দৈনিক গণকণ্ঠের নাম বার বার ঘুরে ফিরে আসে বিভিন্ন প্রসঙ্গে, বিশেষ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কয়েকটি বছরের ইতিহাসে, কিন্তু পত্রিকাটি সম্পর্কে জানি না প্রায় কিছুই। কারা এর সম্পাদক ছিলেন, পত্রিকাটি কোন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আশ্রয় করেছিলো, কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত চলেছিলো, কখন ও কী কারণে বন্ধ হয়ে গেলো, এ সম্পর্কে জানার ইচ্ছে কাজ করছে।
গণকণ্ঠ সম্পর্কে যাঁরা জানেন, দয়া করে কিছু জানান মন্তব্যের খাতায় (কিংবা নতুন কোন পোস্টে)।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য
১৯৭২ সালে নবগঠিত জাসদ-এর মুখপাত্র হিসেবে প্রকাশিত হয় দৈনিক গণকণ্ঠ। সম্পাদক ছিলেন কবি আল মাহমুদ, প্রকাশক মনিরুল ইসলাম (জাসদ মহলে যিনি মার্শাল মনি নামে পরিচিত ছিলেন)। টিপু সুলতান রোডে দৈনিক সংগ্রাম-এর পুরনো প্রেস (যেটি স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে পরিত্যক্ত হয়েছিলো) থেকে গণকণ্ঠ প্রকাশিত হতো, কার্যালয়ও সেখানেই ছিলো। শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় একবার এর প্রকাশনা নিষিদ্ধ হয়েছিলো বলে মনে পড়ছে।
কাগজটি জাসদ রাজনীতির মতোই দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, যদিও সংবাদের তথ্যনিষ্ঠতা বিষয়ে বিস্তর প্রশ্ন তখন যেমন ছিলো, এখনো আছে। পত্রিকার বিলুপ্তির ঘটনাটা ঠিক স্মরণে আসছে না।
এই মোটামুটি প্রাথমিক তথ্য।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
না। ওটা দ্বিতীয় পর্বের কার্যালয়ের ঠিকানা। গণকণ্ঠ প্রথমে প্রকাশিত হতো র্যাংকিন স্ট্রিট থেকে। প্রেসটার নাম এই মুহূর্তে মনে আসছে না তবে আমার স্মৃতিতে আছে। মনে পড়বে একটু পরেই হয়তো বা। নিষিদ্ধ বা বন্ধ হবার পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিলো টিপুসুলতান রোডের ঠিকানা বা কার্যালয় থেকে।
গণকণ্ঠের প্রথম পাতায় কার্টুন আঁকতেন ইকবাল নামের একজন। এই কার্টুনিস্ট ইকবাল পরবর্তীকালে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল নামে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
গণকণ্ঠের প্রথম পাতায় কার্টুন আঁকতেন ইকবাল নামের একজন। এই কার্টুনিস্ট ইকবাল পরবর্তীকালে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল নামে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন। ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক)-এর কথাই বলছেন?
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবালের কথাই বলছি।
নিরাকার মুহম্মদ-এ একটা বাড়তি আকার সংযোজনের দায়টি আমার। দুঃখিত।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
গণকণ্ঠ আর লম্বাচুল, সম্ভবত দুটো ভিন্নধর্মী অনুষঙ্গও সমার্থক হয়ে গিয়েছিলো তখন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
"Why Jamat-e-Islami has gave the press & office of the Jamaat's only daily newspaper the SONGRAM to the JSD to publish the GONOKONTHA in 1972?"
আমার বছর পুরনো এক পোষ্টে একজন অতিথি এই প্রশ্ন রেখেছিলেন ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
গনকন্ঠ এর কথা বললে জাসদের কথাও আসবে ।
১। প্রতিস্টাতা ও নির্বাহী সম্পাদক প্রয়াত অধ্যাপক আফতাব আহমদের নাম । আহমদ ছফাও যুক্ত ছিলেন এর সাথে । সম্পাদক আর প্রকাশকের ব্যাপারে জুবায়ের ভায়ের তথ্য সঠিক ।
২। বাংলা দৈনিকগুলোর মধ্যে যে কয়টি শেখ মুজিব সরকারের একতরফা সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত ছিল তার মধ্যে উল্লেখ্য হল -
মওলানা ভাসানীর হক কথা আর জাসদের গণকন্ঠ । ইংরেজির মধ্যে এনায়েতুল্লাহ খানের রবিবাসরীয় হলিডে চ্যাম্পিয়ন ।
৩। প্রথম দিককার ছাপার ব্যাপারে রিটন ভায়ের তথ্য সঠিক ।
৪। (সম্ভবত ) ১৯৭৪ সালে প্রকাশনা নিষিদ্ধ হয় , সম্পাদক কবি আল মাহমুদ গ্রেফতার বরন করেন এবং বছর খানেক জেলে থাকেন ।
জাসদও নিষিদ্ধ করা হয় , আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী জাসদ দপ্তর এ ব্রাস ফায়ার করে জ্বালিয়ে দেয় । প্রানে বেচে যান হারুনুর রশীদ ।
৫। দ্বিতীয় দফার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় মুলত আর্থিক কারনে । তাছাড়া ততদিনে অনেক কিছুই ঘটেছে । জিয়ার ইন্ধনে জাসদ কয়েক টুকরা হয়ে গেছে আর নেতাদের তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি দীর্ঘ কারাবরন আর নির্বিচারে বিপ্লবী সৈনিকদের ফাসীর বিভত্সতা ।
সময় পেলে পরে আরো বলব ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
sorry for writing in English.
Dear Nuruzzaman Manik,-- "Pran e beche jaan Harunur Rashid",-- would you please tell a little bit details about Harunur Rashid, was he the executive editor of the daily Inqilab lately?
প্রিয় মি সুজন
আপনার এই মন্তব্য আগে দেখিনি তাই উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল ।
আমি নিজে তেমন বেশি কিছু জানিনা । যতটুকু জানি তা শেয়ার করছি -
(প্রয়াত ) হারুনুর রশিদ
-'৬০এর শুরু থেকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন ,
- মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন
-জাসদের শুরু থেকে ছিলেন
-৭৪-৭৫ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত জাসদের আন্ডারগ্রাউন্ড বিপ্লবী কাউন্সিল এর সাধারন সম্পাদক (আ স ম রব গ্রেফতার তিনি এই দায়িত্ব পান )
-পেশাগত জীবনে সর্বশেষ ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মুহম্মদ জুবায়ের ভাইয়ের মন্তব্যের এই অংশ আগে খেয়াল করিনি । তিনি লিখেছেন " ১৯৭২ সালে নবগঠিত জাসদ-এর মুখপাত্র হিসেবে প্রকাশিত হয় দৈনিক গণকণ্ঠ। "
জুবায়ের ভাইয়ের উপরের তথ্য থেকে ধারনা জন্মে "জাসদ" গঠনের পর তার "মুখপাত্র" হিসেবে " দৈনিক গণকণ্ঠ" প্রকাশিত হয়েছিল ।
কিন্তু আসলে দৈনিক গণকণ্ঠ প্রকাশিত হয়েছিল জাসদের গঠনের (২১ অক্টোবর '৭২) অনেক আগে । তাইলে প্রশ্ন আসে কবে ?
দৈনিক গণকণ্ঠ প্রকাশিত হয়েছিল সেদিন যেদিন বংবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকায় পৌছেন অর্থাত্ ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে !?
নুরুজ্জামান মানিক
************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন