জার্মানিতে নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে জার্মানির "পরিবেশ, প্রকৃতিরক্ষা ও রিয়্যাক্টর-নিরাপত্তা বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রণালয়", সংক্ষেপে যা BMU হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছরই নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ে একটি রিপোর্ট তারা প্রকাশ করে। ২০০৭ পর্যন্ত তথ্য নিয়ে রিপোর্টটি কিছুদিন আগে হাতে এসেছে, কিন্তু এ নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময় করতে পারিনি নানা ভ্যাজালের কারণে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে এভাবে বলা যায়, জার্মানি ক্রমশ জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর থেকে নিজেদের নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চায়। সত্তর দশকের শুরুতে তেল নিয়ে প্রথম দফা সংকটে সারা দুনিয়া কেঁপে উঠেছিলো, জার্মানরা সেই ধাক্কা খেয়ে বোধহয় একটু বেশিই সতর্ক হয়ে উঠেছে।
কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস আর পারমাণবিক শক্তির ওপর জার্মানি দীর্ঘকাল যাবৎ নির্ভরশীল থাকলেও তারা জোর দিতে চাইছে জলবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি আর জৈববস্তুর ওপর। জার্মানদের শক্ত নবায়নযোগ্য শক্তি আইন (যা EEG নামে পরিচিত) এর কল্যাণে নবায়নযোগ্য শক্তি শিল্প স্ফীত হচ্ছে ক্রমশ। ২০০৭ সালে এসে মোট শক্তির (বিদ্যুৎ, তাপ ও জ্বালানি) ৮.৬% তারা যোগান দিচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে। মোট বিদ্যুৎ শক্তির ১৪.২% নবায়নযোগ্য শক্তি-উৎস থেকে আসছে। ইন্ডাস্ট্রির এই বৃদ্ধির পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে জার্মানির নাগরিকরা, প্রতি একক শক্তি কিনতে গিয়ে তাদের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চায় জার্মানি। ভবিষ্যতে পারমাণবিক শক্তি প্ল্যান্টগুলো তারা বন্ধ করে দিতে ইচ্ছুক, এর পরিবর্তে ইয়োরোপব্যাপী শক্তি-নেটওয়ার্কে নবায়নযোগ্য শক্তিকে আরো বেশি পরিমাণে যোগ করার পরিকল্পনা চলছে।
আমি মূলত বায়ু, সৌরবিদ্যুৎ, সৌরতাপ, জল ও জৈববস্তু থেতে আহরিত শক্তি নিয়ে কয়েক ধাপে লিখতে চাই সামনে কিছু সময় ধরে, খুব উপকৃত হবো যদি পাঠকরা তাঁদের জিজ্ঞাস্য যোগ করেন মন্তব্যের খাতায়। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকিলাম।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
শক্তি আমার পছন্দের সেক্টর না, তবু মন দিয়ে পড়বো। আগামীতে আমাদের ভবিষ্যত কি সেইটা জানার ইচ্ছা আমার।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার প্রশ্ন হচ্ছে শক্তির উৎপাদন, বন্টন আর প্রতিপালনের ব্যায় নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে এযাবৎকালের অভ্যস্ত জ্বালানী কয়লা/পেট্রোলিয়ামের চাইতে কতটা বেশী বা কম, কারণ অনেক ভালো পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত কস্ট এফেক্টিভ না হওয়ায় থেমে থাকে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
দারুন বিষয়, লিখতে থাকেন
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপাতত দু'টি প্রাসঙ্গিক সংবাদের লিঙ্ক যোগ করছি।
নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পে গ্যাস দিতে পারবে না পেট্রোবাংলা
কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত
হাঁটুপানির জলদস্যু
একটু জেনেরিক বিষয় "এনার্জি কনভার্সন" নিয়ে জানতে চাই। এনার্জি কনভার্সন কি? এনার্জি কনটেইনার কি? কিভাবে একধরনে এনার্জি থেকে আরেক ধরনের এনার্জিতে পরিবর্তিত করা যায়? এদের সমস্যা কি? এনার্জি কেন জমিয়ে রাখা যায় না?
ফসিল ফুয়েল কেন নবায়নযোগ্য না? ফসিল ফুয়েল কিভাবে প্রস্তুত হয়? কিভাবে এক্সট্রাক্ট করা হয়? কবে নাগাদ এটা শেষ হতে পারে?
সবুজ বা নবায়নযোগ্য শক্তিকে এই নামে ঢাকা হয় কেন? কি কি ধরনের নবায়নযোগ্য শক্তি আছে? নবায়নযোগ্য শক্তির আনসার্টেইনিটি ফ্যাক্টর কিরকম? বাস্তবে শুধুমাত্র নবায়নযোগ্য শক্তি দিয়ে এনার্জি চাহিদা মেটানো সম্ভব কি?
সৌরসেল কিভাবে কাজ করে? সূর্যের দিক, ভৌগলিক অবস্থান কিভাবে আমাদের এফেক্ট করে? বাংলাদেশ কি এক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে বেশী সুবিধা পাবে?
বায়ুশক্তি কিভাবে ব্যবহার করা সম্ভব? ইন্টারমিটেন্ট বায়ু কি কোন কাজের? টার্বাইন কি জিনিস? কেমনে কাজ করে? বাংলাদেশের উপযোগী টার্বাইন কি তৈরী হয়েছে?
আরো প্রশ্ন আসবে। নেন স্যার শুরু করেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গুড! একটা কলা দিলাম তোকে ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
জার্মানীতে অনুবাদ কর:
"সর্বক্ষণ কলা নিয়ে ঘোরা বাঁদর, নবায়নযোগ্য কলা কি জিনিস সেটার গবেষনায় ব্যস্ত।"
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার একখান অনুরোধ, আমেরিকানদের গালি দেয়া শুরু কইরেন না। ওই (শালারা) দুনিয়ার সব এনার্জি খায়।
লেখা চালু করে দেন। অপেক্ষায় রইলাম। তার আগে,
পরিষ্কার হলো না।
আমার প্রশ্ন দুইটিঃ
১। ইউরোপব্যাপী শক্তি-নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। কোথায় কোথায় বিস্তৃত, কার কন্ট্রিবিউশন কতটুকু, কার কনজাম্পশন কতটুকু, সোর্সগুলোর প্রকৃতি অনুযায়ী কন্ট্রিবিউশনের পরিমান, সোর্সগুলোর প্রকৃতির ব্যাপারে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি।
২। বিপুল পরিমান সৌর শক্তি সঞ্চয়ের উপায় কি? বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপণা দিয়ে নয়, প্রযুক্তিগত সমাধান জানতে চাই।
=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি আশা করবো আপনার লেখায় কার্বন ব্যালেন্স নিয়ে কিছু কথা থাকবে। জৈবজ্বালানি নিয়ে প্রচুর হম্ভিতম্ভি গালভরা কথা বলা হলেও নেট ফলাফল কিন্তু সেই একই রয়ে গেছে। জীবাশ্ব জ্বালানির বিকল্প কিন্তু পরিবেশবান্ধব হিসেবে অনেকেই জৈবজ্বালানিকে প্রমোট করেছিলেন। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। জৈবজ্বালানি থেকে শক্তি পেতে আরো যে পরিমাণ শক্তি (যেমন বিদ্যুৎ)খরচ করতে হয় আর তাতে যে পরিমাণ কার্বন আমরা বাতাসে ছাড়ি তাতে আদৌ ব্যালেন্স হয় না।
আমি জানতে চাইবো, নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে আমরা কি এই কথা বলতে পারি যে এই শক্তি আহোরণের কোনো স্তরেই গ্রীন হাউজ গ্যাস উত্পন্ন হয় না? নবায়নযোগ্য শক্তি কি কার্বন নির্গমন কমাবে?
আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানতে চাইবো, এর টোটাল ম্যানেজমেন্ট নেটওয়ার্ক বর্তমানে কি অবস্থায় দাড়িয়ে আছে? বোঝাই যাচ্ছে যে জার্মানী নবায়নযোগ্য শক্তি প্রমোট করছে এবং উত্তরোত্তর এর ব্যবহার বাড়াবে। সেক্ষেত্রে জার্মানি এবং ইউরোপে শক্তি ব্যবস্থাপনার কাঠামো বর্তমানে কেমন,এই কাঠামোতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে কীভাবে প্রসারিত করা হচ্ছে, এর প্রসারণ-উত্পাদন-বিপননে মূল বাধাগুলো কি কি?
সিরিজ শুরু হলে আরো প্রশ্ন করবো। দয়া করে বিরক্ত হবেন না যেন!
যদিও ব্যাখ্যা করা শক্ত কিন্তু শক্তি নিয়ে এতো শক্তিক্ষয় করে আমাদের দেশে কতোটা লাভ হবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। যাদের দেশের শক্তিকে সনাক্ত করার শক্তি নেই কিংবা অপশক্তির হাত থেকে শক্তিকে রক্ষা করার শক্তি নেই কিংবা শক্তি আছে অথচ তা উত্তোলনের শক্তি নাই, তাদের মগজ এবং হাত দুটোই শক্ত না করা পর্যন্ত কি স্বস্তি আছে?
তারওপর শক্তি বোঝে এমন লোক পাওয়া যেমন শক্ত তেমনি অলটারনেটিভ শক্তি ব্যবহারের মানসিক শক্তিও লোকেদের মধ্যে কম (যেমন সৌরশক্তি)।
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির উপযোগীতা, ব্যবহার এবং ব্যবহারকে প্রোমোট করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটা বই বের করেছেন আমাদেরই এক সচল:
এ সংক্রান্ত খবরের লিংক।
প্রশ্ন আসবে দুই/তিনদিন পরে.... আপাতত দৌড়ের উপর আছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জীবাশ্ম জ্বালানী নিয়ে কী লিখেন তা জানার আগ্রহ রইলো। প্রয়োজন পড়লে চোথা মেরে দিতে পারবো!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
আরেকটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করি।
বিবিয়ান বিদ্যুৎকেন্দ্রঃ ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মুচলেকা দিয়ে চুক্তি হচ্ছে
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটা খবর।
কেন্দ্রীয় ট্র্যান্সফর্মার বিস্ফোরণঃ আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটা খবর।
প্রস্তাবিত বিবিয়ান বিদ্যুৎকেন্দ্রঃ প্রতি ইউনিটের মূল্য ৩ টাকা ১৫ পয়সা
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটি খবর (সেপ্টেম্বর ৪, ২০০৮)
পেট্রোবাংলার অজান্তেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সাঙ্গুর গ্যাস
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটি খবর (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৮)
বিভক্ত বাংলাদেশঃ পূর্বাঞ্চল এগিয়ে, পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটি খবর (সেপ্টেম্বর ১৬, ২০০৮(
সাঙ্গুতে আরো ৪৫ লক্ষ ডলার বিনিযুক্ত হচ্ছে
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটি খবর (সেপ্টেম্বর ২০, ২০০৮)
আরইবি গ্রামে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে
হাঁটুপানির জলদস্যু
আরেকটা খবর (অক্টোবর ৬, ২০০৮)
নয় বছরে ১২১ কোটি টাকা ভুয়া বিল করেছে ওয়েস্টমন্ট
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন