১.
ঘোরের মধ্যে দিন কাটছে। হাতে শ'খানেক বড়-মেজো-ছোট কাজ, কিন্তু শেষ করা হচ্ছে না কিছুই। চিরকুটে ছক কাটি, বাস, ঐ পর্যন্তই।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সামনে তাপপরিবহন আর তাপগতিবিদ্যা নিয়ে পরীক্ষা সামনে। কিসুই পড়া হয় নাই। বড় আকারের একটা আন্ডা নিয়ে ফেরত আসার সম্ভাবনা প্রবল। অতীত পরীক্ষাগুলির ফলাফল যাচাই করে তেমনি মনে হয়। প্রফেসর উদার হাতে গোল্লা বিতরণ করেছেন।
হাতেনাতে পরীক্ষা নিয়েও একটা ষাট পাতার রিপোর্ট লেখা বাকি। প্রথম পাতাটা লিখেছি। বাকি ঊনষাট পাতা অর্ধনিমীলিত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হোয়েন ইউ লুক ইনটু দ্য অ্যাবিস, দ্য অ্যাবিস লুকস ইনটু ইউ।
এ ছাড়া আরেকটা বড় কাজ হচ্ছে আমার ঘর সাফ করা। গোয়ালঘর সাফ করাও বোধহয় এরচে সোজা। আমি নিজের ঘর পরিষ্কার করার পর গোয়ালঘর পরিষ্কারের অভিজ্ঞতাও হাসিল করতে পারবো বলে বিশ্বাস রাখি।
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আরো কিছু কাজের দায় আমার ওপর ঝোঝুল্যমান। তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশও সম্পন্ন করা হয়নি। ভবিষ্যতে কয়েকদিন চোখে অন্ধকার দেখবো মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে আয়নার ভেতরের আমি ক্রমাগত আয়নার বাহিরের আমিকে ঘ্যানা প্যাঁচাল শুনিয়ে যাচ্ছে, "তুমি বৃদ্ধ হয়ে গ্যাছো, তুমি বৃদ্ধ হয়ে গ্যাছো ...।"
২.
গ্রীষ্মের আমেজ শেষ। বাতাসে আতর গোলাপের সুগন্ধ বিলীন। পথেঘাটে তরুণীরা আবারও তাদের গা গতর আবৃত করে চলাফেরা শুরু করেছে। আমার শরীরে হাড্ডির সংখ্যাও ২০৭ থেকে ২০৬ এ নেমে এসেছে। বাইরে বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি, কিংবা ভেজা বাতাস চালায়। জ্বর আর টিপটিপ মাথাব্যথা কয়েকদিন ধরে।
এই নিরামিষ সময়ে কিছু লেখার এনথু-ও পাচ্ছি না। মন মাঝে মাঝে বোতলের জন্যে আইঢাঁই করে। তাই একটা সনেটের সূত্রপাত করে ক্ষান্ত দিই।
সতত হে মদ তুমি পড় মোর পেটে
সতত তোমার কথা লিখি এ সনেটে
সতত যেমতি লোক নেশার স্বপনে
শোনে মায়ামন্ত্রধ্বনি তব কলকলে
...
মন্তব্য
হাহ হা। সতত হে মদ তুমি পড়ো মোর পেটে।
বোতলের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কে হবে?
২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মাইকেল দাদু আইলো আপনার গলা টিপতে!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হালায় আমাগো মদও নাই, সনেটও লেখবার পারি না।
ইহা কী বলিলে বাবা সবজান্তা????????
মদ নাই, লাগানোর ইচ্ছাও নাই!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
আপনার কমেন্ট পইড়া বুঝলাম, আপনার মদ আছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লোল!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
- মেম্বরের মদ আছে লগে লাগানোর ইচ্ছাটাও আছে!
নাকি মেম্বর!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাড্ডির সংখ্যা যখন কমেই গেল তাহলে এবার পড়ালেখায় মনযোগ দিয়ে ফ্যালেন।
মদের অভাব হইলে বদ্দা আছে না? গায়ের জোরে না পারলেও মুখের জোরে একটা মদের দাওয়াত নিয়ে ফ্যালেন।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- হ, দিলাম, দাওয়াত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটা জ্যাকপট জিতলে সচলের জন্য একটা স্পেশাল ফান্ড দিমু। যাতে আমি বাইচা থাকতে কেউ মদের অভাবে না মরে...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আপনার জ্যাকপট জেতা এবং অতি দীর্ঘায়ু কামনা করা এখন ফরজে কেফায়া (ভুল লিখলাম কি?)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এইরম ফান্ড থাকলে আমি আছি।
সাহায্যপ্রার্থী হিসেবে।
২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
শরীরে তাপ যখন কমেই এসেছে, তখন তাপপরিবহন আর তাপগতিবিদ্যায় মনোনিবেশ করতেই পারেন
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অবস্থা আসলেই বেগতিক মনে হচ্ছে।
পড়াশুনা নিয়া এতো চিন্তা করার কিচ্ছু নাই হিমুভাই, গোল্লা খাইলেও ব্যাপার না ভাব নিয়ে থাকেন। পড়াশুনা জিনিসটাই মাত্রাতিরিক্ত বিরক্তিকর হয়ে উঠছে আমার কাছে দিনে দিনে, কেন জানিনা ! আর বেশী বোতল খাইলে তো আইঢাঁই করবেই পেটের মধ্যে, এইসব বদ-অভ্যাস বাদ দেন।
--------------------------------------------------------
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হুম!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ভালো লেখা । ভালো লাগলো।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
- গুটে বেসারুং দোস্ত।
তোর ঐতিহাসিক হাড্ডি খানার অবনতিতে কিঞ্চিত মহাচিন্তা হৈতাছে। বেনজিনের দাম যেই পরিমান বেশি তাতে একটা ক্রেন আইনা তোর হাড্ডি উত্তোলনে কী পরিমান খরচা হৈতে পারে তাই নিয়া আমি ভাবিত।
আর শোন, আয়নার দিকে চাইচ্ছা। বুইড়া তো হৈছসই। আয়নার দিকে চাইলে ঐটা আরো বেশি কইরা বুঝে আইবো। তখন মন খারাপ হৈবো, সেন্টু খাবি আর হাড্ডি আজীবনের লাইগা কইমা যাইবো! সবাই তো আর এরশাদাচু না, বুঝলি না!
সেদিন ফেসবুকে একটা ফটুক দেখলাম। এক ভাইগনা আমার। বিশাল বড় ব্যাটা। আমার যতোটুকু মনে পড়ে আমি অরে মাটিতে হামাগুড়ি খাইতে দেখছি। এখন নাকি কলেজের পাট শেষ! চিন্তা কর, দিন কেমনে তাত্তাড়ি যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে হচ্ছে শুধু সুরা-তে কাম হবে না
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
''দৈবের বশে, প্রবাসে'' আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে একুশে বই মেলায়। আপনি বইয়ের পুরো শিরোনাম হুবহু ব্যবহার করে ফেলছেন, দয়া করে নাম
পাল্টিয়ে দেন।
ভাল থাকুন।
সৈয়দ আফসার সাহেব,
সালাম জানবেন।
আপনাকে হতাশ করতে হচ্ছে বলে দুঃখিত। "প্রবাসে দৈবের বশে" আমাদের মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের একটি কবিতার একটি পংক্তির একটি অংশ। ওতে আপনার যতটুকু অধিকার, আমার ততটুকুই।
ভবিষ্যতে পুস্তক রচনা করার আগে একটু ক্লাসিকগুলি পড়ে নিলে নিজের বইয়ের শিরোনাম নিয়ে স্পর্শকাতরতা কমবে। না পড়েই বই লেখায় হাত দেয় মূর্খ লোক।
দ্বিতীয়ত, "দৈবের বশে, প্রবাসে" কীভাবে হুবহু ব্যবহার করলাম? আপনি তো নিরক্ষর নন। তাহলে কি চক্ষুরোগী? চক্ষু মেলে আবার পাঠ করুন তো। তারপরও সন্দেহ অটুট থাকলে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
ভালো থাকবেন আপনিও।
আরে, এইখানে দেখি ব্যাপক কমেডি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
নতুন মন্তব্য করুন