২০০২ সালের শেষ দিকে একদিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলাম, সূর্যোৎসব হবে কেওকারাডঙে। সূর্যোৎসব মানে বছরের নতুন দিনের সূর্যকে বরণ করে নেয়ার উৎসব। আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান সভার কর্ণধার মশহুরুল আমিনের সাথে। ছাত্রদের জন্যে তিনহাজার টাকা, অছাত্রদের জন্যে পাঁচহাজার টাকা ফি। অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে। আসনসংখ্যা সীমিত।
নিজেকে শারীরিকভাবে আনফিট মনে করতে খুব বাধছিলো বলে দিনকতক পরে ফোন করলাম জনাব মশহুরুল আমিনকে। তিনি জানালেন, সত্তর বছর বয়স্ক জনৈক বৃদ্ধ কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছেন, তিনি যেতে পারবেন না, কী যেন একটা জরুরি কাজ পড়ে গেছে। তাঁর বদলে আমাকে নেয়া যেতে পারে, যদি পরদিনই টাকাসহ যোগাযোগ করি।
লালমাটিয়ায় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে পরদিন সকালেই গেলাম। উন্মাদের অফিসের সাথে ভাগাভাগি করে তখন চলতো এই সভা। মশহুরুল আমিন ইন্টারভিউ নিলেন আমার, শারীরিক ফিটনেসসহ আর নানারকম ব্যাপারস্যাপারের ওপর খোঁজখবর করলেন, যদিও তাঁকে দেখেই জিন্দালাশের মতো মনে হচ্ছিলো। পরে দেখেছি, মশহুরুল আমিন ওরফে মিলন ভাই ওরফে মহাকাশ মিলন দুর্দান্ত ফিট লোক।
সূর্যোৎসবে নাম লেখানোর পর কয়েকদিন বাড়িতে বসে তুমুল ব্যায়াম করলাম। আমি বেঈমান ও নাফরমান বলে রোজার সিজনে সেহরি থেকে ইফতারের মাঝে চর্বচোষ্যলেহ্যপেয় সাঁটাই বলে রোজার পর আমার রীতিমতো স্বাস্থ্য খুলে যায়, এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
সূর্যোৎসবে সেবার দলনেতা ছিলেন প্রসিদ্ধ পক্ষীপ্রেমিক ও ট্রেকার ইনাম আল হক। একটা ছোট ব্রিফিং মতো হয়েছিলো তাঁর বাসায়, সেটা আমি মিস করেছিলাম। ফলে অনেক উপদেশ অজানা থেকে গিয়েছিলো ব্যাকপ্যাক গোছানোর সময়। মিলন ভাইয়ের অতীত পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে শাহবাগ থেকে রুকস্যাক, কাকরাইলের তাবলীগী মার্কেট থেকে স্লিপিং ব্যাগ আর নানা টুকিটাকি কিনেছিলাম। আমার সেই রুকস্যাক আমার প্রাণ রক্ষা করেছিলো পরবর্তীতে, এখনও লেখার সময় কৃতজ্ঞ চোখে তাকিয়ে আছি বেচারার দিকে। অনেক ধকল গেছে তার ওপর দিয়ে। পাহাড় থেকে পড়া, সাঙ্গু নদীতে ডোবা, সাগরের পানিতে চুবানি খাওয়া থেকে শুরু করে আমার সাথে দুই দুইবার জার্মানীযাত্রার ধকল সহ্য করতে হয়েছে বেচারাকে। স্লিপিং ব্যাগের কপালে অত কিছু জোটেনি, আমার সাথে পুকুড়পাড়া যাত্রার সময় অনবধানতাবশত বিশ্রীভাবে একটা অংশ পুড়ে গিয়েছিলো বেচারার। এখন সে হয়তো ঢাকায় আমার কেবিনেটে পড়ে পড়ে ধূলো খাচ্ছে।
স্লিপিংব্যাগ আর রুকস্যাক সহ টালমাটাল হয়ে যখন কলাবাগানে পৌঁছলাম শীতের ভোর পাঁচটার সময়, মেজাজটা কিছুটা খারাপই ছিলো। একটু পর দেখি অচেনা সব মানুষের ভিড়। হরেক রকম তাঁদের চেহারা, কণ্ঠস্বর, আকারআকৃতি, কিন্তু উদ্দেশ্য একটাই। বাঙালির স্বভাবসুলভ সময়াধিবর্তিতার (সময়ানুবর্তিতার বিপরীত হয় না এটা?) কারণে আমাদের সেবার যাত্রা শুরু করতে করতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। যাত্রাপথে আর বান্দরবানে রিগ্রিক্ষ্যং রিসোর্টে পৌঁছে মোটামুটি সবার সাথে পরিচয় হয়ে গেলো। কয়েকজনের সাথে আগেও সামান্য পরিচয় ছিলো, তা-ও পরিষ্কার হয়ে গেলো।
সে-ই আমার প্রথম পাহাড়ে হাঁটা (পাহাড়ে চড়া ঠিক বলবো না, ঐ কাজটা একেবারেই ভিন্নরকম)। আর সেই হাঁটার সূত্রেই পরিচয় হয়েছিলো অনেক ভ্রমণপিপাসুর সাথে, যাঁদের সাথে একযোগে ঢাকায় ফিরে এসেই পত্তনি ঘটে এক্সপ্লোরারস ক্লাব অব বাংলাদেশের।
এরপরের কাহিনী অনেক। প্রতিমাসে কোথাও ট্রেকিং বা হাইকিঙে যাবার পরিকল্পনা ছিলো আমাদের। সেই সূত্র ধরে আমরা ফেব্রুয়ারিতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত হাঁটি, তো মার্চে আবার যাই মৌলভীবাজারের আদমপুরের জঙ্গলে ঘুরতে। কয়েকবার বান্দরবান-রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে অভিযান চলে আমাদের। গারো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে শেরপুর থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত এক দুর্দান্ত হাইকিং (যা আমি মিস করেছিলাম মিউনিখযাত্রার কারণে) আর সোমেশ্বরী নদীর তীর ধরে হাঁটার ট্রিপগুলিও স্মরণ করার মতো।
তবে সময়ের সাথে মানুষের জীবনের মোড়গুলো আসে খুব আকস্মিকভাবে। কেমন হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেলো ছাত্রজীবন, আগের মতো আর সময় দেয়া গেলো না প্রিয় ক্লাবকে। প্রেসিডেন্ট বরুণ বকশী হুট করে একদিন পাড়ি জমালেন প্রবাসে (বরুণদা, আপনাকে আজও ক্ষমা করতে পারি না এজন্যে ...), অন্য দেশে তাঁরই পন্থার অনুগামী হলেন প্রিয় সদস্য বখতিয়ার রানা, শান্ত ভাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন টিভির চাকরি নিয়ে, উচ্ছল ভাই আর ইকবাল ভাইও নতুন চাকরির চাপে কাবু, শিলা আপা চলে গেলেন কঙ্গো, বদমেজাজি পারভিন আপাও একদিন রাগ করে নিজের মতো ঘোরা শুরু করলেন। নাজমুল ভাই, চঞ্চল আর শামীম খান নিখোঁজ, সালেহিন আর ওয়াহিদ ভাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন নিজেদের কাজে, অতএব সামিয়াও গায়েব, অজর অটল শাহেদ ভাই-ই কেবল সবসময় "আছি" বলে আওয়াজ দিতেন। অভিমানী পুতুল আপাও আমাদের লুথামি দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলেন একদিন।
খুব মনে পড়ছে শেষ দু'টি এক্সকারশনের কথা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাগান দেখতে যাওয়া, আর বিডিআরের বাধা পেয়ে থানচি হয়ে রুমায় ট্রেক করতে না পেরে সাঙ্গু নদী ধরে অপূর্ব শ্বাসরুদ্ধকর এক নৌযাত্রার কথা। আমার ক্যামেরাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো সেই ট্রিপে, বেশ কিছু ভালো ছবি তাই মিস করেছিলাম, এতো দুঃখ পেয়েছিলাম যে অবশিষ্ট ছবিগুলিও আর প্রিন্ট করিনি শেষ পর্যন্ত। সঙ্গীদের ক্যামেরায় তোলা ছবি নিয়েই শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
সেদিন সাল্লুর সাথে এমএসএনে আলাপ হচ্ছিলো এ নিয়ে। খুব খুব নস্টালজিক লাগে সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে। ক্লাবের সদস্যদের নিজের স্বজন বলেই ভাবি, তাঁদেরও খুব মিস করি। ইসিবি-র সদস্যরা, যে যেখানে আছেন, যদি এই পোস্ট পড়ার সুযোগ হয়ে থাকে, জানবেন, আপনাদের খুব ভালোবাসতাম বরাবরের মতো, এখনও বাসি। আমার জীবনের অন্যতম আনন্দময় সময়গুলি আপনাদের সাথে কেটেছে, এ জন্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমি বহুদূরে চলে এসেছি, তবে ইসিবির কার্যক্রম থেমে যায়নি বলেই জানি। আজকে মেইল পেলাম আমাদের কনিষ্ঠতম সদস্য মামুনের, এভারেস্টের বেইস ক্যাম্পে পৌঁছেছে সে। মামুনকে অভিনন্দন জানাই, যদি সম্ভব হয়, তার কাহিনী সচলায়তনে তুলে ধরার ব্যবস্থা করবো।
মন্তব্য
মিলন ভাই একদা আমাদের বন্ধু ছিলেন, তারপর দিনে দিনে যা হয় পথ আলাদা হলো, বন্ধুত্বও মিটলো। তবে লোকটা এখনও লেগে আছেন। মাঝে মাঝে দেখা হয়। চেহারা কিছুই পাল্টায়নি। আমরা এক সংগঠন করতাম।
আপনি কি ওদের সেন্ট মার্টিন অভিযানে ছিলেন? ওই যাত্রায় আমারো যাবার কথা ছিল। যাইনি। তবে আমার উনি গিয়েছিলেন। আহা, 'কোনোদিন আমার যাওয়া হয়নি কোথাও'।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
না, অন্য কোন সূর্যোৎসবে আর যাইনি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
জীবনে খুব একটা বেড়াতে যাইনি, তবে ভার্সিটিতে থাকাকালীন ২৩ জনের বিশাল একটা গ্রুপে বান্দরবান সফরে গিয়েছিলাম যা আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা বলা চলে। টানা তিনদিন শুধু হাঁটার উপরেই ছিলাম। অনভ্যাসের কারণে কষ্ট যেমন হয়েছিল, আনন্দ হয়েছিল তারচেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
সাঙ্গু নদী, রুমা বাজার, বগা লেক, কেওকারাডং সবকিছু কেমন একবার ঝলক দিয়ে গেল আপনার লেখা পড়তে গিয়ে। দারুন লিখেছেন। "মামুন" এর কাহিনী পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম...
হুম.....চোয়ানিটোয়ানির গল্প নাই?
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
- চোয়ানিটোয়ানির লগে দোয়ানির গল্পও চাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অভিমানী পুতুল আপাও আমাদের লুথামি দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলেন একদিন।
এই পুতুল আপা কি আমাদের সচলের পুতুল আপা? উনি কি এমন অভিযাত্রার অংশও ছিলেন?
আপনার লেখা ভাই দুর্দান্ত হইছে। আপনার অন্যান্য অভিযানগুলোও
শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো।
সচলের পুতুল আপা নন, রীতিমতো সস্ত্রীক ভাই। যে পুতুল আপার কথা বলছি তিনি আমাদের ক্লাবের অন্যতম হাঁটারু পুতুল আপা, যিনি ইমদাদ হক কাজীর মতো ভাঙা পা নিয়ে পাহাড় জয়ের মাল্য লুট করেছিলেন ৬০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
জার্মানীতে খুলবেন নাকি আরেকটা এক্সপ্লোরার?
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
গুটে ইডে...
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
- এনাদের কাজ কী হবে? শুক্কুরবার আর শনিবারে দলবাইন্ধা পোলাও-কুর্মা খাওয়া?
তাইলে আমি আছি- ফি আমানিল্লাহ্
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
২০০৩ সালের সেই সূর্যোৎসবে যেতে চেয়েছিলাম। টাকা ছিল না তাই যাওয়া হয়নি।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভ্রমন কাহিনী শুধুই ভ্রমনের বর্ণনা যে নয়, আপনার লেখায়ই তা সুস্পষ্ট। আমার মনে হয় খুব বেশি লেখক ভ্রমন কাহিনীতে এমন প্রাণ সঞ্চার করতে পারেন না। যে কারণে ভ্রমন কাহিনী আমার আগ্রহের বিষয় নয়। কিন্তু এখন দেখছি ভালো লাগে কি না তা পরীক্ষার জন্য হলেও একটিবার চোখ বুলানো উচিত। ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
- সজল ভাইকেও চিনে থাকবি বোধহয়। বছর খানেক আগে এভারেস্টে গিয়েছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"এভারেস্ট" বললে একটু ভুল বলা হবে :)। সজল খালেদের সাথে একবারই আলাপ হয়েছিলো ঢাকায়। তিনি পোড় খাওয়া ট্রেকার, পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণও আছে। আমাদের প্রকৃতিপ্রেমিকের ভাইও কিন্তু বেশ নামকরা মাউন্টেনিয়ার।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- আমারে একবার অফার করেছিলো সাইকেলে সুইজারল্যাণ্ডের দিকে যাত্রা করার। পরে আবার নিজেই পিছিয়ে গেলেন। আমার পূর্বাভিজ্ঞতা শূন্যের নিচে জেনে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কিছু স্মৃতি উঁকি দিয়ে গেল ।
সূর্যোৎসবের প্রথম পরিকল্পনার সাথে যুক্ত ছিলাম , স্থান সেই ভোরেরকাগজ চারতলা ।
এর আগে আমরা বন্ধুবান্ধবরা মিলে প্রতিবছর ক্যাম্পিং করতাম , মিলনের সাথে সেই অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করেছিলাম । কোথায় তাবু পাওয়া যাবে , কে সাহায্য করবে এসব বিতং বর্ণনা ।
যদিও কোনবারেই সূর্যোৎসবে যাওয়া হয় নি আমার ।
( আমার আসলে কোথাও যাওয়া হয় না কোনদিন ) ।
মিলনের নাম মহাকাশ মিলন সম্ভবত সঞ্জীবদা'র দেয়া ।
একবার বুয়েটের মাঠে একটা মোটা চাঁদ দেখার আয়োজন ছাড়া আপনাদের ক্লাবের কোন অনুষ্ঠান বা আড্ডাতেও যাওয়া হয় নি , যদিও অসংখ্যবার মিলনকে কথা দিয়েছিলাম ।
বুয়েটের সেই চাঁদ দেখা শেষে ভোরের কাগজে একটা বড় ফিচার করেছিলাম- সামলে রেখো জোছনাটাকে .. শিরোনামে ।সঞ্জীবদা'র দেয়া শিরোনামটি মনে আছে আজ পর্যন্ত ।
---------
আপনাদের এই ক্লাবটাকে বরাবরই ভালো লাগে , লাগত । নিবেদিত প্রান মানুষদেরকে আমি বরাবরই অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখি ।
আপনাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই ।
মহাকাশ মিলন নামটা সম্ভবত বেশ কয়েকবার আবিষ্কৃত হয়েছে। আমি যেমন কারো কাছ থেকে না শুনেই দিয়েছিলাম, পরে দেখি অনেকেই মহাকাশ মিলন বললে শনাক্ত করে ফেলেন।
আর একটা ভুল করছেন, সেটা ভাঙাই। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে আমার কোন সম্পৃক্তি নেই। চাঁদ দেখা বা দেখানো, এসব মিলন ভাইয়ের কর্মসূচীর মধ্যে পড়ে, আর প্রথম হাইকিঙের পর তিনি আর এক্সপ্লোরারস ক্লাবের অন্য কোন যাত্রায় যোগ দেননি। এক্সপ্লোরারস ক্লাবের সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানের সম্পর্ক শুধু ছুটির সময় চাঁদের উজ্জ্বলতার মাপজোকের সাথে সম্পর্কিত ছিলো, যেহেতু বেশির ভাগ ট্রেকের সময়েই রাতে হাঁটতে হতো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনার লেখা আসাধারণ ভায়া। মনেহয় কোন অভিযাত্রীর দিনপঞ্জী পড়ছি। আসলে আপনিতো তখন অভিযাত্রীই ছিলেন।
আপনার লেখা আরো চাই।
পরশ পাথর
আপনি পুকুরপাড়া গেছিলেন? শুনছি সেইখানে এখনও সভ্যতার আলো পৌছায় নাই। উম্মুক্ত বক্ষা নারীরা চোখের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়... কাহিনী কি?
---------------------------------
খুব দুর্গম জায়গায় হলেও পুকুরপাড়া বেশ বড়সড় একটা ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরাদের কোন গ্রামে কখনো এমন দেখিনি। উন্মুক্ত শরীরের সংস্কৃতি আস্তে আস্তে লোপ পেয়েছে পাহাড় থেকে, বাঙালিদের প্রবেশের সাথে। খাগড়াছড়িতে কিছু আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে এ অভ্যাস রয়ে গেছে। বান্দরবানে কখনো চোখে পড়েনি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ভাই!
Explores' Club of Banlgadesh যে আমাদের জন্য কতখানি, সেটা এই ক্লাবের সদস্য না হলে বোঝা যাবে না।
আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই লেখাটা সচলে প্রকাশ করা জন্য।
এখনো স্বপ্ন দেখি ECB এর সদস্যরা স্বগর্বে হেঁটে বেড়াচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে - কখনো গহীন অরণ্যে, কখনো দূর পাহাড়ে কখনো জ্যোৎস্না ভেজা সাগরসৈকতে।
--------
সালেহীন
আহারে ! কত জায়গায় এখনো যাওয়া হয় নাই । যামু যামু ! হিমু ভাই এই ইনাম আল হক কি বাংলাদেশ পাখি দেখা কমিটির সভাপতি ? আমার নামটা খেয়াল নাই তবে আমার ফ্রেন্ড ইমুর বাবার কথাই বলতাসেন মনে হয় ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইমুর বাবা কি না জানি না, তবে পাখি দেখা সমিতি হলে মনে হয় তিনিই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
তাহলে জুলাই মাসে আল্পস্ এ ট্র্যাকিংএর একটি ব্যবস্থা করা যাক! সুমন, ধু'গো সহ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
- ইয়া হাবিবি (ধূপধূনাসহ)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন