সবজান্তাকে ধন্যবাদ। রাত জেগে বসে এতক্ষণ দেখলাম "লিটল ম্যানহাটান"। অপূর্ব লেগেছে। বহু বছর আগে একই রকম আপ্লুত হয়েছিলাম "দন হুয়ান দি মার্কো" আর "অ্যাডিক্টেড টু লাভ" দেখে। অনুচ্চকিত, ছিমছাম, কিন্তু খুব ছাপ ফেলা সিনেমা। যাঁদের দেখার সুযোগ আছে, দেখে নিতে পারেন।
মন্তব্য
আমারে যে নাপতেনী চুল কেটে দেয়। কী বলবো? মাশাল্লাহ্ - কেয়া খুপসুরাৎ আওরাৎ!!!
হিমু - ভেবে দ্যাখেন আরেকবার! চুল রাখার পরিকল্পনাটা বোকামী হচ্ছে কিনা!
কি মাঝি? ডরাইলা?
হুমমমম! কিছু ক্ষতি তো স্বীকার করতেই হয় জীবনে। কিন্তু ভাবি কি জানেন যে আপনি এরকম খাপসুরাৎ জানানাদের হাতে চুল ছাঁটান?
হাঁটুপানির জলদস্যু
বান্ধবীকে আপনি সম্বোধন! ক্যাম্নেকী?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- ঐটা বান্ধবীর মা'ও আছিলো, ভুলে বান্ধবী হইয়া গেছে মনেহয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দোস্ত তোর দাঁড়িও কয়লা রঙের, দাঁড়ির ব্যাকগ্রাউন্ড ও কয়লা রঙের- এই দুই একই রঙের কাটাকাটিতে আসল জিনিষ নজরে না আসাটাই স্বাভাবিক। এইটা একটা ফ্যাক্ট। তুই আবার ভাবিসনা আমি তোর ইয়ের রঙ নিয়ে কটু কথা কইছি!
আর তুই কস বাংলা চুলের কথা, আমার তো মনে হয় হিন্দি চুল নিয়াও অনেক নস্টালজিক কাহিনী বের হয়ে যাবে।
গ্যাঁড়াকলে থাকলেরে দোস্ত পাদের মইধ্যেও নস্টালজিকের ছোঁয়া পাওয়া যায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাননীয় স্পীকার, সরকারী দলের বক্তার এই অশ্লীশ মন্তব্য এক্সপাঞ্জ করার তীব্র দাবি জানাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হায়রে চুল.... জীবনে বড় করতে পারলাম না। আমারো রাগিব ভাই এর মত অবস্থা।
[অফটপিক] হিমু কাকু কেমন আছেন?
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাইস্তার বাকি চুলগুলি টাইনা লম্বা কইরা দেওয়া দরকার মনে হইতাসে!
হাঁটুপানির জলদস্যু
চুল নিয়ে চুলা-চুলি চলছে চলবে
বড় চুলে উকুনেরা হেলবে দুলবে।
কীর্তিনাশা
কেশদামে ঢেকে রাখি তেঁতে ওঠা চাঁদি
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
দুইটা ছবি দিয়া দিতেন, চুলের বিজ্ঞাপনের মতন। তখন আর এখন।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দেখি কোন খুশকিনিবারক শ্যাম্পুর মডেল হতে পারি কি না। তাদের অ্যাপ্রোচ হতে পারে এমন, "দেখুন, আমাদের শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে মাথার কী অবস্থা হয়!"
ছবি নাই। দেখি, তুলতে হবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনেকবার ভেবেছি চুল (মাথার) বড় করবো...কিন্তু করা হয় না। আমার আবার মাথা একটু তাড়াতাড়ি গরম হয়তো
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আমার মাথার লম্বা কেশ কর্তিত হয়েছে অনেক বছর আগে! সৃতি হয়ে একগুচ্ছ এখনো আমার ড্রয়ারে আছে। হয়তো তার প্রতিবাদে বিদ্রোহী চুলেরা আমার মাথা নামক দুর্গ ত্যাগ করে কানে আর শরীরের অন্য জায়গায় ঘাটি করছে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শীতের দেশে লম্বা চুলে আরামও আছে মনে হয় । মাফলারের কাজ করে
হা হা হা । মজা পাইলাম। আমার মাথার চুল খুব ঘন। একটু বড় হইলেই চান্দি গরম হইয়া যায়। মাথা আউলা লাগে। উকুনতো ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার করতে করতে চুলের ঘনারণ্য থেকে জনারণ্যে পালিয়ে যায়।
আমার বরাবরই লম্বা চুল। প্রায় দুই দশক ধরে। চুল ছাড়া ভালোই লাগে না। এখন ছাদ প্রায় ফাঁকা, চুঁইয়ে পানি পড়ে অবস্থা। সুমন চৌধুরী কাব্য করে বলে দিয়েছেন আসল কথাটা-- কেশদামে ঢেকে রাখি তেঁতে ওঠা চাঁদি। আমারও ওই চাঁদি ঢাকবার জন্যেই এ বয়সেও লম্বাচুল জরুরি।
নানাজন নানাসময়ে চুলের জন্য অপমান করেছে, ব্যঙ্গ-পরিহাস করেছে, কিন্তু শুনলে তো কারো কথা। শ্যালিকা ও মেয়ে কলিগেরা কখনো কখনো ফিতা দিয়ে বেণি করে দিতেও চেয়েছে। সে দিন গিয়েছে। এখন নিজেই ব্যান্ড বাঁধি। নিজেরটা হারিয়ে গেলে বউয়ের থেকে ধার নেই একটা। বেশ চলছে চুলের সংসার।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
হিমু ভাই কি "চুলের" আলাপ করেন ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কী রে কোথায় গিয়েছিলি?
চুল কাটতে
কতো পেলি?
মানে?
কাটলে তো পয়সা পাওয়ার কথা। আর কাটালে তুই দিয়েছিস। ঠিক করে বল, পয়সা পেলি না দিয়ে এলি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমার চুলুয়া কাহিনী বলতে গেলে ধারাবাহিক ব্লগ ছাড়তে হইবো... দাড়ি গোঁফ সহ বলতে গেলে নীড়পাতা পুরাটা লাগবো... তাই ছাড়ান দিলাম...
সচলদের মধ্যে বোধহয় সৈয়দ আখতার, আর আরিফ জেবতিক আমার চুলুয়া কালের পরিচিত। অসচল আরেক নজরুলও। কিন্তু আমার একটাই দুঃখ... আমার চুল দাড়ি কালের সকল ফটো হারায়া এবং নষ্টায়া গেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা অতীত! হা কেশবতী নজরুল ভাই! থুক্কু, কেশবান!
নজরুল ভাই, আবার রাখেন, কী আছে জীবনে! এইবার আর ফটোক খিচতে মিছ করুম না। কথা দিলাম।
ভাইরে... এখন কি আর আগের যৌবন আছে? চুলে টাক ঠেকাইতেই জান বাইরয়... তার আবার কেশবান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জামানা বদল গিয়া একি বদ হাল
মেয়েরা নয় এখন পুরুষেরা রাখে চুলের পাল,
তাই নিয়ে চারিধারে চলে হালচাল।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
লেখাটা পইড়া মন খারাপ হইল, আমার কপাল বড় হইতাসে !
সবজান্তা আমারেও কইসে লিটল ম্যানহাটন দেখতে, দেখতে হইব ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হিমু ভাই মজা লাগল লেখাটা পড়ে। চুল লম্বা আমিও মাঝ খানে করেছিলাম এখানে এসে।
____________________
ত্রসরেণু অরণ্যে
_____________________________
টুইটার
নতুন মন্তব্য করুন