বস্তুত সগীরের চেহারাটাই ভুলে গিয়েছিলাম, হঠাৎ দেখি ধাম করে একটা উইন্ডো এসে হাজির, তাতে এক অচেনা লোকের ছবি, চোখে মিহি চশমা, পরনে কুর্তা, ভাবুক দৃষ্টি, হাতে একটি কলম, গালে একটি হাত। হাতটি সম্ভবত তার নিজের নয়। আমি বিস্মিত হয়ে ভাবি, কে এই আদম?
ভালো করে পাঠ করে দেখি, সে লিখেছে, দোস্ত, আসোস?
ঠিকানাটি পড়ে আমি মাথামুন্ডু কিছু বুঝি না, জটিল কোন একটি ম্লেচ্ছ শব্দ@হটমেইল.কম লেখা। তবুও দোস্ত সম্ভাষণের মর্যাদা রেখে আমি বলি, "কীরে ইয়েরভাই, কেমন আসোস?"
সগীর অবশ্য মনক্ষুণ্ন হয়। সে হয়তো ভাবে, আমি তাকে চিনতে পারিনি (ঠিকই ভাবে), বলে, "দোস্ত চিনসোস? আমি সগীর।"
আমি উচ্ছ্বসিত হয়ে লাজ আবরণ খুলে ফেলে বলি, "আব্বে চোটনা কেমন আসোস?"
সগীর বোধ করি বিষণ্ন হয়ে যায় ওপাশে, বলে, "তুই দেখি আগের মতোই খচ্চর আসোস!"
আমি হাসি। আমি আগের চেয়ে ভদ্র হবার মতো কি কিছু ঘটেছে এ পৃথিবীতে? বা আগের চেয়ে খচ্চরতর হবার? বলি, "মায়রে বাপ, তোর খবর ক।"
সগীর হাল ছেড়ে দেয়, বলে, "দোস্ত, সাহায্য লাগবো।"
আমি একটু মনমরা হয়ে যাই। অবশ্য সাহায্য না লাগলে কেন সেই অমোঘ প্রোবাবিলিটির গণিতের দেয়াল ভেঙে সগীর টোকা দেবে আমাকে?
তবু দোমনা হয়ে লিখি, "হ দোস্ত, ক। কী সাহায্য লাগবো খালি ক একবার।"
সগীর কিছুক্ষণ গুম মেরে থাকে। বোধহয় ভাবে, এ বুঝি তাকে দেয়া আরেকটা গালি। সতর্কভাবে আমার নিরীহ বাক্যটিকে বার কয়েক ওজন করেই বুঝি সে বলে, "FONDODUS মানে কী?"
আমি আকাশ থেকে পড়ি। ফন্ডোডাস আবার কী? বলি, "আমি কী জানি?"
সগীর ক্ষেপে যায়। বলে, "আরে বল না। এইটুকু হেল্প করতে পারবি না?"
আমি বিপাকেই পড়ি। বলি, "গুগুল মার না। গুগুলে কী কয় দেখ।"
সগীর আবারো গুম হয়ে যায়। আমিও গুগুল করি, এফ ও এন ডি ও ডি ইউ এস। কিন্তু না। গুগুল হতাশ করে আমাকে, বলে য়োর সার্চ ফনডোডাস ডিড নট ম্যাচ এনি ডকুমেন্টস।
সগীরও একই অভিযোগ হানে চ্যাটবাক্সে। "কিছু পাওয়া যায় না। তুই খুইজ্যা বাইর কর।"
আমি আবারও আকাশ থেকে পতিত হই। যা গুগুল খুঁজে বার করতে পারে না, তা আমাকে খুঁজে বার করতে হবে, ভেবেই ব্যাপারটাকে সগীরের অন্যায় আব্দার ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। বছরখানেক পর কী দোস্ত কেমন আসোস এর বিনিময়ে এমন হারকিউলিয় খাটনি আমাকে ধরিয়ে দেয়াটাকে আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।
বলি, "সব খুইলা ক। ঘটনা কী? কী ফন্ডোডাস কে ফন্ডোডাস?"
সগীর বলতে চায় না। গাঁইগুঁই করে। আমিও চেপে ধরি।
শেষ পর্যন্ত কিছু বাজে গালি বিনিময়ের পর সগীর হার মানে। জানায় এক আশ্চর্য কাহিনী। কোন এক সুন্দরীর সাথে তার সম্প্রতি নেটে খাতির জমে উঠেছে। অফলাইনেও সগীরের সাথে তার দুয়েকবার কথাবার্তা হয়েছে। সগীর তাকে দেখে মোহিত। সে নানা ছলে এখন কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। মেয়েও তাকে লেজে খেলাচ্ছে।
লেজে খেলানোর ধরনটা শুনতে চাই আমি। বলি, "মেয়ের লেজে খেলছিস? কীরকম? মেয়েটার ছবি সেন্ড কর। ভিডিও থাকলে ভিডিও-ও পাঠাতে পারিস!"
সগীর ক্ষেপে ওঠে, বলে, "খালি ঘুরায়। প্রবাদ প্রবচন বলে, কী কী সব ভারি ভারি সাহিত্য থিকা কোট করে, অহন ধরছে ল্যাটিন!"
আমি বিষম খাই। বলি, "কস কী?"
সগীর বলে, "হ! ঐদিন কইলাম চলো লং ড্রাইভে যাই। কয়, লাইফ ইজ শর্ট। আমি কইলাম, আরে না, আমি ভালো ড্রাইভ করি, ডরানোর কিছু নাই। কয়, খালি ড্রাইভই করবা? আমি কইলাম, দেখি আর কী করা যায়। কয়, তাহলে তো লাইফ ইজ শর্ট। আমি তো ঠেইকা গেলাম, কইলাম, আরে না, আমি অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি ড্রাইভ ভালো করি। কয়, তোমার মতো লোক ক্যান যে ঢাকা-ময়মনসিং রুটে বাস চালায় না, জানো, ঐ রুটের বাস ড্রাইভার গুলি কত শয়তান! কী কমু ক? কইলাম, ফাউল কথা রাখো,গেলে চলো। কয়, লাইফ ইজ শর্ট, বাট আর্ট ইজ লং। তুমি কি লঙের আর্ট ঠিকমতো পারো? ... চিন্তা কর, কত বড় বদমাইশ মাইয়া, সাইজ তুইলা কথা কয়! আমি অরে সাইজ কইরা ছাড়ুম!"
আমি তো সগীরের দুঃখের কাহিনী শুনে ঘায়েল হয়ে পড়ি। আসলেই তো, সগীর তো অসাধ্য সাধনে নেমেছে। সে আসলেই লেজে খেলছে। খেলছে আবার হাবলাবুলের মতো। পদে পদে আউট হবার শিহরণ।
আমি বলি, "কস কী? তারপর?"
সগীর জানায়, লং ড্রাইভে নিতে না পেরে সে একদিন একসাথে নিরিবিলি কান্দাহারি কোরমা রান্নায় অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেয়। কান্দাহারি কোরমা রান্নার রেসিপিতেই লেখা আছে এ রান্না নিরিবিলি করতে হয়, সবচে ভালো হয় যদি একটি পুরুষ ও একটি নারী মিলে খালিবাড়িতে এটি রাঁধে। মেয়ে আবারও লেজ সাপটায়, বলে, কান্দাহার! সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা মনে পড়ে যায়। আপনি শবনম পড়েছেন? সগীর শবনম পড়েনি, সে এ কথা কিভাবে বলে। হুঁ হাঁ করে কাজ চালাতে পারে না সে, মেয়ে তাকে চেপে ধরে শবনমের কাহিনী আলোচনায়। যতই সগীর কান্দাহারি কোর্মার দিকে যায়, ততই মেয়ে শবনম শবনম করে। শেষমেশ সগীর হার মানে, মেয়ে বলে, তাহলে দ্য বুকসেলার অব কাবুল পড়েছেন নিশ্চয়ই? সগীর কাবুল থেকে আর কান্দাহারে ফিরতে পারে না, কারণ মেয়ে বুকসেলারকে ছেড়ে দিয়ে ধরে বাচা সাক্কোকে, তারপর জহির শাহ, বারবাক কামাল হয়ে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কী একটা কাজের কথা বলে নেট ছেড়ে বিদায় নেয়।
আমি সানন্দে শুনি। সগীরের ব্যর্থ লাম্পট্য কেন যেন আমাকে আনন্দ দেয়।
"আজকে", আমি যেন সগীরের কাঁদো কাঁদো কণ্ঠই শুনতে পাই, "শুরু করছে ল্যাটিন। একটা কিস সাইন পাঠাইসিলাম, জবাবে এই ঢং শুরু করছে। বদ মাগী। কয়, এরারে হুমানুম এস্ত। এইটার মানে কী, জিগাইলাম, কয় না না, হনুমান না, হিউম্যান নিয়েই কথা হচ্ছে। এই কথা সেই কথার পর বললাম, তোমার কথা ভাইবা মনে কেমন জানি লাগে, চলো বেড়াইতে যাই নিরিবিলি কোথাও, তখন কয়, মেন্স সানা ইন কর্পোরে সানো। কইলাম, এইটা আবার কী? কয়, ব্যায়াম করো, সুস্থ দেহে সুস্থ মন। দেহ ঠিক থাকলেই মন ঠিক হয়ে যাবে।"
আমি হাসি। একটা স্মাইলি পাঠাই। সগীরটা ক্ষেপে ওঠে, বলে, "ঐ ঐ, হাসস ক্যা?"
আমি বলি, "তারপর?"
সগীর বলে, "এখন কইলাম, ওরে আমার খুব আদর করতে ইচ্ছা করতাছে। আরেকটা ল্যাটিন ছাড়ছে। ক ফন্ডোডাস মানে কী?"
আমি বললাম, "আমি কেন? মেয়েকে জিগেস কর।"
সগীর গোঁ ধরে, বলে, "না, কমবেশি ল্যাটিন আমিও পড়ছি বায়োলজিতে। ক ফন্ডোডাস মানে কী?"
আমি হার মানি,বলি, "আমিও জানি না।"
সগীর বলে, "GOLA মানে কী?"
আমি আবারও নিঃশঙ্কচিত্তে অজ্ঞানতা জ্ঞাপন করি। সগীর বলে, "তাইলে ক DIUM মানে কী?
এটা আমার কাছে চেনা চেনা লাগে, বলি, "ডিউম? ডিউম মানে মনে হয় দিন! ঐ যে, কারপে ডিয়েম! সিজ দ্য ডে! দিবসকে পাকড়াও করো।"
সগীর গোঁ গোঁ করে বোধহয় ওপাশে, লেখে, "প্যাচ লাগাইয়া দিলি তো। ফন্ডোডাসের প্লুরাল হইতাছেস ফন্ডোডাই, গোলা-র প্লুরাল হইতাসে গোলায়ে, আর ডিউম মানে কইতাসস দিন? কী হইলো তাইলে?"
আমি বলি, "কী আপদ, আমি কী আর তোগো মতো ল্যাটিনে খাচরামি করি নাকি? সহজ সরল বাঙগালি পোলা, যা মনে আসে বাংলায় বলি। আমি বাংলায় গান গাই ...।"
সগীর কয়, "ধুর, দ্যাখ না কী হয়?"
আমি বলি, "জিগা অরে।"
সগীর কয়, "নাই এখন, অফলাইনে গেছেগা।"
আমি বলি, "আচ্ছা কী লিখছে কপি কইরা পেস্ট মার দেখি, কী করা যায়। তোর গবেষণায় কাম দিতাসে না।"
সগীর লেখে, "FONDODI GOLAE DIUM!"
আমি মন দিয়ে পড়ি। ফন্ডোডাই গোলায়ে দিউম। কঠিন ল্যাটিন।
সগীর ঘ্যানাতে থাকে, "পাইলি, কিসু পাইলি?"
আমি হঠাৎ কী ভেবে জিজ্ঞেস করি, "মেয়ে কি চিটাগোনিয়ান নাকি? চট্টলার চটুলা?"
সগীর লেখে, "হ, তুই জানলি ক্যামনে???"
(সমাপ্ত। আর একেবারেই কাল্পনিক।)
মন্তব্য
এভাবে অর্ধেক লেখা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখলেন!
হেসে নিই।
কমেন্ট করছি একটু পরে...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শেষ করছি একটু পর ? কেমন লাগে !! তা এই পোস্টটা একটু পর একবারে পুরোটা দিতে কি সমস্যা হইছিল ? যত্তসব।
______ ____________________
suspended animation...
মুহুহুহুহু! একদম ফন্ডোডাস!
হাঁটুপানির জলদস্যু
সৈয়স মুজতবা আলীর সম্ভবত একমাত্র উপন্যাস যেটাতে রস বেশী, কিন্তু রসালো কম।
লালু আবার আইসে শাবানা শবনমরে খুঁজবো।
ভয়াবহ হইছে!!!!!!!!
কিন্তু চট্টগ্রামের না হলে তো বুঝতে পারবে না
FONDODI বলতে কি বোঝানো হচ্ছে।
হা হা াহ হা াহা হা হা াহা হা
Ad praesens ova cras pullis sunt meliora
(কিন্তু ফন্ডোডাইটা কি ? এটা গোলায় দেওয়ার কি আছে ?)
এহেমম । ঠিকাছে। কিছু জিগাই নাই।
______ ____________________
suspended animation...
শালার বদের হাড্ডি। :
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ফন্দোদাই টা কি? ফ রে প দিয়া রিপ্লেস করলে কি কিছু বোঝার চান্স আছে?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
হা হা হা । বীর চট্টলাবাসীর পক্ষে আমি এই পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ করছি। সেই সাথে মডুরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধুরো! মার কাছে মাসির গপ্পো হয়ে গেলো। এখনো হাসতে আছি।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
এরকম গল্প জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। আমার দম আটকায় যাওয়ার দশা হয়ে গেছে হাসতে হাসতে।
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ !!!!!!!!!!!
শেষ পর্যন্ত FONDEDI GOLAY DILO?
কি মাঝি? ডরাইলা?
তোফা,তোফা,তোফা।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
হিমুভাই, অনে দিয়ূন ফ্রেসটিজোর বারোটা বাজাই। এইল্লা বাঁশ ক্যনে দিত ফাইরলেন?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
পইড়া কমেন্ট না কইরা থাকতে পারলাম না! পাশের ল্যাবের পুলা ছুইটা আসছে হাসির শব্দ শুইনা!...হাহাপগে...মাগো! 'ফোন্ডেদি গলাই দিয়াম'...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মিয়া , আপনে আসলে মানুষ না !!!!
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভাই, আপনি পারেনও......
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
হাসতে হাসতে কীবোর্ড এর উপ্রে চা ফালায় দিসি। ধুর!
পেটে খিল ধরায় দিলেন মিয়া...বন্ধু সগীরের জন্যে সমবেদনা
ভন্ড_মানব
এমন লেখা হিমুদার পক্ষেই লেখা সম্ভব !
এখনো হাসতেসি। আমি আবার চাঁটগাই ভাষা কম বুঝি।
কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম কি বলতেসে। হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
লেখক স্বয়ং ভাষা অনুবাদ করে দেয়ায় বুঝিলাম, তারপর আবার হাসিলাম।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
বর্ষাপুও আমার মতন টিউবলাইট দেখতেসি ...
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
চমৎকার। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে 'ল্যাটিন' বুঝতে।
মনে আছে চিটাগাং এ এক ছেলে এক মেয়েকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ফরাসী ভাষায় মেসেজ পাঠিয়েছিল 'জ্যে তেইম' (উচ্চারনটা সম্ভবত কাছাকাছি, যার মানে আমি তোমাকে ভালবাসি)। মেয়ে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছিল 'কইস জ়ুতাইয়ুম'।
আমি চাটগাঁইয়া ভাষা বুঝি নাই, তয় ভাব মনে হয় ধরতারছি... হাইসাই যাইতেছি!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল । বেশি জোস্ বস
হাহাহাহা...নাহ, পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়ার সময় আপনার লেখা পড়লে অনেক বিপদ হয়। সিরিয়াস মনযোগী ছাত্র মার্কা ভাবটা ঠিক রাখা যায়না। স্ট্যাটিসটিক্স পড়ার সময় কি কেউ এভাবে হাসে নাকি! কি সমস্যা!
Nauzubillah !
কিছু দিন চট্রগ্রামে থাকাটাকে আশীর্বাদ ই বলতে হচ্ছে। কিন্তু হাসি তো থামানো ্যাছছেনা।
আল-হাসান
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
কয়দিন পরপর আইসা পইড়া যাই... পাশবিক!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ফাটাফাটি! হাসতেই আছি...
হের হিমু,
কি আর কমু---!!!
হাসতে হাসতে অবস্থা কাহিল----
নতুন করে আর ভাল লাগার কথা কী বলব।
তবুও আরো একবার বলি---অসাধারণ!!!
চরম লাগসে
ভাই... কি লিখলেন..... হাসতে হাসতে তো পেট ব্যাথা হয়ে গেল। অফিসের লোকজন সব আমার দিকে হা কইরা তাকাই আছে!
ভাই হুলুস্তুল লাগায় দিলেন - আজ সারাদিন হাসি বন্ধ হবে না। শান্তি যে বাসায় কেউ নাই, নাইলে এতখনে নিশ্চয় পাগলা গারদে পাঠায় দিত।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাই, আমি দম ফেটে মারা গেলে আপনি দায়ী হবেন।
ভাই মইরা গেলাম...... অনেক দিন পর হাসতেছি............ অচ্ছাম মামা, অচ্ছাম......... এক্কেবারে গলাই দিওন......।।
love the life you live. live the life you love.
আমার বস চাটগাঁইয়া। লেখাটা পড়ার পর উনাকে দেখলেই দম ফাটানো হাসি আসতেসে
হাসতে হাসতে জান খারাপ। আমার এক হাফ-চাটগাঁইয়া বন্ধু ছিলো। সবাই মিলে আড্ডা দিতে বসলে তাকে জিজ্ঞেস করা হত, দোস্ত, বলতো "আপনি আমাকে ফোন দেন কেন?" এটার চাটগাঁইয়া ভার্সন কি হবে?
lol
নতুন মন্তব্য করুন